#আহানের_শ্যামবতী
#পর্বঃ৭
Sam Ira
ইহান উঠে ফ্রেস হয়ে রিমিকে অনেকবার ডাকছিলো কিন্তু রিমির কোনো হুস নেই। ইহান বিরক্ত হয়ে রিমিকে কোলে করে ওয়াসরুমে নিয়ে গেলো।
রিমি আস্তে করে বললো —
“আমার শরীর ব্যথা করে, নামান আমায়, আমি আরেকটু ঘুমাবো।
ইহান ওয়াসরুমে রিমিকে নামিয়ে দিয়ে বললো—
“ফ্রেস হয়ে নামাজ পড়ে তারপর ঘুম দিও।
রিমি ফ্রেস হয়ে নামাজ পড়ে দেখলো ইহান রেডি হয়ে আছে। রিমি বিছানায় বসতে বসতে বললো –
“আপনি এখনি চলে যাবেন??
কিছু খাবেন না??
ইহান রিমিকে বললো–
“বেডশীট পরিবর্তন করো, আর এইখানে ঔষধ রাখা আছে খেয়ে নেও। আজকে স্কুল যাবে??
রিমি মাথা নারিয়ে না বুঝানোর পর ইহান রুম থেকে বের হয়ে গেছে। কি মনে করে আবার রুমে এসে রিমির কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে বললো —
“একটা কথা বলি, রাগ করো না প্লিজ। তুমি এখন থেকে এইসব ড্রেসআপ পরিবর্তন করো। তোমার সব সৌন্দর্য দেখার অধিকার শুধু আমার। এই দুইদিন বাসায় রেস্ট নেও আর কলার দেওয়া জামা পরো নাহলে আমার ভালোবাসার চিহ্নগুলো সবাই দেখবে।
কথাগুলো বলে ইহান চলে গেলো। রিমি ঔষধ দেখেই বুঝলো এইগুলা কিসের ঔষধ। এখন ঔষধ খেলে তো ফ্যামেলি কখনোই মানবে না।
তাই রিমি ঔষধ খেলো না।
সময় নদীর স্রোতের মতো প্রবাহিত হয়। এই দুই সপ্তাহ খুব ভালো ভাবেই মিটে গেলো। রিমি দুইদিন পর থেকে নিয়মিত ইতির সাথে স্কুলে গেছে। আহানও চট্টগ্রাম থেকে এসে বিয়ের সকল ডেকোরেশন কমপ্লিট করছে। ইতির সাথে আহানের শুধু একদিন কথা হয়ছে তারপর আর কথা হয়নি, আহানের কাজের চাপ ছিলো অনেক তাই কথা বলা হয়ে উঠে নি। ইহান প্রতিদিন রাত ১০ টার পর কল দিয়ে কথা বলে আবার ফজরের পর কল দিয়ে নামাজ পড়তে উঠায় রিমিকে।
আজকে ইতির মেহেন্দি অনুষ্ঠান, ইতি লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরছে দুই হাতে মেহেন্দি দিয়ে বসে রয়েছে। দুই হাতে লাভ শেপের মেহেন্দির মধ্যে Ahan লিখা আছে। রিমিকে একটা সাদা হলুদ কম্বিনেশনের শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে ইহান, রিমির জন্য ইহান শাড়ি, কসমেটিকস্ সব নিয়ে দিছে।
ইতি বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলতেছে আর আহান ভিডিও কলে ইতিকে দেখছে। ইহানের কাছে আহান ভিডিও কল দেওয়ার পর ইহান বুঝে গেছে যে ইতিকে দেখার জন্যই কল আসছে তাই ইতির কাছ থেকে একটু দুরে দারিয়ে মোবাইল ধরে রাখছে। রিমি ইহানের কাছে এসে জিজ্ঞাস করলো–
“কি করেন এইখানে??
ইহান কলটা মিউট করে বললো-
“ইতিকে আহান দেখবে তাই দেখাচ্ছি, তাতে আমার সওয়াব হবে।
রিমি একটু মুখ ভেঙচি দিয়ে বললো —
“আপনার আবার সওয়াবের কাজ, হাসালেন আমায়।
” তাই?? এখন তাহলে আরেকটু সওয়াবের কাজ করি?
এটা বলেই ইহান এক হাতে রিমির কোমর জরিয়ে ধরে তার কাছে এনে কপালে একটা গভীর ভালোবাসার পরশ একে দিয়েছে। তারপর রিমির কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো —
” আজ তোমাকে এতো সুন্দর লাগে কেনো, সেটা জানো?? কারন আমি তোমাকে সাজিয়ে দিয়েছি তাই। আকাশ থেকে নেমে আসা পরির মতো লাগে। ইহানের নিঃশ্বাস রিমির মুখের উপর পরে তাই সে চোখ বন্ধ করে আছে।
মেহেন্দি অনুষ্ঠান ছাদে করা হয়েছে, এখানেই আবার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে। তাই এখন সবাই নিচে গিয়ে খাওয়ার পর আবার হলুদের জন্য রেডি হয়ে আসবে। ইতি রিমির জন্য অনেক সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করছে কিন্তু রিমি আসার কোনো নাম গন্ধ নেই তাই সে একটু ছাদের কর্ণারে গেলো, তখনি দেখলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা—
চলবে।