( প্রাপ্ত বয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত)
#ইরোরা
#পর্ব_দুই
#কাওসার_আহমেদ
“শহরের উত্তর পাশে আরও দুটি লা*শ পাওয়া গেছে।”
ইশিতার কথা শুনে আরমান চমকে উঠল। সকালে দুটি লা*শ পাওয়া গিয়েছিল, আর এখন আরও দু’টো!
“চলো, যাই সেখানে।”
ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা ডক্টর মেহতাবকে আগে থেকেই অপেক্ষা করতে দেখল। আরমানকে দেখে তিনি তার দিকে এগিয়ে এলেন।
“নতুন কিছু পেলেন, ডক্টর?” আরমান জানতে চাইল।
“নতুন বলতে, খু*নের পদ্ধতি একই রকম। তবে এবার লোহার রডের বদলে লোহার বল ব্যবহার করা হয়েছে, যার আকার প্রায় ক্রিকেট বলের অর্ধেক।”
কথা বলতে বলতে তারা লাশের কাছে পৌঁছাল।
“দেখতে পাচ্ছো, প্রায় সম্পূর্ণ বলটাই শরীরের ভেতরে ঢুকে গেছে। পাশে চকলেট পাওয়া গেছে, আপেলের বদলে। তাছাড়া নতুন কিছু জানতে হলে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে,” বললেন ডক্টর মেহতাব।
“আবারও একজন নারী ও একজন পুরুষকে খু*ন করা হয়েছে। খু*নি আসলে কী চাচ্ছে?” নিজের মনে বিরবির করে বলল আরমান।
কিছুক্ষণ পর তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করল।
দূর থেকে একজোড়া চোখ স্থিরভাবে তাকিয়ে আছে ঘটনাস্থলের দিকে। সময় তখন প্রায় সন্ধ্যা।
একদিনে চারটি লা*শ পাওয়া গেছে—এমন ঘটনা শহরে গত এক বছরে হয়নি। আর খু*ন করার পদ্ধতি? সেটিও অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। আরমান এই নিয়ে ভাবছিল, খু*নে*র পদ্ধতি সম্পর্কে অনলাইন এবং পুরনো কেস ফাইলগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করছিল। কিন্তু কোনো লাভ হলো না, খু*নে*র কৌশলটি সম্পূর্ণ নতুন।
ইশিতার আগমনে তার ভাবনার মধ্যে ছেদ পড়ল।
“চারজন ভিকটিমের মধ্যে তিনজনের নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে এবং তারা বর্তমানে সেই ব্যবসা পরিচালনা করছিল। অবাক করার মতো বিষয় হলো, এই তিনজন একে অপরের বন্ধু। চতুর্থ ভিকটিম একজন স্কুল শিক্ষক,” একটি ফাইল এগিয়ে দিয়ে বলল ইশিতা।
“বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং। তিনজন বন্ধুকে একসঙ্গে খু*ন, যার মধ্যে দুজন মেয়ে। আর একজন স্কুল শিক্ষক। খু*নি আসলে কী চায়? কেসটা যেন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের আরও গভীরে তদন্ত করতে হবে।”
“ভিকটিমদের অতীত জীবন নিয়ে বাকিরা কাজ করছে, কিছুটা সময় লাগবে। তবে…” ইশিতা কথা শেষ করার আগেই আরমানের ফোন বেজে উঠল। স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে সে দেখল ডক্টর মেহতাবের কল। ইশারায় ইশিতাকে থামতে বলে সে ফোনটি রিসিভ করল। ডক্টর মেহতাব তাকে ল্যাবে আসতে বললেন।
“চারজন ভিকটিমের মধ্যে তিনজনের শরীরে ঘুমের ওষুধ পাওয়া গেছে, এবং উভয়েই একই ধরনের ওষুধ সেবন করেছে। এছাড়া, তাদের শরীরে সামান্য পরিমাণে অ্যালকোহলও পাওয়া গেছে। চতুর্থ ভিকটিম বাকিদের থেকে আলাদা। আর হ্যাঁ, আপেল ও চকলেটের মধ্যেও সেই তিনজনের হাতের ছাপ পাওয়া গেছে,” বললেন ডক্টর মেহতাব।
“ঘুমের ওষুধের মধ্যে কোনো বিশেষত্ব আছে? যেমন—অনেক শক্তিশালী বা সহজে পাওয়া যায় না এমন কিছু?” জানতে চাইল আরমান।
“শক্তিশালী তো বটেই, তবে সহজেই পাওয়া যায়। এ ধরনের ওষুধ সাধারণত তাদেরই দেওয়া হয়, যাদের বেশ কিছুদিন ধরে ঠিকমতো ঘুম হয় না।”
“ধন্যবাদ, ডক্টর।”
ফরেনসিক ল্যাব থেকে বের হয়ে তারা গন্তব্যের দিকে রওনা হলো। যাওয়ার সময় ইশিতা জিজ্ঞেস করল,
“এই চতুর্থ ভিকটিমের হিসাবটা বুঝতে পারছি না। খু*নি কি তাকে ভুল করে খু*ন করেছে?”
“খু*ন ইচ্ছে করেই করেছে। নিশ্চয়ই কোনো পাপ করেছে, কিন্তু খু*নে*র পদ্ধতিটা আলাদা। হয়তো খু*নি ইচ্ছে করেই আলাদা পদ্ধতিতে খু*ন করেছে যাতে আমরা তাকে নিয়ে ভাবতে সময় নষ্ট করি, আর সে অন্যদিকে সহজেই তার কাজ চালিয়ে যেতে পারে।”
কিছুক্ষণ পর তারা পুলিশ স্টেশনে পৌঁছালে অফিসার অমিত এসে জানায়…
“স্যার, পুরনো ফাইল ঘাঁটাঘাঁটি করে একটা ফাইল পেয়েছি। তিনজন ভিকটিমসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে রাফিত নামের এক ছেলেকে মা*রা*র জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছিল।”
“কতদিন আগে এই মামলা করা হয়েছিল?” প্রশ্ন করল আরমান।
“প্রায় এক বছর আগে। তারা পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল, তখনই রাফিতকে পাহাড় থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়,” উত্তর দিয়ে ইশিতার দিকে তাকিয়ে অমিত আবার বলতে শুরু করল, “ম্যাম, আপনি তিনজন ভিকটিমের বাকি বন্ধুদের খোঁজ নিতে বলেছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, ওই সাতজন ছাড়া তাদের আরও তিনজন বন্ধু ছিল। তিনজন মা*রা গেছে, সাতজন এখনো বেঁচে আছে।”
“এক মিনিট, দশজন বন্ধুদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল, তাহলে বাকি তিনজন?”
“বাকি তিনজন সেদিন পাহাড়ে যায়নি, তারা হোটেলেই ছিল। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, রাফিতের পরিবার মামলার রায় পেতে যাচ্ছিল। কিন্তু দুই মাস আগে হঠাৎ করে মামলা তুলে নেওয়া হয়।”
অমিতের শেষ কথা শুনে আরমান হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর ইশিতার দিকে ঘুরে বলল,
“আমি রাফিতের পরিবারের সাথে দেখা করতে চাই। তুমি ওই সাতজন বন্ধুর খোঁজ নিয়ে তাদের এখানে নিয়ে আসো। খু*নি*র পরবর্তী টার্গেট হতে পারে ওই সাতজনের মধ্যে কেউ একজন, কিংবা দু’জনও হতে পারে।”
“ওকে, অমিত চলো আমরা কাজে লেগে পড়ি।”
____________________
রাত দশটা ছয় মিনিট। কলিং বেল বাজছে। ওয়াশরুমে থাকায় দরজা খুলতে দেরি হচ্ছে। তাড়াতাড়ি কাজ সেরে দরজা খুলতেই পরিচিত এক মুখ, বললেন,
“কেতজি, কেতজি স্যামুয়েল!”
“স্যার! আপনি হঠাৎ?”
“এই পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম দেখা করে যাই। দিনকাল কেমন যাচ্ছে?”
“ভালোই চলছে, স্যার।”
“ভালোই তো চলার কথা। শহরে যে চারটা খু*ন হয়েছে! ঘটনাস্থলে গিয়েছিলে?”
“হ্যাঁ, স্যার। গিয়েছিলাম।”
“কোনো কিছু জানতে পেরেছো?”
“সুখে থাকলে ভূতে কিলায়, একটা কথা আছে না স্যার? এদের ক্ষেত্রেও সেইম। টাকা থাকায় পাপ তাদের কিলাচ্ছে।”
“তাহলে এখন থেকে বাকিদের সঙ্গে মিশে কাজ শুরু করো।”
“এখন থেকে?” অবাক হয়ে বলল স্যামুয়েল।
“হ্যাঁ, কোনো সমস্যা?”
“না স্যার, কোনো সমস্যা নেই।”
“তাহলে আজ উঠি,” বলে চলে গেলেন।
উনার নাম আরিয়ান, উপর মহলের লোক। আমি একজন ডিবি অফিসার। আমার কাজ করার পদ্ধতি একটু আলাদা। অন্য এক কেসের জন্য শহরের সাম্প্রতিক খুনগুলোর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এখন স্যার যেহেতু বলেছেন সেগুলোর তদন্তে নিজেকে জড়াতে, তাহলে তো করতেই হবে।
_____________________
সাতজন বন্ধুর মধ্যে পাঁচজনকে পুলিশ স্টেশনে আনা হয়েছে, বাকী দুজন নিখোঁজ।
“কবে থেকে দুজন মিসিং?” আরমান জিজ্ঞাসা করল।
“যেদিন রিয়া, রাকিব আর রাইছার লা*শ পাওয়া যায়, তার আগের দিন থেকে,” একজন উত্তর দিলো।
“তোমরা সেদিন সবাই মিলে ম*দ খেয়েছিলে?”
“হালকা খেয়েছিলাম, স্যার।”
“অনেকদিন তো তোমাদের একসাথে দেখা হয়নি। হঠাৎ সেদিন দেখা করার কারণ কী?”
“বন্ধুদের সাথে দেখা করতে আবার কারণ লাগে নাকি?”
“কারণ তো লাগার কথা না। তবে তোমাদের অতীত তো বলে যে সেদিনের দেখা করার পেছনে কিছু ছিল। যাই হোক, সেটা বাদ দাও। এবার বলো, রাফিতের পরিবার হঠাৎ করে মামলা তুলে নিল কেন?”
“স্যার, বিশ্বাস করুন, আমরা কিছুই জানি না। এমনকি অতীতেও আমরা কিছু করিনি, যার জন্য আমাদের বন্ধুদের এত ভ*য়*ঙ্ক*র মৃ*ত্যু পেতে হবে।”
আরমান তাদের কথা শুনে হালকা হাসল, কিছু বলতে যাবে, ঠিক তখনই পেছন থেকে কণ্ঠ ভেসে এল,
“পা থেকে মাথা পর্যন্ত পাপ ভর্তি তোমাদের। এখনও সময় আছে, সত্যিটা বলো।”
আরমান পেছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে স্যামুয়েল দাঁড়িয়ে।
“কেতজি স্যামুয়েল! তুমি এখানে?”
“তোমাদের খোঁজ নিতে আসলাম,” স্যামুয়েল এবার ওই পাঁচজনের দিকে তাকিয়ে বলল, “তোমরা ম*র*লেও আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। কয়েক মাস তদন্ত করবো, যদি কোনো সমাধান না পাই, কেস বন্ধ করে দেবো। যা ক্ষতি হবে, তা তোমাদেরই। সময় থাকতে সত্যিটা বলো।”
পাঁচজন একে অপরের মুখের দিকে তাকাচ্ছে।
“তোমাদের দুজন বন্ধু নিখোঁজ। কাল সকালে তাদের মৃ*ত*দে*হ পাওয়া যাবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমরা আজীবন তোমাদের সিকিউরিটি দিতে পারবো না। বাড়ি যাও, ভালো করে ভেবে সত্যিটা জানিও।”
স্যামুয়েল আরমানকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। অফিসটা ভালো করে দেখছে স্যামুয়েল—অনেকদিন পর এখানে এসেছে। স্যামুয়েলকে দেখে বাকিরা তার দিকে তাকিয়ে আছে, অবশ্যই কারণ আছে। ইশিতা দৌড়ে এসে স্যামুয়েলকে অভিনন্দন জানালো ফিরে আসার জন্য।
“কাজে ফিরে যাই। প্রথমে রাফিতের বিষয়টা পরিষ্কার করি। রাফিতের একটা বোন আছে, যে দশম শ্রেণিতে পড়ে। রাকিব তার জীবন নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেয়, যার ফলেই রাফিতের পরিবার মামলাটা তুলে নিতে বাধ্য হয়,” স্যামুয়েল একটু থামল। এরপর ল্যাপটপে পেনড্রাইভ কানেক্ট করে স্ক্রিনে একটা মেয়ের ছবি দেখিয়ে আবার বলতে শুরু করল, “মেয়েটির নাম শাহানা। তাকে পাঁচ মাস আগে খু*ন করা হয়।” দ্বিতীয় ছবিতে একটা ছেলের ছবি দেখিয়ে বলল, “ছেলেটার নাম আফনান। তাকেও মেয়েটির মতো সাত মাস আগে মে*রে ফেলা হয়।” এরপর স্ক্রিনে একটা পুরুষ ও মহিলার ছবি দেখিয়ে স্যামুয়েল বলল, “এদের দশ মাস আগে খু*ন করা হয়। এরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী, এবং তাদের একটা আঠারো বছরের ছেলেও আছে।”
“তাদের সবাইকে খু*ন করার কারণ হলো, তারা ওই দশজন বন্ধুর কুকর্মের বিষয়ে জেনে গিয়েছিল। সেই কুকর্মগুলো ছিল-ড্রা*গ*স বিক্রি করা, বিদেশে নারী পা*চা*র করা, এবং অনাথ বা পথশিশুদের শরীরের বিভিন্ন অ*ঙ্গ*প্র*ত্য*ঙ্গ বিক্রি করা।”
এইটুকু বলে স্যামুয়েল থামল।
স্যামুয়েলের কথা শুনে ইশিতা আরমানের দিকে তাকিয়ে বলল, “এদেরকে হ*ত্যা*র জন্য বেশ কয়েকজনের কাছে শক্ত কারণ আছে। যদি সবাই তাদের খু*ন করতে চায়, তাহলে খু*ন করার পদ্ধতি একরকম হলো কীভাবে?”
“হতে পারে অপরাধীরা চাইছে যেন মনে হয় খু*নি একজন। রিয়াকে হ*ত্যা*র পর যেভাবে তাকে মা*রা হয়েছে, বাকিরা সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে রাকিব ও রাইছাকে হ*ত্যা করেছে,” আরমান যুক্তি দিলো।
“হতে পারে,” ইশিতা সম্মত হলো।
“কিন্তু আসলে এমন কিছুই ঘটেনি,” তাদের কথার মধ্যে কেতজি হঠাৎ বলল। “প্রথমে আমিও ভেবেছিলাম ওই দশজন বন্ধু একসাথে অপরাধ করেছে, কিন্তু না। রিয়া, যাকে আগেই হ*ত্যা করা হয়েছে সে, এবং যারা নিখোঁজ, তাদের মধ্যে নাহিদ কোনো অপরাধ করেনি। তা ছাড়া বাকী পাঁচজনেরও কোনো অপরাধ খুঁজে পাইনি। অপরাধ করেছে রাইছা, রাকিব এবং লিমন। লিমনও নিখোঁজ। রাইছা, রাকিব ও লিমন তাদের অপরাধ কে এমন ভাবে সাজিয়েছে যাতে দশজন বন্ধুকেই অপরাধী মনে হয়। প্রকৃত পক্ষে অপরাধী ছিল তিনজন। কিন্তু বাকীরাও কিছু না কিছু অপরাধ করেছে যা আমাদের চোখের সামনে আসছে না। আমি ‘পা থেকে মাথা পর্যন্ত পাপে ভর্তি’ বলেছি কারণ ওরা যাতে ওদের বন্ধুদের কুকর্ম স্বীকার করে নেয়।”
“তিনজন এত বড় বড় অপরাধ করল অথচ কেউ কিছু বুঝতেই
পারলো না,” ইশিতা অবাক হয়ে বলল।
“সবকিছুই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে,” আরমান মাথা নাড়ল।
এমন সময় অফিসার অমিত এসে খবর দিলো, “স্যার, নাহিদ ও
লিমনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।”
“ঠিক আছে, তুমি যাও,” ইশিতা তাকে নির্দেশ দিলো।
“খু*নি কে এবং খু*নে*র কারণ কী, সেটা কীভাবে জানবো?” আরমান মাথায় হাত দিয়ে চিন্তিত ভঙ্গিতে বলল।
“খু*নি কে এবং খু*নের কারণ কী, সেটা আমাদের খু*নি নিজেই জানাবে, তার খু*নে*র মাধ্যমে। এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা,” স্যামুয়েল নির্ভার কণ্ঠে উত্তর দিল।
স্যামুয়েলের কথা শুনে আরমান ও ইশিতা একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইল।
“এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সময় হলে সব ঠিক বুঝতে পারবে। তৈরি থেকো, সকালে আমাদের দুটো লা*শে*র সাথে দেখা করতে হবে,” স্যামুয়েল সতর্ক করে দিয়ে চলে গেল।
আরমান ও ইশিতা ভালো করেই জানে, সকালে তারা নাহিদ ও লিমনের লা*শ পাবে।
চলবে,,,,,,