#অলক্ষ্যে_তুমি #পঞ্চম_প্রহর #Yasira_Abishab(#Fatha)
দেখতে দেখতে পরিক্ষার সময় চলে এলো। দিন দিন ইরাদের ও আমার প্রতি অধিকার বাড়তে শুরু করে। যে অধিকারটা আমি তাকে কোনোদিন দেইনি সে নিজেই এই অধিকার আদায় করে আমাকে অভ্যস্ত করে ফেলছিলো। আমিও তার প্রতি আসক্ত হয়ে উঠছিলাম কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না তবে এসবের মাঝেও আমার লক্ষ্য থেকে আমি এক পা ও সড়ে যাইনি। বরং ইরাদের সাপোর্ট পেয়ে আরো শক্তভাবে নিজেকে পরিক্ষার জন্য তৈরি করে ছিলাম। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ধ্যানে মনে জ্ঞ্যানে একটাই ছিলো যে আমাকেও তার মতো হতে হবে, তাই প্রথম ধাপটা তার প্রফেশন নিয়েই শুরু করার কথা ভেবেছি। আমাকেও বুয়েট থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করতে হবে। আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো আমিও ইঞ্জিনিয়ার হবো আর আমিও সেটা পূরণের কথা মাথায় রেখেছি।
ঠিক পরদিন আমার পরিক্ষা, তার আগের দিন ইরাদ আমাকে সকাল বেলা ১০টার দিকে এসেছে পড়ানোর জন্য। প্রতিদিনের মতো মা অফিসে চলে যায় এমন সময় আর দাদু যায় মেডিটেশন করতে।আমি বাসায় একা ছিলাম দরজা খোলার পর প্রতিদিনের মতো ইরাদ আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
-সুইটহার্ট? তুমি সুস্থ আছো তো?
–ঠিক আছি। আপনি আসেন ভেতরে। আমার কোনো প্রব্লেম আছে কি না তা খুজে দেখেন, রিভিশন করতে হবে।
আমি তখন ঠিক করে চোখের পাতাও খুলতে পারছিলাম না। কিছুটা টেনশনে ছিলাম, আর মাথাটাও ঘুরছিলো খুব তবে কেনো তা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। যদিও পুরো সিলেবাসটাই রিভিশন দিয়েছি তবুও মনে হচ্ছে কিছু ছুটে যায়নি তো? একদম অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম।
ঘরে আসতে গিয়ে আমি প্রায় মাথা ঘুরে দেয়ালের সাথে মাথায় আঘাত লাগে। ইরাদ সাথে সাথে আমাকে কোলে তুলে নেয়,
তার এতোটা কাছে আমার জ্ঞ্যান থাকতে কোনোদিন আসিনি কেনো যেনো একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিলো।
রুহি- আপনার সাহস তো কম না। আমাকে কোলে নিলেন কেনো?
সে আমার কথায় উত্তর না দিয়ে বলে,
– মাই গড সুইটহার্ট তোমার শরীর আগুনের মতো জ্বলছে। তোমার তো জ্বর এসেছে প্রচুর।
– নামান আমাকে।
– বিছানায় নিয়ে নামিয়েই দিবো।
-ছাড়েন আমাকে পড়তে হবে।
আমি বিছানার ছেড়ে উঠার চেষ্টা করাতে ইরাদ আমাকে একটা টান দিয়ে জোর করে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলে
-নড়লে খবর আছে আই ইউল কিস ইউ, এন্ড ইউ নো আমি আসলেই করতে পারি।
আমি ভয়ে চোখ বুঝে শুয়ে ছিলাম।
– সুইটহার্ট শুয়ে থাকো আসতেসি আমি।
৫ মিনিট পর রুফাইদা আসে তার সাথে ইরাদ ও আসে হাতে মেডিসিন ও কিছু স্ন্যাকস নিয়ে।
ইরাদ-খেয়েছিলে সকালে?
– না আমি উঠে ফ্রেশ হয়েছি একটু আগে, ঘুমিয়েছিলাম ভোর বেলা।
-ওকে ফাইন। এখন খাও।
-ইচ্ছে করছে না।
– ইউল ইউ লিসেন টু মি? চুপচাপ যা বললাম করো। নাহলে জানো..
সে কথা বলে আবার রুফাইদার দিকে তাকিয়ে বললো,
– রুফাইদা প্লিজ জয়েন করো তোমার ফ্রেন্ড কে।
এই স্ন্যাক গুলো বেশ টেস্টি।
রুফাইদা-ভাইয়া আপনিও নেন।
-নাহ আমি একটু আগে খেয়েছি।
ইরাদের জোরে খেতেই হলো কিন্তু প্রচুর গা গুলিয়ে আসছিলো, তবুও খেলাম এরপর ও আমাকে মেডিসিন খাইয়ে দিলো।
রুফাইদা এই কেয়ার গুলো দেখে হাসছিলো মিটমিট করে। আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম রুফাইদা বারান্দায় বসে ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলো আর ইরাদ আমার পাশে বসে বই নিয়ে পড়া গুলো আওরাছিলো আমার যেনো সবটা মাথায় থাকে। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলো ইরাদ আমার পাশেই ছিলো।
মা এসে ভেবেছে ইরাদ বিকেলে এসেছে তাই সে কিছু জিজ্ঞেস করে নি আমার জ্বর দেখে টেনশন করছিলো কিন্তু রুফাইদা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলো।
দুপুরের খাবার ও ওরা বাইরে থেকে এনেই খেলো। ইরাদ আমার দাদুর ও যত্ন কম নেয় নি। একটা ছেলে হয়ে ও কিভাবে আমার পরিবারের আমার এতোটা কেয়ার করে আমি বুঝতেই পারছিলাম না।
পড়া শেষে ইরাদ বলে,
-সুইটহার্ট এখন আর চিন্তার কোনো কারণ নেই তুমি ফুললি প্রিপ্যারেড জাস্ট ভালো মতো এক্সাম দিও। আর কালকে আমি সকালে আসবো। রেডি থেকো সময় মতো। এখন ঘুমাও। সারাটা রাত পরিক্ষার চিন্তায় ছিলাম।
সকালে ইরাদ এলো ল্যাভেন্ডার কালারের একটা শার্ট আর বটলগ্রীন একটা প্যান্ট পড়ে। কি সুন্দর দেখাচ্ছিলো ওকে। মায়ের জরুরি মিটিং থাকার কারণে মা আমার সাথে যেতে পারেন নি। হলে ঢুকার আগে বললাম,
– আপনি চাইলে এখন আসতে পারেন আমি বাসায় যেতে পারবো।
– সুইটহার্ট আগে এক্সাম দাও আমি গাড়ির সামনে আছি নয়তো মেইন গেটের পাশে পাবে।
আমি এক্সাম দিলাম, বেড় হয়ে দেখি সে গেইটের বাইরেই দাঁড়িয়ে আছে।
-কেমন হলো?
– আলহামদুলিল্লাহ সব কমন ছিলো।
– আলহামদুলিল্লাহ।
আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
প্রায় ১০ মিনিট পর তাকে বললাম,
– ধন্যবাদ। আজকে আপনি না থাকলে আমার এক্সাম এতোটা ভালো হতো না। আপনি আমার জন্য অনেক করেছেন যা কেউ অন্য জনের জন্য করে না।
আমি এই কথাটা বলার সাথে সাথে সে গাড়িটা থামিয়ে দিয়ে সে আমাকে দেখে বললো,
– সুইটহার্ট, আমি অনেক স্বার্থপর। আমি কখনো কারো জন্য কিছু করি না। যা করি নিজের জন্য করি, যা আমাকে খুশি করে তাই করি আমি।
– কিন্তু আমার জন্য তো…
এবার সে আমার একদম কাছে ঝুকে এসে বলে,
– আমি সব আমার জন্য করেছি। আর তুমিও আমার, এটা আজকে মানো আর না মানো।
সারা রাস্তা আমরা আর কেউ কিছু বলিনি, বাইরে ফুরিফুরি বৃষ্টি হচ্ছিলো আর ঝড় বইছিলো আমার মনেও। বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার সময়,
সে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো আর বললো,
– আই ইউল মিস ইউ সুইটহার্ট। তুমি পরশুদিন প্লিজ বিকেলে ৫টায় ওয়েস্টিনে এসো, আমি ওয়েট করবো।
-আমি কেনো আসবো?
– আমার চোখের প্রশান্তির জন্য।
-মানে?
-তুমি জানো আমি তোমাকে ভালোবাসি। সুইটহার্ট, বুঝেও অবুঝের মতো আচরণ করো না প্লিজ।
– আমি যদি আপনাকে না ভালোবাসি?
– সমস্যা নেই, আস্তে আস্তে ভালোবেসে ফেলবা কিন্তু তুমি তো আমারই। আল্লাহ ও তোমাকে আমার থেকে দূর করতে পারবে না।
সে চলে গেলো আমি তাকিয়ে রইলাম তার দিকে কোন সময় যে আমার মুখে হাসির রেখা ফুটে ওঠে আমি নিজেও বুঝিনি, দিন গড়িয়ে রাত হয়ে গেলো। আমি সব কিছু ভাবছিলাম শুধুই, আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া ইরাদ একপ্রকার জোর করে সবকিছুতে তারপরেও তাকে কিছু বলতে পারি না। আমি জানি আমি যতটুকু কঠিন করে বলি এটা তেমন কিছুই না। আমি চাইলে আরো কঠিন করে বলতে পারি না শুনে তার ও উপায় নেই কিন্তু তাই আর জোর খাটানোটা আমি কেনো যেনো দিন দিন মেনে নিচ্ছি। তার প্রতি আমিও আসক্ত হয়ে গেছি। হ্যাঁ আমিও ইরাদকে ভালোবাসতে শুরু করেছি, এই ছেলেটাকে আমি মন দিবো যেটা ভাবনায় ও ছিলো না, এমন একটা মানুষ যে প্রচুর ড্যামকেয়ার ছিলো, ওয়েনাইজার ছিলো তাকে আমি কেনো ভালোবাসলাম জানিনা কিন্তু ভালোবাসি।
সেদিন সকালেই পরিক্ষার রেজাল্ট এলো আমি বুয়েটে ১ম স্থান দখল করেছিলাম। বাসায় সবাই প্রচুর খুশি। আর ইরাদ ও আমি এতোটুকু শিউর কিন্তু তাকে আমি টেক্সট করে জানানোর পরেও সে রিপ্লাই করলো না। বিকেলে রুফাইদা এলো আমাকে নিয়ে যেতে মাকেও ও ম্যানেজ করেছে ইরাদের প্ল্যানেই। আমি একটা রেড কালারের শাড়ি গায়ে জড়িয়েছি, চুল গুলো খোলা গালে ব্লাশঅন চোখে হালকা মাসকারা।
পুরোটা রেস্টুরেন্ট পুল সাইডে এতো সুন্দর করে ডেকোরেট করা হয়েছে যা দেখেই চোখ ধাধিয়ে যাবে। আমি ঢুকতেই দেখি ইরাদ ব্ল্যাক সুটে আমাকে ঢুকতে দেখে হেসে কাছে আসে আমার হাত ধরে বলে,
-ওয়েলকাল টু মাই ওয়ার্ড সুইটহার্ট।
কংগ্রাচুলেশনস ফর ইউর সাকসেস।
-আপনাকে ধন্যবাদ এসব কিছুর জন্য।
-রুহি,
-হুম
-ইউল ইউ বি মাইন?
আমি নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
– কিন্তু আপনি তো একটা মেয়ে তে…
– আসক্ত ছিলাম না। কিন্তু তুমি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার চোখে আর কোনো মেয়েকে ধরে নি আর ধরবেও না। রুহি তোমার প্রতিটা নিঃশ্বাস নেওয়া ও আমার দেখতে ভালো লাগে। তুমি যেভাবে তাকাও, যেভাবে হাসো আমি সেসব কিছুই আমি ইঞ্জয় করি। কেনো জানি না, কিন্তু করি, তোমার প্রতিটা আচরণ আমাএ দেখতে ইচ্ছা করে মনে হয় সারাদিন তোমার আশেপাশেই থাকতে। তোমাকে সবসময় খুশি রাখতে ইচ্ছা করে। তোমার কম্ফোর্টজোন আমার জন্য খুব বেশি ইম্পর্ট্যান্ট সুইটহার্ট। আমি জানি সুইটহার্ট তোমার লাইফে অন্য কেউ নেই তুমি আমার একদম বিপরীত, আমি তাই আর কাউকে তোমার লাইফে আসতেও দিবো না। আমি তোমাকে সারাজীবন ভালোবেসে যাবো আর তোমার ও আমাকেই ভালোবাসতে হবে, আজকে না বাসলেও সামনে আমি বাধ্য করবো তোমাকে৷ তোমার জন্য যা যা করা দরকার সব করবো আমি। ইউ আর মাই এভরিথিং সুইটহার্ট।
রুফাইদা আর জিসান ভাই বলছিলো।
– হ্যাঁ বলো রুহি। এর থেকে বেশি কেউ ভালোবাসতে পারবে না।
– আই লাভ ইউ টো। খুশিতে ইরাদ আমাকে কোলে তুলে নেয়। তার সেইদিনের খুশিটা এক অন্যরকম খুশি ছিলো। যা তার চেহারায় এক আলাদা রশ্নি এনে দিয়েছিলো।
ব্যাস শুরু হয়ে গেলো সেদিন থেকে আমার আর ইরাদের প্রেম। এভাবেই স্বপ্নে থেকে থেকে আমাদের ৬ বছর পার হয়ে যায় একসাথে, আমার জীবনের শ্রেষ্ট সময় আমি পার করেছি। এই ছয় বছরের ভেতর সে আমাকে এক মুহুর্তের জন্য ও কোনোদিন কান্না করতে দেয় নি। আমার ছোট বড় সব খুশির খেয়াল এই মানুষটা রেখেছে। বিয়েও আগেই করতো ইরাদ শুধু আমি সময় চেয়েছিলাম দেখে আমাদের ৬ বছর সময় নেওয়া হয়। সবমিলে আমাদের বিয়েতে আর মাত্র ২৬ দিন বাকি তখন আমার হঠাৎ মনে হয় টেস্ট করে দেখি আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সবঠিক আছে কি না, কারণ বিয়ের পর ইরাদের লং ট্রিপের ইচ্ছা ছিলো আর এই সময় ও বাচ্চাও নিবে না বলেছিলো তাই ভাবলাম আমাদের টেস্ট করিয়ে দেখি সবঠিক আছে কি না। ইরাদ ও রাজি হয়ে যায়। আমরা টেস্ট করালাম আর রিপোর্টে এলো আমি মা হতে অক্ষম এরপরই তো আমি আর ইরাদ আলাদা হয়ে গেলাম।
আমাদের ব্রেকাপের পর পুরো ৭মাস কেটে গেছে আমি ট্রান্সফার করে রাজশাহী চলে এসেছি মা দাদু সবাই চাচ্ছিলো আমি ঢাকাই থাকি কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই অফিস থেকে এই অফারটা পেয়ে রাজি হয়ে যাই। এমন কিছুই চাচ্ছিলাম পুরোনো স্মৃতি থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে একটা দুর্ঘটনা, আমার মা হার্ট অ্যাটাক করে। আমি হন্তদন্ত হয়ে হসপিটালে যায়, মায়ের শেষ ইচ্ছা আমি যেনো বিয়ে করি তাও আমার অতীত লুকিয়ে। এই জিনিসটা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে বিষ খাওয়ার চেয়ে বেশি কঠিন। আমার মন ইরাদকে ছাড়া এমনিতেও মরে গেছে তা ছাড়া আমি একজন নারী যে কি না কোনো দিন মা হতেও পারবো না জীবনের বিশেষ দুটো জিনিস আমার হওয়া সম্ভব না তাহলে আমি কি সুখি হতে পারি? নাহ পারি না। কোনো মেয়ে মানুষই পারবে না তবুও তো বেচে আছি আর আজকে আমার মা আমার এই বেচে থাকাটাও একদম কঠিন করে দিচ্ছে। কেবিন থেকে বের হয়ে এলাম হসপিটালের বাগানে,
দূর থেকে দেখি ইরাদ এখানে। আমাকে দেখে ইরাদ এগিয়ে এসে বলে,
– হেই,
আমি কোনো মতে নিজের কান্না থামিয়ে বললাম,
– কেমন আছো?
– আমি আলওয়েস রকিং থাকি ইউ নো।
কোনো রকম পরিবর্তন নেই তার আচার-আচরণে।
আমাকে এতো দিন পরে দেখেও সে কত স্বাভাবিক।
– সো রুহি বিয়ে করেছো?
– কেনো?
– এমনিই। এখানে কেনো?
-মা এডমিট। তুমি?
– ওহ আন্টির ঠিক মতো কেয়ার করতে বলে দিবো আমি। ডোন্ট ওয়ারি।
– এখানেই জব করো?
– না এটা আমার হসপিটাল, লন্ডন মুভ করছি উইথ মাই ওয়াইফ।
-হুম?
– আই মিন আই এম এংগেজড। সামনে বিয়ে আমার আর তোমার?
আমার গলা দিয়ে কোনো কথাই বেড় হচ্ছিলো না খুব কষ্ট করে উত্তর দিলাম।
– আমারো বিয়ে সামনে।
-ওয়াও, কবে কার সাথে?
– ডেট ফিক্সড হয় নি। হলেই জানিয়ে দিবো। আজকে আসি।
বাসায় ফিরে ডিসিশন নিলাম বিয়ে করবো। আমার জন্য মাকে এভাবে কষ্ট না দেই আর মনে মনে ইরাদের প্রতিও একটা অভিমান কাজ করছিলো।
চলবে…