অঙ্গীকার (১৭তম পর্ব)

0
1857
অঙ্গীকার (১৭তম পর্ব) লেখা – শারমিন মিশু পরদিন বিকালেই রাদিয়া শাফীর সাথে চলে গেলো। শাফী অবশ্য বলেছিলো মা তো তোমাকে থাকতে বলেছিলো। তুমি থাকলেই তো পারো? রাদিয়া কিছু না বলে রেডি হয়ে নিলো। মুনিরা রাদিয়াকে বারবার করে জিজ্ঞেস করেছে,, হ্যারে রাদি,, শাফী তোকে মেনে নিয়েছে তো? -রাদি কষ্ট লুকিয়ে বললো,, হ্যা মা নিয়েছে। মুনিরা যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁছলো।
রাদিয়াকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে শাফী কোথায় যেনো গেলো। রাদিয়া বাসায় ঢুকে দেখলো ওর শাশুড়ি ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে আছে। রাদিয়া সালাম দিতেই সালেহা সালামের জবাব দিয়ে বলে উঠলো,, কি ব্যাপার বউমা তিনদিনের ছুটি দিয়েছি তুমি দেখি একদিন থেকেই চলে এসেছো? -এমনি আন্টি। -মানুষ দেখি বাবার বাড়ী গেলে আসতেই চায়না আর তুমি দেখি.. আচ্ছা শাফী কোন অস্বাভাবিক আচরণ করেছে নাকি? -না আন্টি তেমন কিছুনা। এমনি ভালো লাগছিলোনা তাই চলে আসছি। সালেহা আর কোন কথা না বলে বুশরাকে কোলে নিয়ে রুমের দিকে গেলো। রাদিয়া ইফতির সাথে দেখা করে রুমে গেলো। বোরখাটা খুলে রেখে নিজের জামা চেন্জ করতে গিয়ে খেয়াল করলো এই রুমে ওর একটাও জামা নেই। রাদিয়া পুরো রুম তন্নতন্ন করে খুঁজলো ওর কিংবা বুশরার কোন জিনিসই এই রুমে নাই। ব্যাপার কি সব কিছু গেলো কোথায়? এক রাতের মাঝে সব উধাও হয়ে গেলো নাকি? রাদিয়া বেরিয়ে ইফতিকে দেখতে পেলো ড্রয়িংরুমে ও বসে বসে রান্নার একটা রেসিপি দেখছিলো খুব মন দিয়ে। রাদিয়া পিছন থেকে কয়েকবার ডাক দিলো ইফতির কোন খবর নাই। রাদিয়া কাছে গিয়ে ওর কাঁধ দিয়ে ঝাঁকি দিয়ে কিছুটা জোরে বললো,, ইফতি??? -ইফতি আচমকা এতো জোরে কানের কাছে শব্দ পেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে গেলো। রাদিয়া তুমি?? উফ!! ভয় পাইয়ে দিয়েছো! -সেই কখন থেকে ডাকছি তুমি তো শুনছোই না। -আসলে রান্নাটার দিকে মনোযোগ ছিলো। মনোযোগ দিয়ে না দেখলে পরে মনে থাকেনা। -এভাবে বুঝে টিভিতে রান্না দেখে রান্না করা যায়? -ওই একটু আধটু শেখার চেষ্টা করি। আমি তো সেইভাবে ভালো রান্না করতে পারিনা। -হুম। আচ্ছা আমাদের জামাকাপড় গুলো কোথায় বলো তো? সবতো কাল রুমে ছিলো এখন একটা ও খু্জে পাচ্ছিনা। -ইফতি মুখ কাঁচুমাঁচু করে নিলো। বলবে কি বলবেনা এই ভেবে৷ শাশুড়ি আম্মা তো বলেছে আসার সাথে সাথে না বলতে। -কি ব্যাপার বলছোনা কেন? -সব কাল আম্মা আমাকে দিয়ে ভাইয়ার ঘরে নিয়ে গিয়েছে। -মানে?? ওখানে কেনো? -আমি জানিনা উনি শুধু আমাকে বলেছে রেখে আসতে। তাই আমি রেখে এসেছি। রাদিয়া কি করবে ওর বুঝে আসছেনা। শাশুড়ির মতলব ও বুঝতে পেরেছে। কিন্তু কাল রাতে মানুষটা যা ব্যবহার করেছে তার সাথে আবার এক ঘরে অসম্ভব। কাল শাফীর ওই রকম আচরণের জন্য রাদিয়া তাড়াহুড়ো করে চলে এসেছে। একদিন নয়তো মেনে নিয়েছে আর একরাত এক রুমে থাকলে না জানি কি আচরণটাই করতো সেই ভয়ে রাদিয়া চলে এসেছে। নাহলে কত ইচ্ছা ছিলো মায়ের কাছে দুটো দিন থাকবে। কিন্তু কি হলো? সেই সমস্যাটা এখনো আবার!! রাদিয়ার বুকের ভিতর কম্পন ধরে গেলো। সালেহা রাদিয়ার ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আস্তে করে ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দিলো। এদিকে রাদিয়ার চিন্তায় অবস্থা কাহিল। কি জানি বাসায় আজ কোন অবস্থা হয় ভয়ে ওর গলা শুকিয়ে আসছে এ পর্যন্ত কয়েক গ্লাস পানি খেয়েছে। সন্ধ্যার পরে শাফী বাসায় এসেছে। এসেই রুমে চলে গেছে। ইশার নামাজ পড়ে রাদিয়া ইফতির সাথে কিচেনে গেলো রাতের রান্না করতে। এই ফাঁকে সালেহা এসে রাদিয়া যে রুমে থাকে ওই রুমের দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে। রান্না শেষ করে রাদিয়া রুমে ঢুকতে গিয়ে দেখলো দরজা আটকানো। চোখ পড়তেই দেখলো ইয়া বড় এক তালা ঝুলছে রুমের দরজায়। আশ্চর্য্য!! এটা আবার কে করলো?? ইফতি তো আমার সাথে ছিলো। ক্বাফী ভাইয়া এখনো ফিরেনি,, আঙ্কেল আবার এসব করবেনা,, শাফী!! উনার তো প্রশ্নই আসেনা। তাহলে,, আন্টি!!! উনি এসব কেন করছে? আফিয়া সবসময় ও বাড়ি গিয়ে বলতো ওর শাশুড়ি অনেকটা ফ্রী মাইন্ডের। ছেলের বউদের সাথে সবসময় বউ হিসাবে নয় সবসময় বান্ধবীর মতো উনার কথাবার্তা আর আচরণ। কিন্তু সেটা এতটা ভয়ংকর রাদিয়ার ভাবনার বাহিরে ছিল। রাদিয়া মনে মনে বলে আল্লাহ!! এমন ডেন্জারাস শাশুড়ি যেন আমার শত্রুর ও না থাকে। রাদিয়া একবার শাশুড়ির রুমের দরজায় যাচ্ছে আবার ফিরে আসছে। বুশরা ওখানেই ঘুমিয়ে আছে। আঙ্কেল বুশরার পাশে শুয়ে আছে তাই লজ্জাবোধ কিছু বলতেও পারছেনা। কি যে করবে? রাতে খাবার খাওয়ার পরে রাদিয়া ডাইনিংয়ে বসে ছিলো। কি করবে কিছুই বুঝে আসছেনা? আর ওই রুমের দিকে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা! সালেহা এতক্ষণ রাদিয়ার মতিগতি লক্ষ্য করছিলো। এবার রাদিয়ার সামনে এসে বললো,,, কি ব্যাপার এখানে বসে কি করছো? রাত কত হয়েছে খবর আছে? বুশরাকে নিয়ে ঘুমাতে যাও। -রাদিয়া অসহায় চোখে সালেহা বেগমের দিকে তাকালো। -এভাবে তাকাচ্ছো কেন? -আন্টি আপনি ঘরে তালা ঝুলিয়ে রাখলে আমি ঘুমাবো কি করে? -ওটা আজ থেকে তালাবদ্ধ থাকবে। যেটা তোমার ঘর সেটাতে গিয়ে ঘুমাবে আজ থেকে। -আপনি জেনেশুনে… -শোন মেয়ে,, নিজের অধিকার আদায় করতে শিখো। যেভাবে বিয়ে হোক না কেন তোমরা এখন স্বামী স্ত্রী। তোমাদের একজনের উপর আরেকজনের অধিকার খাটানোর পূর্ন স্বাধীনতা আছে। এ সম্পর্ক তৈরী করার কোন ক্ষমতা আমাদের হাতে ছিলোনা। আল্লাহর ইচ্ছে ছিলো বলেই সম্পর্কটা তৈরী হয়েছে। সহজে না হলে জোর করে নিজের অধিকার আদায় করো নিবে। তুমি ওর বাচ্ছার দায়িত্ব নিয়েছো কিন্তু ওর তো উচিত ছিলো তোমার দায়িত্ব নেয়া। এতদিন আমি মনে করেছি তুমি নিজে থেকে গিয়ে নিজের অধিকার আদায় করবে সেইজন্য কিছু বলেনি। কিন্তু আজ দেখছি আমি কিছু না করলে তোমরা এভাবেই জীবন পার করে দেবে। -রাদিয়া লজ্জায় মাথা নামিয়ে নিয়ে বললো,, আন্টি উনি আমাকে আগেই বলেছে উনার উপর অযাচিত অধিকার না খাটাতে। -এই যে এতো লজ্জা পাচ্ছো এটা তোমার মূল সমস্যা। ও বলেছে আর তুমি তা মেনে চলছো? শোন,,,বাঙালিরা মেয়েরা একটু লাজুক স্বভাবের হয় এটা ঠিক। তারা সবসময় অনেক কিছু চাইলে ও মুখ দিয়ে প্রকাশ করতে পারেনা। এটা তাদের স্বভাবজাত অভ্যাস। কিন্তু তাই বলে লজ্জা পেতে পেতে লাজুক লতার মতো এতোটাও জড়িয়ে যেওনা যাতে সারাজীবন আফসোস করতে হয়। জীবন এভাবে চলেনা!!! যাও ঘুমাতে যাও। -না আন্টি আমি উনার সাথে একরুমে থাকতে পারবোনা। আপনি জানেন না কাল উনি আমার সাথে যা করেছে তারপর উনার সাথে আবারো একি রুমে থাকা সম্ভব না। -এই মেয়ে এতক্ষণ তোমাকে কি বুঝালাম আমি? ও কথা শুনাতে পারলে তুমি শুনাতে পারোনা। তুমি কি ওকে জোর করেছো বিয়ে করতে ও নিজের সম্মতিতে গেছে। স্বামী যদি অন্যায় করে তাহলে তার মুখের উপর কথা বললে অন্যায় হয়না। যত দূরে দূরে সরে থাকবে দূরত্ব ততই বাড়বে। এভাবে হবেনা! চলো আমিই তোমাকে দিয়ে আসি। আজ এর একটা হেরফের হবেই! -আন্টি প্লিজ!! -রাদিয়া আর একটা কথাও বলবেনা আমি রেগে গেলে খুব খারাপ হয়ে যাবে। অনেকক্ষণ থেকে তোমার মিনমিনে কথাগুলো সহ্য করেছি আর না বলে উনি বুশরাকে নিয়ে আসলো রুম থেকে। শাফী বিছানায় শুয়ে শুয়ে শাইখ সালেহ আল – মুনাজ্জিদ এর (যেসব হারামকে অনেকেই তুচ্ছ মনে করে) বইটা পড়ছিলো। সালেহা ঘরে ঢুকে শাফীকে বললো,,, এই সর তো! বুশরাকে শুইয়ে দিই। -শাফী মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,, আজ কি বুশরা আমার সাথেই ঘুমাবে? ভালোই হয়েছে অনেকদিন ওর সাথে ঘুমানো হয়না। -সালেহা বুশরাকে শুইয়ে দিতে দিতে বললো,, শুধু বুশরা নয় আজ থেকে রাদিয়া ও এ ঘরে থাকবে। -কিহ??? -কিহ বলে লাফিয়ে উঠছিস কেন? আমি কি আশ্চর্য্য হওয়ার মত কিছু বলেছি? -মা এটা কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে! -বাড়াবাড়ির দেখেছিস কি? আজকের পর দেখবি বাড়াবাড়ি কাকে বলে? অনেক নাটক করেছিস আর না। আমার বাড়ি কোন নাট্যশালা নয়। আমার ঘরের ব্যাপার নিয়ে বাহিরের মানুষ হাসাহাসি করবে এটা তো আমি মেনে নিবোনা। -মা এ বিয়েটা একটা কমিটমেন্টের ভিতরে হয়েছে। -রাখ তোর কমিটমেন্ট! ইসলামিক জ্ঞান তো ভালোই আয়ত্ত আছে তোর আমি জানতাম! কিন্তু এখন দেখছি এটা সম্পূর্ণ ভুল। এইযে এত এত বই পড়ছিস জ্ঞান অর্জন করছিস কি লাভ এতে? যদি স্ত্রীর অধিকারটা না দিতে পারিস। হাদিস আমিও কম জানিনা। এইযে তোরা একে অপরের অধিকার লঙ্ঘন করছিস এটা কিন্তু ভয়ংকর কবীরা গুনাহ। তুই তো সবসময় দ্বীনদার স্ত্রী চেয়েছিস এখন তো তা পেয়েছিস। আফিয়া মারা গেছে তাতে আমাদের ও কষ্ট হয়েছে। আমরা কি কেউ ওকে কম ভালোবাসতাম। এটা ও জানি ওর মতো মেয়েকে বউ করে পাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপর। কিন্তু দুনিয়াতে তার আয়ু যতদিন ছিলো সে ততদিনই বেঁচে ছিলো। একজন মৃত মানুষের স্মৃতি নিয়ে কতদিন বসে থাকবি বলতে পারিস? যে মারা গেছে সে তো গেছে কিন্তু যে বেঁচে আছে বর্তমানে তার প্রতি যে অন্যায় করছিস তার কি জবাব দিবি শাফী? রাদিয়াকে সামনে টেনে এনে, এইযে এই মেয়েটা শুধু তোর মেয়েকে লালন পালন করার জন্য কত কিছু ত্যাগ করেছে তা তুই একটুও বুঝিস না। নিজের সব আশা আকাঙ্খা বিসর্জন দিয়েছে। তুই তোর স্ত্রীকে হারিয়েছিস ও তো ওর বোনকেও হারিয়েছে ওর কি কষ্ট হচ্ছেনা? নিজের বোনের সংসারে আসতে কি ওর একটুও কষ্ট হয়নি? শুধু তোর মেয়ের কথা ভেবে নিজের মৃত বোনের কথা রাখতে ও নিজের সব স্বপ্ন ভুলেছে। তোর কি উচিত নয় ওর প্রতি একটু ভালো ব্যবহার করার? তোকে বুঝানোর মতো জ্ঞান আমার নেই। কারণ তুই আমার থেকে ও ভালো জানিস। শুধু এতটুকুই বলবো মেয়েটার প্রতি এতটা অন্যায় করিস না!! বলে উনি হনহন করে বেরিয়ে গেলো। রাদিয়া এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলো। এখন সালেহা বেগম চলে যেতেই যেনো কান্নাটা ভেতর থেকে শব্দ করে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ও দ্রুত হেটে বারান্দার দিকে চলে গেলো। শাফীর সামনে কেঁদে নিজের হীনমন্যতার পরিচয় দিতে চায়না। -শাফী সেই থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। আসলে কি বলবে নিজেও ভেবে পাচ্ছেনা। আফিয়াকে দেয়া কথার একটু ও তো মূল্যায়ন ও করছে না। একজন মৃত মানুষকে দেয়া কথা ও কতটুকু রেখেছে? কথা দিয়ে কথা না রাখা কি কোন মুসলিমের কাজ? আসলেই তো ও রাদিয়ার প্রতি অনেক বেশি অন্যায় করছে। যা হয়েছে সবকিছুতে মেয়েটার কি দোষ ছিলো? স্ত্রীর অধিকার না দিই একটু তো ভালো ব্যবহার করতে পারতাম। এতটুকুর যোগ্য তো ও ছিলো। আমি যদি ওকে বিয়ে নাই করতে চাইতাম ও কি জোর করতে পারতো? আমি তো নিজের স্বার্থের জন্যই ওকে এ বাড়ীতে এনেছি। আমার স্বার্থ তো হাসিল হয়েছে বিনিময়ে রাদিয়া কি পেলো? রাদিয়া বারান্দায় বসে ছিলো। রুমে যাওয়ার সাহস ওর হচ্ছেনা। এদিকে বুশরা বোধহয় জেগে উঠেছে। কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। তবুও ও উঠছেনা। শাফী অনেকক্ষণ ধরে বুশরাকে শান্ত করবার চেষ্টা করছে পারছেনা। তাই সমস্ত দ্বিধা সংকোচ ভুলে বারান্দায় এসে রাদিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো,,, বুশরার বোধহয় ক্ষিধে পেয়েছে! রাদিয়া শাফীর দিকে তাকিয়ে উঠে গেলো ওখান থেকে। বুশরার খাবার রেডি করে এনে ওকে খেতে দিলো। রাদিয়া চেয়ারেই বসে ছিলো। বুশরা ঘুমিয়ে পড়েছে। শাফী বারান্দা থেকে এসে রাদিয়াকে বসে থাকতে দেখে বললো,,, কি ব্যাপার বসে আছো কেন? রাত অনেক হয়েছে। -রাদিয়া নিচের দিকে তাকিয়ে বললো,, আমি এই ঘরে ঘুমালে কি আপনার খুব বেশি প্রবলেম হবে? চিন্তা করবেন না আমি ফ্লোরেই ঘুমাবো!! -শাফী কপাল কু্চকে বললো,,, মানে? -আপনার খাটে তো আর জায়গা পাবোনা তাই বললাম মেঝেতে যদি ঘুমাই? -শাফী গম্ভীরভাবে বললো,,, আজ থেকে তুমি এই খাটেই ঘুমাবে বুশরার ওপাশে।
-না সমস্যা নেই আমার নিচে ঘুমাতে সমস্যা হবেনা। আপনি উপরে ঘুমান আমি চাইনা আমার জন্য আপনার কোন সমস্যা হোক! -শাফী নিজের রাগকে কিছুটা কন্ট্রোল করে বললো,,,সবসময় একটু বেশি বুঝো কেন? যা বলছি তাই করো!! -রাদিয়া আর কিছু না বলে গুটিসুটি মেরে খাটের একপাশে শুয়ে পড়লো। শাফী আলমারী খুলে একটা কাঁথা এনে রাদিয়ার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো, নাও এটা গায়ে দিয়ে ঘুমাও। এখন শেষ রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা পড়ে। তারপর নিজে গিয়ে খাটের অন্যপাশে শুয়ে পড়লো। রাদিয়া মনে মনে রবের শুকরিয়া আদায় করে বললো,, আল্লাহ এখন যতটুকু পেয়েছি তার জন্য লাখো লাখো শুকরিয়া তোমার দরবারে। এ ব্যবহারটা সবসময় থাকলে আমার আর কিছু চাইনা…….. চলবে………..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে