অনুমতি
নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা
রাত ১১.০৩ বাজে। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। রথী ফোনটা হাতে নিয়েই থমকে গেল। ফোনের স্কিনে তার চিরচেনা নামটি ভেসে উঠেছে, অভ্রর ফোন। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আওয়াজ আসলো,
-কেমন আছো?
-হম ভালো, তুমি?
-ভালোই।
-আজ হঠাৎ কল করলে তাও তিনমাস পর।
-তিনমাস তেরো দিন সতেরো ঘন্টা, আর মিনিট। সেকেন্ডেরও কি হিসাব লাগবে?
রথী হাসলো। চোখ ভিজা ঠোঁটের হাসির অনুভূতিটা এই প্রথম না। কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বললো,
-আজ এতোদিন পর কিভাবে মনে পরলো আমায়?
-মনে তো প্রতি সেকেন্ড-ই পরে। কিন্তু মায়ের মমতার কাছে আমি অচল।
-তো আজ অচল নয়?
-রথী….।
হঠাৎ এভাবে নাম ডাকায় রথীর বুকে এক ধাক্কা লাগলো। নিশ্চয়ই কোন শোক সংবাদ শুনতে হবে তার। সে আগেই জানতো এ মূহুর্তটি আসবে তাই এর প্রস্তুতি আগের থেকেই নেওয়া। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
-ক…কিছু হয়েছে?
-আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে রথী, আগামী সাপ্তাহে বিয়ে।
-ওহ, ভালোই তো, কনগ্রেটস। তো নিজের এক্স গার্লফ্রেন্ডকে বিয়েতে ইনভাইট করার জন্য কল দিয়েছে।
-না অনুমতি নিতে।
-অনুমতি?
-যে তোমার কাছে আমানত রাখা তাকে অন্য কাওকে প্রদান করতে হলে তো মালিকের অনুমতি লাগে তাই না?
রথী কিছু বলতে পারলো না। শুধু নিশব্দে কেঁদেই যাচ্ছে। সে জানে কান্নার হালকা আওয়াজ অভ্রও পাচ্ছে। কিন্তু তার কিছু বলার নেই। আর ফোনের ওপাশ থেকে অভ্রর নিশব্দ চোখের পানির বর্ষণটাও অভ্রর কাছে অজানা নয়। ফোনের দু’পাশে দুজনে কাঁদছে, আর জানা সত্ত্বেও কারো কিছু বলার নেই। ভালোবাসাটা এতো কষ্টের কেন? কষ্ট ছাড়া কি ভালোবাসা হয় না!
সমাপ্ত….
(বিঃদ্রঃ দয়া করে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share