আকাশ তীরে আপন সুর পর্ব-০৭

0
471

‘আকাশ তীরে আপন সুর’
|পর্ব ০৭|
লাবিবা ওয়াহিদ

সেদিনের ঘটনা প্রণয়াকে বেশ নাড়িয়ে তুলেছিল। এজন্য সে প্রায় সপ্তাহখানেক কলেজ যায়নি। কেউ অবশ্য কিছু জিজ্ঞেস করেনি, প্রণয়াও কারো সাথে মুখ ফুটে এরকম একটা ঘটনা বলতে পারছিল না। কোথাও দ্বিধা কিংবা জড়তা কাজ করত বলে।

প্রণয়ার স্বপ্নগুলোও আজকাল দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। কখনো ওই লোকের কুৎসিত রূপ স্বপ্নে ধরা দিচ্ছে আবার কখনো রাজকুমার স্বরূপ নির্মল এক সুন্দর, অমায়িক প্রেমিক রূপে স্বপ্নে ধরা দিচ্ছে। নির্মল আসে আলো হয়ে, আর সেই কুৎসিত লোকটা আসে আঁধারের নিকৃষ্টতম রূপ হয়ে। মাঝেমধ্যে দুস্বপ্ন দেখে আতঙ্কে প্রণয়ার ঘুম ভেঙে যায়।
প্রেমে পড়ার উপলক্ষ্যে দিনগুলোকে খুশির সাথে পালন করার কথা ছিল তার, কিন্তু সুখের সঙ্গে সেই নেতিবাচক ঘটনা তাকে বারংবার অন্যমনস্ক করে তুলছে।

বিকালে প্রণয়া গায়ে শাল জড়িয়ে উঠোন জুড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আজকে দুপুরের পর থেকেই আকাশ কিছুটা মেঘলা। রোদের রেশ নেই, আকাশও কেমন মলিন হয়ে আছে যেন। বিশাল চা বাগানের সঙ্গে যেন প্রণয়ার নীরব আলাপন চলছে। হাতে এক কাপ চা। তবে চুমুকের কারণে চায়ের কাপে চা অর্ধেক গিয়ে ঠেকেছে। মজিব সদর দরজার মুখে থাকা ছাউনির নিচে পেতে রাখা বেতে চেয়ারে আয়েশ করে বসে আছে।

নিরবিলি চা বিলাসের বাইরেই শুকনো পাতার শব্দ হলো। যেন কেউ চা বিলাসের দিকেই আসছে। মজিব ততক্ষণে ভেতরে চলে যায় ফাহিমার ডাক পড়ায়। প্রণয়া কান খাড়া করে সেই শব্দ শুনতে পেতেই পিছে ফিরে তাকাল। নির্মল আসছে। আজ তার হাতে কিছু হিসাবের খাতা আর চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা। দিন কিছুটা মেঘলা হওয়ার দরুণ বেশ ঠান্ডা হাওয়া বইছে আশপাশ জুড়ে। কোমল সেই হাওয়া গা ছুঁয়ে দিলেই কেমন ভালো লাগায় জড়িয়ে যায় প্রণয়া। নির্মলকে এই সুন্দর সময়ে চোখের দেখা দেখতে পেয়ে তার ভালো লাগার মাত্রা হুঁ হুঁ করে বেড়ে গেল।

নির্মল কাঠের ছোটো দরজাটা পেরিয়ে আসতেই উঠোনের ডানপাশে তাকাল। কিছুটা দূরেই প্রণয়া দাঁড়িয়ে তার দিকেই দিকে। প্রণয়া ধরা খেয়েছে দেখে আর নজর ফেরালো না। নির্মলও এগিয়ে গেল প্রণয়ার দিকে। নির্মলের এগিয়ে আসা দেখে প্রণয়ার পা জোড়া সেখানেই অসাড় হয়ে এলো। নির্মল প্রণয়ার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,
–“সবুজ সামাজ্যের সঙ্গে আলাপ চলছে নাকি?”

প্রণয়া অল্প করে হাসল। বলল,
–“তা চলছে টুকটাক।”

–“কলেজ যাচ্ছেন কবে?”

প্রণয়া গলা খাদে নামিয়ে বলল,
–“আগামীকাল যাব।”

নির্মল আলতো হাসল। দূর-দূরান্তের চা বাগানে নজর বুলিয়ে বলল,
–“ঠিক আছে, তাহলে আমাকে জানিয়ে দিবেন নাহয়।”

–“আবার সেদিনের মতো বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবেন না তো?” প্রণয়া মুখ ফসকেই বলে ফেলল এই কথাটা।

নির্মল সৌজন্যের সাথে হেসে বলল,
–“আপনি অনুমতি দিলে বেতের সোফাতে বসেই অপেক্ষা করব।”

প্রণয়ার বলতে ইচ্ছে করল, “আপনার অপেক্ষার আগেই দেখবেন আমি আপনার অপেক্ষায় বসে আছি জাদুকর সাহেব। এ তো সামান্য গন্তব্যে একসাথে যাওয়ার অপেক্ষা, প্রেমের অপেক্ষা যে আমার তরফ থেকেই শুরু। আপনি চাইলে আপনার সমস্ত অপেক্ষা আমি নিজের নামে করে নিব, শুধু আপনি আমার সান্নিধ্যে থাকলেই চলবে।”

সেই টুকটাক কথাই চলল দুজনের মাঝে। নির্মল বাড়ি চলে যেতেই ভেতর থেকে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে এলো মজিব। মজিবকে এতটা উঁশখুঁশ করতে দেখে প্রণয়া ডাকল মজিবকে।

–“মজিব চাচা, এভাবে ছুটছেন কেন?”

মজিব বললেন,
–“প্লাবন বাবা যে খেলতে গেছে এখনো আসার খবর নাই। সন্ধ্যাও তো হয়ে আসতেছে। স্যার আসবে না পড়াতে? এজন্যে তোমার মা আদেশ করসেন, প্লাবনকে যেখানেই পাব সেখান থেকেই যেন ধরে আনি।”

প্রণয়া এ কথা শুনে চায়ে চুমুক দিল। চা শেষ করে বলল,
–“তাহলে আস্তে-ধীরেই যান চাচা। প্লাবন নতুন টিচার পেয়ে এখন আর ফাঁকি দেয় না। কিছু দূর এগোতেই দেখবেন প্লাবন এলোমেলো পায়ে দুলে দুলে আসছে।”

——————-
প্রণয়া নিজের কথা রেখেছে। নির্মল আসার আগেই প্রণয়া তৈরি হয়ে তার অপেক্ষায় বসে ছিল। নির্মল লম্বা লম্বা পায়ে বাড়ির সামনে আসতেই দেখল প্রণয়া ছাউনির নিচে বেতের সোফায় বসে আছে। প্রণয়া চেয়েই ছিল নির্মলদের ঘরে যাওয়ার পথটার দিকে। তাই সে চট করে উঠে বেরিয়ে এলো বাড়ি থেকে। নির্মল প্রণয়ার দিকে চেয়ে বলল,
–“আমার কী আজ দেরী হয়ে গেল?”
–“মোটেই না। আমি তো সবেই এসে বসলাম।”
–“ওহ, তাহলে চলুন নাহয়।”

যখন দুজন চা বাগানের আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে যাচ্ছিল তখন প্রণয়া হঠাৎ নীরবতা ভেঙে মৃদু গলায় বলল,
–“আপনার কাছে এই চায়ের সাম্রাজ্য কেমন লাগে?

নির্মল চট করে তাকাল প্রণয়ার দিকে। প্রণয়া এতে নজর ঘুরিয়ে ফেলল। নির্মল পরমুহূর্তেই চা বাগানে চোখ বুলিয়ে বলল,
–“এই সৌন্দর্য চোখ জোড়া মুগ্ধ এবং মনজুড়ে অনুভব করতে পারে, এছাড়া ভাষায় কীভাবে এই সৌন্দর্যের অনুভব বর্ণনা করব তা আমার জানা নেই।”

প্রণয়া মুগ্ধ হয়ে শুনল নির্মলের কথা৷ কী দারুণ করে কথা বলে। কথা, কাজ দুটিতেই কেমন বশ করে ফেলে। না জানি আগে কত মেয়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে? এই প্রশ্নটা করার খুব ইচ্ছে করলেও ইচ্ছেকে প্রধান্য দিতে পারল না প্রণয়া। হঠাৎ এই অস্বাভাবিক প্রশ্নে না জানি জাদুকর সাহেব প্রণয়াকে নিয়ে কীরকম ধারণা মনে পুষে ফেলে। তাই প্রণয়া রিস্ক নিল না।

আজও ইটের সরু রাস্তায় অটো দাঁড় করানো দেখল তারা। নুহাশ সাহেব আগেই মজিবকে দিয়ে অটো ঠিক করিয়ে রেখেছে। আজ মজিব অবশ্য অটোর পাশেই দাঁড়িয়ে। ওদের দুজনকে দেখে মজিব হালকা হাসি দিয়ে বললেন,
–“তোমরা চলে আসছ? আজকে অটো পাইতে একটু দেরী হয়ে গেছিল আমার। তোমরা যাও, ভাড়া দিয়ে দিছি। আমিও আসি!”

বলেই মজিব চলে গেলেন। প্রণয়া পিছে উঠতে নিতেই দেখল আজও দুই সিটের অটো। প্রণয়া মুচকি হেসে উঠে বসল। নির্মল একটু ঘাড় কাত করে দেখে নিল অটোর ভেতর। নির্মল তাই বলল,
–“আচ্ছা, আমি তবে চালকের সাথেই বসছি।”

–“একদম না। সামনের ঝাকুঁনি বেশ কঠিন। আমি নিজেই তো আতঙ্কে থাকি, পিছে এসেই বসুন।”

নির্মল আগের দিনের মতোই কিছুটা জড়তা নিয়ে প্রণয়ার পাশে বসল৷ প্রণয়া নির্মলের সান্নিধ্য চাইছে এমন নয়৷ সেই রাস্তাটা আসলেই বাজে ধরণের ভাঙা৷ ভাঙা রাস্তায় তীব্র ঝাঁকুনি দুই একজন অটো থেকে পড়ে গিয়েছে এরকম রেকর্ডও আছে সেই পথটায়। এ নিয়েই প্রণয়ার মনে সঙ্কা। আমরা যাদের ভালোবাসি তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন, চিন্তা থাকবেই। তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রণয়ার এই দুশ্চিন্তার জন্যেই সহজে নির্মলকে সামনে বসতে দিতে চাচ্ছে না।

ভার্সিটি পৌঁছাতেই প্রণয়া অটো থেকে নেমে আশেপাশে সতর্ক নজর ফেলল। নির্মল অটোতে বসেই প্রণয়াকে ডাকল।
–“আজ কখন ক্লাস শেষ হবে?”

প্রণয়া সময় বলল। নির্মল বলল,
–“আচ্ছা, আমি তাহলে তখনই আসব নাহয়।”
প্রণয়া গলা খাদে নামিয়ে বলল,
–“কী দরকার কষ্ট করে আসার?”

–“কষ্ট কিসের? আমার জন্য তো ভালোই হচ্ছে, পথঘাট চিনতে পারছি। এখন ভেতরে যান, দেরী হচ্ছে।”

প্রণয়া ভার্সিটিতে প্রবেশ করে পিছু ফিরে তাকাল। নির্মল তখনো ঠায় একই স্থানে বসে। নির্মলকে তার যাওয়ার পানে চেয়ে থাকতে দেখে প্রণয়ার মনের আকাশে রংধনু দেখা দিল। সে প্রচন্ড আনন্দের সাথে ভেতরে চলে গেল। কে বলেছে ভালোবাসলে বড়ো প্রাপ্তির প্রয়োজন হয়? ভালোবাসার অমূল্য সুখগুলো যে ছোটো ছোটো যত্ন, মুহূর্তের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। ভালোবাসার লুকানো সুখগুলো উক্ত মানুষকে ছুঁয়ে দিলে যেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ ‘সে’।

সন্ধ্যার পরপর যখন নির্মল এলো প্লাবনকে পড়াতে, তখন প্রথমবারের মতো নির্মলের জন্যে নিজ হাতে চা বানাতে হাত লাগায় প্রণয়া। নির্মলকে ঘিরে তার বুকে লালিত অনুভূতি যেদিন থেকে নিজের কাছে প্রকাশ পায়, সেদিন থেকেই নিজের সাধাররণ আচরণে আমুল পরিবর্তন খেয়াল করে সে। প্রেমের হাওয়ায় যেন এক নিমিষেই আবারও সে কিশোরীতে পরিণত হয়েছে৷ কিশোরী অবস্থাতেও এরকম পাগলাটে ভাবনায় অস্থির ছিল না প্রণয়া। ইদানীং কী হলো, কে জানে?

ফাহিমা রান্নাঘরে আসতেই দেখলেন মেয়ে চায়ের জন্য চুলোয় পাতিল বসিয়েছে। তা দেখে ফাহিমা ভ্রু কুচকে বললেন,
–“আমি তো চা বানিয়ে রেখেছি, নতুন করে বানাচ্ছিস কার জন্য?”

প্রণয়া নির্লিপ্ত গলায় বলল,
–“কিছুটা চা হাত ফসকে পড়ে গিয়েছে। বাকি যতটুকু ছিল, আমি খেয়ে ফেলেছি।”

ফাহিমা হতাশ নজরে তাকাল মেয়ের দিকে। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
–“দেখে-শুনে কাজ করতে পারিস না? এত অকর্মা কেন?”

–“চা বানাচ্ছি তো, আস্তে বলো। নয়তো উপরে শব্দ চলে যাবে।” মিনমিন করে বলল প্রণয়া।

–“তাই উচিত, শুনুক সবাই। তুই কতটা বেপরোয়া, অকর্মা সেটা সবাই শুনুক। আমার কতগুলো চা নষ্ট করলি তুই!”

–“চায়ের মাঝেই বাস করছ, চা পাতা লাগলে দুই একটা পাতা ছিঁড়ে নিয়ে আসবা। ঝগড়া করছ কেন?”

ফাহিমা রাগের বশে কথার খেই হারালেন। বিড়বিড় করে দ্রুত চলে গেলেন রান্নাঘর ছেড়ে। প্রণয়া ততক্ষণে চায়ে মনোযোগ দিল। প্রণয়া কিছু পারুক বা না পারুক, তার চা বানানোর হাত দারুণ। একবার তার হাতের চা খেলে সেই চায়ের স্বাদ একদম মুখে মিশে যাবে, কিছুতেই ভোলার মতো নয় সেই স্বাদ। যথারীতি নাশতা নির্মলকে দিয়ে আসল সে।

————–
ঘন্টাখানেক লাগিয়ে প্রণয়া বাইরে সিঁড়িতে পা ঝুলিয়ে বসে বসে রাতের আকাশ দেখছে। আকাশে এক টুকরো চাঁদ দেখা যাচ্ছে। আজকের আকাশ বেশ পরিষ্কার। গুড়ি গুড়ি কিছু তারাও দেখা যাচ্ছে। একমনে যখন চাঁদের রূপের রহস্য খুঁজে বেড়াচ্ছিল তখন হঠাৎ পেছন থেকে প্রিয় পুরুষের ভারী কণ্ঠস্বর শোনা গেল।
–“প্রণয়া!”

প্রণয়া চমকে পিছে ফিরে তাকায়। মাথা উঁচিয়ে চাইতেই দেখল নির্মল দাঁড়িয়ে। প্রণয়া চট করে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
–“জি?”

নির্মল বলল,
–“চা টা কী আপনি বানিয়েছেন?”

চায়ের কথা শুনে প্রণয়া কিছুটা অপ্রস্তুত হয়। মিনমিন করে বলল,
–“হ্যাঁ।”

প্রণয়া অস্বস্তিতে পড়ে যায়। না জানি আনমনে কোনো ভুল করল কি না চায়ে। শখের মানুষের জন্য নিজ উদ্যোগে কিছু করতে গেলে তার পছন্দ হবে কিনা এই ভেবে নানান দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে হয়, যা এই মুহূর্তে প্রণয়ার ক্ষেত্রে হচ্ছে। সে মুখ ছোটো করে জামার কিছুটা অংশ খামচে ধরেছে।

প্রণয়ার ভাবনার উলটোটাই হলো। নির্মল স্মিত হেসে প্রশংসার সুরে প্রণয়াকে বলল,
–“দারুণ চা বানান আপনি। চা বানানো একটা আর্ট, আপনি সেই আর্টে চমৎকার দক্ষ। আমার তো আপনাকে ফুল রেটিং দিতে ইচ্ছে করছে।”

প্রণয়ার চোখ-মুখ জ্বলজ্বল করে উঠল। চোখ নামিয়ে অধর প্রসারিত করে প্রণয়া বলল,
–“ধন্যবাদ।”

–“আরেক কাপ চায়ের বায়না করে গেলাম। যখন খুশি খাওয়াতে পারেন। চায়ের রাজ্যে এসে চা কে ‘না’ করে দেওয়া ঘোর অপরাধ। আজ আসছি, কেমন?”

প্রণয়া আলতো মাথা নাড়ায়। নির্মল যেতে নিয়ে আবার থেমে যায়।
–“কাল যাবেন কলেজ?”
–“না।”
–“ঠিক আছে। তবে এই ঠান্ডায় বাইরে থাকবেন না, সিজন চেঞ্জ হচ্ছে। জ্বর-টরের কবলে পড়তে পারেন, ভেতরে চলে যান।”

নির্মল চলে যেতেই প্রণয়ার অধর জুড়ে থাকা হাসি আরও প্রসারিত হলো। সে আকাশের পানে চেয়ে আপনমনে গুনগুনিয়ে গান গাইল। নির্মলের ছোটো ছোটো যত্ন কিংবা প্রশংসা, প্রণয়াকে দিনকে দিন আরও দুর্বল করে দিচ্ছে তার প্রতি। কেমন সুখ সুখ অনুভূতিতে নিজেকেই হারিয়ে ফেলছে সে। নির্মলের কথামতোন প্রণয়া বেশিক্ষণ দাঁড়াল না। বাধ্য মেয়ের মতো ভেতরে চলে গেল।

চলবে—

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে