#অন্যরকম_তুমিময়_হৃদয়াঙ্গণ
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#বোনাস_পর্ব
“বিবিজান আপনাকে তো ভেজা শাড়িতে সুপার মডেল লাগছে। একদম জিরো ফিগারের নায়িকা। কিন্তু মাঝে আপনার মুখে ঘোমটা মানাচ্ছে না। কিন্তু বিবিজান আপনি চিন্তে করিয়েন না। আমি স্বামী হয়েছি কি করতে? আমিই সরিয়ে দিচ্ছি।”
স্বাভাবিকভাবে কথাটি বলে আফরাজ নাজীবার ঘোমটায় হাত দেয়। চমকে গেল সে। বাথটাবের সামনে আফরাজ দাঁড়িয়ে আছে। সে চাইলেও তাকে পেরিয়ে পালাতে পারবে না। কিন্তু নাজীবা মোটেও চাইছে না তার চেহারা আফরাজ কে দেখাতে। বিধায় সে ইচ্ছেকৃত নিজের ঘোমটা কে হেঁচকা টান দেয়। যার কারণে ফ্লোরের সাবানের পানিতে আফরাজ এর পা লেগে যায়। পা পিছলে একেবারে নাজীবার বাহু ধরে বাথটাবের ভেতর উপ্রে পড়ে। সে ভাবতেও পারেনি আফরাজ তার শরীরের উপর পড়ে যাবে। আফরাজ একহাতে মুখের পানি মুছে নাজীবার উপর পড়ে থাকা অবস্থায় বলে,
“কি বিবিজান অবাক হলে ফেলতে আমাকে চাইছিলে অথচ ডুব খেলাম দু’জনে একসাথে। জোস না? চলো বিবিজান একটু রোমান্স করা যাক।”
কথাটুকু বলে আকস্মিক নাজীবার দু’বাহু ধরে বাথটাবের পানিতে মুখ ডুবিয়ে চুবাতে লাগল আফরাজ। নাজীবার অবস্থা কাহিল হয়ে গেল। নাক-মুখে পানি ঢুকায় কাশতে লাগে সে। কোনো কথা ছাড়া আফরাজ নিজেই নাজীবাকে কোলে উঠিয়ে নেয়। সেদিন আফরাজ এর মত আজ নাজীবাও ঠকঠক করে শীতে কাঁপছে। তাকে ওয়াশরুমের আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে আফরাজ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে যায়। আলমারি খুলে গরম পোশাক এনে নাজীবার পাশে রেখে দেয়। সেও রাগে কোনোরূপ কথা ছাড়াই আফরাজ কে ধাক্কা দিয়ে ওয়াশরুমের বাহিরে পাঠিয়ে দেয়। আফরাজ বাঁকা হেসে বলে,
“টক্কর তো এমন মানুষের সাথেই দেওয়া উচিৎ। যার টক্কর দেওয়ার যোগ্যতা প্রখর। আই লাইক ইউর কম্পিটিশন উইথ মি মিসেস বিবিজান।”
নাজীবা তোয়ালে শরীর ভালোমত মুছে রাগে গজগজ করে চিল্লিয়ে বলে,
“মিস্টার করলা সাদা কাউয়ার বফ আমাকে পানিতে চু’বা’নোর শোধ আমি নেবোই।”
“তার জন্যে বিবিজান আপনাকে দরজা খুলে আমার সামনে মুখোমুখি হতে হবে। পারবেন তো হতে?”
“হ্যা হ্যা একশবার পারব।”
কথাটি বলতেই নাজীবা চমকে গেল সে ভুলে নিজেরই সর্বনাশ করে দিল। আফরাজ ওয়াশরুমের বাহিরে থেকে তালি বাজিয়ে বলে,
“বাহ্ এই না হলো মিসেস বিবিজান এর মত কথা। তো বিবিজান আপনার বরমশাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।”
মৃদু হেসে আফরাজ আলমারি খুলে নিজের উইন্টার সুট পরে নেয়। ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে হেয়ার ড্রায়ারে চুল শুকাতে লাগল। অন্যথায় নাজীবার কাছে ঘোমটা দেওয়ার মত কিছু নেয়। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)পরণের শাড়িটাও খচ্চর ব্যাটা ভিজিয়ে দিয়েছে। এখন সে নিজেকে মেলে ধরলে আফরাজ কে গুণের জালে ফাঁসানোর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই সে দু’তিন মিনিট ভাবতে লাগল। কেমনে আফরাজ এর চোখ ফাঁকি দিয়ে পালানো যায়। পরক্ষণে তার মাথায় অসাধারণ বুদ্ধি চাপে। সে গলা ঝেড়ে ওয়াশরুমের দরজা হালকা ফাঁকা করে করুণ গলায় বলে,
“কষ্ট করে কুসুমা ভাবীকে ডাক দিন।”
আফরাজ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে,
“কেনো?”
“আমার একটু সমস্যা হয়েছে। আজেন্ট ভাবীকে লাগবে।”
“ওহ বুঝতে পেরেছি। তুমি অপেক্ষা করো। ডাকতে যাচ্ছি আমি।”
কথাটি বলে তৎক্ষণাৎ আকবর এর রুমের দিকে পা বাড়ায় সে। তাকে বের হতে দেখেই নাজীবা তার ভেজা কাপড়গুলো নিয়ে দৌড়ে তার রুমে গিয়ে দরজা- জানালা ভালোমত লাগিয়ে বিছানায় কম্বল জড়িয়ে শুয়ে পড়ে। আফরাজ রুমে এসে রাগে পায়চারী করছে। সে বুঝে উঠতে পারছে না কেমনে ঐটুকুন মেয়েটা তাকে বোকা বানালো। এই মেয়েটার সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি। ভেবেই স্থির হয়ে সোফায় বসে পড়ল। গা হেলিয়ে মাথার পেছনে হাত গুজে আনমনে বলে,
“আমি কেনো তার চিন্তা করছি? এই তিনদিন সামনে আসেনি বলেই কি আমি বেশি মিস করছি? না না, মেয়ে বেশি নিজের ভাব জমিয়েছিল। একদম উপ্রে ফেললাম। আমাকে সেদিন ধাক্কা দিয়ে সমুদ্রে ফেলল। তাও মেয়েটার আল্লাহর কাছে শোকরিয়া করা উচিৎ। শুধু ভিজিয়ে দিয়েছি। অন্য স্বামী হলে আরো কিছু করতো। কপাল করে আমার মত স্বামী পেয়েছে হাহ্। ধুরো তাতে কি আজও তো আমাকে বোকা বানিয়ে পালিয়েছে মেয়েটা । পাগল মেয়ে একটা।”
আফরাজ নিজের মত বিরবির করে ভাবনার রফাদফা করে দিচ্ছে। অথচ সে যে একটু একটু করে মেয়েটার প্রতি আগ্রহে জড়িয়ে যাচ্ছে তা সে বুঝতেই চাইছে না।
তিনঘণ্টা পরে…..
নাজীবা ঘুম থেকে উঠে দেখল দুপুর ১টা বেজে গিয়েছে। সে চট করে উঠে বসে। মাথায় হাত রেখে আজ ভোর সকালে আফরাজ এর করা কান্ডের কথা ভেবে হেসে দেয়। কেননা ভোরের সূর্য উদয় এর সময়টিতে নাজীবা ভোরের সকাল উপভোগ করছিল। তবে এতে সে প্রশান্তি পেলেও মন খারাপটা তার যায়নি। কারণ আজ তিন দিন ধরে সে আফরাজ এর সামনে যায় না। তার বাবা-মায়ের ব্যাপারে সে-রাতের কথাগুলো সে ভুলতে পারেনি। তাই সে ইচ্ছেকৃত এড়িয়ে চলতে থাকে আফরাজ কে। এতে সে মাঝেমধ্যে খেয়ালও করেছে যে, আফরাজ তার এড়িয়ে চলাটা-কে পাত্তা দেয় না।
বিধেয় তার অভিমান তীব্র হয়ে উঠে। আজ মন ফুরফুরে করতে সে রান্নাঘরে গিয়ে নিজের জন্য সুস্বাদু কফি বানায়। কফির রং ঘন ও ফেনা হওয়ায় বেশ খুশিও হলো বটে। যেই না কফির মগে চুমুক দেওয়ার জন্য ঘোমটা সরাবে তখনই আফরাজ এসে ছুঁ মে’রে কফির মগ ছিনিয়ে নেয়। হকচকিয়ে ঘোমটা টান টান করে ফেলে নিজের। আফরাজ গরম কফির মগে চুমুক দিয়ে নাজীবার দিকে আড়চোখে চেয়ে বলে,
“হুম কফিটা দারুন হয়েছে। আই লাইক ইট। নেক্সট টাইম থেকে আপনি আমার জন্যে কফি বানিয়ে আনবেন বিবিজান। বুঝছেন?”
সরাসরি আদেশ পাওয়ায় নাজীবা তেঁতে উঠল। মুখ ভেটকিয়ে বলে,
“আপনি না বলেছিলেন নিজের চরকায় তেল দিতে। তো আমি কোন খুশির ঠেলায় আপনার চরকায় তেল মাখতে যাবো হে?”
বিবিজান এর কথা শুনে আফরাজ প্রতিত্তর না করেই অবশিষ্ট কফি খেয়ে মগটা ধুয়ে রেখে দেয়। স্বামীর নিশ্চুপতায় নাজীবা-র অভিমান বাড়লেও পাত্তা দেয় না। সে রান্নাঘর থেকে বেরোনোর আগেই আফরাজ অনাকাঙ্ক্ষিত এক কান্ড করে ফেলল। নাজীবা-কে চেপে ধরে কোলে উঠিয়ে নেয়। চমকে গেল সে। হাত-পা ছড়াছড়ি করতে চাইলে আফরাজ চোখ রাঙিয়ে তাকায়। ঢোক গিলে চুপ হয়ে যায় সে। অতএব ভাবনার ইতি টেনে হেসে দেয় নাজীবা।
আনমনে নিজেকে বলে,
“আপনি ধীরে ধীরে আমায় মিস করা শুরু করেছেন জনাব। আপনি নিজেও জানেন না! আপনি যে আমার পাগলামিপনায় আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন।”
দরজায় টোকা পড়ার শব্দে সে চোখ ফিরিয়ে বলে,”জ্বী ভাবী বলুন?”
“নাজীবা তুমি আসবে না খেতে? সেই যে সকালে ঘুম গেলে পেটে কোনো খাবার গিয়েছে? ফ্রেশ হয়ে জলদি আসো খেতে।”
“আচ্ছা ভাবী আপনি যান আমি আসছি।”
কথাটুকু বলে চট জলদি ফ্রেশ হতে চলে যায় সে। দশ-এগারো মিনিট পর বের হয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়ে নেয়। হঠাৎ সে তার হাতের কবজিতে লালাচে দাগ দেখে চমকে যায়। তার মনে পড়ে যায় তিন দিন আগের কথা।
তিনদিন আগে..
নাজীবার হাতের কবজি ছিঁড়ে র’ক্ত গড়িয়ে ফ্লোরে পড়ছে। তার অজ্ঞানরত অবস্থায় বার’কয়েক খাদিজা বেগম এসে দরজায় টোকা দিয়ে ছিল। তিনি চিন্তিত , মেয়েটিকে সেই সকাল থেকে নিচে না দেখে শান্ত মনে চিন্তা এসে ভর করল। কোনো ভাবে তার নাতির সেবা করতে করতে সে নিজেই কোনো অসুস্থ হয়ে পড়ল না তো? এই ভেবে তিনি পুনরায় দরজায় টোকা দেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তৎক্ষণাৎ আফরাজ কে কল লাগায়।
আফরাজ অফিসের কন্ট্রোল রুমে ফাইল’স জমা দিয়ে সেগুলোর ফাইনাল ডেলিভারি ডেইট নিয়ে ডিসকাস করছিল। তন্মধ্যে দাদীর কল দেখেছে সে। তবে রেসপন্স করার মত সুযোগ পায় নাহ্। প্রায় একঘণ্টা পর সে ফ্রি হয়ে তার কেবিনে এসে নিজ চেয়ারে বসে পড়ে। দাদীকে কল করার কথা তার আর মনেই রইল না। ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করার জন্য পকেট থেকে ফোন বের করতেই দেখে, নোটিফিকেশন এ দাদীর বিশ’বার কল। বাসায় কারো কিছু হলো না তো? এই ভেবে সে দ্রুত তার দাদীকে কল লাগায়।
কিন্তু এখন আর দাদীকে কলে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থির মনটা যেনো হুট করেই অস্থির হয়ে গেল আফরাজ এর। দাদীকে কলে না পেয়ে তৎক্ষণাৎ বাসার ল্যান্ডফোনে কল লাগায়। তখন উদাসীন মনে কলটা রিসিভ করে কুসুমা ভাবী। তিনি একরাশ মন খারাপী নিয়ে ‘হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম কে বলছেন?’ বলল।
আফরাজ সালামের জবাব দিয়ে বলে,
“ভাবী বাসায় সবাই ঠিক আছে তো? দাদীর এত কল দেখলাম। আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম বলে , রেসপন্স করতে পারিনি। দাদী কি কোনো ভাবে অসুস্থ হয়ে…?”
তার কথায় অপরিপূর্ণতা টেনে কুসুমা ভাবী মন খারাপের সুরে বলে,
“ভাইয়া আপনি হয়ত জানতেন না? নাজীবা ভাবীর পাগলামী যেনো কন্ট্রোলে থাকে। তার জন্য সে প্রতি রাতে ডিনারের পরপর মেডিসিন খেতো। গতরাতে হয়তো মেডিসিন খায়নি। তাই আজ সকাল থেকেই নিজের রুম থেকে বের হয়নি। এর জন্যে দাদী বারবার ভাবী রুমে গিয়ে দরজা ধাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু ভাবী দরজা খুলছে না দেখে আমরা ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলাম। তাড়াতাড়ি গার্ড ডেকে দরজা ভাঙ্গতেই…”
কথাটুকু বলে কুসুমা ভাবী আর কথা বলতে পারছে না। সে শাড়ির আঁচলে মুখ চেপে কান্না থামানোর চেষ্টা করে। সে বাকি কথা বলার পূর্বেই কল কাট হয়ে যায়। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
আফরাজ এর হাত-পা জমে গেল মুহুর্তেই। কি শুনলো সে এসব? তার দায়িত্ব থেকে সে এভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ছিল। যার দরুণ একটা মেয়ের জীবন ঝুঁকিতে পড়ল। আফরাজ তৎক্ষণাৎ তার গার্ড কে কল লাগায়। বাকি তথ্য তার থেকে জেনে দ্রুত হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়।
কুসুমা ভাবীর মুখ থেকে কথাগুলো শুনে হতবাক হয়ে যায় নাজীবা। তার স্বামী তার অসুস্থতায় ছুটে আসবে এটাই তো সে চেয়ে ছিল। সেই দিন সবাই ভেবে ছিল তার পাগলামীপনার কারণে সে নিজেকে আহত করেছে। আসল সত্য যে কারো জানা নেই।
কোনোমতে নিজের হাতে তুলো লাগিয়ে ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে নেয়। তারপর, লম্বা হাতার থ্রিপিচ পরে প্রথমে যোহরের নামাজ আদায় করে নেয়। আজ থ্রিপিচের ওড়না মাথায় দিয়ে ঘোমটা স্বরুপ পরল। কেননা তার হাতের লালাচে দাগ যদি কারো চক্ষুগোচর হয়। তবে কারো প্রশ্ন থেকে রেহাই পাবে না। বিধায় বুদ্ধিটা কাজে লাগায়।
আজ শুক্রবার হওয়ায় লান্স টাইমে,
খাবার টেবিলে সকলে খেতে বসেছে। নাজীবা আড়চোখে সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত আফরাজ কে দেখল, তার হার্টবিট যেন মুহূর্তেই বেড়ে গেল। সকালে তো তাকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে। বোকা বানানোর জন্য কি আবার প্রতিশোধ নেবে? সেই ভয়ে মনে মনে চুপসে যাচ্ছে নাজীবা। আফরাজ তার বউকে আসতে দেখে বাঁকা হাসল। তার এই হাসি দেখে এক ঢোক গিলে নাজীবা।
সে সন্তপর্ণে তার দাদী শ্বাশুড়ির পাশে বসতে নিলে গম্ভীর কণ্ঠ শুনে থেমে যায়। আফরাজ তার প্লেটে বিরিয়ানি বেড়ে মুরগির রোস্ট নিচ্ছিল। সেই সময় গম্ভীর গলায় বলে,
“বিবিজান আপনি মনে হয় ভুলে যাচ্ছেন। বিয়ের পর বউরা তাদের নিজ হাতে স্বামীকে খাবার খাওয়ে দেয়। তাই বিবিজান কষ্ট করে আপনি ওই চেয়ার ঠিকভাবে রেখে আপনার স্বামীর পাশের চেয়ারে এসে বসুন।”
তার মুখে স্পষ্ট শয়তানি হাসি দেখতে পাচ্ছে নাজীবা। দাঁতে দাঁত চেপে ‘হেহেহে’ হেসে কুসুমা ভাবীর পাশ কেটে আফরাজ এর পাশে গিয়ে বসে। তাদের দেখে বাকিরা মিটমিটিয়ে হেসে খাবার খাওয়ায় মনযোগ দিল। অন্যথায়, আফরাজ সকলের চক্ষু আড়ালে তার বাম হাত নাজীবার কামিজ ভেদ করে কোমড়ে রেখে হালকা চাপ দেয়। কেঁপে উঠে নাজীবা।
চলবে……