#গল্পপোকা_ছোটগল্প_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০২০
#ক্যাটাগরি_থ্রিলার
অবরুণী
শাকিল আহমাদ মোল্লাজী
————————————–
শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিপার্চার লাউঞ্জে বসে আছি। ‘ইউ এস এ’ যাবো। হঠাৎই ঘোষণা এসেছে ফ্লাইটটা একটু লেট হবে। আমার পাশেই আরেকজন বসে আছে। একটা মেয়ে, অদ্ভুত রকম সুন্দর একটা মেয়ে। তবে তার মুখ দেখে মনে হচ্ছে কী যেন একটা বিষয় তাকে ভিতর থেকে শেষ করে দিচ্ছে। বারবার চোখাচোখি হচ্ছে। কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারছি না। অপেক্ষার একটা ঘন্টা এভাবেই কেটে গেল। এরমাঝে আরও একটা ঘটনা ঘটেছে। এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। সে নাকি তার স্ত্রীকে খুন করে পালাচ্ছিলো। ঘটনাটা লাউঞ্জের বাহিরে ঘটলেও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে তা পুরো লাউঞ্জে ছড়িয়ে গেছে। আমার অন্যপাশে যে মাঝবয়েসী লোকটা আছে তার কাছেই শুনেছি ঘটনাটা। লক্ষ্য করলাম এরপর মেয়েটার পেরেশানি আরও এক কাঠি বেড়ে গেছে।
একঘন্টা পর, ফ্লাইট রেডি হতেই বিমানে চড়ে বসলাম। মেয়েটাও ‘ইউ এস এ’ যাচ্ছে। সেটা তার হাতের আমেরিকান পাসপোর্ট দেখেই বুঝেছি। কাকতালীয় ব্যপারগুলোতে বিশ্বাস না থাকলেও এখন বিশ্বাস করতে হচ্ছে। বিমান বালার দেখিয়ে দেয়া সিটটাতে বসতে গিয়ে দেখি পাশের সিটে মেয়েটা বসে আছে। বসতে গিয়েও আরেকবার টিকেটের সাথে মিলিয়ে দেখে নিলাম। টিকেট ঠিকই আছে। আমাকে ইতস্তত করতে দেখে মেয়েটি অদ্ভুত রকম সুন্দর ভাবে হাসলো। অদ্ভুত বলছি এজন্য যে, কোথাও একজায়গায় পড়েছি।
“সৌন্দর্য যখন আমাদের অনুভূতি আর ভাষার গণ্ডিকে হার মানায় তখন হয়তো আমরা নির্বাক হয়ে যাই অথবা তাকে কুৎসিত বলি।”
আমার অবস্থাও তেমনই হয়েছে। আর কোন শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না সেই সৌন্দর্যকে ব্যাখ্যা করার মতো “অদ্ভুত” ছাড়া।
-কোনো সমস্যা?”
মেয়েটার কথায় ভাবনা থেকে বাস্তবে ফিরলাম।
-না, না, কোনো সমস্যা না।”
একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছি। মেয়েটাকে এখন বেশ স্বাভাবিকই লাগছে। আগের সেই অস্থিরতা আর নেই। প্রথম এক ঘন্টা কোনো কথাই হলো না। কিছু বলতে গিয়েও কিভাবে শুরু করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। শেষে সে নিজেই কথা শুরু করলো। হয়তো আমার মনোভাব বুঝতে পেরেছিলো। কিন্তু কথা শুরু হলো অন্যভাবে। স্বাভাবিক ভাবে মানুষ অপরিচিতদের সাথে যেমন ভাবে কথা বলে ঠিক তেমন নয়। অনেকটা তার মতোই অদ্ভুত ভাবে।
-আপনাকে দেখে কেনো জানি মনে হচ্ছে সবকিছু বলা যায় আপনাকে।”
এটাই ছিলো তার প্রথম কথা। আমিও এককাঠি বেড়ে গিয়ে তুমি করে বলে ফেললাম। আসলে ওর মুখটাই কেমন যেন, আপনি বলে দূরে ঠেলতে ইচ্ছে করে না।
-হুমম, বলো তাহলে। আমিও তোমার গল্পটা শুনতে উদগ্রীব।”
আমার কথা শুনে তার যে প্রতিক্রিয়া ছিলো তা দেখে মনে হচ্ছিলো সে এমনটাই আশা করছিলো। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুরু করলো।
“চারমাস আগে, ইউএসএ থেকে বাংলাদেশে আসার সময়ই ওর সাথে পরিচয়। নাম আসিফ খন্দকার। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে দেখা আমাদের। সেও ঠিক আপনার মতোই হা করে তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে। তবে পার্থক্য হলো আপনার চোখে ছিল কৌতুহল। যেমনটা সাধারণত শিল্পি, কবি সাহিত্যিকদের চোখে দেখা যায়। আর ওর চোখে ছিল আবেদন। ভাবছেন এতকিছু ব্যাখ্যা করে ফেলছি কিভাবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ আমি সাইকিয়াট্রিস্ট। ফ্লাইটে একসাথে সীট না হওয়া সত্ত্বেও আসিফ আমার পাশের জনকে ম্যানেজ করে সীটটা বাগিয়ে নিল।
দীর্ঘ বারো ঘন্টার সফরে অনেক কথা হলো দুজনায়। একটা বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল আমাদের মাঝে। ফেসবুক,মেসেঞ্জার,ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ সব জায়গাতেই যোগাযোগ হচ্ছিলো। আমিও বুঝতে পারছিলাম কিছুটা দুর্বল হয়ে যাচ্ছি ওর প্রতি। আস্তে আস্তে একটা সুতোয় বাঁধা পড়ে গেলাম নিজের অজান্তেই। একটা সময় মনে হলো আমরা একে অন্যের অভ্যাস নয় বদঅভ্যাস হয়ে গেছি। সব কিছু যেন ঠিক যেমন চাইছিলাম তেমনই চলছে। মানে আমাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো যেন নিজে থেকেই ধরা দিচ্ছিলো।”
“এরই মধ্যে একদিন আমরা দেখা করলাম। ভেবেছিলাম সে প্রপোজ করবে কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে প্রপোজ করেনি। এক সপ্তাহ পর হঠাৎই একদিন কল করে বললো বাসা থেকে বের হতে। আমাদের বাসাটা কাকরাইল। আর সে রমনায় আমার জন্য অপেক্ষা করছে। এই এক সপ্তাহে তেমন একটা কথা হয়নি। তাই তার প্রপোজালটা একটু অনাকাঙ্ক্ষিতই ছিল। নীল রঙের সুটটাতে একেবারে দেবদূতের মতো লাগছিলো তাকে। যদিও দেবদূত কেমন হয় জানা নেই। তবে মনে হচ্ছিলো এমনই হওয়ার কথা। (কথাটা বলে সে মৃদু হাসলো)। এরপর শুরু হলো আমাদের প্রেম প্রেম খেলা। বেশ ভালোই চলছিলো। এরই মধ্যে প্রথম ধাক্কাটা খেলাম।”
ওকে কল করেই যাচ্ছি রিসিভ করছে করছে না। কিছুক্ষণ পর একটা মেয়ে কল রিসিভ করলো।
-হ্যালো! কে বলছেন?
কথা শুনে বুঝতে পারলাম নাম্বারটা সেভ করা নেই ওর মোবাইলে। বোন হতে পারে ভেবে একটু সাবধানে কথা বললাম। ভাবলাম একটা জুয়েলারি শপের কথা বলে কাটিয়ে দেই। অন্যকিছু মাথায়ও আসছিলো না। যেই ভাবা সেই কাজ।
-এটা কি আসিফ সাহেবের নাম্বার?
-জি, বলুন!
আমি অনুপম জুয়েলার্স থেকে বলছি। স্যার একটি ডায়মন্ডের নেকলেস অর্ডার করেছিলেন। অর্ডার তৈরি উনি কবে আসতে পারবেন নেয়ার জন্য?
-সেটা তো উনিই বলতে পারবেন।
বেশ খুশি খুশি মনে হচ্ছিলো উনাকে। কেমন যেন একটু সন্দেহ হলো। তাই জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।
-আচ্ছা আপনি কি উনার স্ত্রী?
-জি, আমি উনার স্ত্রী। মোবাইলটা ভুল করে বাসায় ফেলে রেখে গেছেন। আসলে আমি বলবো।
-ধন্যবাদ ম্যাম। বলে রেখে দিলাম।
আমার তখন মাথা ঘুরছে। কী করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এতবড় একটা বিষয় সে আমার কাছ থেকে লুকিয়েছে। বিশ্বাসই হচ্ছিলো না।
রাগ করে দুইদিন মোবাইল বন্ধ করে রাখলাম। কিছুই ভালো লাগছিলো না। সবকিছু কেমন ওলট-পালট হয়ে গেছে। তৃতীয়দিন ল্যাপটপে ই-মেইল চেক করতে গিয়ে দেখলাম ওর একটা ই-মেইল।গতকাল পাঠিয়েছে। আজ নাকি রমনায় আমার জন্য অপেক্ষা করবে। সকাল দশটা থেকে যতক্ষণ আমি না যাবো ততক্ষণ সেখানেই থাকবে। শেষ বারের মতো হলেও যেন দেখা করি। ঘড়িতে তখন সকাল এগারোটা। একটা বোরখা গায়ে দিয়ে বের হলাম। কিসের টানে জানি না। রমনায় গিয়ে দেখি সে বসে আছে। দূর থেকে দেখে বাসায় চলে এলাম। দুপুর দুইটার দিকে আরো একবার ঘুরে আসলাম। সেই আগের জায়গাতেই বসে আছে। আর একটানা সিগারেট ফুঁকে যাচ্ছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দূর থেকে দেখে গেলাম। অবশেষে আমিও থাকতে না পেরে এগিয়ে গেলাম তার কাছে।
মুখের নেকাবটা সরাতেই আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিলো। ওকে এই অবস্থায় দেখে আমিও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। উঠিয়ে দাঁড় করালাম ওকে। অনেকেই আমাদের লক্ষ্য করছে বুঝতে পেরে শুধু জড়িয়ে ধরেই ক্ষ্যান্ত হলাম। অনেক কথা হলো সেদিন। আসিফ আমাকে ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করলো। শিখা মানে তার স্ত্রী কে তালাক দিয়ে আমার সাথে আমেরিকায় সেটেল হয়ে যাবে। আবার শুরু হলো আমাদের গোপন অভিসার।
এর কিছুদিন পর আসিফের বাসায় নিয়ে গেল আমাকে। আমাদের প্রথম রুমডেট। নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যার তীরে একটা একতলা ভবন। গেস্ট হাউসের মতো। দেখে বুঝতে পারলাম এখানে আমার আগেও অন্যকাউকে নিয়ে এসেছে আসিফ। আমরা সবে ঘনিষ্ঠ হব এমন সময় কলিংবেলের শব্দ। ভয়ে আমার হাত-পা শুকিয়ে আসছিলো। জামাটা টেনেটুনে ঠিক করে চুলগুলো গুছিয়ে নিলাম। আসিফ দরজা খুলতেই শিখার কণ্ঠ শুনতে পেলাম। আমি তখন ড্রয়িংরুমে বসে চায়ের কাপে চুমুক দেয়ার ভান করছি। আমাকে দেখে শিখার চোখগুলো দপ করে জ্বলে উঠল। আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘিনীর মতো। আসিফ ওকে আটকাতে গেলে ওকেই মারতে শুরু করলো। ওদের ওই অবস্থায় রেখেই আমি চলে আসলাম।
সারাদিন আসিফের আর কোনো কল নেই। পরেরদিনও একই অবস্থা। দুইদিন পর কল করে বললো দেখা করবে। দেখা করে জানতে পারলাম ওদের ঝগড়া এতটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলো যে শেষ পর্যন্ত আসিফ শিখাকে খুন করেছে। শুধু এতটুকুই নয়, শিখার লাশটাও কেটে-কুটে ফ্রিজে ভরে রেখেছে। সে নাকি টিকেটও কেটে ফেলেছে আমেরিকা চলে যাবার। সেদিনই জোর করে আমাকে দিয়েও টিকেট কাটালো। ভাগ্যক্রমে দুদিন পরের এক ফ্লাইটের টিকেটও পেয়ে গেলাম।
কিন্তু বুঝতে পারছিলাম ওর মতো মানুষের সাথে থাকাটা নিরাপদ নয়। তাই আজ সকালেই পুলিশকে ফোন করে সব জানিয়েছি। এয়াপোর্টের বাহিরে থেকে পুলিশ যাকে ধরে নিয়ে গেল সে আসিফই। তাই কিছুটা ভয়ে ছিলাম।”
এই পর্যন্ত বলে থামলো অবনী। সে না বললেও আমি জানি ওর নাম অবনী। সুমাইয়া আফরিন অবনী। আরো অনেক কিছুই জানি আমি ওর সম্পর্কে। এটাও জানি যে, সে ইচ্ছে করেই আসিফের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলো। আসিফের জীবনটাকে তছনছ করে দিতেই সে এসেছিলো, সাথে শিখারও।
গল্পটা শুরু অরণী নামের একটা মেয়েকে নিয়ে। অরণী আর অবনী ওরা দুই বোন। বাবা মায়ের সাথে আমেরিকাতেই থাকতো ওরা। একটা সময় অরণীর বাবা আর মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। অরণীর মা তাকে নিয়ে দেশে চলে আসে। অরণীর বয়স তখন আঠারো আর অবণীর চৌদ্দ। অবনী বাবার সাথে আমেরিকাতেই থেকে যায়। দেশে আসার দুই বছর পর অরুর পরিচয় হয় আসিফের সাথে। তাদের সম্পর্কটা বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। সব ঠিকঠাকই চলতো, যদি না ওদের মাঝে শিখার আগমন ঘটতো। শিখা ছিলো অরুর বান্ধবী। তবে অরুর চেয়ে সুন্দরী। তার চোখ পড়েছিলো আসিফের উপর। আসিফও জড়িয়ে যায় শিখার সাথে।
অরণী বিষয়টা জানতে পারলে দুজনকেই অপমান করে খুব। এর প্রতিশোধ নিতেই একদিন শিখা অরণীকে ডেকে নিয়ে আসে শীতলক্ষ্যা তীরের সেই গেস্ট হাউজে। যেখানে আগে থেকেই আসিফ তার বন্ধুদের নিয়ে অপেক্ষা করছিলো। সেদিন অরণীর চিৎকার সেই গেস্ট হাউজ থেকে বের হয়নি। শিখার সামনেই ওরা পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করেছিল ওকে। আর সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছিলো। অনেক কষ্টে সেদিন বাড়ি ফিরে গিয়েছিলো অরণী। হয়তো ফোনে বা ই-মেইলে জানিয়েছিলো সব অবণীকে। এটা অবশ্য আমার অনুমান।
অবণীকে প্রথম দেখেছিলাম নিউজার্সির এক ক্যাফেতে। এরপর অনেক খুঁজেও আর পাইনি। দ্বিতীয়বার দেখা হয় জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে। আসিফ আর অবণী যেদিন বাংলাদেশে ফিরছিলো সেদিন কাকতালীয় ভাবে তাদের পিছনের সিটেই ছিলাম আমি। অবশ্য আজকের একসাথে সিট হওয়াটা কাকতালীয় নয়। এর পিছনে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে আমাকে। খুব মনে ধরেছিলো অবণীকে। হারাতে চাইছিলাম না। তাই ছায়ার মতো লেগেছিলাম ওর পিছনে। খোঁজ-খবর নিয়ে অনেক কিছুই জানতে পারি। আসিফ যে বিবাহিত সেটা জানার পরেই একটা ছক এঁকে ফেলি। স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম আসিফ অবণীকে ধোঁকা দিচ্ছে। সেদিন আসিফ আর অবণীর গেস্ট হাউজে যাবার খবরটাও আমিই দিয়েছিলাম শিখাকে। অবণী চলে যাবার পর আমি ঢুকে ছিলাম ওখানে। তখনই অরুর বিষয়টা জানতে পারি। শিখা চিৎকার করে বলছিলো-
“তুই যে অরুকে রেপ করেছিস সেটা আমি পুলিশের কাছে বলে দিবো। আমার কাছে প্রমাণও আছে। তোদের সব-কটাকে আমি জেলের ভাত খাওয়াবো।”
একারণেই মরতে হয়েছে শিখাকে। এরপর আরো ভালো করে খোঁজ নিতে শুরু করলাম অরু আর আসিফ সম্পর্কে। শেষে আসিফের ঐদিনের এক সঙ্গীর কাছ থেকে পুরোটা জানতে পারি। এখন অবশ্য সে শীতলক্ষ্যার তলায় শুয়ে আছে।
জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে দুজন যখন আলাদা হবো তখন জানতে চাইলাম,
আচ্ছা তোমাকে কী নামে ডাকবো সেটাই তো জানা হলো না?
সে মিষ্টি হেসে উত্তর দিল।
“অবনী”
অদ্ভুত সুন্দর সে হাসি। যেন কোনো জাদুকরের ইন্দ্রজাল।
অবনী চলে যেতেই আবার এয়ারপোর্টে ঢুকলাম। পরের ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবো আমি। অরুর ধর্ষকদের চারজন এখনো জীবিত।