আজ আমার বিয়ে পার্ট ০৬+০৭+০৮ একসাথে
লেখা আশিকা
আমার বুঝতে বাকী রইলো না এটা ইভানের প্ল্যান।
আমি উঠে আসতে লাগলাম..
ইভান পিছন থেকে এসে আমার হাত ধরে…
— আরে কই যাও..
আমি আমার হাত দিয়ে ওর হাত ছাড়িয়ে দেই…
— আমাকে যেতে দাও।
আগে জানলে আমি সত্ত্যিই আসতাম না।
ইভান আমার দুই গাল তার দুই হাত দিয়া ধরে উপরে তুলে…
— আমাকে কষ্ট দিতে তোমার খুব ভালো লাগে নাহ..
ইভানের দুই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে..
তোমার কি আমার উপর এক্টুকুও বিশ্বাস নেই..
আমি কি এইরকম কিছু করতে পারি..
সারা পৃথিবী বদলে গেলেও ইভান তার অরিনকে ঠিক নিজের করে নিবে…
আমি চুপ করে ছিলাম..
মনটা গলে নরম হয়ে গেছে.
— অরিন কিছু তো বলো..
তোমার কিসের ভয়??
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
বলো.
আমি আর থাকতে পারছিলাম না। ইভানকে জড়িয়ে ধরে কাদতে কাদতে বললাম.
— তোমাকে হারানোর ভয়…
তোমাকে হারালে আমি যে শেষ হয়ে যাবো।
ইভান আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে..
— তোমার ইভান, তোমারি ছিল, তোমারি আছে, তোমারি থাকবে…
সেদিনের সে কথাগুলো যে শুধু মন রাখার কথা ছিলো তা কে জানতো??
ইভান আমার জোড়াজোড়িতে সে আর টুকটুকিকে পড়াতে যায় না বলে স্বীকার করে..
কিছুদিন পর ইভান আমাকে বলে কালকে টুকটুকির জন্মদিন তাকে নাকি ইনভাইট করেছে..
আমি ওকে যেতে স্পষ্ট না করে দেই…
কিন্তু ইভান আমাকে বোঝায় টুক্টুকি তাদের রিলেটিভ এখন কি করে না করে…
তার পর দিন আমি বিকেল থেকে ইভানের ফোন সুইচড অফ পাই…
আমার কেমন যেন দু:শ্চিন্তা হচ্ছিলো..
যা ভেবেছিলাম তাই হলো…
পরদিন টুকটুকি আমাকে ফোন করে..
ওর ফোনে আমার কলিজা কেপে উঠে.
হ্যালো বলতেই
ওপাশ থেকে..
— আপি কেমন আছেন??
— ভালো, তুমি??
— ওহ আমি??
আমিতো খুব ভালো। ভালোতো আমারি থাকার কথা…
সময়তো এখন আমার হাতে..
— মানে??
— সিম্পল
ইভানের ভালোবাসা যে পায় সে কি খারাপ থাকতে পারে??
— এইগুলা কি বলছো??
ক্লিয়ার কর..
— ওয়েট আপি।
আপনি না আমার বড় বোনের মত, তাই বললছি কেন অযথা ইভানের পিছে ঘুরছেন।
ওতো শুধু আমাকে ভালোবাসে.
আপনাকে নয়…
কালকে সারাটা বিকেল ইভান আমাকে দিয়েছি।
আচ্ছা আপি ইভান কি তোমাকে কখনো আদর করেছিলো…??
আচ্ছা তোমাদের সব হয়েছিল??
আমাদের কিন্তু কালকে সব হয়ে গেছে…
— টুকটুকি মুখ সামলে কথা বলো।
কি সব বানিয়ে বানিয়ে বলছো..??
আমি তোমাকে বিশ্বাস করি না..
— জানতাম। তোমার মত বোকা মেয়ে ঠিক ইভানকে বিশ্বাস করবে..
তুমি মেসেঞ্জারে যাও প্রোভ দিচ্ছি..
বলেই ফোন্টা কেটে দিলো।
আমার হাত পা কাপছে..
সারা শরির ঘামছে…
ফোন্টা হাতে নিয়ে..
তড়িঘড়ি করে নেট অন করি..
.যাহ দেখলাম তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
টুকটুকি সেন্ড ইউ ফাইভ ফোটোস…
ইভান খালি গায়ে একটা রুমে শুয়ে আছে..
বেডের উপরে দিকটায় ওয়ালে টুকটুকির এক্টা বড় ছবি..
বুঝতে বাকি রইলো না এটা টুকটুকির বিছানা।
পরের ছবিগুলোতে টুকটুকি ইভানকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে…
এইটা দেখার পর আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেল…
নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিলাম না…
নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো..
কিছুদিন আগে অসুস্থতার সময় ডাক্তার কিছু ঘুমের মেডিসিন দিয়েছিলো…
এক্সাম ছিল তাই নিয়ম করে সবগুলো খাই নাই…
তখন আর মাথা কাজ করছিলো না সবগুলা ঘুমের ওষুধ একবারে খেয়ে ফেলি..
–সবাই যখন বুঝতে পারে যে আমি ঘুমের ওষুধ খাইছি, তখন আমাকে হস্পিটালে নিয়ে যায়…
ইভানকেও জানানো হইছিলো.
সেও সাথে আসছিলো..
আমার অবস্থা খুব ক্রিটিক্যাল ছিলো.
ডাক্তার বলেছিলো আর একটু পর নিয়াসলে আমাকে আর বাচানো যেত না।
চলবে।।
#আজ আমার বিয়ে
লেখা আশিকা
পার্ট ০৭
ইভান আমাকে ধরে বার বার জিজ্ঞাস করে, আমি কেন এমনটা করলাম..
আমি পুরা নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম।
মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয় নাই।
পরে ডাক্তার বলেছে ওনার শরীর খুব দুর্বল, ওনাকে এইভাবে প্রেশার ক্রিয়েট করবেন না।
ইভান থেমে যায়।
এরপর আমি ইভানের সাথে কোনরকম যোগা্যোগ করি নাই, আর সে যে করবে সে রাস্তাও খোলা রাখিনি.
এরপর আমার এক্সাম শুরু হয়, আমি এক্সাম দিতে যাই।
হল থেকে বের হওয়ার পর ইভানের সাথে আনফরচুনেটলি দেখা হয়ে যায়..
আর কে ফিরায় ইভানকে.
— অরিন দাড়াও..
আমি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে থাকলাম
ইভান আমার হাত টান দিয়া ধরে..
— এইসব কি??
আমি পাগল হয়ে যাবো??তুমি এমন করলে।
প্লিজ তুমি আমার ভালবাসা নিয়া এইভাবে খেলতে পারো না…
আমি মরে যাবো প্লিজ..
এমন করোনা…
এটা বলতেই আমি ইভানের গালে ঠাস ঠাস করে দুইটা থাপ্পড় দেই…
এটা দেখে ইউনিভার্সিটির অনেক ছেলেই আমাদের দিকে এগিয়ে আসে…
আফটার অল ইভান আমার সিনিয়র.
তাই তারা প্রায় খেপে গেছিলো.
ইভান থাপ্পড় খেয়ে কিছুটা সময় নিলো নিজেকে সামলে নেয়ার জন্য।
এরপর সে বাকী সবাইকে চলে যেতে বলে..
আমি রাগে ফেটে পড়ি
— আর কত নাটক করবা বলো??
এইবার এইসব বন্ধ করো…
আমি ফেড আপ
জাস্ট ফেড আপ..
প্লিজ আমাকে আমার মত থাকতে দাও..
আর কোনদিন আমাকে ডিস্টার্ব করবানা।
—
তুমি কি পাগল হয়ে গেছো..
কি হয়েছে অরিন??
কেন এমন করছো??
— কিছুই জানো না নাহ
এখন ভাজা মাছ টাও উলটে খেতে জানোনা..
আমি ওকে শেয়ার ইট অন করতে বললাম।
ইভান পিক গুলো দেখে আকাশ থেকে পড়লো যেন…
এমন ভাব করলো…
আমি আর কিছু না বলে দ্রুতগতিতে চলে আসলাম।
এরপর আর কোন যোগাযোগ করিনি।
আমার ভাবতেও খারাপ লাগে , আমি এমন একটা মানুষকে ভালোবেসেছিলাম।
আমি অঝোর ধারায় কাঁদছিলাম।
হঠাৎ রিংটোন বেজে উঠলো..
নওরিন আমার কানে ফোন গুজে দিলো..
তমা আপু ফোন দিয়েছে…
হ্যালো বলার আগেই
– কিরে অরিন, কোন খবরিতো নিস না আমার। আর ট্রিট কবে দিবো??
– কিসের ট্রিট??
– ও মা, মেয়ের কি ভাব দেখো..
ইভান আজকে সকালে নিজে আমাকে ফোন করে বলেছে যে, ওর বাংলাদেশ ব্যাংকে জব হয়েছে..
তাহলে ট্রিটতো তোর কাছে পাইই??
– ও গুড নিউজ।
তুমি হয়তবা জানোনা ২ মাস যাবৎ ইভান আর আমার ব্রেকাপ হইছে।
আর একটা কথা তোমাকে জানোনা হয় নাই।
ইনফ্যাক্ট আমি নিজেও জানতাম না।
বাবা ২ দিন আগে মার অসুস্থতার খবর জানিয়ে বাসায় আসতে বলে।
আমি বাসায় এসে দেখি, আমার খালাতো ভাই সোহানের সাথে বিয়ের তোড়জোড় চলছে।
আর কিছু বোঝার আগেই আজকে আমার বিয়ে…
– কি??
– হু জা শুনেছো ঠিকি শুনেছো…
– তুই চুপচাপ মেনে নিলি।
তুই পারবি ইভানকে ভুলতে.
– হয়তবা পারবোনা, কারন ইভানকেতো আমি সত্ত্যিই ভালোবেসেছিলাম, সে যেমনি হোক…
– এখনো সময় আছে। তুই ইভানকে একবার জানা.
– আপু তুমি হয়তবা জানোনা, ইভানের সাথে বাকী জীবন কন্টিনিউ করা আমার পক্ষে পসিবল না।
প্লিজ আজকে আর এইসব বলো না.
– অরিন, তুই এতটা পাল্টাতে পারিস কিভাবে??
– সেটা ইভানকেই জিজ্ঞাস করো।
কেমন..
রাখছি…
আমি তখনো কাঁদছিলাম।
– আপি প্লিজ কান্না বন্ধ কর, সাজটা কম্পলিট কর।
দেখ যা হবার তা হয়ে গেছে। এখন আর ভেবে কি হবে..
পার্লারের মহিলা আমাকে সাজাতে লাগলো.
– এই আংটিতা খুলুন, এইটা মানাচ্ছে না…
হাতের দিকে তাকাতেই ইভানের দেয়া আংটিটা আমাকে ইভানের কথা মনে করিয়ে দিলো…
নাহ পারছি না, যত ভুলতে চাই স্মৃতিগুলো তত কুড়ে কুড়ে খায়…
আমি রাগে আংটিটা টান দিয়ে খুলে ছুড়ে মারি..
নওরিন দৌড় দিয়ে আংটিটা তুলে আনে..
– আপি তুই কি??
আংটিটাতো হারিয়ে যেতো…
এইভাবে কেউ ছুড়ে মারে..
গহনাগুলো পড়ানো শেষ হলে,
আমার মাথায় সুন্দর করে উড়না দিয়ে দেয়া হলো..
পার্লারের মহিলা আমাকে ধরে বললো..
-দেখুনতো কেমন সুন্দর লাগছে…
নাহ আমার তাকাতে ইচ্ছা হচ্ছে না।
আমার বিষন্ন মুখটাকে কেমন হাসিখুশি বানিয়ে দিয়েছে।
বাহির থেকে বোঝার উপায় নেই আমার ভিতরটা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে…
আমি আর দেরি করলাম না
নওরিনের সাথে বাসায় আসলাম।
চলবে
#আজ আমার বিয়ে
পার্ট ০৮
আশিকা জামান
আত্নীয় স্বজন রা সবাই একে একে আমাকে দেখতে আসছে, আর যার যার মুখের বুলি আওড়ে যাচ্ছে।
আমার সবকিছু অসহ্য লাগছে…
কতক্ষন থেকে বসে আছি,
বাট বর আসার নাম ও নেই।
সেইসাথে আরতো কিছুক্ষন পর অন্যকারো হয়ে যাবো এটা ভাবতেই আমার শরীরের লোমগুলো দাঁড়িয়ে যাচ্ছে….
কিছুক্ষন পর দেখি বাসায় অনেকটা হৈ হৈ শব্দ..
সবাই দৌড়ে যাচ্ছে আমাকে একা ফেলে….
বুঝলাম বর এসেছে..
সবাই সবার ফর্মালিটি নিয়া বিজি, আমার মত আমি একলাই পড়ে রইলাম..
সবাই খাওয়াদাওয়া শেষ করলে কাজী সাহেব আসলেন বিয়ে পড়াতে…
নিচে কিসের যেন চিল্লাচিল্লি শুনা যাচ্ছে…
চিল্লাচিল্লি শুনে সবাই বিয়ে পড়ানো বাদ দিয়া নিচে নামতে লাগলো…
আমার মনে হচ্ছে কেউ যেন আমার নাম ধরে ডাকছে…
আমি ভিড় ঠেলে সামনে যেতেই দেখি…
আমার হবু বর সোহান ভাই..
ইভানকে বলতেছে..
– এই ছেলে তোমার সমস্যা কি??
কখন থেকে উল্টাপাল্টা কি সব বলে যাচ্ছ..??
কয়টা মার পড়লেই কথা সব উল্টে যাবে??
যাহ এখান থেকে..
এখনো সময় আছে..
সিনক্রিয়েট করার আর যায়গা খুজে পেলি না..
– নাহ, যাবোনা। আমার অরিনকে না নিয়ে কোথাও যাবো না। সাহস থাকেতো ওকে ডাকুন..
সত্যিটা ওই বলবে..
এইটা বলতেই সোহান ভাই ইভানকে মারতে লাগলো…
সাথে আরো ২-৩ জন যোগ দিলো…
আমি আর এই দৃশ্য দেখতে পারছিলাম না।
মনে হচ্ছিলো যেন প্রতিটা আঘাত আমার শরীরেই লাগছে..
আমি চিৎকার করে সবাইকে থামতে বললাম…
কিন্তু কেউ আমার কথা শোনছে না।
আমি দৌড়ে বাবার কাছে ছুটে গেলাম..
-ও বাবা , বাবা
তুমি তুমি সবাইকে থামতে বলো না.
ও বাবা বলেই বাবার পায়ে পড়ে গেলাম।
বাবা ওরা ইভানকে মেরে ফেলবে…
তুমি কিছু করো বলেই কাদতে লাগলাম…
– অরিন উঠ..
শান্ত হ…
বাবা ওখান থেকে ইভানকে ছাড়িয়ে আনলো..
কি অবস্থা করেছে মেরে পুরা মুখ ফুলে গেছে…
কপাল, পিঠ ফুলে গেছে।
ইভান এখানে কেন এসেছে আমি সেটাই বোঝতে পারছি না…
আর সবাই ইভানের প্রতি এইরকম মারমুখো হয়ে আছে ক্যানো??
ইভান চোখের সামনে আমাকে দেখতে পেয়ে সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরে…
অরিন তোমাকে অন্য কারো হতে দিতে আমি পারবোনা।
তুমি একটা বার আমাকে জানালেও না।
তুমি আজও বোঝলে না কতটা ভালো বাসি তোমাকে…
ওই মুহুর্তে পুরোনো কোন কিছু আমার মাথায় আসছিলো না…
আমি চোখের সামনে ইভানের এই রক্তাক্ত অবস্থা দেখে নিশ্চুপ চোখের জল ফেলছিলাম…
– ইভান প্লিজ ছাড়ো…
সবাই আছে..
এখানে..
আমি ওকে ছাড়িয়ে দিলাম..
ইভান আমার হাতটা শক্ত করে ধরে দাড়ালো…
সামনে তাকিয়ে দেখি সবাই চোখ লাল করে দাঁড়িয়ে আছে…
আমি ইভানের দিকে তাকিয়ে বললাম…
– চলে যাও এখান থেকে।
আর এসোনা..
– চলে যাবার জন্যতো আসিনি।
ইভান সবার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বললো.
– কি এইবার সবার বিশ্বাস হলোতো অরিন আমাকে ভালোবাসে…
প্রমান চেয়েছিলেন না এবার পেয়েছেন…
চাইলে আরো আগে অনেক প্রমান দিতে পারতাম..
কিন্তু আমি সেটা করিনি.
বাবা লজ্জায় মাথা হেট করলেন।
সোহান ভাইয়া আমার দিকে আংগুল তুলে বললেন…
– অরিন আমার মান সম্মান নিয়ে এইভাবে তুমি না খেললেও পারতে.
আমি কাদছিলাম…
এরপর সবাই আমাকে যাতা কথা শোনাতে লাগলো…
এইগুলা শুনে মনে হচ্ছিলো আমি মাটিতে মিশে যাই।
– ছিঃ কেমন মেয়েরে বাবা!!
বাপের মাথা এইভাবে সবার সামনে হেট করলো..
– আমার মেয়ে হলে কবেই নুন খাওয়াই মেরে ফেলতাম।
– আগে বললেই হতো এই নাটক আর দেখা লাগতো নাহ….
বাবা এসে একদম আমার কাছে এসে দাড়ালো.
ভয়ে আমার হাত পা জমে যাচ্ছিলো…
সবার দিকে তাকিয়ে বললো
– আপনারা থামুন দয়া করে।আমার মেয়ের হয়ে আমি আপনাদের সবার সামনে হাত জোড় করে ক্ষমা চাচ্ছি..
পারলে সবাই ক্ষমা করে দিবেন…
বাবা আমার মাথায় একটা হাত রেখে বললো.
– তুই আমার প্রথম সন্তান। প্রথম বাবা ডাকার স্বাদ তুই আমাকে দিয়েছিস। খুব যত্নে তোকে মানুষ করেছিরে..
মেয়ে বলে কখনো অবহেলা করিনি…
তোর কোন চাওয়া অপূর্ন রাখিনি…
আসলে ভেবেছিলাম আমিই তোর ভালোটা বুঝি, তুই নিজের ভালোটা বুঝতে শিখিস নাই…
কিন্তু তুই আমার চোখে আংগুল দিয়ে দেখাই দিলো, তুই বড় হয়ে গেছিস রে মা।
নিজের ভালোটা বুঝতে শিখেছিস..
আমি আজকে খুব খুশিরে..
সাথে আর একটা কথা ভেবে আমার খুব কষ্ট লাগছে,
কি জানিসতো তুই আমাকে এতটা ভয় পাস…
কখনো ভালোবাসা টা বুঝলি না শুধু শাসন্টাই দেখলি..
আমি বাবার মুখের দিকে তাকাই দেখি জল গড়িয়ে পড়ছে…
আমার ভেতরটা কষ্টে খা খা করছে..
– বাবা ও বাবা তুমি আমাকে বকো, মার, যা খুশি তাই করো..
এইগুলা কি বলছো??
বাবা আমাকে থামিয়ে দেয়…
-কাজী সাহেব আমার মেয়ের বিয়ে পড়ান তার প্রছন্দের ছেলের সাথে…
-বাবা আমার একটা কথা শোন…
– না অরিন।
বাবা সামনে থেকে চলে গেলো…
চলবে।।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/