#অপ্রাপ্তি 💔
#ইবনাত_আয়াত
~ পর্ব. ১০
ক্লান্তি, দুঃখ, একাকিত্ব, আর বন্দি জীবন নিয়ে আমার জীবন থেকে দেড় মাস চলে গেল। দিনের সময় টা স্কুলে কাটিয়ে, দুপুরের পরের সময় টা ছাদে ফুলের সঙ্গে সময় কাটিয়ে, সন্ধ্যের সময়টা বাবা মা একসঙ্গে গল্প-গুজব করে আর রাত্রিটা.. এক রাশ অপ্রাপ্তির বেদনা আর বুক ভরা কষ্ট। আজ মিহির আসবে। তার পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে পরশু দিন। মেয়েটা বরাবর’ই পড়াশোনায় খুব ভালো। যদিও এই এই কয়েকমাসের মধ্যে সে পড়ার মধ্যে মনোযোগী হতে পারেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে সে ভালোই মার্ক করেছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত হায়ার ম্যাথ এ ‘অ্যা’ পাওয়ায় তার আর জি.পি.এ ফাইভ পাওয়া হলো না। পয়েন্ট ফোরেই আটকে রইল। তবে অন্যান্য সাবজেক্টে মার্ক খুব ভালো তার।
বিকালের দিকেই মিহির আসে। হাতে দু’টো মিষ্টির বাক্স। বাবা বাসায় ছিল না। আজ তার দু’টো অপারেশন আছে সন্ধ্যায় আর রাতে। আম্মু মিষ্টির প্যাকেট দেখে হেসে ফেললেন। মিহিরকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘বাবা গো। এত কষ্ট করে পড়ালেখা করে পাশ করেছিস তুই। কোথায় আমরা মিষ্টি খাওয়াব তা না উল্টা আমাদের খাওয়াচ্ছিস?’
মিহির বলল, ‘তো কী হয়েছে মেয়ে কী বাবা মাকে মিষ্টি খাওয়াতে পারে না আন্টি?’
‘তা পারে। যা ফ্রেশ হয়ে নে।’
মিহির এসে আমায় জড়িয়ে ধরল, ‘কেমন আছো আপু?’
‘ভালো আছি মিহির। তোমার কী অবস্থা? রেজাল্ট দেখে সত্যিই আমি বিমোহিত।’
‘আর রেজাল্টের কথা বলো না। হায়ার ম্যাথ এ জাস্ট দুই নাম্বারের জন্য বেজে গিয়েছিলাম। মার্ক ৭৮ এসেছিল।’
‘থাক এইচ’এস’সি তে আরো ভালো করবে দেখে নিও।’
মিহির মন খারাপ করে বলল, ‘মনে হয় আমার কলেজ পড়া হবে না।’
‘মানে?’
‘বাসায় আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে।’
‘কীহ্? পাত্র পছন্দ করে ফেলেছে?’
‘না তবে কাল বিয়ের কথা তুলেছিল আব্বু আম্মু। বলছিল আর কয়েকমাসের মধ্যেই পাত্র ঠিক করে ফেলবে।’
মা এগিয়ে এসে বললেন, ‘কী বলছে এসব এত ছোট মেয়েকে বিয়ে দিবে?’
‘তোমার তো এখনো আঠারো বছর হয়নি মিহির তাই না?’
‘আঠারো বছর হতে আর চারমাস বাকি আছে আপু। তারপরেই তারা..’
‘ইয়া আল্লাহ্। আমি তো ভেবেছিলাম তোমাকে অনার্স পড়াব। কারণ নিজেও অনার্স শেষ করেছি।’
‘তোমার মতো বাবা মা আমি পাই নি আপু। যে আমার এমন সৌভাগ্য হবে।’
‘আচ্ছা আমি কিছু করতে পারি কী না দেখি।’
‘না আপু। তুমি ওই বাড়িতে যাবে না। ওই পাষাণ্ড লোকেদের কাছে এসব বলার কোন প্রয়োজন নেই। আর আমিও চাই না তুমি ওদের কাছে কিছু অনুরোধ করো।’
‘তাহলে কী? এভাবে তোমায় ছোট বয়সে বিয়ে দিতে দেখব?’
‘কোন উপায় নেই। নিশাত আপুকেও কলেজ পড়তে দেয় নি ওরা। তার আগেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছে বত্রিশ বছর বয়সী একজনের সাথে। পরে তাদের মাঝে তেমন কোন সম্পর্ক তৈরি হয়নি। আপুও লোকটাকে সহ্য করতে পারতো না। তাই তিন বছরের মাথায় চলে আসে বাড়িতে।’
‘তাদের টাকা পয়সা কম নাকি যে মেয়ে পড়াতে পারবে না?’
‘ওরা এমনই আপু। টাকা থাকতেও নেই। বাড়ি থাকতেও নেই। মেয়ে থাকতেও নেই।’
‘মন খারাপ করো না মিহির। এসব বিয়ে ভাববেও না। এখানে যতদিন আছো, আনন্দ করো।’
আম্মু বললেন, ‘হুম মা। এসব নিয়ে আর ভাবিস না। জানিস? তুই না থাকা কালীন এই দেড় মাস ইবনাত মনমরা থাকত। আমাদের বুঝ দিতে মুখে হাসি ফুঁটিয়ে রাখত আর আমাদের সাথে গপ্পো করত। কিন্তু ও জানে না যে আমি ওর অভিনয় ভালোই বুঝি।’
চোখ বড় বড় করে তাকালাম। আম্মু বললেন, ‘ওভাবে তাকিয়ে লাভ নেই আমি সব বুঝি।’
মিহির বলল, ‘কেনই বা করবেনা আন্টি বলো? আপু ট্র’মা থেকে বের হতে পারছে না। দু’বছরে কত ধাক্কা সামলিয়েছে। এমন কে’ই বা পারে?’
‘কী করব বল? একটা মাত্র মেয়ে। তার ভাই তো ছোটবেলায়’ই আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছে।’
‘আচ্ছা আম্মু এত কথা বলো না তো৷ মেয়েটা মাত্র এসেছে৷ কোথায় ওকে বসিয়ে খেতে দেবে তা না আমার বিষয়ে গপ্পো জুড়ে দিয়েছো?’
‘আচ্ছা। আচ্ছা। মিহির! তুই যা ফ্রেশ হয়ে আয়।’
‘আচ্ছা।’
.
‘তুমি জানো না আপু এই কয়দিনে আমি কেমন ছটফট করেছি ওই বাড়িতে। সহ্য হচ্ছিল না ওদের। কাল থেকেই তাদের মুখে আমার বিয়ে নিয়ে চিন্তার আলোচনা। কী চাচ্ছে তারা? যে আমি ওই বাড়ি থেকে চলে যাই? ওদের মাঝ থেকে চলে যাই? হ্যাঁ জানি বিয়ে করা ফরজ কিন্তু তাই বলে কী আমায় এভাবে.. জানি নিশাত আপুর মতোই হবে আমার সাথে।’
মিহির বলতে বলতে কেঁদেই ফেলল। আমি ওকে বুকে জড়িয়ে বললাম, ‘কিছু করার নেই মিহির। যদি কোন বয়স্কর সঙ্গেই তারা তোমার বিয়ে ঠিক করে তাহলে আমি নিজেই পুলিশ নিয়ে যাব। তুমি এসব ভেবে মন খারাপ করে থেকো না মিহির৷ তোমাকে কাঁদতে দেখলে আমার ভালো লাগে না।’
‘কী করব আপু আমি? আমার খুব ইচ্ছে ছিল এটলিস্ট কলেজ পড়ার।’
‘তাহলে তুমি এখানে চলে এসো। আমিই তোমাকে পড়াব।’
‘এত সোজা না গো আপু। তোমার সঙ্গে এখানে এসে যাওয়ার পর আব্বু আর ভাইয়া অনেক বকেছিল। আর ওরা জানে না আমি এখানে এসেছি৷ আমি খালামণির বাসায় যাব বলেছিলাম। ইশি তোমায় আর আমায় নিয়ে কথা তুলে সবসময়। প্রায় সময় তোমার নামে বাজে কথা বলে আর আমি যদি এর বদলে কিছু বলে তাহলে ভাইয়া কে উস্কায়। যে তুমি আমায় বশ করেছ। আর এখানে আসাই বন্ধ করে দিতে চেয়েছে ওই বদমাশ টা। আর ওর কথায় ভাইয়া আমায় এতই সন্দেহ করে যে আমায় এগিয়ে দেওয়ার বাহানায় খালামণির বাসা পর্যন্ত দিয়ে এসেছিল। গেটের সামনে আসতে কল আসায় আর ঢুকে নি। আমাকে ভেতরে যেতে বলে ওখানে রেখে চলে গেছিল। তাই আমি সোজা এখানে চলে এসেছি। আপু আমার ওই বাড়িতে দম বন্ধ হয়ে আসছে। ওরা আমায় এতই সন্দেহ করে যে আমায় এখন ঘর থেকেই বেরুতে দেয় না। আমি কী করব আপু কী করব এখন? ওই ইশি সব শেষ করে দিয়েছে।’
করুন দৃষ্টিতে ওর দিকে চেয়ে রইলাম। মেয়েটা আমি থাকাকালীন খুব জেদি ছিল। কিন্তু এখন ইশি ওকে দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে। কিন্তু কী করার আছে আমার? আমি এখন ওই বাড়ির কেউ নই। মিহির আবার বলল, ‘তবে একটা জিনিস কী জানো আপু? বাবা, মা আর আগের মতো তেমন কথা বলে না। প্রায় সময়ই চুপচাপ থাকে। আর ইশি তো ঘরের একটা কাজও করে না। এখন ছোট ভাবীকেই সব করতে হয়। আর আম্মুও কিছু করতে চায় না। এতে ছোট ভাবী আর তার মাঝে পরশুদিন অনেক ঝগড়া হয়েছিল। আর প্রায়ই ওদের মাঝে এখন ঝগড়া হয় এসব নিয়ে। ছোট ভাবীও ইশিকে তেমন কিছু বলতে পারে না। বাবা প্রায় সময় চুপ করে বসে থাকে। আম্মুও এককোণে বসে থাকে। কেমন যেন হয়ে গেছে সবাই।’
‘কী বলো? ওরা বউমা শাশুড়ীর মাঝে তো ভালোই সম্পর্ক ছিল। কী সুন্দর যেন সত্যিকারের মা মেয়ে। হঠাৎ কী হলো?’
‘বেশি ঢং করে ফেলেছে তো। আস্তে আস্তে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
‘হুম। আচ্ছা নিশাত আপুর ব্যাপারে বললে না?’
‘হ্যাঁ ঠিক বলেছ। নিশাত আপু আগে থেকেও বেশি মোবাইলে মনোযোগী হয়ে গেছে। আর মাঝে মাঝে ঘুরতেও যায়। আগে তো ঘর থেকেই বেরুতো না।’
‘তুমি আরেকটু খতিয়ে দেখো।’
‘হুম আচ্ছা।’
‘ঠিক আছে এখন চলো। ছাদে চলো। এভাবে মন খারাপ করে থেকো না। প্লীজ!’
‘আচ্ছা!’
.
ঝড়ের গতিতে পেরিয়ে গেল আরো এক সপ্তাহ। মিহিরের সঙ্গে বেশ ভালোই সময় কেটেছে। গোধূলি বিকেল। আজ আমরা ঘুরতে বেরুচ্ছি। আজ আমার অফ ডে তাই আম্মু বলল, একটু ঘুরে আয়। তাই আরকি। মিহিরও বায়না ধরল। তাই ভাবলাম সেই খালপাড়ে যাব। কতদিন যাওয়া হয় না। যদিও এখান থেকে তেমন দূরে নয়। হালকা কালো সাদা মিশ্রণের থ্রি-পিস টা পড়লাম। মিহিরকে মেরুন রঙের থ্রি-পিসে একদম যুবতি লাগছে। কিশোরী টা আর কয়েকমাসের মধ্যেই যৌবনে পা দিবে। মিহির বলল, ‘কী ভাবছো এত? চলো।’
‘হুম।’
বেরুলাম দু’জন। বেরিয়েই রাস্তায় ফুচকাওয়ালার দেখা। আমি না চাইলেও মিহির জোর করে ফুচকা খেতে নিয়ে গেল। খেলাম দু’জন। তারপর আবারও হাঁটা ধরলাম। খালপাড়টায় যাওয়ার আগেই একটা মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট পড়ে। সেখান থেকে মিহির দু’টো আইসক্রিম নিয়ে এলো। দু’জন খেতে খেতে খালপাড়ে পৌছালাম। পরিবেশ টা খুব সুন্দর। ঘাসের উপর বসে দু’জন গল্প জুড়ে দিলাম। হঠাৎ আইসক্রিম গিয়ে পড়ল কাপড়ে। ধুর ধুর জায়গা খারাপ করতে আর সময় পেল না? মিহির বলল, ‘আসো আপু ওদিকে দোকান আছে পানি নিয়ে মুছে ফেলতে পারবে।’
‘না থাক তুমি বসো আমি গিয়ে মুছে আসি।’
‘আচ্ছা।’
তার কথামতো দোকান থেকে পানি নিয়ে ভালোভাবে কাপড়টা মুছে একটু পানি পান করে বেরিয়ে এলাম। হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেলাম। পড়ে যাওয়ার পূর্বেই তার বুকে ঠাঁই পেলাম। এক পরিচিত সুবাস ভেসে এলো নাকে। দ্রুত উঠে দাঁড়ালাম। চমকে উঠলাম সামনে থাকা প্রতীয়মান ব্যক্তি টাকে দেখে। রিশান! ও এখানে? আশেপাশে তাকালাম। নাহ্ ইশি তো নেই। ও একা? কিন্তু.. এখানে কী করছে ও? রিশান বলে উঠল, ‘ইবনাত? তুমি?’
কিছু না বলে পাশ কাঁটিয়ে চলে আসতে নিলেই সে পেছন থেকে বলল, ‘কেমন আছো ইবনাত?’
তার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘ভালোই আছি রিশান সাহেব। কিন্তু.. এই ভালো টাকেও যেন নষ্ট না করে দেন।’
‘মানে? আর তুমি এখানে কী করছ?’
‘কেন এখানে আসা কী বারণ নাকি?’
‘না তা বলিনি।’
‘তা আপনার ওয়াইফ কোথায়?’
‘আনি নি ওকে।’
‘কেন? তারও তো ঘুরতে ইচ্ছে করে নাকি?’
‘আমার ওয়াইফ আমি যা খুশি করব তোমাকে শেখাতে হবে না।’
‘ঠিক আছে।’
ঘুরে চলে আসতে নিলেই রিশান বলল, ‘ইবনাত! তা তোমার বয়ফ্রেন্ড কোথায়? ওকে তো দেখতে পাচ্ছি না।’
হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে এলো। দাঁতে দাঁত চেঁপে বললাম, ‘আপনাকে আমার প্রেমিক কে নিয়ে ভাবতে হবে না মি. রিশান। আপনি আপনার বউকে সামলান।’
চলে আসতে নিলেই হঠাৎ হাত ধরে ফেলে রিশান। অবাকের শেষ সীমানা ভেঙে গেল। সে বলল, ‘ভাবতে হবে না মানে? অবশ্যই ভাবতে হবে। হোক না হোক একসময় তুমি আমার স্ত্রী ছিলে।’
হেঁচকা টান দিয়ে হাত সরিয়ে নিলাম। সঙ্গে চড় বসিয়ে দিলাম তার উন্মুক্ত গালে। চিবিয়ে চিবিয়ে নিচুস্বরে বললাম, ‘খবরদার আর একটা বার আমায় নিজের স্ত্রী বলবেন না। হ্যাঁ এক সময় ভুলবশত আপনার স্ত্রী ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আপনার জন্য পরনারী। সো কোন সাহসে হাত ধরলেন আপনি আমার? অবশ্য আপনার কাছে তো পরনারী আর স্ত্রী সমান তাই না? যাই হোক আমি এত কিছু বলতে চাই না। ফার্দার আমায় ছোঁয়া তো দূর। আমার সামনে আসারও চেষ্টা করবেন না। আর আপনার সঙ্গে কথা বলার আমার কোন ইচ্ছে নেই। আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টাও করবেন না। আর আমার প্রেমিকের ব্যাপারেও আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।’
পেছন ফিরে হন হন করে চলে আসলাম মিহিরের কাছে। আর এক মুহুর্তও এখানে নয়। মিহিরকে বললাম, ‘চলো মিহির। যেতে হবে।’
‘মানে কী আপু? একটু আগেই তো এলাম। এখনই যাবে? আর ওখানে এতক্ষণ কী করছিলে?’
‘সেসব পরে বলব মিহির চলো।’
‘কিন্তু কেন?’
‘তোমার ভাই এসেছে এখানে৷ আর আমি চাই না বার বার ওর সামনে পড়তে। চলো এখন।’
‘ভাইয়া এসেছে মানে?’
‘হ্যাঁ মিহির। আর ওর বিহেভিয়ারও কেমন চেইঞ্জ লাগছিল।’
‘মানে?’
‘তোমাকে আমি পরে বলব এখন চলো।’
‘আচ্ছা।’
দু’জন রিকশায় চেঁপে বসলাম। যেতে যেতে তাকে সব খুলে বললাম। সবটা শুনে মিহির বলল, ‘কিন্তু ভাইয়া চাচ্ছে টা কী?’
‘সেটাই বুঝতে পারছি না।’
এদিকে রিকশাওয়ালা বলে উঠেন, ‘আইসা পড়ছি আপা।’
‘জ্বী আচ্ছা।’
দু’জন নেমে ভাড়া দিয়ে বাসায় ঢুকলাম। বাবা হসপিটাল থেকে এসেছেন। ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে সোফায় বসেছে। আমাদের প্রবেশ করতে দেখে বলল, ‘এসেছিস তোরা? যা ফ্রেশ হয়ে আয়। কথা আছে।’
‘কী কথা?’
‘আগে যা ফ্রেশ হয়ে আয় তোরা।’
‘আচ্ছা।’
কী এমন কথা? বাবা কখনো এভাবে বলেনি। কিন্তু.. কী কথা? দু’জন ফ্রেশ হয়ে এলাম বাবার কথামতো। বাবা আম্মু, মিহির আর আমাকে সোফায় বসালেন। কিন্তু.. তিনি যা বললেন তা শুনে নেত্রপল্লব পলকহীন হয়ে গেল। শ্রবণশক্তি যেন লোপ পেল। থমকে গেলাম আমি।
[চলবে.. ইন শা আল্লাহ্]