#অতঃপর_প্রেম🍃
#পর্ব_০৬
#লেখিকা_আয়ানা_আরা (ছদ্মনাম)
সাদা কাফনে মুড়ানো লাশকে জড়িয়ে ধরে লাশটির দিকে তাকিয়ে আছি আমি। এই লাশটা আর কারো না আম্মুর!!যে কিনা আজ সকাল অব্দি বেঁচে ছিলো!ডক্টর বলেছেন আম্মু ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করেছেন। আমার চোখ ফুলে গেছে। আমি আর মায়ের লাশ দেখতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পরে যেতে নেই তার আগেই রোদ স্যার আমাকে ধরে নেন। কোনো দিক বিবেচনা না করে তিনি আমাকে পাঁজকোল তুলে রুমে নিয়ে যেয়ে শুয়ে দেন। নিশা রোদ স্যারের পিছে পিছে রুমে ঢুকে। রোদ স্যারের উদ্দেশ্যে বলে,’ওর কি হয়েছে?’
‘ও মা হারানোর ধাক্কাটা সামলাতে পারিনি তাই অজ্ঞান হয়ে গেছে।’
‘ওর উপর এটার ইফেক্ট খুব খারাপ ভাবে পড়েছে।’
‘হুম’
এই বলে তিনি আমার মুখের দিকে তাকান। কয়েক ঘন্টার তফাৎে মুখ ফেকাসে হয়ে গিয়েছে।
ফ্ল্যাশব্যাক-
আমাদের বাসার কাছেই আমার মেডিক্যাল থাকার কারণে আম্মুকে আমি ওইখানে কিছু প্রতিবেশির সাহায্যে নিয়ে যাই। আমি চেঁচাতে চেঁচাতে ডক্টর কে ডাক দেই। তখন ভাগ্যবশত রোদ স্যার কাজের জন্য হস্পিটালে এসেছিলেন আমাকে এইভাবে চিল্লাতে দেখে আমার কাছে এসে বলে,’কি হয়েছে মেহেক চিল্লাচ্ছো কেনো?’
আমি কাঁদতে কাঁদতে তাকে বলি,’রোদ স্যার আমার আম্মুকে বাঁচান প্লিজ।’
আমার কান্না দেখে রোদ স্যার আতকে উঠেন। তিনি ব্যস্ত হয়ে বলেন,’কি হয়েছে তোমার আম্মুর?’
রোদ স্যার কয়েকটা নার্সকে ডেকে বলেন আম্মুকে আইসিইউ তে নিয়ে যেতে। আম্মুকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পর আমি হস্পিটালের ল্যান্ড লাইন দিয়ে আব্বু আর ভাইয়াকে হস্পিটালে আসতে বলি। তারা আসার পর রোদ স্যার গোমড় মুখ নিয়ে বেরিয়ে বলেন,’শি ইজ নো মোর।’
উনার কথা শুনে আমার সারা পৃথিবী থমকে গিয়েছে। থমাকাবেই না কেনো আমার পৃথিবীই তো চলে গেছে আমাকে ছেড়ে সেই দূর আকাশে না ফেরার দেশে। আমি আর কাউকে ‘আম্মু’ ‘ও আম্মু’ বলে ডাকতে পারবো না। ডাকলেও সাড়া দেওয়ার জন্য মানুষটাই তো নেই। আমি উঠে দাঁড়িয়ে রোদ স্যারের কলার চেপে ধরে বলি,’মিথ্যা বলছেন কেনো স্যার আপনি? আপনি ডাক্তার হয়ে মিথ্যা বলছেন?’
কথা গুলো বলতে বলতে আমি কেঁদে দেই। মেহেদী ভাই আর আব্বু চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে তারাও নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। অবশেষে সাদা কাফনের কাপড়ে মুড়ানো আম্মুকে আনা হলো। এইটাই আম্মুর সাথে লাস্ট দেখা আর কখনো দেখা হবে না আমার তার সাথে।
বর্তমান-
লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে বসি আমি। ফজরের আজানের ধ্বনি কানে আসছে। আমি চারদিকে চোখ বুলিয়ে বুঝতে পারি এটা একটা বাজে স্বপ্ন। আমি পাশে থাকা জগ নিয়ে ঢক ঢক করে সব পানি খেয়ে শেষ করে ফেলি। তারপর ওযু করে এসে নামাজ আদায় করে নেই।
চারদিকে আবছা আলো। আমি কিচেনে যেয়ে এক কাপ কফি নিয়ে ব্যালকনিতে এসে পরিবেশ উপভোগ করছি। ঘড়ির কাটায় সাতটা বাজতেই আমি ব্রেকফাস্ট বানিয়ে নিলাম সবার জন্য। হঠাৎই মা উঠে এসে বলে,’কিরে মেহু কিচেনে কি করছিস?’
আমি আম্মুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে,’ব্রেকফাস্ট বানাতে।’
আমার কথা শুনে আম্মু অনেক অবাক হয় সেটা তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আম্মু আমার কাছে এসে গালে আলতো করে হাত রেখে বলে,’আমি কি স্বপ্ন দেখছি?তুই নাস্তা বানাচ্ছিস?’
আমি হেসে বলি,’এটা বাস্তব।’
আম্মু আর কিছু না বলে খাবার গুলো নিয়ে টেবিলে পরিবেশন করে দেয়। আব্বু আর ভাইয়াও এসে ব্রেকফাস্ট করে চলে যায়। আমিও মেডিক্যাল যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিচে যাই। দেখি আম্মু টিভিতে সিরিয়াল দেখছে। আমি আম্মুর কাছে যেয়ে বলি,’আম্মু আমি যাই তাহলে’
আম্মু টিভি দেখতে দেখতে বলে,’হুম যা।’
আমিও মেডিক্যালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। মেডিক্যালে পৌছে হাঁটতে হাঁটতে কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যাই। আমি রাগে উঠে দাঁড়িয়ে সামনের ব্যক্তিকে বলি,’এই চোখে দেখেন না কানা নাকি?’
সামনের ব্যক্তিটা ভ্রুকুচকে বলে,’সরি খেয়াল করিনি।’
‘খেয়াল করেননি নাকি ইচ্ছা করে ধাক্কা দিয়েছেন।’
‘এক্সকিউজ মি আপনি আমাকে ভুল ভাবছেন।’
‘কি ভুল ভাবছি হ্যা?’
এই বলে রাগে চলে আসলাম। আমি ক্লাসে ঢুকে দেখলাম ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। রোদ স্যার আমাকে বলে,’তা মিস ওপস সরি মিসেস মেহেক মেডিক্যাল কি আপনার বাসা।’
‘না এটা বাসা কেনো হবে?’
‘তাহলে যখন খুশি আসেন কেনো?’
‘আসলে…
আমার পুরা কথা শেষ না করতে দিয়েই রোদ স্যার আমাকে এক ধমক দিয়ে সিটে বসতে বলেন। আমি মুখ ফুলিয়ে সিটে বসলাম। এইভাবে অপমান না করলেও পারতো। খবিশ ব্যাটা হুহ!!নিশা আমাকে ফিসফিস করে বলে,’আচ্ছা তোমাকে রোদ মিসেস কেনো বলেছে?’
নিশার কথা শুনে আমি চমকে উঠি। আমি আমতা আমতে করে বলি,’ক-কি জা-নি’
আমার কথা শুনে নিশা ভ্রুকুচকে বলে,’আমতা আমতা করছো কেনো?’
আমি কথা ঘুরিয়ে বলি,’ক্লাস করো।’
নিশাও আর কিছু না বলে ক্লাস করে। কয়েকটা ক্লাস শেষে আমি বাসায় চলে আসি। কোত্থেকে আমার কাজিন দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,’এই মেহুউউ।’
‘রোথি তুই?’
‘হ্যা আমি কেমন দিলাম সার্প্রাইজ।’
‘সত্যিই আমি অনেক অবাক হয়েছি। তা ফুপিমা আর তোর ওই ইঁচড়েপোকা ভাই এসেছে?’
‘না ভাইয়া আসেনি কিন্তু আম্মু এসেছে। মামির রুমে আছে।’
‘আচ্ছা ঠিকাছে আমি ফ্রেশ আসছি তারপর একসাথে যাই নিচে।’
‘হুম জলদি যা।’
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে আম্মুর রুমে যাই।আমি ফুপিকে দেখে দৌড়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলি,’কেমন আছো ফুপিমা।’
ফুপিমাও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,’অনেক ভালো আছি। তুই কেমন আছিস?’
‘আমিও অনেক ভালো আছি।’
ফুপিমা আমাকে ছেড়ে বলল,’শুনলাম মেডিক্যালে চান্স পেয়েছিস?’
‘হ্যা।’
‘আমাকে একটু খবরও দিলি না।’ (মুখ ফুলিয়ে।)
আমি হেসে ফুপিমাকে বললাম,’খুশিতে মনে ছিলো না।’
‘আচ্ছা ঠিকাছে। আমি তোর জন্য রসমালাই নিয়ে এসেছি।’
আমি খুশিতে লাফ দিয়ে বলি,’সত্যিই ফুপিমা?’
ফুপিমা হেসে বলেন,’হুম।’
‘তুমি বেস্ট ফুপিমা।’
ফুপিমা একটা ভেংচি কেটে বলে,’হইছে এতো মিথ্যা বলতে হবে না আপনার এখন যান খান গিয়ে।’
আমি দাঁত কেলিয়ে চলে গেলাম রসমালাই খেতে। রসমালাই আমি অনেক ফেবারেট….
#চলবে
#অতঃপর_প্রেম🍃
#পর্ব_০৭
#লেখিকা_আয়ানা_আরা (ছদ্মনাম)
আমি তৃপ্তি করে রসমালাই খেতে লাগলাম। ফুপিমা আমার কাছে এসে বলে,’আস্তে খা তোর ভাগের টা কেউ নিয়ে যাবে না।’
আমি ফুপিমার কথায় কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে চেটেপুটে খেতে লাগলাম। ফুপিমাকে বললাম,’তা ফুপিমা তোমার দানব গরিলা ইঁচড়েপোকা ছেলে আসেনি কেনো।’
আম্মু আমার কাছে এসে ধমক দিয়ে বলে,’বড়দের এইভাবে বলতে হয়?’
আম্মুর ধমক খেয়ে আমি ঠোঁট কামড়ে ধরলাম। ফুপিমা বলেন,’আরে বলিস না ছেলেটাকে কতোবার বললাম তোর মামির বাসায় আমার সাথে আয় সে তো আসলোই না কিন্তু বিকালে আসবে।
(বলে রাখা ভালো ফুপিমা আমার নিজের ফুপি না। ফুপিমা আমার দাদার ভাইয়ের মেয়ে। আর আমার দাদা আর দাদার ভাই এক বাসায় থাকতো তাই আমি ফুপিমাকে ফুপিমা বলি। ফুপিমার একটা ছেলে আর মেয়ে আছে। ফুপিমার ছেলেকে আমি আমার তিন বছর বয়সে দেখেছিলাম পরে আর দেখিনি তাই নাম আর চেহারাও মনে নাই কেউ বলেও নাই🤷♀️।)
আমি রসমালাই খেয়ে রোথিকে বললাম,’রোথি চল ডোরেমন মুভি দেখবো আজকে।’
আমার কথা শুনে রোথি হাত তালি দিয়ে বলে,’ইয়েএ।’
আমাদের দুইজনে কার্টুন অনেক ফেবারেট। ও আমাদের বাসায় আসলেই আমরা সবসময় কার্টুন দেখি আর এইবারও ব্যতিক্রম নয়। আমি আর রোথি টিভি তে ডোরেমনের মুভি ‘বার্থ অব জাপান’ ছাড়লাম। মুভি দেখতে দেখতে এক ঘন্টা পার হয়ে যায়। লাস্টের সিনে আমি আর রোথি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই। আমাদের কান্নার মাঝেই দরজায় কলিং বেল বাজলো। আমি দরজা খুলে দেখি এক সুর্দশন পুরুষ দাঁড়ানো।আমি তাকে দেখে ভ্রুকুচকে বলি,’কাকে চাই?’
ছেলেটা আমার পাশ কাটিয়ে ভিতরে চলে গেলো। আমি দৌড়ে গিয়ে বাধা হয়ে দাড়ালাম। ছেলেটা দাঁত কিরমির করে বলে,’মেইড মেইডের মতো থাকুন। গেট আউট।’
ছেলেটার কথা শুনে আমি রাগে ফুলে গেছি। আমি তার দিকে আঙুল তুলে কিছু বলতে যাবো তার আগেই ফুপিমার আওয়াজ শুনলাম
‘আরে রোশান তুই এসেছিস।’
আমি আর রোশান নামের ছেলেটা ফুপিমার দিকে তাকালাম। রোশান নামে বাদরটা বলল,’হুম মা।’
আমার কাছে এখন সব জলের মতো ক্লিয়ার হয়ে গেলো। রোশান নামের ছেলেটা আর কেউ না রোথির ভাই। রোশান বলে,’মা এই মেয়েটা কে?এই বাড়ির মেইড?’
রোশানের কথা শুনে মনে হচ্ছে বেটার মাথা ফাটাই দেই। ফুপিমা হেসে বলেন,’তুই ছোট বেলায় যার জন্য পাগল ছিলি যাকে বউ বউ বলে সারা বাসায় ঘুরতি সেই এই।’
আমি রোশানের দিকে ভ্রুকুচকে তাকালাম। তার সারা মুখ হঠাৎই অন্ধকার হয়ে গেছে। ফুপিমা বুঝতে পেরে কথা ঘুরিয়ে বলে,’আচ্ছা আয় তোর মামির সাথে দেখা করে যা।’
রোশান জোরপূর্বক হেসে বলে,’হুম চলো।’
রোশান যেতেই রোথি এসে আমার পাশে দাড়ালো। রোথি আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,’বেশি দেখিও না আমার ভাইকে প্রেমে পড়ে যাবা।’
রোথি এই কথা বলে দৌড় দিলো আমিও ওর পিছে পিছে দৌড় দিলাম।
রাতে খাবার টেবিলে-
মেহেদী ভাই,রোশান ভাই,আব্বু-আম্মু,আমি,রোথি,ফুপিমা একসাথে বসে খাবার খাচ্ছিলাম। আব্বু ফুপিমার উদ্দেশ্যে বললেন,’রোশনি এইবার কিন্তু এই দুইদিন থাকলে চলবে না। আমরা মেহেদীর জন্য মেয়ে ঠিক করেছি।’
আব্বুর এই কথা শুনে মেহেদী ভাই কাশতে শুরু করে দিলো। আমি আর আম্মু মুখ টিপে হাসছি। আব্বু হেসে বলে,’তাও আবার মেহেদী পছন্দের মেয়ের সাথে।’
ফুপিমা হেসে বলে,’ভাইয়া কি বলো মেহেদীর পছন্দের কে সেই মেয়ে?’
‘মেয়েটার নাম হচ্ছে ইরহা।’
আমি মেহেদী ভাইকে কনুই দিয়ে গুতো দিয়ে বলি,’ঘটকালি কিন্তু আমি করেছি তাই ঘটক আমি।হিহিহি’
মেহেদী ভাই বলল,’তারমানে তুই বলে দিয়েছিস?’
আমি একটা টেডি স্মাইল দিয়ে বলি,’হুম।’
‘তবে রে।’
ফুপিমা আব্বুকে জিজ্ঞেস করলো,’ভাইয়া বিয়ে ঠিক করেছো কবে?’
‘দুই সপ্তাহ পর ঠিক করেছি আর ইরহামাকে কাল আংটি পড়াতে যাবো তাই তোদের থাকতে হবে।’
পুরোটা সময়ই রোথি আর রোশান ভাইয়া চুপ ছিলো। রোথি খাওয়া শেষে চুপচাপ চলে যায় আমার সাথে। আমি খেয়াল করেও কিছু বলি না।
মাঝরাতে আমি ঘুমাচ্ছিলাম তখনই কারো ফুপানো আওয়াজ কানে ভেষে আসে। প্রথমে ভ্রুক্ষেপ না করলেও এখন আমি উঠে দেখি রোথি ফুপাচ্ছে মানে নিরবে কাঁদছে। আমি ওকে উঠিয়ে বলি,’রোথি কাঁদছিস কেনো।’
রোথির কান পর্যন্ত আমার কথা যায়নি সে ঠোঁট চেপে কাঁদছে। আমি রোথির গালে আলতো করে হাত রেখে বললাম,’কি হয়েছে রোথি?’
রোথি এইবার আমাকে অবাক করে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,’সব ভালোবাসা কি পূর্নতা পায় না আপু?’
ওর এহেন প্রশ্নে আমি চমকে উঠি। রোথি বরাবরই নিরামিষ টাইপের মেয়ে। এইসব ভালোবাসা,প্রেম ওর দ্বারা কখনোই হয় না। হঠাৎ এরকম মেয়ের মুখে প্রেম,ভালোবাসা টাইপ প্রশ্ন শুনলে অবাক হওয়ারই বিষয়। আমি রোথির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম,’হঠাৎ এই প্রশ্ন?’
‘না আগে তুমি বলো।’
আমি মুচকি হেসে বললাম,’সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না। কিছু কিছু ভালোবাসা অপূর্ণতা পাওয়াই উত্তম।’
রোথি আমাকে ছেড়ে চোখে পানি মুছলো। আমি ওকে বললাম,’এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলি কেনো বললি না যে?’
‘না এমনি।’
আমি বুঝতে পারলাম রোথি আমার প্রশ্ন এড়িয়ে চলল তাই আমিও আর কিছু না বলে শুতে চলে গেলাম।
সকালে ফুপিমার ডাকে ঘুম ভাঙে। আমি আর রোথি ফ্রেশ হয়ে নিচে যাই। দেখি দানবটা সোফায় বসে মোবাইল দেখছে। আমি মনে মনে বেটাকে একটা ভেংচি কেটে ব্রেকফাস্ট করতে টেবিলে গেলাম। ব্রেকফাস্ট শেষ করে আমি ফোন নিয়ে সোফায় বসলাম। এফবিতে লগইন করে দেখলাম নিশা মেসেজ দিয়েছে। আমি ওর মেসেজের রিপ্লাই দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখলাম। আজকে যেহেতু মেয়েকে আংটি পড়াতে যাবো তাই অনেক তোড়জোড় চলছে বাসায়। রোশান ফুপিমাকে আমার উদ্দেশ্যে বলে,’মা এই মেয়েকে নিয়ে যাও ওর ভাইয়ের বিয়ে আর ও নিজেই কোনো কাজ করছে না এটা কেমন কথা।’
আম্মুও ফুপিমার সাথে ছিলো তাই সে নিজেও রোশান হনুমানের কথায় সায় দিয়ে বলল,’হুম ঠিক বলেছো রোশান। মেয়েটা আমাকে কিছুতেই সাহায্য করে না। সারাক্ষন টোইটোই করে ঘুরে বেরায়।’
………
#চলবে
( রিচেক দেওয়া হয়নি, ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।হ্যাপি রিডিং)