#অপ্রেমের_প্রিয়_অধ্যায়
#পর্ব_৬ (বাস্তবতা)
#লেখনীতে_নবনীতা_শেখ
“মা..মাই ম্যান! আমি আর আ..আমার মিস্টার। এটা হচ্ছে তনুজা আর তার সিদ্দিকের বিয়ের ছবি। আমাকে দেখতে ভালো লাগছিল খুব, তাই না? আর সিদ্দিককেও যা লাগছিল না! আমি তো প্রথম দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম! তারপর আমাদের হ্যাপি ফ্যামিলি শুরু হয়!”
শুদ্ধ শুকনো ঢোক গিলে চোখ বন্ধ করে নিল। সেদিন এটুকু শুনতেই সে তনুজার কাছ থেকে পালিয়ে এসেছে। বিবাহিত মহিলার প্রতি কোনোরূপ অনুভূতি রাখা নিশ্চয়ই সমীচীন নয়! শুদ্ধর সে জ্ঞ্যান আছে। কিন্তু মন তো আর এসব শুনবে না। তাই তো পালিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে। সে জীবনে এরকম কোনো সিচুয়েশনে পড়েনি। কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। অথচ, রাস্তা একটাই। দূরে দূরে থাকা। তনুজা তো অন্যের। অন্য পুরুষের। ভাবতেই গা শিউরে উঠল শুদ্ধর। এত্ত বাজে ভাবে সে এর আগে হারেনি।
দরজায় করাঘাতে তার ঘোর কাটল। উঠে ধীরপায়ে দরজার কাছে গিয়ে খুলতেই দেখল—প্রাপ্তি আর শাওন দাঁড়িয়ে। শুদ্ধকে এক প্রকার উপেক্ষা করেই দুজনে ভেতরে ঢুকল। প্রাপ্তি সোফায় পা তুলে বসে শাওনের উদ্দেশ্যে বলল, “শালায় দেবদাস ক্যান সাজছে—জিগা তো!”
শাওন গম্ভীর মুখে শুদ্ধর দিকে তাকিয়ে বলল, “দেবদাস ক্যান সাজছোস?”
শুদ্ধ কিছু না বলে বিছানায় উঠে বসল। প্রাপ্তি আবার বলল, “জিগা ওরে—পড়া লেখা কি বেইচা খাইছে?”
শাওন একই ভঙ্গিতে শুদ্ধর দিকে তাকিয়ে বলল, “পড়ালেখা কি বেইচা খাইছোস?”
শুদ্ধ এবারও উত্তর নিল না। প্রাপ্তি হতাশার নিঃশ্বাস ফেলে সরাসরি শুদ্ধকে বলল, “তনুজা ম্যামের জন্য, শুদ্ধ?”
শুদ্ধ প্রাপ্তির দিকে তাকাল, তবে কিছু বলল না। নীরবতাই সম্মতির লক্ষ্মণ! তা ধরেই প্রাপ্তি বলল, “দ্যাখ, শুদ্ধ! দুনিয়াতে মেয়ের অভাব নাই। তুই জাস্ট হ্যাঁ বলবি, তো মেয়েদের সিরিয়ালে সেঞ্চুরি হয়ে যাবে। আমাদের ডিপার্টমেন্টের এইটি পার্সেন্ট মেয়েরা তোকে চায়। বুঝিস না কেন? আচ্ছা বাদ দে। আর কাউকে না পেলে, আমি আছি। তবুও সেন্টি খাস না। দুনিয়াতে মেয়ের অভাব আছে নাকি, দোস্ত?”
শুদ্ধ এক পলক তাকিয়ে বলল, “দুনিয়াতে মেয়ের অভাব নেই। তবে আমার কেবল তনুজাকেই লাগবে। আছে না এমন কিছু—যাকে না পেলে গোটা জীবন আফসোস থেকে যায়! তনুজা আমার সেই আফসোস।”
“শুদ্ধ! আচ্ছা। আমরা ম্যামের সাথে কথা বলব। এবার পাক্কা পটিয়ে নেব। না পটলে কিডন্যাপ করে বিয়ে পড়িয়ে দেবো। ঠিকাছে?”
শুদ্ধ তাচ্ছিল্যের সুরে বলল, “ম্যাম ম্যারিড..”
প্রাপ্তি বুঝল না। অবুঝ স্বরে শুধাল, “কী বললি?”
“ম্যামের বিয়ে হয়ে গেছে। আমি ছবিও দেখেছি। ম্যাম দেখিয়েছেন।”
প্রাপ্তি শুকনো ঢোক গিলে শাওনের দিকে তাকাল। শাওনের কপালে হাত। সে বলল, “শালার দুনিয়াতে বিয়াত্যা বেডি ছাড়া পাস না কিছু? স্কুলে পড়তেও এক বিয়াত্যা ভাবিরে পছন্দ করছিলিস।”
শুদ্ধ কপাল কুঁচকে বলল, “আমি কি জানতাম নাকি, মালিহা ইদের ছুটিতে বিয়ে করে ফেলেছিল। ক্লাসমেট ছিল, পছন্দ করতেই পারি।”
শাওন এদিক-ওদিক তাকিয়ে বলল, “তাই বলে বার বার?”
“বার বার কই? দুইবারই তো!”
প্রাপ্তি শাওনকে থামিয়ে বলল, “আচ্ছা, শুদ্ধ! তুই শিওর—ম্যাম ম্যারিড?”
“হুঁ। ৯৯%..”
“কিন্তু সবাই কেন সেটা জানে না?”
শুদ্ধ ওদেরকে বোঝানোর জন্য পুরো ঘটনাটা শেয়ার করল। শাওন মুখে হাত দিয়ে বলল, “মামা, কস কী!”
প্রাপ্তি বলল, “এখন কী করবি?”
শুদ্ধ দু-হাত দিয়ে মাথার চুলগুলো টেনে বলল, “সেটাই তো বুঝতে পারছি না, করবটা কী!”
“ম্যামের টপিক বাদ দিবি নাকি?”
“পসিবল না, প্রাপ্তি! আমার লাইফের অনেকটা জুড়ে উনি আছেন।”
প্রাপ্তির রাগ লাগল। দাঁতে দাঁত পিষে বলল, “তো বাবা আইনা দিই? খা।”
শুদ্ধ কড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, “একদম আজে-বাজে বকবি না। মাথা ঠিক নেই।”
প্রাপ্তি আঙ্গুল তুলে বলল, “আমার উপ্রে চেঁচাস তুই? একটা ঘুষি দিয়া জানালা দিয়া ফালায় দিমু।”
শুদ্ধ তড়িৎ বেগে উঠে দাঁড়িয়ে প্রাপ্তির কাছে গিয়ে বলল, “ওই ওই! কী করবি? হ্যাঁ? কী করবি? সাহস আছে? খালি উলটা-পালটা কথা বলা ছাড়া কী পারিস?”
প্রাপ্তিও দাঁড়িয়ে পড়ল। একদম কাছাকাছি গিয়ে বলল, “কী পারি—দেখবি? বাপের নাম ভুলায় দিমু তোরে।”
শুদ্ধ আরও এগিয়ে দাঁড়াতেই শাওন চিৎকার করে উঠল, “তোরা দুইটা না থামলে আমার দুই পা দিয়া তোগোরে এমন কিক দিমু, ভিক্ষা করার লায়েকও থাকবি না, বাল। চুপ কর দুইটা।”
শুদ্ধ শক্ত হয়ে নিজের বিছানায় উঠে বসল। শাওন পাশে বসে বলল, “এখন ভাব—কী করবি।”
শুদ্ধ চুপ করে রইল। কিছুক্ষণের মাঝে তুহিনও চলে এলো। সে এই সার্কেলের সবচেয়ে ম্যাচিউর ছেলে। সবটা শুনে বলল, “এক পার্সেন্ট চান্স এখনও আছে। ”
প্রাপ্তি শকুনি চোখে তাকিয়ে বলল, “কী করতে চাইছিস?”
“একটা জিনিস খেয়াল কর। ম্যামকে আমরা তিন বছর ধরে চিনি। রাইট? এই তিন বছরে একবারও ম্যামের হাসব্যান্ডকে দেখলাম না। সে না হয় প্রফেশনাল আর পার্সোনাল লাইফ আলাদা রাখে, বুঝলাম। তাই বলে বাইরেও দেখব না! আদতে সম্ভব?”
শাওন ছোটো-ছোটো চোখে তাকিয়ে বলল, “তার মানে কী বলতে চাইছিস? উনি অবিবাহিত! শুদ্ধকে এমনিতেই এসব বলেছে? যাতে পিছু ছাড়ে আর কী!”
শুদ্ধ নির্বাক। প্রাপ্তি ওর দিকে এক পলক তাকিয়ে তুহিনকে শুধাল, “আচ্ছা, এরকমও তো হতে পারে—ম্যামের হাসব্যান্ড মারা গিয়েছে।”
তুহিন ভ্রু উঁচিয়ে, একই সাথে দু-কাঁধ উঁচিয়ে বলল, “আবার ডিভোর্সিও হতে পারে!”
শুদ্ধ ওসবে দেখে ফোন হাতড়িয়ে একটা নম্বর বের করে কল লাগাল। সামনের তিনজোড়া উৎসুক দৃষ্টির উদ্দেশ্যে বলল, “রাবেয়া ভাবির কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।”
_______
রাতে শুয়ে শুয়ে তনুজা নিউজফিডটা স্ক্রল করছিল। এমন সময় ‘ফারহা প্রাপ্তি’ অ্যাকাউন্টের একটি পোস্ট সামনে এলো। তনুজা ওটা না দেখেই নিচে চলে যাচ্ছিল। আবার কী যেন হলো, স্ক্রল করে উপরে এলো। প্রাপ্তির অ্যাকাউন্টের পোস্টটি ছিল—
“একটা মেয়ের লাইফের সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং মোমেন্ট কোনটা জানেন? যখন সে তার প্রিয় মানুষটাকে অন্য নারীর সান্নিধ্যে দেখে। আর একই ভাবে, এর চেয়েও বেশি ভালোবাসা কারো কাছ থেকে পেয়ে তাকে রিজেকশনে ফেলে। আচ্ছা! ভালোবাসা এরম ছন্নছাড়া কেন?”
তনুজার বুক ভারি হয়ে এলো। উপর্যুক্ত কথাটি তার সাথেই যায়, পুরোটাই মিলে যায়। পোস্টটিতে কমেন্টের বন্যা বইছে। তনুজা এই মেয়েটিকে চেনে। তার ডিপার্টমেন্টেরই। শুদ্ধর সাথেই সবসময় দেখেছে। প্রাপ্তির পোস্টটি দেখেই তার শুদ্ধর কথা মনে পড়ল। আজ পনেরো দিন হলো, সে শুদ্ধকে দেখে না। মনের ভুলেই সে শুদ্ধর সামান্য খোঁজের উদ্দেশ্যে কমেন্ট বক্সে ঢুকল। অনেক রকমের কমেন্টের ভীড়ে সেখানে শুদ্ধর কোনোপ্রকার কমেন্ট না পেয়ে হতাশ হলো। অতঃপর অতকিছু না ভেবেই প্রাপ্তির টাইমলাইমে ঢুকল।
স্ক্রল করতে করতে বিভিন্ন ধরনের পোস্টের মাঝে শুদ্ধর কোনো খোঁজ পাচ্ছে না। তনুজার খেয়ালে এলো—সে শুদ্ধর সাথে এড আছে। কিন্তু আইডির নাম মনে করতে পারছে না। চেষ্টা করার আগেই বুঝতে পারল—সে কী করছে।
তৎক্ষনাৎ ফোন রেখে উঠে বসে বেড সাইড টেবিল থেকে এক গ্লাস পানি খেল। সেদিন শুদ্ধর ভালোর জন্যই সে তাকে অর্ধেক সত্যি বলেছে। মিথ্যের চেয়েও ভয়ঙ্কর সেই অর্ধেক সত্যি। সে ডানে-বাঁয়ে ঘুরে এদিক-ওদিক তাকাল। দু’হাত দিয়ে বিছানার দু’পাশের চাদর শক্ত করে চেপে ধরল। মাথা নিচু করে ঠোঁট কামড়াল। তারপর ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নেমে ফ্লোরে বসে পড়ল। আঁট করে বাঁধা খোঁপাটা আলগোছে খুলে গেল। মাথা গিয়ে ঠেকল হাঁটুতে। ভিজে গেল হাঁটুর উপরের কাপড়টুকু! মনে পড়ল—সেই ব্যাথা! পুরোনো সেই দিনের কথা!
তখন তনুজার সবে বিয়ে হলো। বাসর ঘরে বসে তার সদ্য হওয়ার স্বামীর অপেক্ষা করছিল। সে ফিরতে বড্ড দেরি করেছিল। তনুজার অপেক্ষার মাঝেই সে এলো। দরজাটা আঁটকাতে আঁটকাতে বলল, “আসসালামু আলাইকুম, মিসেস. সিদ্দিক! খুব দেরি করে ফেললাম?”
এমন সম্ভাষণে তনুজা লজ্জায় নুইয়ে পড়ল। তনুজার দিকে সে এক পলক তাকিয়ে বলল, “বাহ রে, মিসেস! এত্ত লজ্জা!”
তনুজা লজ্জা ঢেকে বলল, “না না! মোটেও দেরি করেননি! চলুন, নামাজটা সেরে নেওয়া যাক।”
নামাজ শেষে দুজন গিয়ে বারান্দায় বসে। এর মাঝে সিদ্দিক দু-কাপ চায়েরও ব্যবস্থা করে ফেলেছে। তনুজার হাতে দিয়ে বলল, “আমার নাম জানেন?”
তনুজা আস্তে ধীরে বলল, “হুম। চাচি বলেছিল।”
“বলুন তো—কী?”
“উম..আনওয়ার আবরার সিদ্দিকী?”
সিদ্দিক হেসে ফেলল। হাসতে হাসতে বলল, “জি না। ভুল জানেন আপনি। নিজের বরের নাম ভুল জানার জন্য আপনার কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক!”
তনুজা ভীত চোখে তাকাল সিদ্দিকের দিকে। সিদ্দিক সে দৃষ্টি দেখে বলল, “শাস্তি হিসেবে সারাটাজীবন আপনাকে আমার হয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো!”
তনুজাও সিদ্দিকের এহেন মজায় হেসে দিলো। বলল, “যথা আজ্ঞা, মিস্টার! এবার আপনার নামটা!”
“আজওয়াদ আবরার সিদ্দিক। বলে দিলাম, মেয়ে! বরের নাম ভুলবেন না যেন!”
“উফফ! এত বড়ো নাম! আমি তো ভুলেই যাব! আচ্ছা, আপনাকে বরং সিদ্দিক ডাকব। চলবে?”
“পার্সোনাল প্রোপার্টিকে পার্সোনাল নামও দিয়ে দিলেন! ভারি ফাস্ট আছেন।”
“ও একটুখানি আছিই!”
কথাটা বলেই তনুজা হাসল। সিদ্দিকও সেই হাসির সাথে তাল মিলিয়ে হাসল। আকাশে মস্ত বড়ো এক চাঁদ। সেই চাঁদকে সাক্ষী রেখে নবদম্পতির কথপোকথন চলছে পুরোদস্তর ভাবে। মিনিট খানেক যেতেই সিদ্দিক বলে বসল, “আচ্ছা, আমরা একে-অপরকে চিনি, তবে জানি না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।”
“প্রশ্নোত্তর পর্ব?”
“ইয়াপ, মিসেস সিদ্দিক। স্মার্টও আছেন!”
তনুজা চোখে হাসল। সিদ্দিক প্রশ্ন করল, “বন্ধুত্ব না কি ভালোবাসা?”
তনুজা আকাশপানে চেয়ে বলল, “ফ্রেন্ডশিপ ইজ দ্যা ফার্স্ট স্টেট অব্ লাভ।”
“এভাবে উত্তর দেবেন?”
“হুঁ।”
“আচ্ছা দিন। শুনতে খারাপ লাগছে না।”
“ভালো লাগছে?”
“হুঁ। গ্রীষ্ম না কি শীত?”
“শরতের মেঘ।”
“রাত না কি দিন?”
“সন্ধ্যের আকাশ।”
“সূর্যাস্ত না কি সূর্যদয়?”
“সমুদ্রের সুর্যাস্ত আর পাহাড়ের সূর্যদয়।”
“আমি না কি আপনি?”
“আমরা।”
সিদ্দিক উত্তর শুনে অবাক হলো। অবাক ভাবটা কাটিয়ে মুচকি হেসে বলল, “ভীষণ কথা জানা আছে আপনার!”
“তা আছে।”
“তবে উত্তরটা কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আপনি আমাকে কিংবা নিজেকে আলাদা ভাবে চুজ করেননি!”
“হু। পসিবল না, না? অর্ধাঙ্গিনী হই আপনার!”
“আচ্ছা, গল্প না কি কবিতা?”
“উপন্যাসের মোটা বই।”
“মা না কি বাবা?”
“বিশ্বাসঘাতকদের তো আমি আমার অপশনেও রাখি না, চয়েজ কীভাবে করব?”
সিদ্দিক অবাক হলো। এইটুকুনই মেয়ে এসব কী বলে! শুধাল, “তারা কীভাবে বিশ্বাসঘাতক?”
“অন্যদিন বলব।”
সিদ্দিক আর ঘাটাল না। অন্য প্রসঙ্গে গেল, “প্রিয় পুরুষ?”
“বাবা আর আপনি!”
“এখানেও কোয়েশ্চন আছে, মিসেস!”
“বলুন।”
“ফার্স্ট অব্ অল, যাকে বিশ্বাসঘাতক বললেন! অপশনেই জায়গা দিতে চান না, সে কী করে আপনার প্রিয় হয়?”
“সবটাই সময়ের খেলা। আজ আপনিও আমার প্রিয়, কারণ আপনাকে ভালো লেগেছে। দুদিন পরও যে ভালো লাগবে, তার গ্যারান্টি নেই। তাই বলে আপনি আমার অপ্রিয় হবেন না। কিছু মানুষ সারাটিজীবন প্রিয়ই থেকে যায়। তাছাড়া বাবা আমার জীবনের প্রথম পুরুষ, যে আমাকে বাস্তবতা শিখিয়েছে। প্রিয় হবে না?”
“আর আমি কেন প্রিয়?”
“হয়তো, আপনি আমার জীবনের সেই দ্বিতীয় পুরুষ, যে আমাকে জঘন্য ভাবে বাস্তবতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে!”
চলবে…