#অপ্রাপ্তি 💔
#ইবনাত_আয়াত
~ পর্ব. ১৬
হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ মিলিয়ে আমার জীবন থেকে দু’মাস চলে গেছে। বাড়িতে আজ হাজারো মেহমানের সমাবেশ। আজ আমি অনেক খুশি। একটু বেশিই খুশি। কারণ? আজ তানসীব ভাইয়ার বিয়ে। মিহিরের সঙ্গে! মিহির আর আমি একসঙ্গে থাকতে পারব। ভেবেই খুশিতে মন দুলে উঠছে। কাজ করছি, মেহমানদের খাতিরদারি করছি আর এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাহসিনের কোন খোঁজ নেই। বাহিরে পুরুষ মেহমান আপ্যায়নে ব্যস্ত মহাশয়।
তানসীব ভাইয়ার রুমের দিকে এগিয়ে গেলাম। তানসীব ভাইয়া বিছানায় বসে এক ধ্যানে চেয়ে আছে মোবাইলের দিকে। আস্তে করে গিয়ে ‘ভাউ’ করে চিৎকার দিতেই সে হকচকিয়ে মোবাইল সহ ফেলে দিল। বললাম, ‘কী? কী দেখা হচ্ছে মোবাইলে?’
বলেই মোবাইল টা হাতে নিলাম। তানসীব বলল, ‘এই এই ভাবী কী করছ এদিকে দাও। দাও না প্লীজ।’
মোবাইল টা নিয়ে দেখলাম স্ক্রিনে মিহিরের হাস্যজ্বল একটা ছবি। হেসে ফেললাম। বললাম, ‘ওহ্ তো হবু বউকে দেখা হচ্ছে? থাক ভাইয়া। কালই তো তোমার হতে চলেছে। কাল থেকে সারাজীবন সামনে থেকেই দেখতে পাবে। মোবাইলে দেখতে হবে না।’
তানসীব ভাইয়া লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে। হেসে বললাম, ‘থাক এত লজ্জা পেতে হবে না। বউয়ের ছবি দেখতে লজ্জা লাগে না বউয়ের ব্যাপারে কথা শুনতে লজ্জা লাগে বুঝি?’
‘ধুর ভাবী কী যে বলো না। লজ্জা পাব কেন? তা’ছাড়া তোমার বোন এত্ত কিউট!’
‘সত্যি?’
‘আমি মিথ্যে বলব? তা’ছাড়া ওকে দেখে যে কেউই বলবে কিউট। আমি তো প্রেমে পড়ে গেলাম।’
‘আহারে। ঠিক আছে আমি ওকে ফোন করে বলে দেই যে বোন দেবর মশাই তো আপনার প্রেমে পড়েছে।’
‘এই এই না না ভাবী। প্লীজ না।’
‘আচ্ছা আচ্ছা। চলো এখন বাহিরে চলো। ওকে দেখার সময় অনেক পাবে। এখন চলো।’
‘কোথায় যাব?’
‘আরে বাহিরে বাচ্চা রা তোমার কথা মনে করে চিল্লাচ্ছে। চলো সবাইকে সময় দাও।’
‘আচ্ছা আচ্ছা। তা আপনার ড. তাহসিন কোথায় ভাবী? আশেপাশে দেখছি না।’
‘উনি মেহমান আপ্যায়ন করছে।’
‘ওহ্ এখন বউয়ের সেবা ছে’ড়ে মেহমান আপ্যায়ন ধরেছে?’
‘কী বলছ এসব ছোট ভাইয়া?’
‘কেন কী বললাম?’
‘যাও তো।’
তানসীব ভাইয়া বেরিয়ে চলে গেলে আমিও হেসে বেরিয়ে পড়লাম।
.
অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। রাত প্রায় দশ টা। মিহিরকে ফোন দিলাম। রিসিভ হতেই মিহিরের কান্নামিশ্রিত কণ্ঠ শুনতে পেলাম, ‘আপু! আপু তুমি কেন এলে না? কেন এসে আমায় নিয়ে গেলে না। ওরা আমার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে আমি কী করব?’
‘তোমার তো আঠারো বছর পূর্ণ হয়ে গেছে মিহির। তোমার বিয়ে এখন ভ্যালিড।’
‘আপু এসব কী বলছ? তুমিও?’
‘আহ্ হা মিহির। এমন করছ কেন বলো তো?’
‘আপু ওরা যদি নিশাত আপুর মতোই করে আমার সাথে?’
‘না মিহির। কিছু করবে না। আমি আছি না?’
‘তুমি কিছু করতে পারবে না আপু। আমায় কালই ওরা নিয়ে যাবে। আমি.. আমি পারব না।’
‘কেন পারবে না? তুমি তো মেয়ে। মেয়েরা সেইসব পারে যা তাদের জন্য প্রযোজ্য। আর চিন্তা করো না তোমার উড বি হাসবেন্ড বুড়ো নয়।’
‘মানে?’
‘কাল তোমার জন্য খুব সুন্দর একটা সারপ্রাইজ আছে। তাই নিশ্চিন্তে থাকো মিহির। আর কেঁদো না। তুমি কাঁদলে আমার একদম ভালো লাগে না। আর তুমি কাঁদছ শুনলে আমার দেবর টাও কষ্ট পাবে।’
‘মানে?’
এই রে কী বলে ফেললাম, ‘না না কিছু না। রাখি মিহির। আর হা নিজের কোন ক্ষ’তি করার চেষ্টা করবে না ঠিক আছে? আল্লাহ্ হাফেজ।’
‘আ-আল্লাহ্ হাফেজ।’
কল কেটে হাসলাম। মেয়েটা এখনো বুঝতে পারছে না। বেরিয়ে দেখলাম কনেপক্ষ থেকে কিছু মানুষ এসেছে। দ্রুত তাদের আপ্যায়নে ব্যস্ত হলাম। হঠাৎ ইশি আর রুমিকে দেখে বেশ চমকালাম। ওরা এখানে কেন? কনেযাত্রী হিসেবে এসেছে? আমি আর তনিমা আপু তাদের নাস্তা দেওয়ার সময় রুমি আর ইশি আমাকে লক্ষ করে। হঠাৎ বলে উঠল, ‘তুমি?’
কিন্তু আমি আর কিছু বলার পূর্বেই ওখান থেকে চলে এলাম। রুমে এসে বসলাম। একটু পর ক্লান্ত তাহসিন প্রবেশ করলেন। বিছানায় চিৎ হয়ে পড়লেন। প্রশ্ন করলাম, ‘খারাপ লাগছে?’
‘নাহ্! একটু ক্লান্ত লাগছে।’
‘মাথা টিপে দেই?’
‘দাও।’
এগিয়ে এসে তাহসিনের মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পেরিয়ে যেতেই হঠাৎ তাহসিন খপ করে হাত ধরে ফেললেন। বললেন, ‘হয়েছে। আর দিও না। অনেক কাজ পড়ে আছে। তোমার হাত বুলানোতে ঘুম এসে যাচ্ছে। কোন সময় না ঘুমিয়ে যাই।’
বলেই উঠে পড়লেন। বললাম, ‘এই যে ড. এত কাজ করতে হবে না। দরকার হলে ঘুমিয়ে পড়ুন যদি ক্লান্ত লাগে।’
‘তা কী করে হয়। ছোট ভাইয়ের বিয়ে আর আমি পড়ে পড়ে ঘুমুব?’
‘তা না কিন্তু খারাপ লাগলে তো ঘুমুবেনই।’
‘আচ্ছা। রাতে দিও। তোমার স্পর্শে ঘুম অবশ্যই আসবে।’
আমি কিছু বলার পূর্বেই প্রস্থান করলেন। উঠে নিচে গেলাম। হঠাৎ সিড়ি বেয়ে নেমে পাশের রুমে যেতেই কেউ স্টোর রুমের দিকে টান দিল। হুমড়ি খেয়ে পড়লাম। হালকা ব্যথাও পেলাম। আস্তে করে উঠে সামনে তাকিয়ে দেখি। ইশি দাঁড়িয়ে আছে। অবাক হলাম। ইশি বলল, ‘কেমন আছো ইবনাত ম্যাম?’
হেসে বললাম, ‘ভালোই আছি মিসেস. রিশান। আপনি কেমন আছেন?’
‘ভালো। এখানে কী করছ তুমি? তোমার এখানে কাজ কী?’
‘আপনি এখানে কী করছেন আগে সেটা বলুন।’
‘মিহিরের বিয়ে। আর এটা ওর শশুড় বাড়ী। তাই আমার এখানে থাকা স্বাভাবীক। কিন্তু তুমি এখানে কী করছ? তোমার তো এখানে থাকার কথা না।’
‘আমি এখানে যাই করি তোমার কী? তোমার তো কিছু যায় আসে না।’
‘অফ কোর্স আমার যায় আসে। মিহিরের শশুড় বাড়ীতে থাকা তোমার শোভা দেয় না।’
‘কেন?’
‘কোন অ’লক্ষী মেয়ে আমার ননদের শশুড় বাড়ীর তো কী তার আশেপাশে থাকলেও ক্ষ’তি হয়।’
‘কাম অন মিসেস. ইশি। আপনি না মডার্ন যুগের মেয়ে। তাহলে এসব শুভ অশুভ, লক্ষী অ’লক্ষী এসবের বিশ্বাস কী করে করেন বলুন তো?’
‘কিছু ক্ষেত্রে এসব বিশ্বাস করতে হয়।’
‘আচ্ছা তো কী কারণে এখানে এভাবে টেনে নিয়ে এলেন জানতে পারি?’
‘কথা হচ্ছে। তুমি এখানকার যেই হও। চলে যাও এখান থেকে।’
বলতে দেরি কিন্তু ইশির নরম গালে ‘ঠাস’ করে পড়তে দেরি নয়। চড় লাগিয়ে দিলাম তার গালে। দূরে সরে গেল ইশি। বললাম, ‘আমি স্ব-ইচ্ছায় তোমাদের দু’জন কে মুক্তি দিয়েছি। তাও ভুলেও আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করার সাহস করবে না। কী ভেবেছ আমাকে এসব বলবে আর আমি চুপচাপ তোমার কথা শুনব? নো ওয়ে মিসেস. ইশি। গেস্ট গেস্টের মতো থাকো। উল্টা পাল্টা কিছু যদি করো তাহলে এই ইবনাত কখনো চুপ থাকবে না। মাইন্ড ইট!’
বেরিয়ে এলাম ওই ঘর থেকে।
এরপর যখন’ই ওর সামনে আসি তখন’ই বাঁকা দৃষ্টিতে তাকাত। কিছু বুঝলাম না। কিন্তু আমার কী? আমার কাজ এখনো শেষ হয়নি৷ সবে তো শুরু। এই পরিবারের হার অপমান ক্ল্রে ছাড়ব আমি।
.
মেহমানদের ঝামেলা শেষ হয়েছে। কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয় রয়ে গেছে। রাতে বিছানায় বসে আছি হেলান দিয়ে। হঠাৎ হুট করে তাহসিন এসে আমার কোলে শুয়ে পড়লেন। কেঁপে উঠল সর্বাঙ্গ। তাহসিন বললেন, ‘কথা ছিল আজ রাতে মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে।’
তার কথা শুনে আস্তে করে হাত তার মাথায় রাখলাম। হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম। তিনি বললেন, ‘রিশানকে এখনো ভালোবাসো?’
চমকালাম। বললাম, ‘হঠাৎ এমন প্রশ্ন?’
‘কেন জিজ্ঞেস করতে পারি না?’
‘ন-না তা পারেন।’
‘তো বলো।’
‘নাহ্! ওর মতো বেইমান কে ভালোবাসব?’
‘তাহলে তুমি চাইছ টা কী? মিহিরের সঙ্গে তানসীবের বিয়ে হলে রিশানদের পরিবারের আসা যাওয়া চলবে আর তোমাকে এভাবে এখানে দেখলে ও কী করবে আর তুমি কী করবে?’
‘আমি তো অনেক কিছুই ভেবে রেখেছি। দেখে যান কী হয়।’
আর কিছু বললেন না তিনি। আমি হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম। একটু পর ঘন হলো তার নিঃশ্বাস। ঘুমিয়ে পড়েছেন তিনি। এবার আমি কী করব? তাকে সরালে তার ঘুম ভেঙে যাবে। তাহলে? ভাবতে না ভাবতেই চোখের পাতা ভারী হয়ে এলো।
.
সকালে উঠে নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম। একি আমি এখানে কেন? তাহসিন কোথায়? রাতে তো.. উনি আমার কোলে শুয়ে ছিলেন। আর আমি বসে ছিলাম। নিশ্চয়ই তাহসিন করেছেন? থাক এখন অনেক কাজ। উঠতে হবে। ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে এলাম। মা’য়ের আদেশে ডেকোরেশনের লোকগুলোকে চা দিতে বাহিরে আসতেই দেখলাম তাহসিন তাদের সেটিংস করছে। আমাকে দেখে এক ঝলক হাসলেন। মুগ্ধ হলাম সেই আগের হাসি দেখে। তাদের চা দিয়ে নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। বিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে হলেও আমি আর তনিমা আপু যাইনি। মাও যায় নি। তাহসিন আর বাবা গেছে শুধু।
আর আমরা ঘরে থাকার মেহমানদেরই আপ্যায়ন করলাম। বিকেলেই কনে এসেছে বলে বলে চিল্লাতে চিল্লাতে এলো বাচ্চারা। বুঝলাম তারা চলে এসেছে। আমি ভীড়ের মাঝে গেলাম। মা বরণ করতে গেছেন। মা যখন বরণ করছিল তখন মিহিরের কান্না মাখা মুখ টা দেখতে পেলাম। বড্ড কেঁদেছে সে। হালকা মন খারাপ হলো। শুধুই কাঁদালাম তাকে। বলে দিলে কী হতো? আচ্ছা ও কী তাহসিনকে দেখেনি? তাকে দেখে চিনেনি? হয়তো না। তাকে ঘরে নিয়ে আসা হয়। আজ বউ সাজে মিহিরকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটা সত্যিই খুব সুন্দরী। আর তানসীব ভাইয়ার বলামতে কিউট!
সন্ধ্যা অবদি তাকে পুতুলের মতো সাজিয়ে সবাই দেখাদেখি করল। এর মাঝে আমি তার সামনে যাইনি। সন্ধ্যা হতেই মেহমানের ঝামেলা কমে আসতেই মিহিরকে তনিমা আপু তানসীব ভাইয়ার রুমে নিয়ে গেল। এবার আমি কিছু মিষ্টি নিয়ে তার রুমের দিকে এগিয়ে গেলাম। বর্তমানে সেই রুমে কিছু বাচ্চা-কাচ্চাই আছে আর কেউ নেই। মিহির মাথা নিচু করে খাটের মাঝখানে বসে আছে। আমি গলা খাঁকারি দিয়ে বললাম, ‘এই যে ভাবী! হয়েছে আর কাঁদতে হবে না। নিন একটু মিষ্টি খান।’
মিহির চমকে আমার দিকে তাকাল। অবাক হয়ে বলল, ‘আপু তুমি?’
‘হ্যাঁ গো ভাবী জি আমি।’
‘মানে তুমি এখানে?’
‘হ্যাঁ আমি এখানে।’
‘কী বলছ এসব? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।’
‘আরে আরে শুনো। আসলে তোমার বর কে জানো?’
‘ন-না। কেন ওনি কী বুড়ো? আমি একটা বারও দেখিনি উনাকে।’
‘আরে না ও বুড়ো কেন হবে? তাহসিনের ভাই ও।’
‘কীহ্? মানে ভাইয়ার ভাই?’
‘হুম।’
‘মানে তুমি এই বাড়ির বউ?’
‘জ্বী ভাবী জি।’
‘মানে.. কী করে এসব? তুমি আমায় আগে বলোনি কেন?’
‘সারপ্রাইজ! বলেছিলাম না?’
‘ওহ্ সত্যি আপু?’
বলেই ঝাপটে জড়িয়ে ধরল মিহির আমায়। আমি হেসে জড়িয়ে ধরে বললাম, ‘এবার তুমি খুশি তো?’
মিহির ছেড়ে দিয়ে বলল, ‘অনেক অনেক খুশি আপু। না না ভাবী। তুমি আবারো আমার ভাবী হয়ে গেলে। হিহি! অনেক কষ্টে এতদিন আপু ডেকেছি। আর ডাকতে হবে না৷ ভাবী ডাকা টা অভ্যাস হয়ে গেছিলো।’
‘হাহাহা! হুম।’
‘আমরা একসাথে থাকতে পারব? জা হয়ে গেলাম? ভাবী ননদ থেকে ডিরে’ক্ট জা?’
‘হ্যাঁ। সবই নিয়তির খেলা। এখন রিশান হারে হারে টের পাবে। ওকে আমি অপমান না করে ছাড়ছি না।’
‘কী করবে?’
‘দেখে যাও।’
‘আচ্ছা ভাবী। উনি কেমন?’
‘আজ রাতেই ভালোভাবে দেখে নিও তোমার উনিকে।’
মিহির লজ্জা পায়। হেসে বললাম, ‘হয়েছে এত লজ্জা পেতে হবে না। ঠিক আছে আমি তোমাকে খাবার দিয়ে যাচ্ছি খেয়ে নিও।’
‘আচ্ছা।’
মিহিরকে খাবার দিয়ে রুমে এলাম। তাহসিন রুমে এসে বললেন, ‘বাব্বাহ্! এক্স ননদকে জা হিসেবে পেয়ে কত খুশি হয়েছ। না জানি ক্রাশকে স্বামী হিসেবে পেলে কেমন করবে।’
এগিয়ে এসে বললাম, ‘উফ! সব আপনার জন্য হয়েছে মাই ড.। থ্যাংক ইউ!’
বলেই তার গলা জড়িয়ে ধরতে গিয়ে থেমে গেলাম। হাত দু’টো আপনা-আপনি তার গলায় পেঁচিয়ে যাচ্ছিল। থেমে গেলাম। এ আমি কী করছি? তাহসিন শীতল কন্ঠে বলে উঠেন, ‘থেমে কেন গেলে হৃদরাণী?’
কিছু না বলে হাত নামিয়ে নিলাম। অন্যদিকে ফিরে বললাম, ‘ক-কিছু না। স-স্যরি।’
[চলবে.. ইন শা আল্লাহ্]