অপেক্ষার প্রিয় প্রহর পর্ব-০৭ এবং শেষ পর্ব

0
1319

#অপেক্ষার_প্রিয়_প্রহর
#পর্বঃ৭(শেষপর্ব)
#সাদিয়া_ইসলাম

বোনের বাসায় ছাদে ইরাদের মুখোমুখি দাড়িয়ে আছে ওয়াজিহা। সকাল সকাল বোনের জরুরী কল পেয়ে বাসায় ছুটে আসে সে। আসার পর দেখে ইরাদের বাবা-মা এবং ইরাদ সেখানে উপস্থিত। এবং তার সাথে ইরাদের বিয়ের গুঞ্জন তার কর্ণগোচর হয়। ড্রইং রুমে উপস্থিত সকল মানুষের সামনে কিছু বলার সাহস পায়নি ওয়াজিহা। বরাবরই সে শান্ত স্বভাবের মানুষ। যেখানে বড় বোন, দুলাভাই তার বিয়ের কথা তুলেছে! সেখানে সে আর কি বলবে? এমনিই বোনের সংসারে বোঝার মতো পরে আছে। সেখানে তার কিছু বলা না বলা! সাজে না। বিয়ের কথা বার্তা যেখানে অনেকদূর গড়িয়ে ইরাদ এবং ওয়াজিহা-কে কথা বলার জন্য ছাদে পাঠানো হলো! সেখানে দুজনই নিরব। ওয়াজিহা মাথা নিচু করে ছাদের রেলিং এ হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে। এক হাত দিয়ে অন্য হাত কচলাচ্ছে সে। অন্যদিকে ইরাদ একের পর এক সিগারেট ফুঁকছে। সিগারেটের গন্ধে ওয়াজিহার কেমন একটা দম আটকা অনুভূতি হচ্ছে। কিন্তু কিছু বলার মতো কথা তার মুখ থেকে বেরুচ্ছে না। এই মানুষ টাকে ভালো মতো চিনে সে অলির আকিকার সময় থেকে। এমনিতে শুধু নামে আর সম্পর্কে চিনতো। কথা বলতো না। কথা হয় অলির আকিকার সময় ওয়াজিহাকে যখন পরিচিত মানুষজন কটু কথা শোনাতে ব্যস্ত ছিলো! তখন ইরাদ এসে তাকে ডিফেন্স করেছিলো। সেই থেকে দুজনের মাঝে টুকটাক কথা হলেও ভালোবাসার দৃষ্টিতে কখনও দেখেনি ওয়াজিহা। সেখানে বিয়ের মতো সম্পর্কে জড়াবে! কিন্তু তার যা জীবন! পরশকে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে মানা করাও যায় না। ওয়াজিহা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। বিকেলে রোদের তেজ কমে এসেছে, কিন্তু গরম কমেনি। সেখানে ছাদে দাড়িয়ে থাকা! আর সম্ভব হচ্ছে না ওয়াজিহার। সে নিরবতা ভেঙে ইরাদের উদ্দেশ্যে চোখ নিচু করেই জিগাসা করলো,

‘এভাবে রোদের মাঝে আর কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবো ইরাদ ভাই?’

‘আপনার এই বিয়েতে সম্মতি আছে তো ওয়াজিহা? আমি চাইনা জোড় করে সম্পর্ক গড়তে। আপনি নির্দ্বিধায় আপনা মতামত জানাতে পারেন। আমি সবটা মাথা পেতে মেনে নিবো।’

ওয়াজিহার কথা কানে আসতেই সব জড়তা কাটিয়ে একদমে কথাগুলো বললো ইরাদ। ওয়াজিহা উল্টোদিকে ফিরলো। দূর দৃষ্টিতে প্রকৃতিতে নজর দিয়ে বললো,

‘আমার মতো মেয়ের মত অমতের বিষয় নেই এখানে। আমার আস্থা আমার খোদার উপর। কিন্তু জানিনা কেনো সব জেনেশুনে আপনি আমায় বিয়ে করতে এত হাইপার হয়ে উঠলেন!’

‘হাইপার হইনি ওয়াজিহা। আপনাকে ভালোবাসি আমি। আপনার অপেক্ষায় কত প্রহর যে কাটিয়ে দিলাম ঠিক নেই৷’

ভালোবাসি কথাটা শুনে চমকে উঠলো ওয়াজিহা। এক ভ্রু উঁচিয়ে তাকালো ইরাদের দিকে। বিস্মিত কণ্ঠে বললো,

‘ভালোবাসেন?’

‘হ্যাঁ, বাসি। ২বছর আগে রাতের আধারে সদ্য বিয়ে ভাঙা এক কন্যার কান্না আচমকা আমার বুকটায় জ্বালাপোড়া ধরিয়ে দিয়েছিলো ওয়াজিহা। তার আক্ষেপ, তার কষ্ট সব নিজের অন্তরে দহনে পোড়াচ্ছিলো। এমনিতেই অলির আকিকার দিন আপনার সাথে পরুচিত হয়ে টুকটাক কথা বলতে বলতে কখন যে দু্র্বল হয়েছিলাম বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম জব পেলে বিয়ের কথা বলবো। ততদিনে ফারহাদের সাথে বিয়ের কথা উঠলো। আমি পারলাম না আপনাকে আপন করার প্রয়াস করতে। ভাবলাম হয়তো ভালো থাকবেন দুবোন এক সংসারে। চুপচাপ সরে গেলাম। কিন্তু আপনি আরও ভেঙে পরলেন। আপনার পাশে শক্ত ছায়া হয়ে দাড়াতে পা,★রলাম না। পরশ ভাই আর সমাজের মানুষের তিক্ত কথার ছুড়িতে। ভাবলাম এক তো বিয়ে ভাঙলো। আপনার আশেপাশে আমায় দেখলে হয়তো কথা উঠবে আমার জন্য বিয়ে ভেঙেছে। তাই চুপ থাকতাম। দূর থেকে আপনার খেয়াল রাখার চেষ্টা করতাম। আপনাকে একদিন আমার করে পাবো! তার অপেক্ষা পাশাপশাি ভালোবাসা বেড়ে যাওয়া। এটাই ছিলো আপনার জন্য আমার অপেক্ষার প্রহর। যা বড্ড প্রিয় আমার। অবশেষে নিজেকে আপনার যোগ্য মনে হওয়ায়, বাড়িতেও বিয়ের কথা বলায় প্রথমে পরিবারকে মানিয়ে নিলাম। মা অবশ্য রাজী ছিলো না। বাবা বিদেশ থেকে ফিরে বুঝিয়েছে। যা হয়েছে, তাতে আপনার তো দোষ নেই। আমার বোন থাকলে তার সাথে এমন হলে! মা পারতো কি আঙুল তুলতে? পরে মা ভেবেচিন্তে নিজের মত বদলেছে। খুশিমনেই মেনে নিয়েছে। এরপর পরশ ভাইকে গতকাল রাতেই সব বলেছি। বলে সকালে এখানে আসা। বাকি-টা আপনার উপর ছেড়ে দিলাম এখন।’

ইরাদ ওয়াজিহার দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলিয়ে কথাগুলো আলতো স্বরে বললো। ওয়াজিহা আরও একদফা অবাক হলো। এতগুলো দিন হলো এই মানুষ-টা তাকে ভালোবাসে! ভাবতেই বিস্ময়ের ঘোর কাটছেনা তার৷ ওয়াজিহা ফোঁস করে দম ফেললো। নিচুস্বরে বললো,

‘আমার কপালে আপনি থাকলে! সেটাই সই। কারোর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা উপেক্ষা করলাম না তবে৷ এটাই যদি আমার রবের ইচ্ছে হয়! তবে আমার অমতের কিছু নেই। ভরসা করলাম আপনাকে।’

ইরাদের অধরে হাসি ফুটে উঠলো। ওয়াজিহা তাকিয়ে দেখলো সেই হাসি। ওয়াজিহার চোখে চোখ পরতেই ইরাদের হাসি চওড়া হলো। ওয়াজিহা মৃদু হাসলো। ইরাদ মাথা চুলকে ওয়াজিহাকে বলে প্রস্থান নিলো ছাদ হতে। ওয়াজিহা একটু দেরিতে যাবে, নিজের মতো একটু সময় কাটাবে বলে ইরাদকে জানায়। সেজন্য ইরাদ একাই যায়। তার ওয়াজিহার মতামত জানার ছিলো। জানা শেষ। এবার বিয়ে সেরে ফেলার পালা। ইরাদ নিচে এসে সবাইকে খুশির সংবাদ টা জানায় ওয়াজিহা রাজী। বড়রা সব বসলো বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করতে। আজমির শেখ এবং ফজলু শেখ দু ভাই মিলে ভালো দিনক্ষণ ঠিক করলেন। রাফা এবং তার চাচী শাশুড়ী মিসেস সালেহা মিলে দুপুরের খাবারের পাট চুকানোর পর থালাবাসন সব ধুয়ে গুছিয়ে নিয়ে বিকেলের নাস্তা বানানোয় ব্যস্ত। মিসেস আলেয়ার এই বিয়ের বিষয়ে হেলদোল নেই। রাফা বা ওয়াজিহা কাউকেই তার পছন্দ নয়। বড় ছেলের পছন্দে বিয়ে করিয়ে ভীষণ ভুল করেছেন বলে উনার ধারণা। ছেলের কপালে শ্বশুর বাড়ির জামাই আদর জুটলো না। সেজন্য তো ছোটো ছেলের জীবনে এই অনাদর যেনো না হয়! বিয়ের আগেই ৌঃ কসম কাটিয়ে বিয়ে ভাঙিয়েছিলেন। বিয়ের কথা যখন উঠেছিলো! তখন থেকেই ছেলেকে বোঝাতে বোঝাতে পাগল হবার যোগার হয়েছিলো উনার। কিন্তু ছেলে একান্তে উনার সাথে বসে কথা বলার সুযোগই দিতো না। অবশেষে বিয়ের আগের রাতে গহন রাখতে গেলে কসম দিয়েছিলেন। ভাগ্যিস দিয়েছিলেন! নয়তো এই অপয়া মেয়ে-টা তার ছেলের কপালে জুটতো। বড় ছেলের মতোই শ্বশুর বাড়ির ছায়া মাড়ানোর কপাল হতো না। ছেলের চাকরির প্রমোশন হয়েছে। এবার ভালো ঘরে বিয়ে করানোর পালা। এতদিন ফারহাদকে বিয়ের কথা বলেও মানানো যায়নি। বিয়ের কথা বললেই বলতো, ওয়াজিহার বিয়ে হলে তবেই সে বিয়ে করবে। হোক ওয়াজিহার বিয়ে তার জা-য়ের সন্তানের সাথে। কপাল পুড়লে ইরাদের পুড়বে। তার ছেলের তো ভালো ঘরে বিশে হবে! মনে মনে এসব ভেবে একা একা-ই আহ্লাদে গদগদ হলেন মিসেস আলেয়া।

ফারহাদ ওয়াজিহা এবং ইরাদের বিয়ের কথা শুনে প্রথমে কষ্ট পেলেও ওয়াজিহা ভালো থাকবে ভেবে নিজের মনকে মানিয়ে নিয়েছে সে। সবাই যখন বিয়ের কথাবার্তা নিয়ে ব্যস্ত। তখন ফারহাদ চারদিকে নজর বুলালো। ড্রইং রুমের এক কোণায় দাড়িয়ে ছিলো সে। সবাইকে দেখলেও ওয়াজিহা নেই দেখে ভেবে নিলো সে ছাদ থেকে নামেনি। সবার অলক্ষ্যে আলগোছে ছাদের দিকে পা বাড়ালো ফারহাদ। ছাদে গিয়ে দেখলো ওয়াজিহা ছাদের রেলিং ঘেষে হাটমুড়ে বসে মাথা-টা রেলিং এর সাথে এলিয়ে কাঁদছে। ফারহাদ দ্রুতপদে ওয়াজিহার সামনে গিয়ে বসলো। ব্যস্ত কণ্ঠে শুধালো,

‘কাঁদছো কেনো জিহা?’

পরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে সামনের দিকে দৃষ্টি মেললো ওয়াজিহা। নিজের ভাবনায় মগ্ন থাকায় ফারহাদের অস্তিত্বও টের পায়নি সে। কিন্তু তার কণ্ঠস্বরে ওয়াজিহার ভাবনায় ছেদ পরলো। সে চমকে ওঠে ফারহাদকে দেখে। ক্লান্ত স্বরে বলে,

‘আপনি এখানে কেনো? কি চাচ্ছেন আবার? আমার জীবনে নতুন ঝড় আসুক এটা? আপনাকে আমার সাথে দেখলে তো আপনার মা কথা উঠাতে ছাড়বেনা।’

‘আমি এখুনি চলে যাবো। শুধু এটা বলতে বসা! ইরাদ খুব ভালো ছেলে। ওকে কষ্ট দিও না কখনও। আমি যা পাপ করেছি, তাতে আমায় ঘৃণা করে ওকে আকড়ে ধরো। ও বড্ড ভালো।’

‘আমি আপনাকে আকড়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম।’

‘উপরওয়ালা চাননি। তাই এক উছিলায় ভেঙে গেছে।’

‘সেই উছিলা আজও জানলাম না। ‘

‘জানলে ঘৃণা উবে যাবে। ভালো থাকবেনা। যেটা আমি চাই না।’

‘২য় বার বিয়ে ভাঙলেন! অথচ ইরাদ সাহেবের সাথে হতে দিচ্ছেন যে! আমার তো আশার একটা আলো ছিলো আপনি একসময় ঠিক ফিরবেন আমার তরে।’

‘ফিরার উপায় নেই। সে ছেলে মদখোর, মেয়ে পাগল ছিলো। খোজ খবর নিয়ে তবেই ভেঙেছি। ইরাদ তা নয়। তোমায় বড্ড ভালোবাসে।’

‘সে ভালোবাসে বুঝলেন কি করে?’

‘সে যাকে ভালোবাসে, তাকে আমিও ভালোবাসি তো! এজন্য টের পাই তার চোখের ভাষা তোমায় ঘিরে।’

‘ভালোবাসেন, অথচ হাত টা ধরলেন না!’

‘উপায় নেই, ক্ষমা চাইবোনা। ঘৃণা করো। ভালো থেকো।’

‘শুরু হয় ভালোবাসি শব্দ দিয়ে। শেষ হয় ভালো থেকো দোআ দিয়ে। এটা কেমন উপহাস নিয়তির?’

‘মনে রেখোনা এই উপহাস। আফসোসে পরিণত করো ভালো থেকে। যারা আঙুল তুলেছিলো, আমায় ভালো রাখতে পারতেনা বলে বিয়ে ভেঙেছি। ভালো থেকে, ইরাদকে ভালো রেখে তাদের দেখিয়ে দাও।’

‘আপনি আমার এক আকাশ আফসোসের নাম। আপনার জন্য আমার অপেক্ষার প্রহর গুলো বড্ড প্রিয় ছিলো। আজ থেকে শেষ। এ এক অসহনীয় যাতনা।’

‘যাতনায় পুড়ে খাটি হোন প্রিয়। আপনার জীবন সুন্দর হোক।’

ফারহাদ কথা শেষ করে উঠে দাড়ালো। দ্রুতপদে স্থান ত্যাগ করলো। ওয়াজিহা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। এই কান্না তার কষ্টের সমাপ্তি ঘটাক।

মাঝখানে কেটে গেলো দুসপ্তাহ। ইরাদ আর ওয়াজিহার বিয়ে সম্পন্ন হলো আজ। ঘরোয়া ভাবেই ছোট্ট আয়োজনে বিয়ে হলো দুজনের। একটু আগেই দুজনকে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে গেলো ইরাদের সব কাজিন-রা মিলে। ইরাদ ঘরে ঢুকে দেখলো ওয়াজিহা ঘোমটায় মুখ ঢেকে বসে আছে। সে গিয়ে ওয়াজিহার সামনে বসে সালাম দিলো। ওয়াজিহা সালামের জবাব দিয়ে নিজেও সালাম দিলো। ইরাদ কাঁপা হাতে ঘোমটা উঠালো ওয়াজিহার। ঘোমটা উঠিয়ে ওয়াজিহাকে বধু সাজে নয়ন ভরে দেখে নিলো। ওয়াজিহা লজ্জায় মাথা অবনত করে রেখেছে । ইরাদ থুতুনিতে তর্জনী আঙুলের সাহায্যে ওয়াজিহার মুখ উচিয়ে ধরলো। অস্ফুটস্বরে বললো,

‘মাশা আল্লাহ বউ। আপনাকে পেয়ে আমার অপেক্ষার প্রিয় প্রহর গুলোর সমাপ্তি ঘটলো। ভালোবাসি আপনাকে।’

ওয়াজিহা মৃদু হাসলো। আলতো স্বরে বললো,

‘ভালোবাসি কিনা জানিনা। তবে ভালো রাখার চেষ্টা করতে পারি।’

ইরাদ মুচকি হাসলো। মাথার চুলে হাত চালিয়ে বললো,

‘আমার তাতেই চলবে।’

ওয়াজিহা ইরাদে সাথে তাল মিলিয়ে হাসলো। ইরাদ দু হাত প্রসারিত করে বললো,

‘একবার বুকে আসবেন? অসস্তি হলে মনের উপর জোড় চাপিয়ে আসবেন না। প্রমিজ আপনাকে আপনার মনের সম্মতি ছাড়া ছুবো না। কিন্তু আজ একটিবার জড়িয়ে ধরার তীব্র বাসনা জাগলো।’

ওয়াজিহা ইরাদের দিকে একপলক তাকালো। চোখে কি হাপিত্যাশ তাকে একটিবার জড়িয়ে ধরার। তার-ই তো স্বামী। ওয়াজিহা অসস্তি কাটিয়ে আলগোছে ইরাদের বুকে মাথা রাখলো। ইরাদ হাসলো। হাত দিয়ে শক্ত বাঁধনে আচ্ছাদিত করলোনা । ওয়াজিহা যদি কমফোর্ট ফিল না করে! এই ভেবে। কিন্তু মাথায় এক হাত রেখে বললো,

‘আপনি আমার অপেক্ষার প্রিয় প্রহরে পাওয়া দারুণ প্রাপ্তি। আমিও চেষ্টা করবো আপনাকে ভালো রাখার। শুধু যত ঝড় বয়ে যাক। আমার হাত ছাড়বেন না।’

ওয়াজিহা মৃদু হাসলো। আলতো স্বরে বললো,

‘ছাড়বোনা। কথা দিলাম। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’

ইরাদ প্রাপ্তির তৃপ্তিতে চোখ বুঝলো। ওয়াজিহাকে সে ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তারা ভালো থাকুক।

সমাপ্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে