আমি তুমিতেই আসক্ত পর্ব-৩২

0
1892

#আমি_তুমিতেই_আসক্ত।
#পর্ব_৩২
#সুমাইয়া মনি।

সকাল নয়’টার দিকে পড়ার টেবিল ত্যাগ করে আহার সেরে নেয় নবনী। আজকেও ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠেছে।
খাবার খেয়ে ফোন হাতে নিতেই মায়ার বিশটা ফোনকল দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে মায়াকে কল দেয় নবনী। ফোন সাইলেন্ট করার ফলস্বরূপ মায়ার ঝাড়ি খেতে হয়।
তারপর ওদের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ফোন রেখে দেয় মায়া। নবনী যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে। আলমারি থেকে ব্যাগ ফের করে হলুদ রঙের লেহেঙ্গা বের করার সময় সেই ব্লু রঙের লেহেঙ্গাটি নজরে পড়ে। যেটির কথা নবনী প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। ভাবতে বসে যায়। কে দিতে পারে?
একই ভাবনা ভাবতে ভাবতে আদিকে কল দেয়। কিন্তু আদি ফোন পীক করে না। আরো একবার কল দেয়। এবরাও আদি ফোন রিসিভ করে না। ব্যস্ত আছে ভেবে ফোন রেখে দেয় নবনী। লেহেঙ্গাটি সেভাবেই রেখে হলুদ রঙের লেহেঙ্গারিটি ব্যাগে ভরে নেয়। রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ে মায়াদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। মাঝ রাস্তায়, ঠিক একই জায়গায় দেখা হয়ে যায় নিভ্রর সঙ্গে। গাড়ির সঙ্গে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল নিভ্র। নবনীকে খেয়াল করেনি সে। প্রথমে নবনী ধীরে গতিতে হাঁটতে আরম্ভ করলেও, পরমুহূর্তে জোরে জোরে পা চালায়। তবে আজ কেন জানি নিভ্রকে দেখে ওর খারাপ লাগছে না। ক্লেশ গুলো উঁকি দিচ্ছে না। তবে কি অতীত থেকে সে বের হতে পেরেছে?

স্লোন গতিতে এগিয়ে আসতে আসতে সেই দিনের স্মৃতিতে নজর বুলিয়ে আসে। এখন শুধু সেগুলো স্মৃতিই। হোক সেটি খারাপ বা ভালো৷ সেখান থেকে একটি খালি রিকশাকে যেতে দেখে নবনী হাত তুলে ডাক দেয়। রিকশাওয়ালা নবনীর ডাক অনুসরণ করে এগিয়ে আসে। ততক্ষণে নিভ্রও নবনীর আওয়াজ শুনতে পেয়ে ফিরে তাকায়। ফোন কেঁটে দিয়ে এগোতেই নবনী রিকশায় চড়ে বসে। থেমে যায় সে। একবারও না তাকিয়ে রিকশাওয়ালাকে চালাতে বলে নবনী।
নিভ্র কিছুটা হার্ট হয়। এক সময় নজর বন্দী করে রাখতো তাকে, আজ সে নজর এড়িয়ে চলে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাটির দিকে নজর তাক করে নিভ্র।

নবনী মায়াদের বাড়িতে পৌঁছে যায়। ঘরভর্তি মেহমান। সোরগোল পরিবেশে নবনী বিব্রতবোধ করছে। মায়াকে তখন হাতে মেহেদী পরানো হচ্ছিল। নবনীকেও জোর করে মেহেদী পরিয়ে দেয়। খুশি আসে বারোটার দিকে। তিন বান্ধবীর হাতে মেহেদী। মায়ার কাজিনরা নাচছে মায়াকে নিয়ে। ওরা বসে দেখতে। এসব কিছুর উর্ধ্বে নবনী ভাবছে শুধু আদির কথা। এতক্ষণে তো কল দেওয়ার কথা। কিন্তু না কোনো ফোনকল এসেছে, না মেসেজ। টেনশনে দলা পাকিয়ে আছে মন। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে আসে। মায়াকে সাজানো অর্ধেক বাকি। নবনী ও খুশি নিজেরাই সাজছে। মনটা এখনো খুঁতখুঁত করছে আদির জন্য। দুপুরেও কয়েকবার কল দিয়েছিল আদির ফোনে। ফোন রিসিভ করেনি। আজ সারাদিনেও কথা হয়নি। এমন কি কাজ করছে যে একবার কল দেওয়ার সময় হয়নি। ভেবেই অভিমান হয় তার। একটু পর পর ফোন চেক করছে। অপেক্ষার অবসান যেন ঘটছে না কিছুতেই।

-“এই নবনী, আরে আমার পিনটা লাগিয়ে দে..।” খুশি হাঁকিয়ে বলল।

নবনীর ভাবনায় ছেদ পড়ে। খুশির দিকে এগিয়ে পিন লাগিয়ে দেয়। সবার তৈরি হতে প্রায় নয়টা বেজে যায়। আপন গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে অনেক আগেই। বাড়ি থেকে সোজা সেন্টারে আসবে। মায়া, নবনী, খুশি এক গাড়িতে চলে আগেভাগে সেন্টারে চলে আসে। বাকি মেহমান অন্য গাড়িতে করে আসবে। গাড়িতে বসে খুশি মায়া দুষ্টুটি করছে। নবনী চুপ করে আছে। শক্ত করে ফোন চেপে ধরেছে হাতের মুঠোয়। তার মাথায় চলছে আদির কথা। এখানে আসার আগেও কয়েক বার কল দিয়েছে। রুবিনা বানু ও রানী খাতুনকেও কল দিয়েছিল। তারাও ফোন ধরেনি। এতে করে নবনীর মনে ভয়ের আশংকা তীব্র গতিতে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এখন কল দেওয়ার বাকি আছে আজমল উদ্দীন আর আজিম উদ্দীন’কে। সেন্টারে গিয়ে তাদেরও কল দিবে। মিনিট কয়েক পর পৌঁছে যায় সেন্টারে। মায়ার চোখেমুখে খুশির ঝিলিক ফুঠে ওঠে। কমিউনিটি সেন্টারি বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। লাইটিং, ফুলে ভরপুর। এক সঙ্গে তিনজন নেমে পড়ে। ভিডিও ম্যান ও জিনান এসে উপস্থিত হয়। মায়ার সামনে হাত বাড়িতে দেয় জিনান। লজ্জা ভঙ্গিতে হাতে হাত রাখে মায়া। এগিয়ে যায় তারা৷ এমন চমৎকার দৃশ্যটি ক্যামেরায় বন্দী করে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন।

নবনী সবার শেষে ভেতরে যায়। তার চোখ এখন নিভ্রকে খুঁজছে। শ্বশুরকে কল দেওয়ার আগে নিভ্রর সঙ্গে কথা বলা জরুরী বলে মনে করে। হলুদের অনুষ্ঠান কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যায়। প্রথমে জিনান এবং মায়ার বাবা-মায়েরা হলুদ দেওয়ার পর একে একে সবাই হলুদ দেয় ওদের। নবনী, খুশি এক সঙ্গে দেয়। ট্রেজ থেকে নেমে নবনী তখনো নিভ্রকে খুঁজে যাচ্ছে। হৈ চৈ চেঁচামেচি দেখে কোলাহল বিহীন বাহিরের বাগানের দিকটায় আসে। সেখানে এসে দ্বিধাবোধ ফেলে নিভ্রকে কল দেয়। সবে মাত্র সেন্টার প্রবেশ করেছে নিভ্র। এতক্ষণ ডেকোরেশনের লোকদের সঙ্গেই ছিল। কালকের বাসর ঘর সাজানোর ফুলের বিষয়ে আলাপ করছিল। নবনীর কল পেয়ে রীতিমতো চমকে উঠেছে। থেমে গিয়ে বাহিরে এসে ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলার সঙ্গে সঙ্গে নবনীর উৎকন্ঠিত স্বর শুনতে পায়।
-“একটু বাগানে আসুন। কথা আছে আপনার সঙ্গে।” বলেই নিভ্রকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দেয় নবনী।

নিভ্র নবনীর এমন আচরণে আরো চমকে যায়। হঠাৎ করে নবনীর কল দিয়ে ডাকবার বিষয়টি সে বুঝতে পারছে না।
হাজারটা চিন্তাভাবনা করতে করতে বাগানে এসে পৌঁছায়।
বাগানে এসে সে নবনীকে চিন্তিত হয়ে পায়চারী করতে দেখে আরো ঘাবড়ে যায়। দ্রুত জিজ্ঞেস করে,
-“কি হয়েছে নবনীতা। কোনো সমস্যা?”

নিভ্রকে দেখে নবনী ব্যস্ত হয়ে বলে,
-“আদির সঙ্গে কী আপনার কথা হয়েছে আজকে? সেই সকাল থেকে ফোন দিচ্ছি, ফোন ধরছে না। মা, কাকিমাও ফোন ধরছে না। আপনি কী কোনো খবর জানেন ?”

এবার সবটা খোলাসা হয়। কেন নবনী এত চিন্তিত ছিল। আজ ওর মায়ের সঙ্গে কথা হয়নি। তাই সে জানে না এই বিষয়ে। কিছু না বলে সেখানে দাঁড়িয়ে কল দেয় ওর আম্মুকে। নিভ্রর ফোন রিসিভ করে। নবনীর কল ও আদির কথা বলাতে তিনি ওঁকে কিছু বললেন। সেটা শুনে নিভ্র রাখছি বলে কেঁটে দেয় ফোন। নবনী অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করে,
-“কি বলল মা? আদি কোথায় আছে? ঠিক আছে তো? মা ফোন কেন ধরেনি আমার।”

নিভ্র কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে নবনীর দিকে তাকিয়ে রয়। আদির প্রতি ভালোবাসা নবনীর চোখেমুখে বিস্ময়ই বলে দিচ্ছি। নজর সরিয়ে নিয়ে মৃদুস্বরে বলে,
-“আদি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিল, তাই ফোন ধরেনি। মাত্র বাসায় এসেছে। একটু পরে কল দিবে তোমায়।”

বুকের উপর থেকে ভারী পাথরটি যেন সরে যায় নবনী। চোখ বন্ধ করে নীরবে দীর্ঘশ্বাস নেয়। পরপরই ফের জিজ্ঞেস করে,
-“আম্মু, কাকি কেন ফোন ধরেনি আমার?”

-“ভুল করে ফোন রেখে সারা আন্টিদের বাড়িতে গিয়েছিল। মাত্রই ফিরেছে।”

-“ওহ!” পুরো ডাইট ক্লিয়ার হয় নবনীর। সেকেন্ড কয়েক চুপ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রাখে। নিভ্র ততক্ষণে নবনীকে মন ভরে দেখে নেয়। কতোকাল না দেখার অতৃপ্ত ইচ্ছেকে আজ পূরণ করছে। কিন্তু বেশিক্ষণ দেখার সুযোগ হয়না তার। নবনী চোখ তুলে তাকিয়ে বলে ,
-“গেলাম।” বলে দু কদম এগিয়ে যাওয়ার পরপরই নিভ্রর ডাক পড়ে।

-“শোনো নবনীতা।”

থেমে যায় নবনী। ঘুরে নিভ্রর আদলের পানে তাকায়। সপ্রশ্ন সূচক দৃষ্টিতে বলে,
-“বলুন।”

নিভ্র মাথা নত করে ফেলে। নবনী নিভ্রকে একবার পর্যবেক্ষণ করে নেয়। কিছুটা ইতস্তত বোধ করে সে। নিভ্র বুক ভরে নিশ্বাস টেনে নবনীর চোখে চোখ রেখে বলে,
-“অনেক শাস্তি দিয়েছো। এবার মাফ করে দেও আমায়। আমি যে এখন তুমি ছাড়া অসহায়।”

নবনী মুখ খুলে বলে,
-“আপনি শাস্তির কথা কেন বলছেন? আমি তো আপনাকে সেদিন মুখ ফুটে কিছু বলিনি। যা বলার আপনিই বলেছিলেন। আর শাস্তি যদি আপনি পেয়েও থাকেন, তাতে আমার কোনো হাত নেই।”

সরল চোখে নবনীর চোখের দিকে তাকায় নিভ্র। নবনী এতটুকু বলে দৃষ্টি সরিয়ে দিয়েছে। নিভ্র মাথানত রেখেই কণ্ঠ খাদে ফেলে কোমল স্বরে বলে,
-“আমাকে একটি বার সুযোগ দেওয়া যায় নবনীতা?”

নিভ্রর কথায় নবনী যেন ভটকে গেল। চোখেমুখে বিস্ময়। এমন কথা সে নিভ্রর কাছ থেকে আশা করে নি। তাহলে সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে? কিন্তু সময় যে ফুরিয়ে গেছে। মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রয় নবনী। নিভ্র উৎসুক দৃষ্টিতে নবনীর দিকে চেয়ে রয়। পরপরই মৃদু হেসে বলে,
-“আমিও কি বোকা! কি বলে ফেললাম।”

নবনী নিভ্রর চোখে চোখ রেখে বলে,
-“কিভাবে? কিভাবে বললেন আপনি? সেদিন আমার ভালোবাসার কথাটি জেনেও অপমান করে প্রত্যাখ্যান করলেন। অস্বীকার করেছেন তাতে কষ্ট পাইনি, যতোটা কষ্ট পেয়েছি আমার ভালোবাসাকে অপমান করেছেন। আপনি বুঝতে পেয়েছিলেন আমার ভালোবাসা সেদিন কতোটা অপমান হয়েছিল? বুঝতে পেয়েছিলেন, সেদিন আমার কষ্টটা। আজ আল্লাহ আপনাকে ঠিক একই স্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে, যেখানে আমি সেদিন ছিলাম। কিন্তু আমি কক্ষণোই এমনটা চায় নি, আপনি শাস্তি পান।”

নিভ্র তাচ্ছিল্য হাসে। এই হাসিতে লুকিয়ে আসে বিষাদ, যন্ত্রণা! ঠোঁটে হাসি রেখেই বলে,
-“আমাকে কী তবে এখন আর তুমি ভালোবাসো না?”

-“প্রশ্নটা করা বেমানান! আপনি আমার অতীত, আদি আমার বর্তমান, ভবিষ্যৎ। কোনকালে হয়তো পুণ্য করেছিলাম। যার বিনিময় আল্লাহ আদিকে আমার জীবনে পাঠিয়েছে। তার ভালোবাসাকে উপেক্ষা করতে পারিনি। প্রতিনিয়তে আমার ভেতরে ভালোবাসার অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে সে। অতীত আঁকড়ে ধরে বাঁচা বোকামি। অতীত থেকে আমি চরম শিক্ষা নিয়েছি। তবে আমি জানি না, আপনার জন্য মনের কোণে সুপ্ত ভালোবাসা বিদ্যমান আছে কি-না!”

নিভ্র এদিকে সেদিক তাকায়। নবনীর কাছ থেকে চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করছে সে। আজ তার চোখে পানি টলমল করছে। ভালোবাসার মানুষটিকে হারানোর যন্ত্রণা সে বুঝতে পারছে। বহু কষ্টে নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলে,
-“আমি বাড়িতে প্রবেশ করে ফুল গাছের দিকে তাকাতে পারি না। যেই ফুল গাছ গুলো তুমি যত্ন করে পানি দিয়েছিলে, সেগুলো শুঁকিয়ে মরে গেছে। টমি এখন আর অচেনা মানুষদের দেখে চেঁচামেচি করে না। একদম শান্ত হয়ে গেছে ক্যাথিকে হারিয়ে। এখন আর কেউ রোজ সকালে বাড়ির সামনে ফুল রেখে আসে না। কেননা সে এখন আমার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই পাথর বুকে কবে, কখন যে ভালোবাসার ফুল ফুটেছে তোমার অনুপস্থিতিতে জানি না। বিশ্বাস করো নবনীতা, আমি তোমাকে সত্যিই এখন ভালোবাসি।”

-“নিজেকে গুটিয়ে নিন। মেরে ফেলুন! ভালোবাসার শিকড় পোক্ত হবার আগে উগ্রে ফেলুন মন থেকে। আমার প্রতি ভালোবাসা মনে যতো পুষে রাখবেন, তত বেশি কষ্ট পাবেন আপনি।”

নিভ্র মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে চোখের কোণায় জমে থাকা পানিটুকু বুড়ো আঙুল দ্বারা মুছে নেয়। ঠোঁটে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে বলে,
-“মাফ করে দিও আমায়। অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমাকে।”

নবনী ফের নজর সরিয়ে নেয়। মৃদুস্বরে বলে,
-“অতীত সম্পর্কে আপনার ভাইকে কিছু বলবেন না। আমি চাই না এসব জেনে আপনার প্রতি তার সম্মানটা ক্ষয় হোক।”

-“সত্য কখনো চাপা থাকে না নবনী।” আদির গম্ভীর কণ্ঠের স্বর ভেসে আসে পিছন থেকে। ঘুরে তাকায় নিভ্র ও নবনী। উদাস চোখমুখে আদিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তারা। দু’জনে হতবিহ্বল দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তার দিকে। তাহলে কী, না চাইতেও অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আদি সব শুনে ফেলেছে? ঘাবড়ে যায় তারা।
.
.
.
#চলবে?

কার্টেসী ছাড়া কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে