আস্থা পর্ব-০৯

0
1137

#আস্থা

পর্ব ৯

writer #Farzana akter mithila

কিন্তু আড়াল থেকে কেউ শয়তানি হাসি দিয়ে বলল আজ থেকে খেলা শুরু হাহাহা আহমেদ ম্যানশন এর কেউ ভালো থাকবে না কেউ না

পরের দিন

রায়েদঃ আইরা আইরা উঠ

আইরাঃ একটু ঘুমাতে দাওনা সকাল সকাল ঘুম ভাংতে ভালো লাগে

রায়েদঃ সকাল সকাল মানে? ১২ টা বাজে

আইরাঃ তো কি হয়ছে আমার সকাল এখনো হইনি

রায়েদঃ সরি বুজতে পেরেছি
বলেই আইরাকে জড়িয়ে ধরে আইরার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছুয়ে দিল। আইরা ভালোবাসা নিয়ে উঠে পড়লো বিছানা থেকে

আইরাঃ এখন আমার সকাল হয়েছে

রায়েদ বিছানা থেকে উঠে আইরার পাশে দাঁড়িয়ে বলে যদি কখনো তোমাকে সকালের ভালোবাসা না দিতে পারি তখন কি তুমি উঠবে না

আইরাঃ না

রায়েদঃ কেন

আইরাঃ কারন আমার প্রতিদিন শুরু হয় তোমার ভালোবাসায় শেষ হয় তোমার ভালোবাসায় তোমার ভালোবাসা না পেলে আমি দিন শুরু করব কেন

রায়েদঃ যদি মরে যায় তখন

আইরা কথা টা শুনেই বেলকনিতে গিয়ে কান্না শুরু করে দেয়
রায়েদ আইরার কাছে যায়

রায়েদঃ আইরা কান্না করবেনা একদম তুমি জানোনা তোমার চোখ এর পানি আমার সহ্য হয়না

আইরাঃ,,,

রায়েদঃ কান্না থামাও

আইরাঃ আমার চোখের পানি তোমার সহ্য হয়না আর তুমি একটু আগে কি বললে তুমি আমাকে ছেড়ে একদম চলে যাবে আমার কষ্ট হয়না রায়েদ? আমিও তো রক্তে মাংসে গড়া মানুষ
সব কিছু হারিয়ে একা হয়ে গেছিলাম তখন তুমি আমাকে নতুন জীবন দিলে তোমার উপর #আস্থা রেখে নতুন করে শুরু করলাম আর এখন বলছো তুমি চলে যাবে তাহলে কি নিয়ে বাচব আমি

রায়েদঃ সরি আমি ওইভাবে বলিনি আইরা আমাকে ভুল বুঝোনা প্লিজ সরি সরি এই দেখো কান ধরছি

আইরাঃ আর নাটক করতে হবেনা হইছে
বলেই আইরা রায়েদ কে জড়িয়ে ধরল রায়েদ ও আইরা শক্ত করে জড়িয়ে ধরল

অন্য দিকে

রায়ানঃ তুই কেন আমাকে বিয়ে করলি তিথি

তিথিঃ আমি তোকে ভালো রাখতে চায় তোর জীবন টা সুন্দর করে দিতে চায়।

রায়ানঃ আমার সময় লাগবে

তিথিঃ যত সময় লাগে নে কোন সমস্যা নেই শুধু আমার উপর #আস্থা রাখিস কখনো ভুল বুজিস না কারন সামনে অনেক বড় আসতে চলেছে

রায়ানঃ কিসের ঝড়

তিথি কিছুটা ভেবাচেকা খেয়ে বলল
তিথিঃ মিতুর পরিবার এত সহজে সব মেনে নেবেনা(এখনি সব তোকে বলতে পারবনা রায়ান সময় হলে সব বলব)

রায়ানঃ তা ঠিক বলছিস যা হবে দেখা যাবে

তিথিঃ হুম

লিভিং রুমে

আজিজঃ রায়েদ তুই এবার আমার ব্যবসার হাল ধর রিয়াদ হাসপাতালে থাকে আমি আর রায়ান ব্যবসা দেখতাম কিন্তু বয়স হচ্ছে এত প্রেসার নিতে পারছিনা আমি

রায়েদঃ আচ্ছা আব্বু কালকে থেকে রায়ান এর সাথে আমি অফিসে যাব

আজিজঃ আইরা তুই চাইলে অফিস যেতে পারিস রায়েদের সাথে

আইরাঃ না আব্বু আমি অফিসে যাবনা।ভাবছি পথশিশু দের কিছু একটা করব

আজিজঃ কি করতে চাস তুই

আইরাঃ আব্বু আমি একটা এতিমখানা করব সেখানে কিছু পথশিশু থাকবে ওদের পড়াশোনা করাবো আমি

আজিজঃ কিন্তু তোর একার পক্ষে এটা সম্ভব না মা

আইরাঃ কেন সম্ভব নয় আব্বু
আমাদের সব প্রোপার্টি বেচে আমি এতিম খানা করব
সব কিছু তো অযথা পড়েই আছে তাই ভাবছি শুধু বাসা টা বাদে সব বেচে দিয়ে বাসার পাশেয় এতিমখানা খুলব

আজিজঃ এটা তোর ব্যক্তিগত মতামত এটা নিয়ে আমি কিছু বলবনা কিন্তু যদি কখনো এই বাবা টাকে প্রয়োজন হয় তবে বলিস

আইরাঃ আমি জানি আব্বু তোমরা সবাই আমার সাথে থাকবে

রায়েদঃ ইনশাআল্লাহ সবসময় আছি আমরা

আইরাঃ হুম আম্মু তুমি কি বল

রাবেয়াঃ আমি খুব খুশি হয়েছি মা তুই পথ শিশুদের পাশে দাড়াবি এর থেকে খুশির কিছু নেই

পুরুষ কণ্ঠে একজন বলল

পথশিশুর জন্য ভাবছিস কিন্তু আপনজনের খোজ কখনো নিয়েছিস

আইরাঃ আপনি কে ঠিক চিনলাম না

লোকটা ঃ আমাকে তুই চিনবিনা

রাবেয়াঃ ভাইয়া আপনি এত বছর পরে
কেমন আছেন

লোকটাঃ আমাকে চিনতে পেরেছিস তাহলে

রাবেয়াঃ কেন চিনব না ভিতরে আসুন।আইরা ওনি তোর মামা

আইরাঃ মামা?

রাবেয়াঃ হ্যাঁ তোর মায়ের একমাত্র ভাই

আইরাঃ আমি তো কখনো শুনিনি আমার মামা আছে আর মামনিও আমাকে কিছু বলেনি

রাবেয়াঃ হুম কারন তোর মামা বাড়ির কারোর সাথে শিমলা যোগাযোগ রাখেনি

আইরাঃ কেন আম্মু

রাবেয়াঃ তোর মা মহিন ভাইয়াকে ভালোবাসত তোর নানা জানতে পেরে তোর মায়ের অন্য কোথাও বিয়ে ঠিক করে সেদিন ওরা পালিয়ে আমাদের বাসায় এসে বিয়ে করে যখন আরফান হয় তখন তোর বাবা শিমলাকে জোর করে নিয়ে তোর নানা বাড়ি যায় সেদিন তোর বাবাকে তোর নানা আর মামা মিলে অনেক অপমান করে শিমলা সেই অপমান সহ্য করতে পারেনা তাই তোর নানাবাড়ির সাথে সব সম্পর্কে শেষ করে দেয়
তোর নানারা পড়ে মেনে নিলেও শিমলা কখনো ওই বাড়ি যাইনি

আইরাঃ ওহ

লোকটাঃ তোর মা বাবার মৃতুর খবর শুনে স্ট্রোক করে তোর নানা। এখন শয্যাশায়ী হয়ে গেছে তোকে একবার দেখতে চায় তুই কি যাবি?

আইরা কি করব বুজে পাচ্ছেনা আহমেদ পরিবার বাদেও তার আপনজন আছে এটা ভেবে খুশি হল

রায়েদঃ আইরা তুমি কি যেতে চাও

আইরাঃ হ্যাঁ আমি যাব সাথে তুমি আর রাইদা যাবে আমার সাথে

রায়েদঃ আচ্ছা যাব

শিমুল(আইরার মামা)ঃআজ চল বাবার অবস্থা ভালো না যে কোনো সময় কিছু হয়ে যেতে পারে

আইরাঃ কিন্তু

রাবেয়াঃ কিন্তু কি কোন কিন্তু না যা নানাবাড়ি থেকে ঘুরে আয়

আইরাঃ আচ্ছা

রায়ানঃ যদি কিছু না মনে করে আমিও যেতে যায়

আইরাঃ কি মনে করব চলো আমাদের সাথে তিথি আপু তুমি যাবে
কিছুটা ভেবে উত্তর দিল
তিথিঃহ্যাঁ আমিও যাব ( এত সহজে রাজী হয়ে গেলে এখন কি করব আমি যায় হোক তোমাদের একা ছাড়ব না আমি )

আইরাঃ আচ্ছা সবাই গিয়ে রেডি হয়ে আসো আমিও যায়

সবাই রেডি হতে গেল
তিথির ফোন হাতে নিয়ে দেখে একটা মেসেজ

The first step is complete
Get ready for the next setp

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে