অনুভূতিটা তোমায় ঘিরে পর্ব-০৯

0
842

#অনুভূতিটা_তোমায়_ঘিরে!💜🥀
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি🌺🥀
#পার্টঃ০৯💜🥀
গভীর রাত বারান্দার রেলিং ধরে দূরদুরান্তে দৃষ্টি স্থির ইয়াসিবার।
এই অন্ধকার রাতের মাজে সে কি দেখছে সে জানে নাহ।
তবুও তাকিয়ে থাকতে ভালোলাগছে।
অন্ধকারও নয় চাঁদের আলোয় সবই দেখা যাচ্ছে।
মৃদ্যু বাতাস,বাগানের ডান সাইডের শিউলি ফুলের সুভাস ভেসে আসছে।মোহময় পরিবেশ।
আজ নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে ইয়াসিবার।
আজ নিজের অস্থিত্ব জুড়ে স্বামি নামক মানুষটার ভালোবাসাময় পরশগুলো অনুভব করতে পেরেছে।
ইয়াসিবার ভীতরটা কেঁপে উঠলো আবার ওই মুহূর্তগুলো কল্পনা করে।
লজ্জারাঙ্গা মুখটা স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে চাঁদের আলোয়।
পিছনফিরে তাকায় ইয়াসিবা ; আফ্রিদ ঘুমোচ্ছে বিছানায় কতোটা নিষ্পাপ লাগছে তার স্বামিটাকে।
এই মূহুর্তটার জন্যে ইয়াসিবা কতো প্রতিক্ষা করেছে।সে আর আফ্রিদের সংসার হবে ছোট্ট একটা সংসার।
সেখানে থাকবে শুধু ভালোবাসা! ভালোবাসা! আর ভালোবাসা।
ইয়াসিবার ঠোঁটের কোণে প্রাপ্তির হাসি।
আর সে ব্যস্ত চোখ বুজে আফ্রিদের ঘ্রাণ নিতে।
হ্যা আফ্রিদের শরীরের ঘ্রাণ ; এইযে সে এখন আফ্রিদের একটা টি-শার্ট গায়ে দিয়ে আছে সেখান থেকেই আসছে।কি মনমাতানো সেই ঘ্রান।
টি-শার্ট টা আর একটু টেনে নাকের কাছে এনে লম্বা করে শ্বাস টেনে নেয় ইয়াসিবা।
স্বামির সোহাগে বুজি এতো সুখ?
ইয়াসিবার তো এতো সুখে মরে যেতে ইচ্ছে করে।
———-
হালকা একটু নড়াচড়া করে পাশে হাত রাখতেই কারো অস্থিত্ব টের না পেয়ে পাশটা ভালোভাবে হাতড়ে চোখ খুলে তাকায় আফ্রিদ।
ভালোভাবে দেখে তার বউটা এখানে নেই।
তাহলে গেলো কোথায়?
আস্তে করে উঠে বসে আফ্রিদ।
রুমের চারদিকে নজর বুলাতেই বারান্দায়
একটা পরিকে দেখতে পায় সে।
পরি?হ্যা পরিই তো তার বউটা তো তার কাছে পরি।
আফ্রিদ একদৃষ্টিতে সে তাকিয়ে রইলো।
তার বউটার এই মোহময় রূপ দেখে যে আফ্রিদের আবারো নেশা লেগে যাচ্ছে।
এইযে ও যে ওর টি-শার্ট পরে আছে যা হাটুর থেকে একটু উপড়ে।
আর টি-শার্ট টা ঢোলা হওয়ায় তার একপাশে কাধ দেখা যাচ্ছে টি-শার্ট এর হাতা কাধের নিচে পড়ে আছে বিধায়।
চাঁদের আলোয় ওর ফর্সা কাধটা জ্বলজ্বল করছে।
আফ্রিদ ব্লাংকেটটা সরিয়ে আস্তে করে নেমে দাঁড়ায় বিছানা থেকে।
তারপর ধীর পায়ে হেটে গিয়ে দাঁড়ায় ইয়াসিবাদ পিছনে।তারপর আলতো হাতে জড়িয়ে নেয় নিজের প্রিয়তমাকে নিজের বাহুবন্ধনে।
এদিকে কোমড়ে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলে ইয়াসিবা।
এটা যে তার আফ্রিদ সে ভালোমতোই জানে।
সেও গায়ের সম্পূর্ণ ভর ছেড়ে দিলো আফ্রিদের গায়ের উপর।
আফ্রিদ ইয়াসিবার কানে ফিসফিস করে বললো,
–” আমার টি-শার্ট পড়ে আমাকেই পাগল করা হচ্ছে।অবশ্য এতে আমার কোন প্রোবলেম নেই।
তোমাকে অনেক হট লাগে আমার টি-শার্টগুলোতে।
তুমি চাইলে আমার সামনে দিনরাত ২৪ ঘন্টা এগুলো পরেই থাকতো পারো তবে শুধু আমার সামনে।”
এদিকে ইয়াসিবা পারে না মাটি খুড়ে তার মাজে ডুকে যেতে।
সেতো ভূলেই গিয়েছিলো যে ওর গায়ে আফ্রিদের টি-শার্ট।
সে আফ্রিদের হাত ছাড়িয়ে চলে যেতে নিতেই
আফ্রিদ তার হাত ধরে ফেলে
এবং আবার ওকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
আফ্রিদ বললো,
–” আমাকে নেশা লাগিয়ে দিয়ে;
এখন পালানো হচ্ছে বুজি।
কিন্তু আমিতো পালাতে দিবো নাহ।”
আফ্রিদ ইয়াসিবার গালে নিজের ঠোঁট দিয়ে স্লাইড করছে।
এক পর্যায়ে ঠোঁটজোড়া গলার খাজে আসতেই সেখানে শব্দ করে চুমু খায় আফ্রিদ।
কেঁপে উঠে নিজেকে আফ্রিদের বুকের মাজে
আরো লেগে গেলো ইয়াসিবা।
এই লোকটার ছোঁয়া ভয়ানক।
একদম রক্ত হিম করে দেওয়ার মতো।
আফ্রিদ কোলে তুলে নিয়ে ইয়াসিবাকে নিয়ে বিছানায় গিয়ে বসলো।
ইয়াসিবা এখনো তার কোলে।
আফ্রিদ নিজের আঙুলগুলো ইয়াসিবার আঙুলগুলোর খাজে পুরে দিলো।
তারপর ইয়াসিবার হাতের উল্টো পিশে চুমু খেলো।
ইয়াসিবা আফ্রিদের মুখের দিক তাকিয়ে।
এই লোকটাকে আজ কতোটা খুশি দেখাচ্ছে।
সে খুশি দেখার জন্যেই তো অতীতে ওইসব করেছিলো।
কিন্তু ওতো আর জানতো না যে তার ওইসব করাতে তার প্রিয় এতোটা কষ্ট পাবে।
তবে যদি সে সত্যিটা জেনে যায় এতো কষ্ট করে এতোসব করার পরেও সত্যিটা জেনে যায়?
তবে কিভাবে সামলাবে সে আফ্রিদকে?
চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসে আফ্রিদের কথায় ইয়াসিবা।
–” কি আছে তোমার মাজে?
হ্যা! এই মেয়ে বলোনা কি আছে? কেন আমি তোমার থেকে দূরে থাকতে পারি নাহ একমুহূর্তও।
ইচ্ছে হয় তোমাকে একদম নিজের সাথে পিসে ফেলি।
কি জাদু করলে বলো তো আমায়?”
–” ভালোবাসেন বলেই তো আমাকে কাছে চান।”
ইয়াসিবার কথায় এলতো হাসে আফ্রিদ।দুষ্টুমিস্বরে বললো,
–” তুমি বুজি চাও না আমাকে তোমার কাছে?”
সাথে নিজের চোখজোড়া চেপে বন্ধ করে ফেলে ইয়াসিবা।
লোকটা চরম অসভ্য! সে তো জানে তার বউটা কতো লজ্জা পায় এই জন্যে সে তাকে লাজুকলতাও ডাকে।
তাও সে বারবার ইয়াসিবাকে লজ্জা দেয়।
গালগুলো গরম হয়ে আছে ইয়াসিবার সাথে লাল টকটকে।
আফ্রিদ সেখানে আলতো করে একটা কামড় বসিয়ে দিলো।
হালকা ব্যাথায় আর্তনাদ করে উঠে ইয়াসিবা।
তারপর রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকায় আফ্রিদের।
আফ্রিদের ঠোঁটের কোণে দুষ্টু হাসি।
মুহূর্তেই সব রাগ গলে পানি হয়ে গেলো ইয়াসিবার।
এই লোকটার সাথে একটুও রাগ করতে পারে নাহ ইয়াসিবা।
ইয়াসিবা মুখ ফুলিয়ে কামড়ের জায়গায় হালকা করে ঢলে বললো,
–” এটা কি করলেন?”
–” কি করলাম?”
–” এইযে আমার গালে যা করলেন?”
–” আদর দিলাম আমার বউটাকে।” বাকা হেসে বললো আফ্রিদ।
–” এমন ভয়ানক আদর আমার চাইনাহ😒।”
–” তাই! তাহলে তো আজ এই ভয়ানক আদরু স্পর্শ দিয়েই মাতিয়ে রাখবো তোমাকে।”
কথাটা বলেই আর একমুহূর্ত আফ্রিদ দেরি না করে ইয়াসিবাকে বিছানায় সুইয়ে দিলো।
ইয়াসিবা কিছু বলতে নিবে তার আগেই ওর ঠোঁটে ঠোঁট বসিয়ে চুমু খেতে লাগলো আফ্রিদ।
এদিকে ইয়াসিবা কতোক্ষন অবাক হয়ে রইলো।
পরক্ষনে আফ্রিদের ভালোবাসায়
নিজেকে বিলিয়ে দিলো সে।
————
এলার্মের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে আফ্রিদের।
ঘুমু চোখে নিজের বুকে ঘুমন্ত ইয়াসিবাকে দেখে মুচকি হাসে আফ্রিদ।
কালরাতে সে ইয়াসিবাকে পুরোপুরি নিজের করে নিয়েছে।
ওদের মাজে আর কোন দুরুত্ব নেই।
ভালোবেসে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে এক পবিত্র সম্পর্কে।
ইয়াসিবার চুলগুলো ওর চোখ মুখ ডেকে রেখেছে
আফ্রিদ আলতো হাতে তা সরিয়ে দিলো।
ইয়াসিবা হালকা নড়েচড়ে আরো যেন নিবিড়ভাবে
আফ্রিদের বুকের সাথে লেপ্টে রইলো।
আলতো ইয়াসিবার গালে হাত দিয়ে পরম যত্নে হাত বুলিয়ে দিয়ে আদুড়ে ভাবে ডাকলো!
–” বউ! ও বউ!”
–” উউউ!!” ইয়াসিবা আফ্রিদের বুকের মাজে মুক লুকিয়ে বললো।
–” উঠো! ভার্সিটিতে যাবে নাহ?
আজ তো নামাজ টাও মিস গেলো।”
–” সে..সেটা ত..তো আপনার…. আপনার জন্যেই হয়েছে।” ঘুমু কন্ঠে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বললো ইয়াসিবা।
এদিকে ইয়াসিবার এমন ঘুমু কন্ঠস্বর শুনে যেন একমুহূর্তের জন্যে আফ্রিদের হৃদস্পন্দন থেমে গেলো।
আফ্রিদ বলে উঠে,
–” এমন ঘুমের রেশ কন্ঠে কথা বলে আমাকে হার্ট এট্যাক করাতে চাও?”
চোখ জোড়া খুলে মুচকি হাসে ইয়াসিবা।
তারপর আফ্রিদের বুকে চুমু খেলো।
এদিকে আফ্রিদ থ হয়ে আছে।সেকি স্বপ্ন দেখছে না-কি বাস্তব।
মানে তার লাজুকলতা তাকে চুমু খেয়েছে তাও নিজ থেকে।
আফ্রিদ বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে থেকে বললো,
–” এই আমি কি স্বপ্ন দেখছি না-কি বাস্তব তুমি আমাকে চুমু খেয়েছো?”
মুহুর্তেই ইয়াসিবা লাল,নীল হয়ে গেলো।
এই লোকটা এমন কেন বুজে না ইয়াসিবা?
সেতো চুমুই খেয়েছে সেটা এভাবে বলার কি আছে?
ইয়াসিবা ‘ধুর!’ বলে উঠে যেতে নিতেই আফ্রিদ হাত ধরে নিলো।
–” কোথায় যাচ্ছো?”
–” কেন ওয়াসরুমে ভার্সিটি যাবো তো!”
আফ্রিদ দুষ্টু হেসে বললো,
–” একবার নিজের দিকে তাকাও! ”
আফ্রিদের কথায় ইয়াসিবা নিজের দিকে একবার তাকায় আবার আফ্রিদের দিকে তাকিয়ে চকিতে নয়নে আবারও নিজের দিকে তাকিয়ে বিদ্যুৎ বেগে ব্লাংকেটের নিচে ডুকে আফ্রিদের বুকের মাজে লুকিয়ে গেলো।
তা দেখে আফ্রিদ শব্দ করে হেসে দিলো।
হাসতে হাসতে আফ্রিদের চোখের কোণে পানিও এসে গেছে।
ঘুমের চোটে ইয়াসিবা যে কিছু পড়েনি সে তা ভূলেই গিয়েছিলো।
আর এটা দেখেই আফ্রিদ হাসছে।
আফ্রিদ হাপাতে হাপাতে বলে,
–” এখন লজ্জা পাচ্ছো কেন?নিজের বোকামিতে এখন নিজেই কাবু হয়ে গিয়েছে।”
ইয়াসিবা ব্লাংকেটের নিচে থেকেই আফ্রিদের পেটে চিমটি কেটে দিলো।ব্যাথা পেয়ে আফ্রিদ বললো,
–” উউ! চোরের মতো লুকিয়ে চিমটি কাটছো কেন?”
–” আপনি আস্ত একটা খবিস,বজ্জাত,অসভ্য লোক!” ইয়াসিবা ব্লাংকেটের নিচ থেকেই বললো।
আফ্রিদ নিশব্দে হেসে ইয়াসিবাকে ব্লাংকেট সহ পাজাঁকোলে তুলে নিলো।
ভয় পেয়ে ইয়াসিবা চেঁচিয়ে উঠে,
–” কি করছেন কি আপনি?”
–” টেক-ইট ইজি ওয়াইফি!আজ আমরা রোমান্টিক শাওয়ার নিবো।”
–” কচুর রোমান্টিক শাওয়ার আমি কোন রোমান্টিক শাওয়ার নিবো নাহ।
আপনি আমাকে নামান।হয় আপনি আগে ফ্রেস হয়ে আসুন;নাহয় আমাকে যেতে দিন।”
–” না আগে আমি যাবো না তুমি।
দুজন একসাথে ফ্রেস হবো।”
–” নাহহহহ!”
ইয়াসিবা চিৎকারে কোন লাভ হলো নাহ।
আফ্রিদ তাকে নিয়ে ওয়াসরুমে ডুকে গেলো।
দীর্ঘ একঘন্টা গোসল নিয়ে বের হয়ে আসে দুজনে।
ইয়াসিবা ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসে চুল মুচ্ছে
আর আড়চোখে তাকাচ্ছে লোকটার দিকে।
যে আপাতত রেডি হতে ব্যস্ত।
তাকে দেখে বুজাই যাচ্ছে নাহ যে এই লোকটা কিছুক্ষন আগেই কিসব কান্ড করে এসেছে।
–” হলো তোমার?”
–” হুহ্!!” ইয়াসিবা মুখ ভেংচি কাটলো।
–” মুখ ভেংচি কাটছো কেন?”
–” আমার ইচ্ছা।”
–” ঠোঁটে এমন কামড় দিবো নাহ যে আর মুখ ভেংচি কাটা কি খেতেও পারবে নাহ।”
ইয়াসিবা উঠে এসে দাড়ালো আফ্রিদের সামনে।
তারপর নিজের গলা থেকে উড়নাটা সরিয়ে
দিয়ে আফ্রিদকে বলে,
–” আর কি কামড় দিবেন হ্যা?
কামড়ে তো দিয়েছেনই।
দেখেন কেমন হয়ে আছে।আজ আমাকে গলায় স্কার্ফ পেয়েছি থাকতে হবে।”
আফ্রিদ তাকিয়ে দেখে আসলেই ইয়াসিবার গলার অনেক জায়গায় কামড়ের দাগ স্পষ্ট।
জায়গাগুলো নীল হয়ে আছে।
আফ্রিদ বাকা হেসে ইয়াসিবাকে কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে এনে মুহূর্তেই ওর কামড়ের জায়গাগুলোতে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে ইয়াসিবাকে ছেড়ে দিলো।
তারপর যেতে যেতে বলে,
–” জলদি নিচে এসো।নাস্তা করে আমাকে হাস্পাতালে যেতে হবে।”
আফ্রিদ চলে যেতেই ইয়াসিবা চোখ মুখ কুচকে আফ্রিদকে মনে মনে ভয়ানক সব গালি দিলো।
তারপর নিচে নেমে আসলো।
দেখে আফ্রিদ নাস্তা নিয়ে বসে আছে।
ইয়াসিবা গিয়ে টেবিলের অন্যপাশে বসে পড়লো।
তারপর অন্য আরেক প্লেটে খাবার বেড়ে
খেতে শুরু করেদিলো।
তা দেখে আফ্রিদ ভ্রু-কুচকে বললো,
–” এটা কি হলো?”
–” কি হলো?আমি খাচ্ছি আপনিও খাওয়া শুরু করুন।” রাগীকন্ঠ ইয়াসিবার।
আফ্রিদ হালকা কেশে উঠলো।
ভালোই রেগেছে মেয়েটা।এখন আর কিছু বললে প্রলয় এসে পড়বে।
আফ্রিদ চুপ-চাপ উঠে এসে ইয়াসিবার পাশে বসলো।
তারপর ইয়াসিবার চেয়ারটা টেনে নিজের মুখোমুখি করে ওকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
ইয়াসিবাও কিছু বললো না করুক সে যতো রাগ তবু লোকটার হাতে খাওয়ার চান্স সে মিস দেবে নাহ।
খাওয়া দাওয়া শেষে দুজন রওনা দিলো তাদের উদেশ্যে।
ইয়াসিবার কলেজের সামনে গাড়ি থামাতেই ইয়াসিবা নেমে যেতে নেয়।
কিন্তু তার আগেই আফ্রিদ তার হাত ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসলো।
তারপর ইয়াসিবার দু-গালে হাত দিয়ে ওর কপালে চুমু খেলো।
ইয়াসিবা পরম আবেশে চোখ বুজে নিলো।
আফ্রিদ বললো,
–” নিজের যত্ন নিও।আর সমস্যা হলে আমাকে ফোন করিও।”
ইয়াসিবাও মুখটা উচু করতে আফ্রিদ নিজ থেকেই ঝুকে এলো ইয়াসিবাও আফ্রিদের কপালে চুমু খেলো
তারপর গম্ভীর স্বরে বললো,
–” আপনিও নিজের খেয়াল রাখিয়েন। আসছি।”
ইয়াসিবা বেড়িয়ে গেলো।
ইয়াসিবা ভার্সিটিতে ডুকতেই আফ্রিদ গাড়ি পার্ক করে নিজের হাস্পাতালে চলে গেলো।
ঠোঁটে ঝুলছে তার মুগ্ধময় হাসি।
#চলবে,,,,
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে