#অবহেলার সংসার
#Imran_khan
#পর্ব_০৭
অনেক দেখছি রে দোচ বিয়ার পরেও বাচ্চা নষ্ট করে।আরে বাচ্চা দেওয়ার মালিক হচ্ছে আল্লাহ্ তাহলে এরা নষ্ট কেনো যে করে।বাচ্চা নিবে না,দেশে অনেক পদ্ধতি আছে বাচ্চা না নেওয়ার।কিন্তু না,তারা এটা না করে আল্লাহ্ যাদের মাধ্যমে জন্ম নেওয়ার জন্য পৃথিবীতে পাঠায় তারায় আবার বাচ্চাটাকে পৃথিবীতে জন্ম দেওয়ার আগে মেরে ফেলে। কতো মানুষ আছে বিয়ার পরে বাচ্চা হয় না।তাদের কতো স্বপ্ন দেখে একটি বাচ্চার জন্য।আর এদিকে বাচ্চা পেটে আসার পরেও নষ্ট করে দেয়।আসলেই এরা কখনো প্রকৃত মুসলিম হতে পারে না।আচ্ছা শুন দোচ অনেক কিছু বললাম,রাগ করিস না। আমাকে আর একটি সামনে নেমে দেশ আমি হেটে যাবো বাসস্টান পর্যন্ত।
ওকে দিচ্ছি।আর তোর কথায় কেনো রাগ করবো আমি।
আচ্ছা শুন তোর যদি বিয়ের পড়ে প্রথম বাচ্চা ভাবির পেটে আসে সেটা কখনো নষ্ট করিস না ওকে।বাচ্চা নষ্ট করা মহা পাপ যা আল্লাহ্ কখনো ক্ষমা করে না।আর আল্লাহ্ যদি বান্দার উপরে একবার নারাজ হয় তাহলে সেই বান্দার উপরে কখনো আল্লাহ্ রহমত আসে না।
আমি তো বিয়ে করেছি রে সাজু।আর আমার বিয়ে করা দুইটি বছর হয়েছে।
কি বলিস তাহলে বিয়ে করে ফেলেছি?তবে বিয়ে করে ভালো করেছিস।ফরজ জিনিস আগে করাই ভালো।তবে আগের মতো আছিস নাকি চেন্জ হয়েছিস বউ পেয়ে।
আরে কই চেন্জ হতে পারলাম,
কি বলিস,এখনো কি তোর খারাপ অবভ্যস গুলো আছে?তাহলে তোর বউ কেমনে তোর সংসারে আছে রে ঈমান।কলেজ লাইফে কতো খারাপ ছিলি তুই তোকে কতো মানা করতাম যে মেয়েগুলো জীবন নষ্ট করিস না তাও বলতি একটু মজা করি।তাহলে কি এখনো ওগুলো করিস নাকি বউ বাসায় থাকার পরেও?
আরে না আগের মতো তেমন মেয়েদের জীবন নীয়ে খেলা করি না, তাও লোভ সমলাতে পারি নারে দোচ।অনেক চেষ্টা করেছি মেয়েদের শরীরের লোভ সমলাতে কিন্তু পারি না ছাড়তে।তবে অন্যমেয়ের কাছে আর যাই না নিজের বউ এর সাথেই করি,যা ইচ্ছা হয়।
তাহলে তোর কথা শুনে বুঝতে পারতেছি ভাবিকে অনেক অত্যাচার করিস।তাহলে তোর সংসারে এতো অত্যাচার সয্য করে ভাবি এখনো পড়ে আছে তোর কাছে।কোন মেয়ে কখনো এতো কষ্ট সয্য করে সংসার করবে না যদি তার স্বামীকে ভালো না বাসে।আমার মনে হয় ভাবি তোকে অনেক ভালোবাসে তাই তোর দেওয়া কষ্ট গুলো সয্য করে এখনো পড়ে আছে।ঈমান তোকে একটা কথা বলি সময় আছে এখনো নিজেকে শুধরায় নে তাহলে তোর জন্য ভালো।যদি এখনো নিজেকে চেন্জ করতে না পারিস তাহলে একদিন তোকে পস্তাতে হবে।সেদিন কান্না কাটি করেও লাভ হবে না।তাই বলি কি ভাবিকে অত্যাচার না করে একটু ভালোবেসে দেখ মনে শান্তি পাবি। শারীরিক সম্পর্ক আর মনের সম্পর্ক আসমান জমীন তফাত তাই বউ এর মনকে ভালোবাসতে শিখ তাহলে প্রকৃত ভালোবাসা পাবি বউ এর থেকে।বউ থাকতে বউ এর মর্ম বুঝেক যখন থাকবে না তখন বুঝবি বউ কি জিনিস?আমি বুঝতেছি সংসার একটা মেয়ে না থাকলে কেমন কষ্ট হয়।
গাড়িটা দাড় করা আমি এখানেই নামবো।
বাস স্টান তো আর একটু সামনে এখানে দাড় করাতে বলতেছিস কেনো রে সাজু।
তোকে যেটা বলতেছি সেটাই কর।আর বাসস্টানটা এখান থেকে বেশি দূরে না তাই একটু হাটলে সমস্যা নাই রে।
আমিই তো পুরো রাস্তাটা তোকে আর তোর মেয়েকে আনলাম আর এখন অর্ধেক এসে গাড়ি থেকে নামতে চাচ্ছিস রে।
অর্ধেক কই আর একটু সামনে গেলেই বাসস্টান তাই আমি চাচ্ছি অল্প রাস্তাটা একটু হেটেই যাই।
ঠিক আছে এতো করে যখন বলতেছিস তাহলে এখানে তোকে নেমে দেই।
ঠিক আছে গাড়িটা রাস্তার সাইটে দাড় করা।
ওকে।তারপর আমি গাড়িটা রাস্তার এক সাইটে দাড় করলাম।
তাহলে আমি গেলাম ঈমান ভালো থাকিস আর মাঝে মাঝে ফোন দেশ আমাকে একদমে ভূলে যাস না।
বন্ধুকে কেউ ভূলে যায় নাকি।আচ্ছা তুইও ভালো থাকি আর রাস্তা দেখে শুনে যাস।
আমি রাস্তা কি দেখবো গাড়ির ড্রাইভারে তো রাস্তা দেখে গাড়ি চালাবে।নতুন করে রাস্তা দেখতে হবে না আমাকে।
ঠিক আছে তাও দেখে শুনে যাস।
ওকে।আর শুন তোকে যেগুলো বললাম তোর ভালোর জন্য বললাম ভাই।তোকে আমি একটা ভাই হিসাবে মানি তাই তোকে বলতেছি সময় আছে ভালো হয়ে যা।আর আল্লাহ্ কাছে ক্ষমা চা আগের কর্মের তাহলে ঠিক একদিন আল্লাহ্ তোকে ক্ষমা করবে।আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বি।
ঠিক আছে সাজু তোর কথাটা মাথায় রাখবো।
হুম রাখলেই ভালো।দিন দিন জীবন খয় হচ্ছে হঠাৎ কোনদিন পুরো শরীর চলা বন্ধ হয়ে যাবে বুঝতেই পারবি না।
আচ্ছা তুই তাহলে যা আমি অফিসে যাবো এমনিতে লেট হয়ে গেছে।
ওকে।
তারপর আমি সাজুকে ওখানে রেখে সোজা অফিসের দিকে যাচ্ছি গাড়ি স্টাট দিয়ে।কিন্তু সাজুর কথাগুলো আমার কলিজায় গেথে গেলো।ও তো সত্যি বলেছে আমি কতো জঘন্য পাপ করেছি আল্লাহ্ কি আমাকে ক্ষমা করবে?প্রতিদিন কতো অত্যাচার করেছি জান্নাতুনকে তবুও আমার কাছে পরে আছে।তাকে বউ হিসাবে না মানা থেকে শুরু করে কতো শারীরিক অত্যাচার করেছি।আমি এতো খারাপ হলাম কেমন করে,নিজের প্রথম সন্তান কেউ মেরে ফেলেছি পৃথিবীতে আসার আগে।এতো খারাপ কাজ করেছি এখন তো নিজেকে দেখলেই ঘৃণা হচ্ছে।আসলেই আমি একটা জঘন্য ব্যক্তি।
আচ্ছা জান্নাতুন কি আমাকে ক্ষমা করবে আমার এতো গুলো অপরাধ কে?ক্ষমা না করলেও পা ধরবো তবুও ক্ষমা চাবো।স্বামী হয়ে অনেক অন্যায় করেছি ওর উপরে।
এগুলো ভাবতে ভাবতে অফিসে চলে আসলাম।তারপর
গাড়িটা পার্ক করে অফিসের ভিতরে ঢুকতেছি।ভিতরে ঢুকতেই,
গুট মর্নিং স্যার।
গুট মর্নিং।এভাবে অফিসের অনেক মানুষ আমাকে গুট মর্নিং বললো।তারপর আমি গিয়ে আমার রুমে ঢুকে পড়লাম।রুমের ভিতরে ঢুকে সোজা চিয়ারে গিয়ে বসলাম।চিয়ারে বসে চোখ দুটো বন্ধ করে হেলান দিয়ে ভাবতেই অবাক লাগতেছে আমি এগুলো কি করেছি?ভাবতেই বুকের ভীতর ভয়ে কেপে উঠতেছে।মনটাকে শান্ত করতেই পারতেছি না।
মে আই কামইন স্যার।
ইয়েস কামইন।(চোখ দুটো খুলে দেখি অফিসের ম্যানেজার এসেছে )
মাহাবুব সাহেব কোন সমস্যা?(ম্যানেজার এর নাম মাহাবুব)
না স্যার তবে কিছু ফাইলে আপনার সাইন লাগতো।
ওকে ফাইলগুলো রেখে যান আমি একটু পরে সাইন করে দিচ্ছি।
ওকে স্যার।
তারপর ম্যানেজার সাহেব ফাইলগুলো রেখে চলে যান আমার রুম থেকে।কিছুই ভালো লাগতেছে না, মনে আমার কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়েছে মনে হচ্ছে।মনকে স্থির করতে পারতেছি না কিছুতে।না জান্নাতুন এর সাথে একটু কথা বলতে হবে দেখি কি করতেছে ও?
তারপর আমার ফোনটা বাহির করে জান্নাতুনকে ফোন দিচ্ছি কিন্তু ফোনটা ধরতেছেই না।দুইবার দিলাম ধরলো না কিন্তু তিনবার ফোন দেওয়ার পরে ফোনটা রিচিপ করলো।ফোনটা রিচিপ হওয়ার সাথে সাথে আমি বলতেছি,
কি করো জান্নাতুন তুমি?
আচ্ছা আপনার কি শরীর খারাপ হয়ে নাকি?
শরীর খারাপ হবে কেনো।
না মানে আপনি কখনো তো আমাকে ফোন দেন না তাই ভাবলাম আপনার শরীর খারাপ হয়েছে মনে হয়।
কেনো আমার বউকে আমি কি ফোন দিতে পারি না?
প্লিজ বউ বলবেন না।বউ কথাটা আপনার মুখে মানায় না।আপনার মনে হয় শরীর -মাথা দুটোই খারাপ হয়ে গেছে ।আপনি এক কাজ করেন অফিস থেকে আসার সময় ডাক্তার দেখায় আসেন ওকে।
ডাক্তার দেখাতে হবে না আমার সমস্যার ঔষধ হচ্ছো তুমি তাই তুমি হলেই হবে।
#চলবে,,,,কী?