অতিথি_পাখি পর্বঃ ০২

0
2398

অতিথি_পাখি পর্বঃ ০২!
লেখকঃ আবির খান

মেয়েঃ এই বাবু তুমি মিথ্যা বলো কেন?? তুমিই তো আমার বয়ফ্রেন্ড।

রিয়াজের দিকে কেমন করে যেন বাকিরা তাকিয়ে আছে। আর রিয়াজ অসহায়ের মতো এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। ডাক্তার এবার বলে উঠলেন,

ডাক্তারঃ দেখুন আপনাদের মধ্যে কি হয়েছে আমরা জানি না। উনি এখন বেশ ভালো আছেন। ওনাকে বাসায় নিয়ে যান।

মেয়েঃ হ্যাঁ বাবু আমাকে বাসায় দিয়ে আসো।

রিয়াজ ভাবলো, আমাকে যা ইচ্ছা বলুক। হয়তো মেয়েটার মাথায় সমস্যা আছে। তাই উল্টা পাল্টা বলছে। এখন আমার দায়িত্ব হলো একে এর বাসায় দিয়ে আসা।

রিয়াজঃ জি ডাক্তার নিয়ে যাচ্ছি। আপনি রিলিজ করে দিন।

এরপর হাসপাতালের ফি দিয়ে রিলিজ নিয়ে রিয়াজ আর মেয়েটি বাইরে বেরিয়ে আসে৷ রাত এখন প্রায় ১২.৪৪ মিনিট। তীব্র ঠান্ডায় যেন সব জমে যাচ্ছে। রিয়াজ খেয়াল করে মেয়েটা শীতে কাঁপছে। তার পরনে শীতের কাপড়ে হয়তো শীত মানছে না। রিয়াজের খুব খারাপ লাগছে। তাই ও এক মূহুর্ত সময় নষ্ট না করেই ওর পরনের সোয়েটারটা মেয়েটির গায়ে জড়িয়ে দেয়। মেয়েটি বেশ অবাক হয়ে যায় রিয়াজের কান্ড দেখে। আর বলে,

মেয়েঃ আপনি পাগল হয়েছেন?? আমাকে সোয়েটার দিয়ে এই তীব্র শীতের মধ্যে একটা গেঞ্জি পরে আছেন শুধু!! আপনার ঠান্ডা লাগবে তো। এটা আমার লাগবে না আপনি নিন।

রিয়াজঃ আরে সমস্যা নেই। আপনি অসুস্থ। আপনি পরুন। ঠান্ডা লাগলে পরে আরো অসুস্থ হয়ে পড়বেন আর উল্টো পাল্টো বকবেন।

মেয়েঃ আমি কই উল্টো পাল্টো বকলাম??

রিয়াজঃ আমি আপনার বয়ফ্রেন্ড হই??

মেয়েঃ হ্যাঁ হন তো। (মজা করে)

রিয়াজঃ তাহলে বলেন আমার নাম কি??

মেয়েঃ ধুর বয়ফ্রেন্ডের নাম গার্লফ্রেন্ডের মুখে আনতে হয় নাকি। (মজা করে)

রিয়াজঃ বুঝেছি।

মেয়েঃ কি বুঝলেন??

রিয়াজঃ আপনার মাথায় সমস্যা আছে। তাও যেই সেই না অনেক বড়।

মেয়েঃ এই….কি বললেন??(রাগী ভাবে)

রিয়াজঃ কিছু না। এখন চলুন বাসায় দিয়া আসি আপনাকে।

মেয়েঃ হ্যাঁ হ্যাঁ চলুন।

রিয়াজঃ চলুন মানে!! আগে এড্রেস বলুন।

মেয়েঃ কিসের??

রিয়াজঃ আপনার বাসার। (অবাক হয়ে)

মেয়েঃ আপনার বাসার এড্রেস আমি বলবো কেন?? আপনি জানেন না??

রিয়াজঃ কিহহ আমার বাসা!! (আশ্চর্য হয়ে)

মেয়েঃ জি আপনার বাসাই তো আমার বাসা।

রিয়াজ কোনো রকম নিজেকে সামলে বলে,

রিয়াজঃ দেখুন এই রাতে প্লিজ কোনো মজা না। আপনাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আবার আমাকে বাসায় আসতে হবে। কাল সকালে আমার অফিস আছে৷

মেয়েঃ আমি আপনার বাসায় যাবো। আমার কোনো বাসা নেই।

রিয়াজঃ আপনাকে দেখে কোনো এঙ্গেল থেকেই গরীব মনে হচ্ছে না। বরং বেশ ধনী পরিবারেরই মনে হচ্ছে। প্লিজ বলুন। আপনাকে তাড়াতাড়ি বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি। প্লিজ।

মেয়েঃ আপনি যদি এখন আমাকে আপনার বাসায় না নিয়ে যান তাহলে কিন্তু আমি খারাপ কিছু করে ফেলবো। পরে সব দোষ আপনার হবে।

রিয়াজ এই মেয়ের কথা শুনে আকাশ থেকে পরে। এমনিই শীত। তার উপর এর কথা শুনে হাত-পা আরো জোরে থরথর করে কাঁপছে। মেয়েটা আবার বলে,

মেয়েঃ কি নিয়ে যাবেন?? নাকি??

রিয়াজঃ আচ্ছা আচ্ছা চলুন। কিন্তু…

মেয়েঃ আবার কিন্তু কি??

রিয়াজঃ আমার বাসায় সম্পূর্ণ আমি একা থাকি। ছোট দুইটা রুম। আপনি আমার সাথে কিভাবে থাকবেন??

মেয়েটা অনেক খুশী হয়ে বলে,

মেয়েঃ তাহলে তো আরো ভালো হলো। বেশ আরাম করে থাকা যাবে।

রিয়াজ কান্নার মতো কণ্ঠ করে বলে,

রিয়াজঃ দেখুন, আমি ওই ধরনের ছেলে না। প্লিজ আপনার এড্রেসটা বলুন।

মেয়েঃ একটা মাইর দিয়া একদম শেষ করে দিবো। আমাকে ওইরকম মেয়ে মনে হয় নাকি!! (রাগী ভাবে)

রিয়াজঃ না না। কিন্তু আমি তো আপনাকে চিনিই না।

মেয়েঃ চিনা লাগবে না। এখন কি বাসায় যাবেন নাকি আমি কিছু করবো?? হুম??

রিয়াজঃ আচ্ছা আচ্ছা চলুন তো। কিছু করতে হবে না।

মেয়েঃ হুম চলুন।

রিয়াজঃ আল্লাহ এ কোন মুসিবতে আমাকে ফেললে?? এখন আমি কি করবো??

মেয়েঃ কি করবেন আর আমাকে আপনার বাসায় নিয়ে যাবেন হিহি।

রিয়াজ হাঁটতে হাঁটতে মেয়েটাকে প্রশ্ন করলো,

রিয়াজঃ আচ্ছা আপনি কে?? কি আপনার পরিচয়?? বলেন না। আর কেনই বা এভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন??

মেয়েঃ বাব্বাহ এত্তো প্রশ্ন!! তার আগে বলুন এভাবে হেঁটেই যাবো নাকি??

রিয়াজঃ হ্যাঁ। ওই যে আমার বাসা।

মেয়েঃ চলুন চলুন খুব ঠান্ডা। আর আমার চেয়ে বেশী ঠান্ডা তো আপনার লাগছে। তাড়াতাড়ি চলুন।

রিয়াজ কিছু বুঝতেই পারছে না। এ কেমন ফাঁদে ও পড়েছে। না পারছে কিছু করতে না পারছে কিছু বলতে। এরপর মেয়েটিকে নিয়ে রিয়াজ ওর বাসায় চলে যায়। বাসার তালা খুলার আগে রিয়াজ আবার বলে,

রিয়াজঃ দেখুন এখনো সময় আছে আপনি আপনার বাসার এড্রেসটা বলুন আমি এখনই আপনাকে দিয়া আসছি।

মেয়েটা রিয়াজের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর বলে,

মেয়েঃ আপনি কি আসলেই ভালো নাকি ভালো সাজার ভান করছেন বলেন তো। এত্তো সুন্দর একটা মেয়েকে হাতের নাগালে পেয়েও তাকে বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছেন??

রিয়াজঃ জি। আমি কোনো পশুর সন্তান না। আমি আমার মায়ের সুশিক্ষিত সন্তান। যে মেয়েদের সম্মান করতেও জানে এবং রক্ষা করতেও জানে।

মেয়েঃ হইছে। তালা খুলেন নাহলে কিন্তু চিৎকার করবো। পরে আপনার তালা খুলতে সবাই আসবে। হিহি।

রিয়াজের মন চাচ্ছে কান্না করতে। এ কেমন মেয়েরে বাবা। রিয়াজ তালা খুলে দিতেই মেয়েটা ভিতরে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই বলে উঠে,

মেয়েঃ ইয়া আল্লাহ… এ আমি কোথায় এলাম!! এই আপনি এত্তো নোংরা কেন?? কি অবস্থা বাসাটার। ছিহহ ছিহহ।

মেয়েটার কথা শুনে রিয়াজের যেমন লজ্জা লাগছে তেমনি রাগও হচ্ছে। ও মনে মনে বলছে, “আমার বাসা যেমন খুশী তেমন থাকবে তাতে তার কি!!” রিয়াজ আস্তে করে লজ্জা নিয়ে বলে,

রিয়াজঃ আসলে একা থাকিতো। পরিষ্কার করার সময় পাইনা। তাই এই অবস্থা। সপ্তাহে শুক্রবার একদিন সব পরিষ্কার করি।

মেয়েঃ আমি ফ্রেশ হতে গেলাম এসে যেন সব পরিপাটি দেখি নাহলে খবর আছে। ওয়াশরুম কোথায়??

রিয়াজঃ এই যে। (অসহায় ভাবে)

মেয়েটা ফ্রেশ হতে চলে গেল। আর রিয়াজ দৌঁড়ের উপর পুরো বাসা তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করে ফেলে। মেয়েটা বাইরে বেড়িয়ে দেখে রিয়াজ হাপাচ্ছে। মেয়েটা মুখ মুছে মুচকি হাসি দিয়ে বলে,

মেয়েঃ কি শীত চলে গিয়েছে না?? এতোক্ষণ বাইরে শীতের মধ্যে ছিলেন তাই একটু কাজ করালাম। আমারও লাভ হলো আপনারও লাভ হলো। হিহি।

রিয়াজ পুরো বোকা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মেয়েটা হাসি দেখে ওর সব ক্লান্তি যেন নিমিষেই দূর। এরপর রিয়াজ ফ্রেশ হয়ে আসে। বাইরে আসতেই মেয়েটা বলে,

মেয়েঃ এই যে মিস্টার…

রিয়াজঃ আবার কি?? বলুন।

মেয়েঃ আমার অনেক ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিন না।

মেয়েটা কথা গুলো এমন ভাবে বলল যে রিয়াজের অনেক মায়া হলো। রিয়াজ বলল,

রিয়াজঃ আচ্ছা আপনি বসুন আমি রান্না করে আনছি।

এরপর রিয়াজ দ্রুত রান্না করতে চলে যায়। চলুন এই ফাঁকে জেনে আসি কে এই রিয়াজ আর কি তার পরিচয়??

রিয়াজের বয়স এখন ২৯ বছর। বরিশালে ওর জন্ম হয়েছে। রিয়াজের বাবা-মা আর ছোট বোন বরিশালেই থাকে। ও বেশ মেধাবী ছাত্র হওয়ায় ঢাকাতে একটা বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে। তাই বাবা-মার কথায় এখানে একা থেকে চাকরিটা করছে রিয়াজ। বেশ ভালো বেতনই পায়। যা পায় তার কিছু অংশ রেখে বাকিটা গ্রামে বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দেয়।

রেয়াজ দেখতে বেশ ফর্সা না হলেও শ্যামলা রঙের বলা যায়। মাথায় ঘন কালো সিল্কি চুল, চাপ দাঁড়ি, লম্বা আর সুঠাম দেহ। বলতে গেলে রিয়াজ একদম পারফেক্ট একটা ছেলে। এই হলো রিয়াজ।

রিয়াজ প্রায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে রান্না শেষ করে মেয়েটিকে ডাকতে আসে। কিন্তু ডাকতে এসে রিয়াজ থমকে যায়। কারণ মেয়েটা আবার চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। রিয়াজের ভয় করছে। ওর মনে হচ্ছে মেয়েটা আবার অজ্ঞান হয়ে গেল নাকি। রিয়াজ আস্তে আস্তে করে মেয়েটার কাছে গিয়ে বলে,

রিয়াজঃ এই যে…উঠুন.. রান্না হয়েছে। এই যে…

রিয়াজ মেয়েটির হাতের তালুতে ওর আঙুল দিয়ে একটা দুটো গুতো দিয়ে ডাক দিতেই মেয়েটা ঘুম থেকে উঠে পরে। উঠতেই রিয়াজকে চোখের সামনে দেখতেই বলে,

মেয়েঃ একি!! আপনি আমার এতো কাছে কেন?? একদম কাছে আসবেন না। খবর আছে কিন্তু।

রিয়াজ গাল ফুলিয়ে পাশে চেয়ারটায় গিয়ে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে বসে থাকে। মেয়েটা বুঝতে পারে ও ঘুমিয়ে গিয়েছিল তাই হয়তো ডাকতে এসেছিল। মেয়েটা রিয়াজের কান্ড দেখে হেসে দেয়। রিয়াজ আরো রাগ করে বসে আছে। মেয়েটা বলে,

মেয়েঃ আপনি দেখি মেয়েদের মতো রাগ করে বসে আছেন হাহা। খুব কিউট লাগছে কিন্তু আপনাকে। হাহাহা।

রিয়াজ চুপ করে বসে আছে। মেয়েটা আবার বলে,

মেয়েঃ আচ্ছা সরি। একটু ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। অনেক ক্ষুধা লেগেছে তো। আপনি রাগ করে থাকলে খাবার দিবে কে।

রিয়াজ আর রাগ করে থাকতে পারে না। হাসি বেড় হয়ে যায়। রিয়াজ হাসি দিয়ে বলে,

রিয়াজঃ আপনি এমন কেন?? গেলাম ডাকতে আর আপনি কি বলেন আমাকে।

মেয়েঃ হিহি। আমি এমনই। এখন কি খাবার দিবেন নাকি না খেয়েই আবার…

রিয়াজঃ না না দিবো দিবো। তার আগে বলুন তো ডিম ভুনা, ডাল আর আলু ভর্তা কখনো খেয়েছেন??

মেয়েটা অসহায় ভাবে মাথা নাড়িয়ে না বলে। রিয়াজ হেসে দেয়। আর বলে,

রিয়াজঃ আমিতো এগুলোই প্রতিদিনই খাই। মাঝে মাঝে অন্যকিছু থাকে। আজতো আমার সাথে এগুলোই খেতে হবে। পারবেন তো??

মেয়েঃ তিন দিন যাবৎ খাই না। শুনেছি ক্ষুধার সময় নাকি কোনটা ভালো অার মন্দ কিছুই বুঝা যায় না। আপনি দিন।

রিয়াজঃ এটা ভালো বলেছেন। আসুন।

এরপর রিয়াজ মেয়েটিকে নিয়ে খেতে বসে। রিয়াজ নিজ হাতে মেয়েটিকে বেশী বেশী দিয়ে খেতে দেয়।

মেয়েঃ বাহহ!! মনে হচ্ছে ভালোই হয়েছে খেয়ে দেখি একটু।

রিয়াজ মুখে খাবার দেয়নি। মেয়েটির রিয়াকশন দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। মেয়েটি প্রথমে এক লোকমা খেলো। আবার আরেক লোকমা। এভাবে ৫ লোকমা খেয়ে বলে উঠলো,

মেয়েঃ ওহ মাই গড!!! এটা তো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেস্ট একটা খাবার। সত্যিইই খুব মজা খুব দারুণ। অসম্ভব ভালো রান্না করেছেন। আল্লাহ আমি এতো মজার খাবার আগে কখনো খাইনি। (অনেক খুশী হয়ে )

রিয়াজঃ আরেকটু দি??

মেয়েঃ দিন না.. না করেছে কে। হিহি।

রিয়াজ খুশী হয়ে আরো দিলো। আর বলল,

রিয়াজঃ এটা বাঙালিদের বেস্ট খাবার। এই খাবারের সাথে কোনো কিছুর তুলনাই হয়না।

মেয়েঃ আসলেই ঠিক বলেছেন। আমি অনেক দেশের খাবার খেয়েছি বাপির সাথে। বাট এই খাবার কখনো খাইনি। সত্যি আপনার স্ত্রী অনেক লাকি হবে৷

রিয়াজঃ আপনি না হলেই হয়। (আস্তে করে)

মেয়েঃ এই যে দুষ্ট শুনে ফেলেছি কিন্তু। কেন আমাকে বুঝি ভালো লাগে নি হুম??

রিয়াজঃ এরকম মাথার তার ছিড়া মেয়েকে কার ভালো লাগবে। (বিড়বিড় করে)

মেয়েঃ কিইই কি বললেন?? (চোখ বড় করে)

রিয়াজঃ বলেছি, আপনি হঠাৎ আমার কাছেই কেন আসলেন বলুন না?? আসল কাহিনিটা কি??

মেয়েঃ আপনিতো খাওয়া শুরুই করেন নি। তাড়াতাড়ি খান নাহলে কিন্তু আমি খেয়ে ফেলব। পরে সাড়া রাত না খেয়ে থাকতে হবে। হাহা।

রিয়াজঃ এড়িয়ে যাচ্ছেন তাইতো??

মেয়েঃ খানতো।

রিয়াজ খেতে খেতে বলে,

রিয়াজঃ হুম যে ক্ষুধা লাগছে, আমাকেই খেয়ে ফেলেন কি না আল্লাহ জানে।

মেয়েটা হাসতে হাসতে শেষ। পানি খেয়ে বলে,

মেয়েঃ আপনি খুব মজার মানুষ। আমাদের জমবে অনেক।

এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে উঠে রিয়াজ সব গুছাচ্ছে। গুছাতে গুছাতে রিয়াজের মনে পড়লো, ও তো মেয়েটার নামই জানলো না। তাই তাড়াতাড়ি সব গুছিয়ে এসে রুমে ঢুকতেই রিয়াজ পুরো বোকা। কারণ…

চলবে…

কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। আর সাথে থাকবেন সবসময়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে