#অনুভূতিটা_তোমায়_ঘিরে🌺🥀
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি❤️🥀
#পার্টঃ১২💜🥀
ইয়াসিবাকে একটা চেয়ারের উপর দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
ওর হাত-পা তখনো বাঁধা।
গলায় দড়ি পেচানো আর দড়িটা ঝুমুর বাতির সাথে লাগানো।
ইয়াসিবা একটু কাঁদছে নাহ।ওর বিশ্বাস ওর আফ্রিদ আসবেই ওকে বাঁচাতে।সেই ভরসাতেই আছে ও।
কায়া চৌধুরী বললেন,
–” কি মরণের ভয় নেই?
তোর যে একটু পরেই ইন্না-লিল্লাহ হয়ে যাবে তবুও চোখে মুখে এতো তেজ।”
ইয়াসিবা তাচ্ছিল্য হেসে বললো,
–” আমি মরণ কে কেন ভয় পাবো?মরণকে ভয় পেলে তিন বছর আগেই মরে যেতাম।ভয় পাইনা বলেই বেঁচে আছি।”
–” এতো কথার তোড়?
চেয়ারটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেই তো রশিতে ঝুলে পড়বি।”
–” আমি ভয় পাই নাহ।”
কায়া চৌধুরী রেগে ইয়াসিবার চেয়ার ধাক্কা দিতে যাবে আর তখনি আফ্রিদ পুলিশ নিয়ে সেখানে হাজির হয়।বাহিরে যতো পাহারাদার ছিলো তাদের নিশব্দে মেরে ওরা ভীতরে প্রবেশ করেছে বিধায় ওরা টের পাইনি।
ওফিসার জোড়ে বললো,
–“স্টোপ দেয়ের।
ইউ আর নাউ আন্ডারএরেস্ট মিসেস।”
কায়া চৌধুরী ঘুরে তাকায় চোখে মুখে তার রাগ স্পষ্ট।
সে রেগে বললো,
–” একপাও কেউ নারাবে তো আমি চেয়ার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো।”
ইয়াসিবা আফ্রিদের দিকে তাকিয়ে আছে সে কেমন অদ্ভূত ভাবে কায়া চৌধুরীকে দেখছে।
যেন কতো বড় একটা ঝাটকা পেয়েছে।
আফ্রিদ কাপা গলায় ডাকলো,
–” মা!!!!!”
কায়া চৌধুরী হুংকার দিয়ে উঠলো,
–” চুপ কিসের মা হ্যা? কিসের মা?
আমি তোকে জন্ম দেইনি আমি তোর মা নাহ।
তোকে তো আমি সয্য করতে পারি নাহ শুধু সম্পত্তির জন্যে তোকে এতোদিন এতো ভালোবাসা দেখিয়েছি।”
আফ্রিদ ধরাগলায় বললো,
–” এভাবে আমাকে কষ্ট কেন দিলে মা?
তুমি একবার শুধু বলতে যে ‘আফ্রিদ আমি তোর সব প্রোপার্টি চাই’ আমি খুশি খুশি দিয়ে দিতাম মা?
আমার সাথে এতো বড় প্রতারনা কেন করলে?
আমাকে কি একটুও ভালোবাসনি মা?”
–“তুই কি আমার গর্ভের সন্তান যে তোর জন্যে আমার মায়া,মমতা লাগবে?”
–” আমি তোমাকেই মা ডেকেছি আর ডাকবো।
তুমি শুধু একবার বলো তুমি এসব কিছুই করোনি ইচ্ছে করে তোমাকে ফাসিয়েছে এই আকাশ।”
আকাশ এইবার ইয়াসিবার চেয়ারটা হালকা কাত করে দিলো ফলে রশিতে টান লাগায় ইয়াসিবা গলায় ব্যাথা পেয়ে আর্তনাদ করে উঠলো।
তা দেখে আফ্রিদ বললো,
–” নাহ প্লিজ ওকে কিছু করোনা প্লিজ।”
আকাশ রেগে বললো,
–” আমি ইনাকে ফাসিয়েছি আমি?
আরে ইনিই সব কিছুর মাষ্টারমাইন্ড।
তিনবছর আগের ঘটনা সহ প্রতিটা পদক্ষেপ এই কায়ার রচয়তা।”
আফ্রিদ কথাগুলো ঠিক হজম করতে পারছে নাহ।
কেমন যেন সবকিছু ও ঝাপসা দেখছে।
এতোদিন যাকে নিজের মা বলে ভাবতো।
সে না-কি তার মা না?
তাকে জন্ম দেইনি?আফ্রিদ কিছুতেই মানতে পারছে নাহ।
সে ধপ করে মাটিতে বসে পড়লো।
ইয়াসিবা চিল্লিয়ে উঠলো,
–” আফ্রিদ!!!!!!”
এতোক্ষন আবিয়া পুরো পরিস্থিতি ভালোভাবে দেখছিলো।
সবাই কায়া,আর আকাশ যখন আফ্রিদের সাথে ব্যস্ত এই সুযোগে সে ইবাদকে নিয়ে
আকাশ আর কায়া চৌধুরীকে ঝাপটে ধরে ফেললো।
ইবাদ আকাশকে টেনেহিঁচড়ে পুলিশের কাছে ছুড়ে মারলো।
পুলিশ সাথে সাথে আকাশকে ধরে ফেললো।
এদিকে কায়া চৌধুরীকে আবিয়া কোনমতে ধরে রাখতে পারছে নাহ।
যার ফলে কিছু লেডিস কোন্সটেবল এসে আবিয়াকে হেল্প করলো।
লেডিস কোন্সটেবলরা কায়া চৌধুরীকে নিয়ে যেতে লাগলো।
কায়া চৌধুরী ছিটকে সরে আসে
তারপর বলে,
–” আমি যেহেতু ধরা পড়েই গিয়েছি তখন ইয়াসিবাকেও বাঁচতে দিবো নাহ।”
কোন্সটেবল দৌড়ে এসে ওকে ধরার আগেই কায়া চৌধুরী ইয়াসিবার চেয়ার লাত্থি দিয়ে সরিয়ে দেয়।
ইয়াসিবা চিৎকার করে উঠে আফ্রিদ বলে।
ইয়াসিবার চিৎকারে আফ্রিদ তাকায় উপড়ে এতোক্ষণ ও একটা ভ্রম এছিলো।
ইয়াসিবাকে দড়িতে ঝুলতে দেখে আফ্রিদ দ্রুত দৌড়ে এসে ইয়াসিবার পা ধরে উচু করে ধরলো।
ইবাদ জলদি চেয়ারটা দাড়া করে তার উপর নিজে দাঁড়িয়ে ইয়াসিবার দড়ি কেটে দিলো।
দড়ি কাটার পরেই ইয়াসিবা পড়ে যেতে নিতেই আফ্রিদ সাথে সাথে ওকে নিজের সাথে আঁকড়ে ধরে।
ইয়াসিবা কাশছে। আফ্রিদ ইয়াসিবাকে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে বললো,
–” ইয়াসিবা তুমি ঠিক আছো?
কোথায় লেগেছে আমায় বলো?
জান! কষ্ট হচ্ছে জান!”
ইয়াসিবা আফ্রিদকে ধরে হুঁহুঁ করে কেঁদে দিলো।
আফ্রিদও ইয়াসিবাকে নিজের বুকের মাজে ঝাপটে ধরলো।বললো,
–” ইয়াসিবা আজ তোমাকে বলতেই হবে কি হয়েছিলো তিন-বছর আগে? আমাকে জানাও সত্যিটা বলো ইয়াসিবা।”
–” আমি বলবো আফ্রিদ সব বলবো।”
———————-
অতীত……
ইয়াসিবা আর আফ্রিদ একে অপরকে ভালোবাসতো ২ বছর ধরে।
ইয়াসিবা একটা অনাথ আশ্রমে থাকতো।
আর সেখানেই আফ্রিদ আর তার কিছু বন্ধুরা এতিম খানার বাচ্চাদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতে আসছিলো।তখন আফ্রিদ মাত্র মেডিকেল স্টুডেন্ট ছিলো এই টুক-টাক চিকিৎসা করতে জানতো।
মেডিকেল থেকেই তাদের এখানে আনা হয়।
আর সেখানেই ইয়াসিবাকে দেখে আফ্রিদ তাকে ভালোবেসে ফেলে।
ইয়াসিবা তখন সবে মাত্র ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়তো।
সেইদিনের পর থেকে আফ্রিদ প্রতিদিন ইয়াসিবাকে দেখতে আসতো কিন্তু প্রতিবার আফ্রিদকে দেখলেই ইয়াসিবা দৌড়ে চলে যেতো।
কিন্তু মনে মনে সেও আফ্রিদকে ভালোবেসে ফেলেছিলো।
পহেলা বসন্তে আফ্রিদ তাকে প্রোপোজ করে।
ইয়াসিবাও আর পারেনি আফ্রিদকে দূরে ঠেলে দিতে সেও নিজের অব্যক্ত অনুভূতির কথাগুলো বলে দেয়।
এইভাবেই তাদের প্রেমের শুরু বেশ ভালোই কাটছিলো তাদের দিনগুলো।
প্রেমের দুটো বছর কিভাবে কেটে গেলো তা কেউ জানে নাহ।
কায়া চৌধুরী চাইতেন আফ্রিদকে কোন বড় লোকের মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে।
আর ভোলাভালা এমন টাইপ যে তার সব কথা শুনবে।আর এমন ছিলো তার ভাগ্নি আয়েশা কায়া চৌধুরী যা বলতেন তাই করতে রাজী সে।
কিন্তু আফ্রিদ যে ইয়াসিবাকে ভালোবাসে তা সে কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি।
তাই সে ইয়াসিবার এতিম খানায় আসে।
ইয়াসিবাকে বোলে আফ্রিদকে ছেড়ে দিতে।বিনিময়ে যতো টাকা চায় সে দিবে।
যখন ইয়াসিবা রাজী হয় নাহ তখন সে বলে যে,
সে আফ্রিদের আসল মা না ; আর এই কথাটি আফ্রিদ যদি জানে তাহলে সে অনেক ভেঙে পড়বে মানষিক চাপ নিতে পারবে নাহ।
এও মিথ্যে বলে আফ্রিদের মাথায় বেশি চাপ পড়লে ও মরেও যেতে পারে।
ইয়াসিবা ছোট ছিলো।এতোকিছু সে বুজতো নাহ।
কায়া চৌধুরী তাকে এমন এমন ভয়ানকভাবে সব বলে যে বেচারি ভয় পেয়ে যায় আর কায়া চৌধুরী যা করতে বলে সে রাজী হয়ে যায়।
ইয়াসিবা সেদিনই কায়া চৌধুরীর কথামতো কাজ করে।
আফ্রিদ ইয়াসিবার সাথে দেখা করতে আসলেই ইয়াসিবা আফ্রিদের সাথে যাচ্ছেতাই বিহেভ করে।
কায়া চৌধুরী আকাশকে ভাড়া করে আনে ইয়াসিবার ফেক বয়ফ্রেন্ড করে।
আর আকাশকে দেখিয়েই ইয়াসিবা আফ্রিদকে
বলে তার আর আফ্রিদকে দরকার নেই।
আকাশকে অনেক বড়লোকের ছেলে আর তাই সে আকাশকেই বিয়ে করবে।
সেদিন আফ্রিদ বিষন কেদেঁছিলো।
আফ্রিদের কান্না দেখে ইয়াসিবারও যেন বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো।কিন্তু নিজের ভালোবাসার মানুষকে বাঁচাতে তা করতেই হতো।
আফ্রিদ বার বার বলছিলো সব মিথ্যে সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে রাজি হচ্ছিলো নাহ।
সেদিন ইয়াসিবা আফ্রিদকে অনেক জোড়ে থাপ্পর মারে।আফ্রিদ অবাক চোখে শুধু তার ইয়াসিবাকে দেখেছিলো।সেদিন আফ্রিদ একরাশ ঘৃনা নিয়ে ফিরে গিয়েছিলো।
আফ্রিদ যেতেই ইয়াসিবা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
তারপর সিদ্ধান্ত নেয় সে এখান থেকে চলে যাবে অনেক দূরে।
আকাশ বলে সে ও ইয়াসিবাকে হেল্প করবে।
বোকা ইয়াসিবা মেনে নেয়।সে রাজি হয় আকাশের সাথে যেতে।
কিন্তু মাঝরাস্তায়ই আকাশ ওর সাথে জোড়াজোড়ি শুরু করে।ইয়াসিবা ওকে থাপ্পর মেরে পালিয়ে আসতে নেয়।কিন্তু পারে নাহ সেখানে ছিলো টিলার মতো অনেক উচু জায়গা একটা আকাশ ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
আর ওখানের নিচের রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন।
বিশিষ্ট শিল্পপতি জাহিদ খান ‘খান গ্রুপ ওফ ইন্ড্রাস্ট্রিজ’ এর মালিক।তিনি ইয়াসিবাকে পায়।
ইয়াসিবার অবস্থা পুরো খারাপ ছিলো।
সে আড়াই বছর কোমায় ছিলো।
কোমা থেকে আসার পরই জাহিদ খান ইয়াসিবাকে ভার্সিটিতে ভর্তি করে দেয়।
বেশ ভালোই কাটছিলো দিনকাল।
জাহিদ খান নিজের মেয়ের থেকেও বেশি ভালোবাসতেন ইয়াসিবাকে।
তার আর একটা মেয়েও ছিলো।ইয়াসিবা যতোই ভালো থাকুক রাতের শুন্যতায় সে আফ্রিদের জন্যে অস্রু বিসর্জন দিতো।
ইয়াসিবার ভার্সিটির পাশেই আফ্রিদ হাসপাতাল খুলছিলো।
আর সেই কাজ দেখতে এসেই সে ইয়াসিবাকে ভার্সিটির মাঠে দেখতে পায়।
সেদিন আফ্রিদের মন চেয়েছিলো ইয়াসিবাকে দৌড়ে গিয়ে ঝাপটে ধরতে কিন্তু পারেনি।পুরনো কথাগুলো মনে পড়তেই তার ঘৃনা যেন আরো বেড়ে যায়।
ইয়াসিবাও আফ্রিদকে দেখে সেদিন।
প্রচুর কাঁদে সে।বুকের কষ্ট বুকে নিয়েই সে দিন-কাল কাটায়।
এর মাঝেই সে জানতে পারে জাহিদের খানের মেয়ে হুমায়রা যাকে সে বোনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে সে একজনকে ভালোবাসে আর তা আর কেউ নাহ স্বয়ং আফ্রিদের চাচাতো ভাই।
সেদিন ইয়াসিবা কি করবে বুজতে পারছিলো নাহ।
একদিকে বোনের সুখ অন্যদিকে ভালোবাসার মানুষটির সাম্নাসামনী দাড়ানোর যুদ্ধ।
সবশেষে ইয়াসিবা বোনেত খুশির জন্যে আফ্রিদের কাছে যায় যেন তার ভাইয়ের সাথে হুমায়রার বিয়ে দেয়।
আফ্রিদ রাজিও হয় কিন্তু শর্ত দেয় তাকেও আফ্রিদকে বিয়ে করতে হবে।
ইয়াসিবা সেদিন রাজি হয়ে যায় এক বোনের খুশির জন্যে।
দুই. হোক ঘৃনা তবুও তো ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের করে পাবে সে।
সে জানে আফ্রিদ তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্যেই বিয়ে করবে তবুও রাজি হয়ে যায়।
হুমায়রার বিয়ে হয় ভালোভাবেই তার কিছুদিন পরেই আফ্রিদ ইয়াসিবাকে বিয়ে করে ফেলে।
ইয়াসিবাকে নিয়ে যখন বাড়িতে যায় কায়া চৌধুরী রেগে আগুন হয়ে যায়।
এমনিতেও হুমায়রার বিয়ে সে মানতে পারেনি।
তার উপর এতো প্লান করে সেই ইয়াসিবাকেই আফ্রিদ বিয়ে করলো।
কায়া চৌধুরী না মানায় আফ্রিদ তাকে নিয়ে অন্য বাড়িতে চলে আসে।
তবে আফ্রিদের বাবা ইব্রাহিম চৌধুরী ইয়াসিবাকে ভীষন ভালোবাসে।তাই সে মাজে মাজে এসেই ইয়াসিবাকে দেখে যেতেন।
আফ্রিদ দিন রাত ইয়াসিবাকে টর্চার করতো।
এরই মাজে খবর আসে জাহিদ খান আর নেই।
সেদিন ইয়াসিবা প্রচুর ভেঙে পড়েছিলো।
ওর পরিবার ছিলো নাহ।এই লোকটাই তো ওকে পরিবারের ভালোবাসা দিয়েছিলো।
সেদিন আফ্রিদ ইয়াসিবাকে বুকে টেনে নিয়েছিলো।
আর ইয়াসিবা প্রচুর কেদেছিলো।
তার কয়দিন পরেই জানতে পারে জাহিদ খান তার সব সম্পত্তি হুমায়রা আর ইয়াসিবাকে লিখে দিয়ে গেছেন।
এইটা শুনার পরেই কায়া চৌধুরীর লোভ আরো বেড়ে যায়।
সে প্রতিনিয়ত ইয়াসিবাকে মারার চেষ্টা করে।
এদিকে আফ্রিদেরও ভূল ধারনা আস্তে আস্তে ভেংগে যায় যে তার ইয়াসিবা এতো খারাপ নাহ।
তারপরের কাহিনিতো আপনারা জানেনই।
————–বর্তমান,,
আফ্রিদের চোখে পানি টলমল করছে আর ইয়াসিবা ওর বুকের সাথে মিশে রয়ে কাঁদছে।
এই এতুটুকু একটা মেয়ে শুধু আর শুধু তার জন্যে এতোটা কষ্ট সয্য করেছে।
আর সে কি-না সেই মেয়েটাকেই দিনরাত অত্যাচার করেছে।
আফ্রিদ কান্না গলায় বলে,
–” আমাকে মাফ করে দেও ইয়াসিবা।
সব কিছুর জন্যে মাফ করে দেও।
তোমাকে এতোটা কষ্ট সয্য করার জন্যে মাফ করে দেও।”
–” নাহ আফ্রিদ আপনার কোন দোষ নেই
এইসব যে আমাদের ভাগ্যেই লিখা ছিলো।
আপনি কেন মাফ চাচ্ছেন?”
আফ্রিদ ঘৃনা চোখে তাকায় কায়া চৌধুরীর দিকে বলে,
–” আপনার মতো মহিলারাই পৃথিবীতে নিকৃষ্ট জীব।
আপনি যে এতোটা খারাপ আমি কল্পনাও করেনি।
আপনাকে এতোদিন অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসতাম।
কিন্তু আজ থেকে সব শেষ।
ওফিসার ইনাকে আমার চোখের সামনে থেকে নিয়ে যান।”
পুলিশ আকাশ আর কায়া চৌধুরীকে নিয়ে চলে যায়।
আফ্রিদও ইয়াসিবাকে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়।
কিন্তু শরীর প্রচন্ড দূর্বল থাকায় ইয়াসিবা দাড়াতেও পারছিলো নাহ।
আফ্রিদ ওকে কোলে তুলে নেয়।তারপর গাড়িতে বসিয়ে দেয়।
আবিয়াকে নিজে ইবাদ চলে যায়।
আর ইয়াসিবাকে নিয়ে আফ্রিদ।
আফ্রিদ ইয়াসিবাকে সারাটা রাস্তা বুকের সাথে চেপে ধরে রেখেছিলো।
ওর যে কষ্ট কমানো লাগবে।
ওর বুকটা কষ্ট ফেটে যাবে।
এতো কষ্ট কেন?আজ সেও এতিম তারও মা নেই।
কিন্তু না বাবাকে আর সে কষ্ট দিবে নাহ।
এখন থেকে সে নিজের পরিবারের সাথেই থাকবে।
ওই নিকৃষ্ট মহিলার জন্যে আর আফ্রিদ কষ্ট পাবে নাহ।
এখন থেকে তাদের সুখের দিনশুরু।
তারা শান্তিতে একেঅপরকে ভালোবেসে পার করবে।ইয়াসিবাকে সে আর কষ্ট দিবে নাহ।
আর দিবে নাহ।
#চলবে,,,,,,,,,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।