আজ আমার বিয়ে পার্ট ০৯+১০ একসাথে

0
2971

আজ আমার বিয়ে পার্ট ০৯+১০ একসাথে
লেখা আশিকা জামান

পিছন থেকে সোহান ভাই এর বাবা মানে আমার খালু বাবাকে চিৎকার করে ডাকলো..
– ইমতিয়াজ কোথায় যাচ্ছো..
আমার ছেলের জীবন নষ্ট করেতো তোমার মেয়ের বিয়ে হতে পারেনা..
আমার একটা মান সম্মান আছে..
আমি এই ছেলে নিয়ে কোথায় যাবো…??
উত্তর দাও..
– আচ্ছা আপনি চাচ্ছেনটা কি ??
একটু ক্লিয়ার করে বলেন…
না তাহলে আমার বুঝতে সুবিধা হয়…
– নাহ ইমতিয়াজ তোমার থেকে আমি অন্তত এটা আশা করিনি..
প্রথমেতো আমার বিষয়টা ফায়সালা করার দরকার ছিলো..
– কোন ফায়সালা??

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



হেয়ালি না করে..
কি বলতে চান বললেই হয়..
– দেখ ইমতিয়াজ আমি এখান থেকে ছেলে খালি হাতে ফিরায় নিয়া যাবো না।
আমি বোঝতে পারছি না আংকেল কি বলতে চাচ্ছে..
ইভানের দিকে তাকালাম..
খুবই উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে তাকাই আছে…
মা দৌড়ে এসে খালুর কাছে এসে দাঁড়ায়.
– দুলাভাই আপনি একটু খোলাসা করে বলেনতো??
আসলে আমারা বুঝতে পারছি না।
আমাদের মনের অবস্থাতো আপনি বুঝতেই পারছেন…
– দেখ তোমাদের মেয়েতো একটা না। আমি চাই নওরিনের সাথে সোহানের বিয়েটা হোক…
মা আর বাবা দুইজন দুইজনের দিকে চোখাচোখি করতে লাগলো…
বাবা নওরিনের দিকে অসহায়ের দৃষ্টিতে তাকালো..
নওরিন হয়তবা বুঝেছিলো সেই চোখের ভাষা।
– দেখুন আমার এখানে কিছু বলার নাই।
মেয়ে যদি হ্যা বলে তাহলে আমাদেরো আপত্তি থাকবে না।
নওরিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে বললো..
সে এই বিয়েতে রাজী..
শুধু আমিই বুঝতে পারলাম বাবার মান সম্মানের দিকে তাকিয়ে সে এই বিয়েতে মত দিলো।
আজকে আমার জন্যই বোনের জীবন্টা কুরবানি হয়ে গেলো।
সাথে বাকী জীবন যে দুই বোন এক হতে পারবোনা সেটাও বুঝলাম।
নিজের জীবনতো কবেই শেষ করেছি.
এখন বাকী যা ছিলো তাও হারাতে যাচ্ছি.
চোখের জল আর বাধ মানছে না। নিঃশব্দে গড়িয়ে পড়ছে..
আমাকে আর ইভানক
একটা রুমে নিয়া গেলো..
ইভানের খুব চোট লেগেছিলো..
তাই আত্নীয় স্বজন দের থেকে কেউ ডাক্তার ডেকে এনেছিল।
ফ্রাস্ট ট্রিট দেয়ার পর বিয়ে পড়ানো শুরু করলো..
আমি আশে পাশে কোথাও বাবাকে
দেখতে পেলাম না।
কবুল বলার সময় আমার কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছিলো..
আমি বুঝে গেছি ইভানকে বিয়ে করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই…
সমস্ত রিচুয়াল মেনেই বিয়ে সম্পন্ন হলো…
এরপর আমার আর ইভানের যাবার পালা…
সবাই আমাকে বিদায় দিয়ে দিলো.
শুধু বাবাই আমার সামনে একবারের জন্য ও আসে নি।
আমি বুঝে গেছি আজকে বাবাকে খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।
জানি বাবা আমাকে কোনদিনো ক্ষমা করবে না।
হয়তবা আমার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দিবে।
কিভাবে থাকবো আমি বাকী জীবন ইভানের সাথে??
যার চরিত্র এত খারাপ??.
তাকে আমি কিভাবে মেনে নিব??
চলে যাওয়ার সময় বোনকে আর মাকে ধরে অনেক কেঁদেছিলাম।
মনে হচ্ছে আমি বাকী জীবনের জন্য ওদের হারিয়ে ফেললাম।
আমি বার বার পিছনে তাকাচ্ছিলাম…
ইভান আমার হাতটা তখনো ধরে ছিলো…
ইভান আমাকে তার বাইকের পিছনে চড়ালো…
আমি ইভানের পিঠে আমার এক হাত রাখলাম…
ইভানের সাথে আগেও আমি বাইকে চড়েছি…
আর ওদের বাসায় ও আমি গিয়েছিলাম একবার।
ইভান আর আমাদের বাসা প্রায় কাছাকাছি…
অনলি ২৫ মিনিট টাইম লাগে যেতে….
একদিন ইভান আমাকে ফোন করে তার সাথে মিট করার জন্য…
আমি রেডি হয়ে চলে গেলাম..
বাসা থেকে বের হতেই দেখি, ইভান রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে…
রিক্সায় উঠতেই ইভান আমার হাত ধরে বসে রইলো..
– জানো আমি না একটা কাজ করেছি..
তোমার পারমিশন না নিয়েই..
– কি করেছো..
ইভান আমার হাত ছেড়ে দিয়ে, কোমর জড়িয়ে ধরলো…
– এই ছাড়ো..
ছাড়ো..
কি হচ্ছে..??
সবাই দেখছেতো..
কি ভাববে..
– আচ্ছা সবাই না দেখলে কি তোমাকে জড়িয়ে ধরতে দিবা..??
খালিতো দূরে দূরে সরাই দেও..
বলেই অভিমানি মুখ করে বসে পড়লো।
আমি ইভানের হাতটা ধরে বললাম…
আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি??
জাহান্নামে নিয়া যাবো না এইটুকু ভরসা করতেই পারো..
এরপর ইভান আর আমি দুজনেই চুপ।
ও আমাকে বাস স্ট্যান্ড নিয়াসলো..
এই তুমি আমাকে এখানে নিয়াসলা কেনো??
তাও আমার বাড়ির রাস্তায়..
আমি কিন্তু তোমাকে বাসায় নিয়া যেতে পারবো না..
আগেই বলে দিলাম।
– এই তোমার বাসা কোথায়??
সেটাই এতদিনেও জানা হয় নাই??
– হুম।
আমিওতো জানি না।
টাংগাইল…
– কি??
– আরে বুদ্ধু হ্যা..
– আরে আমার বাসাওতো টাংগাইল…
– কি কোইন্সিডেন্স…
এত কাছে থেকেও আমাদের দেখা হলো কিনা এখানে আসে…
– হুম আমার চরম আফসোস হচ্ছে..
আগে ক্যান তোমার সাথে দেখা হলো না..
– দেখা হলে কি হতো??
– একদম তুলে নিয়ে যেতাম..
– ইসস কি শখ..
ফাজলামো বাদ দিয়া, এখানে কেন নিয়াসছো সেটা বলো…
– অরিন আমি না কালকে তোমার কথা বাসায় বলে দিছি..
এখন মা আর বাবা তোমাকে আজকেই বাসায় নিয়া যেতে বলেছে…
তাই অরিন এখন তার শ্বশুরবাড়ী যাবে কেমন..
এইটা বলতেই ইভান আমার হাত টান দিয়া ধরে বাসে বসালো..
– এইটা কি হলো??
আমিতো সেইভাবে প্রিপারেশন নিয়া আসি নাই…
আর যদি তোমাকে আমাকে আমার ফ্যামিলির কেউ দেখে ফেলে..
– ধুর কিচ্ছু হবে না..

পার্ট ১০

আমি বাসে যেতে যেতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম..
ঘুম ভাংলো ইভানের ডাকে..
চোখ খুলে দেখি আমি ইভানের কাধে মাথা রেখে শুয়ে আছি…
– কি ম্যাম, বাস থেকে নামবেন না..
– কেন এসে পড়েছি…
বলেই বাহিরে তাকালাম।
– ভালোইতো পুরা রাস্তা আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাইলেন…
– আর তুমি কি করছিলা..
– আমি তো মুগ্ধ নয়নে আমার ঘুমকুমারিকে দেখছিলাম…
– থাক আর দেখা লাগবে না.
– নাহ এখনোতো কিছুই দেখলাম নাহ….
ইভান এইটা বলেই আমার দিকে ফিরে
একটা দুষ্টু হাসি দিলো…
আমি লজ্জায় অন্যপাশে ফিরে বললাম
– তুমি কি নামবা।
এইটা বলেই আমি একাই নেমে আসলাম।
ইভান ও পিছে পিছে আসলো…
আমি ওর দিকে তাকাচ্ছিলাম না..
ও আমার একটা হাত টান দিয়া ওর দিকে ফিরায়..
আমার গালে একটা হাত রেখে বলে
– তুমি কি রাগ করেছো??
– উহু
চল…
আকাশের অবস্থা ভালো ছিলো না..
মনে হচ্ছিলো বৃষ্টি নামবে..
– হুম যাবো।
অনেক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছি কোন রিক্সা পাচ্ছিলাম না।
এর মধ্যেই ঝম ঝম করে বৃষ্টি নামলো।
ভিজে পুরা একাকার অবস্থা।
কোনরকম একটা রিক্সা যোগাড় করে ঊঠে বসলাম।
রিক্সাটা একটা চারতলা বাসার সামনে থামলো..
ইভানের কাছে একটা এক্সট্রা চাবি ছিলো.
গেটটা খুলে ইভান আমাকে দোতলায় নিয়া গেলো…
তারপর লক খুলল ইভানের ক্লাস এইটে পড়ুয়া বোন ইরা..
আমাকে দেখেই সে মা মা করে পুরা বাড়ি অস্থির করে ফেললো.
ইভানের মা আসলেই আমি তাকে সালাম করলাম..
– থাক থাক মা, সালাম লাগবে না। তাড়াতাড়ি ভিতরে আয় মা।
ভিজে কি অবস্থা..
ইরা যাতো একটা টাওয়েল নিয়াই…
কি কষ্টের মধ্যে ফেলে দিলাম তোদের??
– না আন্টি কিসের কষ্ট??
খুব ভালোভাবেই আসছি..
– এই কিসের আন্টি.
মা ডাকো..
মা..
এটা বলেই একদম কাছে চলে এলো..
আমিও তাকে মা বলে জড়িয়ে ধরলাম।
– ও মা অরিন।
তোর তো পুরা জামা ভিজে গেছে..
আয় আমার সাথে আয়..
উনি আমাকে উনার ঘরে নিয়া গেলেন।
সোনালি জরি পাড়ের একটা লাল শাড়ি, ব্লাউজ, পেটিকোট বের করে দিলেন।
– এইগুলো তোর লাগবে মনে হয়..
আমার যখন প্রথম বিয়ে হইছিলো তখনকার শাড়ি এইটা…
– খুব সুন্দর..
– হুম তোকে খুব মানাবেরে।
তোকে আমার খুব প্রছন্দ হইছেরে।
এইরকম একটা ছেলের বউইতো আমি চেয়েছি…
আমি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছিলাম..
উনি আমাকে ড্রেস চেঞ্জ করে তাড়াতাড়ি খাবার টেবিলে আসতে বললেন।
কিন্তু আমি যে শাড়ি পড়তে জানি না।
সেটাইতো বলা হলো না।
আমি শাওয়ার নিয়ে কোনরকমে শাড়ীটা পড়ে আসলাম।
ভালো করে পড়া হয় নাই।
ভেজা চুলে টপটপ করে পানি পড়ছে…
আমি সামনের দিকে তাকাই দেখি, ইভান জানি কেমন দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাই আছে…
ইভান আমার সামনে এসে বলে..
– তোমাকে না বউ বউ লাগছে..
খুব সুন্দর লাগছে..
আগে কখনো এইভাবে দেখিনিতো…
আমি ইভানকে ভেংগিয়ে দ্রুত যেতে লাগলাম…
আমি শাড়ীর কুচিতে প্যাচ খেয়ে পড়ে যেতে লাগলাম..
ইভান দ্রুত আমাকে ধরে ফেললো…
– কি ম্যাম.
শাড়িটাও পড়তে জানেন না। আরেকটু হলেইতো..
থাক আসো কুচিটা ঠিক করে দেই…
আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম..
ইভান কি সুন্দর ভাবে শাড়ির কুচি ভাজ করতে লাগলো…
আমি মুগ্ধ নয়নে দেখতে লাগলাম।
– আচ্ছা আমি কুচিটা গুজে দেই..
তোমারতো ভরসা নাই..
যার তার সামনে শাড়ী খুলে গেলে আবার আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে…
এটা বলেই সে আমার শাড়ীর কুচি গুজতে আসলো..
ইভানের হাতের স্পর্শে আমি এক পা করে পিছাতে লাগলাম..
ইভান ইচ্ছা করে আমার নাভিতে শুড়শুঁড়ী দিতে লাগলো..
আমি অদ্ভুতরকম শিহরণে অস্থির হয়ে গেলাম…
পিছাতে পিছাতে বিছানায় ধপ করে বসে পড়লাম…
ইভান আমাকে ধরে ফেললো..
আমার দুই কানের পিছের চুলগুলোতে দুই হাত রেখে,
আমার ঠোটে চুমো দিতে লাগল…
সেই প্রথম চুমো..
অদ্ভুত রকম ভালোলাগা..
আমি উত্তেজনায় অস্থির হয়ে গেলাম…
জানি না কতক্ষন এভাবে ছিলাম…
আমি ইভানের শার্টএর কলার ধরে সোজা বিছানায় আমার উপরে নিয়ে ফেললাম…
ইভান উঠে আসতে চাইছিলো..
কিন্তু আমি দিচ্ছিলাম না।
ইভান আমার চোখের ভাষা বুঝে ফেলেছিলো…
আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে..
– অরিন সরি…
আসলে তোমাকে এইভাবে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি নি।
আর আমাকে উঠতে দাও..
বাসর রাত বলেতো একটা বিষয় আছে নাকি??
বাকিটা না হয়..
সেদিন ই হলো…
আমি ইভানকে ধাক্কা দিয়া সরিয়ে দিয়ে উঠে পড়লাম..
– এই অরিন শোন….
শোন না..
কে শুনে কার কথা আমি ডাইনিং চলে গেলাম…
ইভানের ধাক্কাতে আমার ভাবনার অবসান হলো..
– অরিন কখন থেকে ডাকছি??
এই তুমি কি ভাবছো এতো…
আমি কিছু না বলেই নেমে পড়লাম..
আচ্ছা আজকেই কি ইভানের মা আমাকে সেইদিনের মত আদর করবে??
আমাকে ভালোবাসবে??
সামনে তাকাই দেখি ইভানদের বাসা।
এতক্ষন খেয়ালি করিনি..
আমি ইভানের পিছে পিছে হাটতে লাগলাম।
ইভান কলিং বেল চাপতেই..
ওর মা দরজা খুললেন..
– ইভান তোর এই অবস্থা। কি করে হলো…
তোকে এইভাবে কে মেরেছেরে বাপ..
বলেই কান্না শুরু করে দিলো।
– মা আমার কিছু হয় নাই…
দেখ একদম ঠিকি আছি…
যুদ্ধতে তো একটু ফাইটিং হবেই…
না হলে কি সারাজীবন মনে থাকবে…
তোমার বৌমা কে বরন করবা না??
– ইরা বরণ ডালা টা নিয়ায়.
ইভানের মা আমাকে ধান দুর্বা দিয়া বরন করে ঘরে তুললো….
ইভান ওর মা কে জড়িয়ে ধরে বললো…
– মা তুমি মুখটাকে এমন করে রাখছো কেনো??.
তোমার ছেলে তার কথা রেখেছে..
তুমি কি হ্যাপি না..??
– হ্যা রে খুব খুশি…
এতক্ষন আমি শুধু আল্লাহকে ডাকছিলাম রে।
আল্লাহ আমার কথা শুনেছে রে..
আমি ইভানের মাকে সালাম করলাম।
উনি আমাকে আর ইভানকে তার বুকে টেনি নিয়ে আদর করলেন।
তারপর ইভানকে আর আমাকে রুমে নিয়া গেলেন…
তখন অনেকটা রাত হয়ে গেছিলো..
চলবে।।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে