অপ্রেমের একাত্তর দিন
লেখনীতে : নাফিসা তাবাসসুম খান
২৭.
মননের চিন্তার অবসান ঘটে মধ্যরাতে। বন্ধ নাম্বারটা অন হতেই এবার কলটা পৌঁছায়। বেশ সময় নিয়েই কলটা রিসিভ হয়। নিদ্রাচ্ছন্ন মেয়েলি স্বরটা আওড়ায়,
“ হ্যালো। “
“ মোহ? ঠিক আছেন আপনি? সন্ধ্যা থেকে আপনার ফোন অফ কেন? “
মোহ ঘুম ঘুম স্বরেই জানায় বিকাল থেকে তাদের বাসায় কারেন্ট ছিলো না। জেনারেটরও অফ ছিলো। কারেন্টের কাজ করতে এসেছিলো কয়েকজন। কারেন্ট না থাকা অবস্থায় গেমস খেলে মোহ নিজের ফোনের চার্জ শেষ করে ফেলেছিল। তা-ই ফোনটা ফোনটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মনন যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। মনের আকাশ হতে দুঃশ্চিন্তা দূর হতেই নিশ্চিন্তে বলে,
“ আচ্ছা। অসুবিধা নেই। আপনি ঘুমান এখন। পরে কথা হবে। গুড নাইট। “
মোহও হাই তুলতে তুলতে শুভ রাত্রি জানিয়ে কলটা কেটে দেয়। মনন থম মেরে বিছানায় বসে থাকে। তার জ্বর পুরোপুরি কেটে গিয়েছে অনেকক্ষণ হলো। তবে এতক্ষণ যে তার মস্তিষ্কে কত ধরনের দুঃশ্চিন্তা ঘুরপাক খেয়েছে তা শুধুমাত্র সে-ই জানে। এই দুঃশ্চিন্তার কি কোনো ইতি নেই?
__________
একটা লম্বা এবং গভীর ঘুম দিয়ে ওঠায় আজকে সকাল থেকেই মোহর শরীর অনেকটা ফুরফুরে লাগছে। নাস্তা সেড়ে সে আপন মনে পুরো ঘর ঘুরতে ঘুরতে উঠোনে বের হয়। দেখতে পায় শায়লা আন্টিকে। উঠোনের এক কোণায় বেশ কয়েকটি খালি টবে মাটি এবং সার ভরছেন। মোহ আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যায়। জিজ্ঞেস করে,
“ ফুল গাছের চারা এনেছো আন্টি? “
শায়লা মোহকে টবের পাশে রাখা চারা গাছগুলো দেখিয়ে বলে,
“ হ্যাঁ। শীতকাল আসছে সামনে। তাই শীতকালীন ফুলের চারা নিয়ে এসেছি নার্সারি থেকে। এখন সার দিয়ে যত্ন করলে বছর শেষে দেখবে টব ভর্তি ফুল থাকবে। “
“ কি কি ফুলের চারা আছে এখানে? “
“ সাদা আর হলুদ রঙের গোলাপের চারা আছে, সাদা রঙের চন্দ্রমল্লিকা ফুলের চারা আছে, জিনিয়া আর কসমস ফুলেরও চারা আছে। “
মোহ বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে চারা গাছগুলো দেখে। মনে মনে কিছু একটা ভাবে সে। মায়া বা শিহান কেউ-ই এসময় বাসায় নেই। শিহানের বাড়ি ফিরতে হয়তো সন্ধ্যা হয়ে যাবে আর মায়ারও বিকেলের আগে বাসায় ফেরার সুযোগ নেই। মোহ সুযোগটা কাজে লাগায়।
কিছু একটা ভেবে শায়লাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“ আন্টি, চন্দ্রমল্লিকা ফুলটা আমার জন্য আলাদা করে রেখো। “
শায়লা হেসে জিজ্ঞেস করে,
“ তোমার বারান্দায় লাগিয়ে দিবো ওটা? “
“ উঁহু। একজনকে উপহার দিবো। এখুনি রেডি হয়ে বের হবো। “
শায়লা অবাক হয়। জানতে চায়,
“ বের হবে মানে? কোথায় যাবে? তোমার বাবা জানে? “
“ বাবা আর মায়া বাসায় নেই। ওদের অযথা বিরক্ত করতে হবে না। আমি গিয়ে দুপুরের আগেই চলে আসবো। “
“ অসম্ভব। তোমার বাবা তোমাকে এক সেকেন্ডের জন্যও একা ছাড়তে নিষেধ করেছে। আমি অনুমতি দিতে পারবো না। “
মোহ কিছুটা আহ্লাদ করে শায়লার গলা জড়িয়ে দিয়ে বলে,
“ প্লিজ আন্টি! পারমিশন দাও না! বাবা অথবা মায়াকে জানানোর প্রয়োজন নেই। আমি উবার নিয়ে জাস্ট যাবো এন্ড আসবো। তোমাকে পাঁচ মিনিট পর পর কল দিয়ে নিজের আপডেট জানিয়ে দিবো। তোমরা সবাই যদি আমাকে এভাবে অসুস্থর মতো ট্রিট করে ঘর বন্দী করে রাখো তাহলে কখনোই সুস্থ হবো না আমি। এইটুকু স্বাধীনতা তো আমি ডিজার্ভ করি। আই প্রমিজ আমাকে যা খেতে দিবে আমি তা-ই খাবো। দিনে চার থেকে পাঁচ লিটার পানিও খাবো। “
মোহর জোরাজুরিতে বেশিক্ষণ কঠোর থাকতে পারে না শায়লা। শেষমেশ রাজি হয়। তবে মোহকে সতর্ক করে দেয়,
“ কথার বরখেলাপ করবে না কিন্তু। একটু পরপর কল করে আমাকে আপডেট জানাবে। আর তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবে। “
“ ওকিই। “
__________
আজ বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছে মনন। জ্বরের কারণে আজকের দিনটাও হসপিটাল থেকে ছুটি নিয়েছে সে। জ্বরটা এখন না থাকলেও শরীর অনেকটা দূর্বল লাগছে তার। আলী আকবর সাহেব এবং আরিফ সাহেব ইতিমধ্যে যে যার কর্মস্থলে চলে গিয়েছে। বাসায় একা আছে কেবল মনন।
হাত মুখ ধুয়ে নাস্তার টেবিলে বসে সে যখন পাউরুটিতে জ্যাম মাখাতে ব্যস্ত ঠিক সেইসময়ই তার ফোনটা বেজে উঠে। স্ক্রিনে মোহর নামটা দেখে মনন অবাক হয়। ওই ছাদের ঘটনার পর থেকে মোহ সাধারণত নিজ থেকে তাকে কখনো কল দেয় না বললেই চলে। হঠাৎ মননের মনে প্রশ্ন জাগে। সব ঠিক আছে তো? খাবার ফেলে মনন দ্রুত কল রিসিভ করে। সরাসরি প্রশ্ন করে,
“ ঠিক আছেন আপনি? “
মোহ কিছুটা অবাক হয়। পরমুহূর্তে জবাব দেয়,
“ হ্যাঁ। ঠিক আছি। আমার আবার কি হবে? “
“ হঠাৎ নিজ থেকে কল দিলেন তাই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। “
“ আপনি ব্যস্ত? হসপিটালে আছেন? “
“ না। বাসায় আমি। আজকে হসপিটাল থেকে ডে অফ নিয়েছি। “
“ কিছু মনে না করলে এখন দেখা করা সম্ভব হবে? “
মনন অপ্রস্তুত হলো। পরমুহূর্তে খুশি হলো। মোহ নিজ থেকে দেখা করতে চাইছে। ব্যাপারটা যেনো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। মনন সামনে টেবিলে থাকা পাউরুটি এবং জ্যামকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে উঠে নিজের রুমে যেতে যেতে বলে,
“ হ্যাঁ। কোনো অসুবিধা নেই আমার। কোথায় দেখা করবেন? “
__________
পরিচিত নদীর ধারে বাঁশের পাটাতনে পা ঝুলিয়ে বসে আছে মোহ। ডান পাশে রাখা চন্দ্রমল্লিকা গাছের চারা। কানে ইয়ারফোন গুজে গান শুনতে শুনতে নদীর শীতল পানির ধারা পরখ করছে সে। মনন পৌঁছে দূর থেকেই লক্ষ্য করে মোহকে। হালকা জলপাই রঙের লং ফ্রক আর ন্যুড শেডের স্কার্ফ পড়েছে আজ। মননের ধারণা এই মেয়ের হয়তো হালকা রঙের প্রতি খুব ঝোক আছে। প্রায়ই যেসব জামা পড়ে সব হালকা রঙের হয়।
মননও আজ ফর্মাল গেটাপে আসে নি। বরং একটা সাধারণ সাদা টি শার্ট আর প্যান্ট পড়ে এসেছে। মোহর পাশে গিয়ে বসতেই মোহ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকে দেখলো। কোনো কথা না বলে এক কানের ইয়ারপ্লাগ খুলে মননের দিকে এগিয়ে দেয়। মনন নাকোচ করে না। নীরবে ইয়ার প্লাগটা নিজের কানে গুজে নদীর দিকে দৃষ্টি স্থির করে বসে থাকে।
ফোনে বাজছে ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইরুপশনের বিখ্যাত গান,
“ Gonna take a trip
To lonesome town,
Gonna stay at heartbreak hotel.
Oh, a fool such as I
( A fool such as I )
There never was
( Cry )
I cried a tear so well.
One way ticket,
One way ticket… “
গানটা মনন ইতিপূর্বে কখনো শুনে নি। তবে এই মুহুর্তে প্রতিটা লাইন গভীর মনযোগের সহিত শুনছে সে। অর্থবহ বেশ। মননের মনযোগে বিঘ্ন ঘটে মোহর প্রশ্নে,
“ কেনো দেখা করতে চেয়েছি জানতে চাইবেন না? “
মনন পাশ ফিরে তাকায়। ধীরেসুস্থে জবাব দেয়,
“ দেখা করতে চাওয়ার পিছনে কোনো কারণ আছে? বলুন তবে শুনি। অবশ্য কোনো কারণ না থাকলেও আমার অসুবিধা ছিলো না। “
মোহ কিছু একটা বলতে নেয়। তবে হুট করেই থেমে যায়। দ্রুত মাথা নুইয়ে অনেকটা মননের কাছাকাছি এসে নিজেকে লুকিয়ে নেয়। কণ্ঠে বিরক্তি নিয়ে বলে,
“ শিট! শিট! শিট! “
মনন বিস্মিত হয়। প্রশ্ন করে,
“ কি হয়েছে? “
“ মায়া আর শুভ্রর বাচ্চা এখানে কি করছে! এই দুই ছাগল প্রেম করার জন্য আর কোনো জায়গা পায় নি? আমাকে দেখে ফেললে আরেক কেলো হয়ে যাবে! “
“ আপনি বাসায় জানিয়ে আসেন নি? ”
“ উঁহু! শুধু আন্টিকে বলে এসেছি। বাবা আর মায়া জানলে জ্ঞানের আসর খুলে বসবে! “
বলতে বলতে মোহ মননের কাধের পাশ দিয়ে উঁকি মেরে মায়া আর শুভ্রর গতিবিধি লক্ষ্য করে। এদিকেই নদীর পাড় ধরে হাঁটছে দুটো। আর দুই মিনিট এখানে থাকলে মোহ নির্ঘাত ধরা পড়ে যাবে! মোহর চোখে আতংক দেখে মনন বেশ মজা পেলো। মনে হচ্ছে যেনো প্রেম করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে মোহ লুকোচুরি খেলছে। মনন নিজের অজান্তেই বলে বসে,
“ অন্য কোথাও চলবেন? যেখানে আপনি সেফ। ধরা পড়ার ভয় নেই। “
মোহর কণ্ঠে তাড়া,
“ হ্যাঁ। জিজ্ঞেস করতে হয় নাকি? ধরা খাওয়ার আগে দ্রুত চলুন এখান থেকে। “
__________
বসার ঘরে সোফায় সহজ ভঙ্গিতে বসে আছে মোহ। চঞ্চল দৃষ্টি ঘুরে ঘুরে দেখছে গোছালো বাসাটা। রান্নাঘর থেকে মননকে দুটো মগ হাতে বেরিয়ে আসতে দেখেই সে চোখ নামিয়ে নেয়। মনন একটা মগ মোহর সামনে রেখে নিজে আরেকটা মগ হাতে সোফায় বসে পড়লো। মোহ তাকিয়ে দেখে মগ ভর্তি মাল্টার শরবত। সে ইতস্তত করে বলে,
“ ঝামেলা করার প্রয়োজন ছিল না কোনো। “
কথাটুকু বলেও মোহ মগটা ছুঁয়ে দেখে না। মনন লক্ষ্য করে তা। অত:পর হেসে বলে,
“ ভয় পাবেন না। জুসে কিছু মেশাই নি। সন্দেহ থাকলে আপনি জুসকে ইগনোর করুন। আমি কিছু মনে করবো না। “
মোহ সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয়,
“ সন্দেহ করছি না। আপনার চেহারা সন্দেহজনক না। উল্টো আপনাকে দেখে মনে হয় যে কেউ আপনাকে সহজে দশ বারো বার হাটে নিয়ে বেঁচে দিতে পারবে। “
মননের কপাল কুচকে আসে। মোহর দৃষ্টিতে তাকে দেখতে এতটা মদন মনে হয়? নিজের বেফাঁস কথায় মোহ নিজেও অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। মাথা নেড়ে বলে,
“ সরি… আমি আসলে ওভাবে মিন করি নি। আপনি দেখতে ঠিকঠাকই আছেন। কিন্তু ওইরকম ম্যানলি ব্যাপারটা নেই আরকি। “
আরো একবার স্টেশন ছেড়ে কথা বলে মোহ নিজের মুখ চেপে ধরে। অসভ্য মুখ একটা! সবসময় দশ হাত আগে চলে! মনন এবার হতাশ হয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। ইজ্জত জিনিসটা তার কোনোকালেই ছিলো না। না নিজের বাপ, দাদার কাছে। আর না মোহর কাছে।
মোহ কথা ঘোরাতে এবার সরাসরি চন্দ্রমল্লিকার চারা গাছটা মননের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“ এটা দেওয়ার জন্য দেখা করতে চাইছিলাম। ওদিনের ওই ফুলের জন্য ধন্যবাদ। এই চারাগাছে যদিও ফুল নেই। কিন্তু রেগুলার পানি দিয়ে যত্ন নিলে শীতে চমৎকার ফুল ধরবে গাছে। সাদা চন্দ্রমল্লিকা ফুল দেখতে খুব সুন্দর হয়। “
বলেই মোহ উঠে দাঁড়ায়। এভাবে খালি বাসায় একজন পুরুষের সঙ্গে বেশিক্ষণ থাকাটা তার জন্য অস্বস্তিকর ব্যাপার। মননও উঠে দাঁড়ায়। জিজ্ঞেস করে,
“ চলে যাবেন? “
“ হ্যাঁ। বাসায় যেতে হবে তাড়াতাড়ি। আন্টি ইতিমধ্যে অনেকবার কল দিয়ে ফেলেছে… “
বলতে বলতে মোহ থেমে যায়। হঠাৎ সূক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করে মননকে। চোখ মুখ অনেকটা ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে। মোহ আগ্রহবশত প্রশ্ন করে,
“ বাই দ্যা ওয়ে, আপনি ঠিক আছেন? “
“ হ্যাঁ। ওই জাস্ট কালকে একটু জ্বর এসেছিলো। “
মননের কথার পিঠে মোহকে চিন্তিত দেখালো। এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে মননের কপাল ছুঁয়ে বলে,
“ দেখি… জ্বর আছে এখনো? “
মনন থমকায়। অজান্তেই হুটহাট এভাবে কাছে চলে আসাটা বোধহয় এই মেয়ের স্বভাব। কিন্তু এই মেয়ে কি জানে তার এই হুটহাট কাছে আসাতে বিপরীত মানুষের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অবস্থা হয়? মোহ উদ্বেগ নিয়ে বলে,
“ এখনো হালকা গরম কপাল। ইউটিউব চিনেন না? ইউটিউব থেকে রেসিপি দেখে মশলা চা বানিয়ে খেয়ে নিলেই পারেন। “
মননের মনে হলো ডক্টর বোধহয় মোহই। মনন হলো তার রোগী। কথার মাঝে মননের চোখে চোখ পড়তেই মোহ স্থির হয়ে যায়। সরল মুখটা হুট করেই তাকে আকৃষ্ট করে। সেই আকর্ষণে সাড়া দিতে চলা মোহ হুট করেই নিজের হুশে ফিরে কলিংবেলের শব্দে। দ্রুত মননের কপাল থেকে নিজের হাত সরিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। চোখে মুখে আবার আতংক খেলা করছে তার। মাথাটা বোধহয় গিয়েছে। এইমাত্র একটা ভুল করতে যাচ্ছিলো সে।
মনন এক মুহুর্তের জন্য মোহকে দেখে দরজার কাছে এগিয়ে যায়। প্রশ্ন করে,
“ কে? “
“ আমি। তোমার দাদা। আলী আকবর কায়সার। “
মননের নির্ভীক মুখেও হঠাৎ ভয় ফুটে উঠে। আতংক নিয়ে মোহর দিকে তাকায়। দাদু এই সময় বাসায়! দাদু যদি মোহকে দেখে নেয় তাহলে কি হবে ভাবতেই মনন একটা ঢোক গিলে। তার মুখটা দেখে মনে হচ্ছে বিশাল কোনো চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তটস্থ আসামীর ন্যায়।
চলবে…
[ কপি করা কঠিনভাবে নিষিদ্ধ ]