আমার_প্রতিশোধ পার্ট: ২৫/অন্তিম পর্ব

1
4348

আমার_প্রতিশোধ

পার্ট: ২৫/অন্তিম পর্ব

লেখিকা: সুলতানা তমা

এয়ারপোর্ট পৌঁছে চারদিকে ছুটাছুটি করছি তাসিনকে পাচ্ছি না তাহলে কি তাসিন চলে গেলো কিন্তু আমি তো তাড়াতাড়ি আসছি আরো আধা ঘন্টা বাকি আছে, আরে ওই তো তাসিন অবনীর সাথে বসে হেসে হেসে কথা বলছে, এতোক্ষণ তো অনুশোচনায় ভোগছিলাম কি করে তাসিনের সামনে যাবো এইটা ভেবে এখন তো রাগ হচ্ছে আমি তো না জেনে ভুল করেছি কিন্তু তাসিন জেনেশুনে অন্যায় করছে আজ ওর খবর আছে বউ রেখে অন্য মেয়েকে ভালোবাসা ছাড়াচ্ছি
আমি: তাসিন (আমার চিৎকার শুনে তাসিন অবনী দুজন হকচকিয়ে উঠলো)
তাসিন: অরনী তুমি এয়ারপোর্টে আর এভাবে চিৎকার করছ কেন এইটা বাসা না এয়ারপোর্ট
আমি: (ঠাস)
তাসিন: কি হলো থাপ্পড় মারলে কেন
আমি: আমি কি তোমার অরনী নাকি আমি তো তোমার অন্নি উল্টাপাল্টা নাম ধরে ডাকো কেন
তাসিন: সরি ভুল হয়ে গেছে
আমি: (ঠাস)
তাসিন: কি হলো আবার মারলে কেন
আমি: বউকে কি কেউ সরি বলে
তাসিন: তাই তো
আমি: তুমি এখানে কেন কোথায় যাচ্ছ
তাসিন: কোথাও না তো
আমি: মিথ্যে বল কেন তুমি লন্ডন যাচ্ছ না
তাসিন: লন্ডন আমি যাবো কে বলল
আমি: ভাবি যে বললো
তাসিন: ওহ হ্যাঁ যাবো তো
আমি: (ঠাস)
তাসিন: আবার মারলে কেন
আমি: বউ বাচ্চা রেখে লন্ডন যাওয়ার চিন্তা করেছ তাই
তাসিন: বাচ্চা মানে
আমি: মোবাইল তো সুইচড অফ করে রেখেছ তিথি কতোবার ট্রাই করলো জানানোর জন্য, তুমি বাবা হইবা
তাসিন: সত্যি
অবনী: হুররেরেরেরেরে আমি খালামনি হবো
তাসিন আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না আর অবনী এতো বড় মেয়ে হয়ে এয়ারপোর্টে নাচানাচি করছে আর হাত তালি দিচ্ছে বুঝলাম না এই মেয়ে এতো খুশি হলো কেন ওর তো কষ্ট পাওয়ার কথা

তাসিন আমাকে টেনে ওর পাশের চেয়ারে বসালো তারপর আমার সামনে হাটু গেড়ে বসে আমার হাত দুটু ওর হাতের মুঠোয় নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো
তাসিন: অন্নি আমি সত্যি বাবা হবো
আমি: না না তুমি মিথ্যে বাবা হইবা কিন্তু কাঁদছ কেন তুমি
তাসিন: খুশিতে
অবনী: আপু বেবিটা দেখতে ঠিক আমার মতো হবে অবশ্য আমরা দুবোন তো একরমই
আমি: দুবোন মানে
অবনী: ভাইয়া মাফ করো আর অভিনয় করতে পারবো না
আমি: কিসের অভিনয়
অবনী: আপু সব বলবো আগে তোমাকে একটু জরিয়ে ধরতে দাও আর তোমার থেকে দূরে থাকতে চাই না (অবনী আমাকে জরিয়ে ধরে কাঁদছে আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না)
অবনী: জানো আপু আমি সবসময় তোমার কাছে আসতে চেয়েছি তোমাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে চেয়েছি কিন্তু ভাইয়া তোমার কাছে আসতেই দেয়নি
আমি: কেন
তাসিন: অবনী অন্নিকে সব বলে দাও
অবনী: আপু আমি তোমার সেই খুনি চাচ্চুর হতভাগি মেয়ে অবনী (অবনী কাঁদছে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম কি বলে এসব)
আমি: চাচ্চুর মেয়ে কিন্তু….
অবনী: আপু আমি জানি কি বলবে আমি ছোটবেলায় মারা গেছিলাম তাই তো
আমি: হ্যাঁ চাচ্চু তো এটাই বলেছিল
অবনী: আসলে আপু তোমাকে বলা হইছে আমি মারা গেছি আর আমাকে বলা হইছে তুমি মারা গেছ
আমি: কিন্তু তুই এতোদিন কোথায় ছিলি
অবনী: লন্ডন খালামনির কাছে
আমি: আমি যে বেঁচে আছি জানলি কিভাবে
অবনী: আমি এসবের কিছুই জানতাম না চাচ্চু যখন খুন হন তখন তো আমি খুব ছোট, যখন একটু বুঝতে শিখেছি তখন আব্বুর কাছে তোমার কথা জানতে চাইতাম আমাকে বলেছিল চাচ্চু চাঁচিআম্মুর সাথে তুমিও খুন হয়েছ, জানো আপু আব্বু আমাকে কখনো বাংলাদেশে আনতো না হয়তো তোমার আমার পরিচয় হয়ে যাবে এই ভয়ে, কিন্তু সেদিন খালামনি আর আম্মু ফোনে কথা বলছিল আর আমি শুনে পেলি পরে খালামনি আমাকে সব বলেন আর এইটাও বলেন তুমি বেঁচে আছ আম্মু তোমাকে খুন করানোর চেষ্টা করছে আমি যেন বাংলাদেশে এসে তোমাকে বাঁচাই
আমি: কিন্তু তাসিন….
অবনী: বলছি শুনো, আমি বাংলাদেশে আসি তোমাকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে কিন্তু আব্বু সন্দেহ করলে তো আমাকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করবে না কারন লোভ আব্বু আম্মুকে অন্ধ করে দিয়েছে তাই আমি আব্বু আম্মুর সাথে অভিনয় করি
আমি: চাচ্চুর সাথে অভিনয়
অবনী: হ্যাঁ আমি আব্বু আম্মুকে বলি আমিও তোমার সব সম্পত্তি চাই প্রয়োজন হলে তোমাকে খুন করবো এই কথা বলার পর আব্বু আম্মু আমাকে বিশ্বাস করে
আমি: কিন্তু তাসিনের সাথে পরিচয় হলো কিভাবে
অবনী: আব্বু যা বলতো তুমি সবকিছু করতে না তাই আব্বু সন্দেহ করেছিল যে তুমি ভাইয়া কে ভালোবেসে ফেলেছ তাই আমাকে বলেন আমি যেন ভাইয়ার সাথে প্রেমের অভিনয় করি যাতে করে তুমি ভাইয়াকে ভুল বুঝে ডিভোর্স দিয়ে দাও
আমি: এজন্য তুই তাসিনের সাথে অভিনয় করেছিস
অবনী: না আব্বু জানতো আমি আব্বুর কথা মতো অভিনয় করছি কিন্তু আমি তো অভিনয় করেছিলাম ভাইয়া আর শিলা আপুর কথায়
আমি: মানে
অবনী: আপু একটা মেয়ে সব সহ্য করতে পারে কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষের পাশে অন্য কোনো মেয়েকে কখনোই সহ্য করতে পারে না তাই আমাদের এই প্ল্যান
আমি: তাই বলে এতো অভিনয়
তাসিন: আমিই করিয়েছি এছাড়া কোনো উপায় ছিল না তুমি তো আমাকে ভালোই বাসতে না
অবনী: আমি তোমার খুঁজে প্রথম যেদিন এই কলেজে আসি সেদিন ভাইয়ার সাথে দেখা হয় ভাইয়ার কাছে শুনি তুমি ভাইয়া কে ভালোবাস না উল্টো ভাইয়ার আব্বুকে খুনি ভাবো কিন্তু আসল খুনি তো আমার আব্বু তাই তোমার ভুল ভাঙ্গাতে চাই কিন্তু ভাইয়া না করে বলে প্রমান ছাড়া তোমাকে বিশ্বাস করানো যাবে না
আমি: সব বুঝলাম কিন্তু কক্সবাজার তুই কান্না করছিলি কেন
অবনী: তুমি না সত্যি বোকা আমি কই কান্না করছিলাম সব তো অভিনয় ছিল
আমি: কি যে বলিস সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে
অবনী: কলেজের মাঠে ভাইয়াকে কান ধরানোর জন্য তোমাকে অনেক বকা দিছিলাম এসব অভিনয় ছিল আর কক্সবাজার তুমি শাড়ি পরে সেঝেছিলে ভাইয়ার সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কিন্তু আমি যেতে দেইনি কেন দেইনি জানো
আমি: কেন
অবনী: কারন আব্বু আমাকে বলেছিল তোমার খাবারে বিষ দিতে আমি না করেছিলাম তাই আব্বু তোমাকে মারার জন্য অন্য লোক ভাড়া করেছিল আমি সেটা বুঝতে পেরে ভাইয়াকে বলেছিলাম তাই তোমাকে হোটেল থেকে বেরুতে দেইনি
আমি: কিন্তু সন্ধ্যায় তো শিলার সাথে….
তাসিন: সেটা আমার ইচ্ছাতেই শিলা তোমাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল সারাদিন তো রুমে বসে কান্না করেছিলে তাই
আমি: আমি মোটেও কান্না করিনি
তাসিন: ম্যাম তোমার রুমে সিসি ক্যামেরা ছিল তুমি কখন কি করতে আমি বাইরে বসে দেখতাম
আমি: কি
তাসিন: অবাক হওয়ার কিছু নেই তোমার চাচ্চুর বাসায়ও তোমার রুমে সিসি ক্যামেরা ছিল আমি সবসময় তোমাকে দেখতাম এমনকি তোমাদের বাসার চারপাশে আমার অনেক লোক সমসময় পাহারা দিত
আমি: আর আমি বুঝতেও পারিনি
অবনী: তুমি যা বোকা মেয়ে আবার এসব প্যাঁচ বুঝবা হিহিহি
আমি: আচ্ছা তাসিন তুমি আমাকে ভালোবেসে থাকলে অবনীকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে গেছিলা কেন
তাসিন: কোথায় ঘুরতে গেলাম আমি তো আমাদের কম্পানির একটা কাজে গিয়েছিলাম, তোমাকে ঢাকায় রেখে গেলে বিপদ হতে পারে তাই তোমাকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম, তুমি আমার সাথে যেতে রাজি হতে না তাই অবনী আর শিলা কে সাথে নেই এতে লাভ হয়েছে তিনটা আমার কাজ হলো, তুমি যে আমাকে ভালোবাস এইটাও বুঝতে পেরেছ সাথে আমাদের পুঁছকে বাচ্চা ফ্রি
আমি: কিন্তু ডাবের কাহিনী
তাসিন: এইটা তোমার বোনের দোষ আমার না
আমি: মানে
অবনী: আপু আসলে সেদিন আমি হোটেলের বাইরে হাটছিলাম তখন আব্বুর দুজন লোক তোমাকে মারার প্ল্যান করে আমি ওদের পিছু নিয়ে সাগরপারে যাই সেখানে তোমরাও ছিলে, লোক দুইটা তোমাদের ডাবের ভিতরে বিষ দিয়ে চলে যায় আমি তাড়াতাড়ি এই ডাব পাল্টাতে গিয়ে এক মাতালের কাছ থেকে ডাব নিয়ে আসি তখন জানতাম না লোকটা যে মাতাল আর ডাবের ভিতরে মদ ভরে রেখেছে পরে তোমার মাথা ঘুরানো দেখে লোকটাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করাতে হেসে হেসে বলে ডাবের ভিতরে মদ ছিল আপু আমার কোনো দোষ নেই
তাসিন: আরে শালিকা তোমার দোষ হবে কেন ভালো কাজই তো করেছ এই ডাবের উচিলায় তো হিহিহি…..
আমি: কিন্তু সেদিন সকালে ফোন
অবনী: এইটা ভাইয়ার দোষ আমাকে সেদিন সকালে ফোন করে বলেছিল তোমাকে যেন এসব বলি, আমি বার বার নিষেধ করার পরও আমাকে জোর করে তাই বাধ্য হয়ে….
আমি: তাসিন
তাসিন: রাগ করে না বউ আসলে আমি ভেবেছিলাম অবনী এসব বললে তুমি রেগে আমাকে ভালোবাসি বলবা কিন্তু করলা উল্টোটা আমাকে ছেড়ে চলে আসলা
আমি: তুমি আমাকে ভালোবাস
তাসিন: বিশ্বাস হয় না নাকি
আমি: তাহলে এই দুই মাস আমার সাথে যোগাযোগ করনি কেন আজকে সকালে আমার জ্ঞান ফিরেছে শুনেও হসপিটালে যাওনি কেন
তাসিন: কে বললো দুই মাস যোগাযোগ রাখিনি হ্যাঁ কথা হয়নি কিন্তু তোমার সব খুঁজ রেখেছি তোমার বিপদ হতে পারে তাই বাসার পাশে লোক রেখেছি সবসময় আর সকালে হসপিটালে যেতে পারিনি অবনীকে এয়ারপোর্ট নিয়ে আসার জন্য, তুমিই বলো যে আমাদের জন্য এতোকিছু করলো তাকে বিপদের মধ্যে একা এয়ারপোর্টে আসতে দেই কিভাবে
আমি: অবনী এতো বছর পর দুবোনের দেখা হলো আর তুই চলে যাচ্ছিস
অবনী: আপু আগামীকাল থেকে আমার পরিক্ষা আজকে যেতে হবেই এয়ারপোর্ট আসার পর শুনেছি তোমার জ্ঞান ফিরেছে দেখা করতে হসপিটালে গেলে আমার ফ্লাইট মিসস হয়ে যাবে আর আমি তো পরিক্ষা দিয়েই তোমার কাছে চলে আসবো
আমি: ঠিক আছে
অবনী: আপু দোষ তো আমার মা বাবা করেছে আমি তো এসব জানতাম না প্লিজ আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়ো না আমার আপন বলতে তো এখন শুধু তুমিই আছ
আমি: দুর পাগলী কে বললো আমি তোকে দূরে সরিয়ে দিবো আমারো তো আপন বলতে তুই শুধু আছিস
তাসিন: অবনী সময় হয়ে গেছে চলো
অবনী: হুম যাচ্ছি
অবনী চলে যাচ্ছে যতক্ষণ ওকে দেখা গেলো তাকিয়ে রইলাম চোখ দুইটা ভিজে যাচ্ছে এতো বছর পরে বোনটা কে পেলাম কিন্তু কাছে রাখতে পারলাম না
তাসিন: এই পাগলী কাঁদছ কেন ও তো পরিক্ষা দিয়েই তোমার কাছে ফিরে আসবে
–হুম
–চলো তো একটু কাজ আছে
–কি কাজ
তাসিন আমাকে টেনে গাড়িতে নিয়ে বসালো, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কে জানে

তাসিন ড্রাইভ করছে আমি ওর কাধে মাথা রেখে বসে আছি
–অন্নি জানো কাল আমি কতোটা ভয় পাইছিলাম
–কেন
–যখন দেখছিলাম তোমার চাঁচি তোমার দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছে আর তুমি যন্ত্রণায় চটপট করছিলে তখন তো ইচ্ছে হচ্ছিল নিজেই নিজেকে আগাত করি
–আচ্ছা তুমি এতো তাড়াতাড়ি চাচ্চুর বাসায়….
–আসলে গতকাল সব প্রমান আমাদের হাতে চলে আসার পরই আমি আব্বু আর অবনী কে নিয়ে তোমাদের বাসার দিকে রওনা দেই, বাসা থেকে কিছু দূরে ছিলাম তখন দেখি তুমি বিষের যন্ত্রণায় চটপট করছ তারপর তাড়াতাড়ি গিয়ে তোমাকে হসপিটালে নিয়ে যাই
–যদি আমার কিছু হয়ে যেতো
–আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কিছু হলে আমিও….
–চুপ
–অন্নি তুমি একটু বস আমি আসছি
–কোথায় যাচ্ছ

তাসিন আমাকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে একটা ফুলের দোকানে গিয়ে ঢুকলো, কিছুক্ষণ পর অনেক ফুল নিয়ে এসে গাড়িতে উঠলো
–এসব কি
–ফুল
–তাতো বুঝলাম কিন্তু ফুল দিয়ে কি করবা
–বাসর রাতেই তো ফ্লোরে ঘুমাতে দিছিলা তাই আজ নতুন করে বাসর করবো আর তোমার বুকে ঘুমাবো
–তুমি না খুব ফাজিল
তাসিনকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে ওর কাধে মাথা রেখে বসে আছি, যদি চাচ্চু এমন না করতো তাহলে হয়তো তাসিনকে অনেক আগেই ভালোবাসতাম আমাদের মাঝে এতোটা দূরত্ব সৃষ্টি হতো না, আমাদের মাঝে থাকতো শুধু ভালোবাসা, অভিমান আর খুনসুটি

ঘরির কাটায় রাত এগারোটা বাজে আমি তিথির রুমে বসে আছি তাসিন আমাকে রুমে যেতেই দিচ্ছে না কি যে করে তাসিনই ভালো জানে, একটু পর তাসিন এসে আমার চোখ বেঁধে রুমে নিয়ে আসলো, চোখের বাঁধন খুলে দিতেই তো আমি অবাক রুমটা কতো সুন্দর করে সাঝানো খাটে সব ফুল দিয়ে সাঝানো আর ফ্লোরে মোমবাতি, তাসিনের দিকে অবাক হয়ে তাকালাম ও আস্তে আস্তে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো তারপর আমাকে কোলে তুলে নিল, আমার কাছে যেন সব স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে

তাসিন আমাকে কোলে করে এনে বিছানায় শুয়ে দিল তারপর হাসতে হাসতে বললো
–যদি সত্যি অবনীকে ভালোবেসে লন্ডন চলে যেতাম (লাফ দিয়ে উঠে ওকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলাম ওর বুকে কিল ঘুষি দিয়ে যাচ্ছি)
–লন্ডন যাওয়ার খুব সখ তাই না
–না না এইটা তো ভাবি তোমাকে মিথ্যে বলেছিল এতো সুন্দর বউ রেখে কি আমি লন্ডন গিয়ে থাকতে পারবো
তাসিন আমার হাত ধরে টান দিয়ে ওর বুকে আমাকে শুয়ে দিল তারপর কপালে মায়া দিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললো “আজ নিজেকে হারাতে চাই তোমার মাঝে”??

#Happy_Ending?

(এভাবেই বেঁচে থাকুক সবার ভালোবাসা গুলো?
পুরো গল্পটি কাল্পনিক ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে