আজকে আমার মন ভালো নাই পর্ব-০১

0
483

আজকে আমার মন ভালো নাই।
নাহিদা সানজিদ ।

১.
“আমাদের বাসার মানুষদের অদ্ভুত এক ব্যামো আছে। যেমন ধরুন, কেউ চাচ্ছে না বিয়ে করতে, তাকে জোর করে ধরে হলেও কবুল বলিয়ে নেওয়া ফরজ হয়ে দাঁড়াবে। আবার, কেউ বিয়ে করার জন্য মরিয়া, তাকে সবক দেওয়া হবে সাওম পালন করার। অর্থ্যাৎ বিবাহ করা ইলম অর্জনের পথে বাধা। তাহার এখন কোনোমতেই বিবাহ হওয়া যাইবে না।

পরিবারের এই ব্যামোর শিকার হতে চলেছে আমার বড় ভাই। বাবা শখ করে নাম রেখেছিলেন রুমি। কোথায় নাকি এ নামে একজন বিখ্যাত কবি টবি ছিলেন। আমার অত জানাশোনা নেই। বেচারা বিয়ের দুঃখে কেঁদে ফেললো। কিছুতেই সে বিবাহ করবে না। আমি ওর পিঠে হাত বুলিয়ে বললাম, ‘মেয়েদের মতোন কাঁদছিস কেন? মনে হচ্ছে তোকে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেটেকুটে। আশ্চর্য!’

এত বড় ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে, অথচ কেঁদে একাকার। তাকে কিছুতেই স্বান্তনা দিয়ে মানানো গেলো না। টেবিলে মাথা ফেলে দুঃখভরা চোখে চেয়ে রইলো শূন্যে। একটু ঢঙ করুক। কদিন পর দেখবো, বউয়ের আঁচল তলায় মুখ লুকিয়ে হাঁটছে। ভাতের মতো উতলে ওঠা প্রেমে ঘরে টেকা যাবে না ছ-সাত মাস। এসব আমার খুব ভালো করে জানা আছে। বাঙালি ঘরের ছোট মেয়ে তো। অনেক কিছুই আন্দাজ করতে পারি। যদিও আমার বয়স খানিকটা কম, তবুও বাবা বলেন, আমার মাথা ভালো। বাকি দুটোর মতো গর্ধভ গোছের নই।

এই ঘটনাটা লিখে রাখার একটা কারণ আছে। আমার গর্ধভ বড় ভাইজান যখন বউয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া শুরু করবেন, তখন আমি চট করে লেখাটা হেঁকে হেঁকে পড়তে শুরু করব। রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করব, আমার হবু ভাবীর বর তাকে বিয়ে করতে কতটা অনিচ্ছুক ছিলেন। আর আমার ব্যামো মাথার পরিবার তাদের সিদ্ধান্তে কতটুকু সঠিক। মোটামুটি ঘরে একটি লঙ্কাকাণ্ড বাঁধলে এই পরিশ্রমটুকু সার্থক হবে। সংসারে ননদের ভূমিকা পালন না করলে কী হয়?”

মারওয়া লেখা শেষ করে কালো রঙা ডায়েরীটায় চাবি ঘোরালো। ওর বাবা আব্দুর রহমান সাহেব তার তেরোতম জন্মদিনে ঠিক আনা ফ্রাঙ্কের বাবার মতো একটি লক ডায়েরী উপহার দেন। মারওয়াদের ঘরে কখনো কারো জন্মদিন পালন করা হয় না। তেরোতম জন্মদিনে এই আকস্মিক চমকে মারওয়া অবাক না হয়ে পারেনি। আব্দুর রহমান সাহেব মানুষ হিসেবে শৌখিন। নরম গলায় বললেন, “মা, তোমার মতো বয়সে আনার লেখা ডায়েরীটা এখন বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ডায়েরীতে তুমি তোমার সুখের স্মৃতিগুলো লিখে রেখো, যেন দুঃখের সময় তা তোমার সঙ্গী হয়। কখনো মন্দ স্মৃতি লিখো না, দুঃখচারণ কোরো না। দুঃখচারণের জন্য আকাশ আছে। আকাশের মালিককে দুখের গল্প বলবে। মনে থাকবে?”

মারওয়া তার ডায়েরীর নামকরণ করলো। ডায়েরিটির নাম “আজকে আমার মন ভালো নাই”। অবশ্য সে এ নামে কখনো ডাকে না। দেওয়ার জন্য দেওয়া। বাবার কথা ও ফেলতে পারে না। অনিচ্ছা স্বত্তেও টুকটাক লেখে। আজ তেমনি একটা দিন। ওর যখন খুব মন খারাপ থাকবে, তখন মাঝেমাঝে ডায়েরীটা পড়বে। আর মনে মনে ভাববে, ও আগে কতই না পাগলাটে ছিলো!
ভাইয়া বলে, বড় হলে মানুষ এত স্বতঃস্ফূর্ত থাকতে পারে না। দুনিয়ার বোঝা চেপে গেলে কৈশোরের উৎফুল্লতা মিঁইয়ে যায়। মারওয়ার যদিও তা মনে হয় না। শুধু মনে হয় রুমি তার নামের মান রাখছে। কথায় কথায় নাটুকে কথা বলে নিজেকে কবির সঙ্গে অযাচিত তুলনা করার চেষ্টা। মারওয়া তার বড় দুজন ভাই-বোনের বোকামিতে চরম বিরক্ত হতে শুরু করেছে। এ জগতে সব বড় ছেলেরা গাধা আর বড় মেয়েরা গাধী হয় বলেই ওর ধারণা।

**
সাফার দাদী পান চিবুতে চিবুতে অসংখ্য বার এ জীবনে বলে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টি পুনরায় রোমন্থন করছেন। তিনি প্রায়শই তার জীবনের প্রথম প্রেমের গল্পটি বলে বেজায় আনন্দ পান। দাদাজানের সঙ্গে তার পরিচয়ের ঘটনাটি। তারা একই এলাকার ছেলে মেয়ে ছিলেন। ছোটবেলা থেকে একটু আধটু ছেলেমানুষী মনোমালিন্য নিয়ে বড় হওয়া। তিনি পড়তেন বাল্যশিক্ষা বই। তখন তাদের টাক মাথার উস্তাদে আজম বেশ কায়দা করে সুরে সুরে পড়াতেন, “My Head অর্থ আমার মাথা।”
এর পরপরই কোনো কাজে তিনি বাহিরে গেলেও শিক্ষার্থীরা বাতলে দেওয়া সবকটি সুরে সুরে চিৎকার করে পড়ত। পড়ার শব্দে মন জুড়িয়ে যেতো পথচারীদের। ঠিক তখনি তার দাদীর মাথায় টোকা দিয়ে দাদাজান বলতেন, “কীসব ভুলভাল বকছিস? বল, My head অর্থ মাষ্টরের মাথা। মাষ্টর কী বলল শুনিস নি? বলেছেন, মাই হেড অর্থ তার নিজের মাথা।”
তার দাদীজান ছিলেন অত্যন্ত সুদর্শনা রমণী। হালকা বাদামি রঙা চোখের মনি ছিলো তার। গায়ের রঙ ফকফকে ফর্সা। এ ধরনের মেয়েরা যে কিছুটা বোকা কিসিমের হয় তা তো জানা কথা। তিনি চোখ বন্ধ করে দাদাজানের কথা শুনে বেশ কয়েকবারই শাস্তির স্বীকার হয়েছেন। দাদাজান যে কিশোর বয়সে দুরন্ত ছিলেন তা বুঝতে পারলো সাফা। সাফার গায়ের রঙও ঠিক তার দাদীর মতন। লোকে বলে, যৌবনে ঠিক তার মতো দেখতেই ছিলেন তার দাদী নূরজাহান।

তার দাদী ঘটনা বলে যেতেই থাকলেন। তার কথা বলা ভীষণ পছন্দের। প্রায় মেয়েরই এটি পছন্দের কাজ। কিন্তু সাফা তার উল্টো। সে শুনতে বেশ পছন্দ করে। ভেবেচিন্তে গুছিয়ে অল্প কথা বলা তার ভালো লাগে। দাদীর ঘটনাটি শুনতে তার মন্দ লাগছে না। তার দাদীজান বেশ রসিক মানুষ। পড়াশোনা তার ওই বাল্যশিক্ষাতেই আটকে ছিলো। দস্তখত দেবার মতো যোগ্যতায় পৌঁছানোর আগেই ঘরের সৎ মায়ের রোষানলে পড়ে তা ক্ষান্ত দিতে হয়। বুড়ো বয়সে অনেক চেষ্টার পরও কাঁপা কাঁপা হাতে তা আর আয়ত্ব করতে সক্ষম হননি। তাই বলে তাকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। চার ছেলের মধ্যে সবাই বর্তমানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ভালো অবস্থানেই আছে। সাফা দাদীর গায়ে হেলান দিয়ে ভাবলো, তার দাদীজানকে রত্নগর্ভা পদক দেওয়া উচিত। তার দাদীর বিয়ের ঘটনায় সে এবার মনোযোগী হলো। বেশ প্রেমময় একটি ঘটনা।

তার দাদীজান বেড়ার ঘরে শুয়েছিলেন। আকাশে তখন পূর্ণ চাঁদ জ্বলজ্বল করছে। বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে হালকা আলো ঢুকে পড়েছে তাদের ঘরে। বড় হবার পর বাড়ির ছেলেদের সঙ্গে স্বভাবতই একটু দূরত্ব তৈরি হয়। দাদাজানের সঙ্গে তখন আর কথাবার্তা নেই। বেড়ার দরজা খুলে দাদীজান ভরা চাঁদের আলোয় খেয়াল করলেন একজন সুঠাম দেহের পুরুষ দূরত্বে দাঁড়িয়ে। দাদাজান কী লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলেন নাকি?

সাফা আশ্চর্য হলো। এ রহস্য কেবল দাদাজানই বলতে পারবেন। কিন্তু এ কথা জিজ্ঞেস করার সাহস এ বংশে কারোর নেই। সাফা ধারণা করলো, মাতৃহারা এই রূপসী নারীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন দাদাজান। তাইতো তড়িঘড়ি করে মায়ের অমতে জোর করে বিয়ে করে নেওয়া। দাদীর গল্প শেষ। বিয়ের দিনের অনেক গল্প বললেও তিনি প্রেম পরিণয়ের গল্প শেষ পর্যন্ত আর বললেন না। দাদীর মতে, ছেলের পছন্দ হওয়াটুকু পর্যন্তই প্রেম। এরপর ডিশমিশ। সে মুখ ফুটে জিজ্ঞেস করতে পারলো না, হুট করে একজন অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে বিয়ে নামক বন্ধনের মাধ্যমে তিনি কী করে এত সহজ সরল ভাবে মিশে গেলেন?

ব্যাপারটা ওর কাছে অদ্ভুত লাগে। মানব সম্পর্ক সাফার কাছে জটিল একটি সমীকরণ। এর মধ্যে আরো জটিল নর-নারীর মন সংযোগ জাতীয় বিষয়গুলো। সাফা কিছু না বলে এসব ভাবতে ভাবতে তার দাদীর চুলে বিনুনি গেঁথে গেলো। মারওয়া সকালে কিছু নয়নতারা ফুল এনে রেখেছিলো পাশের টেবিলে। সেগুলো একটা একটা করে বিনুনির ভাঁজে বসিয়ে দিলো। তার দাদীর কুচকে যাওয়া দেহ সৌষ্ঠব দেখে যে কেউ আন্দাজ করতে পারবে, এ নারী তার যৌবনের প্রথম প্রহরে চোখ ধাঁধানো সুন্দরী ছিলেন। সাফা মনে মনে নিজেকে শুধরে নিলো, “সৌন্দর্য মানুষের মানসিকতায়। ব্যবহারে। ভালোবাসায়।”

***
সাফা-মারওয়া দুইবোন। এ নামে আরব দেশে দুটো পাহাড় আছে বলে ওদের জানানো হয়েছে। কুরআনে, পাহাড়কে পেরেকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে যা পৃথিবীতে প্রোথিত করা হয়েছে সুনিপুণভাবে। সাফার মা নাক কুঁচকে জানিয়েছিলেন : ”পাহাড়ের নামে নাম? কেমন অদ্ভুত না?”
বাবা কিছুটা উদাসীন গোছের মানুষ। লোকে বলে, সাহিত্যানুরাগী কিংবা ধার্মিক লোকেরা একটুখানি দুনিয়াবিমুখ আর চিন্তাশীল হন। তারা আম মানুষের মতো করে ভাবেন না। তিনি কোন ভাগে পড়ছেন সে নিয়ে মতবিরোধ আছে। উত্তরটাও নাটকীয় : “তুমি সুনির্মল বসুর কবিতা পড়োনি? সেখানে কী বলা আছে?
পাহাড় শেখায় তাহার সমান, হই যেন ভাই মৌন-মহান।
মেয়েরা উদার হবে, মহান হবে। তাদের চরিত্রে হাজেরা আলাইহাস সালামের পদধূলি পড়বে, এটুকু তোমার মাথায় ধরে না?”

আর কি? আক্বিকা দিয়ে নাম রাখা হয়ে গেলো। ওদিকে ভাইয়ের নাম তো মিলিয়ে রাখাই হলো ইব্রাহীম। সঙ্গে এঁটে দিলেন প্রিয় কবির নাম, রুমি। উল্লেখ্য, পরপর দুটো তার মেয়ে হবে এবং তাদের নাম সাফা-মারওয়া হবে এসব বাবার পূর্ব পরিকল্পনার অংশ, সবটা খোদা তা’লার কুদরতই বটে। এত নামের ভীড়ে বাড়ির নামকরণের জায়গাটা ফাঁকাই থাকলো। মারওয়া প্রথম তার দশ বছর বয়সে পা দিয়েই বাড়িটির নাম দিলো : “শান্তি নেই”৷ দুদণ্ড শান্তি দেবার জন্য সে জীবনানন্দের বনলতা হতে না পারলেও “শান্তি নেই” বাসভবনে অশান্তি উৎপাদনের মূল হোতা হিসেবে রইলো। নামকরণের পটভূমি তার কাছ থেকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

যাহোক, আজকে একটা বিশেষ দিন। রুমির আজ বলিদান হচ্ছে। তার চিরকুমার থাকার শপথকে কুরবান করে দিয়ে বাবা আবদুর রহমান সাহেব সত্যি সত্যি বিয়ে করিয়ে দিলেন। এলাকার মানুষ প্রথমবারের মতো নিজের বিয়েতে একজন পুরুষের কাঁদো কাঁদো চেহারা দেখছে। মারওয়া ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললো, “ভাইয়া, একটুপর বউয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিবে। তখন উনাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদিস, কষ্ট কমবে।”
ওর এত সুন্দর পরামর্শ রুমি কানেই নিলো না। চোখ লাল করে বসে রইলো। মারওয়া সাফার কানে কানে বললো : “মেয়েটা ‘কবুল’ বলতে গিয়ে কাঁদলো না কেন? আশ্চর্য! দিনদিন মেয়েগুলো বেহায়ার চূড়ান্ত হচ্ছে, তুই কী সেটা ধরতে পারছিস সাফা?”
সাফাকে সে কখনোই ‘আপা’ বলে ডাকে না। মা মেরে ধরেও শেখাতে পারেননি। ওর এত বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় সাফাও কান দিলো না।

মেয়ের বাড়িতে বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এলো। সাফার মা আর দাদী আসেননি রেওয়াজ মেনে। তারা সম্ভবত দরজায় বালিশ ফেলে দিয়ে অপেক্ষা করছেন নববধূর জন্য। এখানে অবাক হওয়ার কোনো বিষয় নেই, আক্কল জ্ঞানের উপস্থিতি পরীক্ষা চলবে। বালিশ হাতে উঠিয়ে এরপর প্রবেশ করা বুদ্ধিমতীর লক্ষন। কন্যা বিদায়ে রুমির সদ্য বিয়ে করা বউ দুনিয়া উজার করে কাঁদতে শুরু করলো। মারওয়া বিরক্ত হলো। সাফাকে ফিসফিসিয়ে বললো, “এতো কাঁদার কী আছে? সামান্য এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি যাবে, এতেই কান্নাকাটি? আমার বিয়েতে আমি কচুও কাঁদবো না। দেখি কে কী বলে!”
সাফা শান্ত চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো : “তোর এই কুটিল ননদ সাজার অ্যাক্টিংটা বন্ধ করবি কবে?”

এদিকে রুমির আবেগ বদলে গেলো। একটা মেয়ে তার সঙ্গে যেতে চাচ্ছে না, জোর করে নেবার মানে হয়? সে সরল কন্ঠে বললো, “বাবা উনি যেহেতু যেতে চাচ্ছেন না, থাকুক। অন্য একদিন নিয়ে যাবো।”
পাশ থেকে মেয়ের বাবা চোখ বড় বড় করে তাকালেন। কন্যাদানের দুঃখ ভুলে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দিলেন। এমন আধপাগল ঘরে আত্মীয়তা হয়েছে, আগে টের পাননি। লোক হাসানোর আগে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হলো। রুমি মাথা নিচু করে বসলো পাশে। বউয়ের নামটা অব্দি তার জানা নেই। মাথা নিচু করে বললো : ”আমার পাশে বসতে আপনার অসুবিধা হচ্ছে না তো? তাহলে উঠে যাই।”

মারওয়া ভেঙিয়ে ওই কথাটার পুনরাবৃত্তি করলো। সঙ্গে যোগ করলো : “কেন রে? সমস্যা হলে তোকে বিয়ে করবে কেন? এখন বউয়ের পাশে বসতে লজ্জা করছে না? বিয়ে হলো, ওমনি প্রেম দরদ মোহব্বত সব একসাথে উপচে পড়ছে। আমার ডায়েরীর কথাটা অক্ষরে অক্ষরে ফলবে, সেটা জানতাম। এত তাড়াতাড়ি ফলবে, তাতো জানতাম না!”
রুমি অবাক হয়ে বললো : “ডায়েরীর কী কথা?”
মারওয়া আর কথা বাড়ালো না। ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিয়ে প্রতিপক্ষকে সতর্ক করবার কোনো অর্থ নেই। ওর নিজে ব্যতীত সকলকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মনে হয়। সূক্ষ্ম অহংবোধও আছে এ নিয়ে। ভিন্ন ভিন্ন জীবনের গতি আর গাড়ির গতি একই দিকে ছুটছে, বাড়িটির নাম “শান্তি নেই।”

চলবে ~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে