#আস্থা
পর্ব ১০
Farzana Akter Mithila
The first step is complete
Get ready for the next step
তিথি মুচকি হেসে একজনকে এস,এম,এস দিল
মুখোশ খোলার সময় এসে গেছে সব কিছুর রেডী থেকো
আইরা,রায়েদ,রাইদা,রায়ান তিথি এবং শিমুল রওনা হলো আইরার নানাবাড়ির উদ্দেশ্যে
আইরার মনে এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে এই প্রথম সে মায়ের বাসায় যাবে
রাইদাঃ মাম্মা আমলা তোতাই যাত্তি
আইরাঃ আমার মামনির বাবার বাসায় যাচ্ছি
রায়েদঃ তুমি খুব খুশি তাইনা আইরা
আইরাঃ হ্যাঁ রায়েদ।প্রথম নানাবাড়ি যাচ্ছি আমি সত্যি খুব খুশি
গাড়ির মধ্যে আইরা রায়েদ এর বুকে মাথা রাখল কিন্তু রায়ান যে আইরার দিকে তাকিয়ে আছে এটা তিথির চোখ এড়ালো না
আইরাকে রায়েদ এর বুক দেখে রায়ান মুচকি একটা হাসি দিল কিন্তু ওর বুকের ভিতর ঝড় শুরু হয়ে গেলো হয়তো আজও রায়ান আইরাকে ভালোবাসা
তিথি রায়ান কে বলল সাবধানে ড্রাইভ কর
রায়ানঃ হুম
২ঘন্টা পর সবাই আইরার নানাবাড়িতে পৌছে গেল
শহর থেকে কিছুটা দূরে বিশাল ডুপ্লেক্স বাড়ি গেট দিয়ে ঢুকেই একপাশে সুইমিংপুল অন্য দিকে বাগান
আইরা গাড়ি থেকে নেমে সোজা বাসার ভিতরে চলে গেল
কিন্তু এত বড় বাসায় কাউকে না দেখে কেমন যেন লাগছে আইরার
রায়েদঃ বাসা তো পুরো ফাকা সবাই কোথায়
শিমুলঃ উপরে চল
আইরা রায়েদ এর হাত ধরে হাটছে রাইদা তিথির আর রায়ান এর হাত ধরে আছে
শিমুল সিড়িতে দারিয়ে বলল আমার সাথে এসো
উপরে একটা রুমে একজন বয়স্ক লোক সাথে একজন নার্স দাড়িয়ে আছে
আইরাঃ উনি কি আমার নানা
শিমুলঃ হ্যা
আইরা ছুটে ওর নানার কাছে গেল
আইরাঃ নানা আপনি কেমন আছেন আমি আমি আপনার মেয়ে শিমলার মেয়ে
নানাঃ আমি ভালো নেই তুই কেন এসেছিস এই নরকে
আইরাঃ আপনি তো আমাকে দেখতে চেয়েছেন তাই এসেছি ভালো নেই মানে আর নরক মানে
নানাঃ আমি তোকে আসতে বলিনি ওরা তোকে মিথ্যে বলে এনেছে পালিয়ে যা তুই
আইরাঃ মানে কি বলছো এসব
শিমুলঃ আমি বলছি আইরা তোকে আমি মিথ্যে বলে এনেছি
আইরাঃ কেন
শিমুলঃ তোর সব সম্পত্তি আমার চায় তোর মায়ের কোটি টাকার সম্পত্তি আমার নামে লিখে দিবি তুই
নানাঃ না আইরা তুই কখনও দিবিনা ওই সয়তানকে
আইরাঃ রায়েদ কি হচ্ছে এখানে আমি বাসায় যাব চল
শিমুলঃ হা হা হা আর তো বাসায় যেতে পারবেনা মা আগে এই দলিলে সাইন করবে তারপর ওদের সাথে যাবে
রায়ানঃ কিসের দলিল ও কোন দলিলে সই করবেনা
শিমুলঃ সই না করলে রাইদাকেউ ওর নানা নানির কাছে পাঠিয়ে দিব
আইরাঃ রায়েদ আমার রাইদা কোথায়
রায়েদঃ তিথির কাছে ছিল তিথি কোথায়
আশপাশে কোথাও তিথি কে দেখতে পেল না
শিমুলঃ তিথি আমার লোক ও রাইদা কে নিয়ে গেছে
আইরাঃ আমার রাইদা কে ফিরিয়ে দিন আমি সাইন করে দিচ্ছি
শিমুলঃ এইযে পেপার এইখানে সাইন করবি
আইরা সাইন করতে গেলে মিতু এসে বলে না ভাবি আপনি সাইন করবেন না
শিমুলঃ মিতু কি বলছিস তুই এতদিন পর আমাদের স্বপ্ন পুরন হবে আর তুই বাধা দিচ্ছিস
মিতুঃ আংকেল ঠিকি বলছি এসব শত্রুতা বাদ দিন ৩০ বছর পার হয়ে গেছে আজও প্রতিশোধের নেশায় মেতে আছেন আপনি
আইরাঃ কিসের প্রতিশোধ কি হচ্ছে এসব
মিতুঃ আপনি শুধু সাইন করে দিলেও আপনি বাচতে পারবেন না ভাবি ওরা আপনাকে মেরে ফেলবে
রায়ানঃ মিতু কি বলছো এসব কারা মেরে ফেলবে
মিতু কিছু না বলেই শিমুল এর পিছনে ছুরি ধরে বলে সবাই কে যেতে দিন না হলে কিন্তু আপনাকে শেষ করে দিব আমি
শিমুলঃ তুই এইভাবে বেইমানি করবি আমি জানতাম তাই তো নিজেকে সুরক্ষিত করে এসেছি
মিতু মা মানে
হাহাহা আমি এত বোকা নয় তুই রায়ান এর জন্য সব করতে পারিস এটা আমি খুব ভালো করেই জানি কিন্তু আমাকে তুই আটকাতে পারবিনা
ওদের সবাইকে বেধে ফেলো
কয়েকজন মুখোশ পরে এসে সবাইকে বেধে দিল
শিমুল ঃ রুবেল তোর মেয়ে কে সামলা না হলে কিন্তু ওকেও শেষ করে দিব
রুবেলঃ না ওকে কিছু করিস না ওকে আমি নিয়ে যাচ্ছি
শিমুলঃ আইরা তুই সাইন কর
না হলে
মিতুঃ না সাইন করবেনা সাইন করলেও বাচতে পারবেনা
এর মাঝে তিথি একটা বাচ্চাকে নিয়ে এসে বলে
তোর সব খেলা শেষ ওদের ছেড়ে দে না হলে তোর একমাত্র ছেলেকে শেষ করতে আমার ১ মিনিট লাগবে না
শিমুলঃ তুই ও আমার সাথে বেইমানি করলি এর ফল ভালো হবেনা
তিথিঃ আগে ওদের ছেড়ে দে না হলে কিন্তু
শিমুলঃ না ওকে কিছু করবিনা ওদের সবাইকে ছেড়ে দিচ্ছি
একজন এসে সবাইকে বাধন মুক্ত করে দেই
আইরাঃ আপু আমার রাইদা কোথায় ও ঠিক আছে তো
তিথিঃ রাইদা কে আমি সুরক্ষিত জায়গায় রেখে এসেছি ও সম্পুর্ণ সুস্থ আছে
রায়ানঃ অনেক হয়েছে লুকোচুরি আর নয়
আইরাঃ মানে? তুমি সব জানতে
রায়ানঃ হ্যা মিতু আমাকে সব জানায় তাই আমি তোমাদের সাথে আসি
আইরাঃ আমাকে সব খুলে বল কিছু বুঝতে পারছিনা আমি
মিতুঃ আমি বলছি
আব্বু আর আম্মু শিমলা আন্টি আর মহিন আংকেল কে হেল্প করেছিল বিয়ে করতে তখন আন্টির বিয়ে ঠিক হয় কিন্তু পাত্র পক্ষ শিমুল আংকেল কে অনেক বাজে কথা শোনায় সেই থেকে আব্বু আমম্মুর প্রতিশোধ নিতে চায় শিমুল আংকেল কিন্তু প্রতিশোধ এর নেশায় এত মেতে ছিল যে নিজের বোনকে শেষ করতে একবার ভাবেনি
আমার আব্বু উনার কথায় গাড়ির ব্রেক নষ্ট করে কিন্তু আমরা জানতাম আইরাকে শেষ করার জন্য এমন করেছে
যখন জানতে পারে আইরা বেচে আছে তখন ওকেও মেরে ফেলতে চায় কিন্তু যখন জানতে পারে নানা ভাই সব কিছু শিমলা আন্টির নামে করে দিয়েছিল আন্টি মারা যাওয়ায় সব কিছু আইরা পাবে তখন থেকে অপেক্ষা করছে এই দিন টার নানাভাইকেও অনেক কষ্ট দিয়েছি একে তো শিমলা আন্টি পালিয়ে যায় আবার সব কিছু তার নামে করে দেয়ায় আরো ও ক্ষেপে যায়
শুধু তোমাদের কে না আহমেদ পরিবারকেও শেষ করতে চায় উনি
আইরাঃ সব বুজলাম কিন্তু আব্বু আম্মুকে কেন মারতে চায়
মিতুঃ আম্মুকে উনি ভালোবাসত বিয়ের প্রস্তাব দেই কিন্তু আম্মু আব্বুকে ভালোবাসত তাই রিজেক্ট করে দেয় আর মহিন আংকেল কে আব্বু আম্মু হেল্প করে এজন্য
কিন্তু চিন্তা কর না তোমাদের কারোর কিছু হতে দিব না আমি আর তিথি আপু
তিথি আপুকে আমি সব বুঝিয়ে আমাদের প্লানিং এ এনেছিলাম যাতে ও আমাকে হেল্প করতে পারে
শিমুলঃ তোরা বেচে গেলেও আমি আইরাকে ছাড়ব না
বলেই আইরা দিকে শুট করল
চলবে