আমার পূর্ণতা পর্ব-২৭

0
868

#আমার_পূর্ণতা
#রেদশী_ইসলাম
পর্বঃ ২৭

তাফসিরের খাওয়া আগে হয়ে যেতেই সে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো। ঘরের দিকে যেতে যেতে প্রাচুর্যের উদ্দেশ্যে বললো—

” অপেক্ষা করছি আমার ঘরে। পাঁচ মিনিটে খাওয়া শেষ করে আসবি। ”

ব্যাস প্রাচুর্যের খাওয়া থেমে গেলো। প্রাচুর্য তাফসিরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বললো—ওই চলে এসেছেন হুকুম দিতে। এখন উঠতে বসতে হুকুম শুনতে হবে আমার।

প্রাচুর্য হাত ধুয়ে তাফসিরের ঘরের দিকে গেলো। ভাবলো কিছু হয় তো বলবে। আর প্রাচুর্যের ও তো কিছু প্রশ্ন আছে। সেগুলোর উত্তর ও তো শুনতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতে তাফসিরের ঘরের সামনে আসলো। ঘরের দরজা আটকানো না শুধু চাপিয়ে দেওয়া। প্রাচুর্য তবুও দরজায় খটখট শব্দ করে জিজ্ঞেস করলো—

” তাফসির ভাই ভেতরে আসবো? ”

ভেতর থেকে কোনো উত্তর আসলো না। সেকেন্ডের ব্যবধানে তাফসির প্রাচুর্যের হাত টেনে ভেতরে নিয়ে আসলো। দরজা বন্ধ করতে করতে বললো—

” আমার রুমে আসতে তোর অনুমতির প্রয়োজন নেই। আর এতো জোরে জোরে কথা বলে তুই বাড়ির লোককে শোনাতে চাইস যে এখন স্বামীর রুমে রোমান্স করতে এসেছিস?”

প্রাচুর্য চোখ বড় বড় করে বললো—
” কিসব বলছেন? আমি তো এসেছি আপনি ডেকেছেন তাই। আর আমারও কিছু কথা ছিলো। সেখানে রোমান্স আসলো কথা থেকে?”

তাফসির প্রাচুর্যকে ইশারায় বিছানার উপর বসতে বললো। প্রাচুর্য বিছানায় বসতে বসতে তাফসির বলে উঠলো—
” তুই তো গাধা। অতো সতো বুঝবি না। ”

” ভালো হয়েছে আমি গাধা। আপনি তো বেশি চালাক তাতেই হবে। আর শোনেন নি অতি চালাকের গলায় দ ড়ি।”

প্রাচুর্যের কথার জবাব দিলো না তাফসির। পকেট থেকে ফোন বের করে চার্জে বসিয়ে ফিরে এলো বিছানায়। কোনো কথা নেই বার্তা নেই হুট করে প্রাচুর্যের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। সাথে সাথে প্রাচুর্য চমকিয়ে উঠলো। লাফিয়ে সরে যেতে চাইলো কিন্তু সরতে পারলো না কারন তার আগেই তাফসির দু’হাত দিয়ে কোমড় আঁকড়ে ধরেছে প্রাচুর্যের। প্রাচুর্যের নড়াচড়া দেখে তাফসির ধমকে উঠে বললো—

” চিংড়ি মাছের মতো এতো নড়াচড়া করছিস কেনো? আর একবার নড়াচড়া করলে বাসর রাত এখনই সেরে ফেলবো। ”

তাফসিরের ধমকে শান্ত হয়ে গেলো প্রাচুর্য। করুন কন্ঠে বললো—

” ওই পাশে এতো জায়গা থাকতে আপনি এখানে কেনো শুয়েছেন তাফসির ভাই? আমার অস্বস্তি হচ্ছে তো। ”

” অস্বস্তি হলেও কিছু করার নেই৷ আমি এখান থেকে উঠছি না। প্লিজ ডিস্টার্ব করিস না। আমি কয়েকদিন যাবত ঠিকঠাক ঘুমায় নি। আজকে একটু জাস্ট শান্তি মতো ঘুমাতে চাই। ”

” বাড়িতে সবাই আছে তাফসির ভাই। কেউ যদি আমাকে খুঁজে বা জানে আমি আপনার রুমে তাহলে কেলেঙ্কারি হবে। ”

তাফসির কন্ঠে বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো—
” উফফ চুপ করবি তুই? সবাই জানে তুই এখন আমার রুমে। শুধু শুধু কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করিস না তো। ঘুৃম পাচ্ছে আমার। ”

প্রাচুর্য বলার মতো আর কিছু খুঁজে পেলো না। কাঁদো কাঁদো মুখে বসে থাকলো। এমনকি এটাও বলতে পারলো না যে তার নিজের ও ঘুম আসছে। আজকে অনেক তাড়াতাড়িই ঘুম ভেঙেছে তার। ফজরের আজান ও দেই নি তখন। তারপর ঘুমানোর এতো চেষ্টা করেছে তবুও ঘুম আসে নি। কিছুক্ষণ পর আজান দিলে সে নামাজ পরে কিছু সময় ছাঁদে হাটাহাটি করে পড়তে বসেছে। পড়তে পড়তে কখন সময় চলে যাচ্ছিলো খেয়াল ছিলো না তার। তাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হয়ে গিয়েছিলো।

প্রাচুর্য ঘুমে আর বসতে পারলো না। খাটের মাথায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। খানিকক্ষণ পর ঘুমের ঘোরে পরে যেতে নিলেই তাফসির মাথা ধরে ফেললো। এখনো ঘুমায় নি সে। তার শোয়ার পর সাথে সাথেই ঘুম আসে না। খানিকক্ষণ সময় লাগে। তাফসির উঠে প্রাচুর্যকে খাটে শুইয়ে দিলো। নিজেও পাশে শুয়ে একহাত দিয়ে টেনে বুকে নিয়ে আসলো। কিছুক্ষণ পর নিজেও ঘুমিয়ে পরলো।
*
ঠিক কতক্ষণ ঘুমিয়েছে ঠিক নেই। তবে প্রাচুর্য যখন ঘুম থেকে উঠলো তখন দুপুর গড়িয়েছে। নিজেকে তাফসিরের বিছানায় শোয়া অবস্থায় আবিষ্কার করতেই ভাবনায় পরে গেলো। সে তো বসা অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পরেছিলো তবে এখন শোয়া কিভাবে? পরমুহূর্তেই বুঝলো যে তাফসির শুইয়ে দিয়েছে। কারন আশেপাশে সে ও নেই। প্রাচুর্য আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলো। বিছানা থেকে নেমে চুল হাত খোঁপা করতে করতে রুমে থেকে বের হওয়ার মুহুর্তে তাফসির ঢুকলে ঘরে। প্রাচুর্যকে উঠতে দেখেই মিষ্টি করে হাসলো। এগিয়ে আসতে আসতে জিজ্ঞেস করলো—

” ঘুম তবে ভেঙেছে মহারানীর? আমি তো ভাবলাম আজ সারাদিন ঘুমিয়েই কাটাবেন। ”

তাফসিরের কথা কানে গেলো না প্রাচুর্যের। সে তো তাফসিরের ওই হাসি দেখেই চরম লেভেলের ক্রাশ খেয়ে ফেলেছে। কি সুন্দর হাসি ছেলের। মনে মনে মাশাল্লাহ আওড়ালো কয়েকবার।
নিজের দিকে প্রাচুর্যকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে হাসলো তাফসির। দুহাত দিয়ে প্রাচুর্যের কোমড় টেনে কাছে এনে টুপ করে চুমু খেলো প্রাচুর্যের গালে। প্রথমে প্রাচুর্য ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও পরমুহূর্তে লজ্জায় মিয়িয়ে গেলো। তাফসিরকে ধাক্কা দিয়ে কোনো মতে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। প্রাচুর্যের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে হাসলো তাফসির।
.
.
.
.
বিকাল প্রায় পাঁচটা নাগাদ ওরা বের হলো আরফানের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে। আরফান অফিস থেকে সোজা দেখা করতে আসবে। এমনই কথা হয়েছিলো ওদের সাথে। তাফসিরের সাথে প্রাচুর্য,রিয়া,সামি-সাদনান, রাদিয়া, আবির সবাই-ই আছে। অনেকদিন পর যেহেতু তাফসির আসলো তাই এতে করে সবার ঘোরাঘুরি ও হয়ে যাবে আবার আরফানের সাথে দেখা ও হয়ে যাবে। যেহেতু এখন পাঁচটা বাজতে না বাজতেই সন্ধ্যা হয়ে যায় তাই তারা আর বাইরে কোথাও গেলো না। নাস্তা করার জন্য রেস্টুরেন্টটা ই ভালো মনে করলো।
তাফসিররা যেয়ে একটা টেবিলে বসলো। আরফান এখনো এসে পৌঁছায় নি। রিয়া বারবার ফোনে সময় চেক করছে। পাশে ছোট করে একটা প্লে জোন করা আছে সেখানে সামি-সাদনান খেলছে। আবির আর রাদিয়া সাংসারিক বিষয়ে আলোচনা করছে। তাফসির ফোনে কারও সাথে কথা বলছে। এদের এতো সব কান্ড প্রাচুর্য মুখে হাত দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। তার খানিকক্ষণ পরেই আরফান হন্তদন্ত হয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। তাকে দেখেই উঠে দাঁড়ালো সবাই। আরফান এগিয়ে এসে হাসি মুখে প্রথমে তাফসিরের সাথে কোলাকুলি করতে করতে বললো—
” দুঃখিত ভাইয়া দেরি হয়ে গেলো। আসলে প্রচুর জ্যাম ছিলো। ”

” ব্যাপার না ”

আরফান একে একে সবার সাথে কুশলাদি বিনিময় করলো। তারপর এসে রিয়ার পাশে বসলো। রিয়া আড়চোখে আরফানের দিকে তাকালো। ইশশ বেচারার মুখটা ঘামে ভিজে আছে। রিয়ার ইচ্ছে হলো ওড়নার আঁচল দিয়ে আরফানের মুখটা মুছিয়ে দিতে। কিন্তু না তা করা যাবে না কারন সামনে বড় ভাই বসে আছে। বড় ভাইয়ের সামনে এমন নির্লজ্জের মতো কাজ শোভা পাই না। তাই হাত নিশপিশ করলেও রিয়া নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখলো। এর মধ্যে তাফসির বলে উঠলো—

” তোমাকে বোধহয় অনেক কষ্ট করালাম তাই না? অফ ডে তে মিট করা উচিৎ ছিলো আমাদের। ”

” সমস্যা নেই ভাইয়া। আপনি তো পরে বলেছিলেন ছুটির দিনে দেখা করার কথা। কিন্তু আমার ও একটু তাড়া ছিলো দেখা করার তাই আজকেই করলাম। ”

” হ্যাঁ তাই তো তুমি কি জেনো বলবে বলছিলে? ”

আরফান উশখুশ করলো। মনে মনে গুছাতে লাগলো যে কি দিয়ে শুরু করবে। তার ভাবভঙ্গি দেখে তাফসির বললো—

” যা বলবে খোলামেলা করে বলো আরফান। ইতস্তত করার কিছু নেই। আমরা আমরাই তো। ”

তাফসিরের কথায় আরফান মনে সাহস পেলো। ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলে বললো—

” আসলে ভাইয়া আমি চাচ্ছিলাম বিয়েটা তাড়াতাড়ি করতে। আব..যদি আপনাদের কোনো সমস্যা না থাকে।”

তাফসির কিছুক্ষণ ভাবলো। তারপর বললো—
” আমিও সেটাই ভাবছিলাম। বিয়েটা তাড়াতাড়ি হলেই বোধহয় ভালো হয়। রিয়া তুই কি বলিস? ”

রিয়া নিচু কন্ঠে জবাব দিলো—
” আমি কি বলবো ভাইয়া। দেখো তোমরা যা ভালো বুঝো”

” আচ্ছা আমি তাহলে রাতে মেজো বাবার সাথে কথা বলে দেখবো। আর সবার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা ও তো করতে হবে। ”

” আচ্ছা ভাইয়া। কি আলোচনা হয় জানাবেন আমাকে। ”

আরফান বার বার ভাইয়া ভাইয়া বলায় তাফসির হালকা হেঁসে বললো—
” এতো ফর্মালিটি করতে হবে না আরফান। আমরা তো একই বয়সী। নাম ধরেই ডাকতে পারো। ও হ্যাঁ আরেকটা কথা, মেজো বাবার সামনে কিন্তু ভুলেও ভাইয়া ডেকো না। আমি কিন্তু তোমাকে বন্ধু হিসাবেই পরিচয় করিয়েছি।”

আরফান হেসে বললো—
” তা আর বলতে। আপনি সব কিছু ম্যানেজ না করলে না জানি কি হতো। আপনার ঋণ কখনোই শোধ করতে পারবো না। আপনার জন্যই তো ভালোবাসার মানুষটিকে ফাইনালি নিজের করে পাচ্ছি। ”

পাশ থেকে খুকখুক কাশির আওয়াজে সবাই সেদিকে ফিরে তাকালো। আবির দাঁত সবগুলো বের করে বললো—
” ভাইয়া সিক্রেট যে আমরা জেনে ফেললাম। ”

আবিরের বলার ভঙ্গিতে সবাই হেঁসে ফেললো। তাফসির বললো—

” জেনে ফেলো সমস্যা নেই। শুধু আরফানের হবু শশুর মশাইয়ের কানে না গেলেই হলো। ”

রাদিয়া ঠোঁটে হাসি বজায় রাখা অবস্থাতেই বললো—
” আমরা নাহয় বলবো না কিন্তু তুমি কি ভুলে যাচ্ছো যে পাশে দুইটা বিচ্ছু বসে আছে? ওরা ঠিকই খবর লিক করে দেবে দেখো। ”

রাদিয়ার কথায় সামি ফুঁসে উঠে বললো—
” আমাদের কি তোমার মতো পেট পাতলা মনে হয়? বড় ভাইয়া যা বলবে আমাদের কাছে সেটাই শেষ কথা। ”

সবাই আরও কিছুক্ষণ আড্ডা আলোচনা করে রাত আটটার দিকে বাড়িতে ফিরলো।
প্রাচুর্যের আজকে নিজেকে খুবই ক্লান্ত মনে হচ্ছে। তাই সে কোনোদিকে না তাকিয়ে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরলো। ডিসিশন নিলো ডিনারের আগ পর্যন্ত শুয়েই থাকবে। তবে ডিনারের প্রয়োজন পরবে বলে মনে হয় না। সন্ধ্যায় এতো এতো নাস্তা করেছে যে পেট পুরো ভর্তি।

——————

রাত এগারোটা নাগাদ সবাই ড্রয়িং রুমে হাজির হলো। উপস্থিত আছে কম বেশি সকলেই। শুধু সামি-সাদনান আর প্রাচুর্য বাদে।তাছাড়া সকলেই। এর মধ্যে তাফসির গম্ভীর গলায় ইকরাম চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বললো—
” রিয়ার বিয়ে নিয়ে কি ভাবছেন মেজো বাবা? ডেট ফিক্সড করেছেন? ”

” আমি একা কি ডেট ফিক্সড করবো? এখনো তো সেভাবে কারোর সাথে আলোচনায় হলো না। তুই আসলি আজকে আর বড় ভাইজান,ইনসাফ ওরা ও ফিরেছে দু’দিন আগে। তাই ভাবলাম একেবারে তুই ফিরলেই ভালোভাবে আলাপ আলোচনা করে ঠিক করা যাবে। ”

” পরিবারকে তো দেখলেন। কি মনে হলো? ”

” ছেলে যখন তোর বন্ধু তখন জানি খারাপ হবে না। তোর উপর পুরোপুরি ভরসা আছে। ”

” আমার বন্ধু সে কথা আপাতত ভুলে যান। এমনি পাত্রপক্ষ হিসেবে কেমন বুঝলেন সেটা বলুন। যেহেতু আপনি মেয়ের বাবা তাই আমি চাই সব ডিসিশন আপনি নিন। আর ভালো মন্দ ও আপনি বিচার করুন। ”

” ছেলে এবং ছেলের মা দু’জনকেই বেশ ভালোই মনের মানুষ মনে হলো। আর ছেলেকে ও ভদ্রই মনে হলো। কিন্তু… ”

” কিন্তু টিন্তু বাদ দিন। খোলসা করে বলুন। ”

” ছেলের আর্থিক অবস্থা মনে হচ্ছে আমাদের থেকে নিচে। ”

” আর্থিক অবস্থা দিয়ে কি করবেন মেজো বাবা? আগে দেখুন মেয়ে সুখী হবে কি না। ও সুখী থাকলে দু মুঠো ভাত কম খেলেও তখন আফসোস থাকবে না। ছেলের অনেক টাকা কিন্তু ক্যারেক্টারলেস। কি লাভ এমন ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে? আমি কি বুঝাতে চাইছি আশা করছি বুঝতে পারছেন। ”

” কথাটা ভুল বলিস নি। কিন্তু রিয়ার কাছে তো শোনা হলো না যে ও রাজি কিনা! আর ভাইজান, ইনসাফের কাছেও তো শোনা হলো না। ভাইজান আপনারা কিছু বলুন? ”

ইশতিয়াক চৌধুরী এতোক্ষণ যাবত ফোনে নিউজ পড়ছিলেন। ইকরামের কথায় ফোন রেখে বললেন—

” আমি আর কি বলবো বলো। তোমাদের কথা শুনে ভালোই মনে হচ্ছে। এখন তোমরা যেটা ভালো বুঝো করো। ”

” আপনাদের তো এখনো পর্যন্ত কারোর সাথেই দেখা হলো না। আমি নাহয় ওদের দাওয়াত দিই বাড়িতে। সেদিন দেখা ও হবে আর বিয়ের ডেট ফিক্সড করা ও হবে। কি বলিস তাফসির?”

ইকরাম চৌধুরীর কথায় তাফসির সম্মতি দিলো।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে