#আনন্দ_অশ্রু
#পর্ব_১৬
#লেখনীতে_ওয়াসেনাথ_আসফি
রাত নয়টার কাছা কাছি মায়াকে রেহানের ঘরে বসিয়ে দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে এলো নাফিসা। রেহান নাফিসাকে তার ঘরের বাইরে দেখে ডাক দিয়ে নিজের সাথে বসার ঘরে নিয়ে যায়।
নাফু, তোকে কিছু কথা বলবো মন দিয়ে শুনবি আর যা জিজ্ঞেস করবো তার সত্যি সত্যি উত্তর দিবি?
রেহানের এমন কথায় নাফিসা একটু চিন্তায় পড়ে যায় নিজেকে স্বাভাবিক রেখে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ায়।
তোর কী কোনো পছন্দের কেউ আছে?
রেহানের প্রশ্নে নাফিসা অপ্রস্তুত হয়ে পরে অস্পষ্ট ভাবে বলে,
না,কাকা তেমন কেউ নেই।
নাফিসার উত্তর শুনে রেহান মিটিমিটি হাসছে কিন্তু নাফিসা তা দেখতে পারছে না কারণ সে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। রেহান কণ্ঠে গম্ভিরতা এনে বলে,
তাহলে তো হলোই আমি বরং বড় ভাবীকে বলি ডক্টর তন্ময় আর তার পরিবারকে যেনো আসতে বলে।
ডক্টর তন্ময়ের কথা শুনে নাফিসা বিদ্যুৎ গতিতে রেহানকে জিজ্ঞেস করে,
ডক্টর তন্ময় হাসান আমাদের বাড়ি কেনো আসবে?
কেনো আবার তোকে আর শাফায়াত কে দেখতে আসবে। ডক্টর তন্ময় তোকে পছন্দ করেছে তোকে বিয়ে করতে চায় আর শাফায়াত ডক্টর তন্ময়ের বোনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।শাফায়াতের পরিবার বলতে এখানে আমি ছাড়া কেউ নেই তাই ওর পরিবার হয়ে আমি ওর পক্ষে থাকবো।
রেহানের কথা শুনে নাফিসা চুপ করে বসে আছে বুকের ভিতর টা ধক করে উঠছে নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে কথা গুলো গলায় আটকে গেছে। নাফিসার চুপ থাকা দেখে রেহান মুচকি হেসে চলে যায়। নাফিসা বসা থেকে উঠে দৌঁড়ে চলে যায় শাফায়াতের ঘরে। দরজায় দুইবার টোকা দিল শাফায়াতের কোনো সারা শব্দ না পেয়ে দড়জা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে শাফায়াত ঘরে নেই।শাফায়াত কে ঘরে না পেয়ে নাফিসা ছাদের দিকে পা বাড়ায়।
ছাদের রেলিং এ পা ঝুলিয়ে বসে আছে শাফায়াত নাফিসাকে নিজের মনের কথা গুলো বলতে পারেনি এখনও। আজ শাফায়াতের মনটা কালো মেঘে ঢাকা পরে আছে মনের মানুষটা কাছে থেকেও দূরে চলে যাচ্ছে।শাফায়াতের ভাবনার ঘোর কাটিয়ে তার কানে প্রবেশ করলো তার প্রিয়সীর কণ্ঠ,
আমি কি দেখতে সত্যিই এতটা খারাপ?
নাফিসার প্রশ্নে ঘুরে তাকালো শাফায়াত, নাফিসার চোখে অশ্রু চিকচিক করছে।শাফায়াত রেলিং থেকে নেমে নাফিসার সামনে এসে দাঁড়ায় সে বুঝতে পারছে নাফিসা কেনো এমন কথা বলছে তাই সেও মুচকি হেসে বলে,
শুধু খারাপ বললে ভুল হবে জঘন্য বলা যায় তোমাকে। হটাৎ করে নিজের আসল রুপের কথা কেনো জানতে চাইছো বলতো?
এই জঘন্য চেহারার মেয়েটাকে কী একটু ভালোবাসা যায় না? আমাকে একটু ভালোবাসলে কী আপনার খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেতো?
নাফিসার মুখের এমন সোজা সাপ্টা ভালবাসার কথা যেনো শাফায়াতের মনের কালো মেঘ দূর করে রংধনু এঁকে দিয়ে গেলো।শাফায়াত একটু এগিয়ে এসে নাফিসার হাত ধরে বলে,
এই জঘন্য মেয়েটাকে দুই বছর নয় মাস তেরো দিন ষোলো ঘণ্টা বিশ মিনিট ধীরে ভালোবেসে এসেছি আর আগামীতেও ভালোবাসবো। এই জঘন্য মেয়েটার জন্য এতো দূর চলে এসেছি শুধু তার জঘন্য মুখশ্রী টা খুব কাছ থেকে দেখবো বলে। আমি জানি এই জঘন্য মেয়েটা আমায় খুব ভালোবাসে কিন্তু মেয়েটা জানেনা তার বাংলিশ রসগোল্লাও যে তাকে ভালোবাসতে সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে তার কাছে চলে এসেছে।আমি তোমাকে যেদিন দেখেছিলাম সেইদিনই ভেবেছিলাম বিয়ে করলে তোমাকেই করবো ভালোবাসলে তোমাকেই বাসবো।
হ্যাঁ আমি তোমাকে ভালোবাসি মিস হুরায়রা নাফিসা শিকদার খুব বেশি ভালোবাসি এতটা ভালবাসি যেটা তুমি কল্পনাও করতে পারবেনা।
নাফিসা মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শাফায়াতের দিকে চোখের কার্নিশ বেয়ে অশ্রু গুলো গড়িয়ে পরছে।শাফায়াত নাফিসার অশ্রু মুছে দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
এই জঘন্য মেয়েটা কী এই বাংলিশ রসগোল্লাকে ভালোবাসে?
নাফিসা শাফায়াত কে জড়িয়ে ধরে বলে,
আপনার মত এতো বেশি বাসি না কিন্তু ভালোবাসি আপনাকে।
নাফিসার স্বীকারোক্তি পেয়ে শাফায়াতও জড়িয়ে ধরে নাফিসাকে।
_________________
বধূ বেশে খাটের ওপর বসে আছে মায়া রেহান ঘরে ঢুকতেই মায়া খাট থেকে নিচে নেমে দাড়ায়, মুখে সালাম জানায় রেহানকে। রেহান সালামের উত্তর নিয়ে মুচকি হেসে বলে,
আজ পায়ে ধরে সালাম করলে না যে?
আমার বন্ধু বলেছিল আমি যেনো কোনো দিন তার পায়ে না ধরি। আমার স্থান তার পায়ে না হৃদয়ে।
মায়ার উত্তরে রেহান মুচকি হেসে বুকে জড়িয়ে নেয়। তারপর কপালে ভালবাসার পরশ এঁকে দিয়ে বলে,
ফ্রেশ হয়ে এসো নামাজ পড়তে হবে।
রেহানের কথায় মায়া সায় জানিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়। তারপর দুজনেই একসাথে নামায শেষ করে বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ায়।
কিছুক্ষন চন্দ্রবিলাস করে ঘরে চলে আসে। আজ জান্নাতি সম্পর্কের পূর্ণতা হবে। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হলো মায়া আর রেহানের নতুন জীবনের পথ যাত্রা।
_________________
ছাদের ওপর দোলনায় বসে আছে শাফায়াত আর নাফিসা।শাফায়াত নাফিসার কাছে জানতে চায়,
আচ্ছা হুর তুমি আজ হটাৎ কেনো তোমার মনের কথা গুলো বললে বলতো?
ছোটো কাকা বললো আপনি নাকি ডক্টর তন্ময়ের বোনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন, এই কথা শোনার পর আমার কেমন জানি লাগছিলো আর ডক্টর তন্ময়ের বোনের অনেক গুলো বয়ফ্রেন্ড আছে। আপনি ভুল মানুষের মায়ায় পরেছেন জেনে আপনাকে সাবধান করতে এসেছি আর নিজের মনের কথা বলতে এসেছি। যদি আর কোনো দিন বলতে না পারি তাই।
আর কোনো দিন বলতে পারবে না মানে?
ডক্টর তন্ময় আমাকে বিয়ে করতে চায়। কাল তারা আমাদের বাড়ি আসবে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। আপনি কিছু একটা করুন আমি তন্ময় স্যারকে বিয়ে করতে পারবো না।
নাফিসার কথা শুনে শাফায়াত জোরে জোরে হাসতে শুরু করে নাফিসা শাফায়াতের এমন হাসি দেখে বলে,
এমন হাসছেন কেনো কি হয়েছে?
শাফায়াত হাসতে হাসতে বলে,
তুমি এত চিন্তা করো না তোমার বিয়ে আমার সাথেই হবে। আর একটা কথা আমি তন্ময় স্যারের বোনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি না।
কিন্তু ছোটো কাকা যে বললো?
ছোটো শ্বশুর জানে আমি তোমাকে ভালোবাসি, তোমার মনের খবর নেওয়ার জন্যে এই কথা বলেছে।
নাফিসা এই কথা শুনে রেগে বলে,
এই ছোটো কাকা যে আমার বাবার আর মেজো কাকার ভাই কিনা এটা আমার সন্দেহ হয়। আমার বাবা কী শান্ত একজন মানুষ আর মেজ কাকার কথা কী বলব সে তো শান্তি প্রেমী মানুষ। না জানি এই ছোটো কাকা কোথেকে এমন হয়েছে। সব সময় অন্যদের হাইপার টেনশনে রাখে।
এই কথাটা তুমি ঠিক বলেছো, গতকাল আমাকেও এমন অবস্থায় রেখেছিল।
আপনি এখানে বসেন আমি এক্ষুনি ছোটো কাকার খবর করে আসি।
এই না না এখন যেতে হবে না কাল খবর তৈরি করো। এখন শুধু শুধু ছোটো শ্বশুরকে বিরক্ত করো না।
শাফায়াতের কথা শুনে নাফিসা জিভ কাটলো। নাফিসার অবস্থা দেখে শাফায়াত বলে, লজ্জাবতী এখানে দাঁড়িয়ে লজ্জা না পেয়ে ঘরে গিয়ে লজ্জা পান। লজ্জা পেলে আপনাকে বাঙ্গালী মাছি না একদম লাল চমচম লাগে। তাই আমার ওপর একটু দয়া করে নিজের ঘরে যান।
শাফায়াতের কথায় নাফিসা লাজুক হেসে চলে যায়।শাফায়াত ও নিজের ঘরে চলে যায়।
_________________
সকাল সকাল বাড়িতে কাজের ধুম পরেছে। নাফিসা ঘুম থেকে উঠে সোজা চলে যায় মায়ার কাছে, গিয়ে গত রাতের সব কিছু বলে। মায়া তো এমন খবর পেয়ে মেলা খুশি। এদিকে রেহানের আজ অবস্থা কাহিল, সেই সকাল থেকে তানজিল ওকে দিয়ে কাজ করাছে। হাইউল আর মমিন বাজার করতে গেছে তিশা আর তানজিল মিলে রান্নার কাজ দেখছে রহিমা বানু নাতি নাতনীদের সাথে গল্পে মজে আছে।
বাড়িতে এমন কাজের তোরজোর দেখে শাফায়াত তানজিলকে জিজ্ঞেস করে….
তানজিল অ্যান্টি আজকে কী কোনো মেহমান আসবে?
তানজিল এক গাল হেসে উত্তর দেয়,
হ্যাঁ, আজ নাফিসাকে দেখতে পাত্র পক্ষ আসবে।
তানজিলের কথায় শাফায়াতের হাসি মুখটা চুপসে গেলো। রান্নাঘরে দাড়িয়ে না থেকে সোজা চলে গেলো রেহানের কাছে।
ছোটো শ্বশুর, আপনি জানেন আজ নাফিসাকে দেখতে আসবে?
হুমম জানি সেটার জন্যইতো এতো কাজ করছি।
আপনি জানেন না আমি আপনার ভাতিজী কে ভালোবাসি তাহলে কেমন করে আমার সাথে এমন করতে পারেন?
আমি জানি তুই বখাটে ছেলের মত আমার ভাতিজির পিছু পিছু ভালোবাসি ভালোবাসি বলে ঘুর ঘুর করিস কিন্তু আমার ভাতিজী তো তোকে পছন্দ করে না। তাই আমি সবার মতে একমত।
কে বলেছে নাফিসা আমাকে ভালোবাসে না শুনি আপনি জানেন গত কাল ও নিজে এসে আমাকে ওর মনের কথা জানিয়েছে।
এখন আর এসব বলে কোন লাভ নেই। যা হওয়ার তা হবেই তাই আমি আর তোর সাহায্য করতে পারছি না বুঝলি এখন যা এখান থেকে কাজ করতে দে আমাকে।
মুখ গোমড়া করে চলে গেলো শাফায়াত। নাফিসা আর মায়া এখনও এই বিষয়ে কিছুই জানে না। মায়া জানলে নাফিসা জেনে যাবে এটা সবাই জানে তাই কেউ মায়াকে ও কিছু বলেনি। ওদের বাড়িতে এমন মহা আয়োজন দেখে মায়া নাফিসা জিজ্ঞেস করেছিল কী জন্যে এত আয়োজন, তানজিল জানিয়েছে কিছু মেহমান আসবে। তাই তারা আর কোনো প্রশ্ন করেনি।
দুপুর বেলা শাফায়াত মনের দুঃখ নিয়ে নিজের ঘরে বসে আছে কারণ আজ যে কয়বার সে নাফিসার সাথে কথা বলতে গেছে ততবার হয় আর্শি এসে বাধা দিয়েছে নয়তো রেহান। কোনো ভাবেই কথা হয়নি নাফিসার সাথে। অনেক্ষন ধরে দরজার বেল বাঁজছে কিন্তু কেউ খুলছে না এক রাস বিরক্তি মুখে ভার করে মেইন ডোর খুললো শাফায়াত। দরজার বাইরের মানুষ গুলো দেখে অবাক না হয়ে পারছে না। পিছন থেকে রেহান বলে,
কি বড় জামাই কেমন দিলাম জামাই আদর?
রেহানের কথায় শাফায়াত পিছন ফিরে তাকায়, বাড়ির সবাই হাসছে শাফায়াতের অবস্থা দেখে।শাফায়াত দ্রুত পায়ে হেঁটে এসে রেহানকে জড়িয়ে ধরে বলে,
ছোটো শাশুড়ি ঠিকি বলে আপনি সত্যি একটা পাগল লোক কথায় কথায় শুধু ভয় দেখান।
মাঝে মাঝে তোর সাহস দেখে আমি অবাক হই বুঝলি, শ্বশুরের সাথে কেউ এমন করে কথা বলে? বলি বিয়েটা কী আমার ভাতিজিকেই করতে চাস নাকি অন্য কেউ আছে?
একজন শ্বশুরের যন্ত্রণায় দিশে হারা আরো থাকলে তো পাবনার রাস্তায় হাঁটতে হবে।
শাফায়াতের কথায় সবাই হাসে, শাহাদাৎ ভিতরে প্রবেশ করতে করতে বলে,
মাঝে মাঝে মনে হয় এই রেহান আমার না তোর বন্ধু?
আমার এমন ভয়ঙ্কর বন্ধুর দরকার নেই ছোটো শ্বশুর হয়েই আমার জীবন তেনাতেনা করে দিছে।
রেহান তুই আর যাই বলিস না কেনো ভাই কিন্তু আমার খুব ভয় পাইছে (শাহাদাৎ)
রেহান যেদিন বুঝতে পরলো শাফায়াত নাফিসাকে পছন্দ করে সেইদিনই রেহান শাহাদাতকে বাংলাদেশে আসতে বলে। শাহাদাৎ ও রাজি হয়ে যায় আর পুরো পরিবারের সাথে বাংলাদেশে আসে। এদিকে মায়ার কাছ থেকে নাফিসার মনের কথা জেনে তানজিল আর হইউলের সাথে নাফিসা আর শাফায়াতের বিষয়ে কথা বলে। তারাও শাফায়াত কে পছন্দ করে তারপর আর কী রেহান শাফায়াত কে একটু ভয় দেখানোর জন্য এতো নাটক করে।
ভাই, কী মনে করে যে তুমি এই হুমকি বাজ লোকটার সাথে বন্ধুত্ব করেছো সেটা তুমি আর আল্লাহ জানে।
শাফায়াতের কথায় সবাই হাসলো। তারপর শাফাআতের পরিবার ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করলো।নাফিসাকে দেখে শাফায়াতের আম্মা খুব পছন্দ করেছে সে ওদের বিয়েটা আগামী দুই দিনের মধ্যেই দিয়ে দিতে চায়, প্রথমে বাড়ির লোকজন রাজি হতে চায়নি পরে রেহান আবার সবাইকে রাজি করিয়ে দম নিলো। নাফিসা আর শাফায়াতের বিয়ের কথা শুনে আর্শির মুখটা গোমড়া হয়ে গেলো, নাফিসা আর মায়া বুঝতে পারছে এটার কারণ আগামী কাল আর্শীর সাথে তারা কথা বলবে।
_________________
মায়া রেহানের দেওয়া শাড়ি গুলোর মধ্যে থেকে আসমানী রঙের একটা শাড়ি পরে বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে রেহান ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে মায়া ঘরে নেই তাই মায়াকে খুঁজতে বেলকনিতে উকি দেয়। মায়াকে দেখতে পেয়ে মায়ার কাছে যায় আর পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মায়ার কাধে থুতনি রাখে।
আজ আমার বউ আসমানী পরীর রুপ কেনো ধারণ করেছে আমি কী সেটা জানতে পারি?
মায়া লাজুক হেসে বলে,
আজ আপনার বউরে আপনার জন্য আসমানী পরী সাজার ইচ্ছে হয়েছে তাই।
হুমম বউ দেখি আমার রোমান্টিক আছে?
হুমম আপনার থেকেই শিখেছি মাস্টার মশাই।
বউ এখন যে আমার আদর করতে ইচ্ছে করছে?
আপনার বউ আপনি আদর করবেন এতে আমি বাধা দেওয়ার কে?
মায়ার এমন কথা শুনে রেহান মায়াকে পাযা কোলে তুলে নিয়ে ঘরে চলে গেলো আর লাইট অফ করে দিলো।
(এর পর আমি কিছু দেখি নাই,,, দেখবো কী করে লাইট অফ ছিলো। আর কিছু বানিয়েও বলতে পারবো না আমার শরম করে)
#চলবে…………………