অবশেষে পর্ব-১১

0
1705

#অবশেষে
#written_by_sumaiya_karim
||পর্ব-১১||
সায়ন কে সেই হসপিটালেই এডমিট করা হয় যেখানে রিয়া ও ছিলো। কেও কারো মুখ দর্শন পায় নি এখনো ওবধি। আদ্র হসপিটালের নাম রাতুলের কাছে যেনে নিয়ে সেখানেই আসে। আর দেখতে পায় রাতুল মন খারাপ করে হসপিটালের বাহিরে পায়চারী করতে ব্যস্ত আছে। সে তার সামনে এসেই বলে,

–‘রিয়া কোথায়?’

আদ্র কে দেখে জাপটে ধরে রাতুল আর পিচ্চি ছেলের মতো কাঁদতে থাকে। আদ্র তব্দা খেয়ে গেলো। এতো বড় ছেলে কিনা কান্না করছে? এই কান্না তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ নয়তো?

–‘রাতুল কন্ট্রোল ইউরসেল্প!’

–‘কিভাবে নিজেকে কন্ট্রোল করবো তুই বলতে পারিস? রিয়ার বাবা মা আমাকে ভুল বুঝছেন। আমাকে চলে যেতে পর্যন্ত বলে দিয়েছেন এখান থেকে!’

–‘ওয়েট কুল ডাউন। কিছু হবে না চল আমি রিয়া কে দেখবো!’

–‘আংকেল আন্টি আমাকে দেখলে আবার চটে যাবে তুই যা দেখে আয়!’

–‘একা যাবো না। সায়নের দোষ ছিলো তোর না চল তো!’

আদ্র জোড় করে রাতুল কে নিয়ে ভেতরে ঢুকে।
.

এদিকে আয়রা কে হঠাৎ ই আসতে দেখে রাশেদা চেঁচিয়ে সবাই কে ডেকে বলে,

–‘আরে কোথায় সবাই? দেখে যাও কে এসেছে!’

অনুপমা বলেন,

–‘কে? আরে আয়রা তুই?’

আয়রা মা আর চাচির পা ধরে সালাম করতে নেয় তারা তাকে বাঁধা দেয় আর বুকে টেনে নেয়। বড় আদরের আয়রা। আয়রার বিয়ে হওয়ায় সে এ বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার ফলে বাড়ি টা কেমন শূন্য হয়ে থাকে। ফাঁকা ফাঁকা লাগে সব! সর্বদা মনে হয় কিছু একটা যেনো নেই!

–‘কেমন আছো তোমরা?’

–‘এইতো তুই চলে এসেছিস এখন আরো বেশি ভালো আছি। তুই কেমন আছিস বল!’

–‘আছি..!’

আয়রা সন্তপর্ণে মন খারাপ লুকানোর চেষ্টা করছিলো কিন্তু সফল হলো না। কথায় আছে না মা সন্তানের গোপন কথা ও মুখের এক চাহনিতেই ধরে ফেলতে পারেন তাই হলো।

–‘আয়রা কি হয়েছে বলতো? মুখ টা এমন শুকিয়ে রেখেছিস কেন রে?’

–‘কই না তো মা!’

–‘মিথ্যা বলছিস?’

–‘একদম না!’

–‘তুই একা এসেছিস আদ্র কোথায়?’

–‘কেন আমি কি আসতে পারবো না? পর করে দিয়েছো?’

রাশেদা আয়রার গালে হাত রেখে বলেন,

–‘মেয়ে বলে কি? কেন আসতে পারবি না এটা তোর বাবা চাচার বাড়ি আমরা না করার কে রে?’

আয়রা নিজেকে আর সামলে নিতে না পারায় হু হু করে কেঁদে উঠে। অনুপমা আর রাশেদা থ হয়ে যায়। বুঝতে বাকি রইল না কিছু তো একটা অবশ্যই হয়েছে! কিন্তু কি সেটা? ঘাবড়ে যান দুজন ই!

–‘আয়রা কি হয়েছে তোর? তুই তো এতো সহজে কান্না করার মতো মেয়ে না!’

সব লুকাতে গিয়ে প্রকাশ করে ফেলছে বুঝতে পেরে আয়রা বললো,

–‘তোমাদের কথা খুব মনে পড়ছিলো তো তাই খারাপ লাগছিলো!’

–‘এই জন্য কাঁদতে হয়?’

অনুপমা আবারো স্বচোখে তীর্ণ দৃষ্টি নিয়ে বলেন,

–‘আমার কেন যেনো মনে হচ্ছে তুই কিছু গোপন করছিস!’

–‘আহা ভাবী কি শুরু করলেন? দেখি আয়রা তুই আমার সাথে আয়। দূর থেকে এসেছিস মা মেয়ের জবানবন্দি নেওয়া দেওয়ার পালা পরে করিস।’

রাশেদা আয়রা কে তার রুমে নিয়ে যায়।

–‘তুই এখানে বিশ্রাম কর আমি ঠান্ডা পানি নিয়ে আসি!’

–‘হু আচ্ছা!’
.

রাতুল কে আবার হসপিটালে দেখে রাগি চোখে তাকায় রিয়ার বাবা মা। তবে এবার রাতুলের সঙ্গে আদ্র কেও দেখলো!

–‘তুমি? তুমি আবার এখানে কেন এসেছো?’

আদ্র রাতুল কে কিছু বলতে না দিয়ে বলে,

–‘আংকেল আপনারা একটু শান্ত হোন আপনাদের কে আমি পুরো বিষয় টা বুঝিয়ে বলছি!’

–‘বন্ধুর হয়ে সাফাই গাইতে এসেছো? আর এদিকে তোমার এই বন্ধু আমার মেয়ে কে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ের নাম করে ঠকিয়েছে!’

–‘না আন্টি ভুল জানেন আপনারা!’

–‘কি বলতে চাও তুমি?’

–‘শুনুন…

অতঃপর আদ্র সব কিছু প্রথম থেকে সুন্দর ভাবে খুলে বলে। রাতুল পুরো টা সময় চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো। ভদ্র ছেলের মতো। ভেতরে ভেতরে রাগে ক্ষোভে ফুঁসছে সে কিন্তু বাহিরে রিয়ার জন্য কষ্ট টা প্রকাশ পাচ্ছে। সায়ন এমন কিছু করতে পারে সে ভাবে নি। বন্ধু নামে কাল সাপ একটা। যে যেকোনো সময় ছোঁবল মারতে প্রস্তুত থাকে। রিয়ার বাবা মা সব শুনে ও বিশ্বাস না করতে চাইলে রাতুল রিয়ার ফোনে সায়নের নাম্বার থেকে আসা মেসেজ টা দেখালে তাদের কিছু টা বিশ্বাস হয়। আদ্র বলে,

–‘ইনফ্যাক্ট সায়ন আমাকেও একি কথা বলেছিলো। আর আমি ও সেটা কে বিলিভ করে রাতুল কে কথা‌‌ শুনিয়েছিলেন আর আমার স্ত্রী কেও! রিয়ার ফ্রেন্ড যখন রাতুল কে ফোনে বিষয় টা ইনফর্ম করে তখন রাতুল আমার অফিসেই‌ বসা ছিলো। কল পেয়েই ও ছুটে আসে। এর ফলে আমি ওর উপর আরো রেগে যাই। বাসায় কি আমি আয়রা কে বকাবকি করি আর ও…

–‘আর ও কি?’

–‘আসলে আংকেল আয়রা আমাকে ভুল বুঝে ওর বাবার বাসায় চলে গেছে!’

আদ্র অপরাধীর ন্যায় বিমূঢ় হয়ে কথা টা বললো। ঠোঁটে কোণে লেগে আছে এক রাশ আফসোসের বার্তা। রিয়ার বাবা মা গভীর ভাবে বিষয় টা নিয়ে চিন্তিত থেকে বলেন,

–‘কিন্তু সায়ন তোমাদের সাথে এমন কেন করলো? ও তো তোমাদের বন্ধু ছিলো তাই না? এ কেমন বন্ধুত্ব তোমাদের?’

এই কথার প্রতি উত্তরে বলার মতো কোনো কিছুই খুঁজে পেলো না আদ্র আর রাতুল। দুজন ই চুপ থাকলো শুধুমাত্র।
‌.

তন্নি কে কিছুক্ষণ পর আসতে দেখে এবার ভারী অবাক হয় আয়রার মা অনুপমা। তন্নি ভালো মন্দ জিঙ্গেস করা শেষে ও বিষন্ন মন নিয়ে বলে,

–‘আসলে ভাইয়ার সাথে ভাবীর একটু মনোমালিন্য হয়েছিলো। তাই বলে ভাবী এভাবে এখানে চলে আসবে আমি জানতাম না। একটু আগেই ভাইয়া আমাকে জানায়!’

–‘ওহ এই ব্যাপার আমি ও আঁচ করতে পেরেছিলাম অবশ্য। কিন্তু আদ্র কোথায়?’

–‘ভাইয়া এক ফ্রেন্ডের সমস্যা হয়েছে। তাই ও হসপিটালে গেছে সমস্যা স্লভ হলেই চলে আসবে!’

–‘আয়রা উপরে আছে!’

–‘আচ্ছা আমি তাহলে যাই কেমন!’

–‘হুম!’

সব টা শুনে নেয় রাশেদা। আর অনুপমা চলে যেতেই তন্নি কে যাওয়ার পথে আটকিয়ে চেপে ধরে এই প্রশ্ন গুলো নিয়ে। কারণ তন্নির কথা তেও কেমন ঘাপলা লাগলো রাশেদার কাছে।

–‘দেখো কোনো মিথ্যা কথা বলবে না! আমার এখনো মনে হচ্ছে তুমি ও কিছু লুকাচ্ছে। ভুল বুঝাবুঝির কারণে আয়রা এখানে চলে আসবে আমার মনে হয় না। সত্যি করে বলোতো ব্যাপার টা কি!’

তন্নি ভেবে পায় না এখন সে কি বলবে। শেষে গিয়ে তন্নি পুরো ঘটনা টা বলতে বাধ্য হয়। সব কিছু শুনার পর রাশেদার মাথায় হাত। রিয়েকশন দেখে তন্নি কিছু টা ভয় পেয়ে যায়।

–‘প্লিজ আর কাউকে কিছু জানাবেন না তাহলে ব্যাপারটা তে হিতে বিপরীত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে!’

–‘কাউকে বলবনা ঠিক আছে কিন্তু আদ্র আর আয়রা দুজনার মধ্যে এতোদিন ধরে এসব চলছিলো আয়রা তো কখনো আমাদের জানালো না!’

–‘আসলে ভাবী নিজেই এটার সমাধান করতে চেয়েছিলো তো তাই!’

–‘আমি এই জন্যই বুঝেছিলাম আয়রা এতো সহজে ভেঙ্গে পড়ার মেয়ে না। নিজ থেকে প্রচন্ড কঠোর ও নিজের ব্যাপারে। ছোট থেকেই ওর এই স্বভাবটা চলছে। কখনো নিজের সমস্যা গুলো কাউকে বলতে চাইতো না। নিজেই নিজের সমস্যা সমাধান করতো। কিন্তু এখন তো এটা সংসার জীবনের ব্যাপার। এক্কাদোক্কা খেলা নয়! আদ্র বা আয়রা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায় হচ্ছে ভালোবাসা থাকা। সেই ভালোবাসা ই তো আমি দুজনার মধ্যে কারো কাছেই দেখতে পাচ্ছি না। কিভাবে বাকি টা জীবন সংসার করবে এরা দুজন বলতে পারো তুমি? এট লাস্ট দেখবে বিচ্ছেদ পর্যন্ত চলে গেছে এই সম্পর্ক টা!’

আঁতকে উঠে তন্নি।

–‘না না এসব কি বলছেন। আমার মন বলছে যত যাই হোক ওরা দুজন দুজন কে ভালোবাসে। বিন্দু পরিমান হলেও ভালোবাসা আছে দুজনার মধ্যে!’

–‘এই কথার প্রমাণ কিভাবে করবে তুমি?’

তন্নির মাথায় ঝটপট একটা বুদ্ধির উদয় হলো।

–‘একটা আইডিয়া পেয়েছি!’

–‘কি?’
.

রাতুল কিছুক্ষণ পর বলে,

–‘ভাই আয়রার কাছে তোর যাওয়া উচিত। রাগ ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আয় ওকে। খুব ভালো একটা মেয়ে ও সত্যি বলছি ওকে ভালোবাসলে তুই ঠকবি না। জিসানের মৃত্যুতে ওর কোনো হাত নেই। ও নিজেই নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী!’

–‘হুম! যাবো। আমাকে তো যেতেই হবে। ভুল করে এসেছি এতোদিন আর না!’
.

আদ্র এক পর্যায়ে কথার পিঠে কথা উঠতেই প্রচন্ড রেগে যায় আর সায়ন কে কল দেয়। এতোক্ষণ সে বহু কষ্টে রাগ সামলে যতো টা সম্ভব শান্ত হয়ে রিয়ার বাবা মার সাথে কথা বলে রাতুলের ব্যাপার টা স্লভ করার চেষ্টা করেছে। কারণ সত্যি টা জেনে সেও রাতুল কে কথা শুনিয়েছিলো। বন্ধুর বিপদে পাশে থাকা নৈতিক দায়িত্ব। দুঃসময়ে যেই বন্ধুটি পাশে নেই তাকে সুসময়েই বা আর কি প্রয়োজন? বন্ধু মানেই সুখে দুঃখে পাশে থাকার অপর নাম।

–‘এই সায়ন কে পেলে আমি ওকে উচিত শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো!’

–‘এই কাজের জন্য ওকে অনেক পোহাতে হবে!’

আদ্র ফোন টা বের করে সায়ন কে কল দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু ফোন সেই আগের ন্যায় বন্ধ ই বলে যাচ্ছে।

কিছুক্ষণ পর সেই নাম্বার টি অর্থাৎ সায়নের নাম্বার থেকেই কল এলো। সায়নের বোন জানায় সে এক্সিডেন্ট করে এখন হসপিটালে আছে। রাতুল আদ্র দুজনি হতভম্ব হয়ে যায়। রাগ টা উধাও হয়ে যায়। আর মনে হতে থাকলো এই বুঝি ভুল শুনেছে। সায়নের বোন কথা বলতে বলতে সামনে অগ্রসর হচ্ছিলো আর নিচ থেকে চোখ তুলতেই আদ্র আর রাতুল কে দেখতেই থমকে গেলো। আদ্র আর রাতুলের ও সেইম দৃষ্টি।

–‘ভাইয়া আপনারাও এই হসপিটালে? আমার ভাইয়া ও তো এখানেই আছে!’

–‘কোথায়?’

–‘আসুন না আমার সাথে?’

দুজন এক পা ও নড়লো না দেখে সায়নের বোন বললো,

–‘কি হলো ভাইয়া?’

–‘ওর মুখ ও দেখার ইচ্ছা নেই যা করেছে সায়ন আমাদের সাথে!’

–‘কিহহ… কি করেছে ভাইয়া?’

সায়নের কুকীর্তি সব কিছু সায়নের বোন কে জানাতেই সে হা হুতাশ করতে থাকে। কেঁদেই দেয় মেয়েটা।

–‘ভাইয়ার হয়ে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ভাইয়া! ও ওর কৃতকর্মের সাজা সাথে সাথেই পেয়ে গেছে। ঐ যে কথায় বলে না অন্যের জন্য কুয়ো খুঁড়লে সেখানে আগে নিজেকেই পড়তে হয় আমার ভাইয়ার ও তাই হয়েছে। এক্সিডেন্ট করে পায়ের অবস্থা খুব খারাপ! একটা বার অন্তত চোখের দেখা তো দেখতে আসুন ভাইয়া! প্লিজ!’

সায়নের বোনের আকুতি মিনতি দেখে দুজনার মন কিছু টা নরম হয়। আর তারা সায়ন কে দেখতে আসে। দু পা ই ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। ব্যান্ডেজ করে বেঁধে রাখা হয়েছে। সায়ন তার বন্ধু দের দেখে প্রথমে অবাক হলে ও পরে লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখ তুলে তাকানোর সেই সাহস যে তার আর অবশিষ্ট নাই।

আদ্র আর রাতুল ও দেখে চলে আসতে নিবে সায়ন পিছন থেকে বলে উঠে,

–‘আমার মাফ করে দিস তোরা! আমি ভুল করেছি!’

–‘হাহা ভুল? এটা কে অন্যায় বলে বুঝলি? তোর এই কাজের জন্য আমাদের সাথে কি হয়েছে জানিস? কি হতে পারে ধারনা করেছিলি তুই?’

–‘হ্যাঁ হ্যাঁ শুধু তোর জন্য আজ রিয়া ও হসপিটালে। ওর জন্য ই এখানে এসেছি নাহলে আমরা আর কোনো দিন তোর মতো স্বার্থপরের মুখ ও দেখতাম না!’

সায়ন সব চুপচাপ শুনে বললো,

–‘আমি মানছি আমি অন্যায় করেছি। আর সেই অন্যায়ের শাস্তি ও পাচ্ছি। এই দেখ আমি হয়তো আর হাটতেও পারবো না। তোদের সাথে যা করেছি তাতে তোরা আমাকে দেখতে এসেছিস এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া। আমার মুখ আর দেখতে চাইবি না জানি। ক্ষমা করতে বলবো না আমাকে শুধু এই টুকু বলি অনেক অনেক ঘৃণা করিস আর অভিশাপ দিস! আমি তোদের বন্ধু হওয়ার যোগ্যতা রাখি না। আসলেই আমি খুব স্বার্থপর রে!’

রিয়ার জ্ঞান ফিরলে রিয়ার মা তাকে দেখতে যায়। আর রাতুলের জন্য কাঁদতে থাকলে সব কিছু বলেন তিনি। সব ঘটনা শুনে রিয়ার যেনো বিশ্বাস ই করতে কষ্ট হলো। রিয়ার বাবা ডাক্তারের সাথে কথা বলে আসছিলেন এমন সময় রাতুল আদ্র কে একটা মেয়ের সাথে কোথাও যাচ্ছে দেখে তিনি ও পেছন পেছন যান। আর গিয়েই দেখে সায়ন সেখানে। সব কথা শুনে তিনি আর সায়ন কেও দেখেন। শেষে রিয়ার কাছে যায়। আর বলে,

–‘মা রে যার মিথ্যা কথা শুনে তুই নিজের ক্ষতি করতে চেয়েছিইি গিয়ে দেখ ঐ ছেলে এখন নিজেই এক্সিডেন্ট করে এই হসপিটালে আছে!’

রিয়ার বাবা মা আর রিয়া ও সেখানে উপস্থিত হয়। সায়ন সবার কাছে ক্ষমা চায়। আসলে নিজ থেকেই সে তার করা কাজের জন্য ভীষণ অনুশোচনা আর অনুতপ্ত বোধ করছিলো। উপস্থিত সবাই চুপ।

এমন সময় আদ্রর ফোনে একটা কল আসে। কে কল দিয়েছে দেখে সে সঙ্গে সঙ্গেই রিসিভ করে। আর অপরপ্রান্ত থেকে ভেসে আসা সকল কথা শুনে আদ্রর হাত থেকে অটোমেটিক্যালি ফোন টা পড়ে যায়…!

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে