অদ্ভুত ভালোবাসা season 2 পর্ব:১২
writer:অন্না
,
,
,
,
,নীরা হাত টা সরিয়ে নিতে গেলে নিলয় ধমক মেরে ওঠে,,, নিলয় নিজের হাতে নীরার ব্যান্ডেজ করে দেয়,, তার পর একটা কেচি এনে নীরার ঘাড় থেকে জামার হাতা কেটে দেয়,,,
,
নীরা::: কি হচ্ছে,,,,,
,
নিলয়::: চুপ,
,
নীরা:::: তুমি,,,,
,
নিলয়:::: আর একটা সাউন্ড হলে টেনে ঠাস করে থাপ্পর মেরে দিবো,,,, এত্ত সাহস হয়ে গেছে?? আমার কাছ থেকে এসব লুকাতে শিখে গেছো??? খুব বড় হয়ে গেছো???
,
নীরা:::…..
,
নিলয় নীরার পুরা জামার কাচি দিয়ে কেটে কেটে দেখছে নীরার শরীরের আর কোথাও লেগেছে কি না,,
,
নিলয়::: হাত উচু করেন,,,,
,
নীরা চুপচাপ এক হাত উচু করলো,, নিলয় নীরার জামা পেটের কাছে কাটতেই দেখে পেটে একপাশে কেটে রক্ত জমাট বেধে আছে,,,,,
,
নিলয়’::::: ইসসসসসস্ কি হয়েছে এটা,,,, কোন কুত্তার বাচ্চা এই কাজ টা করেছে???
,
নীরা:::: আমি চিনি না,,,,
,
নিলয়::::: হাতে ফোন ছিলোনা??? আমার কাছে ফোন দেওয়া যায় নি???
,
নীরা:::: আমি তোমাকে ডিস্টার্ব করতে চাই নি,,,,
,
নিলয় আর একটা কথাও বললোনা নীরার পেটে ওষুধ লাগিয়ে নীরার জামা চেন্জ করে দেয়,, তারপর নীরাকে খাইয়ে দিয়ে ওষুধ খাইয়ে দেয়,,,
,
নিলয়::::: বিছানা থেকে এক ধাপ যেনো নিচে রাখা না হয়,
,
নীরা:::: তুমি কোথায় যাচ্ছো??
,
নিলয়:::: কাজ আছে,,,
,
নিলয় বের হয়ে ওর কিছু ছেলে সাথে নিয়ে ওই ছেলের সামনে গিয়ে দাড়ায়,,,,
,
নিলয়:::: হাই ব্রো,,,
,
ছেলেটি;::: হাই,,,
,
নিলয়:::: কলেজ গেট এ এত্ত মানুষ থাকতে তুই সরাসরি বাইক নিয়ে আমার ওয়াইফ কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলি,,, ব্যাপারটা আমার হজম হলো না,,,, কারন দেখ ভাই কলেজ ছুটির সময় সবাই বের হয়,, সো তখন মোটামুটি কলেজ গেট এ জ্যাম হয়,, তুই সেই জ্যাম এ নীরাকে কেনো ধাক্কা দিলি,,,,কারন টা আমায় বল,,,,,কেনো করছিস???……;,,,,,কেনো?????
,
নিলয়ের ধমকে ছেলেটি ভয় পেয়ে যায়,,,
,
ছেলেটা:::: আ,,,,স,,,,লে,,,,, ভাই আমি যানতাম না নীরা আসলে আমাদের ভাবি,,, আর ওটা তো যাস্ট এক্সি,,,,
,
নিলয় ;:::: আমি কোনো এক্সকিউজ চাই না,,,, সত্তি টা জানতে চাই,,,,
,
ছেলেটি:::: ভাই বিশ্বাস করেন আমার কোনো
,
নিলয় ছেলেটির গালে ঠাস্ করে একটা থাপ্পর মেরে দেয়,,, সাথে সাথে নিলয়ের ছেলে গুলো ছেলেটাকে বেধম মার মারতে থাকে,,,,,,
,
ছেলেটা:::: ভাই প্লিজ আমায় ছেরে দিন,,,, আমি ইচ্ছা করে করিনি,,, আকাশ স্যার আমাকে টাকা দিয়েছিলো কাজ টা করার জন্য,,,,,
,
নিলয়:::: ওকে ছেরে দে,,,,,
,
নিলয় হনহন করে বেরিয়ে এলো,,,, সোজা আকাশের কাছে চলে যায়,,,,,
,
আকাশ:::: হেই নিলয় মাই ব্রো,,,,
,
নিলয় সোজা গিয়ে আকাশের নাক বরাবর একটা পান্স মেরে দেয়,, আকাশ গিয়ে ছিটকে পরে,,, নিলয় ইচ্ছামতো আকাশকে কয়েকটা লাথি ঘুসি মেরে দেয়,, পরে আকাশের কলার ধরে টেনে তোলে,,,,
,
নিলয়::::তোর সাহস কি করে হয় আমার নীরের ক্ষতি করার,,, তোর সাথে বাজি লেগেছি জন্য এই নয় আমি আমারর নীরের কোনো ক্ষতি হতে দিবো,,,, লাথি মারি আমি তোর বাজিতে,,,, আর কখনও যদি নীরের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছিস তোর চোখ আমি উপরে ফেলবো,,,,, তোর সাহস কি করে হয় টাকা দিয়ে আমার নীরের এক্সিডেন্ট করানোর,,, তোর কলিজাটা আমি ছিরে নিতাম নেহাৎ আমি আমার নীরকে কথা দিয়েছি এই কাজগুলো আর করবোনা,, তাই তুই বেচে গেলি,,,,,
,
আকাশ:::: আমি নীরার এক্সিডেন্ট করাই নি,, বিলিভ মি,,,
,
নিলয়:::: স্টপ,,,, আমার কাছে মিথ্যা বলে লাভ নাই মি,আকাশ,,,,, লাথি মারি আমি তোর বাজিতে আর লাথি মারি তোর প্রযেক্টে,,,,, আমি রাস্তায় বসে যাবো তার পরেও আমার নীরের শত্রুর সাথে কোনো ডিল করতে পারবো না,,, আমি দুনিয়া ভুলে যাবো শুধু ওর জন্য,,, তুই বলেছিলি না আমি ওকে অবহেলা করলে ও আমায় ছেরে যাবে??? সেটা কক্ষনো না,,, আমি সেটা করে দেখেছি,, আমার নীর পাখি আমায় ছেরে যায় নি,,,আর কখনও ছেরে যাবে না,,,, আর তোকে লাস্ট ওয়ারনিং দিলাম আমার বউ এর থেকে যত দুরে থাকবি ততো তুই ভালো থাকবি,,,,, দুরে থাক ওর থেকে,,,,
,
আকাশ::::আমার কথাটা শোনো আমি কিছু করিনি,, আমি নীরার কোনো ক্ষতি করতে পারবো না,,, ভালোবাসি আমি ওকে,,,,,
,
আকাশের কথা গুলো নিলয়ের কানে যায় না,, তার আগেই নিলয় বেরিয়ে আসে ওখান থেকে,,,,,
,
নিলয় বাসায় এসে সোজা পাশের রুমে গিয়ে সাওয়ার নিয়ে নেয়,, তারপর ওর রুমে গিয়ে দেখে নীরা বিছানায় হেলান দিয়ে বসে ঘুমাচ্ছে,,,
,
নিলয় আলতো করে নীরাকে টেনে নিজের বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে ঘুমিয়ে পরে,,,, পরদিন সকালে নীরা উঠে দেখে নিলয় রেডি হচ্ছে অফিসে যাবার জন্য,,,,
,
নিলয়:::: বাসা থেকে বের হবা না,,,, আমি একটু পরে এসে কলেজে নিয়ে যাবো,,,
,
নীরা;::: আমি চলে যাবো কলেজে,,,তোমার চিন্তা করতে হবে না,,,
,
নিলয় নীরার কথা শুনে নীরার দিকে রাগি লুকে তাকালো,,,
,
নীরা:::: তোমার তো অনেক কাজ তাই বললাম আর কি,,,,
,
নিলয়::::ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নাও,,আমি তিশুকে বলে দিছি ও আসবে তোমাকে হেল্প করতে,, আমি করতাম বাট আমার জরুরি কাজ আছে তাই,,,
,
নীরা :::: সমস্যা নাই,,,তুমি যাও,,,
,
নিলয় নীরার কপালে একটা চুমু দিয়ে বের হয়ে যায়,,,,,
,
এদিকে নীরা টুকটুক করে রেডি হয়ে একাই বের হয়ে পরে,,,,
,
নীরা কলেজে ঢুকতেই দেখে আকাশ দাড়িয়ে আছে,,,,আর ওর কপালে হাতে নাকে ব্যান্ডেজ,,,, নীরা পাশ কাটিয়ে যেতে লাগলে আকাশ ওকে ডাক দেয়,,,
,
আকাশ:::: নীরা….
,
নীরা *:::: বলেন,ভাইয়া
,
আকাশ:::: তুমি কেমন আছো নীরা,,,
,
নীরা”” ::: আমি কখনও খারাপ থাকিনা,,,,
,
আকাশ”’ বিশ্বাস করো নীরা আমি তোমাকে একাসিডেন্ট করাই নি,,, নিলয় বিশ্বাস করছে না,, দেখো না কি মার টাই না মেরেছে আমায়,,,
,
নীরা :::: ভাইয়া শোনেন আল্লাহ্ আমায় যতদিন হায়াত রেখেছেন ততদিন আমি বাচবই,আর আমার হাসবেন্ড থাকতে আপনারা যতই চেষ্টা করেন আমাকে মারকে পারবেন না,,,,,,
,
আকাশ:::: আমি তোমাকে মারতে চাইবো কেনো??? আমি তো তোমায় ভা,,,,
,
নীরা:::: ইনাফ,,,,, অনেক বলেছেন,,, আপনার কি ধারনা আপনি আমায় এসব বললে আমি আপনাকে বিশ্বাস করবো? কখনোই না,,, আমার হাসবেন্ড আপনাকে বিশ্বাস করেনি,, সেখানে আমার আপনাকে বিশ্বাস করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না,,,, দয়া করে আমার পিছু ছেরে দিন,,,, আমাকে আমার মতো থাকতে দিন,,,
,
নীরা ক্লাসরুমে চলে গেলো,,, আর আকাশ চলে আসলো ,,,, এদিকে নিলয় বাসায় এসে দেখে নীরা নাই,আর ফোন টাও রেখে গেছে,,,,, এতে নিলয় খুব রেগে যায়,,, ও কলেজে এসে জানতে পারে নীরা একটা ক্লাস করেই চলে আসছে,,,,, নিলয় আরো রেগে যায়,,, নিলয় কলেজ থেকে বের হয়ে দেখে নীরা একটা মেয়ের সাথে দাড়িয়ে গল্প করছে,,,,,,
,
,
,
be continue ♥