অবুঝ পাড়ার বাড়ি পর্ব-০৬

0
2

#অবুঝ_পাড়ার_বাড়ি
#হুমায়রা
#পর্বঃ০৬

গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।

অহনার অবস্থাও ঠিক এমনই। শ্বশুরবাড়িতে মাস পেরোলেও নিজের অবস্থান ঠিক করতে পারেনি৷ এখনও সেই একই অবস্থান। শুধু থাকার ঘর বদলেছে। এছাড়া আর সব একই আছে। সকাল থেকে বাড়ির সমস্ত কাজ সাথে ফরিদার বাড়িয়ে দেওয়া কাজ আর কিছু হলেই কথা শুনানো। এগুলোই চক্রাকারে চলছে৷
আজকে নিজের মা ভাইয়ের খবর পেয়েছে অহনা। মায়ের মাথার স্থায়ী ছাদ এসেছে। দুদিন আগেই মামারা মায়েরও স্থায়ী এক ঠিকানা করে দিয়েছে। বিয়ে দিয়েছে মায়ের। অর্থাৎ, ভাইদের কাছে তাদের বোনও বোঝা হয়ে ছিলো। বোনের দ্বায়িত্বটাও নিতে পারলো না। আর তার ভাই! তার অবস্থান হয়েছে এতিমখানায়। এই খবর অহনা পেয়েছে শাশুড়ীর থেকে। তাচ্ছিল্যের হেসে খবর দিয়েছে সে। শুধু খবর দিয়েই ক্ষান্ত ছিলো না। আরো কত কথা যে শুনালো! অহনা মাথা নিচু করে শুনেছে সেসব। পুরোটা সময় শুধু এটাই মনে হয়েছে, যদি ওর অবস্থান একটু শক্ত হতো তাহলে ভাইকে এতিমখানায় থাকতে হতে হতো না। ও যদি একটু শক্ত হতো তাহলে মাকে এই অবস্থায় পরতে হতো না। মাকে চেনে ও। কোন পরিস্থিতির চাপে বিয়েটা করেছে সে না জেনেও ঠিক বুঝতে পারছে। তবে সাথে বোনের খবরটা পেলো একটু শান্তি পেতো। কে জানে, ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেমন নাকি সেও কোন বানের জলে ভেসে বেরাচ্ছে! তবে সব থেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে ভাইটার জন্য। সর্বহারা পরিবারের সকলেরই একটা নড়বড়ে ঠিকানা হয়েছে, কিন্তু ভাইটা! আদরের ভাইটার শেষ ঠিকানা হলো এতিমখানায়! মামার বাড়ির সবাই তো বেশ অবস্থাপন্ন। তাও একটা মানুষের জায়গা হলো না! বুক ফেঁটে কান্না আসতে লাগলো অহনার। বিছানায় হাঁটুতে মুখ গুজে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগলো।
কিছু দরকারী কাগজের জন্য ভার্সিটি থেকে চলে আসতে হয়েছে সাদিকের৷ প্রায় সময়ই আসতে আসতে রাত হয়ে যায় জন্য এক্সট্রা চাবি নিজের কাছে রেখেছে সে। আজকেও সেভাবেই এসেছে। নিঃশব্দে নিজের ঘরে ঢুকে লাইট জ্বালাতেই বিছানায় ভুতের মতো কাউকে বসে থাকতে দেখলো। কপাল কুঁচকে গেলো তার। কে বসেছে দেখার জন্য দুই পা আগাতেই মাথা তুললো অহনা। চোখজোড়া জলে টইটম্বুর। ওকে দেখেই সাদিকের মাথায় আগুন ধরে গেলো। ভার্সিটিতে যথেষ্ট বদনাম হয়েছে ওর। অহনার কাজিন পুরো ভার্সিটিতে ওর নামে উল্টাপাল্টা কথা ছড়িয়ে বদনাম করেছে। সেই রাগ অহনাকে দেখে দ্বিগুণ, তিনগুণ হারে বৃদ্ধি পেলো। বড় বড় পা ফেলে এগিয়ে এসে অহনাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো। তারপর চোয়াল শক্ত হাতে চেপে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
–তোমার সাহস কি করে হল, আমার ঘরে আসার?

ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলো অহনা। নিজেকে ছাড়াতে সাদিকের হাত ধরতেই এক ঝটকায় হাত সরিয়ে ফেললো সাদিক। দেখে মনে হলো কোন অপবিত্র জিনিস ওর হাতের উপর পরেছে। অহনার চোখ ফেঁটে পানি গড়িয়ে পরলো। সাদিক চুপ রইলো না একদম। অহনার হাত শক্তহাতে চেপে টানতে টানতে ঘরের বাইরে নিয়ে গেলো। অহনা নিজের অপমান, অবহেলা সাইডে রেখে ওই অবস্থাতেই কাঁদতে কাঁদতে বলল,
–আম-আমার ভাইকে এনে দেবেন?

কত মান, কত আশা নিয়ে কিছু চাইলো স্বামীর কাছে। কিন্তু স্বামীর মনে দয়ার সৃষ্টি হলো না। পৃথিবীর সর্বোচ্চ কঠোরতা নিয়ে বলল,
–আগে নিজের জায়গা গোছাও তারপর অন্যের কথা চিন্তা করো।

বলেই খট করে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলো। শব্দে পলক ফেললো অহনা। সাথে সাথে চোখের পানি চোখ বেয়ে গালে গড়িয়ে পরলো। তার নিজের জায়গার ঠিক নেই, কথাটা সত্যি। বাইরে একা বাঁচার মতো করে বড় হয়নি, সেটাও সত্যি। কিন্তু বোনের মন যে মানে না। কোলে পিঠে করে বড় করা ভাইটার অবস্থা যে সহ্য হয় না! করুনা ভরে দরজায় কড়াঘাত করলো। আর্তনাদ করে বলল,
–যা বলবেন তাই করবো, শুধু আমার ভাইকে এনে দেন। জীবনেও আর কিছু চাইবো না।

দরজার ওপাশে কঠোরতা রাজ করছিলো। কঠিন মুখে দরজা খুলে চোখ গরম করে চাইলো অহনার দিকে। সাদিকের ভষ্ম করে দেওয়া দৃষ্টি দেখেও পিছু হাটলো না সে। হাত জোর করে হাঁটু গেড়ে বসে একই কথা বলতে লাগলো। বিরক্তির সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে চিৎকার করে মাকে ডাকলো সাদিক,
–মা!

হুড়মুড় করে আসলো ফরিদা। সাদিককে এখন দেখে অবাক হয়ে বলল,
–তুই কখন আসলি?

আরো অবাক হলো সাদিকের পায়ের সামনে অহনাকে এভাবে বসে থাকতে দেখে। বিষ্মিত স্বরে বলল,
–ওর কি হয়েছে?

সাদিক তপ্ত স্বরে বলল,
–এখন কি বাড়ি ফিরেও শান্তি পাবো না? ফিরলেই এই রঙঢঙ দেখতে হবে?

ফরিদা ফোঁস করে শ্বাস ফেলে বলল,
–তোর ফুপুর সাথে কথা বলিসনি?

–বলেছি। আর তাই বলে যে সবার সব আবদার সহ্য করতে হবে এর কোন মানে নেই। তুমি একে আমার চোখের সামনে থেকে সরাও। প্রচন্ড টায়ার্ড। যা বলার, যা করার সব সকালে দেখা যাবে।

বলেই আর এক মূহুর্ত অপেক্ষা করলো না। আবার শব্দ করে দরজা বন্ধ করলো। ফরিদা বিরক্তি নিয়ে বলল,
–যাত্রাপালা শেষ হলে সবাইকে একটু শান্তি দিয়ে আগের ঘরে ফিরে যাও।

অহনা কান্না অটোমেটিক বন্ধ হয়ে গেলো। অপাত্রে দান ছিলো সবটা, বুঝে ধীর পায়ে হেঁটে নিজের রাজ্যে ফিরে গেলো। নিজের জায়গা ঠিক করতে কি করতে হয় তা তো কেউ কোনদিন শেখায়নি। জীবন নাকি সব শিখায়। আঠারো বছরের জীবনের সতেরো বছর তো শক্ত ছায়াতলেই কাটিয়ে দিলো। এই মাঝের এক বছর অবশ্য অনেক ঝড় পাড় করে এসেছে। তাও তো শিখলো না। তাহলে শিখতে আর কত জীবন পার হয়ে আসতে হবে!

****
সাদিক দুই মাসের ছুটিতে দেশে এসেছিলো। সেই ছুটি শেষের দিকে। আর ছুটি চাইলে বোধহয় চাকরি থাকবে না। তাই হোম অফিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিয়েই বসের সাথে মিটিং ছিলো। মিটিং শেষে ল্যাপটপে মাহাদীর হাস্যজ্বল ছবি দেখে মুখে হাসি ফুটে উঠলো। এই কয়েকদিনে অজস্র ছবি তুলেছে ছেলের। খাওয়ার সময়, ঘুমানোর সময়, খেলার সময়, এমন কি যখন রেগে গাল ফুলিয়ে বসে থাকে, তখনকার ছবিও আছে। একেকটা ছবি দেখে আর মন আদরে আদরে ভরে যায়। বাচ্চাটা যে এতো আদুরে হয়েছে! দেখলেই গাল, নাক টিপে দিতে ইচ্ছে করে। আর নাহলে ইচ্ছে করে শক্ত করে নিজের সাথে চেপে ধরে গালে টাপুস টুপুস চুমু খেয়ে নিক। হঠাৎ করেই মাহাদীর বাচ্চাবেলা দেখতে মন চাইলো তার। অহনা বারান্দায় টেবিলে বসে দুপুরের রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। বড় বড় পা ফেলে সেখানে হাজির হলো। অন্য পাশের চেয়ার টেনে একদম অহনার গা ঘেঁষে বসে সিদ্ধ আলু হাতে নিয়ে ছিলতে ছিলতে বলল,
–অহনা, মাহাদীর ছোট বেলার ছবি আছে?

আড়চোখে সাদিকের কর্মকান্ড দেখছিলো অহনা। মনে মনে কিভাবে মানা করবে সেটা গোছাচ্ছিলো। সেটা বাদ রেখে ঘাড় কাত করে বলল,
–আছে। অনেক ভিডিও আছে। দাদী ওর ছোটবেলার সব মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে রাখতো।

–দাদী কে?

সাদিক কৌতুহলী হলো। অহনা ছোট করে বলল,
–যিনি আমাকে থাকতে দিয়েছিলেন, তিনি।

সাদিক সামনে থেকে সিদ্ধ ডিম মুখে পুরে চিবাতে চিবাতে বলল,
–যার হাত ধরে পালিয়েছিলে, সে কি মাঝপথে রেখে পালিয়ে গেছিলো নাকি যে পাতানো দাদীর কাছে থাকতে হয়েছে?

অহনা চুপ করে রইলো। পাশের মানুষটা কি রিল্যাক্সে কথাটা বলল অথচ এর উত্তর ওর কাছে নেই। কিছু ব্যাখা করা বা প্রমান করারও কোন ইচ্ছাও নেই। সাদিক আরেকটা ডিম হাতে তুলে প্রসঙ্গ পালটালো। তার নিজেরও হয়তো এই টপিক পছন্দ হচ্ছে না। তাই বলল,
–তোমার দাদী এখন কোথায়?

অহনা এবারেও উত্তর দিতে চাইলো না। নিজেকে ইগনোর করা সাদিকের অপছন্দের কাজ। অহনার ঘাড় ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে ভ্রু নাচিয়ে উত্তর জানতে চাইলো। অহনা মুখে বিরক্তির আভা ফুটিয়ে বলল,
–দুই বছর আগে মারা গেছেন।

সাদিক উত্তর পেয়ে অহনাকে ছেড়ে দিয়ে হাতের ডিমটাও মুখে পুরে দিলো৷ দুইটা আলু ছেলার বদলে দুইটা ডিম গলধঃকরণ করে বলল,
–এটা ওনারই বাড়ি?

অহনা মাথা উপর নিচ করে সায় জানাতেই সাদিকের কপাল কুঁচকে গেলো। রাগী গলায় বলল,
–এখানে আর থাকবে না তুমি। উত্তরায় আমার ফ্ল্যাট আছে। সেখানেই থাকবে। আর সেখানে থাকতে না চাইলে অজস্র ফ্ল্যাট আছে এই শহরে। অন্য কারো বাড়িতে তোমাদের রাখতে চাই না।

অহনা সাদিকের আড়ালে তাচ্ছিল্যের হাসলো। একসময় ছিলো যখন মাথার উপর ছাদ পাওয়ার জন্য উদ্ভ্রান্তের মতো এদিক ওদিক ছুটেছে। আর আজ অজস্র ছাদ দেখাচ্ছে! দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
–বাইরে কোথাও থাকার মতো টাকা আমার নেই।

সাদিক রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
–তোমাকে কেউ টাকা দিতে বলেনি। তোমাদের দ্বায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে।

অহনা থমথমে মুখে বলল,
–আপনার টাকায় আমি থাকবো না আর আমার ছেলেও থাকবে না।

সাদিক আরো রাগলো। তেজি হাতে অহনার চোয়াল ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে চোখে চোখ রেখে বলল,
–আমার ছেলেকে জন্ম দেওয়ার আগে কথাটা মাথায় রাখা উচিত ছিলো।

অহনার ইচ্ছে করলো বলুক,
–আপনার ছেলে তো দুই হাজারের বিনিময়ে গর্ভে আসার পরেই মারা গেছে। যার জন্ম হয়েছিলো সে শুধু আমার সন্তান।

বলা আর হলো না। মনের কথা মুখে এনেছিলোই বা কবে যে আজ আনবে! মাহাদী আসায় টপিক থেকে একপ্রকার ছুটিই পেলো সে। মাহাদী কয়েকদিন আগে একটা গোলাপি নয়নতারার চারা লাগিয়েছিলো। সেই গাছেই আজ প্রথম ফুল ফুটেছে। মায়ের জন্য সেই ফুল তুলে এনেছিলো সে। আর এসেই দেখে, মায়ের পাশ ঘেষে অন্য একজন বসে আছে। মায়ের সাথে কেউকে বসে থাকা দেখতে মাহাদীর কবেই বা ভালো লেগেছে যে আজ লাগবে। এক ছুটে মায়ের কাছে গিয়ে আছড়ে পাছড়ে কোলে উঠে বসলো। অহনা কাজ বাদ দিয়ে ছেলেকে আঁকড়ে ছেলের গালে চুমু দিয়ে বলল,
–মা কাজ করছে আব্বু। তুমি পরে কোলে বসো।

মাহাদী সজোরে মাথা নেড়ে জড়িয়ে ধরলো মাকে। ধরেই ক্ষান্ত হলো না। রাগী চোখে সাদিকের দিকে তাকিয়ে বুঝিয়ে দিলো, মা শুধুই তার। এদিকে যেনো নজর না দেয়। সাদিকই বা বাদ যাবে কেন? সে আরো ঘেষে বসে পেছন থেকে মা ছেলেকে একসাথে আঁকড়ে ধরলো। চমকে উঠে অস্বস্তিতে গাট হয়ে রইলো অহনার। ছেলেকে সরিয়ে জায়গা থেকে উঠতে চাইলেও বাবা ছেলের জন্য একদম পারলো না। দুজনেই তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। অন্যদিকে মাহাদী আর সাদিকের অলিখিত প্রতিযোগিতা চলছে। মাহাদী এবারে মায়ের গালে চুমু খেলো। অহনা হেসে ছেলেকে ফিরতি চুমু দেওয়ার আগেই সাদিক তার গলা জড়িয়ে মাথা নিজের কাছাকাছি এনে অহনার গালে এক গভীর চুমু খেলো। এরপর কানের লতি আর সর্বশেষে ঘাড়ে আর ঘাড় জড়িয়ে রাখা মাহাদীর হাতে একসাথে চুমু খেয়ে তবেই ছাড়লো। অহনা বিষ্মিত হয়ে সাদিকের দিকে তাকাতেই দেখে সাদিক মিটিমিটি হাসছে। অসহায় অবস্থায় পরে কান্না আসলো তার। মুখ ফিরিয়ে ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকালো। মাহাদী হারতে নারাজ। হাতের ফুল মায়ের হাতে তুলে সাদিকের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিলো। এর মানে একটাই। এখন তুমি ফুল পাবে কোথায়! ফুল তো আর নাই। তবে সাদিক সেদিকে আর গেলোই না। মাহাদীকে ফুল দিতে দেখে মন খারাপের ভাণ করে বলল,
–আমার ফুল কই?

মূহুর্তেই মাহাদীর মুখের হাসি উধাও হয়ে গেলো। ছোট মনে আঘাত লাগলো খুব। মূহুর্তেই বাবার জন্য ফুল আনতে দৌড় দিতেই সিঁড়িতে পায়ে পা বেজে ধারাম করে উঠানে পরে গেলো। অহনা দৌড়ে এসে ছেলেকে তুলতেই মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে ভেউ ভেউ করে কেঁদে উঠলো মাহাদী। সাদিকও দৌড়ে আসলো। মাহাদী গলা ছেড়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
–বাবা যাবো, বাবা যাবো।

অহনা বিচলিত হয়ে সাদিকের দিকে ইশারা করে বলল,
–ওইতো বাবা, যাও।

মাহাদী ওদিকে তাকালোও না৷ সজোরে মাথা নেড়ে বলল,
–না, না। বাবা যাবো।

সাদিক থমকে দাঁড়ালো। মাহাদীর স্পষ্ট কথা বলায় বরাবরই মুগ্ধ হয় সে। এবারে হলো না। মূহুর্তেই মনে হলো, ওকে ধাক্কা দিয়ে ওদের জীবন থেকে বের করে দেওয়া হলো। তার ছেলেটা ওকে বাবা হিসেবে মানতে নারাজ! আসার সময় অহনার ব্যাগে ওর প্রেগ্ন্যাসি জার্নির সম্পূর্ণ রিপোর্ট আর মাহাদীর বার্থ সার্টিফিকেট দেখেছিলো। আচানক এমন বাবা হওয়ার খবরে মাথা ঘুরে উঠেছিলো তার। ছেলেটা তার নিজের। এখনও সেই অনূভুতি সম্পূর্ণ বুঝে উঠতে পারছে না। কিন্তু তাই বলে বাবা হিসেবে মানবে না! পা আগালেও দুই পা পেছালো। ঢোক গিলে মা ছেলের মাঝ থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলল।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে