#ইরোরা
#পর্ব_এক
#কাওসার_আহমেদ
( ১৮+ এ্যালার্ট , প্রাপ্ত বয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত)
এক পিস আপেল মুখে দেওয়ার পর সে বুঝতে পারলো একটু আগে যাকে খু*ন করেছে তার র*ক্ত লেগেছিল আপেলে। যাকে খু*ন করল তার র*ক্ত খেয়েও মনে শান্তি নেই। এরচেয়ে ভ*য়*ঙ্ক*র কিছু করতে পারলে তার শান্তি লাগবে।
সে ধীরে ধীরে অন্য রুমের দিকে পা বাড়াল। ঘরের ভেতরে একটি মেয়ে চেয়ারে শক্ত করে বাঁধা ছিল, নিস্তব্ধতার মাঝে তার অসহায় শরীরটাও যেন ঘরের একাংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগন্তুক মেয়েটির পিছনে এসে নিঃশব্দে দাঁড়াল, যেন ছায়ার মতো উপস্থিতি। কিছুক্ষণ পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরল। তার চোখ খুলতেই চারপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারল, সে এক সম্পূর্ণ অচেনা জায়গায় আছে।
ঠিক তখনই আগন্তুক ধীরে ধীরে সামনে এসে দাঁড়াল। মেয়েটি আগন্তুককে দেখে হতবাক হয়ে গেল, তার চোখ ভয়ে বড় হয়ে উঠল। কাঁপা কাঁপা গলায় ফিসফিস করে বলল, — “তু… তু… তুমি?”
একটা অদ্ভুত হাসি নিয়ে আগন্তুক উত্তর দিল, –“হ্যাঁ, আমি।”
মেয়েটির মুখে বিস্ময়ের ছাপ আরও গভীর হলো। –“তুমি কীভাবে? না, এটা সম্ভব নয়… র*ক্ত, র*ক্ত কেন তোমার জামায়?”
ঠাণ্ডা স্বরে আগন্তুক বলল, –“একজনকে খু*ন করে আসলাম। তার তাজা র*ক্ত লেগে আছে জামায়।”
মেয়েটি কাঁদো কাঁদো গলায় আকুতি করে বলল, –“প্লিজ, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি তোমার পায়ে পড়ি, আমাকে মুক্তি দাও!”
মেয়েটির কথা শুনে আগন্তুকের মুখে বিকৃত এক অট্টহাসি ফুটে উঠল। সে পাগলের মতো জোরে শব্দ করে হাসতে লাগল, যেন মেয়েটির দুর্দশা তাকে অদ্ভুত আনন্দে ভরিয়ে তুলছে। হাসি থামিয়ে আগন্তুক মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বাম দিকে ইশারা করে বলল, –“ওই যে, দেখছো? একটা আপেল দেখা যাচ্ছে। তুমি যদি সেটা আনতে পারো, তবে তোমার মুক্তি।”
মেয়েটির মুখে কিছুটা আশার ঝলক দেখা গেল। কিন্তু তার পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। আগন্তুক ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে মেয়েটাকে চেয়ার থেকে মুক্ত করে দিল, তবে তার হাত এবং পা তখনও বাঁধা ছিল। হাঁটা সম্ভব, কিন্তু পুরোপুরি মুক্তি পায়নি সে। আপেলের দিকে তাকিয়ে সে এক মুহূর্ত দ্বিধায় ভুগল, তারপরই এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিল।
ঠিক তখনই আগন্তুক হেসে বলল, –“তোমাকে দৌড়ে যেতে হবে, আবার দৌড়ে ফিরে আসতে হবে।”
আগ্রাসী কণ্ঠস্বর শুনে মেয়েটির হৃদস্পন্দন বাড়তে থাকল। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সে কোনোরকম দ্বিধা না করে দৌড় দিল। আপেলের কাছাকাছি পৌঁছাতেই হঠাৎ পা আটকে মেয়েটি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল। শিকলের অন্য প্রান্ত ঘরের এক পাশে শক্ত করে বাঁধা ছিল, আর সেই দূরত্ব আপেলের দূরত্বের চেয়ে কম ছিল। নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সে কিছু না ভেবে দৌড় দিয়েছিল, কিন্তু শিকলের বাঁধা তাকে আরও অসহায় করে তুলল।
পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মেয়েটি তীব্র ব্যথায় চিৎকার করে উঠল। পায়ের গোড়ালিতে তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা অনুভূত হচ্ছে, যেন গোড়ালিটা ভেঙে গেছে। মেঝেতে শুয়ে অসহায়ভাবে কাতরাতে লাগল সে, আর আগন্তুক দূর থেকে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখে বিকৃত আনন্দে মগ্ন হয়ে রইল।
ধীরে ধীরে আগন্তুক মেয়েটির কাছে এগিয়ে গেল। সে মেয়েটির দিকে ঝুঁকে নিচু গলায় প্রশ্ন করল, –“আপেলটা এখনও তার জায়গাতেই রয়েছে। তুমি সেটা হাতে নিতে পারলে না কেন?”
মেয়েটি অসহায়ভাবে কাঁপতে কাঁপতে বলল, –“আমি আপেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। আমার পা শিকল দিয়ে বাঁধা, শিকলের দৈর্ঘ্য আপেল পর্যন্ত পৌঁছায় না।”
অপরিচিত আগন্তুক ঠাণ্ডা স্বরে উত্তর দিল, –“আমি সেটা জানি না, আর তোমার অজুহাত আমার একেবারেই পছন্দ নয়। তুমি কীভাবে আপেল আনবে, সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি শুধু সেই আপেলটা তোমার হাতে দেখতে চাই।”
এই কথা বলতে বলতে সে হঠাৎ মেয়েটির পায়ের গোড়ালিতে পা দিয়ে আ*ঘা*ত করতে শুরু করল। একের পর এক আ*ঘা*তে মেয়েটির গোড়ালিতে ব্যথা আরও তীব্র হতে লাগল। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে অনুনয় করতে লাগল, –“প্লিজ, আমাকে ছেড়ে দাও! আমি আপেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছি না। এটা আমার সাধ্যের বাইরে। দয়া করে, তুমি বুঝার চেষ্টা করো। আমাকে মুক্তি দাও, প্লিজ!”
কিন্তু আগন্তুকের মুখে কোনো দয়া দেখা গেল না। তার আঘাত অব্যাহত রইল, আর মেয়েটির কাতর কণ্ঠস্বর ঘরের নিস্তব্ধতা ভেঙে ছড়িয়ে পড়তে লাগল।
আগন্তুক তার কাজ শান্তভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। ভেতরে প্রচণ্ড রাগ থাকলেও তা চেহারায় প্রকাশ না করে, সে সেই রাগ আ*ঘা*তে*র মাধ্যমে প্রকাশ করছে।
মেয়েটির আকুতি শোনার কোনো চেষ্টা না করে আগন্তুক শিকল ধরে টেনে মেয়েটাকে চেয়ারের কাছে নিয়ে এলো। ইশারায় তাকে চেয়ারে বসতে বলল। মেয়েটা অনেক কষ্টে চেয়ারে বসল, মুখে এখনও আ*ত*ঙ্ক আর আকুতির ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু আগন্তুকের নজর সেদিকে নেই। ঘরজুড়ে এক অসম্ভব নিরবতা। সেই নীরবতা ভেঙে আগন্তুক হঠাৎ বলল,
–“কেমন হয় যদি তোমার ক*লি*জা*টা বে*র করে আনি?”
কথাগুলো শুনে মেয়েটির আ*ত্মা কেঁপে উঠল। আগন্তুকের মুখে নিষ্ঠুর এক হাসি ফুটল। এবার সে বলল,
–” নিজের কাপড় খুলে ফেলো।”
মেয়েটা আ*ত*ঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে বলল, –“প্লিজ, এমন করো না। আমার পায়ে প্রচণ্ড ব্য*থা করছে, আমি খুব কষ্টে আছি।”
মেয়েটার কথা শেষ হতে না হতেই আগন্তুক গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে এক থাপ্পড় মারল। থাপ্পড়ের আঘাতে মেয়েটির নাক দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করল। এবার সে মেয়েটার গলায় হাত রেখে চাপ দিতে দিতে বলল,
–“আমি যা বলছি, তাই কর। এখানে তুমি আমার কথা শুনতে বাধ্য, আর আমি যা চাই, সেটাই হবে। আমার আদেশ অমান্য করলে ফল আরও ভ*য়*ঙ্ক*র হবে।”
গলা ছেড়ে দিয়ে মেয়েটাকে হাঁপাতে দিল সে। মেয়েটি কষ্টে, ব্যথায়, কাঁদতে কাঁদতে বলল, –“পানি… দয়া করে, একটু পানি দাও।”
কিন্তু আগন্তুক তার দিকে তাকিয়েও পানি দিল না। সে আবার ধীর কণ্ঠে বলল,
–“কিছু মনে পড়ছে, রিয়া?”
মেয়েটা এবার ভয়ে ঢোক গিলল, আ*ত*ঙ্কে স্তব্ধ হয়ে রইল।
মেয়েটার চেহারা দেখে আগন্তুক অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। বলল, –“নিজের অতীত মনে পড়ছে, রিয়া? একবার নিজেই ভেবে দেখো, তোমার জন্য কী শাস্তি প্রাপ্য। কেমন হয় যদি তোমাকে বি*ব*স্ত্র অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দিই, অচেতন করে ছেড়ে দিই যেন সবাই তোমাকে দেখুক?”
এই কথা বলেই আগন্তুক পাগলের মতো হাসতে লাগল। তার হাসি থামার নাম নেই। মেয়েটা কিছু না বললেও মনে মনে বুঝে গেছে, আগন্তুকের হাত থেকে তার আর রক্ষা নেই। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ আগন্তুক হাসি থামিয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলল,
–“তুমি না একজন বিজনেস ম্যানের মেয়ে! তাহলে তোমাকে দিয়ে বিজনেস করলে কেমন হয়?”
মেয়েটা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, –“কেমন বিজনেস? তুমি কী করতে চাচ্ছো?”
আগন্তুক হেসে বলল, –“ভালো কিছু আশা করো না। অনেক কিছু করা যায়। শরীরের বিভিন্ন অ*ঙ্গ বিক্রি করা, তোমাকে দিয়ে দে*হ*ব্য*ব*সা চালানো—আরও কত কিছু!”
এই কথাগুলো বলেই আবারও আগন্তুক পাগলের মতো হাসিতে মেতে উঠল।
আগন্তুক এবার মেয়েটির পাশে বসে বলল, –“অনেক ব্যথা হচ্ছে, তাই না?”
মেয়েটি কষ্টের স্বরে বলল, –“হ্যাঁ, হু হু… খুব।”
আগন্তুক ঠাণ্ডা গলায় বলল, — “এগুলো কিছুই না, অন্তরের ব্যথার কাছে এগুলো কিছুই না।”
তারপর সে উঠে দাঁড়িয়ে মেয়েটার চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে বলল, –“তোমাকে বলেছিলাম, যতটুকু পারো, কাপড় খুলে ফেলতে। কিন্তু তুমি তা করোনি। কেন? লজ্জা লাগছে? কিন্তু যখন তোমার বয়ফ্রেন্ডের কাছে নিজের শরীর বিলিয়ে দিয়েছিলে, তখন তো কোনো লজ্জা লাগেনি!”
এটা বলে আগন্তুক ঘরের এক কোণায় চলে গেল। মেয়েটির দু’পায়ে ও দু’হাতে শিকল বাঁধা। শিকল দিয়ে আটকানো থাকলেও মেয়েটি চাইলে আগন্তুককে আঘাত করতে পারত, কিন্তু তার শরীরে আর কোনো শক্তি অবশিষ্ট নেই।
আগন্তুক এবার মেয়েটাকে শক্ত করে চেয়ারে আবার বেঁধে ফেলল, যাতে মেয়েটি নড়াচড়া করতে না পারে। তার পাশেই একটা ব্যাগ রাখল। ব্যাগটা দেখেই মেয়েটা আতঙ্কে ঢোক গিলে বলল,
— “তুমি যা বলবে তাই করব, প্লিজ ব্যাগটা সরিয়ে নাও। তুমি তো কাপড় খুলতে বলেছিলে, আমাকে সুযোগ দাও। আমি এখনই খুলছি।”
আগন্তুক মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে একবার হেঁসে বলল,
–“হাহ! কাপড়! সেটা আর খুলতে হবে না। আমি কাপড় খুলতে বলেছিলাম শুধু তোমার অতীতটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।”
এটা বলে, আগন্তুক ব্যাগ থেকে একটা ছোট লোহার রড বের করল। সঙ্গে আগুন জ্বালানোর যন্ত্রও বের করল। ধীরে ধীরে রডটা গরম করতে লাগল, আর মেয়েটার ভয়ের চাহনির দিকে তাকিয়ে ঠাণ্ডা হাসি হাসল।
রডটা যখন গরম হয়ে লালচে রক্তবর্ণ ধারণ করল, ঠিক তখনই আগন্তুক সেটি মেয়েটার হাতে চেপে ধরল। মেয়েটা ব্যথায় চিৎকার করে উঠল, কিন্তু নিজেকে ছাড়াতে পারল না। আস্তে আস্তে আগন্তুক মেয়েটার দুই হাতে বেশ কয়েকটি জায়গায় আঘাত করল। মেয়েটার আত্নচিৎকার যেন আগন্তুকের জন্য নিখাদ আনন্দের উৎস হয়ে দাঁড়াল।
এক পর্যায়ে আগন্তুক নির্যাতন থামিয়ে দিল। মেয়েটা আধমরা অবস্থায় চেয়ারে পড়ে রইল, শরীরে কোনও শক্তি অবশিষ্ট নেই। আগন্তুক তার চেহারার দিকে তাকিয়ে হেঁসে বলল,
— “এই চেহারা নিয়ে তোমার তো অনেক অহংকার ছিল, তাই না? এখন যদি এই চেহারা খাবলে ছিঁড়ে ফেলি, কেমন হবে? কেমন হবে যদি প্রতিদিন এভাবেই তোমাকে আঘাত করতে থাকি?”
মেয়েটির শরীরে আর তেমন কোনো চেতনা অবশিষ্ট নেই, কিছু বলার শক্তি তার আর নেই। শুধু নিরুপায়ভাবে আগন্তুকের কথা শুনছে আর তার অঙ্গভঙ্গি লক্ষ্য করছে। এবার আগন্তুক ব্যাগ থেকে একটি ড্রিল মেশিন বের করল। মেশিনটি চালু করে সেটি মেয়েটার বুক থেকে পাঁচ-ছয় ইঞ্চি দূরত্বে ধরে রাখল। মেয়েটার মনে খুব ইচ্ছে করছিল বলতে, “প্লিজ, দয়া করো। আমি আর পারছি না। আজকের মতো ছেড়ে দাও।” কিন্তু সে কথা বলার শক্তিটুকুও তার নেই।
এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ল।
_______________
–“বাড়িটা বছরখানেক ধরে বন্ধ।”
— “বাড়ি বন্ধ থাকলেও এখানে মানুষের আনাগোনা ছিল। হতে পারে একজন, দুজন, কিংবা একাধিকজন। তবে পুরো বাড়ির মধ্যে শুধুমাত্র দুই রুমেই আনাগোনা হয়েছে। দেখো, রুম দুটো কতটা পরিষ্কার।” –“নির্জন এলাকা। অপরাধী বেশ ভালো জায়গা বেছে নিয়েছে।”
–“তা তো বটেই। তুমি ওই কাজের লোকটাকে জিজ্ঞেস করো যে আমাদের খবর দিয়েছিল। আর হ্যাঁ, বাড়িওয়ালার ডিটেইলস চাই আমার সাথে ভিকটিমদের।”
–“ঠিক আছে।”
ইশিতা চলে গেল। আরমান ফরেনসিক টিমের দিকে এগোল। বেশ কিছুক্ষণ হলো ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে দুটি খু*ন হয়েছে। একজন পুরুষ ও অন্যজন মহিলা।
–“ডক্টর মেহতাব, কিছু পেলেন?” আরমান প্রশ্ন করল।
— “না ভাই, তেমন কিছু পাইনি। অপরাধী বেশ চতুরতার সঙ্গে কাজ করেছে। কোনো প্রমাণ ছেড়ে যায়নি। তবে দু’টি খু*ন আলাদাভাবে করা হয়েছে,” ফ্রেন্ডলি মেজাজে বললেন ডক্টর মেহতাব।
–“পুরুষ ভিকটিমকে গলায় ছু*রি দিয়ে আ*ঘা*ত করে হ*ত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ছু*রি*র আ*ঘা*ত করা হয়েছে, তারপর সেই ক্ষতস্থানে লবণ-মরিচ লাগানো হয়েছে। মহিলাকে হত্যা করার আগে তাকে ভয়ানকভাবে নি*র্যা*ত*ন করা হয়েছে। তার দু’পায়ের গোড়ালি ভেঙে গেছে, আর হাতগুলো গরম কিছু দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। এরপর ড্রিল মেশিন দিয়ে তার বুকের বাঁ পাশে ছি*দ্র করা হয়েছে এবং ডান পাশে একটা ছোট গরম রড ঢু*কি*য়ে দেওয়া হয়েছে। ড্রিল মেশিন দিয়ে করা ছিদ্রটা লক্ষ্য করো, এত বড় যে দু’টো আঙুল সহজেই ঢুকে যাবে। এমনকি এপাশ থেকে ওপাশও দেখা যাচ্ছে। ডান পাশে এখনও রডটা গেঁথে রয়েছে। মুখের ওপর আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে, দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনো জন্তুর নখ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। রক্তের কথা তো বললামই না। ভাবছি, মেয়েটা যদি জীবিত থাকা অবস্থায় এসব করা হয়ে থাকে, তাহলে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তাকে।” আবারও বললেন ডক্টর মেহতাব।
–“খু*নি*র মনে এদের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা ছিল। আপেলটা, ওই আপেল থেকে কিছু জানতে পারলেন, ডক্টর?”
— “এখনো কিছু পাইনি। আপাতত কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।”
জায়গাটি ভালোভাবে তদন্ত শেষে পুলিশ ও ফরেনসিক টিম স্থান ত্যাগ করল। তবে অজান্তেই, আড়াল থেকে কেউ একজন সমস্ত কিছু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল।
চলবে,,,,,