আমার তুমি পর্ব-৪৬ এবং শেষ পর্ব

0
679

#আমার_তুমি
#পর্ব_৪৬[অন্তিম পর্ব]
#জান্নাত_সুলতানা

সাদনান কোলে তুলে নিয়ে প্রিয়তা কে গাড়িতে বসিয়ে দিলো।
সারাও পাশে বসে।
প্রিয়তা ততক্ষণে ব্যাথা ছটফট করছে।
সাদনান এর বুকের ভেতর তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। সে ড্রাইভার কে তাগাদা দিতে লাগলো।

———–

-“মাম্মা,বাপ্পা আসবে না?”

-“আসবে তো সোনা।
তুমি রেডি হয়ে আপু আর ভাইয়ার কাছে যাও।”

তিন বছর বয়সে পা দেওয়া ছেলে টা মায়ের কথা মতো কাজ করে।
রেডি হয়ে নেয় মায়ের হাতে।চেহারা টা দেখতে একদম সামনে দাঁড়ানো মায়ের কার্বন কপি।কিন্তু গায়ের রং আর শরীর এর গঠন ঠিক বাবার।যেমন ফর্সা তেমনিই লম্বা। বয়স তিন হলে দেখতে পাঁচ ছয় বছরের এর একজন ছেলে মনে হবে।
সতেরো বছর বয়সী একজন কন্যা এখন পঁচিশ বছর বয়সী প্রাপ্ত বয়স্ক নারী।
প্রিয়তা ছেলে প্রহর কে রেডি করে দিয়ে নিজে ওয়াশরুম চলে গেলো।
হাল্কা ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে এলো। পড়নে শাড়ী পড়ার সব প্রয়োজনীয় জিনিস।শাড়ী তো আর ওয়াশরুমে পড়া যায় না তাই বিছানার উপর লাল পাড়ের সাদা রঙের রাখা শাড়ি টা পড়তে মনোযোগী হলো।
শাড়ী পড়া শেষ কুঁচি গুলো নেড়েচেড়ে ঠিক করার চেষ্টা করলো আর ভাবলো বাকি টা নিচে গিয়ে কাউ কে দিয়ে ঠিক করে নিবে কিন্তু সেটা আর করতে হলো না তার আগেই এক জোড়া বলিষ্ঠ দানবীয় হাত শাড়ীর কুঁচি ঠিক করতে দেখা গেলো।
প্রিয়তার মুখখানা খুশিতে চকচক করে ওঠে।
তবে নিচে হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকা বলিষ্ঠ পেটানো শরীরের মানব টার দিকে দৃষ্টি যেতেই হাসি হাসি মুখ টা বিষাদময় হয়ে উঠলো।হাতের পেশি গুলো ঘামে ভেজা সাথে গলায় ঘাড়ে ঘাম চিকচিক করছে।
সাদনান প্রিয়তার কোনো রকম রেসপন্স না পেয়ে মাথা তুলে উপরে তাকালো প্রিয়তার ভাবুক আর মলিন মুখ দেখে মুচকি হাসলো।
প্রিয়তা সাদনান এর হাসি নজরে পড়তেই দৃষ্টি এলোমেলো ফেলে।
সাদনান ইশারায় উপর দিক ঠিক করতে বলে প্রিয়তা তাই করে।
সাদনান কুঁচি ঠিক করে উঠে দাঁড়িয়ে হাতের ঘড়ি খুলে ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখতে রাখতে জানতে চাইলো

-“প্রহর?”

প্রিয়তা ততক্ষণে পাশেই সেন্টার টেবিল হতে পানির গ্লাস নিয়ে সাদনান এর হাতে দিয়ে জানালো

-“ইনিয়া’দের কাছে পাঠিয়েছি।”

-“তুমি বসো।
আমি দশ মিনিট এর মধ্যে রেডি হয়ে আসছি।”

সাদনান পানি শেষ করে গ্লাস প্রিয়তার হাতে দেয়। গায়ের সাদা রঙের পাঞ্জাবিটার উপর পড়ে থাকা কালো কুর্তা টা খোলে পর পরই পাঞ্জাবি টাও একটানে গা হতে খোলে সোফায় ফেলে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশ রুম চলে গেলো।

-“বড় মনি আসবে না?”

সাদনান ওয়াশ রুম হতে বেড়িয়ে এলেই প্রশ্ন টা করে প্রিয়তা।সাদনান কোনো জবাব দিলো না চুপ করে রইলো।
সে জানে প্রিয়তা এতোক্ষণ হাত গুটিয়ে নিশ্চয়ই বসে নেই তাই জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলো না। প্রিয়তা এবার ফুঁসে ওঠে।
এগিয়ে এসে সাদনান এর ঠিক বরাবর দাঁড়িয়ে আবারও বলল

-“আপনি তো বলে ছিলেন মনি কে নিয়ে আসবেন। তাহলে?”

-“সব টা তো জেনেই গিয়েছো।”

-“কিন্তু এটা কথা ছিল না।
আপনি কথা দিয়ে ছিলেন নিয়ে আসবেন বলে!”

সাদনান কোনো প্রতিত্তোর করে না। কি জবাব দিবে?সে তো নিজের সাধ্য মতো চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষমেশ সফল হতে পাড়লো না।
পাড়লো না না-কি তাকে সফল হতে দিলো না তার ভাগ্য। সাদনান এর খুব করে আজ থেকে এক মাস আগের কথা মনে পড়ে গেলো।
সে দিন প্রিয়তার পঁচিশ তম জন্ম দিন ছিল। আর প্রিয়তা সাদনান এর থেকে উপহার সরূপ মিতা সওদাগর কে দেশে আনার প্রস্তাব রেখে ছিল সাদনান আশ্বাস দিয়ে বলে ছিল আনবে।
কিন্তু সমস্যা হলো মিতা সওদাগর আসতে কিছুতেই রাজি নয় সে আসবে না। সে এখন বিদেশে তার ভাইয়ের বাড়ি আছে। তিনি সেখানেই থাকবে।শফিক সওদাগর নিজেও চেষ্টা করছেন তবে মিতা সওদাগর রাজি নয়।
তার সাথে সাদনান একটু আগেও মিতা সওদাগর এর সাথে কথা বলেছে।তার শেষ কিছু উক্তি ফোনে রেকর্ড করে রেখে ছিল আর প্রিয়তা একটু আগে যে সে গুলো সাদনান এর ফোন থেকে শুনেছে।
তবে কথা গুলো ভীষণ স্নেহময় ছিল সাথে কি ছিল প্রিয়তা জানে না তবে তার মায়ের জন্য কষ্ট হচ্ছে।
আর তাই তো না চাইতেও সাদনান এর উপর সব রাগ উগড়ে দিয়েছে।
সাদনান বুঝতে পারলো।প্রিয়তার হাত দু’টি নিজের শক্ত হাতের সাহায্য বুক হতে নামিয়ে নিয়ে নিজে জড়িয়ে ধরলো প্রিয়তা কে।
প্রিয়তার ফুঁপানোর শব্দ শোনা গেলো অনেক্ক্ষণ যা সাদনান এর বক্ষদেশ ভীষণ বাজে ভাবে ক্ষতবিক্ষত করে রক্ত ক্ষরণ হলো হৃদয়ে।
সাদনান বউ কে স্বান্তনার বাণী দিয়ে বলল

-“মনি তো রাগ করে নেই।
তিনি তোমাদের জন্য সব সময় দোয়া করে।”

-“কিন্তু,,,,

-“আর কোনো কিন্তু না বউ।
রাত কয় টা বাজে সে খেয়াল আছে।
তার উপর আবার বাসর করতে হবে তো।”

সাদনান এর কথা শুনে প্রিয়তা লজ্জায় মিইয়ে গেলো। বিরবির করে বলে উঠলো

-“বয়স হচ্ছে।
ছেলে বড় হচ্ছে সে দিকে খেয়াল আছে!”

-“বয়স?সেটা তো তুমি প্রতি রাতেই বুঝতে পারো।
আর ছেলে? তার জন্য তো একটা বোনের প্রয়োজন।”

প্রিয়তা টুঁশব্দ করে না।কথা সে কোনো দিন পারে নি এই লোকের সাথে তাই কথা না বাড়িয়ে সাদনান এর ড্রেস বেড় করে দেয়।
সাদনান বউয়ের সামনেই রেডি হয়ে নেয়।
অতঃপর বেড়িয়ে এলো রুম হতে।

————

একটা টেবিলে পাঁচ টা বাচ্চা বসে আছে। তার মধ্যে তিন টা বাচ্চা বেশ হাসিখুশী কিন্তু দুই টা বাচ্চা একদম গম্ভীর।দেখে বোঝা যাচ্ছে বয়স কম হলেও এঁরা ভীষণ ম্যাচিউর। ইনিয়া এখান সবার বড় কিন্তু আচরণ প্রকাশ করে যেনো বাচ্চা।
আর তুরাগ সে তো বাবা মায়ের বাধ্যগত ঠিক যেনো কবির খাঁন,সে তার বাবা কে অনুসরণ করে। আর আয়ান, মাইশার ছেলে মিশান সেও ভীষণ দুষ্ট।পাশেই সারা আর রাহান এর ছেলে সোহান বসে দুষ্টুমি করছে। যদি দুষ্টমির এওয়ার্ড দেওয়া হতো তবে সে প্রথম হতো আর যদি প্রথম না হয় তবে দ্বিতীয় সে হবেই এটা কেউ আটকাতে পারবে না। আর এখানে সবার ছোট ওয়াজিদ আর রিধির মেয়ে কত হবে এই তো হবে হয়তো বছর দেড় বছর।দেখতে যেনো একদম কার্টুন এর মতো। সে এই প্রথম বাংলাদেশ এসছে তাও আবার সাপ্তাহ আগে তাই খুব বেশি একটা কারোর কাছে যাচ্ছে না। বাবার কোলেই গাপটি মেরে বসে আছে তবে মাজে মাজে হাসছে সবার দুষ্টমি দেখে।
পাশের টেবিলে রিধি, সারা,মাইশা, তিন্নি বসে আছে
একটু আগেই কেক কাটা হয়েছে। এখন খাওয়া দাওয়া শেষ বাহিরের সব মানুষ চলে গিয়েছে। শুধু এই কয়জন মানুষ রয়ে গিয়েছে।
আজ সবাই মির্জা বাড়িতে থাকবে।
রাত প্রায় সাড়ে এগারো টা। রাহান একটা ক্যামেরা নিয়ে ফিরে এলো।
সবাই কে এক জায়গায় জড়োসড়ো করে একটা ছবি তুল সবাই কে এক ফ্রেমে বন্দী করে নিলো।
ছবি তোলা শেষ বড়রা সবাই ঘুমাতে গেলো।আর বাচ্চারা সবাই বায়না ধরে এক সাথে ঘুমাবে।সবাই কে নিচে বড় গেস্ট রুমে দেওয়া হলো।সাথে একজন কেয়ারটেকার কেও রুমে থাকতে দেওয়া হলো।

———–

সারা নিজের রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে এলো রাহান নিজেও ফ্রেশ হয়ে এলো।সারা তখন নিজের শরীরে কিছু কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহার করছে। রাহান এগিয়ে এলো।বউয়ের খুব নিকটে এসে দাঁড়াল। সারার দিকে নেশালো দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল

-“আমাকে আর কত জ্বালাবে? ”

-“যেখানে আমার তুমি সেখানে আমি আমাকে জ্বালাবো কেন?
নিজে কে নিজে কখনো জ্বালানো যায়?”

-“যায় তো।
এই যে তোমার এই রূপ আমাকে ভীষণ ভাবে জ্বালায়।”

সারা লজ্জা পেলো।
মুখ ফিরিয়ে নিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই রাহান আগলে ধরলো।
বউ কে কষ্ট করে বিছানায় যেতে হলো না আর না ভালোবাসতে সবটাই নিজেন করলো।

——–

ওয়াজিদ রিধি কে নিয়ে হাঁটতে বেড়িয়েছে।আগের সেই পুরোনো তাদের স্কুল, কলেজ জীবনের সেই যায়গা গুলোতে।
যেখানে ওয়াজিদ রিধির জন্য অপেক্ষা করতো।সুযোগ পেলে যেই বড় হিজল গাছ টার নিচে বসে দু’জন দু’জনের সুখ দুঃখের কথা বলতো।
এখন তারা ঠিক সেই জায়গায় টায় বসে আছে। রিধি ঠিক আগের মতো করে ওয়াজিদ এর কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে।আকাশে বিশাল বড় চাঁদ হয়তো পূর্ণিমা এখন কয় দিন পর তো আবার নতুন চাঁদ উঠবে। রোজা আসবে।
রোজার কথা মনে হতেই রিধি ওয়াজিদ এর কাঁধ হতে মাথা তুলে ওয়াজিদ এর মুখের দিকে তাকিয়ে কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো

-“আমরা আবার চলে যাব?”

ওয়াজিদ হাসলো রিধির এমন কাতর গলায় প্রশ্ন শুনে।মেয়েটা ইতালি একদম যেতে চাচ্ছে না।আসার পর থেকেই এমন বায়না টা ধরেছে।
এসছে এক সাপ্তাহ আগে কিন্তু এই একটা প্রশ্ন হয়তো চৌদ্দ বার করেছে।
ওয়াজিদ এর মুখে হাসি দেখে রিধির গলা শুকিয়ে এলো।

-“যাচ্ছি না।”

পর পরই ওয়াজিদ এর কণ্ঠে অনাকাঙ্খিত কথা শুনে খুশি হয়ে গেলো রিধি শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ওয়াজিদ কে।
ওয়াজিদ নিজেও ধরে। সেখানে বসে বসে নিজেদের কিছু পুরনো সৃতিচারণ করতে লাগলো দু’জনে।

————–

-“ঘুমুতে যাব না?”

-“একটু বসেন না।
দেখছেন চাঁদ টা কত সুন্দর লাগছে আজ।”

আয়ান অসহায় চোখে চাঁদের আলোয়ে মাইশার মুখ খানার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে। মাইশা আয়ানের চুলের ভাঁজে হাত চালাতে চালাতে জবাব দিলো।যা আয়ানের পছন্দ হলো না।
সে বউয়ের কোমড় জড়িয়ে ধরে পেটে মুখ গুঁজে জানালো

-“না আমার ব্যক্তিগত চাঁদ ভয়ংকর সুন্দর।”

কথা শেষ উঠে মাইশা কে কোলে তুলে নিলো।সিঁড়ি বেয়ে নিচে নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমে চলে এলো।
মাইশা লজ্জায় আয়ানের বুকে মুখ গুঁজে রইলো।

——–

তিন্নি কবির এর জন্য শাড়ী পড়েছে।কবির সব সময় এটুকুই চায়।তিন্নি তার জন্য রোজ শাড়ী পরুক। তিন্নির নিজেরও এখন ভালো লাগে। প্রিয় মানুষ টার জন্য নিজে কে সাজাতে কার না ভালো লাগে তিন্নিরও লাগে।
কবির পাশেই বিছানায় বসে দুই হাত বালিশের উপর রেখে থুতনিতে হাত ঠেকিয়ে বউয়ের দিকে তাকিয় আছে। তিন্নি শাড়ী পড়ে এখন হাল্কা করে সেজে নিচ্ছে। যা মোটেও কবির এর পছন্দ হলো না।
সে নিঃশব্দে বিছানা ছাড়লো।
এগিয়ে এসে বউয়ের হাতের লিপস্টিক কেঁড়ে নিলো।তিন্নি ফ্যালফ্যাল করে কবির এর দিকে তাকিয়ে রইলো।
কবির ঝুঁকে এসে বউ কে কোলে তুলে নিলো। বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজেও তিন্নির উপর নিজের ভর ছাড়ে।গলায় মুখ গুঁজে নেশাক্ত কণ্ঠে জানালো

-“বলেছি না এসব দিবে না।
আমার বউ এমনি সুন্দর যা আমাকে তার প্রেমে বারবার পড়তে বাধ্য করে। তোমার হাসি আমাকে শান্তি দেয়।তোমার এই চোখ দু’টি দেখলে আমার সব ক্লান্তি চলে যায়।তোমার কণ্ঠ শুনলে আমি সব কষ্ট ভুলে যাই তখন শুধু তোমায় ভালোবাসতে মন চায়।”

তিন্নি শক্ত করে কবির এর গলা জড়িয়ে ধরলো। তার আগের আঠারো বছর না পাওয়া সুখ নিয়ে কোনো দুঃখ নেই, কোনো আফসোস নেই।বরং তিন্নির মতে তখন দুঃখ গুলো পেয়েছে বলেই আজ তার জীবনে এতো ভালোবাসা এতো সুন্দর।
মানুষ দুঃখ না পেলে সুখের মূল্য বুঝে না।

———–

আয়না ওয়াশ রুম হতে বেড়িয়ে এলো হাতে একটা প্রেগন্যান্সির কিট শরীর টা ভীষণ দুর্বল তাই ওটা হাত থেকে সেন্টার টেবিলে রেখেই বিছানায় শুয়ে পড়লো।
রাহাত গিয়েছে বাচ্চাদের দেখতে রুমে ফিরে এসে সে আগে আয়নার দিকে তাকালো।
পর পর নজর পড়ে সেন্টার টেবিলে রাখা যন্ত্রটার দিকে এগিয়ে এসে হাতে তুলে নিলো যন্ত্র টায় লাল টকটকে দুইটা দাগ স্পষ্ট।
রাহাত সেটা হাতে নিয়েই এগিয়ে গিয়ে বউ কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল

-“এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
আমি দ্বিতীয় বারের মতো বাবা হবো।”

আয়না কিছু বললো না।
চুপ করেই রইলো।তবে পাশ ফিরে ঠিক জড়িয়ে ধরে রাহাত কে।

——-

-“বউ এটা ঠিক না।”

-“আপনি যে করেন সেটা ঠিক?”

-“সরি না সোনা।
বিজি ছিলাম আমি তবে রোজার পর পাক্কা প্রমিজ নিয়ে যাব।”

কি হলো প্রিয়তার কে জানে ওয়াশ দরজা খোলে বেড়িয়ে এলো।আর সাদনান ঝট করে বউ কে কোলে তুলে বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে।
প্রিয়তা হাসে।এই লোক কে রাগাতে তার এখন ভীষণ ভালো লাগে।
অথচ আগে কি ভয় টায় না পেতো।একটা কথা বলতে গেলে ছয় বার ভাবতো।কিন্তু অভিমান ঠিক করে থাকতো।তবে এখন আর অভিমান করে না।
জীবন এমনই সব দিক দিয়ে সব পাওয়া সম্ভব নয়।এটাই প্রকৃতির নিয়ম।মেনে নিতে হবেই।
প্রিয়তাও মেনে নিয়েছে।

-“কোথায় নিয়ে যাবেন?”

-“আপাতত ভালোবাসার সমুদ্রে।”

-“ঘুরতে? ”

-“সুইজারল্যান্ড।”

সাদনান কথা শেষ আর দেরী করে না বউয়ের অধর আঁকড়ে ধরে।
প্রিয়তাও সাদনান এর চুল খামচে ধরে।
বেশ অনেক টা সময় নিয়ে সাদনান প্রিয়তা কে ছেড়ে দিয়ে
দুষ্ট হেঁসে জানালো

-“পাঁচ বছর পর ফুল ফ্যামেলি যাচ্ছি।
এখন ফ্যামেলি ফুল করতে সদস্য আনার জন্য মিশন শুরু করতে হবে।”

“ভালোবাসা সত্যি সুন্দর যদি ভালোবাসার মানুষ টা সঠিক হয়”

~সমাপ্ত~

আমার তুমি সিজন-০২ পড়তে লেখাটির উপর ক্লিক করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে