আজ শৈলীর বিয়ে পর্ব-০৫ এবং শেষ পর্ব

0
49

#আজ_শৈলীর_বিয়ে
#অন্তিম_পর্ব
#সায়েদা_সানা

_________________
সত্য বলতে গেলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারাটা ততটা আঘাত করতে পারেনি শৈলীকে। কেন না তখন ওর মন মস্তিষ্ক জুড়ে একটি বিষয়েরই বিচরণ ছিল। রক্তিম। ছেলেটার সাথে তার বিয়ে তো হয়েই যাবে তাহলে আর ভেবে কি লাভ? পড়াশোনায় সময় দেয়নি বলেই তো পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল তার। সময় দেবেই বা কি করে তার সময়টুকু তো বরাদ্দ রাখা ছিল তার মনের ঘরে একমাত্র অধিকারী রক্তিমের জন্য। রক্তিম নিশ্চয় এসব বিষয় নিয়ে তাকে ছোট করবে না।

ভাবতে গিয়ে মনে পড়ে সেই রাতের কথা। রক্তিমের বলা কথাগুলো ভাবায় তাকে। মনে ভয় ঢোকে, চিন্তার বিষয় নেই বলে আশ্বাস দিলেও কোথাও একটা গিয়ে মনে হয় রক্তিম যদি সেদিনের মতোই কথা শোনায়। কিন্তু ক্ষণিকের জন্য হলেও তার চিন্তা দূর হয়। শুধু রক্তিম নয় তার সাথে তার পরিবারও শৈলীকে শান্তনা দেয়। তাকে মন খারাপ করে থাকতে মানা করে। বলে এ তো মাত্র একটা একাডেমিক রেজাল্ট, এর দ্বারা আর যাই হোক কারো ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন হয় না। শিক্ষার মূল্যায়ন হয় না। প্রকৃত অর্থে শিক্ষা তো ভিন্ন অর্থ বহন করে। শুধু কিছু নিয়ম পড়ে আর মুখস্ত বিদ্যা খাতা ভরিয়ে এসে কেউ শিক্ষার পরিচয় দিতে সক্ষম নয়।

হ্যাঁ ওরা এমনটাই বলেছিল। এরপর বিয়ের জন্য তোড়জোড়ও শুরু করে দিল। কত যে যাওয়া আসা চললো তাদের এ বাড়ি ও বাড়ি। কেনা কাটাও হয়েছিল কিছু কিন্তু সময়ের সাথে মানুষ পরিবর্তনশীল। যারা একটা সময় শৈলীকে প্রকৃত শিক্ষার কথা বলে শান্তনা দিয়ে গেছিল তারাই রঙ পাল্টালো। বিশেষ রূপে রঙটা পাল্টে ফেলল রক্তিম। জানিয়ে দিলো ওর বন্ধুরা ওকে ছিঃ ছিৎকার করছে আর এই সুযোগটা ওদের করে দিয়েছে শৈলী। শৈলীর আজও মনে আছে রক্তিমের বলা কথাগুলো।

সে বলেছিল, “আমার সাথে তোমাকে ঠিক মানায় না শৈলী। আমার অর্জন বিদেশি ডিগ্রি আর তোমার সামান্যতম ডিগ্রিটুকুও নেই সেখানে আমার বরাবর আসতে পারা তো দিবাস্বপ্ন মাত্র। আমি তোমাকে নিয়ে আর এগিয়ে যেতে পারব না। বন্ধুমহলে এমনিতেই তোমার কারণে আমার নাক কাটা গেছে এরপর সারাজীবন ভর আমার এই দশা হোক আমি চাই না।”

“তুমিই তো বললে এসব ডিগ্রি দিয়ে মানুষকে বিচার করা বোকামি!”

“আবেগে ভেসে বলে দিয়েছি। বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন মতাদর্শে চলমান আর সেই বাস্তবতায় বলে দেয় আমার যোগ্য তুমি নও। কখনো ছিলেই না।”

“আমি আজ তোমার জন্য এখানে দাঁড়িয়ে রক্তিম।”

“তোমার এই ফ্যাচফ্যাচানি বন্ধ করো। আর কি বললে? আমার জন্য! আমি ঠিক কোথায় আটকেছি তোমায়? এই এতদূরে বসে তোমায় আটকাব আর তুমি স্থির থাকবে! না জানি কোথায় কোথায় সময় নষ্ট করে এসে এখন দোষারোপ আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইছো। তোমার ড্রামা আর নেওয়া যাচ্ছে না রাখছি আমি। আর হ্যাঁ আমাকে এবং আমার পরিবারকে নেক্সট টাইম আর বিরক্ত করবে না। করলে এর ফল কিন্তু ভালো হবে না।”

বিয়ে ভাঙলো শৈলীর৷ এক প্রেম তার সময় জ্ঞান খেয়ে গেল অনায়াসে আর সেই প্রেমই তাকে ব্যর্থতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। এক সময়ের সকলের চোখে বেস্ট একজন ছাত্রীকে সবাই কেমন কেমন একটা নজরে দেখতে শুরু করলো। ভেঙে গেল শৈলী। নিজেকে ঘর বন্দি করে রাখতে শুরু করল সে। আর রইলো তার পরিবার, তারা তার পাশেই ছিল সর্বদা তবে মাঝখানে বাইরের লোকের কথায় প্রভাবিত হয়েছিল তারাও। শৈলীকে উঠতে বসতে কথা শোনানো একটা রুটিনে পরিণত হয়েছিল তাদের নিকট। শৈলী বুঝেনি এসব বাইরে থেকে আসা কটুবাক্যের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মাত্র, সে তো জেনেছিল তাকে আর কেউ ভালোবাসে না। কেউ পছন্দ করে না। ডিপ্রেশনে ডুবে যেতে শুরু করেছিল মেয়েটি।

_________________
ডিপ্রেশনের অতলে তলিয়ে যাওয়া শৈলীকে উদ্ধার করতেই হয়তো আগমন ঘটেছিল প্রেফেসর সালমার। তিনি শৈলীকে দেখতে এসেছিলেন বলেই তো মেয়েটির অবস্থা সম্পর্কে বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ভুল কোন মানুষের দ্বারা হয় না? মানুষ কখনো ভুলের উর্ধে নয়৷ শৈলীর দ্বারাও ভুল হয়েছিল। অল্প বয়সে প্রেম, বিয়ের মতো একটা কমিটমেন্ট। স্বাভাবিক ভাবেই সেটাই একটি মেয়ের জীবনে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে তাইতো আজ শৈলী হারিয়েছে সব। এমনকি তার ইচ্ছেশক্তিটুকুও হারিয়ে বসে আছে সে।

শৈলীর পরিবারকে বোঝানো এবং শৈলীকে হ্যান্ডেল করা। দুটো একা হাতে সামলে যাচ্ছিলেন প্রফেসর সালমা। সময় সাপেক্ষ ছিল সবটাই কিন্তু হার মেনে নেননি তিনি। অতি প্রিয়, কন্যা সমতুল্য ছাত্রীর সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে সময়ে সময়ে শৈলী ভেঙে পড়তে থাকে আর তিনি অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে তাকে টেনে তুলে এগিয়ে নিতে থাকেন। যে কাজটি শৈলীর পিতা মাতার করার কথা ছিল সেটি তিনি করেছিলেন।

একটা সময় গিয়ে দেখলেন তিনি সফল। শৈলীর আর উঠে দাঁড়াতে কারো হাতের প্রয়োজন হচ্ছে না। সে হোঁচট খাচ্ছে কিন্তু দমে যাচ্ছে না। একা একাই সাহস নিয়ে উঠে দাঁড়াচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে। মৃত শাখা প্রশাখা যেমন গোড়ায় পানির স্পর্শ পেলে সতেজ হয়ে ওঠে তেমনই শৈলীর ক্ষেত্রেও হয়েছিল। আর সেটি সম্ভব করে তুলেছিলেন প্রফেসর সালমা। একমাত্র তার প্রচেষ্টায় আজ শৈলী পড়াশোনায় এতোটা এগিয়ে যে কদিন বাদে তার নামের আগে ডাক্তার শব্দটি যুক্ত হবে।

________________
সবকিছু কত ভালো চলছিল এর মাঝে একদিন ফিরে আসে আবার সেই অতীত। সেদিন প্রফেসর সালমার ডাক পেয়ে বেরিয়েছিল শৈলী। ম্যাম তাকে আর্জেন্ট ডেকেছিলেন। বলতে চেয়েছিলেন কিছু কিন্তু বলা হয়ে ওঠেনি তার পূর্বেই রক্তিমের কন্ঠে থমকে যায় সবকিছু। সেদিন শৈলী বুঝেছিল আজও মানুষটা কোথাও না কোথাও তার মনের গোপন কোনো কোনে রয়ে গেছে। যাকে সরানো সম্ভব হয়নি শৈলীর পক্ষে।

________________
“উনি ফিরলেন আবার! কেন?”

“ক্ষমা চাইতে। আমাকে আবার তার জীবনে ফিরিয়ে নিতে। বলেছিল একটা সুযোগ চায় তার।”

“দিয়েছিলেন?”

“উত্তর দিইনি সেই সময়। স্তব্ধতা বজায় রেখে ফিরে এসেছিলাম বাড়িতে। ম্যামের সাথে আর কথা হয়নি। দুদিন পরে রক্তিম এসে হাজির হয় আমাদের বাড়িতে। তাকে দেখে সকলের অবস্থা এমন ছিল যেন সেখানেই জানে মে রে ফেলবে। আমি আটকেছিলাম তাদের। সেদিন রক্তিমকে প্রটেক্ট করেছিলাম বলে বাড়ির লোকেরা ভেবেই নিল আমি হয়তো ওকে মেনে নিতে চাইছি আরেকবার। আহত হয়েছিল সবাই আমি রক্তিমের ঢাল হয়েছিলাম বলে।”

“আপনি রাজি হয়েছিলেন?”

“উহু। আমি তার প্রস্তাবে রাজি হই বা না হই সেটা পরের কথা। আসলে আমি চাইনি কেউ আমার আর ওর বোঝাপড়ার মাঝখানে ঢুকে পড়ুক। জবাবটা আমি দিতে চেয়েছিলাম তাকে। তার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলেছিলাম আমি, আজ আমি সফল যা আগামীতে নাও থাকতে পারি। আমার গাট ফিলিং আমাকে বলে দিচ্ছে এমনটা হলে আমি আবারো তোমার সেই অহংকারী রূপটা দেখব। তুমি আসতে পারো।”

“ঠিক করেছেন। তবে আপনার জায়গায় আমি থাকলে তাকে দু’ঘা বসিয়ে দিতাম।”

মেয়েটির কথায় শব্দ করেই হেসে ফেলে শৈলী। মেয়েটি আরেকবার প্রশ্ন করে, “সবই বুঝলাম কিন্তু বিয়ে কাকে করতে যাচ্ছেন আপনি?”

“আমার এক শুভাকাঙ্ক্ষীকে। যে আমার ডিপ্রেশনের সময়টাতে সাহস যুগিয়েছিল দূর থেকে। আমাদের সামনা সামনি কখনো দেখা হয়নি, আমি তাকে দেখিনি তবে তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি বহুবার। তার সাথে আমার আলাপটা আমার মাঝেই থাক। একান্ত আমার কিছু গুপ্ত স্মৃতি হয়েই থাক।”

“কিছুই জানতে পারব না?”

“আচ্ছা একটা কথা বলাই যায়। তার পরিচয়টা হচ্ছে সে কঠোর রৌদ্রতাপে আমাকে ছায়া প্রদানকারী সালমা ম্যামের একমাত্র পুত্র। অঙ্কন জোবায়ের নাম তার।
সেদিন রক্তিম এলো তখন জানতে পারি ম্যাম নিজের ছেলের জন্য আমাকে বাছাই করেছেন। এটা অবশ্য পূর্বের কথা। সেবারের প্রস্তাবটা তিনি দিয়েছিলেন দ্বিতীয়বারের মতো। প্রথমবারেরটা ছিল আমার আর রক্তিমের সম্পর্ক শুরু হবার পরে। যেটা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না ম্যাম তাই হয়তো প্রস্তাবটা রেখেছিলেন। পরে বাবা ভদ্রতার সাথে তা নাকোচ করলেও পরেবার আর নাকোচ করেননি। বলেছিলেন সবটা আমার উপর। আমি যা চাইব তাই হবে। ম্যামের ছেলের সাথে আমার তেমন আলাপ ছিল না। অপর পক্ষ থেকে আমাকে সাহস জোগানোর কাজটা চলমান থাকলেও আম্র তরফ থেকে কখনো কোনো বাক্য বিনিময় হয়নি। এই বিয়েটা হচ্ছে শুধুমাত্র আমার ম্যামের জন্য। আমার মন বলল এমন একটা মা পেলে মন্দ হয় না শৈলী। রাজি হয়ে যা। একবার প্রেমিক পুরুষের মাকে গ্রহণ করে তো দেখলিই এবার না হয় মা সম ম্যামের ছেলেকে গ্রহণ করে দেখ। তোর সাথে আর খারাপটা হবে না।যেখানে ম্যামের মতো মানুষের বাস সেখানে খারাপের আনাগোনা অসম্ভব।”

মেয়েটি হাসে। মন ভরে দুয়া করে শৈলীর জীবন যেন ভালোবাসায় ভরপুর হয়ে রয়। কিন্তু এতকিছুর মাঝে রক্তিমের আগমনের কারণটা সে বুঝে উঠতে পারে না। সে কী শুধুমাত্র তার বলা কথা সত্য করতে এসেছিল নাকি মনে অন্য কোনো মতলব ছিল!

__________________
মা সালমাকে অপেক্ষারত রেখে যথাসময়ে তার বৌমা রূপে শৈলীকে নিয়ে যেতে হাজির হয় অঙ্কন। সাথে তার কিছু নিকট আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব। হয়ে যায় বিবাহ সম্পূর্ণ। শৈলী ও তার নাম একে অপরের সাথে জুড়ে যায়। বন্ধুবান্ধব, শালা শালীদের হাসি মস্করায় কাটে সময়টা। একটা সময় ঘনিয়ে আসে বিদায় বেলা। শৈলীকে অঙ্কনের হাতে তুলে দেয় ওর বাবা। বিদায় দেওয়া হয় সারাজীবনের প্রিয় মাঝে কিছু সময়ের অপ্রিয় হয়ে ওঠা বিরক্তির কারণ, অসম্মানের কারণ সেই শৈলীকে। যে এখন শুধুমাত্র তাদের সম্মানের কারণ৷ আর এরজন্য তারা সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকবেন অঙ্কনের মা সালমার নিকট।

_________________
হৈ-হুল্লোড়ে মেতে থাকা বাড়িটা নিস্তব্ধতার মাঝে ফেলে বিদায় নেয় শৈলী। এগোতে থাকে গাড়িটা। বাড়ির পরের গলিতে দাঁড়িয়ে শৈলীর বিদায় দেখে চোখের কোনে জল জমে রক্তিমের। মনে মনে বলে, “যে সুখের আশা আমার কাছে রেখেছিলে সেই সমস্ত সুখ তোমার নতুন সঙ্গী তোমার পায়ের তলায় বিছিয়ে দিক। ভালো থেকো আমার শৈলী, উহু আজ তুমি আর রক্তিমের শৈলী নও কখনো হবেও না। ভালো থেকো অঙ্কনের শৈলী।

রক্তিমকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে শৈলী। ও বোঝে রাতে কেন এসেছিল ছেলেটি। ওর তো অজানা নয় যে কোথাও না কোথাও মেয়েটি আজও তার নামে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে তাই শেষ আশা নিয়ে এসেছিল রাতে। ভেবেছিল শৈলী আবেগী হবে। হয়েছিল তো। আবেগী হয়েছিল শৈলী কিন্তু বাস্তবচিত্রটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেনি সে।

তার মনে পড়ে যায় অতীতটা। ওদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পরে বাবা মাকে কতই না কথা শুনতে হয়েছিল সেদিন৷ ওরা তো ফুপি ও আপুকেও বাদ দেয়নি। তারপর যখন সব ঠিল হলো তখন কত অমায়িক সেই ব্যবহার। আবার শৈলীর অকৃতকার্য হওয়ায় তাদের শান্তনা বানী পরেই সেই শান্তনার জায়গায় রুষ্টতা। বাবা মায়ের অপমান। কিছুই ভোলেনি শৈলী। অপরদিকে শৈলীর ম্যাম বর্তমানের যিনি শৈলীর শাশুড়ী তিনি শৈলীর জন্য অন্ধকারে আলোর সমতুল্য। সেই শ্রদ্ধেয় মানুষটির সাথে জীবনের একটা লম্বা সময় কাটাতে শৈলী না হয় নতুন করে তার ছেলের প্রেমে পড়া শিখে নেবে। নতুন করে ভালোবাসতে শিখে নেবে। যা তাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু মানুষের সান্যিদ্ধে নিয়ে রাখবে।

সর্বপরী ভালোবাসা আছে তাই বলে সম্মান খুইয়ে তা পেতে হবে এর কোনো মানে হয় না। ভালোবাসা সম্মান দেয়, অসম্মান করে না। কখনো না।

শৈলীর ভাবনার মাঝে একটু শক্তপোক্ত হাত তার হাতটি আগলে নিল নিজের আয়ত্বে৷ শৈলী বুঝলো মানুষটা তার ভরসা হতে চাইছে। এমন মানুষকে উপেক্ষা করা যায়? যায় না। শৈলীও পারল না। সেই ভরসার হাতটি ধরে কষ্টগুলো ভাগিয়ে দিতে তৎপর হলো সে। সময় লাগবে কিন্তু সফলও হবে সে। এই বিশ্বাস নিয়েই পাশের মানুষটির সাথে সামনের পথে নিশ্চিন্তে পাড়ি জমালো শৈলী।

সমাপ্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে