#আহানের_শ্যামবতী
পর্বঃ৯
Sam Ira
ইহান ইতিকে আহানের হাতে তুলে দিয়ে বললো —
” তোকে আমি কখনো বন্ধু ভাবি নি, সবসময় ভাই মনে করতাম , আমার বোন একনো অনেক ছোট তাকে এই বয়সে কখনোই বিয়ে দিতাম না, তার সুবিধার কথা ভেবেই রাজি হয়ছি, যদি মানুষটা তুই ছাড়া অন্য কেউ হতো তাহলে আমার কলিজাকে এতো সহজে কারো হাতে তুলে দিতাম না। আমার বোনকে সবসময় ভালো রাখিস, কখসো কষ্ট দিস না।
ইহান ইতিকে অনেকবার বুঝিয়ে বলছে গাড়িতে গিয়ে বসতে কিন্তু ইতি মানতে নারাজ। সে কিছুতেই যাবে না তাই ইহান কোলে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিয়েছে। ইতি চিৎকার দিয়ে কান্না করছে, তার কান্না দেখে সকলের চোখেই জল চলে আসছে। রানি বেগম কান্না করতে করতে অজ্ঞান হয়ে গেছে তাই ইহান তাকে বাসায় নিয়ে গেছে।
ইতি গাড়িতে বসে জোরে জোরে কান্না করতেছে, আহান একটার পর একটা টিস্যু ইতির হাতে দিচ্ছে। ২০ মিনিট পরেই গাড়ি এসে থামলো আহানদের বাসার সামনে। ইতিকে গাড়ি থেকে নামানোর পরেই অজ্ঞান হয়ে গেছে। আমেনা বেগম ইতিকে ধরে রেখেই আহানকে বললো ইতিকে বাসায় নিয়ে যেতে।
সকালের মিষ্টি রোদের আলোয় ইতি ঘুম থেকে উঠছে, আশেপাশের পরিবেশ দেখে মনে মনে বললো—
” আমার তো কিছুই মনে নেই, আমাকে এখানে কে নিয়ে আসলো?? এটা যে আহান সাাহেবের রুম সেটা তো ভালোই বুঝা যাচ্ছে।
আহান রুমে এসে দেখে ইতি কিছু ভাবছে, তাই বললো–
” এতো কি ভাবছো?? তোমাকে রুমে আমি নিয়ে আসছি।
ইতি আহানকে দেখে ৪০০ ভোল্টের শক খেলো।
” লুইচ্ছা বেডা। আপনি এখানে কি করছেন??
আমার জামাই কই??
“আমার সাথেই তোমার বিয়ে হয়ছে, আর এটা আমার রুম তুমি হইলা ভারাটিয়া তাই গলা নিচু করে কথা বলো।
” কী? শেষ পর্যন্ত আপনার মতো একটা ছেলের সাথে আমার বিয়ে হলো।
আহান মুচকি হেসে হুম বলে ওয়াসরুমে ঢুকে গেলো। ইতি উঠে মোবাইল নিয়ে বারান্দায় চলে গেছে, ইহানের সাথে কথা বলা শেষ করে দেখে আহান রেডি হয়ে পায়ের উপর পা তুলে সোফার মধ্যে বসে রয়ছে।
ইতিকে দেখে আহান বললো —
” আমি একটু বাহিরে যাবো, কাজ আছে। তুমি ড্রেস পরিবর্তন করে রুমের সব গুছিয়ে রেখো।
ইতি রেগে বললো,
” আমাকে কি আপনার কাজের লোক মনে হয়,??
আমি এসব করতে পারবো না, আপনাদের বাসায় তো কাজের লোকের অভাব নেই তাদের বলেন রুম পরিষ্কার করতে।
“আমার রুমে আমি কাউকে আসতে দেইনা। আগে আম্মু রুম পরিষ্কার করতো এখন তুমি করবা। আমার কথার বাহিরে যদি কিছু করো তাহলে দেখবা আমি কি করি।
কথাটা বলেই আহান চলে গেছে। ইতি একটা স্কার্ট নিয়ে ওয়াসরুমে গেলো।
আহানের বেডরুম অনেক বড়ো তাই ইতির পাক্কা একঘন্টা সময় লাগছে সব ঠিক করতে।
ইতি নিচে যাওয়ার পর দেখলো সবাই নিচে বসে রয়েছে, আহানও আছে। আমেনা বেগম ইতিকে জিজ্ঞাস করলেন —
” মা, তোর শরীর ঠিক আছে।
“হুম
তারপর সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট করে আড্ডা দিলো। আহান ইতিকে চোখের ইশারায় অনেকবার রুমে যেতে বলছে কিন্তু ইতি তেরামি করে বসে রয়ছে। আহান সবার কাছ থেকে উঠে রুমে যাওয়ার সময় ইতির দিকে তাকিয়ে বললো—
“ইতি একটু রুমে আসো তো
এখন না গেলে সবাই খারাপ ভাববে তাই ইতি রুমে গেলো। ইতি রুমে আসার পর আহান বললো —
“আমি যখন বাসায় থাকবো না তখন স্কার্ট /থ্রিপিস পরো এখন শাড়ি পরো।
ইতি মিনমিন গলায় বললো —
“আমি তো শাড়ি পরতেই পারিনা।
আহান তার শার্টের সাথে মেচিং করে একটা শাড়ি, ব্লাউজ, পেটিকোট নিয়ে ইতির হাতে দিয়ে বললো —
” যেইগুলো পড়ার দরকার সেইগুলো পরে আসো। আমি অপেক্ষা করতেছি।
” আমি আপনার সামনে শাড়ি পরবো না।
“আমার সামনে শাড়ি পরতে বলি নি। আমি তোমাকে শাড়ি পরিয়ে দিবো।
“লাগবে না।
“তুমি এমন করতেছো কেনো শ্যামবতী?? আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে, আমরা এখন স্বামী স্ত্রী।
ইতি কিছু না বলে ওয়াসরুমে ঢুকে ব্লাউজ, পেটিকোট পরে উপর দিয়ে একটা ওরনা নিয়ে বাহিরে এসে দেখে আহান বিচানায় বসে মোবাইল দেখছে।
আহান ইতিকে জিজ্ঞাস করলো —
“ওরনা থাকলে শাড়ি পরাবো কিভাবে??
ইতি নিচের দিকে তাকিয়ে বললো–
“আমি ওরনা খুলতে পারবো না, আমার লজ্জা লাগে।
আহান আর কিছু না বলে ইতির কাছে গিয়ে ওরনা খুলে —-
চলবে।