অভিমান হাজারো পর্বঃ২৭

0
1894

অভিমান হাজারো পর্বঃ২৭
আফসানা মিমি

—“অরু প্লিজ, কান্না কোরো না আর।”
আফরা ব্যর্থ হচ্ছে অরুনিমাকে বুঝাতে। তার হাতে কিছুই নেই। তার কিছু করার থাকলে অবশ্যই সে তা করতো। কিন্তু জোর করে যে কিছু হয় না এটা তো সে বুঝে। অরুনিমার জন্যও খারাপ লাগছে অনেক। মেয়েটা এই প্রথম কাউকে এতো প্রবলভাবে ভালবেসে ফেলেছে। সামিরের জায়গা ওর সবটা জুড়ে থাকলেও ভাগ্যে যে নেই। এই চিরন্তন সত্যটা মেনে নিতে হবে যেকোন মূল্যে।
—“বৌমণি, কেন? বলতে পারো কেন আমার সাথেই এমন হলো? যদি উনার সাথে আমার মিলনই না হয় তাহলে উনার প্রতি আমার ভালবাসাটা কেন এতো গাঢ় করে দিলেন? কোন পাপের শাস্তি পাচ্ছি আমি বলতে পারো? সজ্ঞানে আমি কারো কোন ক্ষতি করিনি কখনো। আল্লাহর নাফরমানিও করিনি। তাহলে আল্লাহ্ কেন আমার সাথে এমনটা করলো?”
অরুনিমার কান্না আফরার সহ্য হচ্ছে না। জড়িয়ে ধরাবস্থায়ই বললো
—“এভাবে বলে না অরু। আল্লাহ্ নারাজ হবেন। তিঁনি যা করেন বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন। ভেবে নাও এতেই তোমার মঙ্গল লুকিয়ে আছে। আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ। তিঁনি তাঁর বান্দাদের এমন কষ্ট দেন না যা তারা সহ্য করতে পারবে না। তোমাকে শক্ত হতে হবে অরু। প্লিজ এভাবে ভেঙে পড়ো না। আমার কষ্ট হচ্ছে তোমাকে এই অবস্থায় দেখতে।”
—“প্লিজ বৌমণি তুমি চলে যাও। আমি যাব না। সচক্ষে নিজের ভালবাসার মানুষটাকে অন্যকারো হতে দেখতে পারবো না। আমাকে জোর কোরো না তুমি দয়া করে।” আকুতি করে বললো অরুনিমা।
আফরা জবাব দিল
—“অরু, তোমাকে এভাবে মানায় না। তুমি না অনেক স্ট্রং গার্ল! প্লিজ এভাবে ভেঙে পড়ো না। তোমাকে এভাবে দেখতে পারছি না আমি।”
অরুনিমা কাঁদাবস্থায়ই জবাব দিল
—“বৌমণি, আমাকে তুমি যতটা শক্ত ভাবো ততটা শক্ত আমি না। উপর থেকে নিজেকে যতই স্ট্রং দেখাই না কেন ভিতরে ভিতরে আমি ততই নরম। মোম দেখো না তুমি! মোমে যেমন একটু আগুনের ছোঁয়া লাগলেই গলে যায়, তেমনি আমিও একটু কষ্ট পেলে ভিতরটা আমার এভাবে ভেঙে গুড়িয়ে যায়। কারণ ছোটবেলা থেকেই আমি কষ্ট নামক জিনিসটার সাথে পরিচিত নই। তবুও নিজেকে যতটা পারি শক্ত রাখার চেষ্টা করি। জানিনা সফল হই কিনা। তবে কাউকে বুঝতে দিতে চাই না আমার ভিতরটা। বৌমণি আর দেরি কোরো না। তুমি চলে যাও আমি যাব না। শুধুশুধু জোর কোরো না আমাকে।”
—“ঠিক আছে জোর করবো না। তবে আমিও যাব না তুমি না গেলে। এখন তুমিই ভাবো কী করবে তুমি!”
—“কেন শুধুশুধু জেদ করছো বৌমণি? আমি সহ্য করতে পারবো না এটা।”
—“এসব ছেলেভুলানো কথায় আমি ভুলছি না। তোমাকে ছাড়া আমি যাব না তো যাব না। ব্যস!” গোঁ ধরে বললো আফরা।
হাল ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে অরুনিমা বললো
—“তোমার জিত হোক। যাও যাব আমি। তবে উনার বিয়েতে যেতে পারবো না আমি। শুধুমাত্র গায়ে হলুদেই অংশগ্রহন করবো।”
—“আচ্ছা আচ্ছা তাতেই হবে।” খুশিতে ডগমগ হয়ে বললো আফরা।

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

—“আমার সোনাবউটার চোখে পানি কেন?”
পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে চিবুক ঠেকিয়ে জানতে চায়লো স্পন্দন। তার কথায় অতশী ডুকরে কেঁদে উঠে। আয়নায় অতশীর কান্না দেখে তড়িঘড়ি করে নিজের দিকে ফিরিয়ে তার মুখটা নিজের দু’হাতের আজলায় তুলে জানতে চায়লো
—“কী হয়েছে অতশী? কাঁদছো কেন তুমি? প্লিজ ডোন্ট ক্রাই। কষ্ট হয় আমার জানটা।”
ক্রমান্বয়ে অতশীর কান্নার বেগ বাড়ছে। কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে তার। স্পন্দনকে ছেড়ে চিরতরে চলে যেতে হবে ভাবলেই কলিজায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সে তো অল্প কয়েকদিনের অতিথি হয়ে স্পন্দনের বুকভরা উজার করা ভালবাসা পেতে চায়নি। বৃদ্ধকাল পর্যন্ত একে অপরের হাতে হাত রেখে চলতে চেয়েছিল। কিন্তু বিধাতা তাকে কেন সেই সুযোগটা দিলেন না!? ও যে এখনই স্পন্দনকে ছেড়ে যেতে চায় না।

নোনাপানিগুলো নিজের ঠোঁট দ্বারা শুষে নিয়ে দুই চোখের পাতায় কয়েকটি চুমু এঁকে দিল স্পন্দন। তারপর কপালে একটি চুমু দিয়ে বুকে টেনে নিল অতশীকে। দু’হাতের শক্ত বাঁধনে আগলে ধরলো অতশীকে। অতশীও নিজের সর্বশক্তি দিয়ে আঁকড়ে ধরলো স্পন্দনকে। কান্না করতে করতে একটা সময় বসে পড়লো স্পন্দনকে ধরাবস্থায়ই। তার সাথে সাথে সে-ও বসলো ফ্লোরে কার্পেটের ওপর। বেশ কিছুক্ষণ এভাবেই কেটে গেল সময়। মাথা তুলে স্পন্দনকে ভাঙা ভাঙা গলায় বললো

—“আমাকে ক্ষমা করেছো তো স্পন্দন?”
গালে কান্নার দাগ স্পষ্ট অতশীর। সেদিকে একবার তাকিয়ে ফের তার চোখে চোখ রেখে জানতে চায়লো
—“ক্ষমা? কিসের ক্ষমার কথা বলছো তুমি?”
অতশী মাথা নিচু করে ফেললো। স্পন্দন বোধহয় বুঝতে পারলো অতশী কেন ক্ষমা চাচ্ছে। তার হাতদুটো স্পন্দন নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে থেমে থেমে বললো
—“অতশী, তোমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি আমি। না জেনে না বুঝে অনেক কষ্ট দিয়েছি তোমাকে। আমাকে ক্ষমা…..”
স্পন্দনের কথা অসমাপ্তই রয়ে গেল। অতশীর হাত তার ঠোঁটে ঠেকিয়ে বাধা দিয়ে বললো
—“প্লিজ! আমাকে আর পাপী বানিও না। আমি এমনিতেই অনেক পাপের ভাগীদার। আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাকে আর ছোট কোরো না স্পন্দন। নইলে যে আমি মরেও শান্তি পাব না। তুমি আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে থেকো না স্পন্দন। আমাকে মাফ করে দিও মন থেকে।”
অতশীকে জড়িয়ে ধরে স্পন্দন বলে
—“কিসব বলছো তুমি অতশী? এমনিতেই আমার অনেক কষ্ট হয় অতশী। এসব বলে বলে আর কষ্ট দিও না আমাকে। আমি কিভাবে তোমাকে ছাড়া শ্বাস নিব বলতে পারো? এ পৃথিবীর বিষাক্ত বাতাস যে আমি গ্রহন করতে পারবো না অতশী। যেখানে তোমার শরীরের গন্ধ পাব না সেখানে আমি কী করে তোমাকে ছাড়া থাকবো!? আমি মরে যাব অতশী, আমি স্রেফ মরে যাব। তোমাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকাটাও যে মৃত্যু সমতুল্য। আমাকে একটা উপায় বলে দাও অতশী। নয়তো তোমাকে বুকে নিয়েই চিরতরে চোখ বন্ধ করবো।”
—“এসব বোলো না স্পন্দন। আমি তোমার কাছে না থাকলেও আমার অস্তিত্ব বিলিন হবে না। তোমার বেঁচে থাকার কারণ এই পৃথিবীতে আসতে চলেছে। ওর মাঝেই তুমি আমাকে খুঁজে নিও। জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের আলোয় তারাদের মাঝখান থেকে আমাকে চিনে নিও। বৃষ্টির পর ভেজা মাটির গন্ধ থেকে আমার শরীরের গন্ধটা আলাদা করে চিহ্নিত করে নিও। পাখির কলকলধ্বনির সাথে আমার হাসির শব্দটা মিলিয়ে নিও। যখন খুব বেশি আমার কথা তোমার মনে পড়বে, গোধূলি লগ্নে বিস্তৃত খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে কনে দেখা আলোয় আমাকে তোমার ঐ অন্তরের চোখ দিয়ে খুঁজে মনভরে দেখে নিও। তখন হয়তো খেয়াল করলে দেখতে পাবে তোমার প্রিয়তমার মোহময়ী হাসিটা।”

—“ভালবাসার মানুষটাকে নিয়ে সুখে থাকেন। তার চোখে চোখ রেখে শতসহস্র কাব্য রচনা করেন। প্রিয় মানবীর স্পর্শেই যেন প্রতিটা নতুন দিনের ভোর শুরু হয়। প্রতিটা দিনের শুরু যেন মধুর থেকেও মধুতুল্য হয়। দুজনে একসাথে অনেকটা পথ পাড়ি দেন। এটুকুই কামনা করি আপনার এবং আপনার ভাবী জীবনসঙ্গিনীর জন্য। আর আমার জন্য দোয়া করবেন এমন হতভাগ্য কপাল যেন আর কারো না হয়। ভালবেসে যেন কেউ এমন কষ্ট না পায়।”
সামিরকে হলুদ ছোঁয়াতে এসে অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে কথাগুলো বলে সেখানে আর এক মুহূর্তও দাঁড়ালো না অরুনিমা। ওর যাওয়ার পানে সামির বিস্ময়কর দৃষ্টি মেলে অপলক তাকিয়ে রইলো। মেয়েটার সারা মুখে বেদনার ছাপ স্পষ্ট। কী সুন্দর কথাগুলো গুছিয়ে বলে গেল! অথচ বুকের ভিতর যে কতটা যন্ত্রণা নিয়ে কথাগুলো বলেছে তা সামির একটু হলেও বুঝতে পেরেছে। সব মিথ্যা হলেও মানুষের চোখের পানি মিথ্যা হতে পারে না। কোন পানিটা কিসের জন্য বের হয় সেটা সামির জানে। আর জানে বলেই বুঝতে পেরেছে অরুনিমার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে শুধুমাত্র তারই বসবাস। কিন্তু সে যে অসহায়। তার হাত পা চারদিক থেকেই বাঁধা।

অরুনিমাকে কান্নারত অবস্থায় দেখে দৌড়ে তার কাছে এলো আফরা। কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই তাকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠলো। কান্নাটা কোনভাবেই আটকে রাখতে পারছে না সে। ভালবাসায় এতো কষ্ট কেন!?
—“বৌমণি, বৌমণি আমি সহ্য করতে পারছি না। আমি মরে যাচ্ছি বৌমণি। ভিতরটা আমার জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। চোখ দুইটা জ্বলে যাচ্ছে আমার। আমার সর্বাঙ্গে কে যেন চামড়া ছিলে লবন লাগিয়ে দিয়েছে এমন যন্ত্রণা হচ্ছে। কী করবো আমি বৌমণি, কী করবো? একটা উপায় বলে দাওনা আমায়। আমার যে নিজেকেই নিজে শেষ করে ফেলতে ইচ্ছে করছে।” পাগলপ্রায় হয়ে কেঁদে কেঁদে অসংলগ্ন ভাবে কথাগুলো আওড়ালো অরুনিমা।
মাথায় পিঠে কিছুক্ষণ হাত বুলিয়ে আফরা বললো
—“ছিঃ অরু! এসব বলতে নেই। প্লিজ একটু শান্তা হও। নিজেকে শক্ত করো। ভালবাসায় কেমন যন্ত্রণা হয় আমি বুঝি অরু। তোমার অবস্থাটাও আমি বুঝতে পারছি। ভালবাসার মানুষটাকে অন্যকারো হয়ে যাওয়া দেখতে পারে না কেউই। কিন্তু তবুও তার সুখে নিজে সুখী থাকতে হয়। থাকতে পারে না অনেকেই। তবুও অভিনয় করে যেতে হয় প্রতিনিয়ত। ভালবাসার নীতিই যে এটা। তোমাকেও শক্ত হতে হবে। আমি জানি তুমি পারবে। পারতে যে তোমাকে হবেই।”

—“ভাইয়া।”
—“হ্যাঁ বলো অতশী, কেমন আছো? ঐদিকের অবস্থা সব ভালো তো?” জানতে চায়লো সামির
—“একদমই ভালো না ভাইয়া। লাবণ্য তো গায়ে হলুদ ছোঁয়াতে রাজীই হচ্ছে না কোনভাবে। বেচারিকে আর কত কষ্ট দিবা, বলো তো? পরে দেখা যাবে হার্টএটাক করে বসবে। তাই সময় থাকতে থাকতে বলে দাও। সেদিন দেখে যাওয়ার পর থেকে সেই যে কান্না শুরু হয়েছে এরপর তো আর কান্না থামছেই না ওর। মনে হচ্ছে যেন সারাজীবনের কান্না একসাথেই কেঁদে এখনই শেষ করে ফেলছে।”
—“কাঁদতে দাও। এখনই শেষ করতে দাও। আমার সাথে থাকলে তো ওকে কান্না করার সুযোগই দেব না। তাই যেহেতু সুযোগ পেয়েছে একটু কাঁদুক।”
—“দিস ইজ নট ফেয়ার ভাইয়া। এখন তুমি না বললে আমিই বলে দেব ওকে।”
—“আচ্ছা আচ্ছা ফোনটা দাও তো ওকে।
—“হুম দিচ্ছি।

—“লাবণ্য, এই নাও তোমার হবু বরের সাথে একটু কথা বলো তো। বেচারা তড়পাচ্ছে তোমার সাথে কথা না বলতে পেরে।” মোবাইলটা লাবণ্যর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো অতশী।
লাবণ্য রেগে গিয়ে বললো
—“কারো সাথে কোন কথা নাই আমার। যাও এখান থেকে। জোর করলে মোবাইল ভেঙে ফেলবো বলে দিচ্ছি।”
—“আচ্ছা জোর করবো না। তুমি শুধু মোবাইলটা তোমার কানে দুই সেকেন্ডের জন্য ধরো। ইট’স আ হাম্বল রিকুয়েস্ট।” অনুরোধ করে বললো অতশী।
—“ওকে, জাস্ট টু সেকেন্ডস্।”
মোবাইলটা ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে
—“হুম আগে মোবাইলটা নাও।”

মোবাইলটা নিয়ে কানে লাগানোর পর একটা অতি পরিচিত কণ্ঠস্বর তার কানে এলো। থমকে গেল সে।
—“লাবণী।”
—“সা..সামির!” লাবণ্য বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়
—“তোমার কী আমার জন্য বউ সাজার ইচ্ছে নেই?”
সামিরের এমন কথায় লাবণ্য অস্ফুটস্বরে কেঁদে উঠলো। সেই অবস্থায়ই বললো
—“কাল আমার বিয়ে সামির। তোমাকে নিজের করে পাওয়া হলো না।”
মনে মনে হাসলো সামির। পাগলীটা কিভাবে কাঁদছে দেখো! ওর কান্না শুনতে পেয়ে সামির বললো
—“কাল যদি গিয়ে দেখি কোন ভূত্নী আমার জন্য বউ সেজে বসে আছে, তাহলে কিন্তু ওকে আমি বিয়ে করবো না একদমই।”
—“মানে? তোত্… তোমার বিয়ে?”
—“হ্যাঁ, এই পাগলটার সাথেই যে তুমি পাগলীটার বিয়ে কালকে।”
লাবণ্য খুশিতে এবার বেশ আওয়াজ করেই কেঁদে দিল। তার বিশ্বাসই হচ্ছে না। সে কী সত্যি শুনেছে!? সামিরের সাথেই তার বিয়ে!
—“এবার লক্ষ্মী মেয়ের মতো গায়ে হলুদ ছোয়াও। ইনশা আল্লাহ্ কাল আসছি তোমাকে নিতে। একেবারে পার্মানেন্টলি নিজের করে নেব।”
সামির ফোন রেখে দেওয়ার পর অবাক এবং প্রশ্নাতুর দৃষ্টিতে অতশীর দিকে তাকালো। অতশী মুচকি হেসে সায় জানালো। খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলো লাবণ্য।

চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে