#গল্পপোকা_ছোটগল্প_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০২০
গল্পঃ অবহেলা
(সম্পর্কের কাঁচি)
ক্যাটাগরিঃ কষ্টের গল্প
লেখকঃ ইলিয়াস বিন মাজহার
‘বাবা, কিছু খেয়ে নে। আর কত না খেয়ে থাকবি? মন খারাপ করে থাকলে আর না খেয়ে খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিলেই কি মিলি আসবে? আচ্ছা, খেয়ে নে, আমি গিয়ে ওকে নিয়ে আসবো। আবার না হয় যাবো মিলির বাবার…’ রাফি শেষ করতে দিলো না কথা। মায়ের মুখে এই কথা শুনেই সে শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসলো। নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকা দেহে কোথা থেকে যেন সতেজতা ফিরে এলো। ঝাঁঝালো কণ্ঠে রাফি বললো, ‘মা, তুমি আর কখনোই যাবে না বলেছি না? তবুও কেন বারবার গিয়ে…’ রাফিও শেষ নামাতে পারলো না কথার। কণ্ঠনালিতে আঁটকে থাকা কান্নারা ধেঁয়ে আসলো। কেঁদে ফেললেন রাফির মা জহুরা খাতুনও। তিনি তখনই রাফির রুম থেকে বেরিয়ে এলেন। কিন্তু কান্না থামাতে পারলেন না।
দু’টো রুমের ইটপাথর আর বালুকণাগুলো নিরুপায় হয়ে শুধু দেখে যেতে লাগলো মা-ছেলের বোবাকান্না। রাতের এই নিশুতি প্রহরে কান্নারা মিলিয়ে যেতে থাকলো গাঢ় আঁধারে। কেউ জানলো না এ রাতের দু’জোড়া চোখের অশ্রু বিসর্জনের কথা। তবে শুধু রাফির বালিশ আর জহুরা খাতুনের জায়নামাজ নীরবে অনুভব করে গেল সব। এই অশ্রুর নীরব সাক্ষী রয়ে গেল এই দু’টো বস্তু।
সকালের একফালি রোদ এসে জানালায় কড়া নাড়ছে। প্রভাতের মৃদুমন্দ সমীরণ মিলির দীর্ঘদিনের স্পর্শহীনতায় ভুগতে থাকা জানালার পর্দায় আলতো করে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা দলে দলে ছুটছে তাদের জীবিকা নির্বাহের তাকিদে। ঘর ছাড়ছে চাকরিজীবী-কর্মমুখো মানুষেরাও। কিন্তু রাফি আর যায় না অফিসে। আর কখনো যাবেও না।
মাসখানেক আগের কথা,
প্রভাতের সূর্যকিরণে প্রকৃতির ঘুম ভেঙে গেছে। পশুপাখিরা তাদের নীড় ছেড়ে উড়াল দিয়েছে অজানার সফরে। খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে গেছে মা পাখিরা। জীবিকা নির্বাহের জন্য মানুষজনও বের হয়েছে, রওয়ানা দিয়েছে যার যার কর্মস্থলের দিকে। তেমনই সেদিন রাফিও চলে গেল তার অফিসে। দিনভর অফিসের যাবতীয় ফাইল ঘাটাঘাটি শেষে রাতে বাড়িতে ফিরে এলো সে। বাড়ির গেইটে পা রাখা মাত্রই মিলির অট্টহাসি শুনতে পেলো রাফি। কার সাথে যেন খুব রসিকতা করছে আর হেসে কুটিকুটি হচ্ছে মিলি। রাফি তেমন কিছু মনে না করে স্বাভাবিকভাবেই সালাম দিলো রুমে প্রবেশের জন্য। রাফির আগমন টের পেয়ে পুরো রুমে নেমে এলো নিঃসীম নীরবতা। দরজা খুলে দিলো মিলি। তারপর গিয়ে শুয়ে পড়লো। পূর্বেকার মতো এখন আর রাফি এলে মিলির তেমন তোড়জোড় দেখা যায় না। তবে এমন শুয়েও থাকে না কখনো। তাই রাফি জিজ্ঞাসা করলো,
মিলি, কী হয়েছে তোমার? খারাপ লাগছে না-কি খুব?
– হুম!
– কী হয়েছে?
– কিছু না, এমনি ভাল্লাগছে না।
– খেয়েছো রাতে?
– হুম।
– মা খেয়েছেন?
– জানি না।
রাফি আর কথা বাড়ালো না। কোন কারণে হয়তো মিলির মন খারাপ। যা রাফিকে বলতে চায় না মিলি। এমন ভাবনাটা অন্য কখনো হলে রাফি করতো। কিন্তু, এই তো মিনিট কয়েক পূর্বে যে হেসে কুটিকুটি হচ্ছিল তার এখন ভাল্লাগছে না। বিষয়টা কেমন যেন লাগলো রাফির কাছে। তবুও নীরব রইলো সে।
আজ লাঞ্চে আসেনি রাফি। সকালেও বাইরে থেকে নাস্তা করে নিয়েছিল সে। মিলি সে কথা জানে। সকালে রাফির জন্য কিছু রান্নাও করেনি। দুপুরেও রাফি খেতে আসেনি। এখনও খানা না দিয়েই মিলির শুয়ে থাকাটা এবং কথার উত্তরে এমন অবহেলাভাবটা রাফির মনে কীসের যেন এক ধমকা হাওয়া বইয়ে দিয়ে গেল।
তবুও রাফি স্বাভাবিক হয়েই খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়লো।
তারপর কী হয়েছিল?- বড্ড উৎসুক হয়ে শাফিন জিজ্ঞাসা করলো মাহিমকে। মাহিম বললো,
– তারপর আর কী! অবহেলা একটি সম্পর্কে কাঁচি স্বরূপ। কাঁচির মত করেই কেটে দিয়েছিল রাফি আর মিলির সুখের সংসার।
মিলি চলে যাবার সপ্তাহ কয়েক পরের কথা,
এক রাতে আমার দোকানে আসে রাফি। সাটার নামিয়ে দিয়ে ভেতরে এসে বসে। পরে,
– কী-রে দোস্ত, কোত্থেকে এলি তুই? আর এ-কি অবস্থা তোর?
সবকিছু ঠিক আছে তো?
– স্টার আছে?
– মানে? কী বলছিস? মাথা ঠিক আছে তোর?
– হুম, ঠিক আছে সব।
– রাতে খেয়েছিস? মনে হচ্ছে তো কত বছর ধরে তুই না খেয়ে আছিস। আচ্ছা, বোস। আমি খানা নিয়ে আসছি। আমিও এখনো খাইনি। খেয়ে তারপর কথা হবে।
– মাহিম!
– হুম, বল দোস্ত কী?
– আচ্ছা, ডারবী, গোল্ড লিফ, সুইচ বা ব্যনসন; যা আছে সব দে। স্টার থাকলেও দে।
– এসব তুই কী বলছিস দোস্ত? তুই সিগারেট খাবি? না, ভাই আমি পারবো না। আমার দোকানের যা ইচ্ছা তুই খা। কোন আপত্তি নেই। সব ফ্রী তোর জন্য। কিন্তু এই আগুন তোকে আমি দিতে পারবো না। মাফ কর ভাই!
– ফ্রী কিছুই খাবো না। সিগারেট দে যত টাকা লাগে নিস।
– আচ্ছা, দোস্ত, একটু স্থীর হ। কী হয়েছে আগে বল। কেন হঠাৎ সিগারেটের নেশায় ধরলো তোরে? আর বল না, কোত্থেকে এলি এত রাতে? বাসায় কোন সমস্যা হয়েছে?
– নাহ, কিছু হয়নি। তুই দিবি? না হয় আমি গেলাম।
– আহ, বুঝলাম না। কী হয়েছে বলবি তো।
তারপর আর কথা বলতে পারেনি রাফি। আমাকে জড়িয়ে ধরে মর কান্না ফেলেছিল। আমি শান্ত করার চেষ্টা করলাম। জানতে চাইলাম কী হয়েছে। কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলাম যদিও, বুঝতেও পেরেছিলাম কঠিন কোন সমস্যা তো হয়েছেই।
অন্যথায় যে ছেলেটা কখনো চা-পানেও আগ্রহ দেখাতো না। আর কখনো সিগারেটের গন্ধও যে সহ্য করতে পারতো না। অথচ, এখন সে এসে সিগারেট চায়। তাও এই রাতে!
আমি যেন আকাশ থেকে পড়েছিলাম ওর মুখে সিগারেটের নাম শুনে। আর ও কেমন পাগল পাগল হয়ে গিয়েছিল। কথাও বলতে পারছিলো না ঠিকঠাক । বাকপটু ছেলেটা কেমন অবোধ বালকের মতো আচরণ করছিল। তবুও অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ওর থেকে সব জানতে পারলাম।
দুই-তিন সপ্তাহ আগের সেই রাতে শুয়ে পড়ার পর একদু’ কথায় রেগে যায় রাফি। তারপরেই তুমুল ঝগড়া হয় মিলির সাথে। অনেক গালাগালি করে রাফি।
রাফি বলে,
– দেখ, দোস্ত, সত্যিই হয়তো আমি অনেক গালিগালাজ করেছি। কিন্তু সেটা কেন করলাম! তা মিলি কি একটুও বুঝলো না? ও যদি অন্য কারো সাথে কথা না বলতো, আমাকেও দিনের পর দিন এমন অবহেলা না করতো। তাহলে কী ওকে কখনো কিছু বলতাম! আর মানুষ রাগের মাথায় কতকী-ই তো বলে বসে, সেগুলো কেউ কি ধরে রাখে? অথচ, মিলি কেন বুঝলো না? কেন সত্যিই আমাকে এমন শাস্তি দিলো? আর বকাবকি তো আরো কতই করেছি, কই এভাবে একেবারে ছেড়ে তো যায়নি।
– আহ, গালিগালাজ কেন করতে গেলি! বুঝালেও পারতিস। তোর গালিগালাজ করা সত্যিই চরম অন্যায় হয়েছে। প্রিয় মানু্ষদের মুখে কটুকথা কেউই সহ্য করতে পারে না। কষ্ট হয় অনেক। কিন্তু সেজন্য ছেড়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছি না। আর ছেড়ে গেলো বলে নিজের এই অবস্থা করবি? নিজের দিকে একবার তাকিয়ে দেখেছিস! কী অবস্থা করেছিস নিজের। গোলগাল সুদর্শন চেহারাটা মাত্র কয়েকদিনেই কেমন লম্বাটে আর শরীরটাকে কেমন রোগাপাতলা বানিয়ে ফেলেছিস! আর গেছে আবার চলে আসবে, তাই বলে তুই এমন পাগলামি শুরু করবি? এটা কেমন কথা!
– ও শুধু যায়নি রে, ডিভোর্স পেপারও পাঠিয়ে দিয়েছে।
– হোয়াট! কী বলিস? একটু বকার জন্য ডিভোর্স?…
নাহ, তা কী করে হয়! স্বামী-স্ত্রীর মাঝে এমনটা হয়ে থাকে অনেক সময় তাই বলে কী কোন স্বামী তালাক দেবে, বা স্ত্রী ডিভোর্স চাইবে! এটা তো হয় না। তুই কি গায়ে হাত তুলেছিলি না শুধু একটু বকেছিলি এই?
– একটু না রে, আসলেই আমি হয়তো অনেক বকেছি সেই রাতে। অনেক কষ্টেই বলেছিলাম কত কথা। আমি সুস্থ ছিলাম নারে তখন। ওর এমন আচরণ, এমন অবহেলা আমাকে সেদিন অমানুষ বানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু, যা বলেছিলাম সব কষ্টে পড়ে, রাগে-অভিমানে। আর গায়ে কেন হাত তুলবো! ওকে আমি অনেক ভালোবাসি রে। আর ভালোবাসি বলেই ওর একটু অবহেলাও আমার সহ্য হয় না। হয়তো সে রাতে আমার অশ্রাব্য গালও ওর সহ্য হয়নি।
ও অনেক কষ্ট পেয়েছিল! তাই বলে চলে যাবে…
– দূর, তুইও একটা… কান্না থামা। এই এত বড় ব্যাটাছেলে কাঁদলে কেমন দেখায়! আসলে কী জানিস দোস্ত, ওর তখন তোর থেকে মুক্তির প্রয়োজন ছিল। অন্য মানুষ পেয়ে গেছে। তোকে আর ভালো লাগে না। এত বছর ভালোবাসা পেয়েও যে তোর ভালোবাসা বোঝেনি, মূল্য দিতে জানেনি। তার জন্য এভাবে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কী মানে? তুই কান্না বন্ধ কর। আর সিগারেট ফেল।
কথা বলার ফাঁকে কয়েকটা সিগারেট শেষ করে ফেলেছে রাফি। আমি ওর অবস্থা দেখে আর বাধা দিইনি। দুখে-শোকে ছেলেটার মরার দশা হয়ে গেছে। তাও বাধা দেওয়ার সাহস হল না।
ওকে বুঝাতে চেষ্টা করেছিলাম,
– আচ্ছা, তুই পাগলামি না করে গিয়ে ওকে তো নিয়ে আসতে পারতিস।
– না গিয়ে তো কি বসে ছিলাম? আমি গিয়েছি, প্রথম প্রথম শশুর আব্বা, তারপর কিছুদিন ওর ভাইয়েরা আর এখন ওদের বাড়ির চাকরবাকরগুলোও আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
– আচ্ছা, একটা ঠাণ্ডা দেবো? সিগারেট ফেল না প্লিজ!
– জানিস, আমি যে ওই বাড়ির জামাই তার কোন মানই ওরা রাখেনি। আমি তবুও কাউকে এসব বলিনি। মনে পুষে পুষেই নিজের ‘ফায়সালা’র অপেক্ষা করছি। তারপর থেকে কারো সাথে আমি কথাও বলি না। আর শোন, আমি ফোন দিই বলে সব নাম্বার ব্লাকলিস্টে রেখে দিয়েছে মিলি। কোন আননোর নাম্বারেও আমার কণ্ঠ পেলে মিলি আমাকে সেই রাতের কথাগুলোই বলে। আমাকে শোনায় যা যা বলেছিলাম। তারপর সেই নাম্বারটাও ব্লাকলিস্টে…
বিশ্বাস কর, কিছু তো মন থেকে বলিইনি। রাগের মাথায় কোনো কথা তো মন থেকে না রাগ থেকেই আসে। আর যা-ও বলেছিলাম, সেজন্য আজও আমি অনুতপ্ত। ভিখারির চেয়েও কাকুতি মিনতি করে ওর কাছে সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছি। ওর অবহেলা আর যা কিছু খুঁত, সব তো আগ থেকেই মেনে আসছি। মেনে নিয়েছি। কোন অভিযোগ তুলিনি। আজও তুলছি না। শুধু ক্ষমাই চেয়ে যাচ্ছি। ভিক্ষা চাচ্ছি ক্ষমা আর বিশ্বাস। আহ! তবুও ও ভুলই বুঝে গেলো আমাকে।
– হুম, সব সহ্য করলেও ভুল বোঝার কষ্টটা আসলে মেনে নেওয়ার মতো না।
– দেখ, তাও আমাকে যা-ই করুক। মেনে নেওয়া যায় কিন্তু, সেদিন ওদের এক কাজের মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে কী বলে জানিস?
– কী বলে?
– বলে, আপনি নিজে তো অপমানিত, আবার আপনার মা’কেও পাঠান অপমানিত হওয়ার জন্য! বড় সাহেব আপনার মা’কেও আপনার মতো করেই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আপুমনি বলে দিয়েছে ডিভোর্স পেপারে আপনাকে সই করে দিতে।…
– উফফ, তাই তো খালাম্মাকে কেন পাঠাইছিস?
– হায়রে! আমি কেন পাঠাতে যাবো বল তো! মা নিজে থেকেই গেছেন। আমার অবস্থা মা’ও সহ্য করতে পারছেন না। তাই হয়তো গিয়েছিলেন। আমি ওই কাজের মেয়েটার কাছ থেকেই জেনেছি। মা কখনো বলেননি আমাকে।
– দোস্ত, তুই সই করে দে। যে তোকে চায় না। তার জন্য কেন নিজেকে এমন হেস্তনেস্ত করছিস। তোর তো লাইফ আছে। ভবিষ্যৎ আছে। তোর পুরো জীবনটা এখন সামনে পড়ে আছে।
– হাহাহা, লাইফ? জীবন? কাকে বলে এসব? আমার জীবনটা যে মিলির নামে লিখে দিয়েছি। ওকে ছাড়া এই জীবন, এই লাইফ কী করবো বল?
– আচ্ছা, তোর অফিসের কী খবর?
– কী আর, কার জন্য অফিস করবো? টাকা পয়সা কী হবে? মিলি যাওয়ার পর একটা মুহূর্তও ওকে ছাড়া ভাবতে পারিনি। অফিসে একদিন গিয়ে পুরোটা সময় অস্বস্তিতে কেটেছে আমার। সেদিনই রিজাইন দিয়েছি।
– হুঁহ, কী বলিস!
– হুম।
আজ মিলির এনগেজমেন্ট। মাহিম আর শাফিন বসে গল্প করছে। সামনে অনতিদূরেই দূ’টো সদ্যসমাধি। যার একটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত মাহিম ও শাফিনের বন্ধু রাফি। শাফিন গ্রামে এসেছে গতকাল। আজ মাহিমকে নিয়ে কবর জিয়ারত করে রাফির কী হয়েছিল, হঠাৎ করেই কেন রাফি ও রাফির মা একদিনেই ইহলোক ত্যাগ করলো তা জেনে নিচ্ছে।…
অপরদিকে চলছে মিলির এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠান। সেই রাতে ডিভোর্স পেপারে সই দিয়ে রেখেছিল রাফি। যে রাতের পর সকালের সূর্য রাফি ও রাফির মা’র কারোই দেখা হয়নি। ইতি ঘটেছিল একটি পরিবারের। অবহেলা, একটু ভুল বোঝাবুঝি, তারপর নিঃশেষ হয়েছিল একটি পরিবার, একটি প্রজন্ম।
এই মূহুর্তে কবিতার সেই চরণগুলো মনে পড়ছে খুব। কবি যেন এমন অসংখ্য প্রেমিক ও হাজারো রাফির কথাই লিখেছেন তার কবিতায়। কবি বলেন,
‘মনের মাঝে বসত করে,
সুখের শত স্বপ্ন গড়ে,
দিলে দুখের ঝড়।
আমার গোরের পর
এখন তোমার সুখের ঘর।’
সমাপ্ত