#অজানা_অনুভূতি
পার্ট: ১৭
__আপু! আপু! নাজিফা ডাকে প্রাপ্তির ঘুম ভাঙলো।প্রাপ্তি আড়মোড় ভাঙতে ভাঙতে এতো সকাল সকাল ডাকছিস কেন?
নাজিফা -সকাল সকাল মানে?৭.০০ টা বাজে।আর আজ না তোর বিয়ে।
প্রাপ্তি -বিয়ে হলে কি হইছে।কোন হাদিসে লিখা আছে বিয়ে হলে ঘুমাতে পারেনা।কোথায় লিখা আছে তুই ওইটা খুঁজে নিয়ে আয় এর ফাঁকে আমি আরেকটু ঘুমিয়েনি।
নাজিফা -আপ ধুরঃ ফাজলামি করিসনা। উঠ! বড় মা আর আব্বু তোকে ডাকতে বললো।
প্রাপ্তি -আর শান্তিতেও একটু ঘুমাতে দিবিনা!
নাজিফা -এখন আর ঘুমাতে হবেনা।এক সাথে রাতে ফারহান ভাইয়াদের বাড়ীতে গিয়ে ঘুমাইছ।
মিলি প্রাপ্তির রুমে আসতে আসতে বললো
নাজিফা তুইযে বললি ফারহানদের বাড়ীতে গিয়ে ঘুমাতে। ওর কি আজ রাতে আর ঘুম হবে?
প্রাপ্তি- আসলেই কি দরকার ওই বাড়ীতে গিয়ে ঘুমানোর । ওদের বাড়ীর যতো বিড়াল কুকুর আছে সব গুলোকে রাতে বসে বসে আমি পাহারা দিবো।
বুজচ্ছি আর ঘুম হবে না।তোরা বস আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
প্রাপ্তির কথা শুনে মিলি আর নাজিফা দুজনেই অট্ট হাঁসিতে গড়িয়ে পড়ছে।
প্রাপ্তি ফ্রেশ হয়ে ড্রইংরুমে গিয়ে দেখে তাদের সব আত্মীয়স্বজন বসে আড্ডা দিচ্ছে।প্রাপ্তিকে দেখে সবাই ফারহান আর প্রাপ্তিকে নিয়ে নানা রকম হাঁসিঠাট্টা করছে।এইসব শুনতে প্রাপ্তির মোটেই ভালো লাগছেনা।এই প্যারা যে আর কতো দিন থাকবে একমাত্র আল্লাহই ভালো জানে।তুবুও মনের সাথে যুদ্ধ করে মুচকি হাঁসিটা দিতে হচ্ছে।
মেজো মা -প্রাপ্তি তুই এইখানে দাঁড়িয়ে আছিস।নাস্তাটাও তো করিসনি।এইদিকে আয় আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
নীরা রান্নাঘর থেকে মৃদুলের জন্য কফি আনতে যাচ্ছে কিন্তু মায়ের কথাটা শুনে দাঁড়িয়ে বললো।আম্মু আমার বিয়ের দিন আমাকে খাওয়ানো তো দূরে কথা আমার সামনেই তুমি বেশী আসোনি।আর এখন বড় মেয়েকে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মেজো মা-দেখেছিস এতো আজে বাজে চিন্তা মাথা নিয়ে ঘুরিস কিভাবে। যেই কাজে যাচ্ছিলি সেই কাজে যা।
নীরা -দাঁড়াও আমিও আসছি। আগে কফিটা দিয়ে আসি।সবাই কাল থেকে যেই ভাব করতেছো মনে হচ্ছে তোমাদের সবার একটাই মেয়ে।আর আমরা কেউ না।
নীরা কথা গুলো হিংসা করে নয় সবাইকে খেপানোর জন্যই বলতেছে।
প্রাপ্তির মা মেয়ের সামনে বেশী আসছেনা।মেয়ের দিকে তাকালেই তার অনেক কষ্ট হয়।এতো তাড়াতাড়ি বিয়েটা দেওয়া উচিত হয়নি।মেয়েটা কে আরো কিছু সময় দেওয়ার দরকার ছিলো।
বড় ফুফু-কি ব্যাপার ভাবী। কি নিয়ে এতো চিন্তা করছেন?
প্রাপ্তির মা -কিছু না আপা।মেয়েটা চলে যাবে তাই খারাপ লাগছে। এতো দিন প্রাপ্তি এই বাড়ী ছেড়ে কোথাও বেশী যেতোনা ও মামার বাড়ীতেও বেশী গিয়ে থাকতোনা।
প্রাপ্তিকে সাজাতে পার্লারে লোক এসে বসে আছে।কাকীরা সবাই মিলে প্রাপ্তিকে গোসল করিয়ে একটা শাড়ী পরিয়ে ড্রইংরুমে এনেছে। এইবাড়ী একটা নিয়ম, মেয়েকে সাজানোর আগে বড়দের সবাইকে সালাম দিয়ে তারপর সাজানো শুরু হয়।সবাইকে সালাম দেওয়া শেষ কিন্তু প্রাপ্তির বাবা আর মেজো কাকাই আসছেনা।বাবা বাহিরে চলে গেছে। আর মেজো কাকা নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে।
সবাইকে সালাম দিয়ে প্রাপ্তি মেজো কাকার দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সবাই অনেক বার বলার পরে দরজা খুলেছে।কিন্তু তাকে দেখেই বুজা যাচ্ছে অনেক কান্না করেছে।হয়তো পুরুষ বলে সবার সামনে কান্না করতে লজ্জা পাচ্ছে।কিন্তু মনকে তো আর মানা যায়না।তাই হয়তো দরজা বন্ধ করেই কান্না করছে।
প্রাপ্তি সালাম দিতে যাবে তখনি প্রাপ্তিকে জড়িয়ে ধরে আবারও চোখের পানি গুলো ঝরতেছে।প্রাপ্তি এতোক্ষন অনেক কষ্টে নিজের কান্না চাপিয়ে রেখেছে।কিন্তু আর না পেরে নিজেই কান্না করছে।
কেউ কিছু বলছেনা সবাই শুধু তাকিয়ে দেখছে।এই মুহূর্তে হয়তো কারো কিছু বলার ভাষা নেই।
প্রাপ্তির সেজো কাকা এতোক্ষন সবকিছু চুপ করে দেখ ছিলো।কিন্তু এইভাবে চলতে থাকলে আজ সারাদিন এরা কান্নাকাটি করতে করতে কাটিয়ে দিবে।
প্রাপ্তিকে মেজো কাকার কাছ থেকে হাত ধরে টেনে নিয়ে এসে নীরা ওকে নিয়ে যা।একটু পর বরযাত্রী চলে আসবে।আর এখনো তোরা কান্নাকাটি নিয়ে পড়ে আছিস।তাড়াতাড়ি ওকে তোরা সাজিয়ে রেডি কর।
নীরা প্রাপ্তিকে নিয়ে সাজাতে চলে গেলো।
সবাই আবার কাজে ব্যাস্তো হয়ে পড়লো।বরযাত্রী এসে গেছে। গেটের সব ঝামেলা শেষ করে ফারহানকে নিয়ে এসে ইমরান স্টেজে বসালো।ফারহান কোনো ঝামেলা চায়না।তাই সে সবার আবদার গুলো খুব সহজে মেনে নিচ্ছে।যেই যা বলছে শুধু হ্যাঁ করেই যাচ্ছে।তার মন পড়ে আছে প্রাপ্তির কাছে।।কখন প্রাপ্তিকে তার সামনে আনা হবে।কখন সে বউয়ের সাজে প্রাপ্তিকে দেখবে।এই দিনটা দেখার জন্য অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে।কিন্তু প্রাপ্তিকে আজও বুজাতে পারলামনা কতোটুকু ভালোবাসি তাকে।যাইহোক এখন তো আর হারানোর ভয় নেই।যেইভাবে হোক তার ভালোবাসা আমাকে পেতেই হবে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে মেজো কাকা এসে বললো কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করুন।
কাজী সাহেব-আগে মেয়ে কাছ থেকে সম্মতি নিয়ে আসতে হবে।আপনার ৫/৬ জন আগে গিয়ে কনের সম্মতি নিয়ে আসুন।
মেজো কাকা -ঠিক আছে।
প্রাপ্তিকে সাজিয়ে ড্রইরুমে বসিয়ে রেখে তার সাথে কথা বলছে সবাই,বিয়ে পড়ানো শেষ হলেই বাহিরে নেওয়া হবে স্টেজে।।মেজো কাকা,ফারহানের বাবা,আরো মুরুব্বী কয়েক জন এসে প্রাপ্তির পাশে বসলো।
এক জন মুরুব্বী বিয়ে পড়াতে যা যা বলা লাগে সব কিছু বলে তারপর প্রাপ্তিকে বললো)তুমি কি এই বিয়েতে রাজি?
প্রাপ্তি কোনো কথা বলছে না চুপ করে আছে।
প্রাপ্তির পাশে থাকা বড় ফুফু,মাজো মা,সেজো কাকী, নীরা,সবাই একি কথা বলছে, প্রাপ্তি বল!
প্রাপ্তির খুব কষ্ট হচ্ছে।কিন্তু এখন না বলারও কোনো উপায় নাই।
৩০ মিনিট পর প্রাপ্তি হ্যাঁ বললো। সবাই আলহামদুলিল্লাহ্ পড়ে মুরুব্বীরা বাহিরে চলে গেলো।
বিয়ে পড়ানো শেষ হতেই মনে হচ্ছে ফারহানের চিন্তার বোঝোটা কমলো।এই হিটালের বিশ্বাস ছিলো না বিয়ের দিনও বিয়ে করবোনা বলে পেলতো।যাক এখন আর কোনো চিন্তা নেই।
ফারহানের বড় ভাবী প্রাপ্তিকে এনে ফারহানের পাশে বসালো। ফারহান প্রাপ্তির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
নীরা -ভাইয়া হা বন্ধ করো না হলে মশা ঢুকে যাবে।মনে হচ্ছে প্রাপ্তিকে তুমি জীবনেও দেখো নাই।
ফারহান-নীরা! কিযে বলো? এই সাজে তো আর দেখিনি।কতো দিন অপেক্ষা করেছি।
নীরা -ঠিক আছে ভালো করে দেখো।
ফারহান প্রাপ্তির কানের কাছে গিয়ে বললো।বুড়ি এতো সুন্দর করে সেজেছো চোখ ফিরাতে তো পারছিনা।কি করি বলোতো?
প্রাপ্তি কিছু বলছেনা চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।
বড় ভাবী -ফারহান! কথা যদি এখানেই শেষ করে পেলো রাতে কি বলবা?
ফারহান -ভাবী কথার শেষ আছে?
দেখেন না চুপ করে আছে।হয়তো প্রাপ্তি রাতে সব বলবে।তাই এখন আমি কিছু বলে রাখছি।যদি রাতে সুযোগ না পাই।
কথাটা শুনে প্রাপ্তি মনের অজান্তেই হেঁসে দিলো।
সব কিছু নিয়ম মেনে সব অনুষ্ঠান শেষ করে প্রাপ্তিকে বিদায় এর সময় হয়ে গেছে।
সবাই চুপচাপ হয়ে প্রাপ্তিকে বিদায় দিলো। মেজো কাকা আগেই সবাইকে মানা করেছে প্রাপ্তি যাওয়ার সময় কেউ যেন মন খারাপ বা কান্নাকাটি না করে।প্রাপ্তিও কোনো ঝামেলা করলো না।করেই লাভ কি যেতে তো হবেই।প্রাপ্তির মা আর মেজো মা নিয়ে প্রাপ্তিকে গাড়ীতে বসালো।প্রাপ্তি কাউকেই কিছু বলছেনা।শুধু চোখে দিয়ে পানি ঝরছে।ফারহানও সবার কাছথেকে বিদায় নিয়ে গাড়ীতে এসে বসলো।
রাস্তা আজ কেমন জানি ফাঁকা।মনে হচ্ছে গাড়ী গুলো তাড়াতাড়ি চলছে।
প্রাপ্তি বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে।
প্রাপ্তি! প্রাপ্তি! অনেক বার ডাকার পরে ফারহানের দিকে ফিরে তাকালো।
ফারহান- আমিতো ভেবে ছিলাম তোমাকে নিয়ে আজ হয়তো আসতেই পারবোনা।মানে তুমি আসতে চাইবেনা।
প্রাপ্তি কিছু না বলে আবারো বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফারহান -(টিস্যু বের করে দিয়ে)প্রাপ্তি আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞাস করছি।কিছু বলবে না।
টিস্যু টা হাতে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে
প্রাপ্তি -আমি যদি না আসতে চাইতাম আমাকে রেখে আসতে? আসতে না! দেখো নাই, সবাইকে কিছু না বলেই চলে আসলাম।শুধু শুধু সবাইকে কষ্ট দিয়ে কি লাভ।আসতে তো হবেই।
ফারহান -তা ঠিক।এইটা তো নিয়ম তাই না।না হলে আজ তুমি থেকে যেতে আমি একটুও জোর করতাম না।(কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে)একটা কথা রাখবে?
প্রাপ্তি-কি?
ফারহান- তোমার সব শর্ত আমি মেনে নিয়েছি।কিন্তু এইটা আমাদের দুজনের ভিতরেই থাকবে।আর আমাদের বাড়ী গিয়ে তুমি সবার সাথে স্বাভাবিক ভাবে আচরণ করবে।এবং এমন কিছু করবে না যাতে আমার বাবা আর মা দুজনেই কষ্ট পায়।
প্রাপ্তি কিছু না বলে চুপ করে আছে।
ফারহান -কি হলো চুপ করে আছো কেন?
প্রাপ্তি চুপ করে আছে দেখে ফারহানও কিছু বলছেনা। এইভাবে চুপ করে সারাটা রাস্তা পার করে এলো।
গাড়ী এসে ফারহানদের বাড়ীর সামনে এসে থামলো।সবাই আগে এসে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে তাদের কে বরণ করার জন্য।
বড় ভাবী প্রাপ্তিকে গাড়ী থেকে নামিয়ে তার শাশুড়ি সহ সবাই বরণ করেই ঘরে ঢুকালো প্রাপ্তিকে।প্রাপ্তিকে নিয়ে গিয়ে তাদের ড্রইরুমে বসালো।
ফারহানের মা -প্রাপ্তি! আমি তোমাকে আসা মাএই বলে দিচ্ছি তোমার যা কিছু লাগবে আমাকে বলবে কোনো লজ্জা করবেনা।
এই বাড়ীতে প্রাপ্তি শুধু ফারহানকেই ভালোভাবে চিনে।যদিও আগে থেকে তাদের ফ্যামিলি গত ভালো একটা সম্পর্ক।কিন্তু প্রাপ্তি সাথে কারো এতো ভালো পরিচয় নেই সুমি আর বড় ভাবী ছাড়া।
—পাঠক এইবার ফারহানের সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
ফারহান ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোটো। তার ২ বোন।সুমি হচ্ছে সবার ছোটো।আর বড় বোন দেশের বাহিরে থাকে।কিন্তু ছোটো ভাইয়ের বিয়েতে না এসে থাকতে পারিনি।ফারহান নিজের একটা বিজনেস করে।বিজনেসের করনে মাঝে মাঝে দেশের বাহিরে থাকতে হয়।এইবার আসল কথায় আসি
প্রাপ্তির চোখ শুধু ফারহানকেই খুঁজছে। ওই বাড়ী থেকে আসার পর থেকে তাকে আর দেখিনি।মনে হচ্ছে বউ নিয়ে এসেছি এইবার সব দায়িত্ব শেষ।নীরা তো পারতো আজ আমার সাথে আসতে।ফোন টাও নিয়ে আসতে দিলোনা।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে যেন তার মাথা ব্যাথা করছে।প্রাপ্তি নিছের দিকে তাকিয়ে মাথায় হাত দিয়ে ড্রইংরুমে বসে আছে।সবাই নতুন বউকে এসে দেখে যাচ্ছে।একটু পর ফারহান এসে ফোনটা প্রাপ্তির দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো তোমার আম্মু ফোন করেছে কথা বলো।
প্রাপ্তি ফারহানকে দেখে তার খুব রাগ হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশী রাগ হচ্ছে তার আম্মুর উপর।
কিভাবে পারলো আমাকে একা এইখানে পাঠাতে।
ফারহান- এইভাবে আমার দিকে তাকিয়ে না থেকে কথা বলো।
প্রাপ্তি মায়ের সাথে কথা বলে ফোন রেখে দিলো।
বড় ভাবী এসে প্রাপ্তি উঠো আমার রুমে আসো।
ফারহান -তোমার রুমে কেন?
বড় ভাবী -(ফান করে)ও আমার সাথেই থাকবে।তোমার আর কিছু বলার আছে?
ফারহান -ভাবী তুমিও না। সবসময় ফান না করলে হয়না?
বড় ভাবী- আমি কি বলবো বলো।তুমি এমন ভাবে জিজ্ঞাস করলে।তাই এটাই বললাম।
প্রাপ্তি একটু হেঁটে যেতেই দেখে নীরা, মেজো কাকা,ইমরান, মৃদুল,দরজা দিয়ে ঢুকতেছে।
প্রাপ্তি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।
নীরা -কিরে তোকে কেমন সারপ্রাইজ দিলাম?
মেজো কাকা -তুই কি ভেবেছিস তোকে আমরা আজ কেউ দেখতে আসবো না।
নীরা তোর সাথেই আসতে ছেয়েছিলো ইমরান তখন আসতে দেয়নি তোকে সারপ্রাইজ দিবে বলে।
প্রাপ্তিদের সবাইকে দেখে ফারহানের বাবা অনেক খুশি। তারা বসে আড্ডা দিচ্ছে।
নীরা আর প্রাপ্তিকে নিয়ে বড় ভাবী তার রুমে চলে গেলো।
নীরা -প্রাপ্তি জানিস? আজ আব্বুর আসার কথা ছিলো না।কাল সবাই একসাথে আসতো।কিন্তু ফারহান ভাইয়া তোকে এইখানে দিয়ে আমাদের বাসায় আবার গেছে আব্বুকে নিয়ে আসতে।তোর মন ভালো করার জন্য।
কথাটা শুনেই প্রাপ্তি ভাবলো এই জন্যই এইখানে আসার পর থেকে দেখিনি।আর আমি উল্টাপাল্টা ভেবে বসে আছি।
নীরা -কিরে কি ভাবছিস?
প্রাপ্তি-কিছুনা।আচ্চা কাকাই তো চলে যাবে তুইও কি চলে যাবি?
নীরা-হুম, আমি থাকতে পারবোনা। সমস্যা নেই সবার সাথে কাল তো আসবোই। তুই একদম চিন্তা করবিনা। আর ফারহান ভাইয়া থাকতে তোর চিন্তা কিসের।
চলবে,,,,,,