আমিরাহ্ পর্ব-১৭+১৮

0
788

#আমিরাহ্

১৭,

সন্ধ্যায় খাবারের জন্য ডাক পড়লেও আমিরাহ্ খেতে গেল না। তার কিছুই ভালো লাগছে না। এক ভুলের মাশুল তাকে দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আহমাদকে ভালো না বাসলে আজকে তার বিয়ে বা বয়ষ্ক স্বামী নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকত না। খুশি খুশি আর দশটা আরব মেয়ের মতো সেও বিয়ে করে সংসার-সন্তানে ভুলে থাকতে পারত। নিজের মা-বাবার, পরিবারের উপরেও হয়তো তখন এতটা অভিমান হতো না। তার মতো আরও কত মেয়েই তো তার চেয়েও খারাপ বিয়ে নিয়ে খুশিতে জীবন পার করে দিচ্ছে। অথচ সে এখনও নিজের সংসারে আশ্রিতার মতো জীবন কাটাচ্ছে। তার ভবিষ্যত কী হবে তা পুরোপুরি অনিশ্চিত।

তাই বলে আয়শার জীবনটাকে সে অনিশ্চিত হতে দেবে না। আমিরাহ্ যখন আহমাদকে পছন্দ করতে শুরু করেছিল তখন সালমা যদি পালে বাতাস না দিত, তাহলে হয়তো বিষয়টা এতদূর যেতই না। কিন্তু আমিরাহ্ সালমার মতো শুধু নিজের খাওয়া-পরা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারবে না। সময় থাকতেই আয়শাকে রক্ষা করতে হবে।

এসব ভাবতে ভাবতেই আয়শা হাসিমুখে রুমে প্রবেশ করল।

– কী ব্যাপার ছোটো উম্মী, খেতে গেলে না যে?

– এমনিতেই ভালো লাগছে না।

– ওহ্, বাবা তোমার জন্য এই ফল, কেক, শর্মা আর হালিব ( দুধ) পাঠিয়েছে। বলেছে রাতে ক্ষুধা লাগলে খেয়ে নিতে। আর কাল ফজরের নামাজ পড়েই কিন্তু আমরা মদিনা রওয়ানা হব। তাই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছে।

আমিরাহ্ খেয়াল করে দেখল আয়শা খুশিতে ঝলমল করছে। এই খুশির কারণ কী সে আমিরাহ্ খুব ভালো করেই জানে। তবুও জিজ্ঞেস করল,

– তোমাকে যে এত খুশি লাগছে। সবাই আমরা ক্লান্ত। অথচ তোমার চোখে-মুখে ক্লান্তির কোনো চিহ্ন নেই। কারণ কী?

– কারণ আবার কী হবে? ঘুরতে এসেছি, খুশি হব না?

– উহু, এর আগেও তো আমরা কত ছোটোখাটো ঘোরাঘুরি করেছি। তোমাকে এভাবে আনন্দিত হতে তো দেখিনি। আর তাছাড়া তুমি না ভ্রমণে সহজেই ক্লান্ত হয়ে যাও?

– হুম হই তো। এবার হচ্ছি না। সেটা কি ভালো না?

– ক্লান্ত হচ্ছ না না কী নতুন আবেগে ক্লান্তি টের পাচ্ছ না?

– মানে, তুমি কী বলতে চাচ্ছ?

আমিরাহ্ হাত ধরে আয়শাকে ওর পাশে বসাল।

দেখ আয়শা, আমি তোমাদের পরিবারে এসেছি খুব বেশি দিন হয়নি। আমি বয়সেও তোমার চেয়ে খুব বেশি বড়ো নই। কিন্তু আমরা প্রায় সমবয়সী। তাই এই বয়সে মনের অলিগলিতে কী ঘটে তা আমিও জানি। আর তাই হয়তো একমাত্র আমিই বুঝতে পারছি যে তোমার মনের গলিতে বিশেষ কারও আগমন ঘটেছে।

আমিরাহ্ র কথা শুনে আয়শা লাল হয়ে গেল, কিছুটা লাজে, কিছুটা ভয়ে। আমিরাহ্ বলে চলল।

– তুমি তো জানো আমাদের সমাজে গায়ের মাহরাম নারী-পুরুষের নিকাহ্ ছাড়া অন্য কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক গ্রহণযোগ্য না। আমার ঘটনাটাও তো তোমার অজানা না। যা কিছু ঘটে যাক নিকাহ্ হবে পরিবারের পছন্দেই। আর কেউ যদি নিজে থেকে কিছু করতে যায় তার মৃত্যু নিশ্চিত। সেইসাথে পরিবারের উপরে যে বদনাম ছড়িয়ে পড়বে তা তো আর কোনোদিন মুছে ফেলা যাবে না। তাহলে জেনে-বুঝে তুমি কেন এ পথে পা বাড়ালে?

আমিরাহ্ র কথায় আয়শা এবার কেঁদে ফেলল।

– ছোটো উম্মী, মানসিং এর সাথে আমার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। অস্বীকার করব না, ও কে আমার ভালো লাগে। সেও সম্ভবত আমাকে পছন্দ করে। আমাকে দেখলেই হা করে তাকিয়ে থাকে। একবার আমি নেকাব ছাড়া তার সামনে পড়ে গিয়েছিলাম, তখন থেকেই সে এমন করছে। মাঝে মাঝে আমার জন্য আমার পছন্দের এটা-সেটা খাবার নিয়ে আসে। সরাসরি আমাকে না দিলেও আমি বুঝি ওগুলো সে আমার জন্যই নিয়ে আসে। আমি ফুল ভালোবাসি দেখে সে সুযোগ পেলেই বুনোফুল এনে বসার ঘরে রেখে যায়। এসব ছোটো ছোটো যত্নগুলো আমার ভালো লাগে ছোটো উম্মী।

আমিরাহ্ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। এখনকার এসব ছোটোছোটো ভালোলাগাকেই একসময় জীবনের অভিশাপ বলে মনে হবে। সে শক্ত কন্ঠে আয়শাকে বোঝানোর সিদ্ধান্ত নিল।

– দেখ, আয়শা। জীবন এসব আবেগে চলবে না। তুমি বোঝ না এটা অসম্ভব? একে তো সে পরদেশী তার উপর অন্য ধর্মের ছেলে। তোমাকে হয়তো অন্য কোথাও জোর করে নিকাহ্ দিয়ে পার করে দেবে। কিন্তু এই ঘটনা জানাজানি হলে মানসিং এর গর্দান যাবে। তুমি যদি তাকে সত্যিই পছন্দ করো তাহলে এখন থেকে নিজেকে সংযত করো। আমি তোমার বাবার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলব।

– না, না, দয়া করে বাবাকে জানাবে না। বাবা আমাদের দুজনকে মেরেই ফেলবে।

– তুমি নিশ্চিন্ত থাক। আমি তাকে বুঝিয়ে বলব। তোমাদের কারোই এখানে কোনো দোষ নেই। দুজনেই বয়সের পরিপ্রেক্ষিতে এ পথে পা বাড়িয়েছ। তবে এটাকে আর বাড়তে দিও না। তুমি নিজের মনকে সামলাও। বাকিটা আমি সামলাচ্ছি। মানসিং এর কোনো ক্ষতি হবে না নিশ্চিত থাক।

রাত গভীর হলো। আয়শা আমিরাহ্কে জড়িয়ে ধরে শিশুর মতো ঘুমাচ্ছে। ও কে দেখে আমিরাহ্ র মায়া লাগছে। কিন্তু আমিরাহ্ নিজে যা করছে বা করবে বলে ভেবেছে তা নিয়ে তার নিজের মনে কোনো দ্বিধা নেই। কচি লতানো গাছকে ছেড়ে দিতে হয়, স্বাধীনভাবে বাড়তেও দিতে হয়। কিন্তু যদি তা নর্দমায় নামতে যায় তখন তাকে সেখান থেকে সরিয়ে তার মুখ ঘুরিয়ে দিতে হয়। এটাই নিয়ম। ভুল পথে যাওয়ার পথেই যদি পথ বদলে দেওয়া যায় তাহলে ভুল করার আর সুযোগই হয় না।

সামনে কিভাবে বিষয়টা সামলাবে তা ভাবতে ভাবতে আমিরাহ্ নিজেও ঘুমিয়ে পড়ল।

চলবে…

#আমিরাহ্

১৮,

অফিসঘরে দ্বিতীয়বারের মতো প্রবেশ করল আমিরাহ্। আজকেও সেই প্রথমদিনের মতোই আব্বাস আল আবাদি পুদিনা চা খাচ্ছেন আর কাজ করছেন। আমিরাহ্ একটু কাশির শব্দ করল।

– আমিরাহ্, এসো, এসো।

– আপনি আমাকে ডেকেছেন?

– হ্যা, কিভাবে যে তোমার শুকরিয়া আদায় করব ভেবে পাচ্ছি না। তুমি যদি বিষয়টা সময়মতো লক্ষ্য না করতে তাহলে আমাদের এতদিনের সম্মান সেই সাথে আয়শার জীবন দুটোই নষ্ট হতো। তোমার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

আমিরাহ্ একটু মুচকি হাসল।

– আসলে তখন যা উচিত মনে হয়েছে তাই করেছি। আর তাছাড়া আয়শা তো আমারও কাছের মানুষ। ও কে আমি খুবই পছন্দ করি। ওর জীবনে খারাপ কিছু ঘটুক তা আমি কখনোই চাই না। আপনাকেও শুকরিয়া জানাই যে আপনি আমার অনুরোধ রেখেছেন। আয়শাকে কোনো মারধোর বা বকাবকি করেননি। আবার মানসিং কেও পুলিশে সোপর্দ না করেই ব্যাপারটা মীমাংসা করেছেন।

আব্বাস আল আবাদি হাসলেন।

– হুম, তোমার কথাগুলো আমার খুব ভালো লেগেছিল। তুমি ঠিকই বলেছিলে। ওসব করলেই বিষয়টা লোক জানাজানি হতো। তাতে আয়শার এবং আমাদের পরিবারের দুর্নাম হতো। এই বয়সেই তুমি যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছ সাধারণত মেয়েদের মধ্যে এটা দেখা যায় না। আমার মেয়েগুলিকেই দেখ। আয়শার নাহয় বয়স কম। বাকী দুইজন তো তোমার চেয়েও অনেক বড়ো। তবুও কোনো দায়িত্ববোধ নেই। গাড়িতে তো ওরাও ছিল, রুকাইয়া ছিল, বড়ো বেগমও ছিল। বড়োর নাহয় বয়স হয়েছে আর রুকাইয়া তার শিশু সন্তান নিয়েই ব্যস্ত ছিল মানলাম। কিন্তু আমিনা, আছিয়ার চোখেও তো বিষয়টা ধরা পড়েনি। আসলে ওরা তো নিজের বাচ্চাই সামলে রাখতে পারে না, আয়শার দিকে আর কী খেয়াল রাখবে।

আমিরাহ্ ভাবল প্রসঙ্গ বদলানো দরকার। পিছনে কারও দুর্নাম করতে তার ভালো লাগে না। তাই সে বলল,

– মানসিং কে বিষয়টা কিভাবে বোঝালেন ? রিয়াল পেয়ে সে এত সহজেই মেনে নিল?

আব্বাস একটু তাচ্ছিল্যের সাথে হাসলেন,

– ওরা দরিদ্র পরিবারের ছেলে। পেটের দায়ে আমাদের কাজ করতে আসে। ওদের কাছে প্রেম- ভালোবাসার চেয়েও অর্থের মূল্য বেশি। মানসিংকে এমন পরিমাণ অর্থ দিয়ে দেশে পাঠিয়েছি যে সে দেশেই কিছু করে খেতে পারবে। অন্যের গোলামি করতে হবে না।

– তবে বিষয়টাতে আয়শা খুব কষ্ট পেয়েছে। মানসিং যে ওর ভালোবাসাকে অর্থের বিনিময়ে বদলে নেবে তা সে ভাবতেও পারেনি। তবে এতে একটা উপকার হয়েছে। এখন তার পক্ষে মানসিংকে ভুলতে পারা সহজ হবে। হয়তো পুরোপুরি ভুলতে পারবে না। তবে তাকে না পাওয়ার কষ্টটা কম হবে।

– হুম, আমি ভাবছি ওর নিকাহ্ করিয়ে দেব। হাতে বেশ ভালো একটা ছেলে আছে। আয়শাকে ওর পরিবার বেশ পছন্দ ও করে। একইসাথে ভাবছি আহমাদের নিকাহ্টাও সেরে ফেলব।

আমিরাহ্ একটু কেঁপে উঠল এবং নিজেই অবাক হলো। সে ভেবেছিল আহমাদের প্রতি ওর আর কোনও অনুভূতি অবশিষ্ট নেই। এখন বুঝল কাউকে ভুলতে পারা আসলে এতটাও সহজ নয়। কিছু না বলেই চোখে প্রশ্ন নিয়ে আব্বাসের দিকে তাকাল। আব্বাস বলতে থাকলেন।

– আহমাদের নিকাহ্ অনেক বছর আগেই আমার এক বন্ধুর মেয়ের সাথে পাকা হয়ে আছে। আরও আগেই ওর নিকাহ্ সেরে ফেলতাম। মাঝখানে আমাদের নিকাহের ঝামেলায় বিষয়টা অনেক পিছিয়ে গেছে। ভাবছি আর দেরি করা ঠিক হবে না।

– আহমাদ জানে এসব কথা?
না চাইলেও আমিরাহ্ প্রশ্নটা করেই ফেলল।

– না, আহমাদ জেনেছে এই কিছুদিন আগেই। মক্কা যাওয়ার আগে ওকে জানিয়েছি।

– ওহ্, আর কিছু বলবেন? না আমি এখন চলে যাব?

আমিরাহ্ এখান থেকে পালাতে পারলে বেঁচে যায়।

– আরেকটা কথা বলার জন্যই তোমাকে ডেকেছি। তুমি আমরিকি ( আমেরিকা) গিয়েছ কখনও?

– নাহ্, এই তায়েফ শহরের বাইরে শুধু মক্কাই গিয়েছিলাম। আর এবার সাথে মদিনাও ঘুরে আসলাম। আমরিকি তো অনেক দূরের দেশ। হঠাৎ এ প্রশ্ন?

– তুমি হয়তো জানো না, আমরিকিতেও আমার ব্যাবসা আছে। ওদের দেশে আমরা তেল আর স্বর্ণ রপ্তানি করি। সেদেশে আমার দুইটা পাঁচতারা হোটেল, তিনটা রেস্টুরেন্ট আছে। আমার বিশ্বস্ত এক কর্মী সব দেখাশোনা করে। আমি বছরে একবার যেয়ে হিসাবপত্র বুঝে আসি। নানা ঝামেলায় অনেকদিন যাওয়া হচ্ছে না। ভাবছি আহমাদ আর আয়শার নিকাহ ভালোয় ভালোয় সম্পন্ন হলে একবার যাব। তুমি কী যেতে চাও আমার সাথে?

আমিরাহ্ বেশ অবাক হলো। সবাইকে বাদ দিয়ে তাকে সাথে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন আব্বাস!

– আমি যাব?

– হ্যা চাইলে যেতে পার। আসলে আমি চাই তুমি চলো।

– বড়ো আর মেজ উখতি গিয়েছিল কখনও?

–অনেকবার বলেছি, কিন্তু তাদের কোনো আগ্রহ নাই। আর তাছাড়া যতদিনে আমি ওখানটা গুছিয়ে নিয়েছি ততদিনে তারা তাদের সংসারে জড়িয়ে গিয়েছিল। তাই হয়তো যাওয়ার আগ্রহ পায় নাই।

– আমি যেতে চাইব কেন ভাবলেন? আমার সত্যিকারের কোনো সংসার নেই বলে?

আব্বাসকে দেখে মনে হলো তিনি আহত হয়েছেন।

– আমি তোমাকে জোর করব না আমিরাহ্। তুমি জানো আমি তোমাকে ওদের থেকে আলাদা মনে করি। আমার মনে হয়েছে তোমার কাছে আমরিকির মুক্ত- স্বাধীন জীবন ভালো লাগবে। তোমাকে দেখলে আমার মনে হয় তুমি এক মুক্ত পাখি যাকে আমি খাঁচায় পুরে রেখেছি। যাইহোক, আমি হয়তো ভুল ভেবেছি। তোমার কোথাও যেতে হবে না।

– আপনার মনে কষ্ট দিয়েছি বলে আমি দুঃখিত। আমি অবশ্যই আপনার সাথে যাব। এটা তো আমার সৌভাগ্য। আমরিকি আমার স্বপ্নের দেশ। আসলে আমার নিজের মনটাই একটু অস্থির, সেটাই আপনার উপর প্রকাশ করে ফেলেছি

–আচ্ছা, আমি তোমার কাগজপত্র তৈরি করছি। তুমি এখন যাও, বিশ্রাম করো।

আব্বাস আমিরাকে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে যেতে দেখতে লাগলেন। আহমাদের নিকাহ্ আমিরাহ্কে যেভাবে নাড়া দিয়েছে সেটা তার বিচক্ষণ চোখে ঠিকই ধরা পড়েছে। নিকাহের পরদিন সকালে আহমাদ আর আমিরাহ্ এর পুরো কথোপকথন তিনি নিজের কানেই শুনেছিলেন। তখন নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে ভঙ্গুর মানুষ বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু যে ভুল তিনি করে ফেলেছিলেন তা শোধরানোর আর কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। যতবার আমিরাহ্ র দুঃখী মুখ দেখেন ততবার নিজেকে অপরাধী মনে হয়। কিন্তু তিনি কী ভুলেও ভেবেছিলেন যে আহমাদ কোনোভাবে আমিরাহ্কে পছন্দ করতে পারে? তাদের কোনোদিন দেখা হয়েছিল কিনা তাও তো তিনি জানতেন না।

তিনি জানেন পুরো ঘটনায় একমাত্র ভোগান্তি আমিরাহ্ র ই হচ্ছে। আহমাদ তো ঠিকই একদিন নিকাহ করবে। সন্তান-সংসারে নিজেকে জড়িয়ে আমিরাহ্ কে আর হয়তো মনেও পড়বে না। তিনি নিজে পুরুষ হয়ে বোঝেন পুরুষের মনে ভালোবাসা কোনো দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলে না। তবে নারীর মনে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। তিনি মনে-প্রাণে আমিরাহ্ এর জন্য কিছু করতে চান। তাই আমিরাহ্কে নিয়ে আমেরিকা যেতে চান। পরদেশে গিয়েও যদি মেয়েটার জীবনে ভালো কিছু ঘটে তো ঘটুক। তার যেটুকু করার করবেন, বাকীটা ভাগ্যের হাতে।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে