#অলক্ষ্যে_তুমি
#প্রথম_প্রহর
#লিখাঃ #Yasira_Abisha (#Fatha)
আমি কোনোদিন মা হতে পারবো না দেখে আমার হবু স্বামী আমাকে প্রত্যাক্ষান করে চলে যায় বিয়ের মাত্র ২১দিন আগে, যার সাথে আমার ৬ বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তিনি একটা মিনিট সময় ও নিলো না আমাকে ফেলে চলে যেতে। তার দিক থেকে ভাবতে গেলে সে একদম ঠিক কাজ করেছে, আমি নিজেই তাকে ছেড়ে দিতাম কারণ আমার জন্য সে পিতা হতে পারবে না এটা আমি কোনোদিনই চাইবো না তবে সে আজকে এতো গুলো কথা বলার পর কলিজার ভেতরটা একদম ফেটে যাচ্ছে। খুব শূন্য লাগছে, যে মানুষটা আমাকে এভাবে আগলে রাখতো সে এক নিমিষেই আমাকে এমন করে ছুড়ে ফেলে দিবে তা কল্পনা ও করি নি। হাত পা একদম কাপছিলো বাড়ি ফেরার সময়, মানুষটাকে আমি প্রচুর ভালোবাসি এইজন্যই বোধহয়। বাড়িতে সবাই খুব খুশি তাই প্রথমে গিয়ে সবটা মায়ের কাছেই বলি।
আমার বিয়ে ভেঙে গেছে শুনে আমার চেয়ে বেশি কান্না আমার মায়ের চোখে। উনাকে কারণটা জানাতে চাইনি প্রথমে কিন্তু মা বারবার বলছিলো ইরাদের সাথে কথা বলবে সব ঠিক করে ফেলবে। এইজন্য বাধ্য হয়ে বলেছি, “আম্মু আমি আসলে তার যোগ্য না আর আমাকে বিয়ে করলে সে কোনোদিন সন্তানের পিতা হতে পারবে না।”
তবুও আমার মা আমাকে বলছে আমি যেনো মন খারাপ না করি সে ইরাদকে বুঝাবে।
সে মুহুর্ত গুলো আমি আম্মুকে বুঝাচ্ছিলাম যে ইরাদের অধিকার আছে সন্তানের পিতা হওয়ার আমি তাকে কোনোভাবেই এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারি না তাই আল্লাহর দোহাই তোমাকে প্লিজ আম্মু তাকে তুমি কিছু বলতে যেও না। ”
কথা গুলো কি সুন্দর করে আমি মাকে বলে যাচ্ছিলাম যেই মানুষটা আমার প্রচুর প্রিয় সে মানুষটা আর আমার জীবনে থাকবে না আর এই ডিসিশন শুধু তারই না বরং আমার নিজের ও। কথা গুলো শুনে আমার মা অঝোর ধারায় কান্না করছিলেন, আমার মা কোনোদিনও চান নি আমার ভাগ্যে বার বার দুঃখ আসুক। মায়ের একটাই কষ্ট, কেনো আমার ভাগ্যে বার বার এতো কষ্ট আসে? আমি কি সুখী হওয়ার যোগ্য না? জীবনটা অতো বড় ও না কিন্তু সুখ আমার হাতের নাগালের বাইরেই রয়েছে সবসময়। মায়ের সাথে কথা বলে এসে বাথরুমে গেলাম, শরীরে অবশিষ্ট যতটুকু শক্তি ছিলো এখন যেনো সেগুলো ও একদম নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।
শাওয়ারটা ছেড়ে মেঝেতে বসে আছি প্রায় ১ঘন্টা ঘরে। সত্যি বলতে শরীরে না বরং মনেই আর বিন্দু পরিমাণ শক্তি লাগছে না যেটা দিয়ে আমি সবার মুখোমুখি হবো। পুরোনো সকল স্মৃতি গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো, ফিরে গেলাম ছোট বেলার সময়ে।
আমার যখন মাত্র ৮ বছর বয়স তখন বাবা মারা যায়। আমি বাবা বলতে পাগল ছিলাম, আমার বাবা আমার সব ছিলেন। বাবাকে না দেখলে আমি ১ ঘন্টাও থাকতে পারতাম না। এই আল্প বয়সে আমার বাবা আমাদের ফেলে চলে যায় আল্লাহর কাছে সেই তখন থেকেই আমি মন মরা হয়ে গিয়েছিলাম।আর জীবনে তুফান এসেছিলো আমাদের মা মেয়ের।বাবা যাওয়ার ৪ দিন পর থেকেই সবকিছুই বদলে যায় আমাদেরকে আলাদা করে দেওয়া হয়, ৫ঞ্চম দিন থেকে দাদা দাদুর একটা পুরোনো বাসা ছিলো সেখানেই আমার আর মায়ের বসবাস শুরু হয়।
আমার বাবা ছিলেন শহরের বিশাল ব্যাবসায়ীদের মধ্যে একজন। যে বাবা মায়ের থেকে কোনোদিন কিছু নিতেন না। সবসময় বলতেন মা বাবা আমাকে শিক্ষিত করেছেন এবার আমার পালা পরিবারের সবাইকে দেখার।
বাবা কারোটাই আশা করতেন না কখনো, উল্টো যে বাড়িতে সবাই থাকে এটা বাবার নিজের বানানো ছিলো। এমন বাড়ি সে সবচাচাদের করে দিয়েছিলেন তার ইচ্ছে ছিলো সবাইকে স্যাটেল করে নিজের বাড়ি ঘর করবেন কিন্তু আল্লাহ তাকে সময় দেন নি, তার আগেই বাবা চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। এরপর সবাই খুব বদলে গেলো আমার আর মায়ের সাথে, আমার বাবা যে মানুষ নিজের কথা না ভেবে কোনো সেভিংস না করে দু-হাত দিয়ে সবাইকে করে গেছে সেই বাবার শেষ চিহ্ন আমি আর আমার মাকে কেউ আর ভালোবাসলো না। চাচা চাচি দাদা দাদির সাথে এক বাড়িতে আমাদের আর ঠাই হয় নি কারণ একটাই বাবা নেই। আমরা সামনে থাকলে চাচাদেরকে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এইজন্য তারা আমাদের আলাদা বাসায় দিয়ে দেয়।
মায়ের তখন বয়স অতো বেশি ছিলো না আর সে উচ্চশিক্ষিত ও ছিলো তাই মা ভেঙে পড়েনি। আমার মায়ের অনেক মনোবল সবসময়ই। কি কঠিন সময়টা মা আমাকে বুকে আগলে রেখে পাড় করেছেন, যেনো এক পাহাড় তিনি অদৃশ্য ভাবে ভেদ করেছেন নিজ হাতে। আর আজকে সেই মা হাউমাউ করে কাদছেন আমার জন্য। অসহনীয় কষ্ট লাগছে তাকে এতোটা ভেঙে পড়তে দেখে, আমার মা শুধু আমার বেলায় কষ্ট গুলো নিতে পারে না কোনোদিন। এ ছাড়া সে জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পার করেই এসেছেন। মা যখন শুরুর দিকে আমাকে নিয়ে সে পুরোনো বাড়িতে থাকতে শুরু করলেন, আমাদের চলতে খুব কষ্ট হতো, ঘরে খাবারটুকু যোগাড় করতে মায়ের প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। কারণ চাকুরী বললেই পাওয়া যায় না। নানা নানুর বাসা থেকে এই সাপোর্টটি আসতো আমাদের, এরই মাঝে
কয়েক মাস পর মাকে বিয়ের জন্য অনেক চাপ দেওয়া হয় নানা বাড়ি থেকে কিন্তু মা নারাজ বিয়ে করতে, সে আমাকে মানুষ করবে বাবার বিধবা হয়ে থাকবে। একটা ছোট বাচ্চার ওপরে এটা যে কত বড় একটা চাপ সেটা মাত্র একটা শিশুই বুঝতে পারবে যে এসব সহ্য করেছে। প্রতিনিয়ত শুনতাম মায়ের বিয়ে হয়ে যাবে। আমার নানুর কাছে থাকতে হবে। রাতের আধারে ফুপিয়ে কাদতাম, কান্না করতে করতে হাত বাড়িয়ে বাবাকে খুজতাম, ধরতে চাইতাম। ভাবতাম আজকে বাবা থাকলে আর কেউ আমাকে আর মাকে আলাদা করতো চাইতো না। আমি আমার মা আর বাবাকে একসাথে নিয়ে থাকবো সবসময়ের মতো। এর মধ্যে মা ছিলো প্রচুর ডিপ্রেশনে, সে ঘুমাতো না ঠিক মতো খেতো না শুধু হন্তদন্ত হয়ে কাজ আর টাকার পেছনে ছুটতেন আর নানা নানু মামি এসে আমাদের এসব নিয়ে চাপ দিতেন। সময় গুলো আমার হয়তো কোনোদিন ভুলে যাওয়া সম্ভব না। কারণ তখন অনেক কঠিন বাস্তবতা দেখা শুরু করেছিলাম। যেখানে আমরা গুলশানে থাকতাম সেখান থেকে চলে এলাম বনশ্রী, বাংলা একটা স্কুলে মা আমাকে ভর্তি করে দিলেন। তবে বেশিদিন লাগে নি, আল্লাহ পাক আমাদের দিকে তাকায় মায়ের সরকারি চাকুরী হয়ে যায়। আর মা বিয়ে করবে না এবার কঠিনভাবে বলে নানুবাড়ির সবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিলেন।
এসব শুনে কিছুদিন পর আমাদের সাথে আমার দাদা দাদী চলে আসে তারা বলে মায়ের এই নির্নয়ের জন্য তারা এসেছেন তবে আমরা পরে আসল কারণ জানতে পারি যে চাচারা দাদা-দাদিকেও তাড়িয়ে দিয়েছে এখন তারা আলাদা থাকবে। দাদা দাদির কষ্ট আমার মা বুঝেছিলো। দাদা দাদি আবারো আমাদের আগের মতো ভালোবাসতে শুরু করলেন। আমাদের দু’জনের জীবনে কিছুটা খুশি ফিরে এলো। তবে ফিক্স চাকুরী থাকলেও ৪জন লোকের মূল দায়িত্ব মায়ের ওপর আর দাদার পেনশনের টাকার ওপরে, আমরা তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ বলে চলছিলাম। বাবার কথা সবসময়ই মনে হতো, কান্না করতাম একা একা। বাবাকে ফিরে পেতে চাইতাম কখনো আর খুশি আসে নি আমাদের মাঝে নিরামিষ জীবন ছিলো আমাদের। জীবনের মূল লক্ষ্য হয়ে উঠলো প্রতিষ্ঠা লাভ করা যার জন্য দিন রাত এক করে দিতে শুরু করলাম আমি।
এভাবে দেখতে দেখতে এসএসসিতে গোল্ডেন পেলাম। তবে আমি জানতাম এটাই মূল না, মূল হলো এইচএসসি, তার জন্য কঠোর পরিশ্রম আমি বাদ দেইনি বরং আরো মনোবল নিয়ে পড়তে থাকি। আমার স্পষ্ট মনে আছে সেদিন আমার এইচএসসি পরিক্ষার রেজাল্ট ছিলো সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা গোলাপি রঙের থ্রি পিস গায়ে জড়িয়েছিলাম। বাবার খুব পছন্দের একটা রঙ ছিলো এটা উনি বলতেন এই রঙের জামা নাকি আমাকে খুব মানায়। মা ও আমাকে কাজল দিয়ে ঠোঁটে হালকা লিপবাম দিয়ে রেডি করে দিলেন। আমাকে নাকি দেখতে বেশ লাগছিলো। আমার মা দেখতে অপরূপা সুন্দরী আর বাবাও ছিলেন সুদর্শন নায়কদের মতো। আর সবাই বলতো আমি নাকি দেখতে তাদের থেকেও সুন্দর হয়েছি তাই মা আমাকে একটু আগলে রাখারই চেষ্টা করতেন সমসময়, স্কুল কলেজে নিজে নিয়ে যেতেন আসতেন তবুও মানুষ বারবার তাকিয়ে দেখতো আমাকে সবসময় আমিও নিজেকে আড়াল রাখার চেষ্টায় থাকতাম খুব। তবে রেজাল্টের দিন মায়ের অফিসে জরুরি মিটিং ছিলো বিধায় আমি একা গিয়েছিলাম রেজাল্ট আনতে, যদিও একটু ভয় ছিলো কিন্তু পরক্ষণেই ভাবছিলাম ইনশাআল্লাহ ভালো কিছুই হবে এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন আমি গোল্ডেন পেয়েছিলাম, এবার আমি কিছুটা টেনশন ফ্রী হয়ে যাই। মনে হচ্ছিলো খুশি মাত্র এসেছিলো জীবনে ভালো রেজাল্ট রূপে। ভেবেছিলাম আজকে আমার জীবনের অনেক সুখের একটা দিন হবে।কিন্তু আমার সেই ১৭ বছর বয়সেই তখন একটা বড় এক্সিডেন্ট অপেক্ষা করছিলো। রাস্তা পারাপারের সময়ে একটা গাড়ির সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। কয়েক মুহুর্তের ভেতরেই এক্সিডেন্টের কারণে আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং আমি প্রচুর পরিমাণে আহত হয়েছিলাম। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েছিলাম, মানুষের ভীড় লেগে গেলো।এক্সিডেন্টের পরে কথা বলতে পারছিলাম না,কিন্তু চোখে আবছা আবছা দেখছিলাম সব, এতটুকু খেয়াল আছে একটা ছেলে আমার দিকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসেছিলো আমাকে কোলে তুলে নেয় এরপর আমার আর কোনো জ্ঞ্যান ছিলো না। আল্লাহর রহমতে আমি বেচে যাই কিন্তু এই এক্সিডেন্টটা আমাকে ভেতর থেকে খুব দুর্বল করে ফেলে। এরই মাঝে আমি হাসপাতালে ছিলাম প্রায় ২ মাসের মতো।
সেই এক্সিডেন্টের সময় ও আমি জানতাম না জীবনটায় এখনও ঠিক মতো দুঃখ আসে নি আরো আনেক পথ তো এখনো বাকি আছেই, যদি জানতাম তবে দোয়া করতাম আর যেনো ফিরে না আসি।
.
অসুস্থ থাকাকালীন অবস্থায় প্রতিদিন সকালবেলা আমাদের ওয়ার্ডে ডক্টররা ভিজিটে আসতেন এবং তাদের সাথে মাঝে মাঝে মেডিকেল স্টুডেন্টরাও থাকতো। একটা গ্রুপের স্টুডেন্ট চোখে পড়েছিলো সবচেয়ে বেশি। তাদেরকে ভেতর ১টা ছেলে প্রতিদিন আসতো, শুনেছিলাম তারা ৪তুর্থ বর্ষের ছাত্রছাত্রী। সে ছেলেটা প্রতিদিন আমাকে দেখে একটা মিষ্টি হাসি দিতো, আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে যেতাম এবং তার সাথে ভাব বিনিময় না করে অন্যদিকে তাকাতাম। দেখতে খুব সুন্দর ছিলো সে তাই এভাবে এসে তাকানোটা আমার কাছে তাকে ছেচড়া হিসেবে পরিনত করে দিচ্ছিলো তাকে। সুন্দর ছেলেদের নিয়ে এমনিতেই হরেকরকমের কথা হয় সবসময় তাই তাকে আমি ভালো ভাবছিলাম না একদমই আর সব রেখে সে আমাকে এভাবে কেনো দেখতো সেটাই আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। শুধু ভাবছিলাম বাড়ি ফিরতে পারলেই বেচে যাই রোজ এসে আমার আশে-পাশে তার ঘুরাঘুরি থেকে মুক্তি পাওয়া খুব জরুরী।
.
যেদিন ডিসচার্জ হয়ে বাসায় আসলাম সেদিন ছিলো বসন্তের প্রথম দিন।বলতে গেলে অনেকদিন পরে খুব ঝরঝরে লাগছিলো বাড়ি ফিরে আর ততদিনে আমি ঠিকমতো হাটাহাটি শুরু করে দিয়েছিলাম, পড়ন্ত বিকেলে বারান্দায় বসেছিলাম, জানালা দিয়ে বাইরে দেখছিলাম আর চা খাচ্ছিলাম শো শো বাতাস বইছিলো, মনরোম পরিবেশ দেখতে বেশ লাগছিলো।
হঠাৎ চোখে পড়ে একটা গাড়ি আমার বাসার নিচে এসে থামলো, এবং গাড়ি থেকে সেই ছেলেটাই নেমে এলো, ফর্সা চেহারা চোখে সানগ্লাস, তার পড়নে ব্লাক শার্ট, স্লিভস ফোল্ড করা উচ্চতা আনুমানিক ৫’৯-৫’১১ এর মধ্যে হবে সব মিলিয়ে খুবই আকর্ষণীয় লাগছিলো তাকে দেখতে, সে গাড়ি থেকে নেমে এদিক সেদিক তাকালো এবং ওপরে আমাকে দেখলো ওক পলক তাকিয়ে আর সাথে সাথেই আমাদের বাড়িতে ঢুকে গেলো।
আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই কলিং বেল বাজলো। এদিকে আমিতো রাগে গজগজ করছিলাম, কতো বড় সাহস আমার বাড়ি পর্যন্ত চলে এসেছে। সে দেখতে সুন্দর স্মার্ট বলে এভাবে বাসায় এসে পড়বে নাকি? আজকে একে ভালো মতো শিক্ষা দেবো যাতে আর কোনোদিন সাহস না পায় এভাবে বাসায় আসার, উঠে আমি বাইরে আসলাম কিন্তু বাইরের দৃশ্য দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। বাইরে গিয়ে দেখি ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে আমার দাদু কান্না করেই চলেছে আর সে আমাকে দেখে আগের মতো একটা হাসি বিনিময় করে আবার দাদুকে নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে গেলো। এদিকে এসব কি হচ্ছে দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে কারণ দাদু এমন একজন মানুষ যে সহজে কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলে না আর এদিকে এই ছেলেকে জড়িয়ে ধরে সে কান্না করে যাচ্ছে। আমি যে এসে এখানে ২মিনিট ধরে দাড়িয়ে আছি তাও উনি দেখেন নি। রাগের মাত্রাটা আরো একটু বাড়লো,
আমি নিজে থেকেই বললাম
– দাদু
আর এরই মাঝে দাদু আমাকে দেখে খুশি হয়ে বললেন,
– দেখো রুহি, ইরাদ এসেছে।
(গল্পের প্লটটা ইনশাআল্লাহ আপনাদের প্রচুর পছন্দ হবে আমি আশাবাদী)