অন্ধকার জীবনে নতুন আলো

0
4682
অন্ধকার জীবনে নতুন আলো লেখিকা : সাহিদা বেগম মানুষের তো একটাই জীবন তাই না । আর এই এক জীবনে মানুষ কত স্বপ্নই না দেখে। কিছু কিছু মেয়েরা Airtel মতো হঠাৎ পাশে আসে । আর রবির মতো জ্বালে উঠে । বাংলালিংকের মতো বদলে যায় । আর জিপির মতো বহু দুর চলে যায়। আপনাদের একটু বেশি confuse করে ফেললাম মনে হয়।যাই হোক এবার গল্পের মধ্যেই ফিরে আসি । আমি তাহিব রহমান । বাবা-মায়ের একমাএ সন্তান ।পড়াশোনা শেষ করে এখন বাবার ব্যবসার হাল ধরছি । ব্যবসার ডোকার কয়েক মাস যেতে না যেতে আমাকে হতে হয় বলির পাটা আরে বুঝলেন না সেটা একটু পরে বুঝতে পারবেন । আপনাদের সাথে কথা বলে রুমে ডুকার সাথে সাথে কেউ একজন বলে উঠে ,
আচ্ছা আপনি এতো ক্ষণ কোথায় ছিলেন ,আর আমি আপনাকে সারা বাড়ী খুঁজলাম কোথাও পেলাম না ।(এক দমে বলল কথাগুলো) তাহিব:- আরে থামো থামো এত কথা কেন বল তুমি একটু ধীরে বললে তো পারো । আমি একটু বাহিরে গিয়েছিলাম (Ohhhhh sry sorry sry যে আমার সাথে কথা বলের তার তো পরিচয় দিতেই আমি ভুলে গেছি । ওর নাম -তাহিবা রহমান , ও আমার wife আজ থেকে ১ মাস আগে আমাদের বিয়েটা হয় । বিয়েটা আমার মতের বিরোধে হয়ে ।কারণ বাবা -মা তো সন্তানের কষ্ট দিনের পর দিন দেখতে পারে না তাই তারা আমার বিয়েটা তাহিবার সাথে দিয়েছেন তাহিবার কথায় ভাবনার জগত থেকে বের হয়ে আসি) তাহিবা :কেন গিয়েছিলেন আর আমাকে বলে যান নি কেন ? তাহিব: এমনি গিয়েছিলাম । আর তোমাকে কেন বলে যাবো । আমি কাউকে বলতে বাধ্য নয়।আর তোমাকে কতবার বলব যাকে আমার কোন কিছুতে নাখ না গলাতে আমার কথা তোমার কান দিয়ে ডুকে না।(রেগে বললাম কথা গুলো) তাহিবা: lam sorry আমি আসলে বোঝতে পারি নি আপনি রেগে যাবেন । আচ্ছা চলেন ডিনার করবেন ? তাহিব: আমি খাবো না । আমার ক্ষিদে নেই । তুমি খেয়ে শুয়ে পর।(বলে আমি শুয়ে পরলাম) পরের দিন সকালে অফিসের জন্য রেড়ি নাস্তা করতে টেবিলে গেলাম এমন সময় মা বললেন মা: কিরে তোর ঘুম তাহলে হলো আমরা সেই কখন থেকে তোর জন্য অপেক্ষা করছি আমি: হ্যাঁ মা ঘুম হয়েছে। কিন্ততোমরা কেন শুধু আমার জন্য অপেক্ষা করবে তোমরা খেয়ে নিয়েই তো পারতে তোমাদের না সকালের ঔষদ আছে (মাকে নাস্তা করতে করতে বললাম) এমন সময় বাবা বলে উঠলেন বাবা:আচ্ছা তাহিব তোর আর তাহিবার বিয়ের তো অনেক দিন হলো । মেয়েটাকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আয় আজ তাহিব: আমি পারবো না বাবা আমার কাজ আছে (নাস্তা শেষ করে চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে বললাম) তারপর অফিসে চলে গেলাম। অফিসে গিয়ে সব কাজ শেষ করে রাতে বাসায় এসে fresh হয়ে শুয়ে আছি এমন সময় তাহিবা এসে বললো তাহিবা :চলুন ডিনার করবে ? তাহিব: তোমরা সবাই ডিনার করেছ ? তাহিবা: হ্যাঁ মা বাবা সেই কখন ডিনার করে শুয়ে পরছে তাহিব:আর তুমি করবে নাই (এ কথা বলে আমি তাহিবার দিকে তাকালাম দেখি তাহিবা অভাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে ) তারপর আবার বললাম তাহিবাকে তাহিব:কি হলো কিছু একটা বলোও এভাবে হা……করে তাকিয়ে আছো কেন আমার দিকে তাহিবা:আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম তাহিব:ওহহ আমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না তোমাকে (আর কিছু না বলে সোজা চলে গেলাম খাবার টেবিলে গিয়ে খাবার খেয়ে রুমে এসে শুয়ে পরলাম তারপর তাহিবা রুমে এসে লাইট অফ করে শুয়ে পরলো ) মাঝরাতে কারো গরম নিশ্বাস বুকের উপর পরতেই আমার চোখ খুলে তাকাই তাকিয়ে দেখি তাহিবা আমার বুকের মাঝে মাথা রেখে শুয়ে আছে কি সুন্দর লাগছে ওর ঘুমন্ত চেহারাটা ওর দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকার হঠাৎ অতিতের একটা বেইমানের কথা মনে পরে যায় । বেইমানের কথা মনে হতেই তাহিবাকে আমার বুক থেকে নামিয়ে ওকে বালিশে রেখেদেই ওর মাথাটা ।তারপর আমিও শুয়ে পরি এইভাবে চলছিল তাহিবার সাথে আমার সংসার। একদিন বিকেলে ছাদে বসে আকাশে দিকে থাকিয়ে ভাবছিলাম অতিতের কথা আজ থেকে প্রায় ২বছর আগে মায়ের ডাকে প্রতি দিনের মতো আজও ঘুম ভাঙ্গল ঘুম থেকে উঠে fresh হয়ে সকালে নাস্তা করতেছি এমন সময় মা বলে উঠল মা: আচ্ছা তাহিব তুই কি কখনও ঠিক হবি না ? তাহিব: কেন ।আমি কি করছি মা: কি করছ নাই সেটা বল? এখন তো বড় হইছো তাই । তাহিব: না মা আমি কিন্তু এখনো বড় হই নাই । যদি বড় হতাম তাহলে তোমরা আমাকে এত দিনে বিয়ে দিয়ে দিতে আর নানি-নাতনীর মুখ দেখেতে । তোমাদের দেখলে মনে হয়ে তোমাদের ছেলে এখনও বড় হয় নাই। মা: সারাক্ষণ শুধু কি তোর মাথায় বিয়ে চিন্তাই ঘোরে আর কোন কিছু ঘোরে না তাহিব: হ্যাঁ ঘোরে তো একটা সুন্দরী বউ মা:আচ্ছা শোন এসব মেয়েদের কথা আর বন্ধুদের সাথে ঘোরেঘুরি না করে বাবার অফিসে তো জয়েন করতে পারিছ তাহিব :মা এসব আমার দ্বারা হবে না (চোয়ার থেকে উঠতে উঠতে বললাম ) তারপর বাহিরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে অনেক আড্ডা দিয়ে বিকেলের দিকে বাসার জন্য রওনা দিলাম ।আজ গাড়ী নিয়ে বের হইনি তাই রিক্সার জন্য দাড়িয়ে আছি ।অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর কোন রিক্সা পেলাম না ।তাই কিছুটা বাধ্য হয়ে হেঁটে হেটে বাসার দিকে যাচ্ছি । অনেকটা পথ যাওয়া পর একটা রিক্সা পেলাম রিক্সাতে যখন উঠতে যাবো ঠিক তখনি একটা লাল পরি এসে উঠলো আমিতো লাল পরিকে দেখে পুরাই থ হয়ে গেলাম।প্রথম দেখাতে লাল পরীকে ভালো লেগে যায় রিক্সা চলছে তার আপন গতিতে আমরা দুজন দু,পাশে মাঝে বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়া বডার কিছুক্ষণ চুপ থেকে মেয়েটি বললো মেয়েটি: আচ্ছা আপনার নাম কি জানতে পারি? তাহিব:হ্যাঁ অবশ্যই !আমি তাহিব ।আপনি? মেয়েটি:আমি তাসফিয়া ।আচ্ছা আমারা যখন এক জায়াগাতে থাকি তাহলে আজ থেকে কি আমরা friend হতে পারি তাহিব : হ্যাঁ পারি কিন্তু এক শতে তাসফিয়া:কি শত তাহিব:আজ তুমি বলবেন নয়তো তুই ok তাসফিয়া:ok তাহলে তুমি ।আমরা তো এখন দুজন দুজনের friend তাহলে কি তোমার ফান number দিতে পারবে? তাহিব:কেন পারবো না অবশ্যই দিতে পারবো এই নাও +৮৮০১৭৪১****** (মনে মনে বলে যাকে প্রথম দেখাতে ভালোবেসে ফেলছি সে নিজেই আমার কাছে আমার ফোন number চাইছে এতো মেঘ না চাইতে বৃষ্টি ) তাহিবের মনে খুশিতে কিলবিল কিলবিল করের তারপর তারা দুজন রিক্সা থেকে নেমে দুজন দুজনের বাসার ভিতরে ডুকে তাহিব fresh হয়ে ফেসবুকে friends দের সাথে আড্ডা দিতে দিতে ডিনার টাইম হয়ে যায় ।
তারপর রাতের খাবার খেয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়ি ।আর মনে মনে ভাবতে থাকি আমার লাল পরী তাসফিয়া কথা । মেয়েটিকে লাল ড্রেসে একদম লালা পরী লাগতেছে ।কত সুন্দর মেয়েটি কি সুন্দর কথা বলার ধরণ ।যে দেখবে সে প্রেমে পরে যাবে এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরছি মনে নেই । সকালে আমার ঘুমের বারেটা তখনি বাঝছে যখন আমার ফোনে একটা unknown number থেকে কল আসে । কলটা বিরক্ত হয়ে কেটে দেই তারপর আবার ঘুমিয়ে পরি । তার কিছুক্ষণ পর ফোনটা আবার বেজে উঠল এবার কিছুটা রাগ আর বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিভ করলাম বলতে শুরু করলাম তাহিব: এই কে তুই দিলে তো সাঝ সকালে আমার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে তাসফিয়া: আরে আমি তাসফিয়া।আর একটু আগে কি বললে এখন সাঝ সকালে ।সকাল ১০টা বাজে তাই ফোন দিছি আমি তাহিব: কিহহহহহহহহহ তাসফিয়া(বলে এক লাফে উঠে বেড়ের মাঝখানে বসলাম ।তাসফিয়া নাম শুনে আমার চোখ থেকে ঘুম নিমিশেই উদাওহয়ে গেল আর মনে মাঝে বসন্তর ফুল ফোটতে থাকলো )তারপর তাসফিয়া বললো তাসফিয়া:হুমমমমমমমম ।কেমন আছো আর sorry আমি জানতাম না তুমি ঘুমে থাকবে? তাহিব:আমি ভালো আছি।তুমি? আরে বাদ দাও এসব কথা এখানে সরি বলার কিছু নায় নাই।তা কি মনে করে ফোন দিলে? তাসফিয়া:হ্যাঁ ভালো আছি ।না এমনি হঠাৎ মনে হলো তোমার কথা তাই ফোন দিলাম ।আর তোমার কাছে তো আমার phone numberনেই তাই দিলাম যাতে আমার নাম্বার টা saveকরে রাখতে পারো তাই। এইভাবে আর কিছু কথা বলার পর ফোন রেখে দেই দুজনে।তারপর fresh হয়ে নাস্তা করার জন্য টেবিলে গিয়ে চোয়ারটা টেনে বসছিলাম এমন সময় মা বলে উঠলো আমাকে মা:তাহিব কাহিনীটা কি আজ একটু কী বলবে আমাকে? তাহিব:কিসের কাহিনী মা ? মা: না মানে আজ যে কোন ডাক না ছাড়াই ঘুম থেকে উঠে গেলি তার কারণ টা কি ।প্রতিদিন তো আমি তোকে ডাক দিয়েও তুলতে পারি না আর আজকে কোন ডাক ছাড়াই ভালা ছেলের মতো উঠে গেলি তাই আর কি। (তাহিব মার দিকে না তাকিয়ে মনে মনে বলছে লালা পরীর ডাকে কি না সাড়া দিয়ে তাকতে পারি মা ) তারপর মাকে বলল তাহিব:মা আমি কি ভালো ছেলে ছিলাম না কখনও? মা: ভালো ছেলে ছিলিস না কিন্তু শয়তানের ভাই ছিলি শয়তানের মতো সব কাজকর্জম সবকিছুই করতি (মা মজা করে বললো কথাগুলো) নাস্তা শেষ করে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পরলাম তারপর প্রতিদিনের মতো আজকেও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় আসতে রাত হয়ে যায় ডিনার শেষ করে শুয়ে তাসফিয়া কল দিলাম ।তারপর ওর সাথে অনেক ক্ষণ গল্প করছি গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমের দেশে পারি জমিয়েছি নিজেই জানি না। তাহিন আর তাসফিয়ার বন্ধুত্ব ভালো চলছিল ।প্রতিদিন রাতে ফোনে কথা বলা হত,বিকেলে দেখা হতো সব মিলিয়ে একটা ভালো সম্পকে ছিল । কথায় আছে না একটা ছেলে আর একটা মেয়ের কখন বন্ধুত্ব করতে পারে না ।যত ভালো বন্ধুত্ব থাকোক না কেন সেটা একদিন ভালোবাসার দিকে গরাবে ।আর এখানে তো তাহিব প্রথম দেখাতেই তাসফিয়াকে নিয়ে ভাবতে শুরু করতে বলতে আর কতক্ষন একদিন না একদিন তো বলে দিবে তাসফিয়াকে তাহিবের মনের সব না বলা কথাগুলো । হ্যাঁ তাই হয়েছে ৮মাসে গিয়ে তাদের বন্ধুত্বের সমাপ্তি ঘটে । একদিন বিকেল বেলা তাহিব আর তাসফিয়া দুজনে একটা নদী পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল ।কিছুক্ষণ দুজন হাঁটার পর নদীর পারে বসে পরে দুজন কিছু সময় গল্প করার পর হঠাৎ তাহিব তাসফিয়াকে বলল তাহিব: তাসফিয়া আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই আসলে কথাটা বলবো বলবো বলে বলা হয় না । তাসফিয়া : কি বলতে চাও বলো তাহিব: আসলে কিভাবে বলবো ভেবে পাচ্ছি না ।যদি তুমি কথাটা শুনে আমাদের friendship ভেঁঙ্গে দাও এই ভয়ে বলতে সাহস পাই না। তাসফিয়া : আরে বলো সমস্যা নাই আমি friendship ভাঙ্গবো না বলে ফেলো। তাহিব: তাসফিয়া তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি সেদিন তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে ।তোমার সাথে দেখা করা ফোনে কথা বলার পর আমি ধীরে ধীরে বোঝতে পারি আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি ।তাসফিয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি হবেকি তুমি আমার সারা জীবনের পথ চলার সাথী।(কথা গুলো বলে তাসফিয়ার দিকে কাশ ফুল এগিয়ে দিলাম । আসলে propose করা কোন ফুল না পেয়ে নদীর পারে অনেক গুলো কাশ ফুলের ঝোপ ছিল সেখান থেকে একটা ফুল ছিরে নিয়ে এসে ।তাসফিয়া সামনে ছবির নায়কদের মতো হাটু গিরে বসে তাসফিয়া সামনে ফুলটা এগিয়ে দিলাম।তাসফিয়া অনেকক্ষণ কি যেন ভেবে ফুলটা আমার হাত থেকে নিল তারপর বলল) তাসফিয়া:আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি তাহিব। তারপর শুরু হয় তাহিব আর তাসফিয়া জীবনের নতুন অধ্যায় ।ভালোই চলছিল তাদের দুষ্ট -মিষ্টির ভালোবাসা । তারা একজনকে ছারা অন্যেজন ভাবতে পারত না । এভাবে প্রায় দুই বছর কেটে যায় ।হঠাৎ একদিন সামান্য ভুলবোঝাবোঝি হয় তাদের মাঝে।এতেই হয়ত বা তাদের সপ্নের ভালবাসার মধ্যে চির ধরে যায় যা তাদের ভালবাসাকে ভাঙ্গনের দিকে নিয়ে যায়।এতো ভাঙ্গনের মধ্যে আর শেষ রক্ষা হয় নি ।যারা একজন আরেকজনকে ছারা ভাবতে পারত না তারা আজ মনে করতে চায় না দুজন দুজনকে ।তারপর থেকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে তাহিব।অবশ্য তাহিবের কোনো দোষ ছিল।অনেক চেষ্টা করেছিল তার ভালবাসার মানুষকে ধরে রাখতে কিন্তু পারে নি। কথায় বলে না যে ,যে যাওয়ার তাকে ধরে রাখা যায় না।তাসফিয়া হয়ত চলে যেতে চেয়েছিল তাই চলে গেল।তারপর থেকেই তাহিব কেমন জানি হয়ে গেল। ভালবাসা আর মেয়ে এই দুই জিনিসের প্রতি থেকে তার বিশ্বাস করতে কস্ট হতো ।মনে হতো যেন এই দুটি জিনিস হয়তো অন্য কোনো গ্রহের যদি কাছে যায় তাহলে তার প্রাণটাই চলে যাবে।কিছুদিন পর তার মা-বাবা তার বিয়ের কথা বলে কিন্তু সেতো বিয়ে করবেনা।কিন্তু ওই একটা কথা আছে না Emotionally Blackmail সেটাই আরকি হলো। বর্তমান পরের দিন সকালে রেড়ি হয়ে নাস্তা করছি আর বার বার আড় চোখে তাহিবার দিকে তাকাচ্ছি ।তারপর নাস্তা শেষ করে অফিসে চলে গেলাম । অফিসের কাজ করছিলাম ,হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো ফোনের skin এ তাকিয়ে দেখি বাসা থেকে ফোন আসছে ।তারপর ফোনটা রিসিভ করে শোনলাম তাহিবা হাসপাতালে ও নাকি মাথা ঘুরে পরে গিয়ে জ্ঞান হারায় ।তারপর মা-বাবা ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ কথা শুনে মনে হচ্ছিল আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে ।আমার যেন মাথায় কাজ করছে না ।আমি আর এক মুহূর্ত দেরি না করে সোজা হাসপাতালে চলে গেলাম । তারপর মা বাবাকে বলে সোজা ওর রুমে চলে গেলাম ।গিয়ে ওর হাত ধরে ওর পাশের বসে আছি আর ভাবছি অতিতের মতো অামি ওকে আমার জীবন থেকে চলেযেতে দেবো না ।আমি ওঁকে আমার ভালোবাসা দিয়ে সারা জীবনের মতো আগলে রাখবো আমার এই বুকে । তারপর তাহিবার জ্ঞান ফিরে আসে।জ্ঞান ফিরে ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে ওর চোখ দিয়ে পানি পরছে।ও হয়তো ভয় পেয়েছে,আমি ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে বললাম ভয় পেয়ো না অামি আছি সবসময় তোমার পাশে।তাহিবা আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর হবেই না আমি ওর সাথে তো কম খারাপ ব্যবহার করি নি ।কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে বলেন তেমন কিছু না ওকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারব । Thank god সস্তির শ্বাস নিয়ে(তাহিব) তাহিবা উঠতে পারছে না তাই ওকে কোলে নিয়ে গাড়িতে আনি (তাহিব) হাসপাতাল থেকে বের হওয়াসময় আমাদের দুজনের দিকে লোকজন হা…… হয়ে চেয়ে আছে মনে হচ্ছে তারা ফ্রী টিকেটে সিনামা দেখছে আর তাহিবা তো লজ্জায় লাল টমেটো হয়ে গেছে গাড়ি চলছে তার আপন ঠিকানায় ।গাড়িতে তাহিবার হাত ধরে বললাম তাহিব:তাহিবা একটা কথা বলি তাহিবা:হুমমম বলেন তাহিব:তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও চলে যেও না plz আমি তোমাকে হারাতে পারবো না । আর তুমি যেতে চাইলে ও আমি কোথাও যেতে দিবো না এটাই ফাইনাল (এটা বলে তাহিবার হাত আরো শক্ত করে ধরলাম তারপর তাহিবার কিছু না বলে আমার কাঁধে তার মাথাটা রাখলো ।আমি আবার তাহিবাকে বললাম ) তাহিব: তাহিবা ভালোবাসি তোমাকে খুব খুব বেশি ভালোবাসি তাহিবা: অামিও তাহিব:আমিও কি? তাহিবা: আরে মাথা মোটা আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি এভাবে চলতে থাকে তাদের ভালোবাসার সংসার যেখানে নেই কোন অন্ধকার ।আছে প্রতিদিনের নতুন সূর্যের আলো ।আর সেই আলোয় আলোকিত করে রেখেছে তাহিবের জীবন ।সেই আলো আর কেউ নয় সে হচ্ছে তাহিবা ।(এরকম ভাবে আমাদের সমাজে তাহিবের মতো অনেক ছেলে মেয়েই আছে যারা তাসফিয়া মতো হঠাৎআসে আমাদের জীবনে তারপর আমাদেরকে বোকা বানিয়ে অন্যজনের হাত ধরে চলে যায় ।তাহিবের মতো অন্ধকারে রেখে চলে যায় । আর সেই সময় তাহিবার মতো মেয়েরা এসে পাশে দারায় ) ভালো থাকুক ভালোবাসা আর ভালো থাকুক ভালোবাসার মানুষগুলো সমাপ্ত {জানিনা গল্পটা কেমন হয়েছে তবুও বলবো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন}

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে