#অবশেষে
#Written_by_Sumaiya_Karim
||পর্ব-৮||
তন্নি আয়রার সব কথা শুনে কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যায়। আয়রার চোখের কোণে এখনো বিন্দু বিন্দু পানি ভীর করে আছে। তার এই কান্নাই বলে দিচ্ছে এই ঘটনার প্রেক্ষাপট বর্ণনায় কোনো মিথ্যা নেই। তন্নি এটা ভেবেই সিউরে উঠলো যে এই ঘটনার ভুক্তভোগী সে হলে কি হতে পারতো! তন্নির থেকে কোনো উত্তর না পাওয়ার আয়রা স্থির থেকে চট করে উঠে দাঁড়ায়। আর বলে,
–‘তুমি আমার সাথে রাতুল আর সায়ন ভাইয়ার কাছে চলো উনারা জানেন সত্যি টা। উনাদের কথা হয়তো তোমার ভাই বিশ্বাস করবে!’
–‘তারা সেখানে উপস্থিত ছিলো অথচ জিসান ভাইয়া কে আটকালো না? অদ্ভুত লাগলো না এই ব্যাপারটা তোমার কাছে?’
–‘সেদিনের ঐ ঘটনায় আমি অনেক দিন ব্যথিত ছিলাম। তার উপর জিসান হুট করে মারা যাওয়া টাও মানতে পারছিলাম না। একসময় আমি সিক হয়ে পড়ি। তারপর কয়েক মাস কেটে যায় এভাবে করে আমি ঘটনা টা ভুলে যাই। অবশ্যই মনে ও রাখতে চাইতাম না আমি!
তন্নি ও সম্মতি তে মাথা নাড়ালো। আয়রা এবার তাড়া দিয়ে বলে,
–‘প্লিজ তুমি আমার সাথে চলো! তোমার কাছে দুজনার নাম্বার আছে?’
–‘হুম ওয়েট আমি আমার ফোন টা দিয়ে আসি।’
–‘তাড়াতাড়ি করো একটু ও লেট করা যাবে না!’
–‘হ্যাঁ হ্যাঁ! তাই করছি!’
তন্নি ফোন টা নিয়ে এসে প্রথমে রাতুল কে কল দেয় আর একটা জায়গায় আসতে বলে সায়ন কে বলায় সে ও বললো আসছে। এতো জরুরি তলবে দুজনি ই ভাবলো কি না কি বিপদ হলো তাই আসছে জানিয়ে দেয়। তবে রাতুল আর সায়নের মধ্যে কেউ ই জানতো না যে তারা দুজন দুজনার মুখোমুখি ও হয়ে যাচ্ছে। যা তারা একেবারেই চাইতো না। কারণ…..
কিছুদিন আগের একটা ঘটনা! ড্রিংকস করার পর সায়ন পুরো মাতাল হয়ে যায় আর উল্টো পাল্টা কথা বলতে থাকে। সায়নের গার্লফ্রেন্ড তাকে ঠকানোর পর থেকে এই সব প্রেম আর মেয়ে দুটোর প্রতি ই ঘোর ঘৃণা জন্ম নেয় তার মনে। ফলস্বরূপ সে রাতুলের গার্লফ্রেন্ড রিয়া কেও মেনে নিতে পারছিলো না। নিজে কোনো মেয়ের গা ঘেঁষে না বন্ধু কেও মেয়েদের সাথে মিশতে দিবে না এমন একটা লক্ষ্য তার। অন্যদিকে অতীতে রাতুল তার বিপরীত ছিলো। রাতুলের স্বভাব ছিলো খারাপ। মেয়েদের সাথে টাইমপাস করে শেষে একটা ছেড়ে দিয়ে নতুন নতুন মেয়ে কে পটাতো আর শেষে ছেড়ে দিতো। এসব করতে করতেই তার জীবনে রিয়া আসে আর সে তাকে সত্যি ভালোবেসে ফেলে। এটাই সায়নের সহ্য হলো না। ঠিক ভাবে নিতে না পারায় সব সময় একটা চেষ্টা চালিয়ে যেতো রিয়া কে রাতুলের জীবন থেকে সরানোর। আর আজ সে নেশার ঘোরে রিয়ার নামে বাজে কথা ও বলতে থাকে।
–‘এই রাতুল তুই রিয়া কে সত্যি ই ভালোবাসিস তাই না?’
–‘অফকোর্স তাতে তোর কোনো সন্দেহ আছে?’
–‘এতো এতো ভালো মেয়ে থাকতে শেষে কিনা তুই এমন একটা থার্ড ক্লাস গাইয়া মেয়ের প্রেমে পড়লে ছিঃ’
–‘মুখ সামলে কথা বল সায়ন! রিয়া যেমন ই হোক সেটা আমি বুঝব তুই কে এসব বলার?’
–‘কিহহ! আমি কে? আমি তোর বন্ধু না হ্যাঁ? আমি তোর খারাপ ভালো দেখবো না?’
–‘না দেখিস না দরকার নেই! তোর মতো বন্ধু আমার চাই না!’
ব্যাস রাতুলের এই কথা টা সায়নের ইগো তে খুব লাগে আর নেশার ঘোরেই বলতে থাকে,
–‘একটা লো মার্কা মেয়ের জন্য তুই আমার সাথে বন্ধুত্ব নষ্ট করলি? এই মেয়ে গুলোই না আসলে এমন ই! ছেলেদের জীবনে আসে বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক শেষ করে দেয়। রিয়া ও তাই লোভী চিটার মেয়ে একটা!’
–‘সায়ন..!’
–‘চুপ কর! রিয়া একটা…
সায়ন আর কিছু বলার আগেই রাতুল সজোরে চড় বসিয়ে দেয় তার গালে। ঘটনাক্রমে দুজন ই ভয়াবহ রেগে যায়। অলরেডি মারামারি পর্যন্ত লেগে যায়। লোকজন জড়ো হয়ে তাদের এই রক্তারক্তি কাজ থেকে বিছিন্ন করে দেয়। সায়ন যাওয়ার আগে রেগে আগুন হয়ে বলে যায়,
–‘তোকে আমি দেখে নিবো! যেই মেয়ের জন্য আমার সাথে এমন করলি তাকে ও আমি ছেড়ে কথা বলবো না একদম। জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ্’
সেদিন থেকে দুজনার বন্ধুত্বের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। আদ্র অনেক চেষ্টা করেও তাদের এক করাতে পারে নি। একে অপরের চেহারা দেখতে পর্যন্ত নারাজ। আদ্রর ও বিশ্বাস টা আরো গাড়ি রূপ নেয় যে একটা মেয়ে ছেলেদের জীবনে কি পরিমান ইফেক্ট ফেলতে পারে। বন্ধুত্ব নষ্ট করে দিতে পারে মুহুর্তের মধ্যে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ এটি ই!
তন্নির কথায় আয়রায় হুঁস ফিরে।
–‘ভাবী এতো কি ভাবছো?’
–‘আসলে আমার খুব টেনশন হচ্ছে!’
–‘আল্লাহ ভরসা কিছু হবে না। ভাইয়া কে আমি চিনি ও এতো খারাপ ও না যতটা তুমি ভাবছো। এই একমাসে চাইলে তোমার শারীরিক মানসিক টর্চার করতে পারতো তা তো করেনি। এই টুকু বিশ্বাস রাখো!’
–‘কিন্তু..
–‘আমি তোমাকে এই জন্যই হেল্প করছি যাতে ভাইয়া সত্যি টা জানতে পারে ব্যাস। কুল মাইন্ডে থাকো আর যা হবে ভালোর জন্যই হবে বিশ্বাস রাখো আল্লাহর উপর!’
–‘হুম!’
আয়রা আর তন্নি গাড়ি তে বসে সব টা রাস্তা কথাবার্তা বলেই চলে আসে রেস্টুরেন্টে। আর এসেই অপেক্ষা করতে থাকে রাতুল আর সায়নের আসার জন্য। প্রথমে রাতুল আসে আয়রার ফেইস দেখেই বুঝে যায় কোনো খারাপ কিছু নিশ্চয়ই হয়েছে।
–‘এতো জরুরি তলব করলে কি ব্যাপার কি হয়েছে ভাবী? তোমাকে দেখে বেশ টেনশনে আছো মনে হচ্ছে!’
–‘ভাবী সব বলবে তোমাদের দুজন কে! তারপর তোমাদের একটা হেল্প করতে হবে ভাবী কে!’
–‘আমাদের মানে আর কে?’
–‘সায়ন ভাইয়া!’
সায়নের নাম শুনেই উঠে দাঁড়িয়ে যায় রাতুল আর ক্রুদ্ধ কন্ঠে বলে,
–‘সায়ন এখানে আসলে আমি থাকবো না। হয় ও থাকুক নাহয় আমি!’
–‘এতো রেগে কেন যাচ্ছেন ভাইয়া?’
–‘তুমি জানো না আয়রা ও কতো বড় হারামি। ওর সাথে আমার বন্ধুত্বের ইতি টেনে দিয়েছে। এখন ওর ছায়া ও আমি দেখতে চাই না। তোমাদের যা বলার হয় আমাকে বলো নাহয় সায়ন কে!’
সায়ন রাতুল দুজনার মধ্যে রাতুল কে বেস্ট মনে হলে তন্নি সায়ন কে ফোন দিয়ে না করে দেয়। তখন সায়ন অলরেডি রেস্টুরেন্টে চলে ও এসেছিলো। সে ভেতরেই ছিলো আর তক্ষুণি রাতুলের বলা সব কথা শুনে নিজেও রেগে যায়। তন্নি বা আয়রা কেউ ই তাকে দেখে নি। কল টা সে সাইডে গিয়ে রিসিভ করে আর কথা বলে নেয়। তন্নির সাথে হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়ে বলে দেয় সে আর আসছে না। কল টা কেটে দেত তন্নি আর ফিরে এসে বলে,
–‘না সায়ন ভাইয়া কে ম্যানেজ করে ফেলেছি এবার তো হলো নাকি?’
–‘হুম! এখন তোমাদের ঘটনা টা বলো!’
–‘আসলে ভাইয়া আমি সব বুঝতে পারছি!’
আয়রার কথায় আদ্র ভ্রুঁ কুঁচকে বলে,
–‘কোন সব?’
–‘আপনার মনে আছে বলেছিলেন আদ্র বিয়ের আগে আপনাদের কে আমার পিক দেখায় নি!’
–‘ও হ্যাঁ মনে আছে! ওকে তো এই ব্যাপারে জিঙ্গেস করবো বলেও পরে আর জিঙ্গেস করা হয়ে উঠে নি; কিন্তু এক মাস পরে এসে এই কথা কেন?’
তন্নি বললো,
–‘এটা জন্যই যে, একটা মিসটেক হয়ে গেছে।’
–‘কেমন সেটা?’
–‘ভাইয়া ৩ বছর আগে জিসান মারা যাওয়ার আগের দিন আমার সাথে কি হয়েছিলো আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে?’
রাতুল একটু চমকালো। অন্যদিকে তাদের কথা আড়ি পেতে ঠিক ই খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে সায়ন।
–‘হ্যাঁ মনে আছে। আসলে ভাবী জিসান এখানে গিয়ে সেদিন এই অঘটন ঘটাবে আমরা ভাবতেও পারিনি। ও আমাদের কে পুরোপুরি মিথ্যা বলে জারিফার বার্থডে তে নিয়ে যায়। আর সেখানে গিয়েই ও… ছিঃ! আমার নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে ঐ ব্যাপার টার জন্য! আমার বন্ধু হয়ে ও এমন একটা কান্ড করবে কল্পনা ও করতে পারিনি!’
–‘তার মানে তোমরা দুজন জিসান ভাইয়া কি জন্য এখানে গিয়েছিলে জানতে না রাইট?’
–‘হ্যাঁ তন্নি ঠিক বলেছো।’
–‘কিন্তু ভাইয়া তার পরের দিন জিসান কিভাবে মারা গেলো?’
—‘সেটা বলতে পারবো না। তবে এর বাবা মা অপমানিত হওয়ায় আর জিসানের ভার্সিটি তে গুন্ডামির কথা শুনে উনারা জিসানের উপর খুব রেগে যায়। আর খুব খারাপ আচরণ করে। এটা জিসান হয়তো নিতে পারে নি আর সুইসাইড করে বসে! কিন্তু এগুলা এতো বছর পর কেন আসছে?’
–‘কি আর বলবো ভাইয়া আদ্র সেই প্রথম দিন থেকে আমার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছে এই একটা ভুল ভাবনা নিয়ে!’
–‘মানে?’
–‘ভাবী ঠিক বলেছে। ভাইয়া ভাবছে যে ভাবী ই জিসান ভাইয়া কে মেরেছে। জিসান ভাইয়ের মৃত্যুর দায় ভাবী কে করে আমার ভাই এখন উনার থেকে প্রতিশোধ নিচ্ছে। সেদিন ভাইয়া রাতে ভাবীর বাসায় যায়। ভাবী কে পরিবার থেকে বিছিন্ন করে ভাবীর মনে কষ্ট দিতে চেয়েছিলো। আমি সব নিজের কানে শুনেছি। অথচ ভাইয়া আমাদের সবাই কে মিথ্যা বললো!’
রাতুল খুব অবাক হয়।
–‘তাই এখন ভাইয়া আপনি আদ্র কে বলবেন যে উনি আসলে ভুল। আমি উনার বন্ধু কে মারিনি। নাহলে উনি বলে গেছেন আমার পরিবারের ক্ষতি করে দেবেন প্লিজ আমায় হেল্প করুন ভাইয়া প্লিজ!’
আয়রা রাতুলে সামনে হাটু গেড়ে বসে পড়তে নেয় রাতুল তাকে ধরে দাঁড় করিয়ে বলে,
–‘ছিঃ ভাবী এসব কি করছো। আমাকে তোমার নিজের ভাই ভাবতে পারো। আদ্র যদি এসব ভেবে তোমাকে কষ্ট দিয়ে থাকে তাহলে আমি ওকে অবশ্যই সত্যি টা জানাবো!’
আরো কিছু কথা বললো রাতুল। তন্নি খুব খুশি হয়। আয়রা বলে,
–‘আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।’
–‘বোন রা ভাই দের ধন্যবাদ দিতে হয় না!’
আয়রা তবুও কাঁদছিলো দেখে রাতুল তাকে শান্তনা দেয় আর বলে,
–‘আহা ভাবী শান্ত হও তো। আদ্র কে আমি সব জানাবো!’
–‘যদি এর আগে আমার পরিবারের কিছু হয়ে যায়?’
–‘কিচ্ছু হবে না তুমি এখানে বসো। চোখের পানি মুছে শান্ত হও আর কি খাবে বলো!’
–‘না কিছু খাবো না!’
–‘তা কিভাবে হবে! আজ আমার মন খুব ভালো আছে!’
তন্নি লাফিয়ে উঠে বললো,
–‘তাহলে রাতুল ভাইয়া জম্পেশ একটা ট্রিট দিয়ে দাও!’
–‘হাহা আচ্ছা ঠিক আছে বসো!’
তন্নির লাফানো দেখে আয়রা আর রাতুল হালকা হাসলো। তাদের সব কথা কান পেতে শুনে নিয়ে একটা প্ল্যান তৈরি করে নেয় সায়ন। আর এটাও সে জানে রাতুল কেন আজ এতো খুশি। রিয়া আর রাতুল এঙ্গেইজমেন্ট এর প্ল্যান করেছে। এতো সহজে তো তাদের ছাড়বে না সে। তাই ঝটপট একটা ঝাক্কাস প্ল্যান সে বানিয়ে নেয়। যাতে করে আদ্র ও আয়রা কে দোষী ভাবে আর রিয়া এবং রাতুলের ও সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এক তীরে দুই পাখি শিকার হবে। এতে করে সাপ ও মরবে লাঠি ও ভাঙ্গবে না। সায়ন ডেভিল স্মাইল দিয়ে প্রথমে আদ্র কে কল দেয় আর বলে,
–‘দোস্ত আয়রা ভাবীর রাতুলের সাথে কি সম্পর্ক রে?’
–‘মানে কি বলতে চাচ্ছিস সায়ন? আমি ঠিক বুঝলাম না!’
–‘আগে বল তো আংকেল আন্টি কি বাড়িতে নেই?’
–‘না কিন্তু কেন?’
–‘তুই কোথায়?’
–‘আমি অফিসে!’
–‘আয়রা ভাবী রেস্টুরেন্টে রাতুলের সঙ্গে কি করছে তোকে কি বলে এসেছিলো?’
–‘নাহ তো!’
–‘রেস্টুরেন্টে এসে নিজের চোখে দেখে যা তোর বউ রাতুলের সঙ্গে কি করছে এসব ছিঃ ভাই আমি আর কিছু বলতে পারছি না। নিজের ই খারাপ লাগছে রাখছি আমি। আমার কথা বিশ্বাস না করলে নিজে এসে দেখে যা। আমি যে এটা বললাম তা বলে দিস না তা নাহলে ভাবী আমাকে খারাপ ভাববে। দেখ ভাই তুই আমার বন্ধু তাই বললাম! রাখলাম কল টা!’
আদ্রর কল কেটে দিয়ে এবার কল দেয় রিয়া কে। রাতুল নিষেধ করায় রিয়া সায়নের কল রিসিভ করছিলো না। তা বুঝতে পেরে সায়ন টেক্সট করে দেয় তাকে আর সেখানে লিখে দেয়,
–‘**** এই রেস্টুরেন্টে এসে দেখে যাও তোমার ভালোবাসার রাতুল অন্য মেয়ে নিয়ে বসে প্রেমালাপ করছে। তোমাকে তো আগেই বলেছিলাম রাতুল তোমাকে ঠকাচ্ছে। আমার কথা বিশ্বাস করবে না জানি তাই রেস্টুরেন্টে আসো আর নিজ চোখেই দেখে যাও! কোনো সিনক্রিয়েট করো না যা করবে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে করো! রিকোয়েস্ট রইল!’
সায়নের কথা যেমন ই হোক খুব পাওয়ারফুল ছিলো। তাই তো আদ্র আর রিয়া দুজন ই তার ডাহা মিথ্যা কথা তে ছুটে আসতে বাধ্য হয়। আদ্র আর রিয়া দুজন কে আসতে দেখে সায়ন নিজের নতুন একটা সিম থেকে তন্নির নাম্বারে কল দেয়। আর কল টা রিসিভ করে তন্নি হ্যালো হ্যালো বলতে থাকে তবে ওপাশ থেকে কথা আসে না। তাই সায়ন রেস্টুরেন্টের ই একটা সার্ভেন্ট কে বললো তার বলা একটা কথা বলে দিতে। টাকার লোভে সার্ভেন্ট তাই বললো,
–‘ম্যাম ওপাশে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে!’
–‘কে কল দিয়েছে তন্নি?’
আয়রার সহজ সরল প্রশ্ন।
–‘আসলে ভাবী দেখো না কথা আসছে না!’
–‘তাহলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় ঐ জায়গায় যাও দেখো কে কল দিলো!’
–‘আচ্ছা ঠিক আছে!’
তন্নি চলে যায়। আদ্র আর রিয়া কে সায়ন এটাও বলে দিয়েছিলো তারা যাতে রেস্টুরেন্টে কোনো সিনক্রিয়েট না করে। এতে কাহিনী টা খারাপ দেখাবে। এবার তারা কি করে তাদের উপর। তন্নি চলে যেতেই রাতুলের বলা একটা কথায় আয়রা হাসতে থাকে সঙ্গে রাতুল ও। দুজন ই হাসছে। যেনো গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড বসে প্রেম করছে। আদ্র আর রিয়া দুজন ই তাই দেখলো। আর সায়নের বলা বানোয়াট কথার সূত্রপাত ধরে দুজন ই সেটাই বুঝে আর ভীষণ রেগে যায়। সায়ন তার প্ল্যানে সাকসেসফুল হওয়ায় দারুণ খুশি হয়। হঠাৎ করে সায়ন দেখলো রিয়া……!
চলবে?