#অহেতুক_অমাবস্যা
পর্ব – ৬ (দয়া)
লেখা : শঙ্খিনী
ঘুম থেকে উঠেই অর্থ প্রথম যে কাজটা করে, সেটা হলো চায়ের কাপ হাতে ছাদে চলে যাওয়া। মা-বাবা ঢাকায় থাকতে এ কাজটা সে করতে পারতো না। অর্থের বাবা সর্বক্ষণ ছাদে তালা দিয়ে রাখতেন। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তার মনে হতো, ছাদ থেকে ডাকাত এসে তাদের বাড়িতে হামলা করবে। এখন আর সে চিন্তা নেই। ছাদের দরজা সবসময় খোলাই রাখে অর্থ।
সকাল সকাল শহরটাকে অন্যরকম প্রাণবন্ত লাগে। তবে আজ কেন যেন তা লাগছে না, লাগছে নিষ্প্রাণ। ব্যাপারটা কী!
ছাদের রেলিংয়ের ওপর দুটো শালিক বসে রয়েছে। জোড়া শালিক দেখলে না-কি দিনটা শুভ যায়। তবে এখানে ছোট্ট একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। পাখিগুলো শালিক না ময়না ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
একটা পাখি অন্যজনকে নিঃসঙ্গ করে ডানা মেলল অফুরন্ত ওই আকাশে। এবার বাকি রইলো একটি পাখি। আসলেই যদি এগুলো শালিক হয়, তাহলে ঝামেলা আছে। এক শালিক দেখলে আবাদ দিন খারাপ যায়।
আকাশটা আজ মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টি হতেই হবে! এমন একটা দিনে ঘরে বসে থাকতে ইচ্ছে করে। গলা পর্যন্ত চাদর টেনে রেখে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ঘরে বসে থাকা যাবে না। একদিন অফিসে না গেলেই চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যাবে।
জাহানারার চাকরিটাও তো গেল এভাবে।
অর্থ তৈরি হয়ে অফিসের জন্য বের হতে যাবে, এমন সময় কলিংবেলে পরলো চাপ। এই অসময়ে কে এসেছে আবার? নিশ্চয়ই ছাইওয়ালী। এর আগেও দুদিন এসেছে। মিষ্টি গলায় বলেছে, “স্যার, ছাই লাগবো?”
অমন মিষ্টি গলাকে উপেক্ষা করা যায় না। অর্থও করতে পারেনি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে দুদিনই ছাই কিনতে হয়েছে তাকে। তবে আজ আর ছাই কিনে কাজ নেই! এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে।
দরজা খুলে অর্থ খানিকটা চমকে গেল। অফিসের পিয়ন মতিন মিয়া এসেছে। তার চোখমুখ হাসিখুশি।
অর্থ বলল, “মতিন মিয়া, এ সময়ে তুমি?”
“আপনের জন্য গাড়ি আনছি।”
“কীসের গাড়ি?”
“অফিসের গাড়ি।”
অর্থ সারাজীবন রিকশায় করে অফিসে যাতায়াত করেছে। আজ হঠাৎ গাড়ি! বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে বলে অফিস থেকে গাড়ি পাঠানো হলো না-কি? না, না। অফিসের ম্যানেজমেন্ট এতটা ভালো না। কাহিনীটা কী তবে?
“অফিসের গাড়ি কেন?”
“সিইও সাব আসছে। আমারে ডাইকা কয়, মতিন একটা গাড়ি নিয়া অর্থ সাহেবের কাছে যাও। তারে নিয়া আসো।”
অর্থের বুক ধুকধুক করছে। না জানি আজ তারও চাকরিটা যায় কি-না? অবশ্য তার চাকরি গেলে তেমন একটা চিন্তা করার মতো বিষয় হবে না। বাবার অগাধ টাকা। সারাজীবন শুয়ে বসেই কাটিয়ে দেওয়া যাবে।
অর্থ সারাজীবন শুয়ে বসে কাটাতে চায় না। চায় না বলেই বেছে নিয়েছে এই চাকরি জীবন।
অফিসে ঢুকতেই অর্থ দেখতে পেল, কেউ কেউ তার দিকে তাকিয়ে আছে মুগ্ধতার দৃষ্টিতে।কেউ আবার তাকাচ্ছে করুনার দৃষ্টিতে। প্রথমে জোড়া, তারপরে এক শালিক দেখার ফল এ-ই হয়।
সিইও মনজুর সাহেব চেয়ারের ওপর দু’পা তুলে বসে আছেন। দেখে বোঝার উপায় নেই লোকটার এত টাকা। আয়েশী ভঙ্গিতে পান চিবুচ্ছেন। দাঁত-টাত লাল হয়ে একাকার অবস্থা! লোকটার সামনে বিশাল এক আয়না মেলে ধরতে পারলে ভালো হতো।
মনজুর সাহেব শান্ত গলায় বললেন, “আপনাদের ম্যানেজার যে দুর্নীতি করে, এই তথ্য জানা আছে?”
অর্থ মনে মনে হকচকিয়ে উঠলো। দুর্নীতি বলতে কী বোঝাচ্ছে? ঘুষ খাওয়া? যদি তাই হয়, তবে সে জানে। কিন্তু জানলেও, জানার কথাটা এভাবে মুখের ওপর বলা যায় না-কি?
অর্থ বিনীত গলায় বলল, “স্যার কোন দুর্নীতি?”
“ঘুষ খাওয়া দুর্নীতি। জানেন?”
অর্থ প্রায় ফিসফিস করে বলল, “জি স্যার।”
“আগে থেকে জেনে থাকলে আমাদের ইনফর্ম করেননি কেন? এটা তো অনৈতিক কাজ!”
অর্থ কাচুমাচু ভঙ্গিতে বসে রইল। এই প্রশ্নের কোনো জবাব তার কাছে নেই।
মনজুর সাহেব আবারও বললেন, “ভয় পাচ্ছেন? ভয় পাবেন না। বাপেরও বাপ থাকে। আপনাদের বাবা ম্যানেজার আর ম্যানেজারের বাবা আমি। সেই অর্থে আমি আপনার দাদা। ভয়ভীতির সম্পর্ক পিতা-পুত্রের মধ্যকার। দাদা-নাতীর সম্পর্ক হলো রসিকতার। এখন ভয় না পেয়ে বলে ফেলুন তো!”
এই লোকের মাথায় গণ্ডগোল আছে, ভয়াবহ ধরনের গণ্ডগোল। অর্থ খেয়াল করেছে, যাদের মাথায় সমস্যা থাকে, তারাই একটা সময়ে গিয়ে প্রচুর টাকাপয়সার মালিক হয়। তার বাবার মাথায়ও কিঞ্চিৎ সমস্যা রয়েছে। তবে অর্থের মাথায় তো কোনো সমস্যা নেই। তার মানে সে আর কখনো বড়োলোক হতে পারবে না! আহারে!
অর্থ নিচু গলায় বলল, “কী বলবো স্যার?”
“কিছু বলতে হবে না। শুধু শুনুন আমার কথা। আপনাদের ম্যানেজার শুধু ঘুষই খায় না, স্বজনপ্রীতির স্বভাবও আছে তার। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তার শালা থেকে শুরু করে বাসার দারোয়ান পর্যন্ত সবাই আমাদের অফিসে চাকরি করছে। কত নিরীহ, নিরপরাধ মানুষের চাকরি যে সে খেয়েছে, এই হিসাব কারও জানা নেই।”
অর্থ চুপ করে রইলো।
“আমরা এসবের টের বহু আগেই পেয়েছি। ছয় মাস আগে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা কোনো কাজেই আসেনি। দ্বিতীয় সুযোগ একবার দেওয়া যায়, বারবার কী আর দেওয়া যায় বলুন?”
“না স্যার।”
“আপনাদের ম্যানেজারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
অর্থ চমকে উঠলো। কী সর্বনাশের কথা! আজ জাহানারা থাকলে নিশ্চয়ই খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠতো।
জাহানারা থাকলে আবার কী! জাহানারা এখনও আছে, এই পৃথিবীতেই আছে। শুধুমাত্র অফিসটায় নেই।
মনজুর সাহেব বললেন, “এখন সমস্যা হলো তার জায়গায় কে ম্যানেজার হবে। মিজান সাহেবকে নিশ্চয়ই চেনেন। মিজানুর রহমান মিজান।”
“জি স্যার চিনি।”
“ঠিক হয়েছিল তাকে ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হবে। লোকটা ভদ্র, সৎ, নিষ্ঠাবান। কিছুক্ষণ আগে তার সঙ্গে কথা হলো। তিনি বললেন, এই দায়িত্ব নিতে পারবেন না। কেন নিতে পারবেন না বলুন তো?”
“মিজান ভাই হাই প্রেশারের রোগী। একটু কাজের চাপ পরলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাই…”
“আপনার বুদ্ধি ভালো। আচ্ছা, সততার জন্যে আপনি নিজেকে দশের মধ্যে কত দেবেন? দশ?”
“না স্যার।”
“কেন না?”
“মাঝে মাঝে চাপে পড়ে দু একটা মিথ্যা সবাইকেই বলতে হয়, আমাকেও হয়। পুরোপুরি দশ না দিতে পারলেও নয় কিংবা সাড়ে নয় দেবো।”
“আমি কিন্তু ঠিকই দশ দিয়ে ফেলেছি।”
“জি স্যার?”
“অর্থ সাহেব, আপনি প্রমোশন পেয়েছেন।”
অর্থ হতভম্ব হয়ে বলল, “হ্যাঁ?”
“ম্যানেজারের দায়িত্ব কিন্তু অনেক। আপনার সাড়ে নয় নম্বরী সততা দিয়ে সেই দায়িত্ব ভালো ভাবে পালন করবেন। আর হ্যাঁ, এখন কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার পিতা-পুত্রের সম্পর্ক। সুতরাং, আমাকে ভয় পেয়ে চলবেন।”
এই বলেই মনজুর সাহেব হো হো করে হেসে উঠলেন।
আজ আর অফিস করতে হবে না অর্থকে, আজ তার ছুটি। অফিস থেকে গাড়িটা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সারাদিন তার সঙ্গে থাকবে। আবার এখন থেকে না-কি কষ্ট করে রিকশায় চেপে অফিসে যাতায়াত করতে হবে না। যাতায়াতের দায়িত্ব এখন এই গাড়ির হাতে।
পুরোই রাজকীয় ব্যাপার-স্যাপার!
এখন গাড়ি করে কোথায় যাওয়া যায়? নিউমার্কেটের দিকটায় যাওয়া যেতে পারে। অনেকদিন সেখানকার বইয়ের দোকানগুলোতে যাওয়া হয় না।
জাহানারাকে খুশির খবরটা এখনও জানানো হয়নি। ওর বাসায় চলে গেলে কেমন হয়? একদম চমকে উঠবে মেয়েটা। না, না। এভাবে হুট করে একজনের বাসায় উপস্থিত হওয়া যায় না। তার চেয়ে বরং জাহানারাকে একটা ফোন করা যেতে পারে।
দুটো রিং বাজতেই অপরপ্রান্ত থেকে জাহানারার হাসিখুশি গলার স্বর শোনা গেল।
“হ্যালো, অর্থ!”
“জাহানারা? কী করছো?”
“পত্রিকা পড়ছি।”
“এই ভরদুপুরে পত্রিকা?”
“দুপুর কোথায় দেখলেন? বারোটা বাজে মাত্র। আর তাছাড়া, আমার এখন আয়েশী জীবন। নিয়ম করে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয় না। রান্না শেষ করার কোনো তাড়া নেই। আমার পত্রিকা শেষ করতে করতে, আরও এক ঘণ্টা। বেলা একটায় রান্না বসাবো। যাকে বলে নিশ্চিন্ত জীবন।”
“আজ আর রান্না করে কাজ নেই। চলো আজ বাইরে কোথায় একসাথে লাঞ্চ করি।”
“সে কী, আপনার অফিস নেই? না-কি আপনারও আমার মতো চাকরি চলে গেছে?”
জাহানারা খিলখিল করে হেসে উঠলো। বাহ্, মেয়েটার হাসির শব্দটা অসাধারণ তো!
গাড়ি জাহানারার বাসায় সামনে এসে থামলো ঠিক বেলা দেড়টায়। জাহানারাকে সিড়ি দিয়ে নেমে আসতে দেখা যাচ্ছে। তার শাড়িটা দেখে মনে হচ্ছে যেন, আজই ভাঁজ ভেঙেছে। অর্থ গাড়ি থেকে নেমে তার কাছে এগিয়ে গেল।
জাহানারা অবাক গলায় বলল, “গাড়িটা কার? চুরি করেছেন না-কি?”
অর্থ হেসে বলল, “কিছুটা সেরকমই।”
“মানে?”
“আগে গাড়িতে ওঠো, যেতে যেতে বলছি।”
জাহানারা গাড়িতে উঠে বসলো। তার চোখেমুখে প্রবল বিষ্ময়। চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গাড়িটাকে দেখছো। গাড়ি চলা শুরু করল। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে যাওয়া হবে।
অর্থ অন্যরকম গলায় বলল, “জাহানারা?”
“হুঁ?”
“এখন পর্যন্ত ইন্টারভিউ দিয়েছো কোথাও?”
“এখনো না। আসলে কী, ঘরে বসে থাকতে থাকতে আমার অভ্যাসটাই খারাপ হয়ে গেছে। বাইরে গিয়ে কাজ করার মতো ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলেছি।”
“ও।”
“মজার ব্যাপার কী জানেন, আমার মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স করিয়ে রেখেছিল। প্রায় অনেক টাকা। তার ওপর আবার লকারে বেশ কিছু গয়না জমা ছিল তার। ইন্সুরেন্সের টাকা গত সপ্তাহেই পেয়েছি। গয়নাগুলোও পেয়ে যাবো। আপাতত টাকা-পয়সা নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই তো, তাই চাকরি-বাকরি করতেও ইচ্ছে করছে না।”
চাইনিজ রেস্টুরেন্টটা জাহানারার পছন্দ হয়েছে। শান্ত, নিরিবিলি একটা পরিবেশ। একবার মনে হলো, এমন নিরিবিলি একটা পরিবেশে অর্থের সঙ্গে বসে থাকাটা ঠিক হচ্ছে কি-না! কেউ যদি কিছু মনে করে? মনে করতে পারে এমন মানুষ অবশ্য আশেপাশে নেই।
অর্থ স্বাভাবিক গলায় বলল, “জাহানারা?”
“হুঁ?”
“আমাদের ম্যানেজার সাহেব আর নেই।”
জাহানারা হকচকিয়ে গিয়ে বলল, “সে কী! মারা গেছেন?”
“না, না মারা যাবেন কেন? চাকরিতে আর নেই।”
জাহানারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “তাই বলুন। এমনভাবে বললেন, আমি ভাবলাম…। বদলি হয়ে কোথায় গেছেন?”
“বদলি হননি, বরখাস্ত হয়েছেন।”
“কেন?”
“আছে, অনেক কারণই আছে।”
“তা এখন ম্যানেজারের দায়িত্ব কে পেয়েছে? পেয়ে গেছে না পাবে?”
“পেয়ে গেছে।”
“কে পেয়েছে?”
“আমি।”
জাহানারা চিৎকার করে বলল, “সত্যি বলছেন?”
“হ্যাঁ!”
“আগে বলেননি কেন আমাকে? আমার যে কী পরিমাণ আনন্দ লাগছে, আমি বলে বোঝাতে পারবো না!”
জাহানারা সত্যিই আনন্দ। আনন্দ তার চোখেমুখে ফুটে উঠেছে। যেন প্রমোশন অর্থের নয় তার হয়েছে।
অর্থ বলল, “ম্যানেজার সাহেবের চাকরি কেন চলে গেছে, এবার বলি?”
“ওনাকে নিয়ে আর মাথা ঘামিয়ে কাজ নেই! এখন শুনবো আপনার কথা। সুখবরটা কখন জানতে পারলেন বলুন তো!”
“ওনার চাকরি যাওয়ার কারণটা তোমার জানা উচিত জাহানারা।”
“বলুন তাহলে।”
“নিরপরাধ মানুষদের চাকরি খাওয়া ওনার স্বভাবের মধ্যে ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই অনেক মানুষের চাকরি খেয়ে, সেই জায়গায় সুযোগ দিয়েছেন নিজের আপনজনদের।”
“ও আচ্ছা।”
“ওনার এই চক্রে তুমিও পড়েছো।”
জাহানারা চুপ করে রইলো।
“আমি তোমাকে চাকরিটা ফিরিয়ে দিতে চাই জাহানারা।”
মুহূর্তের মধ্যে জাহানারার চেহারা থেকে আনন্দিত ভাবটা কেটে গেল। অন্ধকার নেমে এলো তার সমস্ত চোখেমুখে। প্রাণপণ চেষ্টা করে ঠোঁটে হাসিটা ধরে রাখার।
কোনমতে হাসিটা ধরে রেখেই বলল, “ম্যানেজার সাহেব, আপনি অনেক ভালো একটা মানুষ। নিজেই জানেন না কতটা ভালো মানুষ আপনি। ভালো মানুষদের মনে আবার থাকে প্রচুর দয়া। আপনার মনেও অনেক দয়া। এদিকে আমি আবার দয়া সহ্য করতে পারি না। একটা মানুষের দেওয়া হাজারো কষ্ট সহ্য করে নিতে পারবো, তবুও দয়া জিনিসটা সহ্য করতে পারবো না।”
“দয়া করছি না জাহানারা। তোমার সঙ্গে একটা অন্যায় হয়েছে। সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরূপ চাকরিটা তোমাকে ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছি।”
“আমি বুঝতে পারছি অর্থ, আমি বুঝতে পারছি। তবুও ওই চাকরি করা, আমার পক্ষে সম্ভব না। আমাকে জোর করবেন না প্লিজ।”
(চলবে)