#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [২৩ পর্ব]
তাসনিম তামান্না
-‘ কার বিয়ে জারার? জারা তো ম্যারিড ওর আবার বিয়ে লাইক সিরিয়াসলি? ‘
শানের কথায় জেনো বজ্রপাতের ন্যায় বিস্ফোড়ন হলো। মহিলাটি অবাকের শীর্ষে চলে গেছে। জিয়ার মুখটা হা করে তাকিয়ে আছে। শান্তি আর জারা চোখ বড়বড় করে শানের দিকে তাকিয়ে আছে। মহিলাটি বলল
-‘ তুমি আমার সাথে ইয়ার্কি মারছ ছেলে ‘
-‘ মটেও নয় আপনার সাথে কি আমার ইয়ার্কি মারার সম্পর্ক না-কি আর একটা মেয়ের সম্পর্কে কিছু না জেনে না শুনে দুম করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন তাও মেয়েটা কি না আমার বউ! ‘
শান যে এসব কথা বলবে তা শোনার জন্য কেউ ই প্রস্তুত ছিল না। জারা এসব নিতে না পেরে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে গেলেই শান জারাকে কোমড় জড়িয়ে ধরলো।
——
পিটপিট করে চোখ খুলতেই শানকে একদম মুখের কাছে দেখে জারা ধড়ফড়িয়ে উঠল। ভয়ে ঘমতে লাগল। শান তখনো রাগি চোখে একদৃষ্টিতে জারার দিকে তাকিয়ে। জারার যেনো শাক্তি ফুরিয়ে গেলো। বহু কষ্ট করে বলল
-‘ সরুন ‘
-‘ সরবো কেনো? আমি তোর হাসবেন্ড আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। এভাবে থাকার এতো ছাড় দিয়ে দিয়ে তোর এই অবস্থা ‘
জারা বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে বলল
-‘ মানে কি বলতে চাইছেন আপনি ‘
-‘ আমি কি বলি বা বলতে চাই তুই বুঝিস না? শুধু তো পারিস ভুল বুঝে দূরে সরে যেতে আর আমাকে কথা শোনাতে ‘
-‘ মানে? এতো রহস্য করে কথা বলেন কেনো আপনি যা বলবেন স্ট্রেট বলবেন। আর কি বললেন? আমি আপনাকে কথা শোনা? আমি বুঝি ধোঁয়া তুলশী পাতা। আমাকে যে কথায় কথায় সবার সামনে অপমান করেন তার বেলা আবার আমাকে বলতে আসেন ‘
-‘ খুব বেশি খই ফুটছে দেখি তোর মুখে বাহ ভালো তো ‘
-‘ তা আমাকে কি আপনার আগের মতো বোকা মনে হয়। যা বলবেন সব চুপচাপ মেনে নিবো? নো নেভার কাভি নেহি। আপনি যদি আমাকে ১টা কথা শোনান তো আমি আপনাকে হাজারটা কথা শুনিয়ে দিবো ‘
-‘ বাহ বাবাাবাহ একটা কথা জানিস তো যারা নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবে তারা বোকা হয় আর তুই সেই বোকা কেনো তার ওপরের বোকা হয়ে গেছিস ‘
জারা রেগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বলল
-‘ একদম ইনসাল্ট করবেন না বলে দিলাম আর আপনি সবার সামনে ওগুলো কেনো বললেন লজ্জা করে না আপনার ‘
-‘ আমার কেনো লজ্জা করবে লজ্জা তো তোর করা উচিত বিবাহিত হয়ে সিঙ্গেল বলে নিজেকে দাবি করিস আবার বিয়ে করবি বলে ছেলেও ঠিক করছিস ‘
-‘ হ্যাঁ আমি বিয়ে করবো তো আপনার কি কে হোন আপনি আমার? আপনি তো আর এই বিয়েটা মানেন না আমি বিয়ে করি আর না করি আপনার কি? ‘
শান জারার অধর মিলিয়ে দিলো জারা চমকে গেলো। প্রতিক্রিয়া করতে ভুলে গেলো। স্থির হয়ে রইল। বুকের ধুকপুকানি বারতে লাগলো কয়েকগুন। এটা তাদের বিয়ের পর দ্বিতীয় স্পর্শ! জারার মস্তিষ্ক অচল হয়ে পড়ল। কয়েক মিনিট পর ছেড়ে দিয়ে শান বলল
-‘ আমি তোর কে হই আশা করি আমি বোঝাতে পারছি ‘
কথাটা বলে শান চলে গেলো। জারার স্তম্ভিত ফিরে পেতেই লজ্জায় লাল হয়ে মুখ লুকালো বালিশে। এই সময়ও হঠাৎ জারার মন বলল
-‘ এগুলো কি আব্দেও ঠিক হলো? ‘
জারার হঠাৎ মন খারাপ করে ওয়াসরুমে চলে গেলো শাওয়ার নিতে। আয়নায় নিজের মুখ দেখে নিজেই লজ্জায় গট হয়ে গেলো জারা। শাওয়ার নিয়ে চুল মুছতে মুছতে বের হয়ে দেখলো শান্তি বেগম এসেছে। জারা নিজের লজ্জা দূরে সরিয়ে মুচকি হেসে বলল
-‘ মনি তুমি এসেছ ভালো করছ। তোমার সাথে আমার কথা ছিল তার আগে বলো ইশারা আসছে? ‘
-‘ হ্যাঁ। কি কথা বলবি? আর এই সন্ধ্যা বেলা তুই শাওয়ার নিচ্ছিস কেনো? ‘
-‘ কিছু হবে না। তুমি আগে বল তখন আমি অজ্ঞান হওয়ার পর কি হলো? ‘
-‘ কি আর হবে আমার ছেলে তোকে নায়কের মতো এসে ধরল আর তারপর বলল…
ফ্ল্যাসব্যাক
শান জারাকে নিজের কাছে এনে বলল
-‘ ও এখন প্রেগন্যান্ট আপনার এসব বিয়ের কথার চাপ নিতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে গেলো। আর কি কি বলছেন আপনি আমার বউকে? ‘
মহিলাটা ঘাবড়ে গিয়ে তুতলিয়ে বলল
-‘ আ আ আমি কি বলবো আ জব ত তো ‘
-‘ নিশ্চয়ই কিছু তো বলছেন না হলে ও এমন ভাবে জ্ঞান হারেবে কেনো? ‘
-‘ আমি সত্যি বলছি কিছু বলি নি ‘
-‘ ওর যদি কিছু হয় না আপনাকে আমি দেখে নিবো ‘
মহিলাটার মুখ চুপসে গেলো। শান এবার শান্তির দিকে তাকিয়ে বলল
-‘ আম্মু তোমরা এসো আমি জারাকে নিয়ে বাসায় যাচ্ছি আর টেনশন করো না যেনো ‘
শান জারাকে নিয়ে চলে গেলো। শান্তি বেগম শানের এতো পরিবর্তন দেখে মনে মনে খুশি হলো। কিন্তু জারার এমন অবস্থা দেখে মনে মনে অস্থির হয়ে উঠলেন। শান্তি বেগম মনে মনে বলল
– ‘মেয়েটার আবার কি হলো? শান যেটা বলল সেটা কি ঠিক? সেটা যদি সত্যি হয় তাহলো আমি দাদুমনি হবো? ‘
শান্তির চোখ মুখ খুশিতে চিকচিক করে উঠল।
বর্তমান
জারা টাস্কি খেয়ে বসে আছে এসব কি হচ্ছে? ভেবে কুল পেলো না। তবে কি শানের মতিভ্রম হলো? শান কি ভালো হয়ে গেলো নাকি নাটক মাত্র।
শান্তি জারার হাত দু মুঠোয় নিয়ে হাসিহাসি মুখে বলল
-‘ আমি সত্যি দাদু হবো? জানিস না আমি যে কত খুশি হয়েছিলাম কথাটা শুনে ‘
জারা ফাটা চোখে তাকিয়ে হাত সরিয়ে নিয়ে বলল
-‘ মনি তুমি তোমার ছেলের সাথে পাগল হয়ে গেছো? জানো না তোমার ছেলে মিথুক? এসব কিভাবে সম্ভব? ছি ছি আর কি কি মিথ্যা বলছে বল তো? আর তুমি ওসব বিশ্বাস করে নিলে? ‘
শান্তি বেগম কাঁদো কাঁদো মুখে বলল
-‘ একটু তো আমাকে দাদু বানাতে পারিস না-কি? আমাদেরকে চমকে দিয়ে একটা ছোট সদস্যকে আনতে পারিস না? ‘
জারা বোকাবোকা চোখে তাকিয়ে রইলো কি বলবে বুঝতে পারছে না এলোমেলো দৃষ্টি দিয়ে বলল
-‘ মনি তুমি অবুঝের মতো কথা বলছ কেনো? এটা কখনো সম্ভব না ‘
-‘ কেনো সম্ভব না? তোরা সব মিটিয়ে নিলেই সম্ভব এর বিহিত তো আমি করেই ছাড়বো ‘
জারা বেয়াকেলের মতো বসে রইলো। শান্তি বেগম শানকে ডাকতে ডাকতে চলে গেলো। কি হচ্ছে না হচ্ছে সবই যেনো জারার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে।
তারপরের ১ দিন গেলো জারার ঘরবন্দী হয়ে। লজ্জায় কারোর সামনে যেতেই ওর মরি মরি অবস্থা খাবারটাও রুমে খেলো। শানের মুখমুখি যেনো না হতে হয় সেই ব্যাবস্থা আর কি?
নিজের সাথে যুদ্ধ করে জারা আজ বিকালে বন্ধুমহলের সাথে দেখা করতে গেলো পার্কে। তাছাড়াও রুহানের সাথে কেসের ব্যপারে কথা আছে। কথা বলতে বলতে জারার চোখ গেলো পার্কের কোণে যেখানে কি না শান আর সেই মেয়েটা হাত ধরে হাটছে। জারা শ্বাস নিতে ভুলে গেলো। চোখ ফেটে পানি আসল। মনে মনে ভাবল।
-‘ যখনি ভাবি সব ঠিক হয়ে যাবে তখনি সবটা সবটা এভাবে এলোমেলো হয়ে যায় ‘
চলবে ইনশাআল্লাহ
#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [২৪ পর্ব]
তাসনিম তামান্না
দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি। এই থামে তো আবার শুরু হয়। সেদিন রাতে জারা চিঠি লিখে বৃষ্টি মাথায় বাসা থেকে বেড়িয়ে আসে কারোর সাথে কিছু বলে নি। সাথে করে দরকারী যা আছে সব নিয়ে বেড়িয়ে এসেছে। আর ও বাড়িতে যাবে না ঠিক করে নিয়েছে। ও বাড়ি থেকে আসার পরের দিন-ই ডিভোর্স পেপারটা ও বাড়িতে গিয়েছে।
সেই বাড়িটায় আবারও ফিরে এসেছে যে বাড়িটায় প্রতিটা কোণায় সৃতি জমে আছে। কতশত হাসি মজা, খুনসুটি, অভিমান প্রতিটা কোন জুড়ে। প্রতিটা কোণায় সেই আগের মতো জীবন্ত নেই মা নেই বাবা নেই খিলখিল করে হাসার শব্দ নেই তো জীবন্ত থাকবে কেমন করে। খুব করে জারা তার মা বাবাকে মিস করছে। এই বাড়িতে জারাকে শান্তি বেগম আসতে দিতেন না তেমন আসলেও বেশিক্ষণ থাকতো না। জারা যখন কলেজে একা যাওয়া আসা করতো তখন কলেজ বাদ দিয়ে এখানে আসত প্রায় তারপর অনেক দিন আর আডা হয় না পড়াশোনার চাপে ভুলে নি তবে আসতে মন চাই তো কিন্তু উপায় ছিল না যে। যখনি আসত কেঁদে কেটে নাজেহাল অবস্থা করে ফেলত। এখনো এই আশা পর্যন্ত সব সৃতিচারণ গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। কান্না পাচ্ছে জারার। তাই তো কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে।
প্রতি মাসে এ বাড়িটা পরিষ্কার করে বাড়ির কেয়ারটেকার কিন্তু তাও ময়লা। জারার আগেই সেই ছোট বেলার রুমে গেলো যেখানে তার সব জিনিস গুছিয়ে রাখা পুতুল গুলোর ওপরে ময়লা পড়ে কালো হয়ে গেছে। জারা খুব শখ করে রুমটা পিংক কালার করছিল পিংক কালার তার বড্ড প্রিয় ছিল। জীবনটা কত রঙিন ছিল। আর এখন সাদা কালো ছাড়া কিছু দেখতে পায় না।
জারা ভাংগা গলায় নিজে নিজে বলল
-‘ মৃত্যু কি কাছে না-কি বহু দূরে? এই ক্লান্তি নিয়ে আর পারা যাচ্ছে না সবটা বিষাদে ভরপুর একটুকরো কি সুখ মিলবে না আমার জীবনে? না-কি এভাবেই চলে যাবে বাকিটা জীবন। নতুন কিছু কি ঘটবে না? যে ঘটনায় আমার জীবনটা আবার রঙিন হয়ে উঠবে? কিছু তো ম্যাজিক হোক আমার জীবনে আর কত কষ্ট লিখে রেখেছেন আমার ভাগ্য? ‘
জারার চোখ দিয়ে টুপটাপ করে পানি গড়িয়ে পড়লো।
-‘ নিজের নিজে ছাড়া আর কেউ নেই। আচ্ছা আমি বেঁচে আছি কিসের জন্য কার জন্য? নিজের জন্য? কিন্তু মানুষ বেঁচে থাকার জন্য তো কিছু থাকে কিছু তো একটা থাকে আমার তো তা-ও কিছু নেই ‘
কলিংবেল বেজে উঠলো। জারা চমকালো
-‘ এখন দুপুরে আবার কে এলো? ফুডপ্যাডা থেকে খাবার আসল না-কি? ‘
জারা চশমা খুলে চোখ মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে ভালো করে মুছে নিলো। চোখ দুটো ফুলে লাল হয়ে আছে। শিরি দিয়ে দৌড়ে নেমে দরজা খুলে সেই মেয়েটা আর শানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জারার থমকে গেলো চোখমুখ শক্ত করে রইল আর যায় হোক নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করতে না রাজ জারা।
-‘ আপনারা? কি চায়? ‘
শান উত্তর না দিয়ে জারাকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে চলে গেলো। জারা বাহুতে ব্যথা পেয়ে চোখ মুখ কুচকে গেলো। মেয়েটা এখনো বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। জারা শানের পিছনে পিছনে গিয়ে চেচিয়ে উঠে বলল
-‘ কি সমস্যা কি? আপনাদের এখানে এসেছেন কেনো? ‘
শান থেমে গিয়ে পিছনে ফিরে জারা গলা চে-পে ধরে ওয়ালের সাথে লাগিয়ে বলল
-‘ একদম চেচাবি না গলা টি-পে মে-রে ফেলবো বড্ড বাড় বেড়েছে তোর ‘
জারার চোখ উল্টে যেতেই মেয়েটা এসে শানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে জারাকে আগলে রেগে বলল
-‘ কি করছিস তুই? মেয়েটা ম-রে যাবে তো ‘
জারা কাশতে কাশতে চোখে পানি চলে আসলো। জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো মেয়েটার থেকে সরে বেসিনের গিয়ে মাথায় পানি দিতে লাগলো কয়েকবার গলা টানলো। বমি করলো। মেয়েটা গিয়ে জারা চশমা খুলে মাথায় ভালো করে পানি দিয়ে দিলো। জারা ক্লান্ত হয়ে মেয়েটার গায়ে ঢলে পড়ল। শান জারাকে দেখে চমকালো। দু’দিনে মেয়েটা কেমন শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। চোখ গুলো ফোলা চোখ মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। শানের নিজের প্রতি অপরাধ বোধ কাজ করলো। মেয়েটা কষ্ট করে জারাকে সোফায় এনে বসিয়ে অন্য দিকে গেলো তোয়ালে খুজতে লাগলো। শান জারার পাশে বসে দুহাতে মুখ ধরল। জারা ক্লান্ত চোখ মেলে তাকালো। শানকে দেখে ভয় পেলো। দূরে সরে আসতে চাইল শান দিল না। জড়িয়ে ধরলো জারাকে। জারা কিছু বলতে গিয়ে দেখলো গলা দিয়ে আওয়াজ আসছে না। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ঘাড়ে গরম তরল পদার্থ অনুভব করতেই কেপে উঠল জারা বহু কষ্টে বলল
-‘ দূরে যান আমাকে মেরে ফেলতে আসছেন তাই না আমি সব জানি দূরে যান একদম আমার কাছে আসবেন না ‘
শান আরো গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে বলল
-‘ একদম মেরে ফেলব তোকে একদম আমাকে কষ্ট দিয়ে তোর খুব ভালো লাগে তাই না? দূরে গিয়ে কি সাদ পাশ হ্যাঁ তোকে আমি কখনো দূরে যেতে দিবো না বুকে আগলে রাখবো। ভালোবাসি তবুও বুঝিস না? ‘
জারা চমকালো! থমাকলো! মেয়েটার গলা শুনতে পেলো জারা
-‘ শান ‘
জারা এতোক্ষণ শানকে দু-হাতে আগলে না নিলেও এবার দু-হাতে আগলে নিলো শানকে হারানোর ভয় জমলো বুকে তার সাথে তো কখনো ভালো হয় না। শান জড়িয়ে ধরা অবস্থাতেই মুচকি হাসলো। চোখে জল মুখে হাসি অদ্ভুত লাগছে শানকে। শান যেনো বুকে শান্তি পেলো।
-‘ বাবাহ্! এতো ভালোবাসা তাহলে দূরে আসলে কেনো? আমার জন্য? তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো জারা আমি তোমার ভালোবাসা কেড়ে নিতে আসে নি জারা এতো ভয় পাওয়ার কিছু নাই ‘
জারা চমাকালো। কি বলল মেয়েটা? ও কি ঠিক শুনলো নাকি সব স্বপ্ন? মস্তিষ্ক ফাঁকা হয়ে গেলো।
চলবে ইনশাআল্লাহ