#অন্তরালে
#আরশিয়া জান্নাত
#পর্ব-৩
অনেকক্ষণ ধরে দরজায় নক করা সত্ত্বেও দরজা খুলছে না আসিফ।জাহানারার চিৎকার চেঁচামেচিতে আরাফাত সাহেব দৌড়ে এলেন।দরজা ভাঙতে হবে মনে হচ্ছে,
ছেলেটা কোনো অঘটন ঘটালো না তো??
______________________
রকিং চেয়ারে বসে ডিভোর্স লেটার-টার দিকে তাকিয়ে আছে সাদাত।আসিফের প্রাণ ভ্রমরাকে তাঁর থেকে দূরে সরাতে পেরে খুব শান্তি লাগছে।”এবার তুমি বুঝবে ভালোবাসা পেয়ে হারানোর যন্ত্রণা কতখানি।মিস্টার আসিফ!আমাকে সেদিন যেভাবে তাড়িয়ে দিয়েছিলে সেই অপমানের সামনে এটা তো কিছুই না।আমার এতো বছরের ভালোবাসাকে তুমি পূর্ণতা পেতে দিলেনা।তবে তুমি অন্তত কিছু কাল নিজের ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেয়েছ কিন্তু আমি …
সাদাতের চোখ ঝাপসা হয়ে গেল ।
দুই বছর আগের কথা……
জেরিন:ভাইয়া তাড়াতাড়ি কর দেরী হয়ে যাচ্ছে।
আসিফ:দুই মিনিট দাঁড়া আমি এখুনি আসছি।
:উফ তোর অপেক্ষা করাই ভুল আমার।মা তোমাকে কতবার বলেছি আমি এখন বড় হয়েছি একা একা যেতে পারবো।কিন্তু না এখনো তোমার লেট লতিফ ছেলেকে সাথে করে যেতে হয়।
জাহানারা বেগম টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার রাখতে রাখতে বললেন,শোন জেরিন এখনকার যুগে বাচ্চা বুড়ো কারো সেইফটি নেই।মেয়ে হলেই চলে।এই সময়ে তোকে একা ছাড়বো ভাবলি কি করে।নিউজে দেখিস না রোজ কত ধর্ষণ হচ্ছে!! আমার তো ইচ্ছে করে তোকে ঘরে লুকিয়ে রাখি।
:মা তাই বলে কি সবাই থমকে আছে? লড়াই করে বেঁচে আছে তো।তুমি এতো টেনশন করোনা।
আসিফ তড়িঘড়ি করে দুইটা ব্রেড এর মাঝখানে ওমলেট নিয়ে খেতে খেতে বের হয়ে গেল।ইশ রোজ যে কেন এতো দেরি হয় বুঝে আসেনা তাঁর।
জেরিন ক্লাসে ঢুকতেই ওর বান্ধবী পুষ্পা বললো,
আরেকটু আগে আসলে তোর আশিক কে দেখতে পারতি।বেচারা আজকেও লাল গোলাপ নিয়ে এসেছিল।
জেরিন ব্যাগ রাখতে রাখতে বললো,এসব ভবঘুরে আশিকের ফুল না পাওয়াই ভালো।যদি ভাইয়া কোনোদিন জানে তবে হাড় ভেঙে ঘরে বসিয়ে দিবে।
:তুই ও না কেমন আনরোমান্টিক।ছেলেটা সেই কবে থেকে তোর পেছনে ঘুরে।আর তুই ভাইয়ের ভয়ে পাত্তা দিস না।এতোকিছু ভেবে কি আর প্রেম হয়?
:শোন প্রেম করে যদি শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে না পারি তখন বিচ্ছেদ বেদনায় আমি পাগল হয়ে যাবো।এরচেয়ে ভালো না প্রেম না দুঃখ।
:হুম বুঝলাম।কিন্তু সাদাত ভাই তোকে সেই প্রথমদিন থেকে পছন্দ করে।রোজ তোর জন্য ফুল নিয়ে আসে।তোর খোঁজ খবর নেয়।আমার মনে মনে হয় সে তোর বাসায় প্রপোজাল দেওয়ার মতো ছেলে!!
:তোকে আমার বান্ধবী কম উনার উকিল লাগছে বেশি।কয় বক্স চকোলেট নিয়েছিস শুনি?
:ধুরর তুই ও না কিসব বলিস।তাঁর এসব দেখে পুরো ক্যাম্পাসের সবাই এসব বলে।এখন তুই কি বলবি উনি সবাইকে ঘুস দিয়েছে?শোন ভালোবাসা এমন এক জিনিস যা কখনো লুকিয়ে রাখা যায়না। আশেপাশের সবাই সেই আলো দেখতে পায়।
:হয়েছে থাম।
এভাবেই কাটছিল দিন।সাদাত রোজ এটাসেটা নিয়ে জেরিনকে তাঁর মনের কথা বলতে থাকে।কিন্তু জেরিন নাছোড়বান্দা সে কিছুতেই রাজী হয় না।সাদাত ধৈর্য নিয়ে জেরিনের হ্যাঁ বলার অপেক্ষা করতে থাকে।
ঐদিকে পাড়ার এক বখাটে ছেলে মুন্না জেরিনকে রোজ বিরক্ত করে।মোবাইলে ম্যাসেজ করে,রাত বিরাতে কল করে।জেরিন ঝামেলা বাড়াতে চায়নি বলে যথাসম্ভব তাঁকে ইগ্নোর করে।কিন্তু সেই ছেলেটা ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে ফেলে।ক্যাম্পাসের সামনে এসে জেরিনকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে।সাদাত সেটা লক্ষ্য করে প্রচুর রেগে যায় এবং ঐ ছেলেকে ইচ্ছেমতো মারে।জেরিন ভয়ে কুঁকড়ে যায়।কারণ ছেলেটা এলাকার খুব বড় নেতার চামচা।এজন্য আসিফকে পর্যন্ত কিছু বলেনি।এখন সাদাত কে যদি উল্টাপাল্টা কিছু করে!
:শুনুন,
:হুম
:দেখুন আপনি ওনাকে এভাবে মারাটা ঠিক হয় নি।উনি এলাকার….
:দেখো জেরিন এই ছেলে টার পরিচয় জানাতে বলিনাই।ও যদি এদেশের রাজা বাদশাহ ও হয় তাতে আমার কিছু যায় আসেনা।তোমার জায়গায় অন্য কোনো মেয়ের সাথেও যদি এমন করতো আমার রিয়েকশন এমনই হতো।
জেরিন হা করে তাঁর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।সাদাতকে এতোদিন ওর বাউন্ডুলে প্রেমিক পুরুষ মনে হলেও এখন মনে হচ্ছে সে যথেষ্ট দায়িত্ববান।
পরদিন জেরিন নিজেই সাদাতের কাছে যায়।তারপর আদেশের স্বরে বলে,
:আপনার ফাইনাল সেমিস্টারের পর আমার বাসায় আসবেন ফ্যামিলিকে নিয়ে।
:মানে?
:মানে বুঝেন না? বিয়ের জন্য প্রপোজাল নিয়ে আসবেন।
:সিরিয়াসলি!! কিন্তু আমি তো বেকার?
:আজীবন বেকার থাকবেন না নিশ্চয়ই?তাছাড়া এখুনি বিয়ে করতে হবে বলেছে কে?আপনি জব খুঁজেন আমি পড়া শেষ করি।।আমার ভাইয়ার ও এভাবেই বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।আশা করি আমার বেলা সমস্যা হবেনা।
জেরিন কথাটা বলেই হাঁটতে শুরু করলো।সাদাত ঘটনার আকস্মিকতায় ঘোরে চলে গেলো।হুশ ফিরতেই দৌড়ে গিয়ে জেরিনের সামনে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,
তুমি কি বললে।আই মিন এটা কি ইনডিরেক্টলি আমার প্রপোজাল অ্যাকসেপ্টেড তা বুঝালে???
জেরিন মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল।পেছনে সাদাত ইয়াহু বলে চিৎকার করে উঠলো।
এরপরের দিনগুলো ছিল স্বপ্নের মতো।জেরিন সরাসরি কিছু না বললেও সাদাতের দিকে আর বিরক্তিতে তাকায় না।ওর ছোট ছোট সারপ্রাইজগুলো মন ভরে অনুভব করে।
জেরিন নিজেও এটাসেটা রেঁধে
পুষ্পাকে দিয়ে সাদাতকে দেয়।নিজে কখনো সামনে গিয়ে দেয়না।
কয়েকমাস পর সাদাতের ফাইনাল শেষ হয় এবং জবের জন্য ট্রাই করতে থাকে।বাবা মাকে জেরিনের কথা জানাতেই তাঁরা দ্বিমত করেনি।ছোট ছেলে হিসেবে সে সবার বেশ আদরের।
প্ল্যান মোতাবেক সাদাত পরিবারকে নিয়ে জেরিনদের বাসায় যায় প্রপোজাল নিয়ে।জেরিন আগে থেকে সবকিছু বলে রাখে ওর মাকে।উনারা আসার পর কথাবার্তা ঠিকঠাক চলছিল এমন সময় হঠাৎ আসিফ এসে সাদাতের কলার চেপে বলে,
তোর এতো বড় সাহস তুই আমার বাসায় এসেছিস?তুই কি ভেবেছিস ভদ্রবেশে আমাদের ফ্যামিলিতে এসে বিয়ের কথা বললেই আমরা রাজী হয়ে যাবো?
আর কয়টা মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট করেছিস বল?
আরাফাত সাহেব ছেলেকে ছাড়াতেও চেষ্টা করেও কাজ হলোনা।আসিফ সাদাতকে মারতে মারতে গেইটে নিয়ে গেল।ওদিকে জেরিন পাগলের মতো কাঁদতে শুরু করেছে।আসিফ কেন এমন করছে কিছুই মাথায় ঢুকছেনা।সাদাতের বড় ভাই সিয়াম আসিফকে থামিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাইলো।কিন্তু আসিফ রাগের চোটে স্বাভাবিক বোধটুকু হারিয়ে বসেছে।সে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো,
আপনার ছোট ভাইয়ের খবর রাখেন আপনি? ও কি করে বেড়ায় জানেন?নাকি আপনারাও ওর সাথে গ্রুপ হিসেবে আছেন?
সাদাত এবার রেগে গিয়ে বলে,খবরদার আমার বড় ভাইকে একটা বাজে কথা বলবেন না।আপনি আমার নামে অপবাদ দিচ্ছেন আমি সহ্য করে নিচ্ছি কিন্তু আমার পরিবারের কাউকে কিছু বললে আমি ছাড়বোনা।
:চোরের মার বড় গলা।যে পরিবারের ছেলে এমন অসভ্য তাঁর পারিবারিক শিক্ষা কেমন বোঝাই যাচ্ছে।
:আসিফ মুখ সামলে কথা বলো।(সিয়াম রেগে বললো)
:মুখ সামলানোর কি আছে।সত্যি শুনতে সবসময় তিতা লাগে।
:আপনি আমার সাথে কেন এমন ব্যবহার করছেন?আমার অপরাধ কি তা তো বলবেন?(সাদাত)
:ক্যাম্পাসে জুনিয়র মেয়েদের ভয় দেখিয়ে রুম ডেট করিস নি?বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিয়াকে প্রেগনেন্ট করিস নি?আরো বলবো?মুরুব্বিদের সামনে মুখ খুলতে চাইছি না আর।
:আসিফ তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে আমার ছেলে মোটেও এমন না।(সাদাতের মা)
:আন্টি আমার মোটেই ভুল হচ্ছে না।আমি জেনেশুনে এমন ছেলের সাথে জেরিনের বিয়ে দিবোনা।আপনারা চলে যেতে পারেন।
:আমাকে নিজের পক্ষে কিছু বলার সুযোগ তো দিন প্লিজ!
:আর একটা কথা বললে তোমার লাশ পড়বে এখানে।গেট আউট(চিৎকার করে বললো আসিফ)
ওখান থেকে ফেরার পর রাতে সাদাতের মা স্ট্রোক করে।তাঁর এতো আদরের ছেলের সম্পর্কে এমন সব শুনবে কল্পনাই করেনি।বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোটানায় সবাই বড় ক্লান্ত হয়ে পড়লো।ঐদিকে জেরিন দরজা লক করে বসে আছে।এতো বছর ধরে প্রত্যাখ্যান করলেও মনে মনে সেও সাদাতকে পছন্দ করতো।আজ মনে হচ্ছে সেটা ওর সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।কিন্তু অবুঝ মন মানতেই চাচ্ছেনা বারবার বলছে সাদাত নির্দোষ।
সাদাত বারবার জেরিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু জেরিন সেই সুযোগ দেয়নি।জেরিন সবকিছু থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে বাধ্য হয়ে কানাডা চলে যায়।সাদাত শত খুঁজেও জেরিনকে আর পায়নি।
বর্তমান______
:হ্যালো বৌমা।তুমি কি কষ্ট করে ম্যাক্স হসপিটাল আসবে?(আরাফাত সাহেব)
:কি হয়েছে বাবা? মায়ের কিছু,আসিফ ঠিক আছে?
:আসিফ হার্ট অ্যাটাক করেছে।তুমি চলে আসো মা ।ডাক্তার বলেছে……
ঋতু আর কোনো কথা শুনতে পেলোনা।দৌড়ে হসপিটাল গেল।ওকে দেখেই জাহানারা বেগম রেগে বললেন,
কেন এসেছ তুমি?ছেলেটাকে মরতে দেখতে?এখনো শান্তি লাগছে না, যাও ঐখানে গিয়ে দেখো তোমার মন শান্ত হয়ে যাবে।আমার ছেলেটা তোমায় এতো ভালোবাসলো বিনিময়ে তুমি ওকে এই প্রতিদান দিলে।(অঝোরে কাঁদতে লাগলেন)
আরাফাত সাহেব উনাকে থামিয়ে বললেন,
আহা আসিফের মা এমন করছো কেন?মেয়েটাকে এভাবে বকলে তো আসিফ সুস্থ হয়ে যাবেনা।ডক্টর কি বলেছ শুনোনি? আসিফ বাঁচার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছে।ঠিকঠাক রেসপন্স দিচ্ছেনা।বিপি হাই হওয়াতে উনারা অপারেশন করতে পারছেন না।এই মুহুর্তে ওর এমন কাউকে লাগবে যে ওকে বাঁচার অনুপ্রেরণা দিবে।তাই তো আমি বৌমাকে আসতে বলেছি।ও ছাড়া এখন আসিফকে কেউ সামলাতে পারবেনা।আর তুমি কিনা ওর উপর এখন রাগ ঝাড়ছো!
ঋতু কাঁদতে কাঁদতে বললো,
বাবা মাকে কিছু বলবেন না।উনার জায়গা থেকে উনি ঠিক।সন্তানের এই অবস্থায় কোনো মা-ই শান্ত থাকতে পারেনা।আর আমার জন্যই আজ আসিফের এই অবস্থা।আপনাদের সবার কাছে আমি দোষী।আমাকে ক্ষমা করুন।
আরাফাত সাহেব সময় নষ্ট না করে ডক্টরের কাছে গিয়ে বললেন,ডক্টর এ হচ্ছে ঋতু যার কথা আসিফ তখন বলছিল।আপনারা দয়া করে ওকে অপারেশন থিয়েটারে নিন।আমার বিশ্বাস ও গেলে আসিফ ঠিক রেসপন্স করবে।
:কিন্তু এরকম রুলস তো নেই।
:দেখুন অনেকক্ষণ ধরেই অপারেশন থেমে আছে।প্লিজ ডক্টর আমার ছেলেকে বাঁচান।
:আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখছি।
আসিফকে এই অবস্থায় দেখে ঋতুর ভেতরটা ভেঙেচুরে শেষ হয়ে গেল।নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে আসিফের হাত দু’হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে বললো,
আসিফ আমি এসে গেছি।তোমার কিচ্ছু হবে না।এই যুদ্ধে তোমাকে জিততেই হবে আসিফ।তুমি কোনো চিন্তা করোনা সব ঠিক হয়ে যাবে।
আসিফের বিপি ধীরে ধীরে নরমেল হতে শুরু করলো, ও হালকা রেসপন্স ও দিচ্ছে।
(অপারেশন থিয়েটারে একজন ডক্টর থাকেন যিনি এই সাপোর্টের কাজটা করেন।কারণ পেশেন্ট এর মানসিক সাহসটা অনেক জরুরী।অনেকসময় মানুষ ভয়েই হাল ছেড়ে দেয়।সেক্ষেত্রে ডক্টরের স্বাভাবিক কথাবার্তা ও অনুপ্রেরণা পেশেন্টকে অনেক হেল্প করে।আমার ফুপীর অপারেশন এর ভিত্তিতে এই তথ্য জেনেছি।এখানে ঋতুর সাপোর্টটা সেভাবেই কাজ করেছে)
তিন ঘন্টা পর আসিফের অপারেশন শেষ হলো।ঋতুর পরিবারের সবাই হসপিটালে উপস্থিত হয়েছে।ঋতু অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে করিডোরের একদম কর্ণারের রুমটায় গিয়ে ফ্লোরে বসে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো।আজ আসিফের কিছু হয়ে গেলে সে নিজেকে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারবেনা।সে তো জানতোই আসিফ ওকে চোখে হারায়।এতো বড় প্রেশার ও নিতে পারেনি বলেই তো..
ওদিকে আসিফের ক্রিটিক্যাল অবস্থা শুনে সাদাত ভয় পেয়ে যায়।যতোকিছুই হোক আসিফ জেরিনের একমাত্র ভাই।প্রতিশোধ নিতে ওকে কষ্ট দিতে চেয়েছে মেরে ফেলতে না।অনুতপ্ত অশ্রুসজল চোখে মোনাজাত ধরে বললো,হে পরওয়ারদিগার আসিফ ভাইকে সুস্থ করে দাও।
(চলবে….)