#অবহেলার সংসার
#Imran_khan
#পর্ব_১১
ভাইয়া তোর হাতে কি ওগুলো আমাকে দেখা দেখি?
আরে এগুলো কিছু না এমনি।(বাসার ভিতরে ঢুকতেই এশা আমাকে জিগ্যেসা করতেছে )
কি এমন দেখা বলতেছি না হলে বাবাকে বলে দিবো?
এশা তুই শুধু শুধু বাবার ভয় দেখাস কেনো রে।
তোকে বাবার ভয় দেখাবো না তো কার ভয় দেখাবো বাবাকে ছাড়া কি তুই আর কাউকে ভয় পাস?আচ্ছা যাই হোক বাবাকে কিছু বলবো না,এখন তুই আমাকে ওই ব্যাগের ভিতরে কি আছে দেখা?
না দেখলে হয় না বোন।তোকে একশো টাকা দিচ্ছি তাও দেখতে চাস না ।
এই আমি কি ফকির নাকি যে আমাকে একশো টাকা দিবি?দেখা বলতেছি না হলে,বাবাকে এখনে ডাকতেছি।
হয়েছে আর বাবাকে ডাকতে হবে না, দেখাচ্ছি ব্যাগের মধ্যে কি আছে?তারপর ব্যাগ টা ওর হাতে দিয়ে পাশে দাড়িয়ে আছি।এশা ব্যাগটা হাতে নিয়ে নীল শাড়িটা আর ফুলগুলো বাহির করলো।বাহির করে বলতেছে,
সত্যি করে বলতো ভাইয়া এগুলো কারজন্য কিনেছেন।আমার জন্য নাকি ভাবির জন্য।
আমার ওতো শক নাই তোকে শাড়ি আর ফুল দেওয়ার।তোর জামাই তোকে ওগুলো দিবে।শাড়ি আর ফুলগুলো তোর ভাবির জন্য কিনেছি।কয়েক দিন থেকে বলতেছে ব্যস্হতার জন্য কিনে দিতে পাড়ি নি।আজকে তোর ভাবি খুবেই ক্ষেপে গেছে তাই না কিনে উপাই পাইলাম না?
তাই বলে তুই শুধু তোর বউ এর জন্য মার্কেট করে আনবি তোর নিজের বোনটাকে রেখে।
আচ্ছা যা তোকে একদিন মার্কেট করতে নিয়ে যাবো এখন এগুলো আমাকে দে আর তোর ভাবির আগে রাগ ভাঙ্গাতে হবে।
ঠিক আছে তোমার জিনিস তুমি নেও।
দে তার পর আমি এশার হাত থেকে ফুলগুলো আর শাড়ির ব্যাগটা নিলাম ।
এশা তোর ভাবি কই আছে রে এখন।
কই আবার থাকবে রুমের আছে মনে হয়।
ওকে।তারপর আমি সোজা আমার রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে দেখে জান্নাতুন বিছানায় সুয়ে আছে।আমি ধীরে ধীরে বিছানার দিকে যাচ্ছি।তারপর বলতেছি,
ওগো বউ তুমি কি করো?
দেখতেই তো পারতেছেন আমি কি করতেছি তাও বলেন কেনো আর আপনাকে না তখন বললাম আমাকে বউ বলে ডাকবেন না?
বউকে বউ বলে ডাকবো না তো কি বলে ডাকবো?
আমার নাম ধরে ডাকুন তাও বলবেন না আমাকে।আপনার কোন অধিকার নাই আমাকে বউ বলার।
বউ বলার অধিকার আছে না আছে সেটা তুমি আমি ভালো করে জানি ওকে।তবে শুনো না বউ তোমার জন্য একটা গিফ্টআছে।
আমার কোন গিফ্টের প্রয়োজন নাই আপনার জিনিস আপনার কাছে রাখুন।
তুমি শুধু শুধু রাগ হচ্ছো আমি কি রাগার মতো কিছু বলেছি?
আপনার কথা শুনলেই আমার বিরক্ত লাগে।তাই আমার সাথে কথা না বললেই ভালো।
এটা তুমি কি বললা,দশটা না, পাঁচটা না একটাই বউ আমার সেই বউ বলে কি না তার সাথে কথা না বললেই ভালো?আমি তো কথা না বললে মরেই যাবো।
আপনার এই ন্যাকামো কথাগুলো শুনলে তো আরো আমার শরীর জ্বলে যাই।
কি জ্বলে জ্বলুক আমি পানি দিয়ে ঠান্ডা করে দিবো?
ধূর আপনার সাথে কথা বলা মানে বেকার।আপনি রুমে থাকুন আমি গেলাম।
এই তুমি কোথায় যাও শুনো তোমার সাথে খুবেই জরুরি কথা আছে।(পিছন থেকে হাত ধরে বলতেছি )
আপনি আমার হাতটা ছারুন।
হাত ছারবো না,তুমি আগে আমার কথা শুনো।হাত ছেড়ে দিলে তুমি পালায় যাবে আর আমার জরুরি কথা বলা হবে না।
আমি আপনার কোন কথা শুনতেই চাই না তাই ভালোই ভালোই আমার হাতটা ছেড়ে দিন না হলে ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।
কিসের ভালো হবে না শুনি,নিজের বউ এর হাত ধরতে ভালো হওয়া আর না হওয়ার কি আছে?
এখন বউ বলে দাবি করতেছে আগে কই গেছিলো এই দাবি যখন না বলার সত্যে হাজার কষ্ট দিয়েছিলেন।এতোই যখন বউ দাবি করেন তাহলে আমার কথা না শুনে কেনো নষ্ট করে দিলেন পৃথিবীতে আসার আগে।আপনার তো কোন কষ্ট নাই থাকবে কেনো,আপনার তো কোন কিছু হারায় নাই,হারিয়েছি তো আমি আমার সন্তানকে যাকে তার বাবা নিজ হাতে হত্যা করেছে।
সত্য তো বলেছে জান্নাতুন এর কথাগুলো শুনে কষ্ট লাগতেছে আগে যে কেনো এমন লাগে নাই যদি আগে এমন কষ্টতা বুঝতে পারতাম তাহলে এইদিনটা দেখতে হতো না।
এখন কেনো চূপ করে আছেন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন।আমি জানি আপনি আর কিছু বলতে পারবেন না তাই বলতেছি হাতটা আমার ছেড়ে দেন আমি রুমের বাহিরে চলে যাবো।
জান্নাতুন প্লিজ আমার কথাটা একটু শুনো,
আপনার কথা আজকে কেনো শুনবো,সেদিন তো আপনি আমার কথা শুনেন নাই আমিও তো আপনার চেয়ে হাজার বার ভিক্ষা চেয়েছিলাম আমার সন্তানের কই আমার তো কথা আপনি শুনেন নাই শেষে কি করলেন আমাকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করে আমার abortion করালেন।আমার বাচ্চাটাকে পৃথিবীতে আসার আগে মেরে ফেললেন।তাই আমিও আজকে আপনার কোন কথা শুনতে চাই না।
আমি মানতেছি অনেক বড় অপরাধ করেছি কিন্তু বিশ্বাস করো এখন আমি ভালো হয়ে গেছি।আমি এখন চাই তোমার সাথে সুখ-দুঃখের সংসার করতে যেখানে থাকবে তোমার আর আমার একটা কন্যা সন্তান।আমাদের হবে সুখের সংসার।
আমাকে হাসালেন আপনি,একদিনে কেউ ভালো হয়ে যায় আজকে প্রথম শুনলাম।আপনার মতো মানুষ কখনো ভালো হতে পারে আমার বিশ্বাস হয় না।আপনার কপালে সুখের সংসার লেখা নাই।
প্লিজ তুমি এভাবে বলো না।আমি যেগুলো অপরাধ করছি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।তোমাকে কথা দিচ্ছি আর কোন দিন আর অন্যায় কাজ করবো না।প্লিজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দেও তোমার পা দুটো ধরি।
আরে আপনি এটা কি করতেছেন স্বামী হয়ে স্ত্রীর পা ধরতেছে এটা কখনো ভালো দেখায় না তাই প্লিজ আপনি আমার পা ছেড়ে দিন?
আমি তোমার পা ছাড়বো না যতোক্ষন না তুমি আমাকে ক্ষমা করতেছো।
আচ্ছা আমি আপনাকে ক্ষমা করবো আগে তো আপনি আমার পা ছাড়ুন।
সত্যি আমাকে ক্ষমা করে দিবে তো,
সত্যি তো বলতেছি এখন আমার পা ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাড়ান।
হুম এই যে সোজা হয়ে দাড়ালাম এখন বলো আমাকে ক্ষমা করছো কি না?
একটু দাড়ান ভেবে দেখি,
ঠিক আছে যতো খুশি ভাবো কিন্তু আমাকে ক্ষমা করেই দিতে হবে।
আমি ভেবে দেখলাম যে,আপনাকে ক্ষমা করতে পারি কিছু শর্তে যদি আপনি মানেন,
কিসের শর্ত,
যদি মানেন তাহলে আপনাকে ক্ষমা করতে পারি,
ঠিক আছে কিন্তু আগে শর্তের কথাগুলো তো বলো ,
হুম বলতেছি,প্রথম শর্ত হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তা নামাজ মসজিদের গিয়ে জামায়াতের সাথে পড়তে হবে,দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে আপনার রাগ একটু বেশি তাই রাগকে চেক দিতে হবে এবং বড়দের শ্রদ্ধা এবং সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে হুট হাট করে রাগা যাবে না।তৃতীয় শর্ত হচ্ছে আমি না বলা পর্যন্ত আমাকে স্পর্শ করতে পারবেন না, চার নাম্বার শর্ত তিন মাস এভাবে চলতে হবে কোন কথা বলা যাবে না আমার সাথে।যদি এই চারটা শর্ত তিন মাস মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনাকে ক্ষমা করতে পারি।
এক থেকে তিন নাম্বার শর্ত গুলো মানতে আমার কোন অসুবিধা নেই কিন্তু তুমি চার নাম্বার শর্তটা তুলে নেও তোমার সাথে তিনমাস কথা না বলে থাকতে পারবো না।
তাহলে আপনাকে আর ক্ষমা করতে ও পারবো না।
আচ্ছা ঠিক আছে তোমার সব শর্ত মানতে রাজি আছি।কিন্তু আজকে আমার একটা কথা রাখবে প্লিজ,
আচ্ছা বলেন যদি রাখার মতো হয় তাহলে রাখবো, না হলে নাই।
প্লিজ এমন ভাবে বলো না,
আচ্ছা বলেন কি কথা আছে আপনার?
এই ব্যাগটা রাখো তোমার কাছে,
ব্যাগের মধ্যে কি আছে?
একটা নীল শাড়ি আর কিছু ফুল আছে।এই শাড়িটা আজকে শুধু রাতে পড়ে আমার সামনে একটু আসবে।আমি দেখতে চাই আমার বউকে নীল শাড়িতে কেমন লাগে।
ঠিক আছে পড়বো কিন্তু আমার শাড়ি পড়া দেখে যেনো আপনার মাথা নষ্ট না হয়ে উল্টা পালটা কাজ না করে বসেন।
সেই রকম কিছুই করবো না,শুধু একটা নজর শাড়ি পড়া অবস্হায় দেখতে চাই তোমাকে।
ওকে।
দেখেন তো আমাকে কেমন লাগতেছে।
মাস্আল্লাহ্ আমার বউটাকে তো অনেক সুন্দর লাগতেছে নীল শাড়ি পড়ে।
ধন্যবাদ,এবার তাহলে আমি যাই এগুলো খুলে এসে শুয়ে পড়ি।
আরে এগুলো খুলতে হবে না,তুমি এগুলো পড়েই শুয়ে পড়ো সমস্যা নেই।তোমাকে যে,কতো সুন্দর লাগতেছে বলে বুঝাতে পারবো না।ইচ্ছা করতেছে তোমাকে এখনি,
হয়েছে থামেন থামেন আপনার ইচ্ছা আপনার কাছে রাখুন।আমি শাড়ি পড়ে ঘুমাবো আর আপনি মাঝ রাতে উঠে আমার নগ্ন শরীরটা দেখে আমার উপরে ঝাপিয়ে পড়বেন আমি মনে হয় কিছুই বুঝি না।
আমি সত্যি ভালো হয়ে গেছি জান্নাতুন বিশ্বাস করো আমাকে।
আমি জানি একটা মেয়ে সুন্দর করে সাজলেই আর যদি কোন ছেলে দেখে তখন তো আর লোভ সামলাতে পারে না।তেমনি আপনার কথায় আপনার দেওয়া শাড়ি আর ফুল গুলো পড়ে এসে আপনাকে দেখাচ্ছি, এখন আপনার লোভ সামলাতে পারতেছে না,আমাকে দেখে।যদি আপনার লোভ সামলাতে নাই পারবেন তাহলে আমাকে এগুলো পড়তে বললেন কেনো।আপনি কখনো ভালো হতে পারবেন না,শুধু শুধু ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করতেছে।আপনার ভিতরে একটা জানোয়ার আছে,আর যার ভিতরে জানোয়ার থাকে সে কখনো ভালো হতে পারে না।
জান্নাতুন তুমি আমাকে এভাবে বলতে পারলে।
আপনি এটারে প্রাপ্প ছিলেন।আর একটা কথা যদি এই তিন মাসে দেখি আপনি ভালো না হন তাহলে আপনাকে রেখে চলে যাবো তখন পুরো পৃথিবী ধরে খুজলেও আমাকে খুজে পাবেন না।
আচ্ছা যাও তোমার ইচ্ছা শাড়ি পড়ে থাকবে না কি খুলে রাখবে?আর তুমি আবার কই যাবে?
কই যাবো সেটা আপনাকে কেনো বলবো হ্যা আমার দুচোখ যেদিকে যাই সেদিকে চলে যাবো তাও এই অবহেলার সংসারে আর পড়ে থাকবো না,যেখানে পাইনা কোন নিজের সম্মান,অধিকার সেখানে থেকে কি করবো আর এমন একটা স্বামী পেয়েছি যে কিনা শুধু আমার শরীরকে ভালোবাসে?চাহিদা পূরন হলে আমাকে আর চিনেই না।
তুমি আমাকে তিন মাস টাইম দিয়েছো না,আমি এই তিনমাসে ভালো হয়ে দেখাবো তোমাকে আর তোমাকেও আর কোথাও যেথে দিবো না।তোমার সম্মান,অধিকার সব ফিরিয়ে দিবো আর একজন ভালো স্বামী হয়ে দেখাবো কথা দিলাম।
জান্নাতুন কই যাচ্ছো এতো রাতে?
শাড়ি চেন্জ করতে আপনার সামনে তো আর চেন্জ করতে পারবো না।আপনার সামনে চেন্জ করলে আবার কখন আমাকে দেখে আপনার মাথা ঠিক না থাকতে পারেন পুরুষ মানুষ বলে কথা।
ঠিক আছে তুমি রুমে ভিতরে চেন্জ করো আমি বাহিরে যাচ্ছি তোমাকে বাহিরে যেথে হবে না।
আরে আপনি থাকেন আপনার ঘর আর আপনি বাহিরে যাবেন কেমন দেখায় না।
তুমি কিন্তু আমাকে কথা কথা অপমান করতেছো আমি তো ভালোর জন্য বলতেছি আর তুমি আমাকে অপমান করতেছো।এটা কি শুধু আমার রুম তোমারো তো এই রুম?এক কথায় যাকে বলে আমাদের দুইজনের রুম এটা তাই তুমি রুমেই চেন্জ করো আমি বাহিরে যাচ্ছি।
ঠিক আছে আপনি তাহলে বাহিরে যান।(আর বেশি কথা বললাম না কারন যতো কথা বলবো ততোই বাড়বে কথা।)
কি হলো এখনো বসে আছেন কেনো বাহিরে যান?
হুম যাচ্ছি যাচ্ছি এতো তাড়া কিসের?
যান তো ফালতু ছেলে কোথাকার।
ওই আমি ফালতু ছেলে না, আমি তোমার স্বামী হই এভাবে বলতেছো কেনো।
স্বামী মাই ফ্রুট।
আমি আর কথা না বলে সোজা রুমের বাহিরে চলে আসলাম।যে কথা বলেছে ওখানে কথা বলার ভাষায় হারিয়ে ফেলেছি।আমি কি এতোটাই একটা খারাপ ছেলে?নিজের স্ত্রী এখন স্বামী হিসাবে মানতেছে না।একটা সম্পর্কে ফাটল ধরাতে হলে অবহেলা,অত্যাচার করলেই হবে।কিন্তু আল্লাহ্ আমার সংসারটাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।কতোই না অবহেলা,অত্যাচার করেছি জান্নাতুনকে তাও আমাকে ছেড়ে যাই নাই।তখন আমি জান্নাতুন কে বুঝি নিই আর এখন জান্নাতুন আমাকে বুঝতেছে না।
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো তাই ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি মনি ফোন দিয়েছে তাই ফোনটা রিচিস করতেই বলতেছে,
কিরে ফালতু ছেলে তোর বউ এর কি খবর তোকে মেনে নিয়েছে কি?
মনি তুইও আমাকে ফালতু ছেলে বলতেছিস।
কেনো রে আমি বাদে অন্য কেউ কি এই কথা বলেছে নাকি?
হুম আমার বউ বলেছে এই কথা রে।
ঠিকে তো বলেছে ।আচ্ছা এগুলো বাদ দে আগে বল তোর বউ তোকে মেনে নিয়েছে কি?
না নেই নাই।
কেনো রে আর আমার মনে হয় তোর কপালে আর বউ নাই। তোকে তোর বউ মেনেও নিবে না কোনদিন ,আর বউ কপালে জুটবেও না,সুযোগ একবারে আসে কপালে সেটা তুই কাজে লাগাতে পারিস নাই এখন বসে বসে কান্না কর।হিরার ঢুকরা একটা বউ পেয়েছিস কিন্তু তুই তার অপব্যবহার করেছিস।কথা আছে যে,
কিছু কিছু পাপের শাস্তি দুনিয়াতে ভোগ করতে হয় সেই রকম তোর পাপের শাস্তি পাচ্ছিস।
আরে আমার কথা শেষ না হতেই তুই সেই থেকে বক বক করে যাচ্ছিস।
এ আমি কই বক বক করলাম আমি তো ভালো কথায় বললাম।আচ্ছা বল এবার তোর কথায় শুনি,
তাহলে শুন আমাকে তিন মাস সময় দিয়েছে এই তিনমাসের ভিতরে ভালো না হলে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।
তাই তাহলে তো ভালো,
হুম ভালোই তো কিন্তু আবার তিনটা শর্ত দিয়েছে,
কিসের শর্ত রে,
তারপর আমি সব শর্তের কথাগুলো বললাম,
আমার মনে হয় না তুই এগুলো করতে পারবি না।
কেনো পারবো না,না পারলেও আমাকে পারতেই হবে।
তাহলে এখন চেষ্টা করতে থাক ধীরে ধীরে হয়ে যাবে।
হুম আমার জন্য দোয়া করিস রে ওকে আমি যদি আল্লাহ্ পথে চলতে পারি এবং সৎ পথে চলতে পারি।
আমি তো তোর জন্য সব সময় দোয়া করবোই।একজন প্রকৃতি বন্ধু তার অপর বন্ধুর সবসময় ভালো চাইবে।আমিও চাই তুই সুখে শান্তিতে সংসার কর।
ধন্যবাদ রে তোর মতো একটা বন্ধু পেয়েছি।
হয়েছে আমাকে ধন্যবাদ দিতে হবে না।তো আগে বল ভাবিকে কবে দেখাবি আমাকে।
শুন এক কাজ কর তুই না হয় কালকে আমাদের বাসায় আয় এর ফাকে আমার বাবা-মার সাথে কথা বলতেও পারবি আবার আমার বউকেও দেখতে পারবি।
দাওয়াত যখন দিয়েছিস তাহলে তো যাইতেই হবে।তুই তো জানিস আমাকে কেউ দাওয়াত দিলে মানা করতে পারি না।
ওকে তাহলে আসিস কালকে।
ওকে।আচ্ছা শুন অনেক রাত হয়েছে তাই ঘুম ধরতেছে খুবেই তাই বলি কি কালকে তো তোর বাসায় যাইতেছি তাই কালকে কথা হবে ওকে?
ঠিক আছে ঘুমা তাহলে।
আমি তো ঘুমাবো,তুইও ঘুমা।
ওকে।
কালকে গল্পটা শেষ করে দিবো।
#চলবে,,,,কী?