আমার প্রেয়সী পর্ব-২২ এবং শেষ পর্ব

0
6

#আমার_প্রেয়সী
#পর্ব_অন্তিম পর্ব
#জান্নাত_সুলতানা

আষাঢ় দুই হাত ভর্তি মেহেদী নিয়ে বসে আছে রুমে।আজ তাসফিয়ার গায়ে হলুদ। আগে মেহদী তারপর হলুদ। আষাঢ়’র গায়ে সবুজ শাড়ী লাল টকটকে ব্লাউজ। ফুলের গহনা গায়ে দারুণ লাগছে মেয়ে টাকে দেখতে। আর্শিয়ান আস্তে করে দরজা বন্ধ করে। হাতে তার খাবার প্লেট। আর্শিয়ান কে দেখে আষাঢ় বলে উঠলো,

-“কখন থেকে বসে আছি।
হলুদ এর অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে তো।”

আর্শিয়ান কোনো কথা বলে না। তাকায় না মেয়ে টার মুখের দিকে। আষাঢ়’র ডান পাশে সোফায় বসে। মুখের সামনে খাবার ধরে বলে,

-“বারো টা বাজে খাবার খেয়েছ।সারাদিন কিছু খাও নি।এখন রাত আটটা বাজে।হলুদ এর অনুষ্ঠান শুরু হলে আর খাবেও না আমি ভালো করে জানি।”

আষাঢ় বিনাবাক্যে খাবার মুখে নেয়।সত্যি বলতে পেটে ওর ক্ষুধা সেই দুপুর থেকে। কিন্তু খাবার খাওয়ার সময় বা সুযোগ কোনো টাই হয় নি।আর্শিয়ান খাবার সব টা খাওয়াল আষাঢ় কে।খাবার শেষ আর্শিয়ান ওর মুখ মুছিয়ে দিতে দিতে বলে উঠলো,

-“বেশি তিড়িংবিড়িং করবে না আষাঢ় মাস।
আমি ডাকলে সাথে সাথে রুমে আসবে।”

পরপরই আষাঢ় থুঁতনিতে চুমু খায়।আষাঢ় চোখ বন্ধ করে নেয়।আর্শিয়ান মেয়ে টার মুখের দিকে তাকিয়ে ধৈর্য হারা হয়।বউয়ের লাল টকটকে অধর জোড়ার দিকে তাকিয়ে সে মাতাল হয়।তৎক্ষনাৎ আর দেরী করে না। নিজের অধর জোড়া দিয়ে মেয়ে টার অধর চেপে ধরে। আষাঢ় নিজের হাতে মেহেদী থাকায় কিছু করতেও পারে না। চুপচাপ চোখ বন্ধ করে থাকে।আর্শিয়ান সময় নিয়ে নিজের রাজত্ব চালালো বউয়ের অধরে।অতঃপর ছেড়ে দিয়ে সেকেন্ড সময় চুপ করে থাকে।আষাঢ় তখন জোরে জোরে শ্বাস নিতে ব্যাস্ত।আর্শিয়ান বললো,

-“এখন যাও।”

আষাঢ় বেরিয়ে এলো।আর্শিয়ান তপ্ত শ্বাস ফেলে নিজেও পেছন পেছন বেরিয়ে এলো।

——–

মোহনার শরীর টা ভালো না।খাবার টা ঠিকঠাক খেতে পারে না। কোনো কিছুর গন্ধ সহ্য করতে পারে না। নাসির যখন অফিস যাওয়ার সময় গায়ে পারফিউম মাখে। মেয়ে টা তখন হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়।নাসির’র এতে মনঃক্ষুণ্ন হয়।ভেবেছিল হয়তো পারফিউম এর গন্ধ টা মোহনার পছন্দ নয়।তাই তো কাল পারফিউম চেঞ্জ করেছে। কিন্তু এতেও কোনো লাভ হয় নি।মোহনা আগের মতোই দূরে দূরে থাকে।কিন্তু আজ মেহেদী লাগাতে গিয়ে দৌড়ে চলে এলো রুমে। নাসির পেছন পেছন এসে দেখলো মোহনা ওয়াশ রুমে গিয়ে বেসিনে গড়গড় করে বমি করছে। চোখে মুখে পানি দিয়ে রুমে বিছানায় নিয়ে এলো।আপাতত মোহনা চুপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে।
নাসির মোহনার একটা হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিতেই মোহনা চোখ মেলে তাকালো।
হাসার চেষ্টা করে বলে উঠলো,

-“যদি আমাদের একটা রাজকুমার আসে। তাহলে আপনি কি রাগ করবেন?”

নাসির বাকহারা। মেয়ে টা কি বলে?নাসরি এর কথা টা বুঝতে কিঞ্চিৎ পরিমাণ সময় লাগলো।বুঝতে পেরে মোহনা কে ঝাপটে জড়িয়ে ধরলো ।বিছানা থেকে অনেক টা উপরে তুলে জড়িয়ে রাখলো কত সময় কাটলো মোহনার বুঝতে পারলো না। তবে কাঁধে তরল কিছুর স্পর্শ পেতেই চমকে উঠলো। ত্বরিত নিজে কে ছাড়িয়ে নিলো।নাসির ততক্ষণে নিজের চোখের জল মুছে নিতে ব্যাস্ত হলো।মোহনা কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
মোহনা বসে রইলো। এভাবে চলে গেলো কেনো? খুশি হয় নি মানুষ টা?মোহনা আকাশপাতাল ভাবতে যখন ব্যাস্ত তক্ষুণি রুমে হুড়মুড়িয়ে কেউ প্রবেশ করলো। মোহনা চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলো শর্মিলা বেগম। ওনার পেছন পেছন বাড়ির সবাই এলো। মূহুর্তের মাঝে রুমে মানুষ দিয়ে ভরে গেলো।শর্মিলা বেগম এসেই বলে উঠলো, ,

-“নাসির বলল,,,

-“হ্যাঁ বড়ো আপা।”

মোহনা লাজুক হেঁসে মাথা নেড়ে জবাব দিলো। অনেক্ক্ষণ সবাই মোহনার সাথে বসে রইলো। আষাঢ় তো কাছ থেকে নড়ছেই না।তায়েফ তায়ুশ প্রথমে কিছু বুঝতে পারছিলো না।কিন্তু যখন তাসফিয়া ওদের বললো ওদের আরেকটা ভাই আসছে তক্ষুণি দু’জন খুশিতে লাফালাফি করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো।সবাই কে জানাতে হবে তো।হঠাৎ বাইরে থেকে নাসির এর ডাক এলো শিউলি বেগম বেরিয়ে গেলো। এর একটু পর শিউলি বেগম অনেক গুলো মিষ্টি নিয়ে এলো বুয়া ট্রে রেখে চলে যেতেই সবাই কে মিষ্টি দিলো হাফসা বেগম আর শিউলি বেগম মিলে।বাহিরে পুরুষদের দিলো।বাড়িতে সবাই খুশি।মোহনা কে আয়াত ধরে ধরে হলুদের অনুষ্ঠানে নিলো।একটা চেয়ারে বসিয়ে নিজেও বসে রইলো।

——-

-“আমরা কেনো বউ সাজিতেছি আপু?”

আষাঢ়’র প্রশ্ন করে আয়াত কে।আয়াত হাতের চুড়ি ঠিকঠাক করতে করতে জবাব দেয়,

-“আমিও জানি না।
চুপ চাপ দেখতে থাক।”

আষাঢ় আর কিছু বলে না।চুপ করে বসে থাকে।আজ সকাল থেকে একবারও আর্শিয়ান এর দেখা পায় নি আষাঢ়। ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরী হয়ে ছিলো।গতকাল অনেক রাত করে ঘুমিয়ে ছিলো সেইজন্য। মেহদী হলুদের অনুষ্ঠান সব শেষ করতে করতে তো রাত দুই টার মতো বেজে ছিলো।
সময় গড়ালো তাসফিয়া কে নিয়ে যাওয়া হলো বিয়ের জন্য। বিয়ে হলো।কিছু সময় পর আয়াত আষাঢ় কে নিতে এলো দু’জন মেয়ে। আষাঢ়’র বুক ধুকপুক করছে। নিচে যেতেই আষাঢ় থমকে গেলো। আর্শিয়ান সাদা পাঞ্জাবি পড়েছে। তামাটে বর্ণের পুরুষ টার গায়ে কি দারুণ মানিয়েছে পাঞ্জাবি টা।আষাঢ় মুগ্ধ হলো।তবে আশে-পাশে মানুষ ওর দিকে তাকিয়ে আছে তাই বেশি সময় ওইদিকে তাকিয়ে থাকতে পারলো না। দৃষ্টি সরিয়ে নিলো।তাসফিয়া কে তাসরিফ কে একসাথে বসানো হয়েছে সাঈদ আয়াত কে এক সাথে বসে আছে। আষাঢ় পিটপিট করে যখন এসব পর্যবেক্ষণ করছিলো তক্ষুণি নিজের পাশে কারোর অস্তিত্ব টের পেলো।ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকিয়ে থমকে রইলো।চোখ ফিরানো দায় হলো।মানুষ টাকে হাজার বছর ধরে দেখলেও আষাঢ়’র তৃষ্ণা মিটবে না।এই পুরুষ টা ওর একান্তই ব্যক্তিগত। ভাবলেই প্রশান্তি আসে মনে।
আর্শিয়ান সামনে তাকিয়ে গম্ভীর মুখে ঠোঁট জোড়ায় অল্প হাসির রেখে টেনে হাত নাড়ছে তো কখনো বা দুই ঠোঁট নেড়ে কথা বলছে। আবার ফটো তুলছে অনেকে।
আর্শিয়ান মুখে অল্প হাসির ঝলক রেখেই সামনে তাকিয়ে থেকে আষাঢ় কে উদ্দেশ্য করে বললো,

-“এখন যত ইচ্ছে জ্বালিয়ে নেয়।আমার টা রাতের জন্য তোলা রইলো।”

আষাঢ় ঝটপট ঘাড় সোজা করে বসলো।মনে মনে ভাবলো আর্শিয়ান ভাই কি করে বুঝতে পারলো আষাঢ় আর্শিয়ান এর দিকে তাকিয়ে আছে?আষাঢ় উত্তর খোঁজে পায় না। তিন জোরা কাঁপল একটা স্টেজে বসে আছে সব গুলো পারফেক্ট কাঁপল। ভালো মনের মানুষ দেখলে মন ভালো হবে আর যাদের অন্যের ভালো সহ্য হয় না তাদের জ্বলবে।
কতশত ফটো ক্যামেরা বন্দী করা হলো আষাঢ় জানে না।পরিবার পরিজন এর সাথে কত মূহুর্ত ক্যামেরার মধ্যে স্মৃতি হয়ে সেখানে গেঁথে গেলো।
সবাই এলো দো’আ করলো উপহার দিলো।আস্তে আস্তে সময় গড়ালো।আষাঢ়, আয়াত, তাসফিয়া কে নিয়ে যাওয়া হলো।বিয়ের ভারী ভারী সাজ ছাড়িয়ে নরমাল শাড়ী পড়ানো হলো।আষাঢ় নিজের রুমে এসে শান্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। সেই কুট্টি কাল থেকে স্বপ্ন দেখে এসছিলো ধুমধাম করে ওর বিয়ে হবে সবাই আসবে বাড়ি সুন্দর করে সাজানো হবে।আজ সে-সব ইচ্ছে পূর্ণ হলো।তারজন্য তো তালুকদার সাহেব কে একটা ধন্যবাদ দেওয়া যায়। কিন্তু এখন আর্শিয়ান ভাই এর রুমে যেতে বারণ করেছে সবাই তাই নিজের রুমে বসে রইলো।

——

রাত সাড়ে ন’টার দিকে তাসফিয়ার জন্য খাবার হাতে তাসরিফ রুমে এলো।তাসফিয়া তখন ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে এলো।গায়ে পাতলা একটা শাড়ী। হাতে একটা কমলা রঙের টাওয়াল।তাসরিফ বউ কে একপলক দেখে নিজে গিয়ে বিছানায় বসলো।
তাসফিয়া কে ডেকে বললো,

-“খাবার খেতে এসো।”

তাসফিয়া টাওয়াল কেদারার গায়ে জড়িয়ে এসে তাসরিফ এর মুখোমুখি বসে। জিগ্যেস করলো,

-“আপনি খেয়েছেন?”

-“প্লিজ বইন তুই আপনি বলিস না।আগের মতো তুমি বল।নয়তো কেমন পর পর একটা অনুভূতি হয়।কি লাভ প্রেম করে চাচাতো বোন বিয়ে করে যদি বাসর রাতে আপনি ডাকে আমার সব অনুভূতির বারোটা বাজিয়ে দিস?”

তাসফিয়া শব্দ করে হাসলো।তাসরিফ ধমক দিতেই হাসি থামালো।তাও সম্পূর্ণ নয়।খাবার শেষ করে তাসরিফ প্লেট টেবিলের উপর রাখলো।নিজে হাত ধুয়ে এসে গায়ের শার্ট খুলতে খুলতে তাসফিয়ার দিকে এগিয়ে এলো।তাসফিয়া কিছু টা ঘাবড়ে গিয়ে পিছিয়ে যেতে যেতে জিগ্যেস করলো,

-“আপনি সরি সরি তুমি খাবার খেলে না যে?”

-“হ্যাঁ এখন খাবো।”

তাসফিয়া আর কিছু বলার আগেই তাসরিফ বিছানায় চলে এলো।তাসফিয়া বিষয় টা বুঝতে পেরে চোখ বন্ধ করে শুধু বললো,

-“প্লিজ লাইট অফ করুন।”

তাসরিফ বউয়ের লজ্জা রাঙা মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেই দিশেহারা হলো।বেডের পাশে দেওয়ালে সুইচ টিপে লাইট অফ করলো।পুরো রুম জুড়ে অন্ধকারে ছেয়ে গেলো।শুধু দু’টো মানব-মানবীর রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে ভারী নিঃশ্বাস এর শব্দ এই চার দেওয়ালের মাঝে সীমাবদ্ধ রইলো।

——

সাঈদ আয়াত এর মুখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আয়াত অনেক্ক্ষণ যাবত বসে আছে এভাবে। মেঝেতে কতক্ষণ বসে থাকা যায় এভাবে?
তাই বিরক্তিতে বসা ছেড়ে ওঠে দাঁড়াল। ব্যালকনি থেকে রুমে চলে এলো।সাঈদ এর টনক নড়তেই দৌড়ে রুমে এলো।এসেই প্রশ্ন করলো,

-“এই বউ এভাবে চলে এলে কেনো?
আমি দেখছিলাম তোমায়!”

-“আপনি বসে থাকুন গিয়ে ওখানে।
আমার ঘুম পাচ্ছে।”

আয়াত সাঈদ এর দিকে বিরক্তিকর চাহনি নিক্ষেপ করে বললো।আয়াত বিছানায় বসতেই সাঈদ ধুপধাপ পা ফেলে লাইট অফ করে ড্রিম লাইট অন করে ফিরে এসে দুষ্ট হেঁসে বলে উঠলো,

-“তা তো হচ্ছে না বউপাখি।
এতো সুন্দর একটা রাত তুমি ঘুমিয়ে পাড় করবে? আমি যে এতো সুন্দর করে সব সাজালাম তার কি হবে?”

-“কিচ্ছু হবে না।
চলুন দূরে যান।একদম কাছে আস,,,

সাঈদ পুরো কথা শুনে না।তার আগেই বউয়ের অধর চেপে ধরে। অনেক্ক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে বলে উঠলো,

-‘এতো ঢং করার কি প্রয়োজন ছিলো?বলতে পারতে তোমার আদর চাই।”

-“অসভ্য কথা।”

-“সত্যি কথা।”

আয়াত লজ্জায় মুখ লুকালো সাঈদ এর বুকে সাঈদ শব্দ করে হেঁসে বলে উঠলো,

-“এভাবে আমার বুকে লেপটে থেকো সারাজীবন আমার প্রেয়সী।”

——

আষাঢ় রুমে এসে আরো একদফা অবাক হলো।হা করে চারদিকে ঘুরে-ঘুরে দেখতে লাগলো।এটা আর্শিয়ান ভাই এর রুম বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। বেলি ফুল গোলাপ ফুল দিয়ে বিছানা ফুলের রাজ্যে বানিয়ে ফেলেছে আষাঢ়’র মনে হলো।রুমে চারপাশে সুগন্ধিযুক্ত হরেকরকমের ক্যান্ডেল ঘরটাকে দারুণ সুন্দর লাগছে। অদ্ভুত সেই সৌন্দর্যে আষাঢ় এতো টাই বিভোর যে রুমে আরো একজন মানুষ এসছে উপস্থিতি টের পেতে একটু সময় লাগলো।তবে চিরপরিচিত মানুষ টার উপস্থিতি পেয়ে সে সব ভুলে আর্শিয়ান এর কাছে ছুটে এলো।আর্শিয়ান এর গলা জড়িয়ে ধরে উৎফুল্লতা নিয়ে বলে উঠলো,

-“ধন্যবাদ তালুকদার সাহেব।”

আর্শিয়ান আষাঢ়’র কোমড়ে দুই হাত রেখে শুন্যে তুলে নিলো ওকে।কপালে কপাল ঠেকিয় শান্ত কণ্ঠে বললো,

-“শুধু ধন্যবাদে হবে না।”

-“আর কি চাই আপনার?”

আষাঢ় ভ্রু কুঁচকে জিগ্যেস করলো। আর্শিয়ান ওকে নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে জানালো,

-“তুমি লেখা পড়া করবে অনেক বড়ো হবে। আর আপাতত আমার অত্যাচার সহ্য করবে।”

আষাঢ় আর্শিয়ান এর বুকে নাক ঘষে। লাজুক হেঁসে জানান দিলো,

-“আমি প্রস্তুত।”

~সমাপ্ত~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে