অভিমানী বিকেল শেষে পর্ব-০২

0
495

#অভিমানী_বিকেল_শেষে ( দ্বিতীয় পর্ব )
#ঈপ্সিতা_মিত্র
<৩>
কিন্তু কিছু ভাবনা মেলে না ঠিক জীবনে। অন্য কিছু আলাদাভাবে অপেক্ষা করে থাকে পরের দিনগুলোতে! এই যেমন রঙ্গন এর সেদিনের ভাবনাটাও মিললো না ঠিক! আরেকবার নতুনভাবে মুখোমুখি হতেই হলো তুলির সাথে কয়েক সপ্তাহ পরে। সেই দিনটা ছিল রবিবার। রঙ্গন আজকের সকালটা অফ রেখেছে পুরোপুরি ভাবে। কাল খুব হেকটিক গেছে আসলে ওর। সকালে কনফারেন্স, তারপর তিনটে ও.টি, চেম্বার! তাই আজ সকালটা রেস্ট নেবে বাড়িতে। এইসব ভেবেই কোন এলার্ম সেট করেনি মোবাইলে। কারণ আজ তো দশটার আগে কোন মতে উঠছে না রঙ্গন! যাইহোক, এই এলোমেলো চিন্তার আড়ালেই বেশ শান্তিতে ঘুমাচ্ছিল ছেলেটা; কিন্তু হঠাৎ জেগে উঠলো মায়ের চিৎকার এ!
” একো সূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্র টি মন
একো কার্যে সপিয়াছি সহস্র জীবন।।”
গানটা বেশ তুমুল চিৎকার করেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে গাইছিল রঙ্গন এর মা, যেটা শুনে রঙ্গন প্রায় ধড়ফড়িয়ে ঘুম থেকে উঠলো! এটার কোন মানে আছে! একটা ছুটির সকাল। আজও মা কে এই চিল চিৎকার করতেই হবে! গেল ঘুমটা নষ্ট হয়ে! কথাটা ভাবতে ভাবতেই রঙ্গন বেশ রেগেই মায়ের ঘরের দরজার দিকে এসেছিল, তারপর কোন কিছু খেয়াল না করেই মা-কে বলেছিল,
—–” প্লিজ মা, সকাল সকাল এই অত্যাচারটা বন্ধ করো একটু! ঘুমের দফা রফা হয়ে গেল! তুমি তো টাইম পাসের জন্য গানের বদলে আঁকাও শিখতে পারো, তাতে অন্তত বাড়িতে একটু শান্তি বজায় থাকে সকাল সকাল!”
কথাগুলো প্রায় এক নিঃশ্বাসে বললো রঙ্গন। কিন্তু তখনই হঠাৎ মায়ের নতুন গানের টিচার পিছনে ফিরে তাকালো ওর দিকে, তারপর অল্প ইতঃস্তত হয়ে বললো,
—–” আপনার কি কোন অসুবিধা হচ্ছে কাকিমার গান শুনে?”
কথাটা শেষ হতেই রঙ্গন কেমন থমকে গেল হঠাৎ! সেই মেয়েটা, এখানে! যার সাথে আরেকবার আলাপ করার ইচ্ছা ছিল, সে অবশেষে ওর বাড়িতে এসেই হাজির! কথাটা ভাবতেই ও নিজের মনে বলে উঠলো,
—–” আপনি! আমাদের বাড়িতে!”
প্রশ্নটা য় রঙ্গন এর মা এবার বলে উঠলো,
—–” হ্যাঁ, ও তুলি। আমার নতুন গানের টিচার। কিন্তু তুই কি চিনিস ওকে?”
এর উত্তরে রঙ্গন কিছু বলার আগেই তুলি বলে উঠলো, —–” আসলে আমার বাবার আগের মাসে একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিল। উনি সেই সময় খুব হেল্প করেছিলেন বাবাকে টিউলিপ নার্সিং হোমে এডমিট করানোর জন্য। তাই!”
কথাটা শেষ হতেই রঙ্গন এবার নিজে থেকে বললো,
—-” হাই, আমি জানতাম না আপনি মায়ের গানের টিচার! যাইহোক আপনার বাবা এখন কেমন আছে? আর কোন মেডিক্যাল প্রব্লেম নেই তো?”

এতগুলো প্রশ্ন শুনে তুলি আজ একটু অবাকই হলো! সেদিন যখন তুলি কথা বলতে গেছিল, তখন তো একদম মাপা উত্তর দিয়েছিল। তাহলে আজ হঠাৎ কি হলো! কথাটা ভেবেই তুলি এবার অল্প কথায় বলে উঠলো,
—-” হ্যাঁ, ভালো আছে বাবা। আর কোন প্রব্লেম নেই এখন। যাইহোক, আপনি যখন গানের জন্য ডিস্টার্বড হচ্ছেন, তাহলে আজ বরং আমি আসি। অন্য একদিন এসে কাকিমাকে গান শিখিয়ে দেব!”
কথাটা বলেই তুলি উঠতে যাচ্ছিল হারমোনিয়াম এর সামনে থেকে, তখনই রঙ্গন বেশ জোর দিয়ে বললো,
—-” না না! প্লিজ.. আপনি যাবেন না! আসলে আমার ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেছিল বলে আমি তখন রিয়্যাক্ট করে উঠেছিলাম, এন্ড এম রিয়ালি সরি ফর দ্যাট.. প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড.. আপনি মন দিয়ে গান শেখান, আর মা, তুমিও খুব মন দিয়ে গান করো। আমি আসছি।”
কথাগুলো কোন রকমে বলেই রঙ্গন বেরিয়ে এসেছিল ঘরটা থেকে, মনে একটা ভালো লাগার রেশ নিয়ে। কিন্তু রঙ্গন এর মা কেমন অবাক হয়ে গেছিল ছেলের এই কথায়! গান নিয়ে যে কোন দিন ছেলে ওনাকে উৎসাহ দিতে পারে, সেটা আসলে ধারণার বাইরে ছিল নিরুপমার। আসলে এইসবই সময় কাটানোর জন্য জোর করে করেন উনি, রঙ্গন এর বাবার অকালে চলে যাওয়ার পর। তার ওপরে গলার কোয়ালিটিটা একটু ভাঙা ভাঙা সুরহীন। তাই গান যে খুব একটা ভালো শুনতে লাগে না ওনার গলায়, সেটা নিরুপমা বোঝে। কিন্তু তাও জোর করে চালিয়ে যায় গানটাকে।

তবে এরপর নিরুপমা কে আরো একটু অবাক করে দিয়ে রঙ্গন সেই রাতে ডিনার টেবিলে জিজ্ঞেস করে উঠলো,
—–” মা, তুমি সপ্তাহের কোন কোন দিন গান শেখ? আমি এত বিজি থাকি, যে এইসব ব্যাপারে কিছু জানিই না!”
প্রশ্নটা শুনে নিরুপমা বেশ বড় বড় চোখ করেই নিজের ছেলের দিকে তাকালো! আজ হঠাৎ কি হলো ছেলেটার! ‘ মা, প্রেশারের ওষুধ খেয়েছ?’, ‘ মা, ইভিনিং ওয়াক এ গেছো?’ এইসব প্রশ্ন ছেড়ে এরকম অন্য রকম কথা বলছে! কথাটা ভেবেই নিরুপমা বলে উঠলো,
—–” তুলি প্রত্যেক শনিবার আসতো বিকেলে। তাই তোর সাথে কখনো দেখা হয়নি! তবে ওর আরেকটা নতুন গানের স্কুল শুরু হয়েছে, তাই টাইম টা বদলে রবিবার সকালবেলা করে দিয়েছে। কিন্তু তোর তো ওই একটাই ছুটির দিন! তোর অসুবিধা হলে বল, আমি ওর গানের স্কুলে গিয়ে গান শিখে আসবো। রবিবার সকাল গুলো কিছু রাখবো না!”
কথাটায় রঙ্গন এবার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে বললো,
—–” না না, একদম না! ওকে বরং রবিবারই আসতে বল। আর গান তো একটা সাধনা মা, ওটা স্কুলে গিয়ে অতো জনের মাঝখানে ঠিকভাবে শিখতে পারবে না। এখানে যেমন বাড়ি এসে শুধু তোমাকে একা শেখাতে পারবে, তোমার প্রতি নজরটা বেশি দিতে পারবে।”
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলেছিল রঙ্গন। কিন্তু এসব শুনে নিরুপমা একটা ঢোঁক গিলে বলেছিল,
—–” তুই ঠিক আছিস তো বাবা? জ্বর টর কিছু আসেনি তো! মানে এতদিন তো আমার গান কে সাপোর্ট করে এত কথা বলিসনি! উল্টে আমি গান ধরলেই তুই আমাকে থামাতে চলে আসিস। তাহলে আজ কি হলো?”
প্রশ্নগুলো শুনে রঙ্গন কি বলবে ঠিক বুঝতে না পেরে একটু ইতঃস্তত হয়ে বললো,
—–” না মা, আসলে আমার মনে হয়েছে গান নিয়েই তুমি খুশি থাকবে। আর আমিও তো সারা সপ্তাহ কাজের মধ্যেই থাকি! সেখানে রবিবার সকাল গুলো একটু গান বাজনা হলে আমারও ভালো লাগবে। তাই!”
কথাগুলো বলেই রঙ্গন খাওয়াতে মন দিয়েছিল। কিন্তু নিরুপমার মনটা খুব খুশি হয়ে গেছিল এইসব শুনে। অবশেষে রঙ্গন ওর গানের প্রতি ভালোবাসাটা বুঝেছে। এটা ভেবেই ভালো লাগছিল ভীষণ।
<৪>
যাইহোক, এর পরের রবিবারও রঙ্গন দিনটা ফাঁকা রেখেছিল নিজের। কিছুটা ইচ্ছা করেই। তবে আজ বাড়িতে থাকার জন্য তুলির গানের আওয়াজ শুনেই ঘুমটা ভেঙেছিল ওর। আর রঙ্গন কিছুটা মুগ্ধ হয়েই যেন গানটার মধ্যে হারিয়ে গেছিল। তবে আজ মা রঙ্গন এর জন্য স্পেশ্যালি লুচি আলুর দম করেছিল ব্রেকফাস্টে। কিন্তু গান শেখানো শেষ হয়ে যাওয়ার পর নিরুপমা কিছুতেই তুলিকে ছাড়েনি। জোর করে এনে বসিয়েছিল ডায়নিং টেবিলে, ওদের সাথে ব্রেকফাস্ট করার জন্য। যদিও তুলি প্রথম থেকেই না না করছিল, কিন্তু রঙ্গন ও এবার ইনসিস্ট করে বললো,
—-” প্লিজ, খেয়ে যান। মা এত করে বলছে! আর মায়ের হাতের লুচি আলুর দম খেলে আপনি ফ্যান হয়ে যাবেন রান্নার।”
কথাটা শুনে তুলিকে রাজি হতেই হয়েছিল। এরপর খাওয়ার সময় রঙ্গন নিজে থেকে বলে উঠেছিল,
—-” আজ আপনার গান শুনলাম। আপনি সিরিয়াসলি ভীষণ ভালো গান করেন!”
কথাটায় তুলি অল্প হেসে বললো,
—-” না, ওই আর কি!”
কথাটা শুনে রঙ্গন আবার জিজ্ঞেস করে উঠলো,
—–” আপনি কত বছর হলো গান শেখাচ্ছেন? মা বলছিল আপনার না কি দুটো গানের স্কুল ও আছে!”
প্রশ্নটা শুনে তুলি আলতো গলায় বললো,
—-” আমার মিউজিকটাই সাবজেক্ট ছিল। রবীন্দ্রসঙ্গীত এর ওপর মাস্টার্স করেছি। তারপরই যোগমায়া স্কুলে গানের টিচার হয়ে জয়েন করি। আর উইক এন্ডস গুলোতে স্টুডেন্টস দের গান শেখাই।”
কথাটা য় রঙ্গন সাথে সাথেই বলে উঠেছিল,
—–” ওহ, আচ্ছা। খুব ভালো। আসলে আমাকেও মা ছোটবেলায় গান শেখানোর জন্য ভর্তি করেছিল। কিন্তু আমি দু দিন শিখেই খাটের নিচে ঢুকে বসে থাকতাম স্যার বাড়িতে এলেই। তারপর মা আর চেষ্টা করেনি। আসলে আমার দ্বারা এইসব গান টান হওয়ার ছিল না! অনেক ধৈর্য্য লাগে এসব শিখতে।”
কথাগুলো শুনে তুলি অল্প হেসেছিল এই মুহূর্তে। তারপর একটু কথা সাজিয়ে বলেছিল,
—–” এক এক জনের ইন্টারেস্ট আসলে এক এক দিকে। আপনি গান না শিখতে পারেন, কিন্তু আপনি তো ভালো ডাক্তার হয়েছেন! এই প্রফেশনে আসার জন্যও অনেক কনসেনট্রেশন লাগে!”
কথাটায় রঙ্গন এবার আলতো হেসেছিল তুলির সামনে। তবে এসব দেখে নিরুপমা কেমন আকাশ থেকে পড়েছিল! ওর এই গুরুগম্ভীর ছেলের হলো কি হঠাৎ! এই ছেলে তো যেচে পড়ে কারোর সাথে এত কথা বলে না! এইভাবে নিজে থেকে আলাপও জমায় না! সারাক্ষণ নিজের কাজের মধ্যেই তো হারিয়ে থাকে। তাহলে তুলির সাথে এত সহজভাবে মিশছে কি করে! কথাগুলো কেমন আনমনে মনে হয়েছিল যেন।
তবে এর পরের সপ্তাহে নিরুপমা কে আরো একটু অবাক করে দিয়ে রঙ্গন বলেছিল তুলিকে,
—–” আপনার গানের ক্লাস শেষ? তাহলে চলুন, আমিও বেরোচ্ছি। আপনাকে কিছুটা দূর এগিয়ে দিই। এমনিতেও আজ অটোর স্ট্রাইক চলছে। অসুবিধা হবে আপনার। ”
কথাটা শুনে নিরুপমা তো চোখ বড় বড় করে নিজের ছেলের দিকে তাকিয়েছিল। কাউকে নিয়ে এরকম মাথা ঘামাতে আজ পর্যন্ত দেখেননি উনি রঙ্গন কে। তবে তুলি প্রথমে একটু কিন্তু কিন্তু করলেও মুখের ওপর না বলতে পারেনি ছেলেটার। আসলে এত নামি একজন ডাক্তার! তার ওপরে তুলিকে সেই বাবার এক্সিডেন্ট এর রাতে যথেষ্ট হেল্প করেছে! এরপর তো ওনার কোন কথায় না বলা যায় না।
যাইহোক, তবে গাড়িতে বসে তুলি আজ নিজে থেকে বলে উঠলো,
—–” পরের সপ্তাহে শনিবার তো কালী পুজো; আপনাদের এপার্টমেন্ট এ সেই উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। কাকিমা সেই প্রোগ্রামে গান গাইবে। এটাই কাকিমার প্রথম স্টেজ পারফরমেন্স।”
কথাগুলো শুনে রঙ্গন বেশ আশ্চর্য হয়ে গেছিল যেন। সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠেছিল,
—–” মায়ের প্রোগ্রাম আছে! কিন্তু আমাকে তো কিছু বলেনি!”
এটা শুনে তুলি অল্প ভেবে বলেছিল,
—–” হয়তো ভেবেছে আপনি খুব ব্যাস্ত, তাই সময় হবে না প্রোগ্রাম টা এটেন্ড করার! কিন্তু আমি বললাম কথাটা কারণ আই ফিল আপনি সাথে থাকলে কাকিমার কনফিডেন্স টা আরো বেড়ে যাবে! এমনিতেও এই বয়সে নতুন কিছু শিখতে চাইলে লোকে অনেক রকম কথা বলে! এনকরেজ করার বদলে ডিসকরেজ করে দেয়। কিন্তু লোকজন এটা বোঝে না যে শেখার কোন বয়স নেই! ইচ্ছেটাই আসল।”
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলেছিল তুলি। কিন্তু এই মুহূর্তে রঙ্গন বুঝেছিল নিজের ভুলটা। আসলে মায়ের গানটাকে কোনদিন সিরিয়াস ভাবে দেখেনি ও। সব সময় উল্টে ‘ তোমার দ্বারা গান হবে না, বাদ দাও ‘ এইসব কথাই বলেছে বিরক্ত হয়ে। তবে তুলির কথাগুলো শুনে মনে হলো নিজের অজান্তেই হার্ট করে ফেলেছে মা কে! সত্যিই তো, এই বয়সে নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা কজনের থাকে! সেখানে মা যে এইভাবে গান শেখার চেষ্টা করে যায় রোজ, সেই চেষ্টায় সঙ্গে থাকা দরকার রঙ্গন এর। কথাগুলো ভেবেই ও বলে উঠলো,
——” আমি থাকবো ফাংশনে সেদিন নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনি কথাটা মা কে বলবেন না এখনি। মায়ের জন্য এটা একটা সারপ্রাইজ থাক।”
এটা শুনে তুলির মুখে হাসি। না, ডাক্তারবাবু কে যতটা গম্ভীর, প্রফেশনাল বলে মনে হয়েছিল, ততটাও না! নইলে নিজের ব্যাস্ত শিডিউল থেকে টাইম বার করে মায়ের ফাংশনে আসার কথা ভাবতে পারতো না। কথাটা আনমনে মনে হলো তুলির।
তবে এরপর কালীপুজোর দিন সন্ধ্যেবেলা নিরুপমা সত্যি ছেলেকে দেখে অবাক হয়ে গেছিল স্টেজের সামনে! রঙ্গন একটা চেম্বার ক্যানসেল করে এসেছিল সেদিন অনুষ্ঠানে। তবে এসে মা কে এতটা খুশি দেখে সত্যিই ভালো লাগছিল নিজের। মনে পড়ে যাচ্ছিল স্কুলের এনুয়াল ডে প্রোগ্রাম এ যখন প্রত্যেকবার রঙ্গন প্রাইজ পেত স্কুলে; স্ট্যান্ড করার জন্য, মা সেই সময় সামনের রো তে বসে কি আনন্দ করে হাততালি দিত। বাবাও তো তখন বেঁচে ছিল! দুজনে এক সঙ্গে যেত স্কুল সেদিন। আজ সামনের রো তে বসে মা কে স্টেজে গান গাইতে দেখে ওই পুরনো কথাগুলোই মনে পড়ে যাচ্ছিল রঙ্গন এর। আর মনে হচ্ছিল এই ভালো লাগার সময়টা পাওয়ার একমাত্র কারণ হলো তুলি। আসলে সেদিন মেয়েটা ওকে ওই সামান্য সময়ের মধ্যেই এমন কিছু কথা বুঝিয়ে দিয়েছে, যেটাকে এর আগে কখনো রঙ্গন গুরুত্ব দিয়ে ভাবেনি ! কথাগুলো কেমন নিজের অজান্তেই মনে এসে ভিড় করলো আজ। আর ওই গভীর কাজল চোখের মেয়েটার প্রতি আলাদা একটা ফিলিংস এসে জমা হলো মনে।

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে