#আমি_তুমিতেই_আসক্ত।
#সুমাইয়া_মনি।
#সূচনা_পর্ব।
১
মাঝ রাস্তায় চলন্ত রিকশা থামিয়ে, সাদা শার্ট পরিধান একটি ছেলেকে কলার ধরে টেনে নামাল নবনী। আকস্মিক ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে রিকশা থেকে নেমে নিভ্রর পাশে এসে দাঁড়াল ওর বন্ধু জিনান। ঘটনায় কিকিংকর্তব্যবিমূঢ় বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়ে যায় কিছু লোকজন। নিভ্র অগ্নিমুখে পাথরের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে। নিভ্রকে অবাক করে দিয়ে নবনী রাগান্বিতস্বরে বলে উঠে,
-“আমার বান্ধবী খুশির জীবনটা নষ্ট করে আরামে রিকশা চড়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমি বেঁচে থাকতে এটা মোটেও হতে দেবো না না না…।”
-“তাহলে আপনি মরে যাচ্ছেন না কেন?” পাশ থেকে জিনান চটপট উত্তর দেয়।
নবনী ও তার বান্ধবী মালা জিনানের কথা শুনে আরো ক্ষেপে যায়। একে তো বিনা কারণে মাঝ রাস্তায় রিকশা থেকে টেনে নামিয়ে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে, তার ওপর জিনানের এমন উদ্ভট কথা শুনে তার দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে নিভ্র। ক্রোধান্বিত দৃষ্টি দেখে জিনান চুপষে যায়। রাগে, অপমানে শরীর জ্বলে যাচ্ছে তার। পাবলিক প্লেসে এমন কাণ্ড ও অপমানসূচক কথা নিভ্রর সহ্য হচ্ছে না। সে আদৌও নবনীকে চিনে বলে মন হয় না। তার উপর আবার খুশির জীবন নষ্ট করার অপরাধ তাঁর গায়ে ঠুকে দেওয়া হচ্ছে। বিরক্তিতে আর সহ্যের সীমা রইল না নিভ্রর। রীতিমতো লোকজন বাঁকা চোখে ওঁদের দেখছে। নিভ্র জিনানের ওপর থেকে নজর সরিয়ে শার্টের কলার ছাড়িয়ে নিয়ে ক্রোধ কন্ঠে বলে,
-“আপনার সাহস তো কম নয় দেখছি। মাঝ রাস্তায় সিনক্রিয়েট করে আবার আবোলতাবোল কথা বলছেন। এই আপনি আমাকে আদৌও চিনেন?”
-“মনে হয় পাগলা গারদ থেকে চুরে করে পালিয়ে এসেছে নিভ্র।” কথাটা বলে জিনান তার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরল। এই একটা বদ অভ্যাস তার। কথার পিঠে কথা না বলে কিছুতেই স্থির হতে পারে না সে। নিভ্র ফের রাগী দৃষ্টিপাত ঘটায় তার দিকে। জিনান তো আগেই মুখে হাত রেখেছিন।নিভ্রর তাকানো দেখে ভয়ে দু কদম পিছিয়ে যায়। নবনী জিনানের দিকে আঙ্গুল তুলে বলে,
-“পাগল তোর নানি। তোকে পরে দেখছি…। কথাটা জিনানের দিকে তাকিয়ে বলে। তারপর নজর নিভ্রর দিকে তাক করে বলে,”আমার সাহসের বিষয়ে পরে আসি। আগে আপনার বিষয়ে বলি। ভালো করে চিনি আমি আপনাকে। আপনি একজন জঘন্যতম লু*চ্চা। এতদিন খুশির সঙ্গে প্রেমলিলা চালিয়ে এখন ওঁকে বিয়ে করবেন না বলছেন। সবে তো কলার ধরেছি, কিছুক্ষণ পর কলার ধরে টেনে সামনের পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাব আপনাকে।”
-“নিয়ে চলুন।” রাগী কন্ঠে উত্তর দেয় নিভ্র।
নবনী কথাটা শুনে ভ্রুকুটি কিঞ্চিত বাঁকিয়ে তাকায়। মালা অবাক নিভ্রর কথা শুনে। জিনান মুখ খুলে কিছু বলতে নিলে নিভ্রর কথা ভেবে বলে না। নবনীকে চুপ থাকতে দেখে নিভ্র তেজি কন্ঠে বলে,
-“কি হলো? নিয়ে চলুন।”
-“আচ্ছা! ” বলেই নবনী দেরি করে না। ফের নিভ্রর কলার ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকে থানায়। নিভ্র নবনীর চেয়ে লম্বা হওয়ায় ঝুঁকে হাঁটছে। জিনান,মায়া তাঁদের পিছু পিছু হাঁটে। আশেপাশে ছোটখাটো ভীড় জড়ো হয়েছিল। এক জাঁক কৌতুহল নিয়ে কিছু লোক তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ পরে তারা থানার ভেতরে প্রবেশ করে। এভাবে নিভ্রকে ধরে নিয়ে আসতে দেখে সেখানে উপস্থিত কনস্টেবল সহ কিছু মানুষও বিস্ময় চোখে তাকিয়ে আছে। কনস্টেবলরা চোর,ছ্যাঁচড় কে এভাবে টেনে নিয়ে আসে। আজ হঠাৎ একটি মেয়ে সুদর্শন যুবকের কলার ধরে এভাবে টেনে নিয়ে আসার ফলে তারা অবাক। একজন কনস্টেবলের টেবিলের সামনে এনে নিভ্রর কলার ছেড়ে দেয়। অপর পাশের চেয়ারে মধ্য বয়স্ক মোটা চশমা পরিধান একজন লোক বসে আছে। তার ডান পাশের ব্যাচে জলিল হাসান লিখাটি দেখা যাচ্ছে। নবনী জলিল হাসানের উদ্দেশ্য করে কাঠ কাঠ কন্ঠে বলে,
-“একে গ্রেফতার করুন পুলিশ আঙ্কেল।”
রীতিমতো আশ্চর্য সে। নিভ্র কিছু বলছে না। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। জলিল হাসান ওঠে দাঁড়িয়ে বলে,
-“কী করেছে সে?”
-“একটি অবলা বাঙালী মুসলমান মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে এই লোকটি।” নিভ্রর দিকে তাকিয়ে বলে নবনী ওঠে।
-“প্রমান?”
-“মায়া ছবি গুলো দিয়েছে খুশি?”
-“দিয়েছো বোধ হয়।” না দেখেই ফোন দিয়ে দেয় নবনীকে।
নবনী হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করে খুশির আইডি থেকে ছবি গুলো দেখেই জলিল হাসানের হাতে ফোন তুলে দিয়ে বলে,
-“আপনি নিজেই দেখে নিন।”
জলিল হাসান ফোনটি হাতে নিয়ে সেন্ড করা ছবি গুলো বেশ মনোযোগ সহকারে দেখে নিভ্রর দিকে তাকায়। তারপর কপাট কন্ঠে বলে ওঠে,
-“ছবিতে থাকা ছেলেটির সঙ্গে এই ছেলেটির চেহারায় কোনো মিল নেই।”
-“জুম করে দেখুন। মিল পাবেন আঙ্কেল।”
-“আমার সঙ্গে মশকরা করছো। তুমি নিজেই দেখো।” জলিল হাসান ক্ষীন কন্ঠে বলেন।
নবনী ফোনটি তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়। ছবি গুলোর দিকে নজর বুলিয়ে নিভ্রর দিকে কপাল কুঁচকে তাকায়। এ যে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হবার অবস্থা হয়েছে। তার বলা কথাটিই সত্য প্রমানিত হলো। ছবিতে থাকা ছেলেটির সঙ্গে তার কোনো মিল খুঁজে পেল না নবনী। সঠিক মানুষকে রেখে, ভুল করে অচেনা যুবকের কলার ধরে টেনে নিয়ে এসেছে থানায়। মারাত্মক কেলেংকারী করে ফেলেছে। ভয় গলা শুঁকিয়ে আসছে তার। ভিতু চোখে জলিল হাসানের দিকে তাকিয়ে আলতা আমতা করে বলে,
-“আসলে আঙ্কেল আমাদেরই মিস্টেক হয়েছে। আমরা ভুল করে নোমানের জাগায় তাকে নিয়ে এসেছি।”
জলিল হাসান চরম বিরক্ত বোধ করছেন নবনীর কথায়। রাগী কন্ঠে ঝাড়লেন,
-“বেয়াদব মেয়ে। জানো তুমি কী অন্যায় করেছো।”
নবনী,মায়া দৃষ্টি নত করে রাখে। আহত স্বরে বলে,
-“মাফ করবেন আঙ্কেল।”
-“আমার কাছে নয়,এ,সি,পি নিভ্র স্যারের কাছে ক্ষমা চাও।” হাতের ইশারায় নিভ্রকে দেখিয়ে বললেন।
নবনী ও মায়ার হতবাক, চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম। চোখেমুখে বিস্ময়। ভয়তে নবনী ঘাড় ঘুরাতে পারছে না। যেন গেঁড়ি লক হয়ে গেছে।
-“নিভ্র স্যার আমাদের খানার নতুন ওসি। আজ স্যারের প্রথম দিন ছিল। তোমদের শরম হওয়া দরকার..। ”
নিভ্র হাত জাগিয়ে থামিয়ে দেয় জলিল হাসানকে। দৃষ্টি নত রেখে নবনী, মায়া তার কথা শুনছিলেন। অনুশোচনায় ভুগছে নবনী। নিভ্র দু কদম সামনে এগিয়ে নবনীর দিকে একবার তাকিয়ে জলিল হাসানের উদ্দেশ্যে গম্ভীর কণ্ঠে শুধালো,
-“ওদের আমার কেবিনে পাঠিয়ে দিন।” বলেই চলে যায় নিভ্র তার কেবিনে। তার পিছু পিছু জিনানও হেঁটে যায়।
জলিল হাসান বসে ক্ষিপ্ত কন্ঠে বললেন,
-“এভাবে চোরের মতো দাঁড়িয়ে না থেকে, ভেতরে যাও। যা করার তো করেই ফেলেছো। উঁফ! স্যার মনে হয় ভীষণ ক্ষেপে আছেন।” লাস্টের টুকু বিড়বিড় করে বললেন।
দৃষ্টি নত রেখেই ধীরে পায়ে হেঁটে কেবিনের সামনে এসে দাঁড়াল নবনী, মায়া। ভেতরে যাবে কি-না,পালিয়ে যাবে ভেবে দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যায়। সকাল সকাল এমনটা না হলেও পারতো। মায়া নিচুস্বরে নবনীকে বলে,
-“তখন আমার কথা শুনলে, এমনটা হতো না। বলেছিলাম তাড়াহুড়ো করিস না। ছবি দেখে তবেই এ্যাকশন নিবি। তা নয়! খুশির কথা শুনে সাদা শার্ট পড়া ছেলেটির কলার ধরলি। শেষে হলো কি? পড়ে গেলাম পুলিশের জ্বামেলায়।”
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাঁধিয়ে মুখ থমথমে করে দাঁড়িয়ে আছে নবনী। মস্তিষ্ক আঁচল। এই মুহূর্তে নিজেকে গুলি করে ঠুস করে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে তার। না না মাটির ভেতরে ঢুকে যেতে ইচ্ছে করছে। তবে হয়তো এমন পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পেত। এমন স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মায়া নবনীর বাহুতে গুঁতো দিয়ে বলে,
-“যাবি নাকি এভাবেই দাঁড়িয়েই থাকবি?”
হুঁশ ফিরে আসে নবনীর। এতক্ষণ নিজেকে কী কী করতে ইচ্ছে করছিল তার লিস্ট বানিয়ে ফেলেছিল সে। মায়ার গুঁতোয় চৈতন্য ফিরে পায়। ফ্যালফ্যাল নয়নে তাকিয়ে আদুরে কন্ঠে বলে,
-“যদি রেগে গুলি করে দেয়, তখন?”
মায়া ভড়কে যায়। বলে,
-“তেমন কিছু করবে না। আগে ভেতরে গিয়ে দেখি চল।”
ভেতরে যাওয়ার ইচ্ছে নেই নবনীর। মায়া ঠেলেঠুলে নবনীকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। জিনান পাশের সোফায় বসে ছিল। ওদেরকে দেখে দাঁত কেলিয়ে বলে ওঠে,
-“লো,আসামিরা চলে এসেছে। ”
জিনানের কথা শুনেও কোনো উত্তর দিচ্ছেনা তারা। মায়ার হাত ধরে রেখেছে নবনী। কিছুটা কাঁপছে তার হাত-পা। দৃষ্টি নিচু রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ায় তারা। নিভ্র ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। ওদের দু’জনকে দেখে চেয়ারে হেলান দিয়ে নজর তাক করে ফোন আঙ্গুলের বাজে ঘুরাতে ঘুরাতে গুরুগম্ভীর কন্ঠে বলে,
-“কী চুরি করেছো তোমরা?”
তাঁর সঙ্গে অন্যায় করেছে জানে। কিন্তু কিছু চুরি করেছে বলে মনে পড়ছে না তাঁদের। তবে কেন চুরির কথা টানছে। নবনীর উত্তর দিতে না ইচ্ছে করলেও, অতি কষ্টে মৃদু স্বরে উত্তর দেয়,
-“কিছু চুরি করেনি আমরা।”
চোখেমুখে কৃত্রিম গাম্ভীর্য এনে বললেন,
-“তাহলে চোরদের মতো মাথা নিচু করে রেখেছো কেন?”
কাঁপা স্বরে নবনী উত্তর দেয়,
-“অন্যায় করেছি আপনার সঙ্গে,তাই..”
নিভ্র এবার মাত্রাতিরিক্ত বিরক্ত হলো। ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলে,
-“স্বীকারই যখন করছো,তখন স্যরি কেন বলছো না?”
নবনী,মায়া এক সঙ্গে বলে ওঠে,
-“স্যরি স্যার।”
নিভ্র ফোন টেবিলের ওপর রেখে ঝুঁকে বলে,
-“এবার বলো, আমাকে আগন্তুক মনে করার কারণ?”
নবনী দৃষ্টি নত রেখে শান্ত কন্ঠ বলে,
-“খুশি বলেছিল নোমান সাদা শার্ট পড়ে রিকশা দিকে সেই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছে। আপনি ব্যতীত আর কেউ সেখানে সাদা শার্ট পড়েনি। তাই….”
-“তাই এমন বোকার মতো কাজ করলে। জানো তোমার জন্য আমার কতটা সম্মানহানি হয়েছে,কতটা অপমান হয়েছি আমি।” কাঠিন্য কন্ঠে বলে নিভ্র।
-“দুঃখিত! স্যার। এমন ভুল আর হবে না।” নিচুস্বরে বলে নবনী।
-“যাও এখান থেকে।” তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে নিভ্র।
নবনী,মায়া চলে যাওয়া ধরলে নিভ্র পিছনে ডেকে বলে,
-“দাঁড়াও,নোমান নামের ছেলেটির নাম,ঠিকানা,ছবি দিয়ে যাও।”
মায়া ফোনটি টেবিলের ওপর রাখে। হোয়াটসঅ্যাপে আগে থেকেই খুশি নোমানের সব কিছু দিয়ে রেখেছিল। নিভ্র জলিল হাসানকে ল্যান্ড লাইনে কল দিয়ে ডেকে আনে। তাকে ফোন থেকে নোমানের সব ডিটেইলস নোট করতে বলে৷
নোট করা হলে থানা থেকে বেরিয়ে আসে নবনী ও মায়া। খুশির ওপর ভীষন রাগ চড়ে তাঁদের। যা ধারণার বাহিরে।
কুমিল্লা থেকে ঢাকায় পোস্টিং হয় নিভ্রর। নিজ বাড়ি তাঁর কুমিল্লা। ঢাকায় তাঁদের ছোট একটি ফ্ল্যাট আছে। অনেক আগে কিনেছিলেন নিভ্রর বাবা। সরকারি কোয়ার্টারে থাকার ইচ্ছে নেই বিধায় নিজ ফ্ল্যাটে থাকার ব্যবস্থা করে সে। এখানে সে একাই থাকবে। জয়েন ডেট আজই ছিল। আজ সবার সঙ্গে পরিচয় হবে ভেবে ইউনিফর্ম ছাড়াই গাড়ি নিয়ে বের হয়। এটাই তার মারাত্মক ভুল ছিল। মাঝপথে গাড়ি নষ্ট হওয়ায় তার বন্ধ জিনানকে ফোন দিয়ে আসতে বলে। ঢাকায় তার পরিচিত বলতে জিনানই ছিল। তার প্রিয় বন্ধু। এতদিনে না দেখাসাক্ষাৎ হওয়ায় গল্পগুজব করতে করতে রিকশায় চড়ে যাচ্ছিল থানায়। বিপত্তি তখন ঘটে যখন মাঝ রাস্তায় আসে। বলা নেই, কওয়া নেই রিকশা থামিয়ে কলার ধরে টেনে নামান হয় তাকে। ভুল প্রলাপ ঘটে যায় তার সঙ্গে। হয়তো তার নিয়তিই এমন ছিল।
জিনানের ডাকে ভাবনার গহীন থেকে বেরিয়ে আসে নিভ্র। তারা চলে যাওয়ার পর সকালের ঘটনায় পরিক্রমণ করে এলো।
-“দোস্ত! কিছু বললি না যে মেয়েটিকে?”
নিভ্র চেয়ারে হেলান দিয়ে মৃদু হেসে উত্তর দেয়,
-“ভুল করা মানুষদের, ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিতে হয়। ধমকাধমকি, গালাগাল দিয়ে ভুল ধরিয়ে দেওয়াকে আমি সমর্থন করি না।”
-“তার মানে তারা ভুল করেছে। ভুলে তোর শার্টের কলার এসে খামচে ধরেছে।”
-“ইয়াহ!”
-“তোর জায়গায় আমি হলে। কানের নিচে খরম খরম বনরুটি দিতাম। তারপর আল্লাহর নাম নিয়ে গালাগালি শুরু।”
-“রঙ্গ! আল্লাহর নাম নিয়ে দোয়া চাওয়া যায়,কাজ শুরু করা যায় প্রভৃতি। কিন্তু গালিগালাজ দেওয়া যায় না। এমন জঘন্য কথা ফের বলবি না।”
-“স্যরি! দোস্ত।”
-“স্যরি শব্দটি ছোট্ট হলেও ভূমিকা অপরিসীম। তাই তো আমি তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি।”
-“তোর যুক্তিযুক্ত কথা আমার শুনতে খুব ভালো লাগে।”
-“ধন্যবাদ!”
-“এবার চল। আজ তোকে পার্টি দেবো আমি। যা খেতে চাইবি তাই খাওয়াবো। ”
-“কেন নয়! লেট’স গো।”
.
.
.
#চলবে?…