আনন্দ অশ্রু পর্ব-১২

0
901

#আনন্দ_অশ্রু
#পর্ব_১২
#লেখনীতে_ওয়াসেনাথ_আসফি

বন্ধু আমাকে একটু জড়িয়ে ধরবেন আমার পাশে একটু বসবেন আমি আপনার কাধে মাথা রেখে একটু বসবো?

মায়ার অপ্রকাশিত কষ্ট গুলো এতক্ষন রেহানের জন্যই অপেক্ষা করছিলো হয়তো তাই রেহানের উপস্থিতি টের পেয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে মায়ার অনুরোধের রুপ ধারণ করেছে।

মায়ার অনুরোধের কণ্ঠস্বর যেনো রেহানের ব্যাকুলতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। মায়ার চোঁখের কার্নিশে অশ্রু গুলো জমাট বেঁধে চিকচিক করছে। মায়ার চোঁখের দিকে তাকাতেই রেহান বুঝতে পারছে মায়ার মনের চাপা কষ্ট গুলো এখন বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরে পরবে, রেহান তার প্রিয়তমা স্ত্রীর মনের ঝড় দূর করতে আলতো হাতে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো। রেহানের বুকে মুখ গুঁজে কান্নার শব্দবিহীন ঝড় তুলে দিলো। রেহান মায়ার কান্নার শব্দ পাচ্ছে না কিন্তু বুঝতে পারছে মায়া কান্না করছে। কিছুক্ষন এভাবেই জড়িয়ে ধরে ছিলো একে অপরকে তারপর রেহান মায়াকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে মায়ার গালে হাত রেখে বলে,,

খুব বেশি কষ্ট না হলে আমাকে হয়তো এমন করে নিজের কাছে টানতে না। যদি তোমার বলতে ইচ্ছে হয় তোমার মনটা কেনো আজ এমন কালো মেঘে ঢাকা পরে আছে তাহলে আমাকে বলতে পারো আমি শুনবো। আর যদি বিষয়টা তোমার একান্তই ব্যক্তিগত হয় তাহলে বলতে হবে না আর আমি তোমাকে বলার জন্য জোর করবো না।

মায়া রেহানের হাতের উপর হাত রেখে তার দিকে তাঁকিয়ে বলে,,
একটু বসবেন বন্ধু একটু কথা বলবো।

রেহান মুচকি হেসে মায়াকে সাথে নিয়ে দোলনায় বসে পড়ল, মায়ার চোঁখের পানি মুছে দিয়ে হাতে হাত রাখলো। মায়া বহু দিন পর আবার সেই চির চেনা ভরসা ফিরে পেলো।

আপনি দেশে ফেরার তিন দিন আগে একটা ১৫বছর বয়সী একটা মেয়েকে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। মেয়েটা সাড়ে নয় মাসের প্রেগনেন্ট ছিলো। আমার আর নাফিসার সাথে খুব ভাব ছিল আমরা দুজন প্রতিদিন ওর সাথে দেখা করতে প্রসূতি বিভাগে যেতাম খুব গল্প করতাম ওর সাথে আমরা। একদিন গল্পে গল্পে জিজ্ঞেস করেছিলাম,,

আচ্ছা তোমার পরিবার এতো কম বয়সে তোমার বিয়ে কেনো দিছে?(নাফিসা)

কী কৈমু আফা, আমি গ্রামের মাইয়া, গ্রামে মাইয়া মানুষ গো ছোটো থাকতেই বিয়া দেয়। কিছু শিক্ষিত আর অবস্থাশালী গো মাইয়া মেট্টিক পাশ করাইয়া বিয়া দেয়। আমি তো আর শিক্ষিত বা অবস্থাশালির মাইয়া না তাই বিয়া দিয়া দিছে। অপদ বিদায় করছে।

যখন মেয়েটা এই কথা টা বললো তখন ওর চোখে পানি চলে এসেছিল। কোথাও না কোথাও আমার জীবনের সাথে অনেকটা মিল আছে। তারপর আবার মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম,

তোমার স্বামীর বয়স কত? কী করে সে?

আমার স্বামীর বয়স ৩০। হে সরকারী চাকরি করে। তাগো ঢাকা শহরে বাড়ী আছে অনেক বড়লোক তারা। এতো কিছু দেইখাইত আমারে বিয়া দিছে। কিন্তু হেরা মানুষ ভালা না, আমার স্বামী নিজের শারীরিক চাহিদা মিটানোর জন্য আমারে কাছে টানে, নয়তো ভালো কইরা কথা টাও কয় না আমার লগে। আর আমার শাশুড়ি হে তো পোলার বউ রুপি কাজের মাইয়া পাইছে, আমার একটা ভাসুর আছে তার বউ তো আমারে দুই চোঁখে সহ্য করতে পারে না খালি মারে আর ছোটো কইরা কথা কয়, এইযে আপনে গো লগে কথা কইতাছি এই সুযোগটা কইরা দিচ্ছে আমার ভাসুরের মাইয়া। রান্না ঘরে মোড়ায় বইতে নিছি তখন আমার ভাসুরের মাইয়া মোরাটা সরাইয়া দিছে তারপর আমি এইখানে।

তোমার স্বামী এই অবস্থায় তোমার যত্ন নেয় না?(মায়া)

যত্ন, সে তো তার প্রয়োজনে আমার কাছে আসে। তারপর আমি বাইচা আছি নাকি মইরা গেছি হেইডা তার দেখার বিষয় না। আইজ চাইর দিন হইলো আমি এইখানে ভর্তি সে একটা বারও আমারে দেখতে আসে নাই এমন কী আমার শ্বশুর বাড়ির কেউ আসে নাই।

তুমি তোমার বাবা মাকে তোমার কষ্টের কথা জানাও নি?(নাফিসা)

আফা, একটা কথা কী জানেন সৎ মায়ের ঘরে মাইয়া মানুষ কোনো দিন আদরি সোহাগী হয় না। আমিও হই নাই মনে করছিলাম স্বামী হয়তো সোহাগী বানাইবো সেইটাও ভাগ্যে লেহা নাই।

মেয়েটার কথা শুনে নিজেকে খুব ভাগ্যবিতী মনে হচ্ছিলো আমিও তো ওর বয়সী ছিলাম।ওকে দেখলে আমার সেই বয়সটার কথা মনে পড়তো আর আপনার ওপর আমার সম্মান আরো বেরে যেতো। আপনি বা আপনার পরিবার চাইলে ওই মেয়েটার জীবনের মতো আমার জীবনটাও হতো।

আজ সকালে হসপিটালে যাওয়ার পর দেখি ওর প্রসব ব্যাথা হচ্ছে ওকে ও.টিতে নিয়ে যাবে তখন ও আমার আর নাফুর হাত ধরে সুন্দর একটা হাসি দিয়ে জ্ঞান হারায়।আমাদের ক্লাস ছিল তাই আমরা সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারি নি, টানা দুইটা ক্লাস করে খুব ক্লান্ত ছিলাম ভাবীর চেম্বারে গিয়ে আরাম করছিলাম। মেয়েটার কথা মাথা থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিল যখন মনে পরলো তখন আমরা দৌঁড়ে ওর খোঁজ নিতে যাই। ওর নরমাল ডেলিভারি ছিলো, ডেলিভারির সময় ও মারা যায় আর বাচ্চা জন্মের দশ মিনিট পর মারা যায়। আমি আর নাফু ওকে দেখে থমকে যাই আরো বেশি অবাক হই ওই মানুষ গুলোকে দেখে মেয়েটা মারা গেছে কিন্তু তাদের মুখে কোনো কষ্টের ছাপ নেই বরং তারা হেসে হেসে কথা বলছে।

এই টুকু বলে মায়া থেমে যায় আর ঠুকরে কেঁদে ওঠে। রেহান মায়ার মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে। কিছুক্ষন পর মায়া মাথা উঠিয়ে বলে,

আচ্ছা কেউ যদি তার ভালোবাসার মানুষটা কে ছেড়ে দূরে চলে যায় তাহলে কি ভালোবাসা শেষ হয়ে যায়? এটাই কী ভালোবাসা ?

রেহান বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে মায়ার চোঁখের পানি মুছে দিলো, শক্ত করে মায়ার হাত ধরলো মুচকি হেসে মায়ার প্রশ্নের উত্তর দিলো,,

তোমাকে যদি কেউ ছেড়ে দূরে চলে যায় আর তুমি যদি সেই মানুষটার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা কর সেটা হলো ভালোবাসা। যদি কেউ না ফেরার দেশে চলে যায় তার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করলেও সে ফিরবে না জেনেও যদি শুধু তার সাথে ওপারে দেখা হবে বলে অপেক্ষা করো তাহলে সেটা হলো স্বার্থহীন ভালোবাসা।

মেয়েটার ভাগ্যে স্বামী আর আপনজনদের ভালোবাসা লেখা ছিলো না তাই ওর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে করো কষ্ট ছিলো না। কিন্তু মেয়েটার ভাগ্যে বন্ধুর ভালোবাসা লেখা ছিলো তাই তো ওর ছেড়ে যাওয়ায় তোমাদের এতো কষ্ট হচ্ছে, এখন কান্না বাদ দিয়ে ওর কবরের জীবন যেনো সুন্দর হয় সেটার জন্য দোয়া কর।

রেহানের কথায় মৃদু হাসলো মায়া। রেহান মায়ার দিকে তাকিয়ে মায়াকে প্রশ্ন করলো, আসু তুমি কী আমার যাওয়ার পর আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলে?

রেহানের প্রশ্ন শুনে মায়া গম্ভীর মুখ করে উঠে যায়। নিচের দিকে তাঁকিয়ে বলে,

উত্তরটা আমি দিবো না আপনি তো চকিদার নিজেই খোঁজ নিয়ে নেন।
কথাটা বলেই নীচে যাওয়ার জন্য হাঁটা ধরে, রেহান দোলনায় বসে আছে ঠোঁটে প্রশান্তির হাসি। তার এতো দিনের অপেক্ষা বিফলে যায়নি। মায়ার অভিমানেই রেহানের প্রতি ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।
__________________

নাফিসা নিজের ঘরের বেলকনিতে বসে আছে মায়ার মত তারও আজ মন খারাপ।শাফায়াত নাফিসার ঘরের দরজায় টোকা দেয়। টোকার শব্দ পেয়ে নাফিসা ঘরে আসতে বলে।শাফায়াত অনুমতি পেয়ে ঘরে ঢুকে কিন্তু নাফিসকে দেখতে পায় না, খুঁজতে খুঁজতে চলে যায় বেলকনির দিকে, নাফিসাকে দেখে তার পাশে বসে পরে একটা আইসক্রিমের বাটি নাফিসার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,,

ছোটো বেলায় যখন বাবার কথা মনে পড়তো তখন খুব কষ্ট হতো তখন আমার ভাইয়া আমাকে আইসক্রীম দিতো আর বলতো, আইসক্রীম খেলে নাকি কষ্ট কমে। আইসক্রিমের ঠান্ডায় কষ্টরা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমায়। আমি বিশ্বাস করতাম না একদিন ট্রাই করলাম দেখি কাজ হচ্ছে এখন যদি তোমারও বিশ্বাস না হয় তাহলে তুমিও ট্রাই করে দেখো।

শাফায়াতের কথায় সরু চোঁখে তাকিয়ে আছে নাফিসা। কিছু না বলে আইসক্রিমের বাটি টা হাতে নিলো। আইসক্রীম খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলো,, আচ্ছা আপনি আপনার বাবার জন্য কষ্ট কেনো পেতেন?

আমার বাবা আমাদের ছেড়ে ঐ দূর আকাশে তারা হয়ে গেছে। আমার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন।

শাফায়াত মৃদু হেসে কথা টা বলছে নাফিসা তাকিয়ে আছে শাফায়াতের মুখের দিকে কতটা সহজে এতো বড় একটা কষ্টের কথা বলে দিলো।শাফায়াত নাফিসার তাকানো দেখে বলে,,

মিস হুরায়রা নাফিসা শিকদার যদি কিছু মনে না করো একটা কথা বলি?

হুম বলেন কিন্তু একটার বেশি একটাও বলবেন না।

আচ্ছা তুমি বসে থাকো আমি আগে একটু দাড়াই।

কী এমন কথা বলবেন যেটার জন্য দাড়াতে হবে?

আরে বলছি এতো বেকুল হয়ো না।
বলেই শাফায়াত উঠে দাঁড়ায় তার পর বলে,

তোমাকে এখন দেখতে পেত্নীর মতো লাগছে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কোনো অতৃপ্ত আত্মা বসে আছে পরে বুঝতে পারলাম এটা তুমি তাই বলছি কী এমন করে থেকে আর কাউকে ভয় দেখিও না।
বলেই এক দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো শাফায়াত নাফিসা কথাটা বুঝতে পারে সেও শাফায়াতের পিছনে দিলো দৌঁড়।
________________

আজ সবার ছুটির দিন সবাই আজ বাসায়। সকালে সবাই একসাথে নাস্তা করে এখন বসে আছে বসার ঘরে সবাই মিলে আড্ডা দিবে আজ। মায়া নাফিসা আর তানজিল বসেছে এক সাথে তাদের পাশে আর্শি আর তিশা বসে আছে।শাফায়াত, রেহান, হাইউল মমিন বসে আছে তাঁদের সামনে। সবাই গল্প করছে কিন্ত আর্শি শুধু তাকিয়ে আছে শাফায়াতের দিকে।শাফায়াত এই বিষয় টা অনেক্ষণ ধরে লক্ষ্য করছে কিন্তু কিছু বলছে না। ফোন হাতে নিয়ে মায়া আর নাফিসাকে মেসেজ করলো,,

মায়া, নাফিসা তোমরা দুজন এখন এখান থেকে উঠে নিজেদের ঘরে যাও খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।

শাফায়াতের মেসেজ পেয়ে তারা শাফায়াতের দিকে তাকায় শাফায়াত চোঁখের ইশারায় অনুরোধ করে। মায়া নাফিসা উঠে যায়। মায়ার চলে যাওয়া দেখে রেহান মায়াকে বলে,

আসু কোথায় যাও তোমরা দুজন?

এখন বলতে পারবো না জানতে চাইলে আসুন আমার সাথে।

শাফায়াত সবাইকে বলে একটু ব্যাক্তিগত কথা আছে তাই একটু উঠতে হবে আপনারা গল্প করুন আমরা পাঁচ মিনিটে যাবো দশ মিনিটে ফিরে আসবো।

শাফায়াতের কথায় সবাই হাসলো।শাফায়াত, রেহান, মায়া, নাফিসা একে অপরের মুখোমুখি বসে আছে। শাফায়াত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করে,

আর্শি হয়তো আমাকে পছন্দ করে। আমি নিশ্চিত নই কিন্তু ওর হাবভাব দেখে আমার এমন মনে হচ্ছে।

শাফায়াত তুই কী বলছিস বুঝতে পারছিস ?

কাকা শাফায়াত ঠিক বলছে, আমি সেই প্রথম দিন থেকেই এই বিষয়টা খেয়াল করছি। আম্মুকে বলেছিলাম আম্মু বলল যার মেয়ে তাকে বুঝতে দিতে।

তাহলে তো কথা শেষ এখানে আর কিছু বলার নেই।শাফায়াত তুই যতোটা পারিস ওর কাছ থেকে দূরে থাকবি কোনো কথা বলবি না।

ঠিক আছে বলবো না কিন্তু যদি আর্শি কথা বলতে আসে তখন কি করবো?

তখন মন খুলে কথা বলবি। কোনো বাধা নেই জানি পরে আমার ছোট্ট ভাতিজী টা একটু কষ্ট পাবে কিন্তু তার মা এবার হারে হারে টের পাবে অল্প বয়সে নিজের মেয়ে কষ্ট পেলে কেমন লাগে।

রেহানের কথায় মায়া অবাক হচ্ছে, রেহানকে জিজ্ঞেস করে,

আপনি কী কোনো ভাবে প্রতিশোধ নিতে চাইছেন?

হ্যাঁ, অবশ্যই। এমন করে অবাক হয়ো না আসু মেজো ভাবী তোমার মন মস্তিষ্ক নিয়ে খেলা করেছে আমাকে বাধ্য করেছে তোমার থেকে দূরে যেতে। আমি চাইছিলাম তোমার প্রতিটা সুন্দর মুহূর্তে তোমার পাশে থাকতে তোমার কষ্টে তোমার চোখের পানি মুছতে কিন্তু মেজো ভাবীর জন্যে আমার ভালোবাসাকে এক সমুদ্র কষ্ট দিয়ে চলে যেতে হয়েছে। এতো কিছুর পরও তুমি আমায় প্রশ্ন করছো।শাফায়াত নিজের সীমায় থাকবে ওর তরফ থেকে কোনো পজেটিভ সাইন থাকবে না চিন্তা করো না আর্শি ছোটো খুব বেশি কষ্ট হবে না আর তুমি নাফু তো আছোই ওকে বুঝানোর জন্য। আশা করছি এই বিষয়ে আর কোনো কথা হবে না।

কথা গুলো বলে রেহান ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।শাফায়াত নাফিসা মায়া একে অপরের দিকে তাঁকিয়ে আছে।শাফায়াত আর নাফিসা একসাথে বলে,

কাকার সিদ্ধান্তে আমি রাজি? মায়া দুজনের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মায়ার তাকানো দেখে শাফায়াত বলে,

মায়া, রেহান স্যারের কথায় আমি রাজি হয়েছি তার কারণ হলো, আমি দেখেছি স্যার কীভাবে তোমার ছবি বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতো, তুমি রাতে কখন ঘুমাবে সেই অপেক্ষায় বসে থাকতো তুমি ঘুমালে ভিডিও কলে তোমাকে দেখতো তোমার আওয়াজ শোনার জন্য সময় অসময় নাফিসাকে ফোন করে বলতো তোমার সাথে যেনো কথা বলে সে চুপ করে তোমার কথা শুনতো। স্যার তোমাকে ছেড়ে দূরে ছিল কিন্তু মন থেকে দূরে সরেনি। আমি আমার ভাই রেহান স্যারের চাপা কষ্ট গুলো দেখেছি। তাই আমি ওনার কথায় সহমত। যে তোমাদের সাথে এমন করেছে তারও বোঝা দরকার আপন জন কষ্ট পেলে কেমন লাগে।

#চলবে……………….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে