অপেক্ষা পর্ব-১৫

0
7

#অপেক্ষা
#Mariam_aktrr_juthi
#পর্বঃ15

[অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ]

~~ বিয়ে কি তোর একার করতে ইচ্ছা করে?? বাসর ও কি তোর একার করতে ইচ্ছা করে?? আমার বুঝি ইচ্ছে করে করে না বিয়ে করার বাসর করার??

“হোয়াট দা হেল? সামীরা কই সেটা বল? ‘দাঁত কি’ড়’মি’ড় করে’

“শরীরে রিহানের একটা টি-শার্ট। সাথে আগের পড়া প্যান কার্ড সেলোয়ারটা শরীরে জড়ানো ছিল, টি-শার্টটাও পড়তো না যদি না রিহান জামাটা ছিড়ে ফেলতো, ফ্রেশ হয়ে সবে মাত্র ওয়াশ রুম থেকে বের হয়েছিল সামিরা, হঠাৎ রুমের বাহিরে রিহানের সাথে ভাইয়ের গলার আওয়াজ পেয়ে ছুটে রুমের বাহিরে এসে দাঁড়ালো”।

~~ “যেখানে থাকার কথা সেখানেই আছে, দায়’ছাড়া ভাব নিয়ে” ‘রিহান’

— you বলেই যেই রিহানের কালার টা চেপে ধরবে,
তখন চোখ যায় কিছুদূর দাঁড়িয়ে থাকা সামিরার দিকে, শাহারিয়া রিহানকে ছেড়ে ছুটে যায় বোনের নিকট, গিয়ে সামিরা কে জড়িয়ে ধরে বললো।

~~ বোন ঠিক আছিস তো?? তোর কিছু হয়নি তো?? ‘কপালে চুমু দিয়ে’ শাহরিয়া সামিরার দিকে চোখ বুলিয়ে কঠিন কন্ঠে আবার শুধালো।

~~ এগুলো পড়ে আছিস কেন?? তোর ড্রেস কই?? আর তোর বা এমন অবস্থা কেন?? তো কে এমন লাগছে কেন?? হঠাৎ করে সামিরার দুই বাহু ছেড়ে রক্ত আভা চোখ নিয়ে রিহানের কলাটা চেপে ধরে বলল।

— কি করেছিস ওর সাথে তুই?? তোর এই অবস্থা কেন??

— কলারটা ছাড় ভাই, সম্পর্ক তুই বড় হতে পারিস, তবে বয়সে আমরা কিন্তু সেম সেম, তাই কলার টা ছেড়ে কথা বল। যতই হোক এখন আমাদের দুই দুইটা সম্পর্ক হয়েছে, তাই এখন সাপ আর নেউলের মত যুদ্ধ না করে মি’ট’মা’ট করে নিলেই পারি। ‘রিহান’

— তোর সাহস কি করে হলো ও কে এখানে নিয়ে আসার আগে সেটা বল?? ‘শাহারিয়া’

— ও’হহহ সাহসের কি আছে?? আমার জিনিস আমি নিয়ে এসেছি, বাই দ্যা ওয়ে, তখন যেন কি বলছিলে??
কোন অধিকারে আমি ওকে নিয়ে এসেছি?? তাহলে শোনো স্বামীর অধিকার এ আমি ওকে নিয়ে এসেছি।
আর ভাই এটা তো আমার থেকে তোমার জানার কথা বেশি, অবশ্যই, বিয়ের পর একটা মেয়ের উপর তার স্বামীর অধিকার থাকে সবথেকে বেশি??আর আমার তো মনে হয় না, বউ কে নিজের কাছে নিয়ে আসতে কারো পারমিশন লাগে??

— মানে?? ‘শাহারিয়া’

— সিম্পেল বিষয় টা বুঝতে পারছো না?? সামু, এতদিন তোমার বোন ছিল, এখন সে অন্য কারো বউ।আর সেই অন্য কেউ টা আর কেউ না, ‘আমি’ । আমারা বিয়ে করেছি,আর বিয়ের পর বউ স্বামীর কাছে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ‘রিহান’

“শাহরিয়া রেগে যেই থাপ্পড় মারতে যাবে, ওমনি রিহান শাহারিয়ার হাত ধরে ফেলে বললো”

~~ এতক্ষণ কলারট দরেছো মানলাম, এখন গায়ে হাত তুলতে চাও, এটা তো মানতে পারছি না,মারতে কিন্তু আমি ও জানি ভাই,so, সেটা ভালো হবে না, তাই হাত টাকে কন্ট্রোল করো ভাই ??

“সামিরা এদের কথা শুরু থেকে ভয়ে ভয়ে শুনছিল, এতক্ষণ মুখ থেকে কোন কথা বের করতে পারেনি, কারণ একদিকে স্বামী আর একদিকে ভাই,আর রাগের কথা বলতে গেলে দুই’জনেই সমান, তবে শাহারিয়া রাগ উঠলে কন্ট্রোল করতে পারলেও রিহান একদমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না,তাই চুপচাপ তাদের দুজনার কথার শুনছিল, যখন দেখলো,সেটা আর স্বাভাবিক পর্যায়ে নেই, তখন ছুটে গিয়ে দুজন কে থামানোর জন্য বললো”।

— বন্ধ করো এসব তোমারা,কি শুরু করে দিয়েছো তখন থেকে?? আর ভাই তুমি এতো রেগে যাচ্ছো কেন??আর আপনি, সম্মান করতে শিখুন মানুষ কে, তাছাড়া ভাই আপনার একদিনের হলেও বড়ো, তাছাড়া বউ এর বড় ভাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয় এটুকু নিশ্চয়ই আপনার জানা??

“সামিরার মুখে বউয়ের ভাই শব্দটা শুনে শাহারিয়া অবাক এর শেষ সীমানা প্রজন্ত পৌঁছে যায়। তার এই পিচ্চি বোন টা এসব কি বলছে?? এটা হতে পারে না তাই হতভাগ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল”

— বোন তুই এগুলো কি বলছিস??

“সামিরা ভাইয়ের কথায় তার দিক ঘুরে মুচকি হেসে বলল”

— হ্যাঁ ভাইয়া এটাই সত্যি আমি ওনার স্ত্রী, উনার সম্পূর্ণ অধিকার আছে আমাকে উনার সাথে নিয়ে আসার, আর আমিও বাধ্য স্বামীর সাথে থাকতে,

— তুই পাগল হয়ে গেছিস কি সব আবোল তাবোল বকছিস ?? তুই এক্ষুনি এখান থেকে আমার সাথে চল।

” বলে যেই সামিরাকে নিয়ে যেতে নেয় সামিরা বাধা দিয়ে বলল”

— দাঁড়াও ভাই কখনো কোন ভাইকে দেখেছো কোন বোনকে তার স্বামীর সাথে সংসার করতে না দিয়ে নিয়ে যেতে?? আর না কোন মেয়েকে দেখেছো তার স্বামীকে একলা রেখে চলে যেতে?? তাহলে ভাই তুমি কেন আমাকে নিয়ে যেতে চাচ্ছ?? আমি আমার স্বামীর সাথে থাকতে চাই, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। আমি যদি জানতাম উনি আমাকে অনেক আগে থেকে ভালবাসেন তাহলে অনেক আগে আমি এই বিষয়টাকে নিয়ে ভাবতাম। সবার সম্মতি নিয়ে উনার হাত ধরতাম।

“রিহান সামিরার কথা শুনে শাহারিয়ার মতো বেশ চমকায়, তার তো খুব ভালো করেই জানা ছিল সামিরা কে যখন না পাওয়া যাবে তখন সামিরার স ফ্যামিলি ওর কাছেই আসবে, সামিরাকে নিয়ে যেতে চাইবে আর সামিরা ওর কাছে থাকতে চাইবে না , তখন ওকে এক প্রকার যুদ্ধ করে সামিরা কি নিজের কাছে রাখতে হবে। কিন্তু সামিরা যে নিজে থেকে ওর কাছে থাকতে চাইবে ও কল্পনা তেও আনিনি, ও যদি বুঝতে পারত সামিরা এমন কোন কথা বলবে তাহলে কোনদিন কোন ভাবে সামিরাকে কোন বিষয় জোর করত না। রোমান্স তো দূরে থাক। গায়ে একটা ফুলের টোকা পর্যন্ত দিত না। আর সেখানে কিনা কাল রাতে ও স্বামীদের সাথে জোর করে, ছিঃ মুহূর্তটা ভাবতে ওর ঘেন্না লাগছে। নিজেই নিজেকে ধিক্কার জানাতে ইচ্ছা করছে। বারবার নিজের ভিতরে কেমন একটা খারাপ লাগা কাজ করছে। ও ভুল করছে চরম লেভেলের ভুল করেছে। না পাওয়ার ভয়ে সবকিছু জোর করে পাওয়া যায় না, ওর একটা বার উচিত ছিল সামিরাকে ওর ভালোবাসার বিষয়টা জানানো, কিন্তু কি করলো? না আর ভাবতে পারবো না”

“রিহানের এসব ভাবার মধ্যেই পিছন থেকে হাতে তালির শব্দ শুনে তিনজনই সেদিকে তাকায়,”

চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে